Tag: রাজাকার

  • শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে

    শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, আমার বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে। তারা নিজেরাই নিজেদের রাজাকার বলে স্নোগান দিয়েছে।

    আজ (শুক্রবার) সকালে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবন পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

    এ সময় কোটা সংস্কার আন্দোলনে দুষ্কৃতকারীদের তাণ্ডবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া বিটিভির কার্যালয় ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী।

    দুষ্কৃতকারীদের খুঁজে বের করতে জনগণের সহায়তা চেয়ে সরকার প্রধান বলেন, যারা এই ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত, আনাচে-কানাচে যেসব হামলাকারী লুকিয়ে আছে, তাদের খুঁজে বের করে সাজা নিশ্চিত করতে দেশের জনগণকে সহযোগিতা করতে হবে। এই শত্রুদের খুঁজে বের করতে জনগণের সহযোগিতা চাই।

    শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়ত অতীতের মতোই অগ্নি সন্ত্রাস করেছে। এবার তারা আলাদা…। তারা গান পাউডার ব্যবহার করেছে। দেশের বাইরে আন্দোলন ছড়িয়ে দিয়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট ও মানুষের রুটি রুজি বন্ধের পাঁয়তারা করছে তারা।

  • তারা এ যুগের ‘সাচ্চা’ রাজাকার: কোটাবিরোধীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী

    তারা এ যুগের ‘সাচ্চা’ রাজাকার: কোটাবিরোধীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী

    শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, যাদের মুখ থেকে বের হয়, আমি রাজাকার, তারা প্রমাণ করছে তারা এ-যুগের ‘সাচ্চা’ রাজাকার! যারা প্রকাশ্যে নিজের আত্মপরিচয়, জন্মপরিচয়, ব্যক্তিত্ব বিসর্জন দিয়ে, ‘রাজাকার’ স্লোগান দিয়েছে, এরা সবাই এই যুগের রাজাকার।

    রোববার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে মন্ত্রী বলেন, যাদের মুখ থেকে বের হয়, আমি রাজাকার — তারা প্রমাণ করছে তারা এ-যুগের ‘সাচ্চা’ রাজাকার! এরা আদালত মানে না, সরকারও মানে না, সুতরাং, এই রাষ্ট্রদ্রোহীদের পক্ষে এই রাষ্ট্রকে মানা সম্ভব না! সঠিক স্লোগানই ধরেছে তারা! বের হয়ে আসুক এ যুগের রাজাকারদের আসল চেহারা!

    সোমবার অপর এক পোস্টে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে অনেকেই পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা করেছে, আন্দোলন করেছে। এটি অবশ্যই নাগরিক অধিকার। এ ব্যাপারে কারও কোনো দ্বিমত নেই।

    কিন্তু যারা প্রকাশ্যে নিজের আত্মপরিচয়, জন্ম পরিচয়, ব্যক্তিত্ব বিসর্জন দিয়ে, ‘তুমি কে, আমি কে রাজাকার! রাজাকার!’ স্লোগান দিয়েছে, এরা সবাই এই যুগের রাজাকার।

    এরা রাষ্ট্র মানে না, আদালত মানে না, ইতিহাস মানে না, এবং সর্বোপরি এই দেশকেই মানে না!

    আর ফেসবুকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই যুগের রাজাকারেরা একটু সক্রিয় বেশি। কারণ কিছু একটা মন্তব্য লিখে, একটা স্ট্যাটাস দেওয়ার ভার্চুয়াল রাজাকারি করা অনেক সহজ।

    তিনি বলেন, রাজাকার আগেও ছিল এবং এর ধারাবাহিকতায় এখনও আছে! ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে প্রায় ২০% শতাংশ ভোট পড়েছিল নেজামি ইসলামি, মুসলিম লীগ ইত্যাদি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী পক্ষ তথা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। এই ২০% এর অর্ধেক ১০% ধরে আজকের ১৬ কোটি মানুষের সাথে মেলালে আসবে ১.৬ কোটি। এর মধ্যে ০.৬ কোটিও যদি সারাদিন নিজের রাজাকারির অরাজকতা প্রকাশ করে, বাকি জনগোষ্ঠীর তুলনায় এরা নগণ্যই থাকবে!

    ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও বলেন, এদের আওয়াজে বিভ্রান্ত হলে চলবে না! এ যুগের রাজাকারদের পরিণতি ঐ যুগের রাজাকারদের মতই হবে! ঘৃণা, ধিক্কার, আর ক্রোধ এদের প্রতি! রাজাকারের দল তোরা, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ছাড়!

    কোটাবিরোধী আন্দোলনে হঠাৎ করেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে রোববার দিবাগত মধ্যরাতে। এদিন বিকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা শুরু হয় মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজাকার ইস্যুতে। সরকারের একটি কথার প্রতিবাদ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ঢাবি) অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও নিজেদের রাজাকার ঘোষণা করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

    বিষয়টি একটা সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ছড়িয়ে পড়ে ক্যাম্পাসের হলে হলে। রাতে হঠাৎ করেই সরকারপ্রধানের মন্তব্যের প্রতিবাদ করে নিজেদের রাজাকার ঘোষণা করে স্লোগান দিতে থাকেন। একটা সময় ঢাবির হল থেকে বের হয়ে রাতে শাহবাগে মিছিল নিয়ে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় আন্দোলন। বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন শিক্ষার্থীরা। স্লোগান দিতে থাকেন, ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার-রাজাকার’।

    শিক্ষার্থীদের এমন স্লোগান নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এমনই প্রেক্ষাপটে রোববার রাতে ফেসবুকে উল্লিখিত পোস্ট দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

  • শেখ হাসিনার পাশেও অনেক রাজাকার আছেন: গাফফার চৌধুরী

    শেখ হাসিনার পাশেও অনেক রাজাকার আছেন: গাফফার চৌধুরী

    স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার সব জায়গায় রয়েছে, এমনকি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশেও অনেক রাজাকার আছেন। তাদের নাম বললে আগামীতে আমার দেশে ফেরাও বন্ধ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক, কলামিস্ট, ভাষাসৈনিক, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো অমর একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ কালজয়ী এ গানের রচয়িতা আব্দুল গাফফার চৌধুরী।

    রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ‘সম্প্রীতি, বঙ্গবন্ধু ও বাঙালির বিজয়’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’নামক সংগঠন।

    সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব ডা. মামুন আল মহতাব স্বপ্নিল এর সঞ্চালন এবং আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে এ সময় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিকুর রহমান, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সিনিয়র সাংবাদিক হারুন হাবিব, সাবেক সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ ও শহীদকন্যা ডা. নুজহাত চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার আগে তাদের (জামায়াত, রাজাকার) তালিকা করা দরকার। আওয়ামী লীগের ভেতরে জামায়াতিদের বের করে দিতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে তারা আবারও সমস্যা সৃষ্টি করবে।

    আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেন, এখন মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরির কথা বলা হচ্ছে। দেখা যাবে, এ তালিকা তৈরি করছে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকাররা। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার আগে তাদের (জামায়াত, রাজাকার) তালিকা করা দরকার। আওয়ামী লীগের ভেতরে জামায়াতিদের বের করে দিতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে তারা আবারও সমস্যা সৃষ্টি করবে।

    লন্ডনে তারেক রহমানের বিলাসী জীবনযাপনেরও বর্ণনা দেন গাফফার চৌধুরী। তিনি বলেন, তারেক রহমানের কত কোটি টাকা, আল্লাহ ভালো জানেন। তিনি লন্ডনে অসুস্থতার অজুহাতে থাকেন। আসলে তিনি সুস্থ। তাকে লন্ডনের শপিংমলে স্ত্রীকে নিয়ে ভালোভাবে হাঁটতে দেখেছি। আমাকে দেখে অসুস্থতার ভান করে। তারেক রহমান তার স্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর পরিকল্পনা করছে। তার স্ত্রী ভালো মানুষ। কষ্টে তার সংসার করছে মন্তব্য করেন তিনি।

