Tag: রাজশাহী

  • রাজশাহী মেডিকেলের করোনা ইউনিটে আরও ৫ জনের মৃত্যু

    রাজশাহী মেডিকেলের করোনা ইউনিটে আরও ৫ জনের মৃত্যু

    রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দুজন করোনা পজিটিভ ছিলেন এবং তিন জন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    হাসপাতাল পরিচালক জানান, মৃত পাঁচ জনের মধ্যে রাজশাহীর তিন জন, নওগাঁর এক জন ও নাটোরের এক জন রয়েছেন।

    এদিকে, রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ১৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে করোনা বিশেষায়িত ২৪০ শয্যার বিপরীতে ১১৩ জন রোগী ভর্তি রয়েছে।

    এন-কে

  • রাজশাহী মেডিকেলের করোনা ইউনিটে ৭ জনের মৃত্যু

    রাজশাহী মেডিকেলের করোনা ইউনিটে ৭ জনের মৃত্যু

    রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার মধ্যে তাঁদের মৃত্যু হয়।

    রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, মৃতদের এক জন করোনা পজিটিভ ছিলেন। অন্যরা মারা গেছেন উপসর্গ নিয়ে। মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর তিন জন, নাটোরের এক জন, নওগাঁর দুজন এবং পাবনার এক জন।

    বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেকের করোনা ইউনিটে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ১২০ জন। এ নিয়ে হাসপাতালের ২৪০টি করোনা ডেডিকেটেড শয্যার বিপরীতে মোট রোগী ভর্তি আছেন ১২২ জন।

    এন-কে

  • রাজশাহীতে চলতি বছরের সর্বোনিম্ন শনাক্ত

    রাজশাহীতে চলতি বছরের সর্বোনিম্ন শনাক্ত

    রাজশাহীতে মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার একের ঘরে নেমে এসেছে। মঙ্গলবার ২৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় মাত্র ৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। যা আগের দিনের চেয়ে ৬ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ কমে করোনা শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৪১ শতাংশে। যা চলতি বছরে সর্বোনিম্ন। এদিকে, রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে উপসর্গ নিয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

    বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় তাদের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী।

    তিনি জানান, মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর একজন, নাটোরের একজন ও নওগাঁর একজন। এদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও দুজন নারী। যাদের মধ্যে দুজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ এবং দুজনের ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে।

    শামীম ইয়াজদানী আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে নতুন রোগি ভর্তি হয়েছেন ১৩ জন। একই সময় সুস্থ্য হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২২ জন। বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত করোনা ইউনিটে রোগী ভর্তি আছেন ১২১ জন। যাদের মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ১১ জন।

    করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগিদের মধ্যে ৪০ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত। উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন ৪৮ জন; যাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া করোনা নেগেটিভ হয়েও পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলতায় চিকিৎসাধীন ৩৩ জন।

    রামেক পরিচালক জানান, মঙ্গলবার দুটি ল্যাবে রাজশাহী জেলার ২৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। যা আগের দিনের চেয়ে ৬ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ কমে সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৪১ শতাংশে। যা আগের দিন সোমবার ছিল ৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এর আগে গত রোববার শনাক্তের হার ছিল ৮ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।

    এন-কে

  • রাজশাহী ও কুষ্টিয়ায় করোনায় ও উপসর্গে আরও ১২ জনের মৃত্যু

    রাজশাহী ও কুষ্টিয়ায় করোনায় ও উপসর্গে আরও ১২ জনের মৃত্যু

    রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিট ও কুষ্টিয়ার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহীতে ছয় ও কুষ্টিয়ায় অপর ছয় জনের মৃত্যু হয়। রাজশাহীতে মৃত ছয় জনের মধ্যে তিন জন করোনা পজিটিভ ও দুজন উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ছাড়া কুষ্টিয়ায় মৃত ছয় জনের মধ্যে তিন জন করোনা পজিটিভ ছিলেন। অপর তিন জন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।

    রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানিয়েছেন, হাসপাতালটির করোনা ইউনিটে মারা যাওয়া ছয় জনের মধ্যে রাজশাহীর তিন জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক জন, কুষ্টিয়ার এক জন ও পাবনার এক জন রয়েছেন।

