Tag: রিমান্ড

  • পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি করা সে ৬ পুলিশ কনস্টেবলের রিমান্ড মঞ্জুর

    পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি করা সে ৬ পুলিশ কনস্টেবলের রিমান্ড মঞ্জুর

    ২৪ ঘণ্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে এক ঠিকাদারের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ৬ পুলিশ সদস্যের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।

    আজ মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল্লাহ কায়সার এই আবেদন মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পরিদর্শক হুমায়ূন কবির।

    তিনি জানান, এক ঠিকাদারকে তুলে নিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগে গ্রেফতার ৬ পুলিশ কনস্টেবলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত অভিযুক্ত ৬ জনের প্রত্যেককে ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    এর গত ৭ ফেব্রুয়ারি সিএমপির ৬ পুলিশ সদস্যকে সিএমপি হেড কোয়ার্টার থেকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

    অভিযুক্ত ছয় পুলিশ সদস্য হলেন- সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরের বডিগার্ড মোরশেদ বিল্লাহ, নগর পুলিশের উপ কমিশনার গোয়েন্দা (পশ্চিম ও বন্দর) মনজুর মোরশেদের বডিগার্ড মো. মাসুদ, দামপাড়া রিজার্ভ ফোর্স অফিসে কর্মরত শাকিল খান ও এস্কান্দর হোসেন, সিএমপির সহকারী কমিশনার কর্ণফুলী কার্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর মনিরুল ইসলাম ও ডিবিতে (উত্তর) কর্মরত আবদুল নবী। এরা সবাই কনস্টেবল পদে কর্মরত।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • ভাটিয়ারীতে অস্ত্রসহ আটক ৫ সন্ত্রাসীর ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

    ভাটিয়ারীতে অস্ত্রসহ আটক ৫ সন্ত্রাসীর ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

    সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে আওয়ামী লীগের একটি ওয়ার্ডের সম্মেলনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় অস্ত্রসহ আটক ৫ সন্ত্রাসীকে এক দিনের রিমান্ডে দিয়েছে আদালত।

    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোমবার চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল বিচারিক আদালতে আটক ৫ জনকে হাজির করে ৫দিন করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাইলে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিজ্ঞ বিচারক।

    রিমান্ড মঞ্জুর করা বক্তিরা হলো, নুরু (২৫), ফরহাদুল আলম মিজান (২৩), তিলক দে টিপু (২৪), মোহাম্মদ রিদওয়ান (১৯), মোহাম্মদ হেলাল (১৯)।

    মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা সীতাকুণ্ড মডেল থানার এস আই মো. মামুন হোসেন তথ্যটি নিশ্চিত করেন।

    উল্লেখ্য, গত ২ নভেম্বর ভাটিয়ারী ইউনিয়নের জাহানাবাদ ২ নং ওয়ার্ডের সম্মেলন ছিল স্থানীয় জাহানাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। সম্মেলন শুরুর সময় একটি নোহা মাইক্রো করে ৮/১০ জনের একটি অস্ত্রধারী গ্রুপ অস্ত্র উচিয়ে সম্মেলনে দিকে আসার চেষ্টা করলে এসময় সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী রনি লোকজন তাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলে।

    পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে একটি পিস্তলসহ ৫ জন সন্ত্রাসীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়। সোমবার মামলা তদন্তকারী আটক ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

  • আবরার হত্যা : রুমমেট মিজান ৫ দিনের রিমান্ডে

    আবরার হত্যা : রুমমেট মিজান ৫ দিনের রিমান্ডে

    বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় তার রুমমেট ও বুয়েট শিক্ষার্থী মিজানুর রহমানের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

    মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম বাকি বিল্লাহ এই আদেশ দেন।

    মিজান বুয়েটের ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। সে আবরারে সঙ্গে এক রুমে থাকতেন।

    গত ১০ অক্টোবর তাকে আটক করা হয়। ওই সময় অসুস্থ থাকায় তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

