Tag: রাজশাহী রয়্যালস

  • বিপিএলের সেরা খেলোয়াড় রাসেল

    বিপিএলের সেরা খেলোয়াড় রাসেল

    বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের সপ্তম আসরে খুলনা টাইগার্সকে ২১ রানে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের প্রথম শিরোপা জিতে নিল উত্তরের বিভাগ রাজশাহী রয়্যালস। আর তাদের এই শিরোপা জয়ের পেছনে যার সবচেয়ে বড় অবদান তিনি হচ্ছেন রাজশাহীর অধিনায়ক ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল৷

    পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত ক্যাপ্টেন্সির পাশাপাশি ব্যাট ও বল হাতে দলকে চ্যাম্পিয়ন করে ‘ম্যান অফ দ্যা ফাইনাল’ এবং ‘প্লেয়ার অব দি টুর্নামেন্ট’ নির্বাচিত হয়েছেন রাসেল। পুরো টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে ১৩ ম্যাচে ১৮০ স্ট্রাইকরেটে ২২৫ ও বল হাতে ১৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি৷

    রাসেলকে নিয়ে রাজশাহীর খেলোয়াড়দের উল্লাস

    তার এই দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স রাজশাহীর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনে অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে তাই স্বভাবতই টুর্নামেন্ট সেরার মুকুটটাও উঠেছে তার হাতে।

  • বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী

    বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী

    বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সপ্তম আসর বঙ্গবন্ধু বিপিএলের নতুন চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী। ফাইনালে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন খুলনা টাইগারর্সকে ২১ রানে হারিয়ে বিপিএল প্রথম শিরোপা ঘরে তুলে আন্দ্রে রাসেলের রাজশাহী রয়ালস।

    এর আগে ২০১৬ সালে ফাইনালে উঠে ঢাকা ডায়নামাইটের বিপক্ষে হেরে শিরোপ বঞ্চিত হয়েছিল রাজশাহী।তবে এবার আর হতাশ হতে হয়নি। শিরোপা নিয়েই বাড়ি ফিরেছে আন্দ্রে রাসেলের নেতৃত্বাধীন দলটি।

    শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে রাজশাহী। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন ইরফান শুক্কর। ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে ২০ বলে ৪১ রান করেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ নওয়াজ। ১৬ বলে ২৭ রান করেন আন্দ্রে রাসেল।

    বিপিএল প্রথম শিরোপা জয়ের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১১ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যাওয়া দলকে খেলায় ফেরাতে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন শামসুর রহমান শুভ। তৃতীয় উকেটে রাইলি রুশোর সঙ্গে গড়েন ৭৪ রানের জুটি।

    ২ উইকেটে ৮৫ রান করা খুলনা এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শিরোপা জয়ের লড়াই থেকে ছিটকে যায়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন শামসুর রহমান শুভ। তার ইনিংসটি ৪৩ বলে ৪টি চার ও দুটি ছক্কায় সাজানো। এছাড়া ৩৭ রান করেন রুশো। ২১ রান করে ফেরেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।

    এর আগেআন্দ্রে রাসেল ও মোহাম্মদ নওয়াজের ব্যাটিং ঝড়ে বিপিএল ফাইনালে ১৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছে রাজশাহী রয়েলস। ইনিংসের প্রথম ১৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১০০ রান করা রাজশাহী পরের ৫ ওভারে তুলে নেয় ৭০ রান।

    শেষ ৩০ বলে অবিচ্ছিন্ন ৭১ রানের জুটি গড়ে দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর উপহার দেন রাসেল ও নওয়াজ। তাদের দায়িত্বশীলতায় লড়াই করার মতো পুঁপি পায় রাজশাহী। মাত্র ১৬ বল খেলে ৩টি ছক্কায় ২৭ রান করেন রাসেল। আর ২০ বল খেলে ৬টি চার ও দুই ছক্কায় ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন নওয়াজ।

    শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে যায় রাজশাহী। দলীয় মাত্র ১৪ রানে ওপেনার আফিফ হোসেনের উইকেট হারায় তারা।

    তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার লিটন দাসের সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়েন ইরফান শুক্কর। দলীয় ৬৩ রানে ফেরেন জাতীয় দলের তারকা ওপেনার লিটন দাস। তার আগে ২৮ বলে এক চার ও এক ছক্কায় করেন ২৫ রান।

    ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন ইরফান শুক্কর। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৩২ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। ঘরোয়া লিগের এ তারকা ক্রিকেটার আগের ম্যাচেও অসাধারণ ব্যাটিং করেছিলেন। ফাইনাল নিশ্চিত করার ম্যাচে খেলেছিলেন ৪৫ রানের ইনিংস।

    শুক্রবার দলীয় ৯৯ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন ইরফান শুক্কর। তার আগে ৩৫ বলে ৬টি চার ও দুই ছক্কায় খেলেন ৫২ রানের ঝকঝকে ইনিংস।

    ইরফান আউট হওয়ার পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল ও মোহাম্মদ নওয়াজ। পাকিস্তান ব্যাটসম্যান নওয়াজকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংসের শেষ দিকে রীতিমতো তাণ্ডব চালান রাজশাহীর ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    রাজশাহী রয়েলস: ২০ ওভারে ১৭০/৪ (ইরফান ৫২, নওয়াজ ৪১*, রাসেল ২৭*, লিটন ২৫, আফিফ ১০, শোয়েব মালিক ৯; আমির ২/৩৫)।

    খুলনা টাইগার্স: ২০ ওভারে ১৪৯/৮ (শামসুর রহমান ৫২, রুশো ৩৭, মুশফিক ২১; ইরফান ২/১৮, কামরুল ইসলাম ২/২৯, আন্দ্রে রাসেল ২/৩২)।

