Tag: রাষ্ট্রপতি

  • তথ্যপ্রযুক্তি’র উন্নয়ন সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির

    তথ্যপ্রযুক্তি’র উন্নয়ন সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির

    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আজ তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) খাতের উন্নয়ন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাত সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

    শনিবার রাজধানীর বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘চতুর্থ ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ উদ্বোধনকালে রাষ্ট্রপতি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এ কথা বলেন। ওই অনুষ্ঠানে এবারের ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের কার্যক্রম রাষ্ট্রপতি উদ্বোধন করেন।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘প্রযুক্তি উন্নয়নের হাতিয়ার। তাই অনুকরণের পরিবর্তে আমাদের উদ্ভাবনের ওপর জোর দিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘জিডিটাল বাংলাদেশের সুফল মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে আমাদের নতুন ও পরিবর্তিত প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।’

    আব্দুল হামিদ বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি হচ্ছে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার। এর ফলে বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন ও অগ্রগতির অপার সম্ভাবনার পাশাপাশি বহুমুখী চ্যালেঞ্জেরও সৃষ্টি হয়েছে। নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে প্রযুক্তি দ্রুত পরিরর্তিত হচ্ছে। এমনকি প্রযুক্তি এতোটাই দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে যে- এর ফলে অনেক প্রযুক্তি অচল হয়ে যাচ্ছে। তিনি সকল-ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অপব্যবহার রোধ এবং এ লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, আমাদের তথ্যপ্রযুক্তির ফলে সৃষ্ট সকল সুযোগকে যথাযথভাবে কাজে লাগানোর পাশাপাশি এর অপব্যবহার রোধে সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।’ বুদ্ধিমত্তা ও নতুন প্রযুক্তির সাথে খাপ খাইয়ে নেয়ার সক্ষমতার দিক থেকে যুবসমাজকে যথেষ্ট দক্ষ ও উদ্যোগী উল্লেখ করে আব্দুল হামিদ বলেন, ‘এজন্য, তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হলে, তারা দেশকে কাক্সিক্ষত উন্নয়নের লক্ষ্যে পৌঁছে দিবে।’

    কোভিড-১৯ মহামারীকালে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস পালনের গুরুত্ব তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মুজিব শতবর্ষে দাঁড়িয়ে আমাদের একইসাথে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। দুনিয়া বদলে দেওয়া করোনা মহামারী মোকাবিলার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে সরকার নিরলস প্রয়াস চালাচ্ছে।’

    তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে করোনা মহামারীর এই কঠিন সময়ে দূরে থেকেও আমরা পরস্পর সংযুক্ত থাকতে পারছি। চতুর্থবারের মতো ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপযাপনের এই আয়োজন বিশেষ গুরুত্ব বহন করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে গ্রাম ও শহরের মধ্যে দূরত্ব হ্রাস পাচ্ছে।’ আব্দুল হামিদ বলেন, গত তিন বছর ধরে ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস পালন করে আসছে আইসিটি ডিভিশন। এবার এর চতুর্থ আসর। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতিহার অনুযায়ী এবারের ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘যদিও মানছি দূরত্ব, তবুও আছি সংযুক্ত’।

    তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবাষির্কী ও আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’র একটা যুগসন্ধিক্ষণ হচ্ছে ২০২১ সাল। এই যুগসন্ধিক্ষণে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গঠনে আমাদের নিরলস প্রয়াস চালাতে হবে। ২০২১ সালের মধ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠনে সফলতার পথ ধরে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গঠনের পথে আরও সাহস ও আত্মবিশ্বাসের সাথে এগিয়ে যেতে পারবো এ প্রত্যাশা করছি।

    রাষ্ট্রপতি আশা করেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে একটি ‘উন্নত বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে ‘জিডিটাল বাংলাদেশ’ গঠনের সফলতার পথ ধরে আমরা আরো সাহসিকতা ও আত্মবিশ্বাসের সাথে সামনে এগিয়ে যেতে পারব।’

