Tag: রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

  • চিরনিদ্রায় শায়িত সাদেক হোসেন খোকা

    চিরনিদ্রায় শায়িত সাদেক হোসেন খোকা

    রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, অবিভক্ত সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র,সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা।

    বৃহস্পতিবার রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। সাদেক হোসেন খোকা দুইবার প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রী ছিলেন।

    এর আগে ধূপখোলা মাঠে খোকার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। অসংখ্য মানুষ জানাজায় অংশ নেন। জানাজার পর জুরাইনে নেওয়া হয় তার লাশ।

    জুরাইন কবরস্থানের গেটের সামনে সাদেক হোসেন খোকাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি অসংখ্য মানুষ খোকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন। পরে বাবা-মায়ের কবরস্থানের পাশে তাকে শায়িত করা হয়।

    এর আগে গোপীবাগে খোকার বাসভবনে মরদেহ রাখা হয়। সেখানে তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

    বাংলাদেশ সময় গত বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার কিছু সময় আগে এমিরেটস এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে খোকার লাশ নিয়ে নিউইয়র্ক থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা দেন তার স্বজনরা। সাদেক হোসেন খোকার লাশ বহনকারী ফ্লাইটটি বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটের সময় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।

    এয়ারপোর্ট থেকে নেতাকর্মীবেষ্টিত সাবেক মেয়রের লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সের চারপাশে বিএনপির নেতাকর্মীরা কেউ হেঁটে, কেউ গাড়ি ও মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে এগোতে থাকেন। এ সময় নেতাকর্মীরা স্লোগান দেন ‘খোকা ভাইয়ের স্মরণে, ভয় করি না মরণে’, ‘খোকা ভাইয়ের সংগ্রাম, চলবে অবিরাম’, ‘মুক্তিযোদ্ধা খোকা ভাই, আমরা তোমায় ভুলি নাই’।

    জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বেলা ১১টায় সাদেক হোসেন খোকার জানাজা সম্পন্ন হয়। সাদেক হোসেন খোকার দুই ছেলে ইশরাক হোসেন ও ইশফাক হোসেন ছাড়াও সংসদ ভবনের জানাজায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেমন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু এমপি, সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, এলডিপির সভাপতি অলি আহমদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও আবদুল মঈন খান প্রমুখ।

    পরে সাদেক হোসেন খোকার লাশ নেয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানেও ছিল মানুষের ঢল। সর্বস্তরের মানুষ তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

    জাতীয় সংসদে জানাজার পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখার পর খোকার লাশ নেয়া হয় নয়াপল্টনে বিএনপির রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে। দুপুর ১২টা থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীরা সেখানে জমায়েত হতে থাকেন। এক সময় নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় মানুষে।

    জানাজায় অংশ নেন সর্বস্তরের মানুষ। সেখানে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। জানাজা পড়ান জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের আহ্বায়ক হাফেজ মাওলানা নেসারুল হক।

    ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের কয়েকদিন আগে সাদেক হোসেন খোকাকে গ্রেফতার করা হয়। কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলে তাকে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান খোকা।

    সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মরণব্যাধি ক্যান্সার ধরা পড়ে। দীর্ঘদিন সেখানেই তিনি চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। ২০০৮ সালে তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে একটি মামলা করে দুদক।

    ২০১৫ সালে দুর্নীতির মামলায় তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার একটি আদালত। সাদেক হোসেন খোকা মুক্তিযুদ্ধে ২ নম্বর সেক্টরে গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সেই সময়ের স্মৃতিচারণমূলক কয়েকটি বইও লিখেছেন তিনি।

  • ডোমারে বীর মুক্তিযোদ্ধা তহিদুল ইসলাম বুলু’র রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন

    ডোমারে বীর মুক্তিযোদ্ধা তহিদুল ইসলাম বুলু’র রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন

    নীলফামারীর ডোমারে বীর মুক্তিযোদ্ধা তহিদুল ইসলাম বুলু’র রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তার মৃত্যুতে এলাকার রাজনৈতিক অঙ্গন সহ সর্বস্তরে শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে।

    মঙ্গলবার(৫ নভেম্বর) সকাল ১১টায় ডোমার ডিগ্রী মহিলা কলেজ মাঠে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ডোমার থানা পুলিশের একটি চৌকস দল আব্দুল মাননাফের নেতৃতে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।

    তিনি সোমবার (৪নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় ডোমার পৌর এলাকার চিকনমাটি তার নিজ বাস ভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না নিল্লাহি ……..রাজিউন)।

