ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী এমপি বলেছেন, ওরশ, ওয়াজ-মাহফিল কিংবা বিয়ে-শাদীতে বিকট আওয়াজের মাইক লাগানো হয়। এ শব্দ সন্ত্রাসে জনজীবন বিপন্ন; রোগীরা কষ্ট পাচ্ছে, শিক্ষার্থীরা মারাত্মক সমস্যার সম্মূখীন হচ্ছে। তাই রাত ১০টার পর আর কোন মাইক ফটিকছড়িতে বাজাতে দেয়া হবে না। প্রয়োজনে প্রথম নোটিশ আমাদের ৫ ভাইকে দিয়ে শুরু করা হোক; কেননা- আগামী ২০ ফেব্রুয়ারী আমার পিতার ওরশ। সে ওরশ থেকেই এ শব্দ নিয়ন্ত্রণ চালু করা হোক। কারণ- আরো ৪ বছর আমি এমপি আছি; জনগণের জন্য কিছু করে যেতে চাই।
তিনি আরো বলেন, আমি ওয়াজ-মাহফিলের বিরোধী নই। কিন্তু ওয়াজ মাহফিলের নামে কারো বিরুদ্ধে কোন উদ্দেশ্য মূলক বক্তব্য দেয়া যাবে না। কোন মাহফিলে শেখ হাসিনার বিপক্ষে কথা বললে কিংবা সাঈদীর পক্ষে বক্তব্য দিলে মেনে নেয়া হবে না। সে ওয়াজ-মাহফিলে আমাদের আ’লীগ-ছাত্রলীগের কোন জনপ্রতিনিধি কিংবা নেতা গেলে তাদের বিরুদ্ধেও মামলা দিতে হবে এবং আটক করতে হবে।
তিনি বলেন, আজহারী-আমির হামজাসহ ১০০ আলেম দিয়ে দেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষ তৈরীর পরিকল্পণা হাতে নিয়ে একটি মহল মাঠে নেমেছে। তারা ওয়াজ মাহফিলের শুরুতে কিছু ভাল কথা বলার পর সুর হয়ে যায় উদ্দেশ্য প্রণোদিত; যা মেনে নয়া যায় না। এখন থেকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত কথা বললে সারা দেশে মামলা শুরু হবে।
তিনি আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) ফটিকছড়ি উপজেলা আইন-শৃংখলা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
উপজেলা পরিষদের মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক হল রুমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সায়েদুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন মোঃ আবু তৈয়ব, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ছালামত উল্লাহ চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন নাহার মুক্তা, ফটিকছড়ি পৌর মেয়র মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, নাজিরহাট পৌর মেয়র এসএম সিরাজুদ্দৌল্লাহ, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধূরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ জানে আলম, ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, মুহাম্মদ অহিদুল আলম, সোহরাব হোসেন সৌরভ, ফটিকছড়ি প্রেসক্লাব সভাপতি সৈয়দ জাহেদুল্লাহ কুরাইশী প্রমূখ।
পরে উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন মোঃ আবু তৈয়বের সভাপতিত্বে উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইউপি চেয়ারম্যান ও সরকারী কর্মকর্তাগণ বক্তব্য রাখেন।