    অনুষ্ঠানে, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য ১৫ ব্যক্তি, দল ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেওয়া হয়। এছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে শিশুশিল্পীদের একটি নাটিকার ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।

    তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিতি ছিলেন ডাক, টেলি যোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ্, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম এবং বঙ্গভবন সংশ্লিষ্ট সচিবগণ।

  • পুলিশ সদস্যদের নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের আহবান রাষ্ট্রপতির

    পুলিশ সদস্যদের নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের আহবান রাষ্ট্রপতির

    রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, পুলিশ ও জনগণের পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

    আগামীকাল ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২০’ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ’ এই নীতির আলোকে কমিউনিটি পুলিশিং পরিচালিত হচ্ছে। মানুষের মন থেকে পুলিশভীতি দূর করতে হবে। পুলিশ সদস্যদের পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে জনগণের মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থাকে সামাজিক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

    বাংলাদেশ পুলিশ আয়োজিত ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২০’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এবার ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২০’ এর প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের মূলমন্ত্র কমিউনিটি পুলিশিং সর্বত্র’ অত্যন্ত যথার্থ ও সময়োপযোগী বলে আমি মনে করি।’

    তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে। সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমন, গণতন্ত্র রক্ষা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে পুলিশের উল্লেখযোগ্য সাফল্য রয়েছে। বিশেষভাবে করোনাক্রান্তিকালে মানবসেবার মাধ্যমে পুলিশ সদস্যগণ দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব ও মানবিকতার যে অনুপম নিদর্শন স্থাপন করেছে, তা সাধারণ মানুষের কাছে পুলিশের ভাবমূর্তি ও মর্যাদা বহুলাংশে উজ্জ্বল করেছে।

    মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের যথাযথ প্রসার ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধিকল্পে সকলের মধ্যে স্বচ্ছ ও সুস্পষ্ট ধারণা তৈরি ও বাস্তব ক্ষেত্রে তা প্রয়োগের ক্ষমতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পুলিশ ও জনগণকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে।

    তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার যে যাত্রা আমরা শুরু করেছি, ইতোমধ্যে অনেক ক্ষেত্রেই আমরা সে যাত্রায় সফলতা অর্জন করতে পেরেছি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশও একান্ত সারথী হিসেবে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’

    রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশকে জনগণের পুলিশ হিসেবে গড়ে তুলতে পুলিশ সদস্যদের সদা সচেষ্ট থাকতে হবে। একটি জনবান্ধব পুলিশি ব্যবস্থার ক্ষেত্রে কমিউনিটি পুলিশিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস।

    তিনি ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২০’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • করোনায় মারা গেলেন রাষ্ট্রপতির ছোট ভাই

    করোনায় মারা গেলেন রাষ্ট্রপতির ছোট ভাই

    করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ছোট ভাই ও সহকারী একান্ত সচিব মুক্তিযোদ্ধা মো: আবদুল হাই (ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

    বৃহস্পতিবার রাত ১ টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তিনি মৃত্যুবরণ করেন। রাষ্ট্রপতির এডিসি আরিফুর রহমান খবরটি নিশ্চিত করেন।

    তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ৫ জুলাই রাষ্ট্রপতির ছোট ভাই আবদুল হাইকে ঢাকা সিএমএইচের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আইসিইউতে নেয়া হয়।তাকে প্লাজমা থেরাপিসহ নিবিড় চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছিল। কিন্তু চিকিৎসকদের সকল চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে তার মৃত্যু হয়।

    মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক। তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে ঢাকায় বসবাস করছিলেন। তার শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে গত ২ জুলাই নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    আবদুল হাইয়ের ছেলে ব্যবসায়ী সাইফ মো. ফারাবিও কিছুদিন আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি সুস্থ হয়ে উঠেন।

    নয় ভাই-বোনের মধ্যে আবদুল হাই ছিলেন অষ্টম। তার জন্ম হয়েছিল ১৯৫৩ সালে। আবদুল হাই রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিবের দায়িত্ব পালন করছিলেন। রাষ্ট্রপতির ভাই মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী শোক প্রকাশ করেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • রাষ্ট্রপতি দেশে ফিরেছেন