    তার জানাজায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে ফাতিমা, ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরননবী, সন্তান কমান্ডের আল-আমিন রহমানের পক্ষ থেকে ফুলের তোরা দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানায়।

    এছাড়াও জানাজায়, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি অধ্যাপক খায়রুল আলম বাবুল, সাবেক কমান্ডার আব্দুল জব্বার, পৌর কমান্ডার ইলিয়াছ হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক সরকার, ডিমলা উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু, ডোমার ডিগ্রী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শাহিনুল ইসলাম বাবু, গোমনাতী মহাবিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মোস্তফা ফিরোজ প্রধান সহ সর্বস্তরের জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

    তহিদুল ইসলাম পূর্ব বোড়াগাড়ী নানাল খামার এলাকার মৃত হেমার উদ্দিন প্রামানিকের প্রথম পুত্র। জীবনশায় তিনি জনতা ব্যাংকের ম্যানেজার ছিলেন এবং ডোমার উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়ীত্ব পালন করেন। মৃত্যু কালে তার বয়স ছিল ৭৩বছর।

    তিনি স্ত্রী, ২কন্যা সস্তান, নাতী নাতনীসহ অসংখ্য গুনাগ্রহী রেখে গেছেন। তার ২য় জানাজা বাদ যোহর গ্রামের বাড়ী নানাল খামার কাজী নজরুল ইসলাম বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়ে বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়।

  • ‘আমাকে যেন রাষ্ট্রীয় মর্যদায় দাফন করা না হয়’

    ‘আমাকে যেন রাষ্ট্রীয় মর্যদায় দাফন করা না হয়’

    এসিল্যান্ড, ইউএনও, এডিসি, ডিসি ছেলেকে চাকরিচ্যুৎ ও বাস্তুচ্যুৎ করে পেটে লাথি মেরেছে। তাই মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদা হিসেবে তাদের সালাম/ স্যালুট শেষ যাত্রার কফিনে চাননি দিনাজপুর সদর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন।

    মরহুম মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইসমাইল হোসেনের মুক্তিবার্তা নং ০৩০৮০১১০০২, ভাতা বই নং -৮১৯।

    পুত্রের চাকরিচ্যুতির ঘটনার ক্ষোভ জানিয়ে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমের কাছে লেখা চিঠির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ওই বীর মুক্তিযোদ্ধা মারা যান।

    গত ২২ অক্টোবর জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপির বরাবরে তিনি চিঠিটি লেখেন। যেখানে তার মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন না করার কথা বলেন।

    হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চিঠি লেখার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যুবরণ করেন ৮০ বছর বয়সী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইসমাইল হোসেন। তার এই চিঠিতে লিখে যাওয়া ওসিয়ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় মর্যাদা (গার্ড অফ অনার) ছাড়াই দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

    ফলে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানের শেষ বিদায়ের সময় সেখানে বিগউলে বাজেনি বিদায়ের সুর। এমনকি মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইসমাইল হোসেনের মরদেহ জাতীয় পতাকায় আচ্ছাদিত করা হয়নি।

    সদর উপজেলার ৬ নং আউলিয়াপুর ইউনিয়নের যোগীবাড়ী গ্রামের মরহুম মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইসমাইল হোসেন পিতৃস্নেহে চিঠিতে যা লিখে গেছেন তার মূল কথা হচ্ছে, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপির সুপারিশে ছেলে নুর ইসলামের নো ওয়ার্ক নো পে ভিক্তিতে গাড়ি চালক হিসাবে চাকরি হয়। সেই সুবাদে নুর ইসলাম সদর এসি ল্যান্ডের গাড়ি চালাতেন। কর্মস্থলে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে হুইপ ইকবালুর রহিম এমপির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

    এ সময় তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে সেখানে উপস্থিত এডিসি রাজস্বকে বিষয়টি দেখতে বলেন। হুইপকে বিষয়টি আবগত করায় প্রশাসন থেকে প্রথমে নুর ইসলামকে তার বসবাসরত খাস পরিত্যক্ত বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেয়া হয়। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে এসি ল্যান্ড সদরের মিসেস নুর ইসলামকে বাথরুম পরিষ্কার ও মাংস রান্না করতে বলেন। মাংস রান্না ঠিক না হওয়াসহ বিভিন্ন অজুহাতে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে চাকরিচ্যুত করা হয়।

    পরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকারিয়াকে নিয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করতে গেলে জেলা প্রশাসকও ক্ষিপ্ত হয়ে যান।