    ফল: রাজশাহী রয়েলস ২১ রানে জয়ী।

  • আজ বিপিএলের ফাইনাল

    আজ বিপিএলের ফাইনাল

    আজ রাজধানীর মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের সপ্তম আসরের শিরোপার লড়াইয়ে নামবে খুলনা টাইগার্স-রাজশাহী রয়্যালস। ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়।

    এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু বিপিএলের বিশেষ ট্রফি উন্মোচন করা হয়েছে। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও রাজশাহী রয়্যালসের অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল এই ট্রফি সবার সামনে নিয়ে আসেন।

    বক্তিগতভাবে প্রথমবার ফাইনাল খেলতে যাওয়া মুশফিকের চোখ শিরোপায়। আন্দ্রে রাসেল বীরত্বে ফাইনালে ওঠা রাজশাহীও ছেড়ে কথা বলবে না।

    খুলনা শুরু থেকে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলছে। অফ স্পিনার মিরাজকে অলরাউন্ডার বানিয়ে সফল হয়েছে দলটি। শেষের দিকে এসে ছন্দে ফিরেছেন ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তও। মিডল অর্ডারও বেশ ভালো করছে। মুশফিক ভরসার নাম। টিম কম্বিনেশনের কারণে এতদিন সুযোগ না পেলেও ফাইনালে খেলতে পারেন হাশিম আমলা। খুলনা বোলিং লাইনআপও যেকোনো দলকে ভড়কে দিতে পারে।

    অন্যদিকে, দারুণভাবে শুরু করা রাজশাহী শেষ দিকে এসে কিছুটা ছন্দ হারালেও আন্দ্রে রাসেল ব্যাটে ফাইনালে উঠেছে। লিটন-আফিফের উদ্বোধনী এবারের আসরের সেরা। শোয়েব মালিক-আন্দ্রে রাসেলদের ব্যাট জ্বলে উঠলে খুলনাকে হারানো কঠিন নয়। টিম ডিরেক্টরহীন রাজশাহী শিরোপা জিতলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা।

     

     

  • আমিরের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ফাইনালে খুলনা

    আমিরের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ফাইনালে খুলনা

    বিপিএলের চলতি আসরের প্রথম কোয়ালিফায়ারে ব্যাট হাতে যেমন আলো ছড়িয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, বোলিংয়েও তেমন দুর্দান্ত ছিলেন মোহাম্মদ আমির। এতেই শোয়েব মালিকের প্রতিরোধ উপেক্ষা করে ২৭ রানে ম্যাচ জয় খুলনা টাইগার্সের। যার ফলে প্রথম দল হিসেবে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ফাইনাল নিশ্চিত করলো খুলনা।

    এদিন আগে ব্যাট করে শান্তর ৭৮ রানের অনবদ্য ইনিংসের উপর ভর করে ১৫৮ রানের সংগ্রহ দাঁড় করে খুলনা টাইগার্স। ১৫৯ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে শুরু থেকেই বিধ্বস্ত রাজশাহী রয়্যালস। ইনিংসের প্রথম ওভারে ওপেনার লিটন দাসকে ফিরিয়ে যার শুরু করেন খুলনার পেসার আমির।

    এরপর একে একে সাজঘরের পথ ধরেন আফিফ (১১), রবি বোপারা (১), অলক কাপালি (০), আন্দ্রে রাসেল (০) ও ফরহাদ রেজা (৩)। ফলে মাত্র ৩৩ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে রাজশাহী। যেখানে একাই ৪ উইকেট নিজের ঝুলিতে পোরেন আমির। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলে যান তিন নম্বরে ব্যাট করতে আসা দলের পাকিস্তানি রিক্রুট শোয়েব মালিক।

    এরপর তাইজুল ইসলামকে নিয়ে লড়ে যান মালিক। ৩৯ বলে তুলে নেন ফিফটি। তবে ফায়দা হয়নি একেবারেই। এতে রাজশাহীর হারের ব্যবধানটা কমলো শুধু। পরে তাইজুলের ১২ রানের সাথে মালিকের ৫০ বলে ৮০ রানের কল্যাণে ১৩১ রানে থামে রাজশাহীর ইনিংস। যেখানে বিপিএল ইতিহাসের সেরা বোলিংয়ের পাশাপাশি প্রথমবারের মত ৬ উইকেটের স্বাদ পান আমির। ফলে ২৭ রানে ম্যাচ জিতে প্রথম দল হিসেবে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ফাইনাল নিশ্চিত করলো খুলনা টাইগার্স।

    তবে এই ম্যাচ হারলেও ফাইনাল খেলার সুযোগ থাকছে রাজশাহী রয়্যালসের সামনে। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী কোয়ালিফায়ার এক এর পরাজিত দল কোয়ালিফায়ার দুইয়ে মুখোমুখি হবে এলিমিনেটরের জয়ী দলের বিপক্ষে। সে হিসেবে এই ম্যাচ হারের ফলে ফাইনালে উঠার মিশনে পরবর্তী ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মুখোমুখি হবে আন্দ্রে রাসেলের রাজশাহী রয়্যালস।

    এর আগে টস হেরে খুলনার হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে আজ একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি মিরাজ। মোহাম্মদ ইরফানের বলে আউট হয়েছেন ৮ বলে সমান ৮ রান করে। ওই ওভারেই দ্বিতীয় আঘাত হানেন ইরফান। এবার ফেরান রানের খাতা খুলতে না পারা রাইলি রুশোকে। দলীয় ১৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে খানিক বিপদে পড়ে খুলনা।

