Tag: রাষ্ট্রপতির আহ্বান

  • সীমান্ত হত্যা বন্ধে বিজিবিকে আরো তৎপর হতে রাষ্ট্রপতির আহ্বান

    সীমান্ত হত্যা বন্ধে বিজিবিকে আরো তৎপর হতে রাষ্ট্রপতির আহ্বান

    রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন চোরাচালান, মাদক ও সীমান্ত হত্যা বন্ধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কে আরো তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

    আজ দুপুরে বঙ্গভবনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান রাষ্ট্রপতির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।

    রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন জানান, সাক্ষাৎকালে বিজিবি প্রধান এই বাহিনীর অপারেশনাল কার্যক্রমসহ সার্বিক কর্মকান্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।

    দেশের ৪,৪২৭ কিলোমিটার সীমান্ত রক্ষায় বিজিবির দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকারও প্রশংসা করেন রাষ্ট্রপ্রধান।

    রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন মাদকের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে “জিরো টলারেন্স নীতি” নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন বাংলাদেশের সীমান্ত নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত এই আধাসামরিক বাহিনীকে।

    সামনে জাতীয় নির্বাচন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, “নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করতে যেকোনো ধরনের অনুপ্রবেশ বন্ধে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে।”

    এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহউদ্দিন ইসলাম এবং সচিব (সংযুক্ত) মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

  • দেশবাসীকে ঘরে বসে ঈদের আনন্দ উপভোগ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

    দেশবাসীকে ঘরে বসে ঈদের আনন্দ উপভোগ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

    দেশবাসীকে ঘরে বসে ঈদের আনন্দ উপভোগ করার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

    আজ সোমবার (২৫ মে) ঈদুল ফিতরের জামাতে অংশগ্রহণ শেষে দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনের দরবার হলে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠিত ঈদের জামাতে অংশ নেন। সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত ঈদের জামাতে রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্য এবং বঙ্গভবনের একান্ত প্রয়োজনীয় কর্মকর্তা অনুসারীরা অংশ নেন।

    জামাতে ইমামতি করেন বঙ্গভবন জামে মসজিদের পেশ ইমাম সাইফুল কাবীর। নামাজ শেষে মুসলিম উম্মার মঙ্গল কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়।

    এসময় রাষ্ট্রপতি দেশবাসীসহ বিশ্ববাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘ঈদুল ফিতর মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা ও সংযম পালনের পর অপার খুশি আর আনন্দের বারতা নিয়ে পালিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর।’

    শুভেচ্ছা বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি মহামারি করোনা ও ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি নিহতদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি এবং আক্রান্ত ও আহতদের আশু আরোগ্য কামনা করেন। এসময় তিনি দুর্যোগে দেশের বিত্তবান ও স্বচ্ছল ব্যক্তিবর্গকে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

    ঈদের দিনটি বড়ই আনন্দের ও খুশির উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ঈদের এ আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে সবার মাঝে, গ্রামগঞ্জে, সারাবাংলায়, সারাবিশ্বে। কিন্তু এবার এমন একটা সময়ে আমরা ঈদুল ফিতর উদযাপন করছি, যখন সারাবিশ্ব কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণে বিপর্যস্ত। বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলছে। এ সময়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যথাযথ সামাজিক দায়িত্ব পালন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঈদের আনন্দ করতে গিয়ে আমরা যেন এমন কিছু না করি, যা নিজের ও অপরের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই আসুন, ঘরে বসেই আমরা ঈদের আনন্দ উপভোগ করি এবং আমাদের চারপাশে যেসব অসহায় মানুষ আছে, তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসি। নিজে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি এবং অন্যকেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উৎসাহিত করি।’

    ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রসঙ্গ টেনে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষ তাদের সহায়-সম্বল হারিয়ে অনিশ্চয়তার মাঝে দিনাতিপাত করছে। সরকার ইতোমধ্যে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের জন্য জরুরিভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা ও নগদ অর্থসহ বিভিন্ন সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।’

    ঈদের শিক্ষা সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। মানবিক মূল্যবোধ, পারস্পরিক সহাবস্থান, পরমতসহিষ্ণুতা ও সাম্যসহ বিশ্বজনীন কল্যাণকে ইসলাম ধারণ করে। ইসলামের এই সুমহান বার্তা ও আদর্শ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তুলুক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন। ঈদুল ফিতরের শিক্ষা সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, এ প্রত্যাশা করি। নিজে ভালো থাকি, অন্যকে ভালো রাখি— এটাই হোক এবারের ঈদে সবার অঙ্গীকার। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে করোনার ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করুন।’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

    সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

    রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ নেতৃত্বের প্রতি পরিপূর্ণ অনুগত থেকে কঠোর অনুশীলন, শৃঙ্খলা, পেশাগত দক্ষত, কর্তব্য নিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তিকে সম্মুন্নত রাখার জন্য ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি)’র স্নাতকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

    রাষ্ট্রপতি আজ মিরপুর সেনানিবাসে এনডিসি পুনর্মিলনী ২০২০ অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান।