    এদিকে, রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ২২ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে করোনা বিশেষায়িত ২৪০টি শয্যার বিপরীতে ১৩৩ জন রোগী ভর্তি রয়েছে।

    অন্যদিকে, কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. আশরাফুল আলম জানান, হাসপাতালটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ও উপসর্গে ছয় রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ২৫০টি নমুনা পরীক্ষায় ৩৭ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে ৩২ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী এবং ২২ জন উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছে।

    এন-কে

  • রাজশাহী মেডিকেলের করোনা ইউনিটে আরও ৯ জনের মৃত্যু

    রাজশাহী মেডিকেলের করোনা ইউনিটে আরও ৯ জনের মৃত্যু

    রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় নয় জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ জন করোনা পজিটিভ ছিলেন এবং তিন জন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। এ ছাড়া করোনা পরবর্তী জটিলতায় মৃত্যু হয়েছে অপর একজনের। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    হাসপাতাল পরিচালক জানান, মৃত নয় জনের মধ্যে নাটোরের দুজন, পাবনার দুজন এবং রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুরের একজন করে মারা গেছেন।

    এদিকে, রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ৩৭ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে করোনা বিশেষায়িত ৫১৩ শয্যার বিপরীতে ৩৪২ জন রোগী ভর্তি রয়েছে।

    এন-কে

  • রাজশাহীতে দেড় মাসের শিশুর করোনা

    রাজশাহীতে দেড় মাসের শিশুর করোনা

    এবার রাজশাহীতে ৪৫ দিনের একটি শিশু করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।

    রোববার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ফল হাতে পেয়েছেন।

    এর আগে তীব্র শ্বাসকষ্ট ও খিঁচুনি নিয়ে শনিবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর পরই তার নমুনা নেওয়া হয়। রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার ফলে শিশুটির করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। রাতেই বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হয়।

    ৪৫ দিনের আক্রান্ত কন্যাশিশুটির নাম আফরিন রহমান। তার বাবার নাম আরিফুর রহমান। মায়ের নাম মাহবুবা খাতুন। নগরীর বনগ্রাম এলাকার বাসিন্দা পরিবারটি।

    রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, পজিটিভ শনাক্তের পর শিশু আফরিনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৬নং ওয়ার্ডে (করোনা ওয়ার্ড) ভর্তি করা হয়েছে। শিশুদের জন্য করোনার নির্ধারিত ওষুধপত্র দেওয়া শুরু হয়েছে। ১৬নং করোনা ওয়ার্ডে বেড খালি না থাকায় শিশুটিকে মেঝেতে রেখেই আপাতত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

    সূত্রে আরও জানা গেছে, কয়েক মাস আড়ে তিন মাসের আরেকটি শিশুর করোনা পজিটিভ হয়েছিল রাজশাহী মেডিকেলে। সাত দিন হাসপাতালে চিকিৎসার পর ওই শিশুটি সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে যায়। শিশু আরফিনেরও পরিস্থিতি উন্নতির দিকে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

    রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, শিশুটির বাবা কয়েক দিন আগেই পজিটিভ হন। তিনি বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন। এরই মধ্যে শিশুটি ঘুমাচ্ছিল না। অনবরত কান্নাকাটি করছিল। মা মাহবুবা খাতুন মেয়েকে নিয়ে রাজশাহীর বিভিন্ন হাসপাতালে ছোটাছুটি করেন গত কয়েক দিন।

    এরই মধ্যে নগরীর রেলগেটে অস্থায়ী ক্যাম্পে এন্টিজেন টেস্ট করান। এতে শিশু আফরিনের পজিটিভ আসে। তার পরও বাড়িতে রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধপত্র খাওয়াচ্ছিলেন। কিন্তু শনিবার শিশুটির শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে রামেক হাসপাতালে আনা হয়। শিশুটিকে ১৬নং করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে শিশুদের জন্য পৃথক করোনা ওয়ার্ড না থাকায় করোনার জেনারেল ওয়ার্ডেই শিশুটিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ভর্তির পর শিশুটির শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে।

