Tag: রায়পুর

  • রায়পুর পৌর নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জিলানির স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়

    রায়পুর পৌর নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জিলানির স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়

    অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : অতীতের ভুল-ত্রুটি ক্ষমা চেয়ে আসন্ন পৌর নির্বাচনে ‘ধানের শীষ’ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন সাবেক মেয়র এবিএম জিলানি। পৌরসভা নির্বাচনের পঞ্চম ধাপে লক্ষ্মীপুর রায়পুর পৌরসভা নির্বাচন ঘোষিত হয়। এতে করে টানা ১২ বৎসর মেয়রের দায়িত্ব পালনকারী এবিএম জিলানী পৌরবাসীর কাছে সব রকমের সহযোগিতা কামনা করেন।

    শনিবার তার নিজস্ব কার্যালয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে পৌরবাসীর উদ্দেশ্যে এবিএম জিলানী বলেন ‘আমার পিছনের ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে আপনারা আমাকে ধানের শীষ প্রতীকে আবারো ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন। আমি আপনাদের অতিরিক্ত ভ্যাট হ্রাস করে দিবো, ডাকাতিয়া নদীকে ইজারা মুক্ত করে নদীকে পর্যটনের অংশ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করব।’

    মতবিনিময়কালে তিনি পৌরসভাকে ফ্রি ওয়াইফাই জোনের আওতায় নিয়ে আসার ঘোষণা দেন। প্রশাসনের নিরপেক্ষতা কামনা করে সাবেক এই মেয়র বলেন- ‘আপনারা আমাকে সহযোগিতা করুন, ধানের শীষ প্রতীকে যেন সাধারণ ভোটাররা নিঃসন্দেহে নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেজন্য সাংবাদিকদের নিরপেক্ষ লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরে সহযোগিতা করার আহবান করেন।’

    অত্যন্ত দুঃখের সাথে আমাকে বলতে হয় গত পৌরনির্বাচনে আমি আমার বাসায় অবরুদ্ধ ছিলাম, আমাকে আমার নিজস্ব ভোটাধিকার দেয়া হয়নি। আমি আপনাদের ভালবাসা ও দোয়ায় এবারও বিএনপি’র মনোনয়ন পেয়েছি। আমি পৌরবাসীর প্রতি সম্মান দেখিয়ে ও দলের প্রতি সম্মান দেখিয়ে এবারও নির্বাচন করছি। আপনারা আমাকে দোয়া করবেন।

    এবিএম জিলানী বলেন-‘আমি মেয়র থাকাকালীন সময়ে রায়পুরে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়েছে। জলাবদ্ধ পানি ও পয়ঃনিষ্কাষণের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা হয়েছে। পৌরবাসীর সুপেয় পানির জন্য পানির ট্যাংকি স্থাপন করা হয়েছে, রাস্তাঘাট, পুল-কালভার্ট তৈরি করা হয়েছে। কোন গরীব অসহায় মানুষকে কষ্ট না দিয়ে ভ্যাট বাড়ানো হয়নি। আপনারা যদি আমাকে পুনরায় মেয়র নির্বাচিত করেন তাহলে আমি রায়পুর পৌরসভাকে একটি আদর্শ ও মডেল পৌরসভা হিসেবে রায়পুর পৌরবাসীকে উপহার দেব।’

    মতবিনিময় কালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট মনিরুল ইসলাম হাওলাদার, উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক নাজমুল ইসলাম মিঠু, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হোসেন আহাম্মদ বাহাদুর, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জাকির হোসেন, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ভিপি নজরুল ইসলাম লিটন, পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মুনসুর জিলানী নোমানসহ উপজেলা বিএনপি,পৌর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

  • টাকা ছাড়া মিলছেনা চিকিৎসা, নানা অনিয়মে চলছে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স!

    টাকা ছাড়া মিলছেনা চিকিৎসা, নানা অনিয়মে চলছে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স!

    অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : চিকিৎসা কার্যে অবহেলা, অর্থ আদায়,রোগী ও রোগীর অভিভাবকদের সাথে রূঢ় আচরণ করাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, রোগী বাণিজ্য করে প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও প্যাথলজি থেকে নানা উপঢৌকন গ্রহণ করছেন চিকিৎসক-নার্স ও কর্মচারীরা।

    এমনই নানা অনিয়ম আর রোগী বাণিজ্যের মধ্য দিয়ে ঢিমতালে চলছে লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। উপজেলা স্বাস্থ্য পঃ পঃ কর্মকর্তাকে জানিয়েও মিলছে না সুফল।

    উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের থেকে চিকিৎসাসেবা প্রত্যাশী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন- ‘৫ ডিসেম্বর আমার স্ত্রী শারমিন আক্তারের প্রসব বেদনা উঠলে তাকে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে ভর্তি করাই। যার রেজি নং ১১৯/১১৯ তাং ০৫/০১/২০২১. চেকআপ করা হবে বলে আমাকে হ্যান্ডসগ্লােভসের জন্য নিচে ওষুধের দোকানে পাঠানো হয়। আমি দ্রুত হ্যান্ডগ্লোভস নিয়ে আসার পরে জানতে পারি আমার স্ত্রীর চেকআপ হয়ে গেছে। এরপর আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাতে হবে বলে জনসেবা প্রাইভেট হাসপাতালে পাঠান রোগীসহ আমাকে। রিপোর্ট নিয়ে আসার পরে ‘বাচ্চার অবস্থা আশঙ্কাজনক’ বলে আমাকে প্রাইভেট হাসপাতাল বা লক্ষ্মীপুরে অন্য কোনো হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন সিনিয়র নার্স আরজু। দুপুর একটার দিকে রোগী নিয়ে আসলেও প্রায় ৫ ঘন্টা পর বহু দেন-দরবার করায় ভর্তি নেয়ার জন্য বলেন একনার্সকে নির্দেশ দেন আরজু। এদিকে রোগী ‘ব্যাথায় চিৎকার চেচামেচি’ করলে ব্যথানাশক ইনজেকশন পুশ করতে হবে বলে তড়িঘড়ি করতে থাকেন ওই নার্স। প্রথমে ইনজেকশন নাই বলে সাফ জানিয়ে দেন হাসপাতালের এক কর্মচারী। পরে ১’শ টাকা হাতে গুঁজে দিলে ইঞ্জেকশন বের করে রোগীকে পুঁশ করেন।’

    ওই ভুক্তভোগী আরো বলেন-‘দুপুর একটার দিকে রোগীকে হাসপাতালে আনার পরে কোনো চিকিৎসক ছিল না। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রদত্ত রোগীর ‘হলুদ বই’ দেখানোর পরেও কোন চিকিৎসককে কল করা হয়নি।’

    দীর্ঘ পাঁচ ঘন্টা পরে উপায়ান্তর না পেয়ে ও নিরুপায় হয়ে ওই ভুক্তভোগী তার রোগীকে অন্যত্রে নিয়ে যান বলে এপ্রতিবেদকের কাছে কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান। সেখানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক শামিমা নাসরিন নিজেই সিজার করেন।

    জানা গেছে, নার্স আরজু ও কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে চিকিৎসার নামে বেনামে সাধারণ অসহায় রোগীদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়। যারা টাকা পয়সা দেয় তাদের চিকিৎসা আছে। যারা টাকা পয়সা দেয় না, দিতে পারে না তাদের হাসপাতাল থেকে নানা অজুহাতে ছেড়ে দেয়া হয়।

    চিকিৎসা কাজে দায়িত্ব অবহেলার খবর এপ্রতিবেদকের কাছে আসার পর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাক্তার জাকির হোসেনকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি পরদিন সশরীরে হাসপাতাল গিয়েও তাকে দেখতে না পেয়ে আবারো একাধিকবার মোবাইল ফোন করেও পাওয়া যায়নি।

    এদিকে ঘটনার এক সপ্তাহ পর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ জাকির হোসেনকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়। বিস্তারিত শোনার পর তিনি বলেন-‘ কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

    তবে ঘটনার দিন হাসপাতালে জরুরি বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক তন্ময় পালকে পাওয়া যায়। তিনি অকপটে স্বীকার করেন যে তিনি ইমার্জেন্সির দায়িত্বরত ডাক্তার ছিলেন। তবে কোনো কথা বলতে হলে ‘কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে’এমনটি সাফ জানিয়ে দিলেন।

    উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার বাহারুল ইসলাম ছুটি নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছেন ও মোবাইল ফোনে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

  • রায়পুরে বাকপ্রতিবন্ধী দুই সন্তানের জননী ধর্ষিত, মাতাব্বরদের দফারফার চেষ্টা!

    রায়পুরে বাকপ্রতিবন্ধী দুই সন্তানের জননী ধর্ষিত, মাতাব্বরদের দফারফার চেষ্টা!

    লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বাকপ্রতিবন্ধী দুই সন্তানের জননী ধর্ষিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি উপজেলার ৮ নং চরবংশী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে ঘটেছে।

    বাকপ্রতিবন্ধী নির্যাতিত ওই গৃহবধূর মা ও কৃষক কাশেম হাওলাদারের স্ত্রী ছকিনা বেগম জানান-‘সন্ধ্যার পরেই টিভি দেখে ভিকটিম আগুন পোহাতে ঘরের বাহিরে এলে একই এলাকার ব্যাপার বাড়ির কাসেম ব্যাপারীর ছেলে তিন সন্তানের জনক রহিম আলী কৌশলে মেয়েটিকে অদূরে নির্জন পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে।

    জানা গেছে, রহিম আলী এর পূর্বেও বিভিন্ন সময় মেয়েদের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়া সহ বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিয়েছিল।

    স্থানীয়রা জানিয়েছেন রহিম একটা খারাপ, দুশ্চরিত্রা, নারীলোভী। সে কখন কি করে কেউ বলতে পারবে না।

    ভিকটিমের পরিবারটি অত্যন্ত গরীব অসহায় হওয়ার দরুন স্থানীয় মাতবররা একে পুঁজি করে ধর্ষকদের সাথে টাকা নিয়ে দরকষাকষি চালিয়ে যাচ্ছে।

    উক্ত ঘটনায় রহিম আলী ও তার স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

    স্থানীয় চেয়ারম্যান মিন্টু ফরায়েজী বলেন-‘আমি ঘটনাটি শুনেছি। অত্যন্ত দুঃখজনক। তাদেরকে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দিয়েছি।’

    স্থানীয় হাজিমারা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইউসুফ বলেন- ‘আমাকে ঘটনাটা সম্পর্কে জানিয়েছেন একজন মহিলা মেম্বার প্রার্থী। সে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করছে। স্থানীয় পর্যায়ে মীমাংসা হলে তো ভালই হয়। আইন-আদালত করে উভয় পক্ষের হয়রানি।’

    ধর্ষণের বিচার স্থানীয়ভাবে মীমাংসা হয় কিনা জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।

    এসপি রায়পুর সার্কেল স্পীনা রানী প্রামানিক বলেন- ‘ভিকটিমকে তার গার্ডিয়ান নিয়ে রায়পুর থানায় ওসির সাথে দেখা করতে বলেন। মামলা করতে বলেন। আমি ছুটিতে আছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

  • রায়পুরে নারী মাদক কারবারিসহ গ্রেফতার-৩

    রায়পুরে নারী মাদক কারবারিসহ গ্রেফতার-৩

    অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ৮শ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক নারী ও দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে রায়পুর থানা পুলিশ। সোমবার মধ্য রাতে (১৪ ডিসেম্বর) শহরের নূপুর বোর্ডি থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

    আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন, ফেনী জেলার সদর থানার নেয়ামতপুর গ্রামের মৃত সামছুল হকের ছেলে শাহাদাত হোসেন (৩৫), মানিকগঞ্জ জেলার সিংরাই থানার ইসলাম নগরের মৃত মহিজ উদ্দিনের ছেলে সাঈদুর রহমান তারেক (৪৫) ও চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার পশ্চিম রূপসা গ্রামের বাসেদ খানের মেয়ে সানজিদা আক্তার রিয়া (২৫)।

    পুলিশ জানান, নারীসহ তিন মাদক ব্যবসায়ী ফেনী থেকে সরাসরি রায়পুর শহরের নূপুর বোডিং এ অবস্থান করেন। গোপন সংবাদ পেয়ে বোর্ডি এর ৩য় তলা থেকে ৮শ পিছ ইয়াবাসহ আটক করা হয়। তাদের মধ্যে শাহাদাত হোসেন এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১টি মাদক মামলা রয়েছে এবং অন্য ২জনের বিরুদ্ধে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।

    অভিযুক্তরা বলেন, হোটেল মালিকের সাথে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে রাতে আমাদের বাকবিতন্ডা হয়। আমাদেরকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল বলেন, নারীসহ তিন মাদক ব্যবসায়ী কক্সবাজার ও ফেনী হয়ে রায়পুর নূপুর বোডিংএ অবস্থান করেন। দুপুরে তাদেরকে মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এবিষয়ে তাদের রিমান্ড চাওয়া হবে।

  • সেবাবঞ্চিত রোগীরা ফিরে যাচ্ছে বাড়ীতে,রায়পুরে কমিউনিটি ক্লিনিকে ছুটি না নিয়ে অনুপস্থিত ২ স্বাস্থ্যকর্মী

    সেবাবঞ্চিত রোগীরা ফিরে যাচ্ছে বাড়ীতে,রায়পুরে কমিউনিটি ক্লিনিকে ছুটি না নিয়ে অনুপস্থিত ২ স্বাস্থ্যকর্মী

    অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃলক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের ২ কমিউনিটি ক্লিনিকের দুই কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থেকে মাসে মাসে বেতন-ভাতা গুনছেন।

    প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকার কথা থাকলেও চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্থানীয়দের অভিযোগ-ক্লিনিকগুলো খুলতে খুলতে সকাল ১০টা বাজিয়ে দেয়।আবার দুপুর ১টা না বাজতেই বন্ধের তোড়জোড় শুরু করে।সরকারি দেওয়া ঔষধ আমাদের দেওয়া হয়না।কোনো কোনো সময় ঔষধ নেই বলে ফিরিয়ে দেওয়া হয় রোগীদের।

    বেশীরভাগ সময়ই অনুপস্থিত থাকেন কর্মরত উত্তর চরবংশী কমিউনিটি ক্লিনিক সিএইচপি মো: মহসিন ও পূর্ব চরবংশী কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচপি মো: শহীদুল ইসলাম।

    নিয়ম অনুযায়ী কমিউনিটি ক্লিনিকে সপ্তাহে দুইদিন একজন উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার, ছয়দিন একজন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) এবং তিন দিন একজন স্বাস্থ্য সহকারী (এইচএ) ও একজন পরিবার কল্যাণ সহকারী উপস্থিত থাকার কথা।

    বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দুটি কমিউনিটি ক্লিনিকের রুম তালাবন্ধ পাওয়া যায়।
    সকাল ৯ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে দেখা মিলেনি সিএইচপি মো: মহসিন মিয়া ও সকালচসাড়ে ১১টা থেকে ১ টা পর্যন্ত মো: শহীদুল ইসলাম ও তাদের কোনো সহকর্মীর। সরকারি ছুটি ব্যাতীত কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকার কথা না থাকলেও অনুপস্থিত রয়েছেন এই দুই সিএইচপি।

    এবিষয়ে মহসিন মিয়ার সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান,আমি রায়পুরে আছি।আমাদের এফডাব্লিউ এর শামসুন্নাহর রয়েছে, উনাকে থাকার জন্যে বলেছি ।উনী কি আছি এখানে? উনার সাথে কথা বলা যাবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন,’আমি উনাকে ফোন করতেছি।’

    উনী তো এখানে নেই। কোথায় গিয়েছন? সুদুত্তরে বলেন, মাঠ পর্যায়ে হয়ত কোথাও গিয়েছে। ছুটি নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, বাবুল ডাক্তারের কাছে নিয়েছি।

    এদিকে পূর্ব চরবংশী কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচপি শহীদুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে একাধিকার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

    এবিষয়ে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাকির হোসেন বলেন, যদি কেউ কর্মক্ষত্রে অনুপস্থিত থাকেন,তাহলে সেক্ষেত্রে ছুটি নিতে হবে।জরুরী প্রয়োজনে কোথায় যেতে হলে কমিউনিটি ক্লিনিকের সভাপতিকে অবহিত করতে হবে। কমিউনিটি ক্লিনিকের লোকজন ঠিক মত কাজ করছেন কিনা তা দেখার জন্য ব্যবস্থাপনা কমিটি রয়েছে।কমিটির দায়িত্বে থাকেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য।

    ইউপি সদস্য রুকন দেওয়ান বলেন, মোহসিন এর আগে যতবার ছুটি কাটিয়েছে তা অবগত করেছে।এই সপ্তাহে ছুটির বিষয়ে কোনো কিছু সে জানায়নি।

    এদিকে গত ১ সপ্তাহ যাবত যে সকল স্বাস্থ্যকর্মী ছুটির জন্য আবেদন করেছে, তাদের মধ্য এই দুজনের নাম নেই।

    তথ্য অনুযায়ী, গ্রা‌মের মানু‌ষের জন্য প্রাথ‌মিক স্বাস্থ্য প‌রিচর্যা, স্বাস্থ্য শিক্ষা, বিনামূ‌ল্যে ওষুধ, পু‌ষ্টি, গর্ভবতী, প্রসূ‌তি ও নবজাত‌কের সেবার ব্যবস্থার লক্ষ্য নিয়ে প্রতিটি ইউনিয়নের প্রতিটি সাবেক ওয়ার্ডে একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করার লক্ষ্যে মাঠে নামে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ সরকার।

    ২০০১ সাল পর্যন্ত ১০ হাজার ৭২৩টি ক্লিনিক চালু করে সে সময় সরকার। তবে ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ফিরে আসার পর আবার চালু করা হয় কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থা।

    গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সর্বস্তরের মানুষ ক্লিনিক থেকে সেবা নেয়। তবে সেবা গ্রহণকারীদের ৫০ শতাংশ দরিদ্র বা অতিদরিদ্র।সেবাগ্রহীতাদের ৭৭ শতাংশই নারী।প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে দুই মাস অন্তর সরকারিভাবে ২৭ ধরনের ওষুধ সরবরাহ করা হয় প্রতিটি ক্লিনিকে। আর একজন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মূল বেতন ১০ হাজার ২০০ টাকা। সর্বসাকুল্যে পান ১৬ হাজার ৭০০ টাকা। যা প্রতিমাসের বেতন ইএফটির মাধ্যমে চলে যায় চাকুুুরীজীবির একাউন্টে। সবকিছুু ঠিকমতো পেলেও নিয়মিত কর্মক্ষেত্রে যোগ দিচ্ছেন না স্বাস্থ্যকর্মীরা।

    এ বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার আশফাকুর রহমান মামুন বিধি মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন।

  • বসতভিটা থেকে উচ্ছেদে ব্যর্থ হয়ে কুপিয়ে আহত-৩

    বসতভিটা থেকে উচ্ছেদে ব্যর্থ হয়ে কুপিয়ে আহত-৩

    অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : বসতভিটা থেকে উচ্ছেদে ব্যর্থ হয়ে গৃহবধূকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় সন্ত্রাসীরা যুবতীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে বলে জানা গেছে।

    লক্ষীপুরের রায়পুর উপজেলার ৮নং চরবংশী ইউনিয়নের চরলক্ষী গ্রামের ৩ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে মৃত ইসমাইল শিকদারের ছেলে চুন্নমিয়া শিকদার তার বাবার কাছ থেকে ৪শতাংশ জমি কিনে বাড়ি করে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসত করে আসছিলেন। কিন্তু একই এলাকার পান্নু শিকদারের ছেলে নজরুল ইসলাম (২৭),তাইমুল শিকদার(২২), মৃত ইসমাইল শিকদারের ছেলে পান্নু শিকদার ও আরো অজ্ঞাত দুই-তিনজন মিলে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে চুন্নু শিকদারের বসতভিটা দখলের চেষ্টা করে এবং গাছপালা কেটে নিয়ে যায়।

    এসময় চুন্নু শিকদার বাধা দিতে গেলে নজরুল ইসলামের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে, তাইমূল শিকদারের হাতে থাকা দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে চুন্নু শিকদারের স্ত্রী রেহানা বেগম এর মাথায় মারাত্মক জখম হয়, এতে ৮টি সেলাই দিতে হয়েছে মাথায়। তাদের আত্মচিৎকারে মেয়ে লিপি আক্তার এগিয়ে এলে তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে কামড় দেয়া সহ অর্ধউলঙ্গ করে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় বলে আদালতে দায়ের করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। সন্ত্রাসীরা এ সময় গলার চেইন ও মোবাইল নিয়ে যায় এবং ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।

    আহত চুন্নমিয়া এই প্রতিবেদককের কাছে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন -‘আমার বাবার কাছ থেকে ৪শতাংশ জমি খরিদ করে বসতবাড়ি করেছি। ২০ বছর ধরে বসবাস করে আসছি। কিন্তু সন্ত্রাসী পান্নু মিয়া ও তার সন্ত্রাসী ছেলেরা আরো কয়েকজনকে সাথে নিয়ে আমাকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করে এতে ব্যর্থ হয়। তারা আমাকে ও আমার স্ত্রী সন্তানকে হত্যার চেষ্টা চালায়।’

    অভিযুক্ত পান্নু মিয়া সিকদার বা ছেলেদের কারো বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চুন্নু মিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • লক্ষ্মীপুরে যুবতীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা;আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা

    লক্ষ্মীপুরে যুবতীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা;আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা

    লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার ৬ নং কেরোয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের লুধুয়া গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির মৃত সিরাজুল্লাহ’র কনিষ্ট মেয়ে ফাতেমা আক্তারের মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি করছে একটি চক্র। পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে এ চক্রটি। ফাতেমা আক্তারকে হত্যা করার সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে ময়না তদন্ত রিপোর্টে। তবুও এই হত্যাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে খুনীদেরকে আড়াল করার জন্য একটি চক্র উঠেপড়ে লেগেছে।

    এ বছরের জুলাই মাসের ১৯ তারিখে ফাতেমা আক্তারকে একা ঘরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়। এতে ব্যর্থ হয়ে মৃত ফাতেমা আক্তারকে বিছানায় শুইয়ে রাখে হত্যাকারীরা। পরে একে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় খুনিরা!

    খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রায়পুর থানার পুলিশ এসে সুরতহাল সংগ্রহ করে লাশ নিয়ে যায়। ৪২ দিন পর ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসে, ফাতেমা আক্তারের মাথায় জখম করে ও শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়।

    নিহত ফাতেমা আক্তারের বোন সারাবান তহুরা প্রকাশ বৃষ্টি বাদী হয়ে রায়পুর থানায় ৩০২/৩৪ ধারায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নাম্বার ৩৮ তাং২৯/০৮/২০২০. এতে করে রায়হান নামের এক আসামিকে রায়পুর থানা পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। বাকি আসামিরা পালিয়ে রয়েছেন।

    হত্যা মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নিহত ফাতেমা আক্তারের পরিবারের সাথে পাশের ঘরের চাচাতো ভাই রায়হান (২৬) পিতা শরীফ ভূঁইয়া, রহিমা বেগম (৫৫) স্বামী শরীফ ভুইয়া, শারমিন আক্তার (২৪) স্বামী মোঃ মানিক ভূঁইয়া, মো: ইয়াসিন (২০) পিতা শরীফ ভূঁইয়াকে আসামি করা হয়।

    এদের সাথে পূর্ব থেকে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় ও জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। রায়হান ও তার পরিবার প্রায় সময় পূর্ব বিরোধের কারণে বিভিন্ন সময়ে ফাতেমা আক্তারের পরিবারের লোকজনের সাথে খারাপ আচরণ ও ক্ষতি করার হুমকি দিত বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

    ময়নাতদন্ত রিপোর্টে মাথায় আঘাত ও গলা টিপে হত্যা করার স্পষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও একটি কুচক্রী মহল খুনীদেরকে আড়ালে রেখে পরিকল্পিত হত্যাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে নিহতের পরিবার থেকে জানানো হয়।

    নিহত ফাতেমা আক্তারের ভগ্নিপতি মোরশেদ আলম বলেন -‘আমার বোন ফাতেমা আক্তারের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। কোনভাবেই যেন খুনিরা আইনের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে যেতে না পারে।’

    মামলার বাদী মেঝো বোন শারাবান তহুরা প্রকাশ বৃষ্টি বলেন -‘যারা আমার ছোট বোনকে খুন করেছে তাদের ফাঁসি চাই। যারা এ খুনের ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নেয়ার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করি।’

    এ বিষয়ে রায়পুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল জলিল বলেন -‘ মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। আমরা একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকিরা পলাতক থাকায় তাদেরকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • লক্ষ্মীপুরে নেশার টাকার জন্য মাকে গলা কেটে হত্যা করল ছেলে

    লক্ষ্মীপুরে নেশার টাকার জন্য মাকে গলা কেটে হত্যা করল ছেলে

    অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ধারালো দা দিয়ে মাকে জবাই করে হত্যা করেছে পাষন্ড ছেলে।

    শুক্রবার সকালে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাখালীয়া গ্রামে সর্দরবাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শেফালী বেগম (৬০) ঐ গ্রামের হোসেন আলীর স্ত্রী। এলাকাবাসীরা ঘাতক জাফর হোসেন (২৬) কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

    নিহত শেফালী বেগমের বড় ছেলে মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, গত কয়েক মাস ধরে জাফর বন্ধু বান্ধবদের সাথে আড্ডা দিয়ে মাদক সেবন করে অনেক টাকা ঋণ করেছে। এই টাকার জন্য বিভিন্ন সময়ে তার মায়ের কাছে অর্থ দাবি করে আসছে এবং খারাপ আচরণ করে।

    শুক্রবার সকালে মায়ের সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তার মাকে বিছানায় ফেলে ধারালো দা দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে। ঘটনার সময় প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে আটক করে পুলিশকে ফোন দেয়।

    খবর পেয়ে রায়পুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামবাসীর কাছ থেকে নরপিচাশ জাফরকে তাদের হেফাজতে নেয়। একই সাথে পুলিশ শেফালী বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদনন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

    রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল বলেন, আটক জাফরের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। ছেলের মাদক সেবনের বিরোধের কারণে হত্যাকান্ড হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • লক্ষ্মীপুরে এমপি পাপুলের পক্ষে সৌর বিদ্যুৎ বিতরণ!

    লক্ষ্মীপুরে এমপি পাপুলের পক্ষে সৌর বিদ্যুৎ বিতরণ!

    অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
    লক্ষীপুরে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সাধারন জনগনের মাঝে সৌর বিদ্যুৎ বিতরণ করা হয়।

    লক্ষীপুর সংসদীয় আসন রায়পুরের সাংসদ কাজি শহীদ ইসলাম পাপুলের পক্ষ থেকে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অনালোকিত ও পিছিয়ে পড়া সাধারণ জনগণের মাঝে সৌর বিদ্যুৎ বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

    জেলা আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল জব্বার লাভলু ও সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদ সদস্য মাহমুদুল হক মাহবুব এর উপস্থিতিতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৪ নং চররুহিতা ইউনিয়নের কাঞ্চনী বাজার নামক স্থানে আজ বৃহস্পতিবার ৪০ প্রতিষ্ঠান ও জনগণের মাঝে ৩০,৬০ ও ১০০ ওয়াটের সৌর বিদ্যুৎ বিতরণ করা হয়।

    এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, সদর উপজেলা যুবলীগের সদস্য মো জাহিদুল ইসলাম, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন পাটোয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুস হোসেন লিটন, যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ হোসেন ও আলা উদ্দিন প্রমুখ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • লক্ষ্মীপুরে অতিরিক্ত জোয়ারে তলিয়ে গেছে ৫শ’ বাড়ি-ঘর

    লক্ষ্মীপুরে অতিরিক্ত জোয়ারে তলিয়ে গেছে ৫শ’ বাড়ি-ঘর

    অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে জোয়ারের পানিতে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে উত্তর চরবংশী ও চরআবাবিল ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রামে মাছের ঘেরসহ ৫শ’ ঘর-বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। মাছের ঘের তলিয়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এখনও পানিবন্দি।

    সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মেঘনা নদী সংলগ্ন হাজিমারা, আলতাফ মাষ্টার মাছ ঘাট, হায়দরগন্জ, চরভৈরবি এলাকা, হাজিমারা ও চরজালিয়ার চিত্র।

    ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের অভিভাবকের মধ্যে হাসিম মাঝি, আইউব আলী, নূর আলম, আউয়াল, সোহেল, আলী আহমেদসহ অনেকে জানান, চরভৈরবি থেকে হাজিমারা বেড়িবাধেঁর বাইরে প্রায় ৫শ’ পরিবার ২৫ বছর ধরে বসবাস করছেন। তারা সবাই জেলে ও দিনমজুর হওয়ায় এখানে বসবাসের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নিরাপত্তার জন্য শক্তিশালি সরকারিভাবে ভেরিবাঁধ নির্মাণ করা হয়।

    দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জোয়ারের পানিতে দীর্ঘদিনের পুরোনো বাঁধের নদীর পশ্চিম পাড় এলাকা প্লাবিত হয়। দুপুরে লোকজন ঘুমিয়ে থাকায় হঠাৎ করে প্লাবিত হওয়ায় তারা ছুটাছুটি করে নিরাপদে আশ্রয় নিলেও ঘরের ভেতরের কোনো মালামাল সরাতে পারেনি। একটি প্রাথমিক স্কুলও ডুবে যায়।

    তাছাড়া কয়েকজনের বাড়ির সামনে দিয়ে ঘরবাড়ি নদীতে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে, শতাধিক হাঁস মুরগিও মারা গেছে। অনেকের মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। ফলে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

    মাছের ঘের মালিক মুফতি আলহাজ্ব তাহের ইজ্জুদ্দীন জাবেরী জানান, মেঘনার অতিরিক্ত জোয়ারে ছোট-বড় অর্ধ শতাধিক মাছের ঘের তলিয়ে বিভিন্ন ধরনের মাছ ভেসে গেছে। তারা দাবি করেন ২০টি ঘের তলিয়ে মালিকদের ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

    এ ঘটনায় জানার পরও রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরীন চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ, চরআবাবিল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শহীদ উল্লাহ বিএসসি ও উত্তর-চরবংশী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ হোসেন এ রিপোট লেখা পর্যন্ত প্লাবিত অঞ্চল সরজমিন পরিদর্শন করেন নি।

    চরআবাবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহীদ উল্লাহ বিএসসি বলেন, মেঘনা নদীর জোয়ারে সবার ঘর-বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। কারও ঘরে চুলা জ্বালানোর মতো অবস্থা নেই। অনেকে অর্ধাহারে অনাহারে আছেন। প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

    রায়পুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। শনিবার সকালে-আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবো। পরে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

    রায়পুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) এসও ইব্রাহিম বলেন, স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে মেঘনার পানি ৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। দুই দিনের মধ্যে কমে যাবে।