    সেখান থেকে শামসুর রহমানকে নিয়ে দলের হাল ধরেন শান্ত। তবে শামসুর ৩১ বলে ৩২ রান করে আউট হলে ভাঙে তৃতীয় উইকেটে দুজনের ৭৮ রানের পার্টনারশিপ। পরে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে সাথে নিয়ে মাত্র ৩৬ বলে নিজের ফিফটি তুলে নেন শান্ত। তবে ইনিংসের ১৯তম ওভারে এসে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মুশফিককে। এর আগে ১৬ বলে ২১ রান করেন তিনি।

    শেষদিকে ৭টি চার ও ৪টি ছয়ের সাহায্যে শান্তর ৫৭ বলে ৭৮ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ওভার শেষে ১৫৮ রানের সংগ্রহ দাঁড় করে খুলনা টাইগার্স।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    খুলনা টাইগার্স: ১৫৮/৩ (২০ ওভার)
    শান্ত ৭৮*, শামসুর ৩২, মুশফিক ২১; ইরফান ২/১৩, বোপারা ১/২৪।

    রাজশাহী রয়্যালস: ১৩১/১০ (২০ ওভার)
    মালিক ৮০, তাইজুল ১২, আফিফ ১১; আমির ৬/১৭, মিরাজ ২/৬, শহিদুল ১/১৫।

    ফল: খুলনা ২৭ রানে জয়ী।

  • প্লে-অফ লাইন-আপ চূড়ান্ত

    প্লে-অফ লাইন-আপ চূড়ান্ত

    বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সপ্তম ও বিশেষ আসর বঙ্গবন্ধু বিপিএলের রাউন্ড রবিন লিগ পর্বের খেলা শেষ হয়েছে। ৪২টি ম্যাচ শেষে চূড়ান্ত হয়েছে প্লে-অফের লাইন-আপও।

    পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ চারে থেকে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে খুলনা টাইগার্স, রাজশাহী রয়্যালস, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ঢাকা প্লাটুন। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকায় খুলনা টাইগার্স ও রাজশাহী রয়্যালস ফাইনালে যাওয়ার জন্য দুটি সুযোগ পাচ্ছে। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ঢাকা প্লাটুন তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে থাকায় দল দুটির জন্য বিপিএল যাত্রা হয়ে উঠেছে ‘নকআউট’, অর্থাৎ কোনো ম্যাচে হারলেই বিদায়।

    রাউন্ড রবিন লিগের পর এক দিনের বিরতি শেষে ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে শেষ চারের লড়াই। ১৩ জানুয়ারি ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে দুটি ম্যাচ।

    দিনের প্রথম খেলায় এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হবে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও চতুর্থ দল ঢাকা প্লাটুন। এই ম্যাচের জয়ী দল ফাইনাল খেলার জন্য আরও একটি সুযোগ পাবে, পরাজিত দল আসর থেকে বিদায় নেবে।

    দিনের দ্বিতীয় খেলায় প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দল খুলনা টাইগার্স ও রাজশাহী রয়্যালস। এই ম্যাচের জয়ী দল উঠে যাবে ফাইনালে। পরাজিত দল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে এলিমিনেটর ম্যাচের জয়ী দলের মোকাবেলা করবে।

    দ্বিতীয় ফাইনালিস্ট বাছাইয়ের সেই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায়। ফাইনালে ওঠা দুই দল শিরোপার জন্য লড়বে ১৭ জানুয়ারি।

    একনজরে শেষ চারের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি

    ম্যাচ তারিখ ও সময় লড়াই
    এলিমিনেটর ১৩ জানুয়ারি (সোমবার), দুপুর দেড়টা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স বনাম ঢাকা প্লাটুন

    প্রথম কোয়ালিফায়ার ১৩ জানুয়ারি (সোমবার), সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা খুলনা টাইগার্স বনাম রাজশাহী রয়্যালস

    দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ১৫ জানুয়ারি (বুধবার), সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা প্রথম কোয়ালিফায়ারের পরাজিত দল বনাম এলিমিনেটরের জয়ী দল

    ফাইনাল ১৭ জানুয়ারি (শুক্রবার), সন্ধ্যা সাতটা প্রথম কোয়ালিফায়ারের জয়ী দল বনাম দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের জয়ী দল

  • চট্টগ্রামকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রাজশাহী

    চট্টগ্রামকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রাজশাহী

    বঙ্গবন্ধু বিপিএলের চলতি আসরে নিজেদের প্রথম দেখায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছিল রাজশাহী রয়্যালস। টুর্নামেন্টে আজ দ্বিতীয়বার মুখোমুখি হয়েছিল দুদল। যেখানে লিটন দাসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে চট্টগ্রামকে টপকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেল রাজশাহী।

    এদিন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অপরাজিত ৪৮ রানের সুবাদে আগে ব্যাট করে রাজশাহীর সামনে ১৫৬ রানের লক্ষ্য দাঁড় করে চট্টগ্রাম। এই টার্গেট টপকাতে নেমে দলের হয়ে দুর্দান্ত শুরু করেন রাজশাহীর দুই ওপেনার লিটন ও আফিফ হোসেন। চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে চট্টগ্রামের বোলারদের শাসন করতে থাকেন দুজন। এরই এক ফাকে মাত্র ২৯ বলে টুর্নামেন্টে নিজের তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন লিটন।

