Tag: রাণীশংকৈল

  • রাণীশংকৈলে পুকুর থেকে মা ও দুই সন্তানের লাশ উদ্ধার

    রাণীশংকৈলে পুকুর থেকে মা ও দুই সন্তানের লাশ উদ্ধার

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ জেলার রাণীশংকৈল উপজেলায় পুকুর থেকে একই পরিবারের তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার ধর্মগড় ভরনিয়া শিয়ালডাঙ্গী গ্রামে মা ও তার দুই সন্তানের লাশ বাড়ির পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার করে প্রতিবেশীরা।

    মৃতরা হলেন, ওই গ্রামের আকবর হোসেনের স্ত্রী আরিদা খাতুন (৩২), তার মেয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী আঁখি (১১) ও তার ছেলে আরাফাত (৪)।

    প্রতিবেশীরা জানান,  আজ ভোর ৬টার দিকে আরিদা ও তার সন্তানদের লাশ পুকুরে ভাসতে দেখা যায়। পরে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়া হয়। তাদের মুখে বিষের গন্ধ পাওয়া যায় বলেও জানান তারা।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পেশায় ফেরিওয়ালা আকবর আলীর সঙ্গে স্ত্রী আরিজা খাতুনের বুধবার সন্ধ্যায় ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে রেগে গিয়ে তাকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেন। পরে বৃহস্পতিবার সকালে আকবরের বাবা সিরাজুল ইসলাম মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার সময় পাশের ডোবায় তাদের মরদেহ ভাসতে দেখে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় উদ্ধার করেন।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করেছেন রাণীশংকৈল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাহিদ ইকবাল।

    তিনি বলেন, একটি সাড়ে চার ফিট গভীর ডোবা থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অনেকদিন থেকেই তাদের পারিবারিক ঝামেলা চলছিল। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহলকে কেন্দ্র করে এমনটি ঘটছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। মৃত আরিজার স্বামী আকবর আলী পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/গৌতম চন্দ্র বর্মন

  • রাণীশংকৈলে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

    রাণীশংকৈলে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

    গৌতম চন্দ্র বর্মন,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : বসত বাড়ির জমি দখলকে কেন্দ্র করে দু’ পক্ষের সংঘর্ষে নিহত এক ও বেশ কয়েকজনের আহতের খবর পাওয়া গেছে।

    ৬ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ভরনিয়া-সম্পদবাড়ি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম জাহাঙ্গীর আলম (৩৭), তার পিতার নাম সিরাজুল ইসলাম। তিনি দিনাজপুর মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

    পারিবারিক তথ্যমতে- বাদী পক্ষের আহতরা হলেন, সম্পদবাড়ি গ্রামের সাদের আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন  একই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে আব্বাস আলী , মজিবর রহমানের ছেলে আব্দুর রহিম, , সাদের মোহামদ্দের ছেলে মজিবর রহমান , মজিবর রহমানের ছেলে করিমুল , আব্বাস আলীর স্ত্রী বিজলী , গোলাম রব্বানীর স্ত্রী সাবিনা  ও  আহম্মদ আলীর ছেলে মানেরুল  এরা সবাই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ইসমাইল হোসেন ওরফে নাবালক চেয়ারম্যান ও মুশা মাস্টার এ দু’পক্ষের মধ্যে বসত বাড়ির ৮ শতাংশ জমিকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

    ঘটনায়  ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে ঐ  দিন রাতে মুশা মাস্টারসহ ১৪ জনের নামে থানায় বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সম্পদবাড়ি গ্রামের আবু হানিফার ছেলে গোলাম রব্বানী কে গ্রেফতার  করেছে।

    বাকী আসামিদের মধ্যে ৮ জন পুলিশ পাহারায় (নজরদারিতে) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। অপর ৫ জন আসামী পলাতক।

    এ ঘটনায় সত্যতা নিশ্চিত করেন রাণীশংকৈল থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মান্নান।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • রাণীশংকৈলে ভাতিজার হাতে চাচার মৃত্যু

    রাণীশংকৈলে ভাতিজার হাতে চাচার মৃত্যু

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশকৈল উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের বলঞ্চা গ্রামে ভাতিজার হাতের কিলঘুসির আঘাতে চাচার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