    শিশুটির মা মাহবুবা খাতুন ফোনে জানান, শিশুর বাবা ও শিশুর করোনা পজিটিভ হওয়ায় তিনিও হয়তো পজিটিভ হয়েছেন বলে আশঙ্কা তার। এখনও পরীক্ষা করাননি। তবে তার শরীরে করোনার কোনো উপসর্গ নেই। শিশুকে নিয়ে তিনি এখন হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে রয়েছেন।

    মা মাহবুবা খাতুন বলেন, তিনি নিজেকে নিয়ে চিন্তিত নন। সন্তানকে সুস্থ করে তুলতে তিনি করোনা ওয়ার্ডে শিশুর সঙ্গে থাকছেন।

    রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী আরও বলেন, এ বয়সের শিশুর করোনাক্রান্তের ঘটনা এটি প্রথম নয়। কয়েক মাস আগে তিন মাসের এক শিশুর করোনা পজিটিভ হয়েছিল। হাসপাতালে চিকিৎসার নেওয়ার পর ওই শিশুটি সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে যায়।

  • রাজশাহীকে হারিয়ে শীর্ষে থেকেই লিগ পর্ব শেষ করল চট্টগ্রাম

    রাজশাহীকে হারিয়ে শীর্ষে থেকেই লিগ পর্ব শেষ করল চট্টগ্রাম

    বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে জয় দিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করলো গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। নিজেদের শেষ ম্যাচে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীকে ৩৬ রানে হারিয়েছে দলটি।

    প্লে-অফে যাওয়ার দৌড়ে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচ জিততেই হতো মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীকে। তবে চট্টগ্রামের কাছে হারলেও প্লে-অফে যাওয়ার দৌড় থেকে এখনো ছিটকে যায়নি রাজশাহী। শনিবার মিরপুরে চট্টগ্রামের দেওয়া ১৭৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় রাজশাহী।

    দলীয় ১০ রানে নাহিদুল ইসলামের বলে ‘ডাউন দ্য উইকেটে’ মারতে এসে স্ট্যাম্পিং হন পুরো টুর্নামেন্টে রাজশাহীর হয়ে দুর্দান্ত খেলা আনিসুল ইসলাম। এই ম্যাচে রান পাননি আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা এবং রাজশাহীর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। মাত্র ১১ রান করে নাহিদুলের বলে আউট হন তিনি। দলের অধিনায়কের বিদায়ের পর দলীয় ১০ রান যোগ করতেই সাজঘরে ফিরেন রনি তালুকদার (১৬)।

    চট্টগ্রামকে তৃতীয় উইকেটও এনে দেন নাহিদুল। ৩৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে রাজশাহী। দ্রুত উইকেট তুলে নিয়ে ক্রিজে থাকা দুই ব্যাটসম্যান- ফজলে মাহমুদ এবং নুরুল হাসানকে চেপে ধরে চট্টগ্রামের বোলাররা। সেই সাথে কমে রাজশাহীর রান তোলার গতিও। দুই ব্যাটসম্যান মিলে গড়েন ৩৬ রানের জুটি।

    নুরুল-ফজলের জুটি ভাঙেন রাকিবুল। এই বাঁহাতি স্পিনারের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলেও উইকেটকিপার লিটনের পরামর্শে রিভিউ নেন মিঠুন। ফলে ২০ বলে ১৯ রান করেই সাজঘরে ফিরেন ফজলে। দ্রুত সাজঘরে ফিরে যান সাইফউদ্দিন। তার বিদায়ের পর রাজশাহীর পরাজয় ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রান জড়ো করে শান্তর দল। ৩ উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন নাহিদুল ইসলাম।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস : মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী

    গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম : ১৭৫/৪ (২০ ওভার)
    সৌম্য ৬৩, লিটন ৫৫, শামসুর ৩০*
    আনিসুল ২১/২, সাইফউদ্দিন ৩২/১

    মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী : ১৩৯/৮ (২০ ওভার)
    সোহান ২৮, মেহেদী ২৬, ফজলে ১৯
    নাহিদুল ১৯/৩, জিয়া ১৭/২