    রাষ্ট্রপতি দেশে ফিরেছেন

    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ উরুগুয়ে এবং লন্ডনে ১১ দিনের সরকারি সফর শেষে আজ বিকেলে দেশে ফিরেছেন।

    কাতার এয়ারওয়েজের একটি নিয়মিত বিমান রাষ্ট্রপতি ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে আজ বিকেল ৪টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

    বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে পৌঁছানোর পর রাষ্ট্র প্রধানকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, কূটনীতিক কোরের ডিন আর্চবিশপ জর্জ কোচারি, বাংলাদেশে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত জোয়াও তাবাজারা ডি অলিভিইরা জুনিয়র, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব,পররাষ্ট্র সচিব এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানান।

    এর আগে, রাষ্ট্রপতি মন্টেভিডিওতে উরুগুয়ের প্রেসিডেন্ট কমান্ড হস্তান্তর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এবং লন্ডনে কিছু বেসরকারী কর্মসূচিতে অংশ নিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি উরুগুয়ের উদ্দেশে ১১ দিনের সফরে ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন।

  • সীমান্তে চোরাচালান রোধে সজাগ থাকুন: বিজিবিকে রাষ্ট্রপতি

    সীমান্তে চোরাচালান রোধে সজাগ থাকুন: বিজিবিকে রাষ্ট্রপতি

    রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ সব ধরনের লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে উঠে সীমান্তে চোরাচালান রোধে সর্বদা সজাগ থাকতে আজ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

    চট্টগ্রামে বিজিবি’র ৯৪তম রিক্রুট ব্যাচের শপথ গ্রহণ ও প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, ‘আপনাদের চরিত্রের কঠোরতার পাশাপাশি মানবিক গুণাবলীর বিকাশ ঘটাতে হবে। আপনাদের লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে থেকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

    আব্দুল হামিদ দেশ ও জাতির প্রয়োজনের পাশাপাশি ভবিষ্যতে জনকল্যাণমূলক কাজে সম্পৃক্ত হতে বিজিবির নতুন সদস্যদের পরামর্শ দেন। ১৯৭৪ সালের ৫ ডিসেম্বর এ বাহিনীর তৃতীয় রিক্রুট ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সীমান্ত এলাকাগুলোতে চোরাচালানের বিরুদ্ধে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে গেছেন।’

    তিনি ওই অনুষ্ঠানে দেয়া বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতা উদ্ধৃত করে বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, স্মাগলারদের কোন জাত নাই, ধর্ম নাই, তারা মানুষ নামের নরপশু। ওরা সামান্য অর্থের লোভে এ দেশের সম্পদকে বিদেশে চালান দেয়।’

    রাষ্ট্রপতি হামিদ বিজিবির নতুন সদস্যদের প্রতি এই বাহিনীর সীমান্তে পাহারার সুনাম বৃদ্ধির লক্ষে সততা, নিষ্ঠা, কর্মদক্ষতার পাশাপাশি সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব প্রদর্শনের মাধ্যমে অক্লান্তভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন। অন্যান্য বাহিনীর নারী সদস্যদের অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি বিজিবি’র নারী সদস্যদেরও প্রশংসা করে বলেন, তারা কর্মক্ষেত্রে কাজের মাধ্যমে তাদের যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতা প্রমাণ করে নিজেদের শপথ রক্ষা করতে পারবেন।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের রয়েছে দু’শত বছরের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্য। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই দেশমাতৃকার সেবায় এই বাহিনীর সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছে।

    তিনি আরো বলেন, বিজিবি সদস্যরা দেশের অভ্যন্তরে যে কোন দুর্যোগময় মুহূর্তে জনগণের সেবায় তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং সাধারণ মানুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছে।
    সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছুলে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. শাফিনুল ইসলাম তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে বীর উত্তম মুজিবুর রহমান প্যারেড গ্রাউন্ডে একটি আকর্ষনীয় কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়।