    মঙ্গলবার (২৩ জুন) সকালে বসতবাড়ির পানি নিস্কাশনে বাঁধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

    স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,উপজেলার বলঞ্চা গ্রামের রমজান আলীর (৫০) বাড়ির বৃষ্টির পানি পাশের বাড়ির চাচাতো ভাই সাহাবুদ্দিনের বাড়ির রাস্তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। এতে পানি নিস্কাশনে সাহাবুদ্দিন(৫৫) বাঁধা দিলে রমজান আলী ও সাহাবুদ্দিনের মধ্যে ঝগড়া বাধে। এরই মধ্যে সাহাবুদিবদনের ছেলে আলম (৩০) তার বাবার পক্ষ নিয়ে রমজান আলীকে মারতে যায়।ঘটনাস্থলে উপস্থিত রমজান আলীর ভাই জামালউদ্দিন( ৪৮) এ দৃশ্য দেখে তার ভাইকে বাঁচাতে গেলে ভাতিজা আলমের হাতের কিলঘুশি জামালের নাকে সজোড়ে লাগে। এতে সে অসুস্থ হয়ে ঘটনাস্থলেই মাটিতে পড়ে সাথে সাথে মারা যায়।

    খবর পেয়ে রাণীশংকৈল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকেই লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠিয়েছেন।

    এলাকাবাসী জানান, জামালউদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে হার্টের অসুখে ভুগছিলেন।

    এঘটনায় মৃত জামালউদ্দিনের স্ত্রী আকতারা বানু (২৮) বাদী হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখ করে রাণীশংকৈল থানায় ৩২৩, ৩০২ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৮।

    রাণীশকৈল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মান্নান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মৃতের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আসামীদ্বয়কে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/গৌতম

  • রাণীশংকৈলে মাকে নির্যাতনে ছেলে কারাগারে

    রাণীশংকৈলে মাকে নির্যাতনে ছেলে কারাগারে

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ জন্মদাত্রী মাকে মারপিটের অভিযোগে ছেলে নাসিম (৩৫) নামে এক সন্তানকে গ্রেফতার করেছে রানীশংকৈল থানা পুলিশ।

    সোমবার (২২ জুন) মায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলার শিবদিঘী কাঁচা বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    থানা সূত্রমতে উপজেলার রামপুর গ্রামে গত ১৬ জুন মা আরোশা বেগম স্বামী-মৃত রফিজউদ্দীন, তার নিজ ক্ষেতে পটোল তুলতে যায়, এতে ছেলে বাঁধা দেয় এবং মাকে বাড়ি আসতে বলে, কিন্তু মা ভয়ে বাড়িতে না গিয়ে পাশের সাবেক সমশের মেম্বাররের বাড়ির দিকে রাওনা দেয়। এসময় পিছন থেকে ছেলে তার মাকে সেখানে যেতে নিষেধ করে। তারপরও মা সেদিকে যেতে থাকলে ছেলে নাসিম উত্তেজিত হয়ে তার মাকে লাঠি দিয়ে বেদম মারপিট করে। এতে মা আয়েশা গুরুতর জখম হয়।

    পরে মা এলাকাবাসীর কাছে সুষ্ঠু বিচার না পেয়ে গত ২০ জুন বাদী হয়ে রাণীশংকৈল থানায় একটি মামলা করে। মায়ের মামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছেলে তাঁর মাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়।

    শেষে আজ সকালে শিবদিঘী কাঁচাবাজারে মাকে পেয়ে গালিগালাজ ও ধাক্কাধাক্কি করে।

    পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে প্যানেল কোট আইনের ৩২৩/৩২৫ ও ৫০৬ ধারায় ছেলেকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

    মা আরোশা বেগম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

    মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এস.আই দিপঙ্কর রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/গৌতম

  • একই রশিতে ঝুলে প্রাণ দিলেন স্বামী-স্ত্রী, ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