    কারাগারে থাকা অবস্থায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। যার ওপর শুনানি শেষে বুধবার রিমান্ড মঞ্জুর হলো। রিমান্ড আবেদনের শুনানিকালে আসামি মিজানের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না।

    মামলাটিতে এ পর্যন্ত ৮ জন শিক্ষার্থী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

    এরা হলেন, বুয়েট ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. অনিক সরকার, উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররেফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, মো. মনিরুজ্জামান মনির, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, শিক্ষার্থী মো. মুজাহিদুর রহমান ও এএসএম নাজমুস সাদাত।

    বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড শেষে কারাগারে গেছেন বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা, কর্মী মুনতাসির আল জেমি, গ্রন্থ ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইসাতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, শিক্ষার্থী সাসছুল আরেফিন রাফাত, আকাশ হোসেন, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, শামীম বিল্লাহ ও মুয়াজ ওরফে আবু হুরায়রা।

    গত ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরার ফাহাদকে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী।

    আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। তিনি থাকতেন বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলার ১০১১ নম্বর কক্ষে।

    এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে গত ৭ অক্টোবর সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটিতে এ পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

  • কাউন্সিলর রাজীব ১৪ দিনের রিমান্ডে

    কাউন্সিলর রাজীব ১৪ দিনের রিমান্ডে

    মোহাম্মদপুরের ‘সুলতানখ্যাত’ ঢাকা উত্তর সিটি ককর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবকে ১৪ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।

    রোববার মধ্যরাতে অস্ত্র ও মাদক আইনের দুই মামলায় সাতদিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

    রাত সোয়া ১১টার দিকে রাজীবকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে তার ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত অস্ত্র মামলায় সাতদিন ও মাদক মামলায় সাতদিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    এর আগে রোববার রাতেই অস্ত্র ও মাদক আইনে রাজধানীর ভাটারা থানায় মামলা দু’টি দায়ের করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

    র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান জানান, বন্ধুর বাসায় আত্মগোপনে থাকা কাউন্সিলর রাজীবকে শনিবার রাতে গ্রেফতারের সময় ওই বাসা থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রোববার রাতে ভাটারা থানায় তার বিরুদ্ধে দু’টি মামলা দায়ের করে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকের ‘কথিত’ ছেলে রাজীব। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রাজত্ব গড়ে তুলেছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, টেন্ডারবাজি, খুন, কিশোর গ্যাং, মাদক ও ডিশ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ রয়েছে।

    এসব সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বসুন্ধরা এলাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীত পাশে ৮ নম্বর সড়কের ৪০৪ নং বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব-১। রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেখান থেকে রাজীবকে গ্রেফতার করা হয়। সেটি ছিল তার বন্ধুর বাসা। ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরুর পর গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন তিনি।

    ওই বাড়িতেই রাজীবকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তার মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদীয়া হাইজিং সোসাইটির ১ নম্বর রোডে ৩৩ নম্বর বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব-২। তবে সেখানে কিছু পাওয়া যায়নি। সবশেষ তার কাউন্সিলর কার্যালয়ে তল্লাশি চালান র‌্যাব সদস্যরা। অবশেষে তাকে র‌্যাব-১ এর প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

    প্রসঙ্গত, গেল ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানীতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলছে। এ সময়ে গডফাদারসহ ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এছাড়া বিভিন্ন ক্যাসিনোয় অভিযান চালিয়ে ২০১ জনকে আর্থিক জরিমানাসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

  • আবরার হত্যা : দ্বিতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ডে অমিত

    আবরার হত্যা : দ্বিতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ডে অমিত

    বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় এজাহারের বাইরে থাকা আসামি অমিত সাহার ফের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) তাকে পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে ফের সাতদিন রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান।

    অপর আসামি হোসেন মোহাম্মদ তোহাকে রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

    শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদ অমিতের তিনদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং তোহাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