    ইনিংসের ১১তম ওভারে ৩২ রানে থাকা আফিফকে ফিরিয়ে রাজশাহী শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন চট্টগ্রামের স্পিনার নাসুম আহমেদ। তবে নিজেদের জয় তুলে নিতে একেবারেই বেগ পেতে হয়নি রাজশাহীকে। পরে লিটনের সাথে ধ্বংসযজ্ঞে দেন শোয়েব মালিক। এই দুই ব্যাটসম্যানের ৫০ রানের পার্টনারশিপে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৮ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রাজশাহী রয়্যালস।

    জিয়াউরের বলে আউট হওয়ার আগে ৪৮ বলে ৭৫ রানের ইনিংসটি লিটন সাজিয়েছন ১১টি চার ও ১টি ছয়ের সাহায্যে। মালিকের ব্যাট থেকে আসে ৪৩ রান। ১৪ বল হাতে রেখে পাওয়া জয়ের ফলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে টপকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেল রাজশাহী। এই সাথে নিশ্চিত করলো কোয়ালিফায়ার পর্বের খেলা।

    এর আগে টস হেরে জুনায়েদ সিদ্দিকীকে নিয়ে চট্টগ্রামের ইনিংস শুরু করতে আসেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইল। তবে রাজশাহীর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং তোপে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি তারা। ইনিংসের সপ্তম ওভারে দলীয় ৩৮ রানের মাথায় ২৩ বলে সমান ২৩ রানে থাকা জুনায়েদকে আউট করেন শোয়েব মালিক। এরপর গেইল ২১ বলে ২৩ ও ইমরুল কায়েস আউট হন ১৮ বলে ১৯ রান করে।

    ৬৯ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর চ্যাডউইক ওয়ালটনও ৪ রান করে ফিরে গেলে নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে চট্টগ্রামের হাল ধরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পঞ্চম উইকেটে ৩৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েন দুজন। শেষদিকে সোহানের ১৬ বলে ৩০ রানের ঝড়ো ইনিংসের সাথে রিয়াদের ৩৪ বলে অপরাজিত ৪৮ রানের সুবাদে ১৫৫ রানের সংগ্রহ দাঁড় করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৫৫/৫ (২০ ওভার)
    রিয়াদ ৪৮*, সোহান ৩০, গেইল ২৩, জুনায়েদ ২৩; মালিক ১/১১, রাহি ১/১২, আফিফ ১/১৮।

    রাজশাহী রয়্যালস: ১৫৬/২ (১৭.৪ ওভার)
    লিটন ৭৫, মালিক ৪৩*, আফিফ ৩২; জিয়া ১/১৫, নাসুম ১/৩৩।

    ফল: রাজশাহী ৮ উইকেটে জয়ী।

  • বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে চট্টগ্রাম

    বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে চট্টগ্রাম

    ইমরুল কায়েস ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের লেন্ডন সিমন্সের ব্যাটিং নৈপুন্যে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে এককভাবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

    মঙ্গলবার টুর্নামেন্টের ৩৬তম ও দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে রাজশাহী রয়্যালসকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

    প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬৬ রান করে রাজশাহী রয়্যালস। ওপেনার লিটন দাস ৫৬ ও ফরহাদ রেজা ৮ বলে ২১ রান করেন। জবাবে ইমরুলের অপরাজিত ৬৭ ও সিমন্সের ৫১ রানের সুবাদে ৯ বল বাকী রেখেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম।

    এই জয়ে ১১ খেলায় ৮জয় ও ৩হারে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠলো চট্টগ্রাম। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৭ জয় ও ৪ হারে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে নেমে গেলো রাজশাহী।

    মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্বান্ত নেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়ক ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে ফেরা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারনে গেল পাঁচ ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি।

    রাজশাহীকে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগটা ভালোভাবে কাজে লাগাতে দেননি পেসার রুবেল হোসেন। ইনফর্ম আফিফ হোসেনকে দ্বিতীয় ওভারেই বিদায় দেন রুবেল। বোল্ড হবার আগে ৯ রান করেন তিনি।

    এরপর ইরফান শুক্কুরের সাথে ৩৭ ও পাকিস্তানের শোয়েব মালিকের সাথে ৪১ রানের দু’টি জুটি গড়ে রাজশাহীর রানের চাকা সচল রাখেন লিটন।এবারের আসরের দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি তুলে থামেন লিটন। ৪৫ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৬ রান করে রাজশাহীর জিয়াউর রহমানের বলে আউট হন লিটন।

    লিটনের পর ছোট-ছোট ইনিংস খেলেন মালিক ও অধিনায়ক ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেল। মালিক ২৪ বলে ২৮ ও রাসেল ১০ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ২০ রান করেন। কিন্তু ইনিংসের ১০ বল বাকী থাকতে প্যাভিলিয়নে ফিরেন মালিক-রাসেল-কাপালি ও বোপারা। তখন দলের স্কোর ১৪৪ রান।
    এ অবস্থায় শেষদিকে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন ফরহাদ। মাত্র ৮ বলে ২১ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন ফরহাদ। তার ইনিংসে ১টি চার ও ২টি ছক্কা ছিলো। ফলে ৮ উইকেটে ১৬৬ রানের লড়াকু পুঁিজ পায় রাজশাহী। চট্টগ্রামের রুবেল-জিয়াউর ৩টি করে উইকেট নেন।

    জয়ের জন্য ১৬৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ১২ রান পায় চট্টগ্রাম। রাজশাহীর অধিনায়ক রাসেলের ঐ ওভারে ১টি করে চার-ছক্কা মারেন ওপেনার লেন্ডন সিমন্স। তৃতীয় ওভারে রাজশাহীর স্পিনার আফিফের উপর চড়াও হন গেইল। প্রথম, তৃতীয় ও ষষ্ঠ ডেলিভারিতে ছক্কা হাঁকান তিনি। পঞ্চম বলে চারও মারেন গেইল। ফলে ঐ ওভার থেকে ২২ রান নেন গেইল। কিন্তু পঞ্চম ওভারের প্রথম বলেই আউট হন গেইল।