    একই রশিতে ঝুলে প্রাণ দিলেন স্বামী-স্ত্রী, ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় একই রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে এক দম্পতি। তাদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    মঙ্গলবার (১৬ জুন) সকাল সাড়ে ৮টায় রাণীশংকৈল উপজেলার বিরাশী বাজার নামক এলাকায় নিহতের নিজ বাড়ির শয়ন কক্ষে ঝুলন্ত অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাণীশংকৈল থানার ওসি আব্দুল মান্নান।উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম জানান, চাপোড় পারবর্তীপুর গ্রামের বিরাশী বাজার এলাকায় নিজ বাড়িতে শয়ন ঘরে সড়ের সাথে একই রশিতে তাদের ঝুলন্ত অবস্থায় তাদের লাশ এলাকাবাসি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে স্বামী বিপুল ও স্ত্রী পারুলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।

    মৃত বিপুল (২৫) চাপোড়পারবর্তীপুর গ্রামের বিরাশী পাড়া এলাকার মৃত সিট কুমারের ছেলে। এবং মৃত পারুল (২২) (বাবার বাড়ি) বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নের বড় কোর্ট আধারদীঘি গ্রামের ঝাটালু সিংহের মেয়ে।

    ঘটনাটি কেন ঘটেছে, কিভাবে ঘটেছে এর কারণ এখনো জানা যায়নি বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম।

    রাণীশংকৈল থানার ওসি আব্দুল মান্নান বলেন, মৃত বিপুল ও পারুলের মরদেহ উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/গৌতম

  • রাণীশংকৈলে ধর্ষণ মামলায় আটক ৫

    রাণীশংকৈলে ধর্ষণ মামলায় আটক ৫

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ।ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: দুই বোনকে দল বেধে গণধর্ষণের অভিযোগে পাঁচ যুবককে আটক করেছে রাণীশংকৈল থানা পুলিশ।

    মঙ্গলবার (১২ মে) দিবাগত রাতে ঐ দুই তরুণী বোনদ্বয়ের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এ যুবকদের আটক করে পুলিশ।

    বুধবার (১৩ মে) আটক পাঁচযুবকসহ মোট ছয় যুবকের নাম উল্লেখ্য করে ভুক্তভোগী পৌরশহরের মহলবাড়ী গ্রামের কুদ্দুস আলীর স্ত্রী আশী মনি(১৯) বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করে।

    সেই মামলায় আটক দেখিয়ে পাঁচ যুবককে ঠাকুরগাঁও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    ধর্ষণের স্বীকার ভুক্তভোগীরা হলেন মহলবাড়ী গ্রামের কুদ্দুস আলীর স্ত্রী আশা মনি ও তার আপন ছোট বোন পাশ্ববতী সন্দারই গ্রামের হানিফের মেয়ে জনৈক(১৫)।

    মামলান তদন্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ(তদন্ত) খায়রুল আনাম ডন মামলার বরাত দিয়ে জানান, গত ১১ মে সোমবার দুপুর অনুমান তিনটায় কৌশলে মামলাকারীনীসহ তার আপন ছোট বোনকে পৌর শহরের সিডিএ অফিসের পাশে এক বাড়ীতে নিয়ে হাত পা বেধে দলবেধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

    আটক ধর্ষকরা হলো:-উপজেলার ক্ষুদ্র বাঁশবাড়ী গ্রামের আফাজ উদ্দীনের ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৮)মহলবাড়ী গ্রামের বাবুল মিস্ত্রির ছেলে রুবেল (২৬)  জতিষ চন্দ্র রায়ের ছেলে শ্রী উপেন দেব (২৮)  মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোঃ ফয়জুল আকতার  ফজলু (৩৫) সন্ধারই গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে মিলন (২০) ও পীরগঞ্জ উপজেলার মৃত বাবুলের ছেলে আশরাফুল(২৩)।

    ধষর্ণের পরে ঐ রাতে দুই বোনকে মহলবাড়ী গ্রাম এলাকার জাকের পার্টি অফিসের পাশে ফেলে রেখে সটকে পড়ে ঐ যুবকরা।

    ভোরে মেয়ে দুটির আত্নীয়রা স্থানীয় লোকমারফত খবর পেয়ে তাদের সেখান থেকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্বার করে।