    আদালতে রিমান্ড শুনানির আগে সাংবাদিকদের অমিত সাহা বলেন, “ঘটনার দিন আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। রাত দেড়টার দিকে আমি খবর পাই। মিথ্যাভাবে ফেঁসে গেলাম। আমি ঘটনার সাথে জড়িত না। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।”

    আবরারকে পিটিয়ে মারা বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে অমিত বলেন, “আমিও তো একজন মানুষ”। এরপর তিনি আদালতের ডকে দাঁড়িয়ে অঝোরে কাঁদতে থাকেন।

    অমিত সাহা বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক ছিলেন। আবরার হত্যা মামলায় গত ১০ অক্টোবর সকালে সবুজবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। ৫ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসের জেরে আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেন তার সহপাঠিরা।

    এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে সোমবার রাজধানীর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা সবাই বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

  • আবরার হত্যা : পাঁচ দিনের রিমান্ডে সাদাত

    আবরার হত্যা : পাঁচ দিনের রিমান্ডে সাদাত

    বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার এএসএম নাজমুস সাদাতের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে সিএমএম আদালত।

    রিমান্ড আবেদনের শুনানিকালে বিচারকের জিজ্ঞাসায় সাদাত জানিয়েছেন, বড় ভাইদের কথায় তিনি আবরার ফাহাদকে রুম থেকে ডেকে নিয়ে আসেন।

    বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূইয়া সাদাতকে রিমান্ডের আদেশ দেন। তিনি বুয়েটের ম্যাকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর ডিবির লালবাগ জোনাল টিমের পুলিশ ইন্সপেক্টর মো. ওয়াহিদুজ্জামান সাদাতকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

    রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, এই আসামি মামলার এজাহারনামীয় ১৫ নম্বর আসামি। মামলার তদন্ত, সাক্ষ্য প্রমাণে ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনায় তার জড়িত থাকা সম্পর্কে যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। ইতিপূর্বে এ মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিকারীদের মধ্যে কয়েকজন এই আসামি জড়িত মর্মে নাম প্রকাশ করেছেন। তাই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে অন্যান্য আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য তার ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

    রিমান্ড শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষে পুলিশের জিআরও এসআই মাজহারুল ইসলাম ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন।

    এরপর আসামি নাজমুস সাদাতের পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাবায় বিচারক তাকে জিজ্ঞাসা করেন কিছু বলার আছে কি না? জবাবে তিনি বলেন, আমি বড় ভাইদের কথায় আবরারকে রুম থেকে ডেকে এনে দিই। আমি আবরারকে মারিনি।

    এরপর বড়ভাই কারা বিচারকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, অনিক, সকাল, মুজাহিদ ও রবিন মনির। এরপর বলেন, ওরাই আবারকে মারে। আমি সাড়ে ১২টায় চলে আসি। এরপর কী হয়েছে জানি না।

    রিমান্ডে যাওয়া সাদাত বুয়েটের ম্যাকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি জয়পুরহাট সদর থানার কড়ই উত্তর পাড়ার মো. হাফিজুর রহমানের ছেলে। মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    মামলাটিতে ছয় জন আসামি হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা হলেন, বুয়েট ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. অনিক সরকার, উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররেফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, মো. মনিরুজ্জামান মনির ও শিক্ষার্থী মো. মুজাহিদুর রহমান।

    মামলাটিতে রিমান্ড শেষে কারাগরে রয়েছেন, বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, কর্মী মুনতাসির আল জেমি, গ্রন্থ ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইসাতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, আকাশ হোসেন ও মিজানুর রহমান। তারা সবাই ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত।

    রিমান্ডে রয়েছেন, বুয়েট ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা, বুয়েটের শিক্ষার্থী শামীম বিল্লাহ, মুয়াজ ওরফে আবু হুরায়রা, সামছুল আরেফিন রাফাত ও হোসেন মোহাম্মাদ তোহা।

    একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

    দেশ-বিদেশে তোলপাড় করা এই ঘটনায় আবরারের বাবা বাদী হয়ে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এতে আসামি করা হয়েছে ১৯ জনকে। তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

