Tag: রাজশাহী রয়্যালস

  • মুশফিকের ব্যাটে রাজশাহীর দুর্দান্ত জয়

    মুশফিকের ব্যাটে রাজশাহীর দুর্দান্ত জয়

    চলতি বিপিএলে ঢাকা প্লাটুনকে টপকে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে দলগতভাবে সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহ পায় রাজশাহী রয়্যালস। তবে সেটা পর্যাপ্ত হলো না জয়ের জন্য। মুশফিকুর রহিমের ৯৬ রানের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে খুলনা। এতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেল দলটি।

    ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে খুলনার সামনে ১৯০ রানের লক্ষ্যে ছুঁড়ে দেয় রাজশাহী। পাহাড়সম এই রান টপকাতে নেমে শুরুতেই খালি হাতে ফিরে যান ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। খানিক বাদে একই পথের সারথি হন আগের ম্যাচে ফিফটি হাঁকানো রহমতউল্লাহ গুরবাজ। এরপর রুশোকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজ করেন অধিনায়ক মুশফিক। তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুজন যোগ করেন ৭২ রান। ৪২ রানে থাকা রুশোকে ফিরিয়ে এই পার্টনারশিপ ভাঙেন রাব্বি।

    সেখান থেকে শামসুর রহমানকে নিয়ে বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তোলেন মুশফিক। মাঝে মাত্র ৩০ বলে তুলে নেন নিজের অর্ধশতক। পরে শামসুর ২৯ রানে বিদায় নিলেও জয় পেতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি খুলনাকে। শেষদিকে মুশফিকের ৯৬ রানের কল্যাণে ৫ উইকেটের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে খুলনা টাইগার্স। ৫১ বলের ইনিংসটি মুশফিক সাজিয়েছেন ৯টা চার ও ৪টা ছয়ের সাহায্যে।

    এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে রাজশাহী। দলের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন লিটন দাস ও হযরতউল্লাহ জাজাই। তবে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি এই দুই ব্যাটসম্যান। দলীয় ২৬ রানের মাথায় সাজঘরের পথ ধরেন তারা। এরপর আফিফ হোসেনও ১৯ রান করে আউট হলে রাজশাহীর হয়ে দলের হাল ধরেন শোয়েব মালিক এবং রবি বোপারা। এরই এক ফাঁকে মাত্র ৩৫ বলে নিজের অর্ধশতকটা তুলে নেন মালিক। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এটি মালিকের ৫৫তম ফিফটি।

    পঞ্চাশ রানের কোটা পার করার পর আরো বেশি আগ্রাসী হয়ে যান পাকিস্তানি এই ক্রিকেটার। লেগ স্পিনার বিপ্লবের করা দলীয় ১৬তম ওভারেই ৩টা ছক্কা হাঁকান তিনি। তবে ইনিংসের শেষে দিকে এসে খানিক আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মালিককে। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১৩ রান দূরে থাকতে আমিরের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। ৫০ বলে মালিকের ৮৭ রানের সাথে ২৬ বলে বোপারার অপরাজিত ৪০ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৮৯ রানের সংগ্রহ পায় রাজশাহী রয়্যালস।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    রাজশাহী রয়্যালস: ১৮৯/৪ (২০ ওভার)
    মালিক ৮৭, বোপারা ৪০*, লিটন ১৯; আমির ২/৩৬, ফ্রাইলিঙ্ক ১/২৯ শহিদুল ১/৩৫।

    খুলনা টাইগার্স: ১৯২/৫ (১৯.৪ ওভার)
    মুশফিক ৯৬, রুশো ২৯, শামসুর ২৯; রাসেল ২/৪১, রাব্বি ১/১৮।

    ফলাফল: খুলনা ৫ উইকেটে জয়ী।

  • টস জিতে রাজশাহীর বিরুদ্ধে বোলিংয়ে খুলনা

    টস জিতে রাজশাহীর বিরুদ্ধে বোলিংয়ে খুলনা

    বঙ্গবন্ধু বিপিএলের দ্বিতীয় পর্বের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে খুলনা টাইগার্স৷ ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর দেড়টায়।