    বিষয়টি রাণীশংকৈল থানার সার্কেল(অতিরিক্ত দায়িত্বে)সহকারী পুলিশ সুপার (এ.এস.পি) তৈহিউদ দোলা লুপুমের নিকট মৌখিক অভিযোগ দেওয়ার ভিত্তিতে। এবং তার নির্দেশে রাতারাতী ঘটনাটির সাময়িক তদন্তসহকারে অপরাধীদের সনাক্ত করে আটক করে থানা পুলিশ।

    মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ(তদন্ত) খায়রুল আনাম ডন বলেন,ছয় আসামীর মধ্যে পাঁচজনকে আটক করে ঠাকুরগাঁও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    এছাড়াও ধষর্ণের শিকার দুই বোনের ডাক্তারী পরীক্ষার পর ঘটনাটির বিস্তারিত জানা যাবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/গৌতম

  • রাণীশংকৈলের আসিফ করোনা জয় করে ঘরে ফিরলেন

    রাণীশংকৈলের আসিফ করোনা জয় করে ঘরে ফিরলেন

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁওয়ের জেলার রাণীশংকৈলে উপজেলার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আসিফ সর্ম্পূণ সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন।

    রবিবার (৩ মে) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলশন ইউনিট থেকে ছাড়পত্র দিয়ে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুস সামাদ চৌধুরী।

    করোনায় সুস্থ ব্যক্তি হলেন, উপজেলার উত্তরগাঁও গ্রামের করিমুলের ছেলে আসিফ রানা। তিনি ময়মনসিং ফেরত ছিলেন। গত ১৮ এপ্রিল স্বাস্থ্য পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হওয়ায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলশন ইউনিটে নেওয়া হয়।

    ছাড়পত্র দিয়ে বিদায় দেওয়ার সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার আব্দুল্লাহ আল মোনায়েম।এর আগে গত ১৭ এপ্রিল করোনাভাইরাসে উপজেলায় প্রথম শনাক্ত হওয়া রোগী বাশঁবাড়ী গ্রামের মামুনের সাত বছরের কন্যা শিশুটিও সুস্থ হয়ে গত ২৮ এপ্রিল বাড়ী ফিরেছেন।

    ডাঃ আব্দুল্লাহ আল মোনায়েম বলেন, ‘করোনা নিয়ে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই, করোনায় আক্রান্ত হলেও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চললে সুস্থ হওয়া সম্ভব। তার বড় উদহারণ হচ্ছে উপজেলায় মোট দুই জন আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে বাড়ী ফেরাটাই।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/গৌতম

  • ঠাকুরগাঁওয়ে গরু ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ড: ৫ জন গ্রেফতার

    ঠাকুরগাঁওয়ে গরু ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ড: ৫ জন গ্রেফতার

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার আলোচিত গরু ব্যবসায়ী তৈয়ব আলী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  সেই সাথে গ্রেফতার করা আসামীদের জিজ্ঞাবাদে দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ধার করা হয়েছে হত্যার সময় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলোও।

    শুক্রবার সন্ধ্যায় রাণীশংকৈল থানা পুলিশ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছে। এর আগে সকালে হত্যকাণ্ডের ঘটনাস্থলের পার্শ্বের পুকুর থেকে অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।

    আসামীরা হলেন-জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার গোগর গ্রামে আব্দুল হালিমের ছেলে রবিউল (২৩), একই গ্রামের মুসলিম উদ্দীনের ছেলে সাব্বির হোসেন (২০), খলিলুর রহমানের ছেলে সাগর আলী (১৯), মোস্তফা আলমের ছেলে জুয়েল রানা (১৬) ও মতিউর রহমানের ছেলে শাহ নেওয়া (১৯)। এদের মধ্যে প্রথম তিনজন হত্যাকাণ্ডের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত এবং বাকি দুজন শিশু হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করেছে বলে জানায় পুলিশ।

    সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, গত শনিবার(২২ ফেব্রুয়ারি) নিহত গরু ব্যবসায়ী পাশ্ববর্তী কাতিহার ও গোগর বাজারে গরু বিক্রয় করেন। তার কাছে গরু বিক্রির নগদ দেড় লাখ টাকা আছে এমন খবর পেয়ে টাকা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে আসামীরা। ওই দিন রাতে বাড়ীতে ফেরার সময় গরু ব্যবসায়ী তৈয়ব আলীকে কৌশলে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে টাকা চাইলে টাকা না পেয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে হত্যা করে আসামীরা। পরে ঘটনার আলামত নিশ্চিহ্ন করতে গরু ব্যবসায়ীকে গম ক্ষেতের মাটির নিতে পুতে রাখে এবং হত্যাকাণ্ডের ব্যবহৃত অস্ত্র পাশের পুকুরে ফেলে পালিয়ে যায়।

    হত্যকাণ্ডের পর গরু ব্যবসায়ীর নিকট নগদ ৭ হাজার টাকা আসামীরা ভাগ বন্টন করে নেয় এবং তৈয়ব আলীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি আসামী রবিউলের কাছে রেখে দেয় বলে জানায় পুলিশ।

     

    ‘গরু বিক্রির টাকা স্থানীয় এক দোকানদারের নিকট রেখেছিল নিহত গরু ব্যবসায়ী, সেই টাকা না পেয়েই তাকে হত্যা করে আসামীরা’।

    এর আগে গত শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বাজার থেকে গরু বিক্রি করে বাড়ী ফেরার সময় নিখোঁজ হয় রাণীশংকৈল উপজেলার গরু ব্যবসায়ী তৈয়ব আলী। পরের দিন রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে একটি গমক্ষেতে রক্ত দেখে পুলিশকে খবর দিলে গমক্ষেতের মাটি খুড়ে তৈয়ব আলীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওইদিনই নিহতের ভাই বাবুল হোসেন বাদী হয়ে রাণীশংকৈল থানায় মামলা করেন।

    পীরগঞ্জ ও রাীণশংকৈলের দায়িত্বে থাকা সহকারী পুলিশ সুপার তৌহি-উদ-দৌলা লুপম, রানীশংকৈল থানার ওসি তদন্ত খায়রুল আলম ডন মামলার তদন্ত শুরু করেন। গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিভিন্ন এলাকা থেকে হতাকাণ্ডের সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের জিজ্ঞাবাদ করে ঘটনার রহস্য বের করে পুলিশ।

  • রাণীশংকৈলে অযত্নে ঐতিহ্য হারাচ্ছে গোরকই শিব মন্দির

    রাণীশংকৈলে অযত্নে ঐতিহ্য হারাচ্ছে গোরকই শিব মন্দির

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ রক্ষণাবেক্ষণে অবেহলা, অযত্ন আর নিয়মিত তদারকির অভাবে ঐতিহ্য হারাতে বসেছে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার প্রাচীন গোরকই আশ্রম, দুর্গা ও শিব মন্দির।

    দায়িত্বে থাকা লোকজনের অবহেলার কারণে অনেক সময় মন্দিরটির ভিতরে মাঝে মধ্যে গরু-ছাগলের অবাধ বিচরণ। সপ্তাহব্যাপী আয়োজিত মেলার সময় কদর বাড়ে মন্দিরটির।

    এবছরে ১৯ ফেব্রুয়ারি মেলা শুরু হয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছে। মেলায় বিভিন্ন জেলার মানুষের ঢল নেমেছিল।

    উপজেলা শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দুরে নেকমরদ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের গোরকই গ্রামে অবস্থিত এ প্রাচীন মন্দিরটি। মন্দিরটির নির্মাণ কবে হয়েছিল এবং মন্দিরটির আসল মালিকানা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা নেই কারোই।

    তবে মন্দিরের গেটে লেখা বর্ণনায় দেখা গেছে,”গুপ্ত যুগ থেকে সেন যুগের মধ্যেই কুপ ও মন্দির নির্মিত হয়েছিল এবং নাথ সহজিয়া মতের গুরু গোরাক্ষ নাথের নামানুসারে কুপ ও স্থানের নাম হয়েছে গোরকই।”

    গরকই ফকিরি স্লান বা বারুনীর মেলা হিসেবে আজও সমান ভাবে সমাদৃত। এ অঞ্চলের মানুষের কাছে এটি একটি তীর্থ স্থান।

