Tag: রাষ্ট্রপতি

  • গণমাধ্যমে শৃংখলা ও পেশাদারিত্ব নিশ্চিতের আহ্বান রাষ্ট্রপতির

    গণমাধ্যমে শৃংখলা ও পেশাদারিত্ব নিশ্চিতের আহ্বান রাষ্ট্রপতির

    রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ গণমাধ্যমে শৃংখলা ও পেশাদারিত্ব নিশ্চিতের জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে প্রেস কাউন্সিলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

    রবিবার (১৯ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় প্রেস কাউন্সিলের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সংস্থার চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।

    এসময় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘গণমাধ্যমে শৃংখলা ও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’

    রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদিন জানান, রাষ্ট্রপতি প্রেস কাউন্সিলের প্রতিনিধিদের স্বাগত জানিয়ে আশা প্রকাশ করেন যে, প্রেস কাউন্সিল সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতার বিকাশ ও আইনি সহায়তা প্রদানে আন্তরিকতার সাথে কাজ করবে।

    রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘গণমাধ্যমের সুষ্ঠু বিকাশে প্রেস কাউন্সিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

    প্রতিনিধিদলের প্রধান রাষ্ট্রপতিকে কাউন্সিলের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করে বলেন, প্রেস কাউন্সিল সারাদেশে সাংবাদিকদের ডাটাবেজ তৈরির কাজ শুরু করেছে।

    তিনি রাষ্ট্রপতিকে আরো অবহিত করেন যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী পালন উপলক্ষে দেশের সকল প্রেস ক্লাবে ‘মুজিব কর্ণার’ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

    সংস্থার চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ রাষ্ট্রপতিকে জানান, ‘সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে প্রেস কাউন্সিল ।’

    রাষ্ট্রপতি প্রতিনিধিদলের সদস্যদের আশ্বস্ত করেন যে,তাদের কাজ যথাযথভাবে সম্পাদনের জন্য তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হবে।
    বঙ্গভবনের সংগে সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

  • সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

    সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

    রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ নেতৃত্বের প্রতি পরিপূর্ণ অনুগত থেকে কঠোর অনুশীলন, শৃঙ্খলা, পেশাগত দক্ষত, কর্তব্য নিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তিকে সম্মুন্নত রাখার জন্য ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি)’র স্নাতকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

    রাষ্ট্রপতি আজ মিরপুর সেনানিবাসে এনডিসি পুনর্মিলনী ২০২০ অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান।

    তিনি আরো বলেন, ‘নেতৃত্বের প্রতি গভীর আস্থা, পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ, পেশাগত অভিজ্ঞতা ও শৃঙ্খলা যে কোন বাহিনীর উন্নয়নের পূর্বশর্ত।’
    বর্তমান সরকার সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকীকরণে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ প্রণয়ন করেছে উল্লেখ করে যথাযথ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে বাহিনীর ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখাতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর জন্য তিনি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।

    রাষ্ট্রপতি সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক কর্মকান্ডের প্রশংসা করে বলেন, তারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা তাদের নিয়মিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ গঠনমূলক কাজে ও জাতীয় দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তেও বেসামরিক প্রশাসনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা দিয়ে থাকেন।

    তিনি আরো বলেন, ‘পাশাপাশি, দেশের বাইরে বিভিন্ন শান্তিরক্ষী মিশনগুলোতে সততা, নিষ্ঠা ও শৃঙ্খলার সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে তারা বিশ্বের দরবারে আমাদের দেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করছেন।’

    জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান অনুসৃত ‘সকালের সাথে বন্ধুত্ব। কারো সাথে বৈরীতা নয়।’ এ মূলমন্ত্র অনুসরণ করেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি পরিচালিত হচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্ব শান্তি রক্ষার পাশাপাশি জাতীয় উন্নয়নে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

  • নকলের বিরুদ্ধে সর্বস্তরে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে : রাষ্ট্রপতি

    নকলের বিরুদ্ধে সর্বস্তরে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে : রাষ্ট্রপতি

    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ পরীক্ষায় অসাধু উপায় অবলম্বন করাকে লজ্জাজনক বিষয় হিসেবে উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রচারণা চালানোর আহবান জানিয়েছেন।

    তিনি আজ এখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হিসাবে ভাষণ প্রদানকালে এ আহবান জানান।

    রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, সকল পযার্য়ে পরীক্ষায় অসাধু উপায়ের বিরুদ্ধে সবার্ত্মক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮,২৮৪ জন শিক্ষার্থীকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রির সনদ প্রদান করা হয়। এ ছাড়া আরো ১১ জন এমফিল এবং ৬ জন পিএইচডি সনদ লাভ করেন।

    রাষ্ট্রপতি পরীক্ষায় এ ধরনের অসাধু উপায় অবলম্বনের বিষয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আমার লজ্জা হয় যখন শুনি, পরীক্ষার হলে শিক্ষকরা পরীক্ষার্থীদেরকে নকল সরবারহ করেন এবং বাবা-মায়েরা পর্যন্ত পরীক্ষার হলে উত্তর পত্র সরবরাহ করেন।

    তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা বাস্তবিকই দুর্ভাগ্যজনক, কলংকজনক ও হতাশাজনক। তিনি এই অভিশাপ প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে বিশেষ করে শিক্ষক, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, পরীক্ষায় এ ধরনের অসাধু উপায় অবলম্বনের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং আমি কি বলতে চাচ্ছি, শিক্ষার্থীদের তা উপলব্ধি করতে হবে।

    রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, আমি আমার জীবনে পরীক্ষায় কয়েকবার ফেল করেছি। কিন্তু কখনো পরীক্ষায় অসাধু উপায় অবলম্বন করিনি। এমনকি পরীক্ষার হলে প্রশ্নের উত্তর কি হবে, এ বিষয়ে কখনো কারো কাছে জানতে চাইনি। এ জন্য আমি নিজে গর্ববোধ করি।

    নগরীর পুরানো ঢাকায় ধূপখোলা খেলার মাঠে এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসাবে বিশিষ্ট পদার্থবিদ অধ্যাপক ইমেরিটাস ড. অরুন কুমার বসাক বক্তব্য রাখেন।

    অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, জবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমেদও বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে কয়েকজন সংসদ সদস্য, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ, রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

    রাষ্ট্রপতি পেশার মযার্দা বিবেচনায় রেখে যে কোন ধরনের অনৈতিক চর্চা পরিহার করে তাদের স্ব স্ব দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে তাদের সততা, নিষ্ঠা ও পারদর্শিতা প্রমাণ করতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান।

    তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাকে ভাবতে হবে, আপনি যদি কোন অনিয়মের প্রশ্রয় দেন অথবা কোন দুর্নীতিতে জড়ান, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় পরিস্থিতি কি হবে।

    রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকালীন কোর্স পরিচালনায় শিক্ষকদের আগ্রহ প্রবণতায় অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এতে তাদের নিজ নিজ বিভাগে তাদের নিয়মিত দায়িত্ব পালন ব্যাহত হচ্ছে।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ্য নির্বাহী হিসাবে উপাচার্যগণকে অবশ্যই এ ধরনের কর্মকান্ড বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি উপাচার্যগণের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদেরকে অবশ্যই আপনাদের প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি সাবির্ক শিক্ষা কর্মকান্ড মনিটর করতে হবে।

    রাষ্ট্রপতি বিভিন্ন সামাজিক ইস্যু বিশেষ করে ট্রাফিক আইন লংঘনের প্রবণতার প্রতি শিক্ষার্থী এবং নতুন গ্রাজুয়েটদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় আইন মেনে চলতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে তাদের সক্রিয় ভূমিকা কামনা করেন।

    তিনি বলেন, ফুটওভার ব্রিজ রয়েছে, অথচ কেউ এটি ব্যবহার করে না, তিনি এ ব্যাপারে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানান।

    রাষ্ট্রপতি স্যাটেলাইট সংস্কৃতির আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী বাঙ্গালী সংস্কৃতি রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এ বিষয়ে একটি দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, স্যাটেলাইট সংস্কৃতির প্রভাব সত্ত্বেও বাঙ্গালী সংস্কৃতির ঐতিহ্য বিশ্বব্যাপী তুলে ধরতে হবে। তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও চেতনা সমুন্নত রাখতে গ্রাজুয়েটদের প্রতি আহবান জানান।

    তিনি বলেন, একজন সুনাগরিক হতে হলে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানার কোন বিকল্প নেই। এটি সমাজে সমতা, মানবতা ও ন্যায়বিচার সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রেও প্রয়োজন।

    রাষ্ট্রপতি ডিগ্রি অর্জনের জন্য গ্রাজুয়েটদের অভিনন্দন জানান এবং মিথ্যা ও অন্যায়ের পক্ষাবলম্বন না করার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, ‘দেশ আগামীদিনে তোমাদের সৃজনশৃলতা ও নেতৃত্বের মাধ্যমে সমৃদ্ধ ও উন্নত হবে’। রাষ্ট্রপতি আরো আশা প্রকাশ করেন যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তারা দেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।

    ১৫০ বছরের পুরানো এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ১৮৬৩ সালে প্রথমে ব্রাহ্ম স্কুল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি পরবর্তীতে জগন্নাথ কলেজ এবং ২০০৫ সালে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হয়।

  • আবুধাবির রাষ্ট্রপতির নামে রাউজানে এক প্রবাসীর মেজবান

    আবুধাবির রাষ্ট্রপতির নামে রাউজানে এক প্রবাসীর মেজবান

    ওবায়দুল হক মানিক, আরব আমিরাত থেকে : মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে কয়েক বছর আগে দেশে ফিরে আসা রাউজানের এক প্রবাসী মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন সেদেশের মরহুম রাষ্ট্রপতি জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের নামে নিজ এলাকায় বিশাল মেজবান দিয়েছেন।

    স্থানীয়রা জানিয়েছে ওই প্রবাসী দেশে ফিরে আসার পর থেকে প্রতি বছর ছোট পরিসরে সুলতান আল নাহিয়ানের নামে মেজবান দিয়ে আসছেন।