    রাজশাহীর পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বির ডেলিভারিটি ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন গেইল। ফলে এবারের বিপিএলে প্রথম খেলতে নেমে ১০ বলে ২৩ রান করেন তিনি। তার ইনিংসে ১টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিলো।

    দলীয় ৩৫ রানে ‘ইউনিভার্স বস’ ফিরে যাবার পর চট্টগ্রামের জয়ের ভিত গড়ে দেন সিমন্স ও ইনফর্ম ইমরুল কায়েস। ৪৯ বলে ৭৭ রানের জুটি গড়েন তারা। চলমান আসরে তৃতীয়বারের মত হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ৫১ রানে রান আউট হন সিমন্স। জয়ের জন্য এ সময় ৪৬ বলে ৫৬ রান দরকার ছিলো চট্টগ্রামের।

    এরপর ক্রিজে গিয়ে বাউন্ডারি দিয়ে রানের খাতা খুলেন মাহমুদুল্লাহ। পরের ওভারে আত্মবিশ্বাসের সাথে আরও একটি বাউন্ডারি আদায় করেন তিনি। তবে বেশিক্ষন টিকতে পারেননি। ৬ বলে ১০ রান করে ফরহাদ রেজার শিকার হয়ে অধিনায়ক বিদায় নিলেও জয় পেতে কোন সমস্যা হয়নি চট্টগ্রামের। ১৪ ওভার শেষে ম্যাচ হাতে মুঠোয় চলে আসে তাদের। কারন শেষ ৩৬ বলে ৩৭ রান দরকার পড়ে চট্টগ্রামের। দলের বাকী প্রয়োজনটুকু মিটিয়েছেন ইনফর্ম ইমরুল ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের চাঁদউইক ওয়ালটন। চতুর্থ উইকেটে ২৬ বলে ৪০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন তারা।

    ৪১ বলে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কায় অপরাজিত ৬৭ রান করেন ইমরুল। চলমান আসরে চারটি হাফ-সেঞ্চুরিতে তার রান এখন ৩৮৬। রান সংগ্রাহকের তালিকায় দ্বিতীয়স্থানে উঠে এসেছেন ইমরুল। ১১ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন ওয়ালটন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর :
    রাজশাহী রয়্যালস : ১৬৬/৮, ২০ ওভার (লিটন ৫৬, মালিক ২৮, জিয়াউর ৩/১৮)।
    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স : ১৭০/৩, ১৮.৩ ওভার (ইমরুল ৬৭*, সিমন্স ৫১, ফরহাদ ১/১৭)।

    ফল : চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৭ উইকেটে জয়ী।
    ম্যাচ সেরা : ইমরুল কায়েস(চট্টগ্রাম)।

  • সিলেটকে উড়িয়ে দিয়ে প্লে-অফে রাজশাহী

    সিলেটকে উড়িয়ে দিয়ে প্লে-অফে রাজশাহী

    বিপিএলের চলতি আসরে সিলেট পর্বের শেষ ম্যাচে সিলেটকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে রাজশাহী। এ  জয়ে প্লে-অফে খেলাও নিশ্চিত করেছে দলটি।

    এদিন আগে ব্যাট করে রাজশাহীর সামনে ১৪৪ রানের লক্ষ্য দাঁড় করে সিলেট থান্ডার। এই টার্গেট টপকাতে নেমে দলের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ৩৪ বলে ৫৯ রানের পার্টনারশিপ গড়েন দুজন।

    রাদাফোর্ডের বলে আউট হওয়ার আগে ২০ বলে ৩৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে যান লিটন। ওপেনিং পার্টনারকে হারিয়ে দলীয় অধিনায়ক শোয়েব মালিককে নিয়ে রাজশাহীর রানের চাকা সচল রাখেন আফিফ। তবে খানিক পর আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয় বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যানকে। মাত্র ৪ রানের জন্য অর্ধশতকের দেখা পাননি তিনি।

    আফিফ ৩০ বলে ৮টা চারের সাহায্যে ৪৬ রান করে রান আউট হলে মালিকও ফেরেন ২৭ রানে। শেষদিকে ইরফান শুক্কুরের ১০ ও মোহাম্মদ নেয়াওয়াজের অপরাজিত ১৭ রানের সুবাদে ২৯ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় তুলে মাঠ ছাড়ে রাজশাহী রয়্যালস।

    এই জয়ের ফলে ১০ ম্যাচে ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করার পাশাপাশি ঢাকাকে সরিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেল পদ্মা পাড়ের দলটি।

    এর আগে টসে জিতে আব্দুল মাজিদকে নিয়ে ইনিংস শুরু কর‍তে আসেন সিলেটের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক আন্দ্রে ফ্লেচার। তবে দলীয় ২৬ আর ৩৬ রানের মাথায় আউট হয়ে যান মাজিদ (১৬) এবং নতুন ব্যাটসম্যান জনসন চার্লস (৮)। এরপর মিঠুনকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজ করেন ফ্লেচার। পরে তিনিও ৩৩ বলে ২৫ রান করে রান আউট হলে হাত খুলে খেলতে শুরু করেন মিঠুন।

    তবে চলতি বিপিএলে নিজের তৃতীয় ফিফটি থেকে মাত্র ৩ রান দূরে থাকতে মিঠুনও রান আউটের ফাঁদে পড়েন। আউট হওয়ার আগে ৩৮ বলের ইনিংসটি মিঠুন সাজিয়েছেন ৩টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে। শেষদিকে রাদারফোর্ডকে ২৫ ও নাজমুল হসেন মিলনের অপরাজিত ১৩ রানের কল্যাণে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করে সিলেট থান্ডার।