    ফাল্গুনের শিব চতুর্দশী তিথীতে পূণ্য স্নানের জন্য আগমন ঘটে অসংখ্য পূণ্যার্থীর।

    স্থানীয়দের সাথে বলে জানা গেছে, ভারত থেকে আসা গোরক্ষনাথ নামে এক ঠাকুর এই এলাকায় বসবাস করছিলেন। তার নামানুসারে গ্রামের ও মন্দিরের নামকরণ হয় গোরকই। তবে মন্দিরের দেখাশুনা গোরক্ষনাথ ঠাকুর করলেও মন্দির তিনিই নির্মাণ করেন নি, রাতারাতি দেবতারা পাথর দিয়ে মন্দিরটি নির্মাণ করেন বলে স্থানীয়দের ধারণা। যদিও এ তথ্যগুলোর সঠিক দলিলাদি নেই।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মন্দিরটি ছাড়াও এখানে রয়েছে নাথআশ্রম। ৩টি শিবমন্দির, ১টি কালি মন্দির। গোরক্ষনাথ মন্দির চত্বরের ঠিক মাঝখানে অবস্থিত। তার পিছনেই সেই আকর্ষনীয় কুপ। পাথরের তৈরী একটি চৌবাচ্চার মাঝে ওই কুপের অবস্থান। কুপটি বড় বড় কালো পাথরের খন্ড দ্বারা নির্মিত। কুপের একেবারে তলা পর্যন্ত ওই পাথর দিয়ে বাধানো। কুপের পূর্ব দিকে একটি দরজা এবং পশ্চিম দিকে একটি দরজা। এ দুটো দরজা দিয়ে স্নানের জন্য প্রবেশ করে পুর্ণার্থীরা। এছাড়াও মন্দিরের দক্ষিণ পার্শ্বে দুজন পুজারীর সমাধি রয়েছে। ঠাকুর গৌরক্ষনাথের মৃত্যুর পর ওই দুজন পূজারী মন্দিরের দেখাশুনা করাকালীন তাদের মৃত্যুহলে মন্দিরের পার্শ্বেই তাদের সমাধি স্থাপন করা হয়। এ দুজন পূজারীর নামও সঠিক জানা নেই কারো।

    মেলা পরিচালনা কমিটি জানায়, প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের আমাবশ্যায় এই মন্দিরে ৭ দিন ব্যাপী মেলার আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন ও মন্দির পরিচালনা কমিটি। মেলার সময় এ কুপের পানিতে স্নান করতে আসে দেশের বিভিন্ন জেলার ভক্তরা। বিভিন্ন মানত করে পরিবার পরিজনসহ আসেন এই মন্দিরে। পূজা ও স্নান শেষে আবার পুনরায় ফিরে যান বাড়ীতে। তবে অনেকের আশা পুরণ হলে মন্দিরে এসে পুনরায় পূজা এবং মানত করা ছাগল, হাস, মুরগিসহ নানা জিনিসপত্র দিয়ে যান।

    এই এলাকার জিসকেল টুডু জানান, হাজার হাজার নারী পুরুষ স্নান করার পরও এ কুপের পানি এক ইঞ্চিও কমে না। যা কুপের বৈশিষ্ট্য মনে করে পূর্ণাথীরা। মন্দিরটিতে গ্রানাইট পাথরের ব্যবহার করা হয়েছে। যে পাথর বর্তমানে দিনাজপুর জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। কথিত আছে, গৌরক্ষনাথ ছিলেন নাথপন্থীদের ধর্মীয় নেতা খীননাথের শিষ্য।

    মন্দিরটির সামনের দোকানদার সত্যজিত রায় জানায়, বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মন্দির দর্শনার্থীরা এসে মন্দিরের বেহাল দশা দেখে চলে যান। বসার,খাওয়ার স্থান নেই, এমনকি নেই যাতায়াতের ভাল একটি রাস্তা। খানাখন্দে ভরা রাস্তায় আসতেই মানুষ ভয় পাই।