    এবার তিনি ৪টি বড় মহিষ জবাই করে এলাকাবাসীর জন্য মেজবানের আয়োজন করেছেন। জানা যায় প্রবাসী জসিম শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের একটি কোম্পানীতে অন্তত ২০ বছর চাকুরী করে নিজ পরিবারের সমৃদ্ধি এনেছেন। সেই কৃতজ্ঞতাবোধ থেকে প্রতিবছর মুনিবের নামে এই মেজবান আয়োজন করে আসছেন।

    গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের পাঁচখাইন গ্রামে এই মেজবানটি অনুষ্ঠিত হয়। বিপুল সংখ্যক মানুষ মেজবানে অংশ নিয়েছেন। অনেকেই বলেছেন এই খবরটি সংযুক্ত আরব আমিরাত পর্যন্ত পৌঁছলে সেদেশের শাষকরা বাংলাদেশি প্রবাসীদের উদারতা মূল্যায়ন করবেন।

  • ধর্ম নিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টির বিরুদ্ধে সজাগ থাকার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

    ধর্ম নিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টির বিরুদ্ধে সজাগ থাকার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

    কেউ যেন যুবকদের বিভ্রান্ত করে সমাজে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ

    তিনি বলেন,আমাদেরকে অন্যায়, পাপ, অন্ধকার থেকে দূরে রেখে আলোর পথ দেখায় ধর্ম। তাই ধর্মকে ব্যবহার করে কেউ যেন নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সবাই সজাগ থাকবেন।’

    রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে বড়দিন উপলক্ষে আজ খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ কথা বলেন।

    যুবকদের যেন কেউ ধর্মের নামে বিভ্রান্ত করতে না পারে সেজন্য বিশেষ নজর রাখতে রাষ্ট্রপতি অভিভাবকদের আরো ইতিবাচক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

    বাংলাদেশকে শান্তি ও সমৃদ্ধির জনপদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের এই অর্জন সকল জাতি, ধর্ম, বর্ণের মানুষের অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফসল।

    তিনি ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিব বর্ষ’ ও ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

    আব্দুল হামিদ খ্রিষ্টানদের পবিত্র উৎসবে তাদের সুখ, সমৃদ্ধি ও আনন্দময় ভবিষ্যৎ কামনা করেন।
    যিশু খ্রিষ্টকে আলো ও মুক্তির দূত উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, যিশু খ্রিষ্ট বিশ্বের শান্তির পথ দেখিয়ে গেছেন। তার দর্শন ছিল ভালবাসা, সেবা, ক্ষমা ও ন্যায় বিচারে পরিপূর্ণ একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা।

    তিনি আরো বলেন, ‘আমি মনে করি বর্তমানে এই সমস্যা সংকুল ও সংকটময় বিশ্বে জাতিতে-জাতিতে শান্তি ও ঐক্য প্রতিষ্ঠায় যিশুর শিক্ষার একান্ত প্রয়োজন।’

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ে তোলা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

    রাষ্ট্র প্রধান বঙ্গভবনে বড়দিন উপলক্ষে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এ উপলক্ষে সেখানে একটি ক্রিসমাস গাছ রোপণ ও মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়।

    ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ্, কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও, কূটনৈতিক কোরের ডীন আর্চবিশপ জর্জ কোচেরি, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও, বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক, বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্র মিশনের প্রতিনিধি, বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও পেশাজীবীরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

  • ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে:রাষ্ট্রপতি

    ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে:রাষ্ট্রপতি

    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চিকিৎসক এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এ ধরনের ওষুধ যাতে বাজারে আসতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।

    রাষ্ট্রপতি ওষুধ কেনার সময় মেয়াদোত্তীর্ণ কিনা সেটি দেখে কিনতে ব্যবস্থাপত্রে রোগীদেরকে পরামর্শ দেয়ার জন্য চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, আমি জানি, এতে তাদের কিছু সময় নিতে হবে, তবে এতে সকলের জন্য খুবই ভাল হবে।

    রাষ্ট্রপতি আজ রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত তিনদিনব্যাপী কার্ডিয়াক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, ভেজাল এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ যাতে বাজারে প্রবেশ করতে না পারে, এ জন্য চিকিৎসকদেরকে অবশ্যই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। রাষ্ট্রপতি ওষুধ সংরক্ষণের জন্য কক্ষের তাপমাত্রা যথাযথ রাখতে ফার্মেসী মালিকদের নির্দেশ প্রদান করতে সরকার এবং সূশ্লিষ্ট অন্যান্যদের প্রতি আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, ৯৫ ভাগ ফার্মেসী ওষুধ সংরক্ষণের জন্য কক্ষের উপযুক্ত পরিবেশ বজায় রাখে না।

    তিনি বলেন, এ ধরনের সার্কুলার আমাদের সকলের জন্য সুফল বয়ে আনবে। রাষ্ট্রপতি এ বিষয়ে ফার্মেসীস্টদের ওপর নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, চিকিৎসককে রোগীদের জন্য দেয়া ব্যবস্থাপত্রে মানসম্পন্ন ওষুধ লেখার পরামর্শ দেন।

    রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সারাদেশে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অপ্রয়োজনীয় মেডিকেল টেস্টের নামে রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা না নিতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে পল্লী এলাকায় কিছু নামকরা হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে চিকিৎসার নামে কোন কোন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে খারাপ আচরনের অভিযোগ রয়েছে।