    ঢাকা পর্বে সেরা ফর্মে ছিল দুদলই। রাজশাহী তাদের দুই ম্যাচের একটিতে ৮ উইকেটে ও আরেকটিতে ৯ উইকেটে তাই নিজেদের দুর্দান্ত এই ফর্ম কাজে লাগিয়ে আজকেও জয় তুলে নিতে চাইবে তারা।

    অন্যদিকে ঢাকা পর্বে মাত্র একটি ম্যাচ খেলেই ৮ উইকেটের বর জয় তুলে নিয়েছে খুলনা তাদের ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবারের বিপিএলের দ্রুততম ফিফটির মালিক অন্যদিকে রাইলো রুশোও রয়েছেন দুর্দান্ত ফর্মে। সুতরাং, বলাই যায় দুর্দান্ত একটি ম্যাচ দেখার অপেক্ষায় আছে চট্টগ্রামবাসী

  • রাজশাহীর টানা দ্বিতীয় দুর্দান্ত জয়

    রাজশাহীর টানা দ্বিতীয় দুর্দান্ত জয়

    চলতি বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৯ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নিয়েছিলো রাজশাহী রয়্যালস। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচেও আজ (শুক্রবার) কম গেল না দলটি। সিলেট থান্ডারকে হারিয়েছে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। যেখানে লিটন দাসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ম্যাচ শেষ করতে মাত্র ৪৮ মিনিট সময় নিয়েছে রাজশাহী!

    ৯২ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরতেই বিপাকে পড়ে সিলেট। ইনিংসের প্রথম ওভারে কোনো রান না দিয়ে হযরতউল্লাহ জাজাইয়ের উইকেট তুলে নেন নাঈম হাসান। পরের ওভারে উইকেটের দেখা না পেলেও মাত্র দুই রান খরচ করেন এবাদত। তবে দলের এমন হতশ্রী অবস্থা খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি লিটন ও আফিফ হোসেন। পরের ৪ ওভারে তুলে নিয়েছেন ৫৩ রান।

    এরপর ৬২ রানের পার্টনারশিপের মাথায় আফিফ ৩০ রান করে বিদায় নিলেও খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি রাজশাহীকে। লিটনের অপরাজিত ৪৪ রানের সুবাদে ৮ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দলটি। যেখানে ২৬ বলে ৪৪ রানের ইনিংসটি সাজাতে লিটন চার মেরেছেন ৭ টি।

    এর আগে টসে হেরে নিজেদের ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন রাজশাহীর দুই ব্যাটসম্যান রনি তালুকদার ও জনসন চার্লস। উদ্বোধনী জুটিতে ৩৫ রান যোগ করেন দুজন। ১৯ রানে থাকা রনিকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙ্গেন রাজশাহীর অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল। খানিক পর চার্লসকে ফেরান অলক কাপালি। পরের বলেই কাপালির দ্বিতীয় শিকার জীবন মেন্ডিস। ফলে ৪১ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে সিলেট।

    এরপর মোহাম্মদ মিঠুন ও মোসাদ্দেক হোসেন দলের হাল ধরলেও তা টেনে নিয়ে যেতে পারেননি বেশিক্ষণ। মিঠুনকে ২০ রানে ফিরিয়ে ৩১ রানির পার্টনারশিপ ভাঙ্গেন রবি বোপারা। এরপর ১০ রানের ব্যবধানে শেষ ৫ ব্যাটসম্যান আউট হলে ১৫ ওভার ৩ বলেই মাত্র ৯১ রানে গুটিয়ে যায় সিলেট। রাজশাহী হয়ে কাপালি নেন ৩ উইকেট।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    সিলেট থান্ডার: ৯১/১০ (১৫.৩ ওভার) মিঠুন ২০, মোসাদ্দেক ২০, রনি ১৯; কাপালি ৩/১৭, ফরহাদ রেজা ২/৯, বোপারা ২/১০