    ‘বাকশাল থাকলে ভালো হতো’ মন্তব্য করে প্রবীণ কলামিস্ট বলেন, বাকশাল করার তিন মাসের মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। এটি যাচাইয়ের সুযোগ পাননি। এটি প্রতিষ্ঠিত হলে দেশের হত্যা-সন্ত্রাস হতো না। পুঁজিবাদি মাথাচাড়া নিয়ে উঠত না।

    কাদের মোল্লা একজন আত্মস্বীকৃত যুদ্ধাপরাধী জানিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, তার (কাদের মোল্লা) আদালতের বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির রায় হয়েছে, রায় কার্যকরও হয়েছে। একটি পত্রিকার কাগজ তাকে শহীদ বলেছে। তাদের কথা বলার ভাষা আমার নাই, এটি বললে মুখের পবিত্রতা নষ্ট হয়ে যায়। ওর মতো একটা রাজাকার, কুলাঙ্গার, জল্লাদ, কসাই তার জন্ম কী, আমরা জানি না। যার জন্মের ইতিহাস নাই, একটা খুনি, ধর্ষণকারী, বাঙালি হত্যাকারী, মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারী, আমার মা-বোনের হত্যাকারী, তার কথা বলার আর কিছু নাই।

    দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে জানিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ পত্রিকার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ কঠোর ব্যবস্থা মন্ত্রণালয় নেবে। যেন বাংলাদেশে এ ধরনের ধৃষ্টতা কেউ দেখাতে না পারে।

  • ১০ হাজার ৭৮৯ রাজাকারের তালিকা প্রকাশ

    ১০ হাজার ৭৮৯ রাজাকারের তালিকা প্রকাশ

    একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় খুন, ধর্ষণ, নির্যাতন, লুণ্ঠনে পাকিস্তানি বাহিনীকে যারা সহযোগিতা করেছিলেন এমন ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের নামসহ তালিকার প্রথম পর্ব প্রকাশ করা হয়েছে।

    মহান বিজয় দিবসের একদিন আগে রবিবার রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক। এটি রাজাকারের তালিকার প্রথম পর্ব বলে জানানো হয়।

    সচিবালয় সংলগ্ন সরকারি পরিবহন পুল ভবনের ছয় তলায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এই তালিকা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।

    মোজাম্মেল হক জানান, ওয়েবসাইটে তালিকাটি প্রকাশ করা হবে। বর্তমানে শুধু রাজাকারদের নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করা হচ্ছে। তারা কে কোন পেশায় রয়েছে তার বর্তমান তথ্য সরকারের কাছে নেই। তবে তা সংগ্রহ করা হবে।

    রাজাকারদের বিস্তারিত তালিকা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের https://molwa.gov.bd/ এই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

    একাত্তরের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলামী, মুসলিম লীগ ও নেজামে ইসলামীসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল পাকিস্তানি বাহিনীর পক্ষ নিয়েছিল। তখন যুদ্ধরত পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীকে সহযোগিতা করতে রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়েছিল।

    প্রথমে এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে গঠিত শান্তি কমিটির অধীনে থাকলেও পরে একে আধা সামরিক বাহিনীর স্বীকৃতি দিয়েছিল পাকিস্তান সরকার।

    একই রকম আধা সামরিক বাহিনী ছিল আল বদর বাহিনী ও আল শামস বাহিনী। তবে স্বাধীনতাবিরোধী এই বাহিনীগুলোকে সাধারণ অর্থে রাজাকার বাহিনী হিসেবেই পরিচিত বাংলাদেশে।

    প্রায় এক দশক আগে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর রাজাকারের তালিকা তৈরির দাবি উঠলেও তা আলোর মুখ দেখেনি।

    পরে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এজন্য মুক্তিযুদ্ধের সময় থানা, মহকুমা, জেলা প্রশাসন থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলনকারী রাজাকারদের তালিকা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করার সুপারিশ করেছিল সংসদীয় কমিটি।

