Tag: রাষ্ট্রপতি

  • রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

    রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

    রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, “সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রী ২৫-২৬ অক্টোবর আজারবাইজানের বাকুতে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন-ন্যামের অষ্টাদশ শীর্ষ সম্মেলন, ১৬-১৯ নভেম্বর আরব আমিরাতের দুবাই এয়ার শো এবং ২২ নভেম্বর ভারতের কলকাতায় বাংলাদেশ-ভারত প্রথম দিবারাত্রি টেস্ট ম্যাচ উদ্বোধনী উপলক্ষে সফর সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।”

    প্রেস সচিব বলেন, “এসময় প্রধানমন্ত্রী তার সফর সম্পর্কিত তিনটি প্রতিবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে উপস্থাপন করেন।”

    প্রেস সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী ২০২০ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অগ্রগতি এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের প্রস্তুতি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।

    তিনি বলেন, সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী একে অপরের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় বঙ্গভবনে পৌঁছলে রাষ্ট্রপতি তাঁকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।

    এ সময় রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

  • রাষ্ট্রপতির সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সৌজন্য সাক্ষাৎ

    রাষ্ট্রপতির সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সৌজন্য সাক্ষাৎ

    নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আজ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

    রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘বৈঠকে রাষ্ট্রপতি নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে সর্বোচ্চ পদে নিয়োগ পাওয়ার জন্য অভিনন্দন জানান।’

    রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।

    রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, সরকারি কর্মকর্তারা নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে জনগণের আরো বেশি সেবা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করতে পারবেন।

    নয়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব তার দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও নির্দেশনা কামনা করেন।

    দেশের ২২তম মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত আনোয়ারুল ইসলাম-এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীন সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব ছিলেন।

    রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

  • ভিসিরা এখন রাষ্ট্রপতির স্বপ্ন না দেখে যুবলীগ সভাপতি হবার স্বপ্ন দেখেন

    ভিসিরা এখন রাষ্ট্রপতির স্বপ্ন না দেখে যুবলীগ সভাপতি হবার স্বপ্ন দেখেন

    ভাইস চ্যান্সেলরের মতো মহিমান্বিত পদকে জনগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মীজানুর রহমান কলুষিত করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।

    তিনি বলেন, ‘একদা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভাইস চ্যান্সেলররা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর বা দেশের রাষ্ট্রপতি হবার স্বপ্ন দেখতেন। আর এখন তারা যুবলীগের সভাপতি হবার স্বপ্ন দেখেন।’

    রবিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

    রিজভী বলেন, ‘এই আওয়ামী জাহেলিয়াতের আমলে অবস্থা এতটাই বিপর্যয়কর অবস্থায় পৌঁছেছে, এই দেশে এখন একজন উপাচার্য পদের চেয়ে যুবলীগের নেতা হওয়াকে বেশি গৌরবজনক মনে করে। গণভবনের আনুকূল্য একজন উপাচার্যকে কতটা রুচিহীন, অমার্জিত ও অসংস্কৃত করে তুলতে পারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মিজানুর রহমান তার উদাহরণ।’

    তিনি বলেন, ‘এই উন্মাদ একনায়কতন্ত্রের যুগে আমাদের রাষ্ট্র, সমাজ ও চিন্তা-চেতনায় যে পচন ধরেছে, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের আকাংখা তারই নগ্ন বহিঃপ্রকাশ। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থায়ী ও সম্ভ্রমপূর্ণ বিদ্যাপীঠ গড়ে তোলার বদলে ভাইস চ্যান্সেলরের দিবাস্বপ্ন যুবলীগের চেয়ারম্যান হওয়া। উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পদ ভাইস চ্যান্সেলরের মতো মহিমামন্বিত পদকে কলুষিত করলেন জনগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মিজানুর রহমান।’

    তিনি আরও বলেন, ‘জুয়া-ক্যাসিনো ও অবৈধ টাকা মিশ্রিত একটি প্রতিষ্ঠানের নাম হয়ে পড়েছে যুবলীগ। স্বাধীনতাত্তোর জেলা শহরগুলোতে যুবলীগের নেতারা ছিলেন মূর্তিমান আতঙ্ক। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ পেয়েও মিজানুর রহমান এখনও যুবলীগ তথা ক্যাসিনো লীগের প্রেসিডিয়ামের ১ নম্বর সদস্য হিসাবে আছেন ! এই পদটা ছাড়েননি ! কতটা নির্লজ্জ, নির্বোধ ও দলকানা হলে ভিসির মতো পদ ছেড়ে তিনি যুবলীগের সভাপতি হতে চান!