    ম্যাচে রাজশাহী রয়্যালসের হয়ে ২ উইকেট নেন লেগ স্পিনার অলক কাপালি। এছাড়াও মোহাম্মদ ইরফান ও আবু জায়েদ নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    সিলেট থান্ডার: ১৪৩/ ৬ (২০ ওভার)
    মিঠুন ৪৭, ফ্লেচার ২৫, রাদারফোর্ড ২৫; কাপালি ২/১৪, ইরফান ১/১৮।

    রাজশাহী রয়্যালস: ১৪৫/৪ (১৫.১ ওভার)
    আফিফ ৪৬, লিটন ৩৬, মালিক২৭; দেলোয়ার ২/১১, রাদারফোর্ড ১/৩১।

    ফল: রাজশাহী ৬ উইকেটে জয়ী।

  • রংপুরকে হারিয়ে রাজশাহীর ‘প্রতিশোধ’

    রংপুরকে হারিয়ে রাজশাহীর ‘প্রতিশোধ’

    বিপিএলের চলতি আসরে রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে প্রথম দেখায় হেরে গিয়ে শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল রাজশাহী রয়্যালস। তবে ফিরতি লেগে রাজশাহীকে ৩০ রানে হারিয়ে ফের জয়ের ছন্দে ফিরেছে দলটি।

    বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭৯ রানের বড় পুঁজি জড়ো করে ৪ উইকেট হারানো রাজশাহী।

    দলের পক্ষে অর্ধ-শতক হাঁকান রবি বোপারা। ২৯ বলের মোকাবেলায় ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা হাঁকিয়ে। এছাড়া ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শোয়েব মালিক ৩১ বলে ৩৭, আফিফ হোসেন ধ্রুব ১৭ বলে ৩২ ও লিটন দাস ১৫ বলে ১৯ রান করেন।

    রংপুরের পক্ষে মুস্তাফিজুর রহমান দুটি এবং মোহাম্মদ নবী ও আরাফাত সানি একটি করে উইকেট শিকার করেন।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় রংপুর। অধিনায়ক শেন ওয়াটসন চাপ জয়ের বদলে সাজঘরে ফিরে যান ৯ বলে ২ রান করে। আরেক ওপেনার নাইম শেখ চাপ জয়ের চেষ্টা চালিয়েছিলেন অবশ্য, তবে ১৮ বলে ২৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনিও।

    এরপর ক্যামেরন ডেলপোর্টের ৭ বলে ১৪, টম আবেলের ২৪ বলে ২৯ ও ফজলে মাহমুদের ২৬ বলে ৩৪ রানের ইনিংস তিনটি দলের জয়ের জন্য যথেষ্ট হতে পারেনি। শেষদিকে ঝড়ো ব্যাটিং উপহার দিতে পারেননি কেউই। শেষপর্যন্ত রংপুর পরাজয় বরণ করে ৩০ রানের বড় ব্যবধানে। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৪৯ রান।

    রাজশাহীর পক্ষে শোয়েব মালিক, মোহাম্মদ নাওয়াজ ও কামরুল ইসলাম রাব্বি দুটি উইকেট শিকার করেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস: রংপুর রেঞ্জার্স

    রাজশাহী রয়্যালস ১৭৯/৪ (২০ ওভার)
    বোপারা ৫০*, মালিক ৩৭, আফিফ ৩২
    মুস্তাফিজ ৪১/২, নবী ২৬/১

    রংপুর রেঞ্জার্স ১৪৯/৭ (২০ ওভার)
    ফজলে মাহমুদ ৩৪, অ্যাবেল ২৯, নাইম ২৭
    নাওয়াজ ২১/২, মালিক ২৭/২, রাব্বি ৩২/২

    ফল: রাজশাহী রয়্যালস ৩০ রানে জয়ী।

  • রংপুরের দুর্দান্ত জয়

    রংপুরের দুর্দান্ত জয়

    বিপিএলের চলতি আসরে প্রথমবারের মত মুখোমুখি হয়েছিল উত্তরবঙ্গের দুই দল রাজশাহী রয়্যালস ও রংপুর রেঞ্জার্স। যেখানে উত্তরবঙ্গ ডার্বিতে শেষ হাসি রংপুরের। শুরুতে নাইম শেখের ফিফটির পর তসকিন আহমেদের অনবদ্য বোলিংয়ে ৪৭ রানের জয় পেয়েছে দলটি।

    এদিন আগে ব্যাট করে রাজশাহীর সামনে ১৮৩ রানের লক্ষ্য দাঁড় করে রংপুর। পাহাড়সম এই টার্গেট টপকাতে নেমেও ধীরগতির শুরু করেন রাজশাহীর দুই ওপেনার লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের সময় আফিফ যখন ৭ রান করে তাসকিনের প্রথম শিকারে পরিণত হন, তখন রয়্যালসদের দলীয় রান ১২।

    খানিক বাদে পর পর দুই বলে লিটনকে ১৭ বলে ১২ ও শোয়েব মালিককে ০ রানে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন তাসকিন। এরপর অলক কাপালিও ২৮ বলে ৩১ রান করে আউট হলে ৬৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে পদ্মা পাড়ের দলটি।

    সেখান থেকে রাজশাহীর হাল ধরার চেষ্টা করেন রবি বোপারা ও নাহিদুল ইসলাম। তবে পঞ্চম উইকেটে ২৭ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি দুজন। বোপারা ২৮ ও নাহিদুল আউট হন ১৯ রান করে। শেষদিকে আন্দ্রে রাসেল ঝড় তুললেও ৭ বলে ১৭ রান করে রান আউট হয়ে যান তিনি।