    গত ২৫ আগস্ট মন্ত্রণালয় সংসদীয় কমিটিকে রাজাকারদের তালিকা সংগ্রহের কাজ শুরুর কথা জানায়। এ জন্য জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। শেষ পর্যন্ত দীর্ঘন ধরে করে আসা দাবি প্রথমবারের মতো আলোর মুখ দেখে রবিবার।

    মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতাবিরোধীরা রাজাকার-আল বদর নামে সশস্ত্র বাহিনী গঠন করে লুটপাট ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। চলতি বছরের ১৬ ডিসেম্বরের আগে তাদের নামের তালিকা প্রণয়ন করা ছিল আমরা প্রতিশ্রুতি। সংসদেও এ বিষয়ে কথা বলেছিলাম। এরই আলোকে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

    জামায়াতে ইসলামীসহ স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায় থাকায় সময় অনেক রেকর্ড সরিয়ে ফেলেছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান মন্ত্রী।

    মোজাম্মেল হক বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সংরক্ষণাগারে মুক্তিযুদ্ধের সময় নানা দালিলিক প্রমাণাদি রয়েছে, ওই সময়ের সংরক্ষিত তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমরা আশানুরূপ সাড়া পাইনি। তবে আমরা আবারও তাদের অনুরোধ করব, জানুয়ারি মাসের মধ্যে সেই সময়ের তথ্যাদি পাঠিয়ে সহযোগিতা করবেন।

    তিনি বলেন, ২৬ মার্চের প্রাক্কালে দ্বিতীয় দফা রাজাকারের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে। কোনো ব্যক্তি যাতে অযথা তালিকাভুক্ত না হয় সে বিষয়ে আমরা সজাগ রয়েছি। বেসরকারিভাবে যাদের নাম আসবে তাদের বিষয়ে তদন্ত করে শেষ ধাপে তালিকা প্রকাশ করা হবে। প্রয়োজনে অভিযুক্ত ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হবে।

    স্বাধীনতার ঘোষণা বিষয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার অধিকার বঙ্গবন্ধু ছাড়া অন্য কারও ছিল না। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তাকে দেশের মানুষ রায় দিয়েছিল। অনেকেই তা পাঠ (স্বাধীনতার ঘোষণা) করতে পারেন।

    ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরাও বিভিন্ন জনসভায় পাঠ করেছি। তাই বলে কেউ দাবি করতে পারে না যে, তিনি ঘোষক। ২৬ মার্চে বঙ্গবন্ধু-ই স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তার ডাকেই বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।’

    সংবাদ সম্মেলনে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ১০ হাজারের বেশি নয় বলেও জানান মোজাম্মেল হক।

  • বিজয় দিবসে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করা হবে

    বিজয় দিবসে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করা হবে

    মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, চলতি বছরের ১৬ ডিসেম্বর রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।

    আজ শুক্রবার সকালে জেলা শহরের বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপকমিটি ঢাকা-ময়মনসিংহ বিভাগের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উদ্বোধকের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

    মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, জানুয়ারিতে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয়পত্র দেয়া হবে। পরিচয়পত্রের পেছনে তারা কি কি সুযোগ-সুবিধা পাবেন তা লেখা থাকবে।

    তিনি বলেন, জানুয়ারিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সব কবর একই ডিজাইনে করে দেয়ার প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্য বইয়ে মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজাকারদের ভূমিকা নিয়ে লেখা সংযুক্ত করা হবে।

    মোজাম্মেল হক আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা নিয়ে অসন্তোষ আছে, যা হওয়া উচিত তা হয়নি। আগামী বছর বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবর্ষপূর্তির বছর ২০২০ সালে তা পূরণ করা হবে।

    গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান মো. রশিদুল আলম।

    গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে গাজীপুর-২ আসনের সাবেক এমপি কাজী মোজাম্মেল হক, গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আখতার উজ্জামান, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ এমপি, গাজীপুর-৩ আসনের এমপি মো. ইকবাল হোসেন সবুজ, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।