    ফল : গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ৩৬ রানে জয়ী।

  • রেকর্ডময় খেলায় রাজশাহীকে হারাল বরিশাল

    রেকর্ডময় খেলায় রাজশাহীকে হারাল বরিশাল

    রান বন্যা ও রেকর্ডময় এক ম্যাচ দেখলো বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। নাজমুল হোসেন শান্তর ঝড়ো সেঞ্চুরিতে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী আগে ব্যাটিং করে সংগ্রহ করে টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ ২২০ রান। পারভেজ হোসেন ইমনের সেঞ্চুরিতে ম্যাচটি ৮ উইকেটে নিজেদের করে নিয়েছে ফরচুন বরিশাল। এই ম্যাচে হ্যাটট্রিকও করেছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি।

    বরিশালের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে রাজশাহী। উত্তরবঙ্গের দলটির পক্ষে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন নাজমুল হাসান শান্ত ও আনিসুল ইসলাম ইমন। টুর্নামেন্টে পাওয়ারপ্লেতে সর্বোচ্চ ৬৪ রানের রেকর্ড গড়েন এই দুইজন। তবে সে রেকর্ড পরের ইনিংসেই ভেঙে দেয় বরিশাল।

    উদ্বোধনী জুটিতে ১৩১ রান তোলেন ইমন ও শান্ত। ৩৯ বলে ৬৯ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলে বিদায় নেন ইমন। সুমন খানের শিকার হওয়ার আগে এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান হাঁকান ৭টি চার ও ৩টি ছক্কা। তার স্ট্রাইকরেট ছিল ১৭৬.৯২!

    রনি তালুকদার ১২ বলে ১৮ রান করে সুমনের এক উড়ন্ত ফিরতি ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন। পরের বলেই রান আউট হয়ে ফেরেন শেখ মেহেদী হাসান। তবে তাতে রাজশাহীর রান তোলায় মোটেও ভাটা পড়েনি। বরং সময়ের সাথে রান তোলার গতি বাড়িয়েছেন শান্ত।

    একপ্রান্ত আগলে রেখে সেঞ্চুরি তুলে নেন রাজশাহীর অধিনায়ক। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে এটিই প্রথম সেঞ্চুরি। ৫২ বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন শান্ত। চলতি বছরে ও টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারেই এটা তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। বছরের শুরুতে জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন তিনি।

    শান্তর ১০৯ রানের টর্নেডো ইনিংস শেষ হয় কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে তামিমের তালুবন্দী হয়ে। তার ৫৫ বলের ইনিংসে মোট ৪টি চার ও ১১টি ছক্কা ছিল।

    শেষ ওভারে নুরুল হাসান সোহান, শান্ত ও ফরহাদ রেজার টানা উইকেটে হ্যাটট্রিকের দেখা পান কামরুল ইসলাম রাব্বি। চতুর্থ বাংলাদেশি বোলার হিসাবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে হ্যাটট্রিকের রেকর্ড গড়লেন এই পেসার। এক বল পরের মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের উইকেটসহ শেষ ওভারে মোট ৪টি উইকেট পান তিনি।

    নির্ধারিত ২০ ওভারে রাজশাহী পায় ২২০ রানের সংগ্রহ। যা টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।

    বরিশালও উড়ন্ত শুরু পায় সাইফ হাসান ও তামিম ইকবালের ব্যাটে। পাওয়ারপ্লেতে আগের ইনিংসের রেকর্ড ভেঙে ৬৭ রান সংগ্রহ করে বরিশাল। উড়ন্ত সূচনা এনে দেওয়া সাইফ হাসান ২টি করে চার ও ছক্কায় ১৫ বলে ২৭ রান করে সাইফউদ্দিনের শিকারে পরিণত হন। তারপরে বরিশালকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন।

    ৩৪ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম। অপরপ্রান্তে ২৫ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন পারভেজ। অর্ধশতক পূর্ণ করার পরে ইমনের রান তোলার গতি আরও বৃদ্ধি পায়। তবে রান আউট হয়ে যান তামিম। ৩৭ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় ৫৩ রান করেন তিনি। ইমন ও তামিমের জুটি হয়েছিল ৫৩ বলে ১১৭ রানের।