    তিনি বলেন, একজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে, এর দায়ভার সকল চিকিৎসকের কাধেঁই চেপে বসে। এতে চিকিৎসক এবং রোগীদের মধ্যে আস্থার সংকট সৃষ্টি হয়। তিনি এর জন্য দায়ী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
    রাষ্ট্রপতি নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে আরো সর্তক হতে শুধুমাত্র ব্যাক্তিগত স্বার্থে নিজ পেশার মর্যাদা ক্ষুণ্ন না করার জন্য চিকিৎসকদের প্রতি আহবান জানান।

    রাষ্ট্রপতি হাসপাতালের জন্য আধুনিক এবং উন্নত চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের প্রতি আহ্বান জানান।

    রাষ্ট্রপতি হৃদরোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, হৃদরোগের চিকিৎসা খুবই ব্যায়বহুল। এ জন্য এ রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। এ ধরনের প্রচারণা অনেক অকাল মৃত্যু থেকে অনেকের জীবন রক্ষা করবে।

    তিনি সম্মেলনে যোগদানকারি সকল অতিথিদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বাংলাকার্ডিও-২০১৯ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের জন্য একটি চমৎকার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সম্মেলনে যোগদানকারি দেশী ও বিদেশী হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের জন্য হৃদরোগ চিকিৎসা বিজ্ঞানে সাম্প্রতিক অগ্রগতি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

    অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি, জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার আবদুল মালিক (অব.) বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট একেএম মহিবুল্লাহ এবং মহাসচিব অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল শফি মজুমদার, সাইন্সিটিফিক কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আফজালুর রহমান, জাতীয় হৃদরোগ ইনিস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন এবং যুক্তরাষ্ট্রের আলআবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এনসি নন্দ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

  • রাষ্ট্রপতিকে গ্রামীণফোনের উকিল নোটিশ

    রাষ্ট্রপতিকে গ্রামীণফোনের উকিল নোটিশ

    সরকারের রাজস্ব বকেয়া পাওনার বিষয়ে সালিশের জন্য গ্রামীণফোন সিঙ্গাপুরের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

    বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশের (টিআরএনবি) সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

    মোস্তাফা জব্বার বলেন, জিপি সিঙ্গাপুরের একটি আইন সংস্থার মাধ্যমে আমাদের রাষ্ট্রপতিকে উকিল নোটিশ দিয়েছে আরবিট্রেশনে (সালিশ) যাওয়ার জন্য।

    ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

    ‘আমি মনে করি যে এটি খুব দুঃখজনক, বাংলাদেশে ব্যবসা করবে একটি প্রতিষ্ঠান, সেই প্রতিষ্ঠানটি আমাদের রাষ্ট্রপতিকে উকিল নোটিশ দিয়ে তারপরে তারা আরবিট্রেশনের জন্য চাপ দেবে, এটা বোধহয় কোনোভাবে আমাদের কাছে খুব সহজে গ্রহণ করার মতো অবস্থা না।’

    টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, আমরা এটা বুঝি, ব্যবসা যদি কেউ করে তাহলে ব্যবসার ক্ষেত্রে তাদের নানা ধরনের সমস্যা থাকবে। আমাদের দায়িত্ব ফ্যাসিলেটেড করার, আমরা তাদের ফ্যাসিলেটেড করব।

    নিরীক্ষা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গ্রামীণফোনের কাছে ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা পাওনা চেয়ে গত এপ্রিল মাসে চিঠি দিয়েছিল টেলিযোগাযাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। তাতে কাজ না হওয়ায় আরোপ করা হয় কড়াকড়ি।

    গ্রামীণফোনের পাশাপাশি ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনার দাবিতে আরেক অপারেটর রবির ক্ষেত্রেও বিটিআরসি একই পদক্ষেপ নেয়। বিটিআরসি সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তিতে রাজি না হওয়ায় দুই অপারেটর আদালতে হয়।

    মীমাংসার উদ্যোগে নিয়ে অর্থমন্ত্রী গ্রামীণফোন ও বিটিআরসির কর্মকর্তাদের নিয়ে দুই দফা বৈঠক করলেও তাতে সমাধান আসেনি।

    বিটিআরসির সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার নিরীক্ষা দাবির নোটিসের ওপর হাই কোর্টের নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখে গত ২৪ নভেম্বর গ্রামীণফোনকে অবিলম্বে দুই হাজার কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। রবির নিরীক্ষা আপত্তির বিষয়টি এখনো আদালতে বিচারধীন। টেলিকম খাতের প্রতিবেদকদের সংগঠন টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়ে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, “আমরা এটা বুঝি, ব্যবসা যদি কেউ করে, তাহলে ব্যবসার ক্ষেত্রে নানা ধরনের সমস্যা থাকবে, আমাদের দায়িত্ব ফেসিলেটেট করা, আমরা তাদের করব।”

    গ্রামীণ ফোনের উকিল নোটিসের বিষয়ে সরকার কী পদক্ষেপ নেবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “যে নোটিস দেওয়া হয়েছে, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত অবহিত করা আছে। সবাই বিষয়টাকে জানে।”