    মন্দিরের পার্শ্বের বাসিন্দা রিয়াজুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ দশ বছরে এলাকার দুই সাংসদ যাতায়াতের জন্য রাস্তা পাকা করণের অঙ্গীকার করে গেলেও এ পর্যন্ত একটি ইটও বরাদ্দ দেননি তারা। তাছাড়া প্রাচীন এই মন্দিরটিতে এখন পর্যন্ত নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। উপজেলা প্রশাসন প্রতিবছর একটি সৌর বিদ্যুৎ বরাদ্দ দেয়। কিছুদিন পরই তা চুরি হয়ে যায়।

    মেলা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পসিন চন্দ্র জানান, মন্দিরটি ২৪ ঘন্টা দেখাশুনা করার জন্য একজন পুজারী ছিল। তিনি কয়েকদিন আগে চলে গেছেন। খুব শীঘ্রই মন্দির পরিস্কার পরিছন্ন এবং দেখাশুনা করার জন্য একজন পূজারী নিয়োগ দেয়া হবে। তবে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে মন্দির দর্শনে আসা মানুষ এবং ভক্তদের জন্য বসার স্থান, খাওয়ার জন্য ভালো হোটেল এবং আবাসিক ভবন গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।

    তিনি আরও জানান, এ মন্দিরের নিজস্ব মালিকানায় প্রায় ২৪ বিঘা জমি, একটি আম ও জাম বাগান এবং একটি বড় পুকুর রয়েছে। যা প্রায় দেড় লাখ টাকায় ইজারা দেয়া হয়েছে। মেলায় প্রায় লক্ষাধিক টাকা আয় আসে। দুটো আয় দিয়ে চলতি বছরই সীমানা প্রাচীর নির্মাণসহ মন্দিরে নানা উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

    তবে মন্দিরের সম্পত্তি অনেকেই অবৈধ ভাবে দখল করে আত্মসাত করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। মন্দির পরিচালনা কমিটি কিংবা উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার অবগত করলেও সেদিকে গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগ স্থানীয়দের।
    নেকমরদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এনামুল হক মন্দির সম্পর্কে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমি আফরিদা বলেন, মেলা পরিচালনা কমিটি যাবতীয় দেখাশুনার দায়িত্বে রয়েছে মন্দিরের। তাছাড়া তাদের দেয়া চাহিদা অনুযায়ী মন্দিরের উন্নয়নের জন্য একটি পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট অধিদফতরে প্রেরণ করা হয়েছে।

  • রাণীশংকৈলে শিশু ধর্ষণচেষ্টায় বৃদ্ধ আটক

    রাণীশংকৈলে শিশু ধর্ষণচেষ্টায় বৃদ্ধ আটক

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টায় ৭০ বছরের এক বৃদ্ধকে আটক করেছে রাণীশংকৈল থানা পুলিশ।

    এ ঘটনাটি ঘটে ২১ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায়  যদুয়ার গ্রামে।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মুনিষগাঁও উত্তর পাড়া গ্রামের ৭ বছরের ওই মেয়েটি যদুয়ার গ্রামের তার নানা বাড়িতে পড়ালেখা করতো। শুক্রবার বিকেলে যদুয়ার গ্রামের মৃত নজিতুল্লার ছেলে জামাল উদ্দীন ওরফে নেনকু (৭০) মেয়েটিকে ১০ টাকা দেওয়ার কথা বলে তাকে ফুসলিয়ে বাড়ির পার্শ্বে দবিরুলের গম ক্ষেতের শ্যালো মেশিন ঘরের পার্শ্বে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ওই গ্রামের কুলসুম বেগম ও বৃষ্টি আক্তার বিষয়টি দেখে সন্দেহ করে। তারা দ্রুত মেয়ের নানী ও খালাকে খবর দিলে আশেপাশের লোকজনকে নিয়ে এসে জামাল উদ্দীনকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়।

    পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে থানায় নিয়ে আসে। পরে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (৪) (খ) ধারায় মামলা করেন।

    এ ঘটনার সত্যাতা নিশ্চিত করেন রাণীশংকৈল থানার ওসি তদন্ত খায়রুল আনাম ডন বলেন, আসামিকে আজ জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।