    কার্যত ওখানেই শেষ হয়ে যায় রাজশাহীর জয়ের আশা। পরে দলটির আর কোন ব্যাটসম্যান প্রতিরোধ করতে না পারলে ১৩৫ রানে থামে রাজশাহীর ইনিংস। ফলে ৪৭ রানে জয় তুলে মাঠ ছাড়ে রংপুর রেঞ্জার্স। ম্যাচে রংপুরের হয়ে একাই ৪ উইকেট পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ।

    এর আগে টসে হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে রংপুর রেঞ্জার্স। দলের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান শেন ওয়াটসন ও নাইম শেখ। উদ্বোধনী জুটিতে দুজন যোগ করেন ৩৮ রান। তবে আগের দুই ম্যাচের মত এই ম্যাচেও রান পাননি অধিনায়ক ওয়াটসন। অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান ৭ রান করে আউট হওয়ার পর ক্যামেরুন ডেলপোর্টকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৫৪ রানের জুটি গড়েন নাইম। এরই ফাকে তুল নেন চলতি বিপিএলে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি।

    ৪০ বলে অর্ধশতক পূরণ করা নাইম পরে সাজঘরে ফেরেন ৫৫ রান করে। মাঝে ডেলপোর্টের ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান। এরপর গ্রেগরির ১৭ বলে ২৮ ও মোহাম্মদ নবীর ১৬ রানের সাথে শেষদিকে আল-আমিন জুনিয়রের ১৫ এবং জহুরুল ইসলামের ৮ বলে অপরাজিত ১৯ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রানের সংগ্রহ পায় রংপুর রেঞ্জার্স। রাজশাহীর হয়ে মোহাম্মদ ইরফান ও আফিফ হোসেন নেন দুইটা করে উইকেট।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    রংপুর রেঞ্জার্স: ১৮২/৬ (২০ ওভার)
    নাইম ৫৫, ডেলপোর্ট ৩১, গ্রেগরি ২৮; ইরফান ২/৩৫, আফিফ ২/৪০।

    রাজশাহী রয়্যালস: ১৩৫/৮ (২০ ওভার)
    অলক ৩১, বোপারা ২৮, নাহিদুল ১৯; তাসকিন ৪/২৯, গ্রেগরি ২/২৮।

    ফল: রংপুর ৪৭ রানে জয়ী।

  • ওয়াহাব রিয়াজের বোলিং তোপে ঢাকার সহজ জয়

    ওয়াহাব রিয়াজের বোলিং তোপে ঢাকার সহজ জয়

    বিপিএলের চলতি আসরে আজকের ম্যাচ দিয়েই এবারের পর্ব শেষ হচ্ছে পাকিস্তানি পেসার ওয়াহাব রিয়াজের। নিজ দেশ পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার আগে রাজশাহী রয়্যালসকে রীতিমত একাই ধসিয়ে দিলেন তিনি। ওয়াহাব রিয়াজের তাণ্ডবে ৭৪ রানে জয় পেয়েছে ঢাকা প্লাটুন।

    ম্যাচে মাত্র ৮ রান খরচে ৫ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি দ্বিতীয় বোলার হিসেবে বিপিএলে ত্রিপল-উইকেট মেডেন নোওয়ার কীর্তি গড়ে দেখান ওয়াহাব রিয়াজ।

    এদিন তামিম ইকবাল ও আসিফ আলীর ফিফটিতে আগে ব্যাট করে রাজশাহীর সামনে ১৭৫ রানের লক্ষ্য দাঁড় করে ঢাকা। বিশাল এই টার্গেট টপকাতে নেমে রাজশাহীর হয়ে উড়ন্ত সূচনা করেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। মাত্র ৩ ওভারেই উদ্বোধনী জুটিতে দুজন যোগ করেন ৩৯ রান।

    এরপরই রয়্যালস শিবিরে ধ্বস নামান ওয়াহাব রিয়াজ। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে প্রথমবারের মত বল করতে এসে একে একে সাজঘরে ফেরান লিটন (১০), অলক কাপালি (০) ও শোয়েব মালিককে (০)। ফলে ৩৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকে পদ্মা পাড়ের দলটি।

    পরে ২৩ বলে ৩১ করে আফিফ ও ১১ বলে ১০ রান করে রবি বোপারা আউট হয়ে গেলে ৬৬ রানে ৫ উইকেট হারায় রাজশাহী। আন্দ্রে রাসেলকেও সুবিধা করতে দেননি পেসার হাসান মাহমুদ, বদলি উইকেটরক্ষক জাকের আলির হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়েছেন ৭ রানের মাথায়। এর ফলে বিপিএলে প্রথম উইকেটরক্ষক হিসেবে এক ম্যাচে ৫ ক্যাচ নেওয়ার নজির গড়েন জাকের। পরে আরও একটি ক্যাচ নিয়েছেন তিনি।

    এরপর রাজশাহীর আর কোন ব্যাটসম্যান প্রতিরোধ গড়তে না পারলে মাত্র ১০০ রানে থামে তাদের ইনিংস। ফলে ৭৪ রানের জয় তুলে মাঠ ছাড়ে ঢাকা প্লাটুন।

    এর আগে টসে হেরে ঢাকার হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। উদ্বোধনী জুটিতে দুজন যোগ করেন ২০ রান। যেখানে আউট হওয়ার আগে বিজয়ের অবদান ১০ রান। এরপর লুইস রিসও ৯ রান করে আউট হলে ৩৫ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বসে ঢাকা।