    এ বিষয়ে আইনজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এই উকিল নোটিস নিয়ে আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এর কারণটা হচ্ছে তারা যে জায়গায় চাচ্ছে, সে জায়গাটা হচ্ছে আর্বিট্রেশন যেন করা হয়। আর্বিট্রেশন করার জায়গায় আমরা উম্মুক্ত আছি। বাংলাদেশের আদালতে মামলা করে বসে থাকে, আদালতের বাইরে আর্বিট্রেশন করার ‍সুযোগ নাই।

    “আদালত যদি হুকুম দেয় আর্বিট্রেশন করার, তাহলে করতে পারব। যে দেশে বিজনেস করে সে দেশের আইন আদালত অমান্য করে দুনিয়ার কোনো জায়গায় গিয়ে অন্য বিচার পাওয়ার সম্ভবনা নাই। আমরা সঠিক পথে আছি, আদালত তার দৃষ্টিভঙ্গি চমৎকারভাবে করেছে।”

    গ্রামীণফোন আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার কোনো উদ্যেগ নিচ্ছে কিনা- সেই প্রশ্নও সাংবাদিকরা মন্ত্রীকে করেছিলেন।

    উত্তরে তিনি বলেন, “তারা এরকম একটি ধারণা দিয়েছে যদি আর্বিট্রেশন না হয় তাহলে আন্তর্জাতিক আদালতে যাবে। তবে আমার যেটা অবজারভেশন, বাংলাদেশের আদালতে হেরে গিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে কিছু একটা করা যাবে আমি এটা বিশ্বাস করি না।

    “আফটার অল, দিনের শেষে অংকটা সহজ, ব্যবসাটা বাংলাদেশেই করতে হবে, বাংলাদেশের আইন কানুন না মেনে আন্তর্জাতিক আদালত বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা করে দেবে না।”

    এই বিরোধ নিয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরে মোস্তাফা জব্বার বলেন, “আমরা সহানুভতিশীল, আলোচনায় বসতে ইচ্ছুক। আমরা সমস্যার সমাধান করার জন্য সব ধরনের উদ্যেগ নিতে প্রস্তুত। কিন্তু এর মধ্যে থেকে কেউ জাতীয় স্বার্থ বিপন্ন করতে চাইলে আমরা সেটি করতে পারি না।”

    বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট গ্রামীণফোনের বিষয়ে যে নির্দেশনা দিয়েছে, তা মেনে চলা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “রবি ইতোমধ্যে প্রস্তাব দিয়েছে মামলা তুলে নিতে চায়। আমরা বলেছি আমরা তো মামলায় যাইনি, ওরা যদি মামলো তুলে নিলে আলোচনায় বসতে কোনো আপত্তি নেই। তবে মামলা চলাকালীন অবস্থায় আলোচনা করতে পারি না, কারণ সেটি আদালত অবমাননা হয়ে যাবে।”

    আর গ্রামীণফোন যতক্ষণ না আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী দুই হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করছে, ততক্ষণ তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসা সম্ভব না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “এ টাকা দেওয়ার পর আদালত নির্ধারণ করবে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে। রবি যদি মামলা প্রত্যাহার করে আসে, তাহলে আলোচনায় বসতে রাজি আছি।”

  • বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

    বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

    রাষ্ট্রপতি এম আবদুল হামিদ এবং তাঁর পত্নী রাশিদা খানম দেশের ৪৯তম বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আজ বঙ্গভবনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিকেলে রাষ্ট্রপতি প্রাসাদের সবুজ চত্বরে আয়োজিত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

    এ উপলক্ষে আজ দুপুর ২ টা থেকে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বঙ্গভবনের সবুজ চত্বরে কয়েক হাজার অতিথি উপস্থিত হন।

    বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ ছিল সরকারি ছুটির দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর ওপর মিত্র বাহিনীর বিজয় স্মরণে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়।

    এদিন পাকিস্তানী দখলদার বাহিনী বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করায় নয় মাসের মুক্তি যুদ্ধের অবসান ঘটে এবং পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

    অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি এম আবদুল হামিদ তাঁর পত্নী রাশিদা খানম এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সঙ্গে নিয়ে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাসহ আগত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তাঁরা কুশল বিনিময় করেন।

    রাষ্ট্রপতি এম আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয় দিবস উপলক্ষে একটি কেক কাটেন ও বেলুন উড়ান।

    অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, মন্ত্রিসভার সদস্যবর্গ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিগণ, জাতীয় নেতৃবৃন্দ, সংসদ সদস্যবর্গ, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারগণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

    এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে সিনিয়র আইনজীবীগণ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, সিনিয়র রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সম্পাদকবৃন্দ, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, বীর শ্রেষ্ঠ পরিবারের সদস্যবর্গ, শিল্পী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ববর্গ,পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দ এবং বিশিষ্ট নাগরিকগণও যোগ দেন।

    অনুষ্ঠানে শাহিন সামাদ, তিমির নন্দী, ফাহমিদা নবী এবং আবু বক্কর সিদ্দিকসহ দেশের বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পীগণ সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এ ছাড়া একদল শিশুশিল্পী ও একটি ব্যান্ড সঙ্গীত দলও সঙ্গীত পরিবেশন করেন।

  • সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান রাষ্ট্রপতির

    সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান রাষ্ট্রপতির

    রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিষয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য দেশের সাংস্কৃতিক কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

    বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের (বিএসজে) একটি প্রতিনিধি দল সংগঠনের সভাপতি অভিনেত্রী তারানা হালিমের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে গেলে রাষ্ট্রপ্রধান এ আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, ‘একটি জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রধান সূচক হচ্ছে শিল্প ও সংস্কৃতি। সমাজের অনিয়ম, নিপীড়ন ও নির্যাতনসহ বিভিন্ন অন্যায়ের বিরুদ্ধে শিল্প ও সংস্কৃতির মাধ্যমে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা সম্ভব।’

    রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে, তারা (সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা) আগামীতে বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে সচেতনতা সৃষ্টিতে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন।

    রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোহাম্মদ জয়নাল আবেদিন বাসস’কে জানান, সাক্ষাতকালে বিএসজের প্রতিনিধি দলটি বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সামগ্রিক কর্মকান্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করে।

    রাষ্ট্রপতিকে পথ নাটক ও ইস্যুভিত্তিক নাটক এবং অতীতে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিএসজের ভূমিকাসহ জোটের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড সর্ম্পকেও অবহিত করা হয়।

    আবদুলল হামিদ বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। এ সময় রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবগন উপস্থিত ছিলেন।

  • ইভিনিং কোর্স পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সার্বিক শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত করছে : রাষ্ট্রপতি

    ইভিনিং কোর্স পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সার্বিক শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত করছে : রাষ্ট্রপতি

    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চালু হওয়া বিভিন্ন ইভিনিং কোর্সের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, একশ্রেণীর শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন, যাতে সার্বিক শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে।

    রাষ্ট্রপতি আজ বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বলেন, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ডিপার্টমেন্ট কোর্স, ইভিনিং কোর্স, ডিপ্লোমা কোর্স ও ইনস্টিটিউটের ছড়াছড়ি। নিয়মিত কোর্স ছাড়াও এসব বাণিজ্যিক কোর্সের মাধ্যমে প্রতি বছর হাজার হাজার গ্রাজুয়েট বের হচ্ছে। এসব ডিগ্রি অর্জন করে শিক্ষার্থীরা কতটুকু লাভবান হচ্ছে এ ব্যাপারে প্রশ্ন থাকলেও একশ্রেণীর শিক্ষক ঠিকই লাভবান হচ্ছেন। তারা নিয়মিত নগদ সুবিধা পাচ্ছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করছেন।

    রাষ্ট্রপতি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন দিনে সরকারি ও রাতে বেসরকারি চরিত্র ধারণ করে। বিশ্ববিদ্যালয় সন্ধ্যায় মেলায় পরিণত হয়। এটা কোনভাবেই কাম্য নয়।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, কিছু শিক্ষক আছেন যারা নিয়মিত কোর্সের ব্যাপারে অনেকটা উদাসীন। কিন্তু ইভিনিং কোর্স, ডিপ্লোমা কোর্স ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেয়ার ব্যাপারে তারা খুবই সিরিয়াস। কারণ, এগুলোতে নগদ প্রাপ্তি থাকে।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত মূল সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে রাষ্ট্রপতি সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেন, মনে রাখবেন বিশ্ববিদ্যালয় চলে জনগণের টাকায়। সুতরাং এর জবাবদিহিও জনগণের কাছে।

    রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সান্ধ্য কোর্সগুলো পুনর্বিচনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমি এই সান্ধ্য কোর্স পদ্ধতি পছন্দ করতে পারি না। সন্ধ্যার পর শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ থাকে না।’

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলার রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভাইস-চ্যান্সেলার ও শিক্ষকদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটা পয়সা সততার সঙ্গে সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

    উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান অভিভাবক ও একাডেমিক লিডার অভিহিত করে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, কোনো কোনো উপাচার্য ও শিক্ষকের কর্মকান্ড দেখলে মনে হয় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসল কাজ কি- তা ভুলে গেছেন। অনেক শিক্ষক প্রশাসনিক পদ-পদবি পেয়ে নিজে যে একজন শিক্ষক সে পরিচয় ভুলে যান।

    গবেষণা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অত্যন্ত মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এখন গবেষণার মান নিয়েও নানা কথা ওঠে। অনেক বিভাগেই অন্যান্য পদের শিক্ষকের চেয়ে অধ্যাপকের সংখ্যা বেশি।

    রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পদোন্নতির ক্ষেত্রে গবেষণা মৌলিক, নাকি কেবল পদোন্নতির জন্য একটি গবেষণা তা বিবেচনায় নেয়ার নির্দেশ দেন।

    সম্প্রতি দেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া অমানবিক ও অনভিপ্রেত ঘটনার প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি বলেন, একে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ও শিক্ষার্থীদের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে।

  • সুখি-সমৃদ্ধ দেশ গঠনে শিক্ষিত তরুণরাই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে-রাষ্ট্রপতি

    সুখি-সমৃদ্ধ দেশ গঠনে শিক্ষিত তরুণরাই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে-রাষ্ট্রপতি

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ৪র্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে একটি তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞানভিত্তিক সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গঠনে ‘রূপকল্প ২০২১’ ও ‘রূপকল্প ২০৪১’ ঘোষণা করেছেন।