    রাষ্ট্রপতি ছাদখোলা জিপে দাঁড়িয়ে প্যারেড গ্রাউন্ডের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন।

    এ সময় রাষ্ট্রপতির সাথে ছিলেন বিজিবি প্রধান মেজর জেনারেল শাফিনুল ইসলাম এবং বিজিটিসি’র কমান্ড্যান্ট ও সি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওমর জাহিদ।

    ৯৪তম ব্যাচে ২৪ সপ্তাহের প্রশিক্ষণ শেষে ৪৯ নারীসহ মোট ৫৪৪ জন নতুন সদস্য বাহিনীতে রিক্রুট হয়েছে। গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর এই ব্যাচ শুরু হয়।

    রাষ্ট্রপতি হামিদ পরে বিজিবি’র সেরা শিক্ষানবিশদের হাতে পদক তুলে দেন। তিনি একটি কেক কাটেন এবং অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে ফটো সেশনে অংশ নেন।

    জাতীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ, চিফ অব আর্মি স্টাফ জেনারেল আজিজ আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দিন, রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবগণ, কূটনীতিকবৃন্দ এবং সামরিক ও বেসামরিক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

  • সেনা সদস্যদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের আহ্বান রাষ্ট্রপতির

    সেনা সদস্যদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের আহ্বান রাষ্ট্রপতির

    রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ আজ জাতীয় পতাকার সম্মান রক্ষার্থে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

    রাষ্ট্রপতি আজ বন্দর নগরী চট্টগ্রামের হালিশহর আর্টিলাটি সেন্টার ও স্কুলে এয়ার ডিফেন্স রেজিমেন্টের চার আর্টিলারির জাতীয় পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান।

    তিনি আরো বলেন, ‘জাতীয় পতাকা স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক। তাই পতাকার মান রক্ষা করা সকল সৈনিকের পবিত্র দায়িত্ব। এই পতাকার সম্মান রক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে তাদের সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে।’

    সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি জরুরি পরিস্থিতির পাশাপাশি মাতৃভূমির অস্তিত্ব রক্ষায় যে কোন দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন।

    ১, ২, ৩ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি ও ৩৮ এয়ার ডিফেন্স রেজিমেন্ট আর্টিলারির জাতীয় পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, দেশ ও জাতীর প্রয়োজনে জনকল্যাণমূলক কাজেও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের অবদান রাখতে হবে।

    এ বিষয়ে তিনি বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের কর্তব্যনিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, তাদের জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ও মুক্তিযুদ্ধের চেতানায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হবে।

    আধুনিকায়ন ও প্রযুক্তি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত উল্লেখ করে তিনি সকল সদস্যকে আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় কারিগরি ও ও পেশাগত জ্ঞান অর্জনের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

    রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, ‘একটি আধুনিক, সময় উপযোগী ও শক্তিশালী সামরিক বাহিনী যে কোন দেশের জন্য অপরিহার্য।’

    তিনি আরো বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘প্রতিরক্ষা নীতি’ প্রণয়ন করেন। এই নীতির আলোকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামোর বিন্যাস ও পরিবর্তনের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ‘ফোর্স গোল-২০৩০’ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামো বিন্যাস ও পরিবর্তনের পাশাপাশি আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে।

    তিনি আরো বলেন, ‘আধুনিক বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বর্তমান সরকার আধুনিক সমরাস্ত্র, আর্টিলারি গান ও আধুনিক ইনফ্যান্ট্রি গ্যাজেটের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে।’

    মূল কার্যক্রমের পাশাপাশি জাতিগঠনমূলক কর্মকা-ে অসধারণ অবদানের জন্য রাষ্ট্রপতি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, তারা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়, ভোটার ডাটাবেজ তৈরি ও জরুরি মুহূর্তে বেসামরিক প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।

    রাষ্ট্রপতি প্যারেড গ্রাউন্ডে কুঁচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন।
    অনুষ্ঠানের পর রাষ্ট্রপতি সিনিয়র কর্মকর্তাদের সাথে ছবি তুলেন এবং দর্শনার্থীদের বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