    ২৪ ঞণ্টা/এম আর

  • লক্ষ্মীপুরে নগ্ন ভিডিও ধারণ করে চাঁদা দাবি, আটক-২

    লক্ষ্মীপুরে নগ্ন ভিডিও ধারণ করে চাঁদা দাবি, আটক-২

    লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে প্রবাসীর স্ত্রী এক গৃহবধূর নগ্ন ভিডিও কৌশলে মোবাইলে ধারণ করে চাঁদা দাবির অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

    রায়পুর সার্কেলের এএসপি স্পীনা রানী প্রামানিক জানান, বামনী ইউনিয়নের কাজের দিঘির পাড় গ্রাম থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় রোববার সন্ধায় তাদের আটক করা হয়েছে।

    আটককৃতরা হলেন, ওই গ্রামের মোঃ কালামের ছেলে এরশাদ হোসেন (৪০) ও আবুল মোল্লার ছেলে মো. মুরাদ (৩৫)। অন্য দুইজন পলাতক।

    এলাকাবাসী জানান, গত ১৫ জুলাই রাতে ওই গৃহবধূ তার নীজ ঘরে পোশাক পরিবর্তন করছিলো, এ সময় আগে থেকে ওয়াইফাই সংযোগ দেয়ার নামে কাজিরদিঘিরপাড় বাজারের ডিসলাইনের মালিক মুরাদ তার কর্মচারি মতিনকে দিয়ে কৌশলে গৃহবধূর নগ্ন ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে তা সংরক্ষণ করে। এরপর গত তিনদিন ধরে এরশাদ, মুরাদ,মতিন ও হানিফ গৃহবধূকে অসামাজিক কাজ করার প্রস্তাব দেয়। এতে গৃহবধু রাজি না হওয়ায় তার নগ্ন ছবি দেখিয়ে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা দাবি করলে প্রথম ধাপে তাদের ৮০ হাজার টাকা প্রস্তাব দেয়া হয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে পুলিশ প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়।

    রোববার দুপুরে এএসপির নের্তৃত্বে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় আটক করা হয়। সেই সঙ্গে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দুটি মেমোরিকার্ডসহ জব্দ করা হয়। তবে ভিডিওটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

    এঘটনায় সহকারি পুলিশ সুপার (রায়পুর ও রামগন্জ সার্কেল) স্পীনা রানী জানান, অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত দুইজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে। ওই গৃহবধূর পক্ষ খেকে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/আকাশ

     

  • রায়পুরে অগ্নিকাণ্ডে ৬ দোকান পুড়ে ছাঁই,ক্ষতি অর্ধ কোটি

    রায়পুরে অগ্নিকাণ্ডে ৬ দোকান পুড়ে ছাঁই,ক্ষতি অর্ধ কোটি

    লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৬ টি দোকান পুড়ে গেছে। এতে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তাৎক্ষণিক ভাবে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

    আজ মঙ্গলবার (২ জুন) সন্ধ্যার পূর্বমুহূর্তে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের হায়দরগঞ্জ মধ্যবাজারে এ অগ্নিকান্ড ঘটে।

    কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান- পেঁয়াজ হাটার লুবনা হোমিও হলে নামক দোকানে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।আগুনের তীব্র লেলিহান শিখা মুহুর্তের মধ্যে আশেপাসের কয়েকটি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে।

    আআগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ দোকানগুলোর মধ্যে ,জামাল হোসেনের লুবনা হোমিও হল, প্রান ডিস্ট্রিবিউশনের একটি দোকান, আমির হোসেনের ফ্রিজের দোকান, অশোক অধিকারির টেইলার্স দোকান , হালিমা লাইব্রেরী,মোহন ব্যাপারির -মায়ের আঁচল ফার্নিচার।

    স্থানীয়রা জানান,প্রথমে লুবনা হোমিও হল থেকে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। এরপর মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা অন্য দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় ও ব্যবসায়ীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে।
    খবর পেয়ে দমকলবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। কিন্তু ততোক্ষনে ৬টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

    মায়ের আঁচল ফার্নিচারের মালিক মোহন বেপারী হাউমাউ করে কেঁদে বলেন, আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আগুনে প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় আমি একেবারে নি:স্ব হয়ে পড়েছি। এ ক্ষতি আমি কিভাবে কাটিয়ে উঠবো জানি না।

    ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রায়পুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরীন চৌধুরী। ক্ষতিগ্রস্থদের দাবী ৬ টি দোকানে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।

    রায়পুর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। ঘন্টাখানেক চেষ্টা লিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হই। বৈদ্যুতিকের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/আকাশ