    রাজশাহী রয়্যালস: ৯২/২ (১০.৫ ওভার) লিটন ৪৪*, আফিফ ৩০, মালিক ১২; নাঈম ১/১৬

    ফলাফল: রাজশাহী ৮ উইকেটে জয়ী।

  • ঢাকার বিপক্ষে রাজশাহীর বড় জয়

    ঢাকার বিপক্ষে রাজশাহীর বড় জয়

    এবারের বঙ্গবন্ধু বিপিএলে বেশ শক্ত দল গড়েছে ঢাকা প্লাটুন। মাশরাফি বিন মুর্তজা, তামিম ইকবালদের পাশাপাশি শহীদ আফ্রিদি, থিসারা পেরেরা, লরি ইভান্সের মত বিদেশি নিয়েও হতশ্রী শুরু ঢাকার। লিটন দাস, হযরতউল্লাহ জাজাইদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ঢাকাকে হেসেখেলে হারালো রাজশাহী রয়্যালস। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৯ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে রাজশাহী।

    এদিন ঢাকার দেওয়া ১৩৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই হাত খুলে খেলেন লিটন। জাজাইকে সাথে নিয়ে ইনিংস শুরু করতে এসে প্রথম ওভার থেকেই ঢাকার বোলারদের উপর চড়াও হন তিনি। সাথে যোগ্য সঙ্গ দেন জাজাইও। উদ্বোধনী জুটিতে দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৬২ রান। যেখানে ৩৯ রান করে আউট হন লিটন।

    পরে জাজাইয়ের সাথে জুটি বাঁধেন শোয়েব মালিক। দেখেশুনে খেলতে থাকেন এই দুজন। মাঝে নিজের অর্ধশতকটা তুলে নেন জাজাই। আর কোনো বিপদ হতে না দিয়ে দলকে নিয়ে যান জয়ের দ্বারপ্রান্তে। পরবর্তীতে ১০ বল ও ৯ উইকেটের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রাজশাহী রয়্যালস। যেখানে জাজাই ৫৬ ও মালিক অপরাজিত থাকেন ৩৬ রান নিয়ে।

    এর আগে টসে হেরে ব্যাট কর‍তে নামে ঢাকা প্লাটুন। দলের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান তামিম ও এনামুল হক বিজয়। তবে শুরুটা একেবারেই সুখকর হয়নি ঢাকার। দলীয় ১৫ রানের মাথায় তামিম আউট হয়ে যান ৫ রান করে। খানিক বাদে ব্যক্তিগত ১৩ রান করে একই পথের অনুসারী হন ইভান্স।

    এরপর জাকের আলীকে নিয়ে ঢাকার হাল ধরেন বিজয়। তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুজন যোগ করেন ৩৯ রান। ইনিংসের ১২ তম ওভারে জাকের রান আউটে কাটা পড়লে ভাঙে এই পার্টনারশিপ। পরে পেরেরা, আফ্রিদিরা ব্যর্থ হলে শেষদিকে দলের রান বাড়ানোর চেষ্টা করেন ওয়াহাব রিয়াজ ও অধিনায়ক মাশরাফি।

    ওয়াহাবের ১৯ ও মাশরাফি অপরাজিত ১৮ রানের সুবাদে ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১৩৪ রানের সংগ্রহ পায় ঢাকা প্লাটুন। রাজশাহীর হয়ে রাহী ২ এবং তাইজুল, কাপালি, ফরহাদ রেজা ও বোপারা প্রত্যেকে নেন একটি করে উইকেট।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    ঢাকা প্লাটুন: ১৩৪/৯ (২০ ওভার)
    বিজয় ৩৮, জাকের ২১, ওয়াহাব ১৯; আবু জায়েদ ২/৪৩, ফরহাদ রেজা ১/১৪, বোপারা ১/১৫।

    রাজশাহী রয়্যালস: ১৩৬/১ (১৮.২ ওভার)
    জাজাই ৫৬*, লিটন ৩৯, মালিক ৩৬*; মেহেদী ১/২৩।

    ফলাফল: রাজশাহী ৯ উইকেটে জয়ী।