    এর আগে, রাষ্ট্রপতি প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছুলে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।

    অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য, উচ্চ পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, কূটনীতিক ও রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবগণ।

  • একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন

    একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন

    একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে জাতির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    এ সময় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী/আমি কি ভুলিতে পারি’ গানের সুর বাজতে থাকে। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

    রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

    রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রী, কূটনীতিকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

    এ সময় অন্য কাউকে সেখানে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। পরে শহীদ মিনার সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

  • রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত

    রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন।

    রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদিন জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বিভিন্ন বিষয় বিশেষ করে সম্প্রতি তাঁর ইতালি, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং স্পেন সফর নিয়ে আবদুল হামিদের সঙ্গে আলোচনা করেন।’

    প্রেস সচিব বলেন, সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী একে অপরের স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেন।

    প্রধানমন্ত্রী সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে বঙ্গভবনে পৌঁছেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও তাঁর পত্নী রাশিদা খানম এ সময় তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান।

    প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতির নৈশভোজে যোগ দেন।

    এ সময় অন্যান্যের মধ্যে রাষ্ট্রপতির পত্নী রাশিদা খানম, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

  • কাদেরকে দেখতে বিএসএমএমইউতে রাষ্ট্রপতি

    কাদেরকে দেখতে বিএসএমএমইউতে রাষ্ট্রপতি

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে হাসপাতালে দেখতে গেলেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

    রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে যান আবদুল হামিদ ও তার স্ত্রী।

    এসময় বিএসএমএমইউ ভিসি অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া, সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকসহ রাষ্ট্রপতির দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    শুক্রবার সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন কাদের। পরদিন সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয় তাকে।

  • মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে: কুবিতে রাষ্ট্রপতি

    মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে: কুবিতে রাষ্ট্রপতি

    তাসফিক আব্দুল্লাহ, কুবি প্রতিনিধি : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রথম সমাবর্তনে শিক্ষার্থীদের মাদক থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ৷ পুরো বাংলাদেশ আজ মাদক-ইয়াবায় সয়লাব হয়ে যাচ্ছে এবং এতে দেশের তরুণেরা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে তিনি গ্র্যাজুয়েট ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।

    সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকাল ৩ টা থেকে শুরু হয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিষেক সমাবর্তনের আনুষ্ঠানিকতা। রাষ্ট্রপতির আগমনের সাথে সাথে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠে গ্র্যাজুয়েটরা।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘দেশে মাদক ঢোকার একটি অন্যতম রুট হচ্ছে কুমিল্লা। আমি অত্যন্ত ব্যথিত যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো জায়গায় এই মাদকের বিস্তার সবচাইতে বেশি। মাদকের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নিতে হবে। শিক্ষার্থীদের মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’

    বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনে বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ব সেরা অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সমাবর্তন বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমাদের যেসব প্রতিকূলতা আছে আসন্ন চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের তালে সেগুলো মানিয়ে নিতে হবে। ব্রিটেনের অনেক গ্রামে ব্রডব্যান্ড নাই। সেই তুলনায় আমাদের গ্রামগঞ্জে ইন্টারনেট পৌঁছে গেছে। আমরা আশাবাদী ২০২৪ সালের মধ্যে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকংকে পিছিয়ে অর্থনীতিতে এগিয়ে যাবো।’

    এছাড়াও সমাবর্তনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ।

    শিক্ষা উপমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রে সফল হতে হলে হাতেকলমে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। শুধু পুঁথিগত বিদ্যায় আবদ্ধ থাকলেই চলবেনা নিতে হবে ব্যবহারিক শিক্ষাও। কেউ ব্যবসা প্রশাসন পড়লে তাকে পাশাপাশি প্রযুক্তির জ্ঞানটাও অর্জন করতে হবে।’

    বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমি বিশেষভাবে আপ্লুত এখানে এসে যে এটি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন। সকল গ্র্যাজুয়েটদের তাদের কর্মক্ষেত্রে অর্জিত শিক্ষা কাজে লাগাতে হবে। আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে আপনারাই এগিয়ে আসবেন প্রত্যাশা করি। আপনাদেরকে সঠিক কাজটি করতে হবে।’

    সমাবর্তনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধুরী। তাঁর বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘প্রথমবারের মতো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন আয়োজিত হচ্ছে। উপাচার্য হিসেবে আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আজ যারা চূড়ান্ত সনদ পাচ্ছো তারা ভবিষ্যতে সফল হলেই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সফলতা।’

    বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মহামান্য রাষ্টপতির ঘোষণার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন।

    শিক্ষার্থীদের সনদ প্রাপ্তি উদযাপনে সন্ধ্যার পর আয়োজিত হবে কনসার্ট। যেখানে উপস্থিত থাকবেন নগর বাউল জেমস।

  • সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে হবে : রাষ্ট্রপতি

    সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে হবে : রাষ্ট্রপতি

    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ডিভোর্সসহ নানাবিধ সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে ছাত্রদেরকে উদ্যোগী হয়ে জোর অভিযান চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

    তিনি বলেন, ডিভোর্স সংস্কৃতি, বিদেশী সংস্কৃতির প্রতি ঝোঁকসহ সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা জোরদার করতে গ্রাজুয়েটদেরই দায়িত্ব নিতে হবে।

    রাষ্ট্রপ্রধান আজ সন্ধ্যায় ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রথম সমাবর্তনে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

    রাষ্ট্রপতি হামিদ গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশে বলেন, বর্তমানে দেশে ডিভোর্সের হার অনেক বেড়ে গেছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও লজ্জাজনক। কেননা আমাদের কালচারে এমনটা হবার কথা নয়। সামাজিক অবক্ষয় দূর করার জন্য তোমাদেরকে দায়িত্ব নিতে হবে। তোমাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। তা না হলে আমাদের ভবিষ্যৎ আসলেই ভালো হবে না।

    তিনি কোমল পানীয় এবং ফাস্টফুড খাওয়ার ব্যাপারে সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেন চিকিৎসা বলেন এটা মোটেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। ছাত্র ভর্তি থেকে শুরু করে শিক্ষক নিয়োগ, প্রশ্ন প্রণয়ন ও খাতা মূল্যায়ন, ক্যারিকুলাম প্রণয়ন ও টিউশন ফি নির্ধাণসহ সকল বিষয়ে নিয়মনীতি মেনে চলতে হবে।

    তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে শিক্ষা কোন বাণিজ্যিক পণ্য নয়। যারা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করবেন তাদেরকে সব নিয়মনীতি মেনেই চালাতে হবে।’ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে এক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। আমরা উচ্চশিক্ষার প্রসার চাই। তবে সার্টিফিকেটসর্বস্ব উচ্চশিক্ষা চাই না। তাই প্রয়োজনে ইউজিসি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, অভিভাবক ও বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করে সুনিদিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করবে এবং উচ্চশিক্ষার গুণগুত মান নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ নেবে।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, বেসরকারি খাতে প্রতিষ্ঠিত বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষার প্রসারে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখলেও সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয় বা সব উদ্যোক্তাই যে নিয়মনীতি মেনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছেন তা নয়। বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু দেশের বেসরকারি অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই আবদ্ধ বাণিজ্যিক ভবনে পরিচালিত হয় যা উন্মুক্ত জ্ঞানচর্চার পথে বড় অন্তরায়।

    তিনি বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাপী রোলমডেল।

    মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সমুন্নত রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সুখী-সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত করতে রূপকল্প-২০২১ এবং রূপকল্প-২০৪১ ঘোষণা করেছেন।

    রাষ্ট্রপতি ছাত্রদের উদ্দেশে বলেন, কখনও মিথ্যা ও অন্যায়ের সাথে আপোস করবে না। সর্বদা বিবেককে জাগ্রত রাখবে। মনে রাখবে, ব্যক্তির দুষ্কর্মের ফল ব্যক্তি একা ভোগ করে না বরং সমগ্র জাতিকে তা ভোগ করতে হয়। আমাদের নবীন গ্র্যাজুয়েটগণ জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির কল্যাণে অবদান রাখবে এটাই সকলের প্রত্যাশা।