    তামিম ফেরার পরে আফিফ হোসেন ধ্রুবকে সাথে নিয়ে বাকি কাজটা সম্পূর্ণ করেন পারভেজ। মাত্র ৪২ বলে সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি, যা বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্রুততম। পারভেজের ম্যাচজয়ী ইনিংসটিতে ছিল ৯টি চার ও ৭টি ছক্কা। আফিফ অপরাজিত থাকেন ১৬ বলে ২৬ রানে।

    ১১ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের বড় জয় পায় বরিশাল। এই হারে টানা ৫টি ম্যাচ হারলো রাজশাহী। অপরদিকে টানা তিন ম্যাচ হারের পরে জয় পেল বরিশাল।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী ২২০/৭ (২০ ওভার)
    শান্ত ১০৯, ইমন ৬৯;
    রাব্বি ৪/৪৩, সুমন ২/৪৩।

    ফরচুন বরিশাল ২২১/২ (১৮.১ ওভার)
    পারভেজ ১০০*, তামিম ৫৩,
    সাইফ ১/৪০।

    ফরচুন বরিশাল ৮ উইকেটে জয়ী।

  • শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে শেষ হাসি চট্টগ্রামের

    শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে শেষ হাসি চট্টগ্রামের

    পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দলের লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসলো গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের দেওয়া রানের ১৭৬ রানের জবাবে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী থামে ১৭৫ রানে। এক রানের জয়ে টুর্নামেন্টে অপরাজিত থাকলো চট্টগ্রাম।

    বড় লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে রাজশাহীর দারুণ শুরু এনে দেন আনিসুল ইসলাম ইমন ও নাজমুল হোসেন শান্ত। পাওয়ারপ্লেতে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ৫৬ রান এনে দেয় এই জুটি। এর আগের সর্বোচ্চ ৫৪ রান এই ম্যাচেই করে চট্টগ্রাম। শান্তকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজুর রহমান। রাজশাহীর অধিনায়ক করেন ১৪ বলে ২৫ রান। তার ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ২টি ছক্কা।

    ১২ ওভারে রাজশাহীর তিন অঙ্ক পূর্ণ হয়। মোহাম্মদ আশরাফুলের সাথে দ্বিতীয় উইকেটে ৪৪ রানে জুটি গড়েন ইমন। আশরাফুল করেন ১৯ বলে ২০ রান। আউট হওয়ার আগে একবার জীবন পান আশরাফুল এবং ওভার থ্রোয়ের কারণে সেই বলে ৬ রান পান তিনি। এক ওভার পরেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে থাকা ইমনকে বোল্ড করেন জিয়াউর রহমান। এই ২৩ বছর বয়সী অলরাউন্ডার করেন ৪৪ বলে ৫৮ রান। তার ইনিংস ছিল ৬টি চার ও ১টি ছক্কার মাধ্যমে গড়া।

    টানা দুই বলে ফিরে যান শেখ মেহেদী হাসান ও ফজলে মাহমুদ রাব্বি। উইকেট দুইটি নেন যথাক্রমে মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম। মেহেদী করেন ১৭ বলে ২৫ রান এবং রাব্বি করেন ৯ বলে ১১ রান। তারপরেও রাজশাহীকে ম্যাচে ধরে রাখেন নুরুল হাসান সোহান। রানের চাকা সচল রেখে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন সোহান ও ফরহাদ রেজা।

    শরিফুলের টানা দুই বলে ছক্কা ও চার হাঁকানোর পরের বলেই ক্যাচ আউট হয়ে যান ফরহাদ। জয়ের জন্য শেষ ওভারে রাজশাহীর প্রয়োজন ছিল ১৪ রান। তবে তারা সংগ্রহ করতে পারে ১২ রান। ফলে ১ রানে হার মানে রাজশাহী।

    তার আগে চট্টগ্রামের পক্ষে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন সৌম্য সরকার ও লিটন দাস। তাদের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৬২ রান। অষ্টম ওভারে এই জুটি ভাঙেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। আনিসুল ইসলাম ইমনের তালুবন্দী হয়ে ফিরে যান সৌম্য। ২ ছক্কা ও ৪ চারে ২৯ বলে ৩৪ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