    এ ছাড়াও নুর ইসলাম তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে মাফ চাওয়ার জন্য এসি ল্যান্ডের স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও দেখা করতে পারেনি।

    চাকরি চলে যাওয়ায় তারা উপায় না পেয়ে হুইপ ইকবালুর রহিম এমপির সঙ্গে দেখা করেন। কিন্তু প্রশাসন সেটি চরম নেগেটিভ ভাবে নেয়।

    বর্তমানে তার ছেলেটি চাকরিচ্যুত ও বাস্তচ্যুত হয়ে পরিবার নিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

    তিনি আরো লিখেছেন, জীবন বাজি রেখে অস্ত্র হাতে নিয়ে করা স্বাধীন দেশে আমার ছেলের রুজি রোজগারটুকুও অন্যায়ভাবে কেড়ে নেয়া হল।

    গত ২১.১০.২০১৯ তারিখ থেকে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল দিনাজপুরের কার্ডিওলজি বিভাগে, ওয়ার্ড নং -২, বেড নং -৪৪ এ ভর্তি অবস্থায় আছি , এই পত্রটি তোমার কাছে লিখছি। তোমার কাছে আমার আকুল আবেদন তুমি ন্যায় বিচার কর। ঠুনকো অজুহাতে আমার ছেলেটিকে চাকরিচ্যুত করায় তাকে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা কর। আমার বয়স প্রায় ৮০ বৎসরের কাছাকাছি। ছেলেটি হটাৎ করে চাকরিচ্যুত হওয়ায় একে তো আমি শারীরিক ভাবে অসুস্থ তারপর মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েছি।

    জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হঠাৎ যদি আমার মৃত্যু হয়, আমাকে যেন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন না করা হয়। কারণ এসিল্যান্ড, ইউএনও, এডিসি, ডিসি যারা আমার ছেলেকে চাকুরিচ্যুত, বাস্তুচ্যত করে পেটে লাথি মেরেছে, তাদের সালাম/ স্যালুট আমার শেষ যাত্রার কফিনে আমি চাই না।

    পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২২ অক্টোবর চিঠিটিতে তিনি স্বাক্ষর করে ডাক যোগে ঢাকায় জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমের বরাবরে প্রেরণ করেন। পরের দিন ২৩ অক্টোবর সকাল ১১টার সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবস্থায় মারা যান।

    বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর সকাল ১১টায় সদর উপজেলার ৬ নং আউলিয়াপুর ইউনিয়নের যোগীবাড়ী গ্রামে মরহুম মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইসমাইল হোসেনের জানাযা নামাজ শুরুর পূর্ব মুহূর্তে ম্যাজিস্ট্রেট মহসীন উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসনের একটি চৌকশদল গার্ড অব অনার প্রদান করার জন্য যান।

    এ সময় স্ত্রী ছেলে মেয়েরা তাদের পিতার জীবণ মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লিখে যাওয়া চিঠি অনুযায়ী তারা রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন বা গার্ড অব অনার প্রদান করতে দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। তাদের ভাষায় এটাই হবে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে মরহুম ইসমাইল হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এবং আমলাতান্ত্রিক প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।

    জানাজার আগে মরহুম মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইসমাইল হোসেনের পরিবার পরিজনের পক্ষে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. মোফাজ্জল হোসেন দুলাল উপস্থিত সকলে উদ্দেশে বলেন, অন্যায়ভাবে মরহুম মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইসমাইল হোসেনের ছেলেকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। সেই ক্ষোভ থেকেই তিনি এই চিঠি লিখে গেছেন। আমরা তার লিখে যাওয়া চিঠির ওসিয়ত অনুয়ায়ী দাফন করতে চাই। চিকিৎসার জন্য তিনি অনেকের কাছে ফোন করে সাহায্য চেয়েছিলেন।

    গার্ড অব অনার প্রদান করতে যাওয়া ম্যাজিস্ট্রেটকে ছেলেরা বলেন, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় জেলা প্রশাসক বেতন পান। তিনি জেলার পিতা। তার সঙ্গে একজন মুক্তিযোদ্ধা দেখা করতে গিয়ে দেখা পান না। এর চেয়ে লজ্জার কি হতে পারে। এই কারণেই তিনি রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রত্যাখান করেছেন।

    এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোঃ মাহমুদুল আলম বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর খবর পেয়ে প্রশাসন থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করতে যাওয়ার পর বিষয়টি অবগত হই।

    তিনি বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করতে না দেয়ায় তা প্রদান করা সম্ভব হয়নি।