    এ রূপকল্প বাস্তবায়নে আমাদের নিরলস প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এরই মধ্যে আমরা স্বল্প মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার মধ্য দিয়ে উন্নয়নের রূপকল্প বাস্তবায়নে এগিয়ে চলেছি। আজকের শিক্ষিত তরুণরাই এ কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

    আজ ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।

    রাষ্ট্রপতি কৃতি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, জনবহুল এ দেশকে সমৃদ্ধশালী করতে হলে প্রয়োজন পরিকল্পিত উপায়ে বিদ্যমান সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার। প্রকৌশলীগণ উন্নয়নের কারিগর। তাদের মেধা, মনন ও সৃজনশীল চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসে টেকসই উন্নয়নের রূপরেখা। তাই প্রকৌশলীদের চিন্তা ও চেতনায় থাকবে দূরদৃষ্টির সুস্পষ্ট প্রতিফলন।

    আগামী ২০৫০ সালে বা ২১০০ সালে বাংলাদেশের উন্নয়ন কেমন হওয়া উচিত বা বাংলাদেশের অবস্থান কোন্ স্তরে পৌঁছাবে তা বিবেচনায় রেখেই উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিকেও যথাযথভাবে গুরুত্ব দিতে হবে।

    বিশ্বায়নের এই যুগে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে আমাদের জ্ঞান ও দক্ষতাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমরা আজ স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের নাগরিক। আমাদের আত্ম-মর্যাদা সমুন্নত রাখতে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে হবে। আমি আশা করি, আজকের নবীন প্রকৌশলীরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে উপলব্ধি করবে এবং তাদের সৃজনশীল চিন্তা ও লব্ধ জ্ঞানকে এ লক্ষ্যে কাজে লাগাবে।

    নবীন গ্রাজুয়েটবৃন্দের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, সমাবর্তন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি মাইলফলক; একইসাথে তা স্নাতকদের জন্যও একটি স্মরণীয় দিন। জীবন চলার পথে তোমরা আজ একটা গুরুত্বপূর্ণ সোপান অতিক্রম করলে। জীবনের আসল সংগ্রাম এখন থেকে শুরু হবে। আজকের এ সনদ প্রাপ্তি সেই সংগ্রামে অবতীর্ণ হবার স্বীকৃতি পত্র। এ সনদের সম্মান তোমাদের রাখতে হবে।

    মনে রাখতে হবে, তোমাদের এ অর্জনে দেশের মানুষের অনেক অবদান রয়েছে। তোমরা তোমাদের সেবা, সততা, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেম দিয়ে এ সনদের মান সমুজ্জ্বল রাখবে। কর্মক্ষেত্রে তোমরা পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাক না কেন; মাতৃভূমি এবং এ দেশের জনগণের কথা কখনো ভুলবে না। অন্যায় ও অসত্যের কাছে মাথা নত করবে না। তোমাদেরকে এ পর্যায়ে আসতে দেশবাসী যে সহায়তা করেছে তোমরা তোমাদের মেধা, মনন ও কর্মের মাধ্যমে তা পরিশোধ করবে। আমি তোমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি। তোমরা বড় হও এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে অবদান রাখ।

    এতে সমাবর্তন বক্তার বক্তব্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ.কে. আজাদ চৌধুরী বলেন, গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের ধারাবাহিক অর্থনৈতিক সামাজিক সূচকের অগ্রগতি সারা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও বাংলাদেশের সাফল্য সারা বিশ্বে প্রসংশিত হয়েছে। আর এই ক্রমবর্ধমান অগ্রগতির পিছনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছেন যে সব তরূণ প্রকৌশলী এবং প্রযুক্তিবিদ যাদের অনেকেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। আমার বিশ্বাস জাতিসংঘ ঘোষিত টেকশই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (ঝউএ) অর্জনেও তোমরা বিশ্বে প্রসংশনীয় ভূমিকা রাখবে।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী।

    অনুষ্ঠানে সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. শিরীণ আকতার, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোঃ ইলিয়াছ হোসেন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নুরেআলম মিনা, কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগসহ অন্যান্য অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন।

    এবারের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে গত চার বছরের সর্বোচ্চ সিজিপিএধারী ৪ জনকে “বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক” প্রদান করা হয়। তাঁরা হলেন- ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ই.এম.কে. ইকবাল আহমেদ, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রুবাইয়া আবসার, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সঞ্চয় বড়–য়া এবং ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ রাশেদুর রহমান। এছাড়া সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ২ হাজার ১৪৮ জন গ্র্যাজুয়েট এবং ৮৩ জন পোস্ট-গ্র্যাজুয়েটসহ মোট প্রায় ২ হাজার ২৩১ জন ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সমাবর্তন ডিগ্রী প্রদান করা হয়।

  • কাল চুয়েটে আসছে রাষ্ট্রপতি : সমাবর্তন ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সাজ সাজ রব

    কাল চুয়েটে আসছে রাষ্ট্রপতি : সমাবর্তন ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সাজ সাজ রব

    নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজান প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ৪র্থ সমাবর্তন ও সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানকে ঘিরে বর্ণিল সাজে সেজেছে চুয়েট। রাষ্ট্রপতি এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ এর আগমনকে ঘিরে আয়োজনে যোগ হয়েছে বাড়তি মাত্রা।

    শুধু চুয়েট নয় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে চুয়েট এলাকা পর্যন্ত সড়কের আশপাশে বিরাজ করছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ। সড়কটির রাউজান অংশে মদুনাঘাট ব্রীজ থেকে চুয়েট এলাকা পর্যন্ত ঘুরে দেখা গেছে রাষ্ট্রপতির আগমন উপলক্ষে উৎসাহ উদ্দীপনার পালে যেন ঢেউ লেগেছে রাউজানের সর্বত্র।চুয়েটে সাজসজ্জ্বা

    সন্ধ্যার পর যেন চুয়েট ক্যাম্পাস এলাকায় শোভা পাচ্ছে বর্ণিল আলোকচ্ছটা। শিক্ষক/শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরাজ করছে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা।

    সরেজমিনে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের একাংশ ঘুরে দেখা গেছে, পিংক, ক্লিন ও গ্রিন উপজেলা খ্যাত রাউজানের দক্ষিণাংশের পরিচ্ছন্ন পরিবেশটাকে আরো ঝকঝকে করে তুলতে রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর নির্দেশে সড়কের আশপাশের সৌন্ধর্য্যবর্ধন কাজে নেমে পড়েছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা।

    দিন-রাত সমানতালে চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। ইতিপূর্বে সড়কের আশপাশের গাছের গোড়ালিতে পিংক ও সাদা রঙের প্রলেপ লাগানো হলেও নতুন করে সেগুলো আবার রঙ করা হচ্ছে। সড়কের আশপাশের ঝোপঝাঁড় কেটে একেবারে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে গড়ে তোলা হচ্ছে। সমাবর্তন অনুষ্ঠানস্থলে চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি।

    রাষ্ট্রপতির আগমন উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি উপলক্ষে রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে সার্বিক দিক নির্দেশনা দিয়েছেন রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নে ইউনিয়নে সার্বিক প্রস্তুতি ও করণীয় নিয়ে হচ্ছে সভা।চুয়েট

    চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) সূত্রে জানা গেছে, ৪র্থ সমাবর্তন ও সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানকে অনুষ্ঠান আগামীকাল ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে গত চার বছরের সর্বোচ্চ সিজিপিএধারী ৪ জনকে “বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক” প্রদান করা হবে।

    তাঁরা হলেন- ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ই.এম.কে. ইকবাল আহামেদ, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রুবায়া আফসার, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সঞ্চয় বড়ুয়া এবং ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ রাশেদুর রহমান।

    এছাড়া সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ২ হাজার ১৪৮ জন গ্র্যাজুয়েট এবং ৮৩ জন পোস্ট-গ্র্যাজুয়েটসহ মোট প্রায় ২ হাজার ২৩১ জন ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সমাবর্তন ডিগ্রী প্রদান করা হবে।

    গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন। এতে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ.কে. আজাদ চৌধুরী।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এম.পি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এম.পি এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

    চুয়েটের গৌরবময় পথচলার ৫০ বছর পূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে আগামী ৬ ডিসেম্বর, দিনব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করা হবে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এম.পি। এতে বিশেষ অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দিন, রেলপথ সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাউজানের সংসদ এ.বি.এম. ফজলে করিম চৌধুরী এম.পি।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। উক্ত সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের ভিভিআইপিগণ, মন্ত্রী পরিষদ সদস্যগণ, এমপিগণ, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে পাশকৃত বিপুল প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী, চুয়েট পরিবারের বর্তমান সদস্যগণ মিলে প্রায় ১০ হাজার লোকের মিলনমেলা বসতে পারে।

    সুবর্ণজয়ন্তীর জমকালো আয়োজনে থাকবে- আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে নগরজুড়ে আনন্দ র‌্যালি, সন্ধ্যায় আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্রে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রাতে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান, আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে চুয়েট ক্যাম্পাসে যাত্রা, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান, চুয়েটের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আমন্ত্রিত শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, নৈশভোজ, ফায়ারওয়ার্কস, জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী জেমস ও নগর বাউলের জমজমাট কনসার্ট প্রভৃতি।

    সমাবর্তন অনুষ্ঠান উপলক্ষে গত ৩০ নভেম্বর শনিবার চুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিভিন্ন সেবা সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে এক সভা সমন্বয় চুয়েট ভিসি ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

    চুয়েটে রাষ্ট্রপতির আগমন উপলক্ষে গত ২৭ নভেম্বর বুধবার চুয়েটের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে স্থাপিত হেলিপেডে হেলিকপ্টার মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।

    চুয়েট সূত্র জানায়, আজ ৪ ও আগামীকাল ৫ ডিসেম্বর সমাবর্তন উপলক্ষে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি সনদ গ্রহণকারীদের মাঝে গাউন, ক্যাপ ও সমাবর্তন সামগ্রী প্রদান করা হবে। এবং আজ ৪ ডিসেম্বর বুধবার বেলা আড়াইটায় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের প্যান্ডেলে সমাবর্তনের রিহার্সেল অনুষ্ঠিত হবে।