    চট্টগ্রামের অধিনায়ক মিঠুন ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন। ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ইমনের বলে বোল্ড হন মিঠুন। একপ্রান্তে অবিচল থেকে অর্ধশতক তুলে নেন লিটন দাস। টুর্নামেন্টে নিজের দ্বিতীয় অর্ধশতক স্পর্শ করেন ৩৫ বলে। মিঠুনের বিদায়ের পরে শামসুর রহমান শুভও ফিরে যান ১ রান করেই। ফরহাদ রেজার বলে বোল্ড হন তিনি।

    চতুর্থ উইকেটে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নিয়ে জুটি গড়েন লিটন। জীবন পেয়ে সেটা কাজে লাগান মোসাদ্দেক। এই ব্যাটসম্যান রানের চাকা সচল রাখলে চট্টগ্রাম এগিয়ে চলে বড় সংগ্রহের দিকে। দুইজনে শেষ ৫ ওভারে তোলেন ৬১ রান।

    লিটন অপরাজিত থাকেন ৭৮ রানে। তিনি খেলেন ৫৩টি বল। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ১টি ছক্কা ও ৯টি চারে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এটিই লিটনের সর্বোচ্চ ইনিংস। আগে সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৭৫ রানের। মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকে আসে ৪২ রান। তার ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ২টি ছক্কা। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে চট্টগ্রাম সংগ্রহ করে ১৭৬ রান। রাজশাহীর পক্ষে ৩টি উইকেট শিকার করেন মুগ্ধ। একটি করে উইকেট পান ফরহাদ ও ইমন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ১৭৬/৫ (২০ ওভার)
    লিটন ৭৮*, মোসাদ্দেক ৪২, সৌম্য ৩৪;
    মুগ্ধ ৩/৩০।

    মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী ১৭৫/৭ (২০ ওভার)
    ইমন ৫৮, শান্ত ২৪, আশরাফুল ২০;
    মুস্তাফিজ৩/৩৭, শরিফুল ২/৪১

  • খুলনাকে হারিয়ে রাজশাহীর টানা দ্বিতীয় জয়

    খুলনাকে হারিয়ে রাজশাহীর টানা দ্বিতীয় জয়

    বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লেন মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। দলের জয়ে ব্যাট হাতে বড় অবদান রাখেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

    টস জিতে আগে ব্যাটিং করে রাজশাহীকে ১৪৭ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় জেমকন খুলনা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করেন দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত এবং আনিসুল। আগের ম্যাচে দারুণ পারফর্ম করা আনিসুল এই ম্যাচে বড় স্কোর করতে পারেননি। মাত্র দুই রান করেই আল-আমিনের বলে আউট হন তিনি।

    দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে অবশ্য ঘুরে দাঁড়ায় রাজশাহী। দলের অধিনায়ক শান্তর দারুণ শুরুর পর আগ্রাসী ব্যাটিং করেন রনি তালুকদারও। এই দুই ব্যাটসম্যান মিলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তোলেন ৪৭ রান। ব্যক্তিগত ২৬ রান করা রনিকে সাজঘরে ফেরান রিশাদ। রনির বিদায়ের পরেই ফিফটি তুলে নেন শান্ত। তবে ইনিংস আরও লম্বা করতে পারেননি এই ব্যাটসম্যান।

    ৩৪ বলে ৫৫ রান করে রিশাদের এল্বিডব্লিউর শিকার হন তিনি। পরবর্তীতে দলের জয়ের কাজটা সহজ করেন দেন ফজলে মাহমুদ। আশরাফুল ক্রিজে থাকলেও কিছুটা ধীর গতিতে খেলেন তিনি। তবে অন্যপাশে বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন ফজলে। ফজলে-আশরাফুলের ৩৩ রানের জুটি ভাঙেন শহিদুল।