    তামিম আর মেহেদী হাসানের তৃতীয় উইকেট পার্টনারশিপ থেকে আসে ৩৭ রান। ১১ বলে ২১ রান করে মেহেদী সাজঘরে ফিরলে ধ্বস নামে প্লাটুন শিবিরে। আরিফুল হক (৭) ও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে (০) ফেরান ফরহাদ রেজা। ফলে ৮৪ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি।

    তবে সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করে চলতি বিপিএলে নিজের তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন তামিম। এর আগেই অবশ্য নিজ ব্যাটে ঝড় তোলেন দলের পাকিস্তানি রিক্রুট আসিফ আলী। তিনি অর্ধশতকের স্বাদ পেয়েছেন মাত্র ২৪ বলে। শেষদিকে তামিমের ৫২ বলে ৬৮ ও ২৮ বলে আসিফের অপরাজিত ৫৫ রানের সুবাদে ১৭৪ রানের পুঁজি পায় ঢাকা প্লাটুন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    ঢাকা প্লাটুন: ১৭৪/৫ (২০ ওভার)
    তামিম ৬৮*, আসিফ ৫৫*, মেহেদী ২১; ফরহাদ রেজা ২/৪৪, মালিক ১/১৩, বোপারা ১/১৭।

    রাজশাহী রয়্যালস: ১০০/১০ (১৬.৪ ওভার)
    আফিফ ৩১, নাহিদুল ১৪, লিটন ১০; ওয়াহাব রিয়াজ ৫/৮, শাদাব ১/৯।

    ফল: ঢাকা ৭৪ রানে জয়ী।

  • সৌম্য’র রানে ফেরার ম্যাচেও কুমিল্লার পরাজয়

    সৌম্য’র রানে ফেরার ম্যাচেও কুমিল্লার পরাজয়

    বিপিএলের চলতি আসরে শেষ তিন ম্যাচে সৌম্য সরকারের রান ছিল ০৫,১০,২০। তবে রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে ম্যাচে আজ (শনিবার) বড় রানের দেখা পেয়েছেন সৌম্য, বিপিএলে দীর্ঘ চার বছর পর ফিফটির স্বাদ পেয়েছেন তিনি। এমন দিনেও পরাজয়ের স্বাদ পেতে হলো কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সকে।

    ম্যাচে রাজশাহীর দেওয়া ১৯১ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য টপকাতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি কুমিল্লার। দলীয় ২৬ আর ২৯ রানের মাথায় তারা হারিয়ে বসে রবিউল ইসলাম রবি ও অধিনায়ক ডেভিড মালানের উইকেটে। যেখানে রবি ১২ ও মালানের ব্যাট থেকে আসে ৩ রান। এরপর কুমিল্লা দলের হাল ধরেন স্ট্যিয়ান ভ্যান জিল ও সৌম্য সরকার।

    ওপেনিং থেকে চার নম্বরে ব্যাট করতে এসে নিজেকে মেলে ধরেন সৌম্য। তবে অপর প্রান্তে তাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি ভ্যান জিল। ব্যক্তিগত ১৯ রানের মাথায় মালিকের বলে একবার জীবন পেলেও পরের বলেই ২১ রান করে আউট হয়েছেন তিনি।

    এরপর সাব্বির রহমানকে নিয়ে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দেন সৌম্য। তুল নেন চলতি বিপিএলে নিজের প্রথম ফিফটি। তবে আজও ব্যর্থ সাব্বির রহমান। ২৩ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। পরে ডেভিড উইজ ও সৌম্য শেষ চেষ্টা চালালেও ১৫ রানের পরাজয় দেখতে হয় কুমিল্লাকে। যেখানে মাত্র ৪৮ বলে ৮৮ রানে অপরাজিত থাকেন সৌম্য।

    এর আগে টসে হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে রাজশাহী। দলের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান লিটন দাস ও আফিফ। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৫৬ রানের সংগ্রহ দাঁড় অরে দুজন। ১৯ বলে ২৪ রান করে লিটন সানজামুলের বলে আউট হলে ভাঙে তাদের পার্টনারশিপ। এরপর দলীয় দশম ওভারে রাজশাহী শিবিরে আঘাত হানেন সৌম্য সরকার। আফিফকে ফেরান ৪৩ রানের মাথায়। ৩০ বলের ইনিংসটি আফিফ সাজিয়েছেন ৬টা চার ও ১টা ছয়ের মারে।

    খানিক বাদে রবি বোপারাও ১০ রান করে আউট হলে ১০৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে পদ্মা পাড়ের দলটি। সেখান থেকে নতুন ব্যাটসম্যান আন্দ্রে রাসেলকে নিয়ে দলীয় স্কোর বড় করার কাজ চালিয়ে যান মালিক। মাঝে তুল নেন চলতি বিপিএলে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি। কম যাননি রাসেলও, ৪ ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২১ বলে ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। শেষদিকে শোয়েব মালিকের ৩৮ বলে ৬১ রানের সুবাদে নির্ধারিত ওভার শেষে ১৯০ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করে রাজশাহী রয়্যালস।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    রাজশাহী রয়্যালস: ১৯০/৪ (২০ ওভার)
    মালিক ৬১, আফিফ ৪৩, রাসেল ৩৭*; সৌম্য ১/১৮, সানজামুল ১/২০।

    কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ১৭৫/৪ (২০ ওভার)
    সৌম্য ৮৮*, সাব্বির ২৫, ভ্যান জিল ২১; মালিক ১/১৯, ইরফান ১/২৪।

    ফল: রাজশাহী ১৫ রানে জয়ী।