  • শিশু তুহিন হত্যা: বাবাসহ ২ চাচা রিমান্ডে

    শিশু তুহিন হত্যা: বাবাসহ ২ চাচা রিমান্ডে

    সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে শিশু তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় তার বাবাসহ ৩ জনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তারা হলেন- তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির, চাচা আব্দুল মছব্বির ও প্রতিবেশী চাচা জমশেদ আলী।

    মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শ্যাম কান্ত সিনহা এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    এরআগে, ১৪ অক্টোবর ভোরে দিরাইয়ের রাজনগর ইউনিয়নের খেজাউড়া গ্রামে গাছের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচানো ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

    এসময় শিশু তুহিনের কান ও লিঙ্গ কাটা ছিলো। এছাড়া পেটে দু’টি ছুরি বিদ্ধ ছিলো।

    এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওই দিন রাতেই তুহিনের মা মনিরা বেগম বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের আসামি করে দিরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

  • ১০ দিনের রিমান্ডে সম্রাট

    ১০ দিনের রিমান্ডে সম্রাট

    যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে দুপুর পৌনে একটায় শুনানি শুরু করেন। শুনানি শেষে তিনি এ আদেশ দেন।

    ৯ অক্টোবর রমনা থানার মাদক ও অস্ত্র আইনের মামলায় গত ৭ অক্টোবর ২০ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল পুলিশ।

    কিন্তু এরই মধ্যে সম্রাট বুকে ব্যথা উঠলে কারাকর্তৃপক্ষ প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল ও পরে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করে। সেখানে সম্রাট চিকিৎসাধীন থাকায় তার রিমান্ড শুনানি হয়নি।

    রিমান্ড শুনানিতে আসামি উপস্থিত থাকার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে বিধায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারী রিমান্ড শুনানির জন্য আজ ১৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন। ওইদিন আসামিদের আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    এর আগে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল কবির চৌধুরী আদালতে একটি চিঠি পাঠান।

    গত ০৭ অক্টোবর বিকেল ৪টার দিকে র‌্যাব-১ বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় দুটি মামলা দায়ের করে। দুই মামলারই বাদী র‌্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক। মাদক মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকেও আসামি করা হয়েছে।

    ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। সম্রাটকে প্রথমে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর তাকে ঢাকা হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে তাকে কারাগারে নেওয়া হয়।

  • আবরার হত্যা : অমিত-তোহা ৫ দিনের রিমান্ডে

    আবরার হত্যা : অমিত-তোহা ৫ দিনের রিমান্ডে

    বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহা ও এজাহারভুক্ত আসামি হোসেন মোহাম্মদ তোহার পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম শরাফুজ্জামান আনসারী শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    এর আগে শুক্রবার সকালে দুজনকে আদালতে হাজির করে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।

    বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে অমিত সাহা এবং বিকেল ৩টার দিকে গাজীপুরের মাওনা থেকে তোহাকে গ্রেপ্তার করেছিল ডিবি পুলিশ।

    অমিত বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র। হোসেন মোহাম্মদ তোহা বুয়েটের এমই বিভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র। তিনি এ মামলার মামলার ১১ নম্বর আসামি।

    বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

    রবিবার মধ্যরাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার মাঝামাঝি সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

    একাধিক শিক্ষার্থী ও এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে হামলাকারীদের নির্মম নির্যাতনের মুখে আবরার দুবার বমি করেন। সঙ্গে প্রস্রাবও করেন।

    এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বুয়েট ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ ১৭ জনকে আটক করে পুলিশ।
    আবরার হত্যাকাণ্ডে ১৯ জনকে আসামি করে গতকাল রাতে চকবাজার থানায় মামলা করেছেন তার বাবা বরকত উল্লাহ।

    তবে এজাহারের বাইরে বেশ কয়েকজন এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
    এদিকে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বুয়েট শাখার ১১ জন নেতাকর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ।

    আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ফেনী নদীর পানি বণ্টন ও বন্দর ব্যবহারসহ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় শিবির সন্দেহে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

  • আবরার হত্যা: ৫ দিনের রিমান্ডে ১০ আসামি

    আবরার হত্যা: ৫ দিনের রিমান্ডে ১০ আসামি

    বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ১০ আসামির পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

    এর প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী তাদের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ, মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ, মেহেদী হাসান রাসেল, মুহতাসিম ফুয়াদ ও ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না। তারা সবাই বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতাকর্মী।

    গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শের-ই বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দাযের করেন।

  • জি কে শামীমের আরো ৯ দিনের রিমান্ড

    জি কে শামীমের আরো ৯ দিনের রিমান্ড

    যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে পৃথক দুই মামলায় আরও ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    রাজধানীর গুলশান থানায় মানি লন্ডারিং ও অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় তার বিরুদ্ধে এই রিমান্ড মঞ্জুর হয়।

    বুধবার (২ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীম শুনানি শেষে মানি লন্ডারিং মামলায় ৫ দিন ও অস্ত্র মামলায় ৪ দিন মিলে মোট ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

    এর আগে, দশ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় গুলশান থানায় দায়ের হওয়া মানি লন্ডারিং মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন।
    এরপর মানি লন্ডারিং মামলায় তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন সিআইডি পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ।

    অপরদিকে অস্ত্র আইনে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন র‍্যাব-১-এর উপ পরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক।

    গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মানি লন্ডারিং জি কে শামীমের দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ। আদালত শুনানির জন্য আজ (বুধবার) দিন ধার্য করেন।

    মঙ্গলবার এই মামলায় তার সাত দেহরক্ষীর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তারা হলেন-দেলোয়ার হোসেন, মুরাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম।

    এর আগে, ২৬ সেপ্টেম্বর জি কে শামীমসহ তার সাত দেহরক্ষীকে গুলশান থানায় মানি লন্ডারিং মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ।

    আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী তার সাত দেহরক্ষীকে মানি লন্ডারিং মামলায় গ্রেফতার দেখান। জি কে শামীম অন্য মামলায় রিমান্ডে থাকায় তার উপস্থিতিতে গ্রেফতার দেখানোর আবেদনের শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন গুলশান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রকিবুল হাসান।

    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবেদনে উল্লেখ করেন, শামীম তার দেহরক্ষীদের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে নিজ নামে লাইসেন্সকৃত অস্ত্র প্রকাশ্যে বহন, প্রদর্শন ও ব্যবহার করে লোকজনের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করে আসছিলেন।

    বিভিন্ন ধরনের টেন্ডারবাজি, মাদক ও জুয়ার ব্যবসাসহ স্থানীয় টার্মিনাল, গরুর হাট-বাজারে চাঁদাবাজি করে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক হওয়ায় গুলশান থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে আসামিদের পুনঃগ্রেফতার দেখানোর জন্য আদালতে আরজি জানান তিনি।

    ২১ সেপ্টেম্বর অবৈধ অস্ত্র ও মাদক মামলায় আলোচিত যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর মধ্যে অস্ত্র মামলায় পাঁচদিন ও মাদক মামলায় পাঁচদিন। এ ছাড়া সাত দেহরক্ষীকে অস্ত্র মামলায় চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

    টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গত ২০ সেপ্টেম্বর যুবলীগ নেতা জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে আটক করে র‍্যাব। পরদিন তাদের গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়।

    ওই অভিযানে এক কোটি ৮০ লাখ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ১৬৫ কোটি টাকার ওপর এফডিআর (স্থায়ী আমানত) পাওয়া যায়, যার মধ্যে তার মায়ের নামে ১৪০ কোটি ও ২৫ কোটি টাকা শামীমের নামে। একই সঙ্গে পাওয়া যায় মার্কিন ডলার, মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র।