    সমাবর্তনে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন সমাবর্তন বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে ৭০৬ জন পোস্টগ্রাজুয়েটসহ ১৬২০ জন গ্রাজুয়েট ডিগ্রি সনদ গ্রহণ করেন।

    অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, এমপি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ, ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন, উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল করিম চৌধুরী, বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ।

  • ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ প্রযুক্তিবিদ তৈরি করতে হবে : রাষ্ট্রপতি

    ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ প্রযুক্তিবিদ তৈরি করতে হবে : রাষ্ট্রপতি

    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব (৪আইআর) ও সাইবার ঝুঁকি মোকাবিলায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ও সংশ্লিষ্ট অন্যদেরকে দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ প্রযুক্তিবিদ তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছেন।

    তিনি আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন ছয় দিনব্যাপী ‘ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন এন্ড প্ল্যানিং ল্যাব’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ চতুর্থ শিল্প বিপ্লব (৪আইআর) ও সাইবার ঝুঁকি মোকাবিলা করা। তাই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে আমাদের দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ প্রযুক্তিবিদ তৈরি করতে হবে।’

    রাষ্ট্রপতি বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণার বাস্তবে রূপ দিতে ই-গভর্নেন্স কোর্স চালুসহ ‘ইন্টিগ্রেটেড ইউনিভার্সিটি ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট প্ল্যাটফর্ম দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ইউজিসিসহ সকল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘ইন্টিগ্রেটেড ইউনিভার্সিটি ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট প্ল্যাটফর্ম’ চালু হলে শিক্ষার্থীরা যেমন লাভবান হবেন, তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গতিশীলতা আসবে। সৃষ্টি হবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির পরিবেশ।’

    রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ১৫৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিফর্মড ইউনিভার্সিটি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার এবং ইন্টিগ্রেটেড ইউনিভার্সিটি ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট প্ল্যাটফর্ম তৈরির ‘ডিজাইন এবং পরিকল্পনা ল্যাব’ সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, গবেষক, দাপ্তরিক কর্মকর্তাসহ অভিভাবকগণ যে কোন জায়গা থেকে এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। তিনি বলেন, ‘এতে অর্থ ও সময়ের সাশ্রয় হবে।

    তথ্যপ্রযুক্তি আজ জীবনের অতি প্রয়োজনীয় অনুসঙ্গ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা।’

    ২০১৮ সালের শুরু থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সরাসরি নির্দেশনা, পরামর্শ ও তত্তাবধানে সকল মন্ত্রণালয়ের জন্য ২০২১ সাল পর্যন্ত ‘ডিজিটাল সার্ভিস বাস্তবায়ন পরিকল্পনা’ তৈরি করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এর ফলে অল্প সময়ের মধ্যে সরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।’

    গত ১৬ জানুয়ারি গণপূর্ত অধিদপ্তরে শুরু হওয়া ছয় দিনব্যাপী ‘ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন এন্ড প্ল্যানিং ল্যাব’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে ইউজিসি চেয়ারম্যান ড. কাজী শহীদুল্লাহ সভাপতিত্ব করেন।

    বিশ্ববিদ্যালয মঞ্জুরি কমিশন(ইউজিসি) ডিজিটাল সার্ভিস এক্সিলারেটর, এটুআই ও আইসিটি বিভাগের সহায়তায় এ অনুষ্ঠানের অয়োজন করে।

    তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি, শিক্ষা উপমন্ত্রী জনাব মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি, রাষ্ট্রপতির সচিব সম্পদ বড়ুয়া, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আখতারুজ্জামান, আইসিটি ডিভিশনের সিনিয়র সচিব, এনএম জিয়াউল আলম, এটুআই-এর ফরহাদ জাহিদ শেখ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।