    ১৬ বলে ২৪ রান করা ফজলেকে বোল্ড আউট করেন শহিদুল। তবে শেষ পর্যন্ত আশরাফুলের অপরাজিত ২২ বলে ২৫ রান এবং নুরুল হাসানের ৭ বলে অপরাজিত ১১ রানে ভর করে ৬ উইকেট এবং ১৬ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় রাজশাহী।

    এর আগে ব্যাটিং নিয়ে শুরুতেই উইকেট হারায় জেমকন খুলনা। শুরুতেই ইমরুলকে হারায় খুলনা। অবশ্য এনামুল হক বিজয় এবং সাকিব আল হাসান ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিলেও দ্বিতীয় ম্যাচেও ইনিংস বড় করতে পারেননি সাকিব। মুকিদুলের ওভারে দুই চার মেরে ওই ওভারে পুল করতে গিয়ে ফরহাদ রেজার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি।

    এই ম্যাচে এনামুলও বড় কিছুর আশা জাগিয়েছিলেন। তবে ২৪ বলে ২৬ রানের ইনিংসটি থামে দলীয় ৪৫ রানে। মেহেদির দুর্দান্ত থ্রোতে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। এই ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন মাহমুদউল্লাহ এবং জহুরুল। তবে শেষদিকে শামিম হোসেনের ঝড়ো ৩৫ রানের ইনিংস এবং আরফুলের অপরাজিত ৪১ রানের উপর ভর করে ১৪৬ রান করে খুলনা।

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

    জেমকন খুলনা ১৪৬-৬ (ওভার ২০)

    আরিফুল ৪১*, শামিম ৩৫: মুগ্ধ ২-৪৪

    মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী ১৪৬-৪ (ওভার ১৭.২)

    শান্ত ৫৫, রনি ২৬, আশরাফুল ২৫*: আল-আমিন ১-১৩

    ফলাফলঃ ৬ উইকেটে জয়ী রাজশাহী।

  • বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি: মেহেদির অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দুর্দান্ত জয়ে শুরু রাজশাহীর

    বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি: মেহেদির অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দুর্দান্ত জয়ে শুরু রাজশাহীর

    মেহেদি হাসানের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দুর্দান্ত জয় দিয়ে বঙ্গবন্ধু টি২০ কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু করলো মিনিষ্টার গ্রুপ রাজশাহী। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে ঢাকাকে ২ রানে হারিয়েছে রাজশাহী।

    তীব্র প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট হাতে ৩২ বলে ৫০ রান ও শেষ ওভারে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দারুন বোলিং করে করে ঢাকার বিপক্ষে রাজশাহীর জয়ে বড় রাখেন মেহেদি হাসান।

    টস জিতে প্রথমে বোলিংএর সিদ্ধান্ত নেন ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তাই প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৯ রান করে রাজশাহী। ৩২ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেছেন রাজশাহীর মেহেদি হাসান। জবাবে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৭ রান করে ঢাকা।

    মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট হাতে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলো রাজশাহীর দুই ওপেনার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও আনিসুল ইসলাম ইমন। ২৩ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন তারা।
    ২টি ছক্কায় ১৬ বলে ১৭ রান করে ঢাকার স্পিনার নাসুম আহমেদের বলে আউট হন শান্ত। এরপর তিন ব্যাটসম্যান- রনি তালুকদার, মোহাম্মদ আশরাফুল ও ফজলে মাহমুদ দ্রুতই ফিরেন। রনি ৬, আশরাফুল ৫ রান করে ঢাকার পেসার মুক্তার আলীর শিকার হন। রানের খাতা না খুলেই রান আউট হন ফজলে। এর মাঝে ২৩ বলে ৩৫ রান করে থামেন ওপেনার ইমন। তার ইনিংসে ৫টি চার ও ১টি ছক্কা ছিলো।

    দলীয় ৬৫ রানে রাজশাহীর পঞ্চম উইকেট পতনের দলের হাল ধরেন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান ও মেহেদি। ঢাকার বোলারদের উপর আক্রমনাত্মক ব্যাট চালান তারা। ষষ্ঠ উইকেটে ৪৯ বলে ৮৯ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন নুরুল ও মেহেদি।
    ২০ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৯ রান করে ঢাকার মুক্তারের তৃতীয় শিকার হন নুরুল। তবে ৩১ বলে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন মেহেদি। হাফ-সেঞ্চুরিতে পা দিয়েই থামতে হয় তাকে। মেহেদির ইনিংসে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কা ছিলো। শেষদিকে ফরহাদ রেজার ৬ বলে অপরাজিত ১১ রানে লড়াকু পুঁজিতে পৌছায় রাজশাহী। ঢাকার মুক্তার ৪ ওভারে ২২ রানে ৩ উইকেট নেন।