    এ থেকে স্পষ্ট যে, মিজানুর রহমানরা ক্যাসিনোর হিসাবটা বুঝে গেছেন, এখন নতুন সম্রাট হতে তিনি খুবই আগ্রহী! উনি যোগ্য ছিলেন যুবলীগের হাতুড়ী বাহিনীর নেতা হওয়ার। উনাকে করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। দীর্ঘদিনের শ্রদ্ধা-সম্ভ্রমের এই পদটিকে কলঙ্কিত করছে ড. মিজান। এই সরকারের পচনটা মাথায়।’

    রিজভী বলেন, ‘সরকার এখন কুশিক্ষা-অশিক্ষায় একটি দলীয় বুদ্ধিজীবী শ্রেণী তৈরি করার ব্রত নিয়েছে। ফলে প্রথিতযশা শিক্ষাবিদদের অবজ্ঞা করে উপাচার্য করা হচ্ছে নিরুচীর দলীয় কর্মীদের। ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির গর্ব ১০ টাকায় চা-সিঙ্গারা, রাজশাহীর ভিসির স্বপ্ন জয় হিন্দ প্রতিষ্ঠা, বুয়েটের ভিসি হল ডরমেটরিতে তার পালিত ক্যাডারদের হাতে আবরার ফাহাদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে বলে অনাকাঙ্খিত মৃত্যু। সমাজের এই চরম অবক্ষয়ের জন্য দায়ী জবাবদিহিহীন রাষ্ট্র ব্যবস্থা। যে রাষ্ট্র দখল করে আছে একটি ভোট ডাকাত অবৈধ সরকার। তাদের বিদায় না ঘটানো পর্যন্ত এই পচন বন্ধ করা সম্ভব নয়।’

  • রাষ্ট্রপতির সাথে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

    রাষ্ট্রপতির সাথে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

    রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় বিষয়াদি বিশেষ করে তাঁর সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র ও পরবর্তীতে ভারত সফর নিয়ে আলোচনা করেন।’

    তিনি বলেন, সরকার প্রধান রাষ্ট্রপতিকে তাঁর সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত সফর সম্পর্কে অবহিত করেন এবং রাষ্ট্রপতির কাছে এ সংক্রান্ত দু’টি প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।

    প্রধানমন্ত্রী গত ৩ থেকে ৬ অক্টোবর ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে যোগ দিতে ৪ দিনব্যাপী ভারত সফর করেন। এ সময় তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।

    এর আগে ২২ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ (ইউএনজিএ)’র ৭৪তম অধিবেশনে যোগ দিতে ৮দিনব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন।

    প্রেস সচিব বলেন, রাষ্ট্রপতি হামিদ যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত সফরকালে তিনটি মর্যাদাবান পুরস্কার পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।

    যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে সফল টিকাদান কর্মসূচি ও যুব সমাজের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য দু’টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন।

    গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনেশন এন্ড ইমিউনাইজেশন প্রধানমন্ত্রীকে ভ্যাকসিন হিরো পুরস্কার প্রদান করেন। এছাড়া তাকে ‘চ্যাম্পিয়ন অব স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর ইয়ুথ’ পুরস্কারও প্রদান করা হয়।

    পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লীতে আঞ্চলিক শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় রাখার ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘ঠাকুর শান্তি পুরস্কার-২০১৮’ লাভ করেন। এশিয়াটিক সোসাইটি, কলকাতা নয়াদিল্লীর তাজমহল হোটেলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁকে এ পুরস্কার প্রদান করে।

    প্রেস সচিব বলেন, বৈঠককালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পরস্পরের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন।

    প্রধানমন্ত্রী সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে পৌঁছলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও তাঁর স্ত্রী রাশিদা খানম এক তোড়া ফুল দিয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।

    প্রধানমন্ত্রীও রাষ্ট্রপতিকে একটি ফুলের তোড়া উপহার দেন।