    তিনি আরো বলেন, ‘নেতৃত্বের প্রতি গভীর আস্থা, পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ, পেশাগত অভিজ্ঞতা ও শৃঙ্খলা যে কোন বাহিনীর উন্নয়নের পূর্বশর্ত।’
    বর্তমান সরকার সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকীকরণে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ প্রণয়ন করেছে উল্লেখ করে যথাযথ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে বাহিনীর ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখাতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর জন্য তিনি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।

    রাষ্ট্রপতি সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক কর্মকান্ডের প্রশংসা করে বলেন, তারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা তাদের নিয়মিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ গঠনমূলক কাজে ও জাতীয় দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তেও বেসামরিক প্রশাসনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা দিয়ে থাকেন।

    তিনি আরো বলেন, ‘পাশাপাশি, দেশের বাইরে বিভিন্ন শান্তিরক্ষী মিশনগুলোতে সততা, নিষ্ঠা ও শৃঙ্খলার সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে তারা বিশ্বের দরবারে আমাদের দেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করছেন।’

    জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান অনুসৃত ‘সকালের সাথে বন্ধুত্ব। কারো সাথে বৈরীতা নয়।’ এ মূলমন্ত্র অনুসরণ করেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি পরিচালিত হচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্ব শান্তি রক্ষার পাশাপাশি জাতীয় উন্নয়নে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

  • ফরমালিন ও খাবারে ভেজাল মিশ্রণকারী অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জোর প্রচারণা চালাতে রাষ্ট্রপতির আহ্বান

    ফরমালিন ও খাবারে ভেজাল মিশ্রণকারী অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জোর প্রচারণা চালাতে রাষ্ট্রপতির আহ্বান

    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ফলের সঙ্গে ফরমালিন ও খাবারে ভেজাল মিশ্রণকারী অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আন্দেলন জোরদার করার জন্য রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানিয়েছেন।

    রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, যিনি রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)-এর চ্যান্সেলরও। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় এ আহ্বান জানান।

    তিনি ছাত্রছাত্রীদের খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধে যথাযথ ভূমিকা রাখতে বলেছেন, যা ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করছে।

    রাষ্ট্রপতি কটাক্ষ করে বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে খাদ্য ভেজালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি’। তিনি বলেন, ‘আমি আজ অবধি ৮০ থেকে ৮৫টি দেশ ঘুরেছি। অন্য দেশগুলোতে, এমনকি প্রতিবেশী দেশ ভারত ও নেপালেও খাবারে এই জাতীয় ভেজাল ও ফরমালিনের ব্যবহার দেখিনি।’

    রাষ্ট্রপতি ফলের সঙ্গে ফরমালিন মিশ্রণের বিরূপ প্রভাব-এর বিরুদ্ধে জোরালো প্রচার চালিয়ে যেতে শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, অন্যথায় একটি জাতি হিসেবে ‘আমরা পঙ্গু হয়ে যাব এবং ধ্বংসও হব।’

    বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে আবদুল হামিদ বলেন, শিক্ষার্থীদের ফরমালিনের খারাপ প্রভাব থেকে নিজেকে বাঁচাতে হবে। আর এ জাতীয় ক্ষতিকারক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে জনগণকে জাগ্রত করতে হবে এবং অসাধু ব্যবসায়ীদেরও উপযুক্ত শিক্ষা দিতে হবে।

    রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ রোগীদের সঙ্গে কিছু বাংলাদেশী চিকিৎসকের খারাপ ব্যবহারের সমালোচনা করেন, বিশেষত যারা তাদের (রোগীদের) ভারতে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে বাধ্য করছেন।

    তিনি বলেন, ‘যদি রাজশাহী, খুলনা, যশোর এবং অন্যান্য কিছু অঞ্চলের বাসিন্দারা অসুস্থ হয়ে পড়েন, তারা কলকাতার হাসপাতালে চলে যান। তিনি প্রশ্ন রাখেন, কেন এটি প্রায়ই ঘটে চলেছে? এটি কেবল আমাদের চিকিৎসক, তাদের সহায়তাকারী এবং নার্সদের বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ এবং মনোভাবের অভাবের কারণে। কলকাতা হাসপাতালে প্রায় ৮০ শতাংশ রোগী বাংলাদেশ থেকে যায়। মনে হয় আপনি যেন সেখানে বাংলাদেশেই আছেন। আমাদের এ থেকে মুক্তি পেতে হবে।’

    রাষ্ট্রপতি রাজনীতিবিদ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ দেশের মানুষকে এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ঐক্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।

    আবদুল হামিদ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদেরকে শিক্ষা ও দেশ এবং মানবজাতির কল্যাণ সাধনের লক্ষ্যে যাতে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

    তিনি উপযুক্ত ও সঠিক প্রযুক্তির উদ্ভাবনে মনোনিবেশ করার দিকেও জোর দিতে বলেন, যার মাধ্যমে মানুষ নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। তিনি বলেন, ‘দেশের উচ্চশিক্ষাকে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে যান, যাতে অন্যরা আমাদের অনুসরণ করতে পারে।’

    রাষ্ট্রপতি স্নাতক এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের প্রতি ২০২০ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে দেশের মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে অবদান রাখার আহ্বান জানান।

    সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ২,৫৮৬ জন প্রকৌশল শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

    সমাবর্তন বক্তা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেক অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক সাইফুর রহমান বক্তব্য রাখেন এবং রুয়েটের উপাচার্য রফিকুল ইসলাম শেখ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।