    ১৭০ রানের লক্ষ্যে ভালো শুরু হয়নি ঢাকার। ৫৫ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। তবে তাদের রান তোলার গতি ছিলো ওভারপ্রতি ৮এর কাছে।
    দুই ওপেনার তানজীদ হাসান-ইয়াসির আলি যথাক্রমে ১৮ ও ৯ রান করেন। তিন নম্বরে নামা মোহাম্মদ নাইম ২৬ রানে ফিরেন।

    ৪১ বলে ৩ উইকেট পতনের পর দলকে খেলায় ফেরান অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও সর্বশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আকবর আলী। ৫৩ বলে ৭১ রানের জুটি গড়েন তারা। এরমধ্যে ২৯ বলে ৩৪ রান অবদান ছিলো আকবরের। তার ইনিংসে ৪টি চার ও ১টি ছক্কা ছিলো।

    আকবরকে শিকার করে রাজশাহীকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন পেসার ফরহাদ। আকবরের ফিরে যাবার কিছুক্ষণ পর আউট হন মুশফিকও। এমন অবস্থায় ম্যাচ নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায় ঢাকা। ম্যাচ জিততে শেষ ৩ ওভারে ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৬ রানের প্রয়োজন পড়ে তাদের। ১৯তম ওভারে ফরহাদকে তিনটি ছক্কা মারেন মুক্তার আলী। তাতে ম্যাচ জয়ের সুযোগ তৈরি হয়ে যায় ঢাকার সামনে। শেষ ওভারে ৯ রানের দরকার পড়ে তাদের।

    শেষ ওভারের প্রথম তিন বলে কোন রান দেননি রাজশাহীর মেহেদি। চতুর্থ বলে বাউন্ডারি তুলে নেন মুক্তার। পরের ডেলিভারিটি নো-বল করেন মেহেদি। তাতে শেষ ২ বলে ৪ রানের সমীকরন দাড়ায় ঢাকার সামনে।

    পঞ্চম বল ডট ও শেষ বলে ১ রানের বেশি নিতে পারেননি মুক্তার। ফলে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৭ রান পর্যন্ত যেতে সক্ষম হয় ঢাকা। দলের সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন মুশফিক। তার ৩৪ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কা ছিলো। রাজশাহীর মেহেদি ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। ব্যাট হাতে ৫০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন মেহেদি। তাই ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর :
    মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী : ১৬৯/৯, ২০ ওভার (মেহেদি ৫০, নুরুল ৩৯, মুক্তার ৩/২২)।
    বেক্সিমকো ঢাকা : ১৬৭/৫, ২০ ওভার (মুশফিক ৪১, আকবর ৩৪, মেহেদি ১/২২)।
    ফল : মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী ২ রানে জয়ী।
    ম্যাচ সেরা : মেহেদি হাসান (মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী)।

  • করোনায় আক্রান্ত এমপি মনসুরকে হেলিকপ্টারে আনা হলো ঢাকায়

    করোনায় আক্রান্ত এমপি মনসুরকে হেলিকপ্টারে আনা হলো ঢাকায়

    করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রাজশাহীর সংসদ সদস্য (এমপি) অধ্যাপক ডা. মো. মনসুর রহমানকে উন্নত চিকিত্সার জন্য বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে রাজশাহী থেকে ঢাকা আনা হয়েছে।

    আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    জানা গেছে, হঠাৎ সর্দি-জ্বরসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়ায় শুক্রবার (২১ আগস্ট) করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. মনসুর রহমানের।

    শনিবার (২২ আগস্ট) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগের ল্যাবে পরীক্ষা করে তার করোনা পজিটিভ আসে। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় আনা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর