Tag: রিমান্ড মঞ্জুর

  • বেনাপোল এক্সপ্রেসে অগ্নিসংযোগ: বিএনপি নেতা নবী রিমান্ডে

    বেনাপোল এক্সপ্রেসে অগ্নিসংযোগ: বিএনপি নেতা নবী রিমান্ডে

    রাজধানীর গোপীবাগে আন্তঃনগর বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনার সঙ্গে জড়িত অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের সঠিক নাম-ঠিকানা শনাক্তপূর্বক গ্রেফতার, অর্থের জোগানদাতা ও ঘটনার মূলরহস্য উদঘাটনের জন্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবীকে তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি পেয়েছেন ডিবি পুলিশ।

    শনিবার (৬ জানুয়ারি) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর যাত্রাবাড়ী থানার মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তার সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন ডিবি পুলিশের এসআই আশরাফুল আলম। অন্যদিকে নবীর আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।

    উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তিনদিনের রিমান্ড দেন।

    বিএনপি ও সমমনাদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শুরুর আগের রাতে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দিনগত রাত ৯টার দিকে রাজধানীর গোপীবাগে যশোরের বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে চলন্ত অবস্থায় আগুন দেওয়া হয়। আগুনে দুই নারী, এক শিশুসহ অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের কারও কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।

  • বিআইডব্লিউটিএ’র রের্কড কিপার সঞ্জিব দাস ধর্ষণ মামলায় রিমান্ডে

    বিআইডব্লিউটিএ’র রের্কড কিপার সঞ্জিব দাস ধর্ষণ মামলায় রিমান্ডে

    নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর সবুজবাগে পোশাক কারখানার এক কর্মীকে (৩৫) চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার সনজীব কুমার দাস ও তার সহযোগী আনিকার পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সনজীব মাদারীপুর জেলার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কর্মচারী।

    আজ মঙ্গলবার (২ মার্চ) তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সবুজবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আজগর আলী। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার প্রত্যেককে পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    এর আগে গতকাল সোমবার (১ মার্চ) দিবাগত রাতে মাদারটেক এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে সবুজবাগ থানা পুলিশ।

    ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সবুজবাগ জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রাশেদ হাসান মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন, ওই নারীকে ব্যাংকে চাকরি দেয়ার নাম করে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ মাদারটেকের একটি বাসায় ডেকে নিয়ে যান সনজিব দাস। তার সঙ্গে রাসেল, জামাল, আজিজুর রহমান ও আনিকা নামে এক নারী বাসায় ছিলেন। সেখানেই ওই নারীকে সনজীবসহ বাকিরা ধর্ষণ করেন।

    এ ঘটনায় সোমবার সবুজবাগ থানায় সনজিবকে ১ নম্বর আসামি করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আনিকা ও সনজিবকে গ্রেফতার করে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি রাশেদ হাসান।

    ওই নারী মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, পাঁচ বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তার। এরপর একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত ১০ ফেব্রুয়ারি পূর্বপরিচিত সনজিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে কুশল বিনিময়ের সময় তিনি তার সন্ধানে ব্যাংকে ভালো চাকরি থাকার কথা জানান। পরে চাকরি দেয়ার কথা বলে মাদারটেকের ওই বাসায় ডেকে নেন। একপর্যায়ে সেখানে তাকে গণধর্ষণ করা হয়। সেখানে উপস্থিত আনিকা এ কাজে তাদেরকে সহায়তা করেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে সনজিব ওই নারীকে মেরে ফেলার হুমকি দেন বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

    এদিকে বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, সনজীব কুমার দাসকে রেকর্ড কিপার পদ থেকে গত ১১/০৪/২০১৬ সালে বিআইডব্লিউটিএ’র সাবেক কমোডোর এম মোজাম্মেল হক ১৮.৭০৭.০৪৭.০০.০০.১০৩.২০১৬/৩৭০ স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।

    চিঠির সূত্রে জানা গেছে, সনজীব বিনা অনুমতিতে বিআইডব্লিউটিএ’র সচিবের কক্ষে প্রবেশ করে অন্যান্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে নিয়ম বিধি বর্হিভূত অসদাচরণ করেন। এইজন্য কর্তৃপক্ষের দফতর আদেশ নং-৬৭৮/২০১৬ তাং ২৮/০৩/২০১৬ ইং দ্বারা কর্তৃপক্ষের কর্মচারী চাকুরী প্রবিধানমালা-১৯৯০ এর ৪১(১) প্রবিধান অনুসারে তাকে সাময়িক সময়ের জন্য বরখাস্ত করা হয়।

    এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা মুঠোফোনে জানান, ‘তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছিলো তা তদন্ত হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি আজ (মঙ্গলবার) ধর্ষণ অভিযোগ তাকে থানা পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। এরপর তাকে আদালতে সোপার্দ করা হয়। এই অভিযোগে কিছুক্ষন আগে অফিসের সিন্ধান্তে তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।’

  • বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর: যুবলীগ নেতাসহ ৩ আসামি তিন দিনের রিমান্ডে

    বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর: যুবলীগ নেতাসহ ৩ আসামি তিন দিনের রিমান্ডে

    কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বহুল আলোচিত ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের পুরোধা বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনায় যুবলীগ নেতাসহ তিন আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    সোমবার তাদের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সেলিনা খাতুনের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর রাকিব হাসান ওই তিন আসামির সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে গ্রেফতার যুবলীগ নেতা আনিসুর রহমান আনিস (৩৫), তার সহযোগী সবুজ হোসেন (২০) ও হৃদয় আহমেদের (২০) তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া গ্রামে অবস্থিত কয়া মহাবিদ্যালয়ের সামনে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের পুরোধা বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর করে কয়েকজন দুর্বৃত্ত।

    কুষ্টিয়া সদর ও কুমারখালী থানার পুলিশ যৌথভাবে শনিবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিসুল হককে গ্রেফতার করে।

    পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঘটনায় জড়িত অপর দুজন হৃদয় আহমেদ ও সবুজ হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

  • বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর: দুই ছাত্র ৫ দিন ও শিক্ষক ৪ দিনের রিমান্ডে

    বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর: দুই ছাত্র ৫ দিন ও শিক্ষক ৪ দিনের রিমান্ডে

    কুষ্টিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতার দুই ছাত্রের পাঁচ দিন ও দুই শিক্ষকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে কুষ্টিয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত শুনানি শেষে তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক নিশিকান্ত দাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করেছি। দুই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর ১০ দিন এবং দুই শিক্ষকের সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়।

    আদালত শুনানি শেষে দুই ছাত্রের পাঁচ দিন ও দুই শিক্ষকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

    এর আগে সোমবার চার আসামিকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।
    আদালত আজ শুনানির দিন ধার্য করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
    এদিকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সোমবার মানববন্ধন, সভা-সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এদিকে কুষ্টিয়ায় ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত ভাস্কর্যের সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কুষ্টিয়ার জুগিয়া এলাকার মাদ্রাসা ইবনে মাসউদের (রা.) হেফজ বিভাগের ছাত্র ও মিরপুর উপজেলার শিংপুর গ্রামের সমশের মৃধার ছেলে আবু বক্কর ওরফে মিঠুন (১৯) এবং দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামের শামসুল আলমের ছেলে সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ (২০), একই মাদ্রাসার শিক্ষক ও মিরপুর উপজেলার ধুবইল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আল আমিন (২৭) এবং পাবনার দিয়াড় বামুন্দি গ্রামের আজিজুল মণ্ডলের ছেলে ইউসুফ আলী (২৭)।

    শুক্রবার গভীর রাতে দুই ছাত্র বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুজেট দেখে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।

    এদিকে ভেঙে ফেলা ভাস্কর্যের সংস্কারকাজ আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার আশ্বাস দিয়েছে কুষ্টিয়া পৌরসভা।

    সোমবার সকাল থেকে ভাস্কর্যটি সংস্কারকাজ শুরু করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। স্বনামধন্য ভাস্কর মাহবুব জামাল শামীম পাঁচ রাস্তার মোড়ে ভাস্কর্য নির্মাণকাজ করছেন।

    তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটির বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডান হাতসহ মুখমণ্ডলের অংশটি পরিবর্তন করতে হবে। পাশাপাশি নকশার কোনো পরিবর্তন যাতে না হয় সে বিষয়টিও মাথায় রাখা হচ্ছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

  • এএসপি শিপন হত্যা: গ্রেফতারকৃত ১০ জন ৭ দিনের রিমান্ডে

    এএসপি শিপন হত্যা: গ্রেফতারকৃত ১০ জন ৭ দিনের রিমান্ডে

    রাজধানীর আদাবর এলাকার মাইন্ড এইড সাইকিয়াট্রি এন্ড ডি-এডিকশন হাসপাতালে সিনিয়র সহকারি পুলিশ কমিশনার মো. আনিসুল করিম ওরফে শিপন (৩৫) হত্যার ঘটনায় হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজারসহ গ্রেফতারকৃত ১০ জনকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

    এরআগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আদাবর থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।

    ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত আজ শিপন হত্যাকান্ডের ঘটনায় গ্রেফতার হাওয়া হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয়সহ ১০ জনের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

    মঙ্গলবার গ্রেফতারকৃত ১০ জনকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদাবর থানার পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ ফারুক মোল্লা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম প্রত্যেকের ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    রিমান্ডভূক্তরা (গ্রেফতারকৃত) হলেন, হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয়, কো-অর্ডিনেটর রেদোয়ান সাব্বির, কিচেন সেফ মো. মাসুদ, ওয়ার্ডবয় জোবায়ের হোসেন, ফার্মাসিস্ট মো. তানভীর হাসান, ওয়ার্ডবয় মো. তানিম মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম চন্দ্র পাল, মো. লিটন আহাম্মদ ও মো. সাইফুল ইসলাম পলাশ।
    রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ‘আসামিরা সকলেই হাসপাতালে বাবুর্চি, ওয়ার্ডবয়, মার্কেটিং অফিসার ও কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কর্মরত।

    মামলার এজাহারভূক্ত আসামিরা অনুমোদন ব্যতীত হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার মাধ্যমে চিকিৎসার নামে অবৈধ অর্থ অর্জন করে আসছিল।’

    এতে আরও বলা হয়, ‘এই মামলার ভিকটিম মো আনিসুল করিমকে উন্নত চিকিৎসার আশায় মামলার বাদি গত ৯ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তখন মানসিক চিকিৎসা দিতে পারেন এমন কোনো ডাক্তার হাসপাতালে কর্তব্যরত ছিলেন না। আসামিরা চিকিৎসা দেয়ার অজুহাতে ভিকটিমকে বলপ্রয়োগ করে হাসপাতালের দোতলায় স্থাপিত একটি অবজারভেশন কক্ষে নিয়ে যায়। আসামিরা ভিকটিমকে মারতে মারতে অবজারভেশন কক্ষে ঢোকায়। তা ঘাড়, পিঠ ও মাথাসহ শরীরে বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি আঘাত করে রুমের ওপর উপুড় করে ফেলে দেয়। কয়েকজন ভিকটিমের পিঠে চড়ে বসে, কয়েকজন মাথার ওপর আঘাত করে, বাকিরা দু’হাত পিঠমোড়া করে ওড়না দিয়ে বাঁধে।’
    ‘আসামিদের এমন অমানসিক নির্যাতনে ভিকটিম মো. আনিসুল করিমের মৃত্যু হয়।

    এএসপি শিপনকে মারধরের ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
    সোমবার দুপুর পৌনে ১২টায় মানসিক সমস্যার কারণে হাসপাতালে আসেন এএসপি আনিসুল করিম। অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালটিতে ভর্তির কিছুক্ষণ পরই মারা যান তিনি। হাসপাতালের অ্যাগ্রেসিভ ম্যানেজমেন্ট রুমে তাকে মারধরের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।

    দীর্ঘক্ষণ অচেতন থাকা অবস্থায়ও তাকে ভর্তি কার্যক্রম করা হয়নি। কিছুক্ষণ পর ১২টার দিকে তাকে হাসপাতালের লোকজন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান হাসপাতালে নেয়ার আগেই শিপনের মৃত্যু (ব্রট ডেথ) হয় ।

    এ ঘটনায় আদাবর থানায় হত্যা একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার আনিসুল করিম শিপনের বাবা বাদি হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন।

    মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. হারুন অর রশিদ।

    হারুন অর রশিদ জানান, গত ৯ নভেম্বর দুপুর অনুমান সাড়ে ১১টার দিকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত সিনিয়র সহকারি পুলিশ কমিশনার মো. আনিসুল করিমকে চিকিৎসার জন্য তার পরিবারের সদস্যরা আদাবরের এ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয় তাকে ওয়াশরুমে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে হাসপাতালের দোতলায় নিয়ে যায়। তখন তার বোন তার সাথে যেতে চাইলে আরিফ ও রেদোয়ান তাকে বাধা দেয় এবং কলাপসিবল গেট আটকে দেয়। পরে দুপুর ১২টার দিকে আরিফ নিচে এসে তার বোনকে উপরে যাওয়ার জন্য ডাক দেয়। তার বোনসহ পরিবারের লোকজন উপরে গিয়ে আনিসুল করিমকে একটি রুমের ফ্লোরে নিস্তেজ অবস্থায় শোয়া দেখতে পায়। তার পরিবারের সদস্যরা একটি এ্যাম্বুলেন্স যোগে আনিসুল করিমকে দ্রুত শ্যামলীতে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার পরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সংক্রান্তে সোমবার রাতে তাঁর বাবা বাদি হয়ে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

    মামলা দায়ের পর পর আদাবর থানা পুলিশ হাসপাতালের ভিডিও ফুটেজে দেখতে পায়, গ্রেফতারকৃতরা আনিসুল করিমকে হাসপাতালের দোতলার একটি রুমে মারতে-মারতে ঢুকায়। তাকে এ রুমের ফ্লোরে জোরপূর্বক উপুড় করে ৩ থেকে ৪ জন হাটু দিয়ে পিঠের উপর চেপে বসে, কয়েকজন পিঠ মোড়া করে ওড়না দিয়ে তার দুই হাত বাঁধে। কয়েক জন অভিযুক্ত কনুই দিয়ে ঘাড়ের পিছনে ও মাথায় আঘাত করে। ফলে আনিসুল করিম দুপুর অনুমান ১২ টার দিকে নিস্তেজ হয়ে পড়ে।গ্রেফতারকৃতরা পরিকল্পিতভাবে মারপিট করে তাকে হত্যা করেছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

    ডিসি তেজগাঁও বলেন, হাসপাতালটি পরিচালনার জন্য বৈধ কোন কাগজপত্র ছিল না। তাদের কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। এটা একটা ভুঁইফোড় হাসপাতাল। তারা অবৈধভাবে মানসিক রোগীর চিকিৎসার নামে বাণিজ্য করে আসছিল।

    হাসপাতালের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। হাসপাতালটিতে কয়েকজন রোগী আছেন। তারা চলে গেলে হাসপাতালটি বন্ধ করে করে দেওয়া হবে।

    উল্লেখ্য, পুলিশ ক্যাডার সদস্য আনিসুল করিম বিসিএস ৩১ তম ব্যাচে ১ম স্থান অধিকার করেন। অত্যন্ত মেধাবী এই কর্মকর্তা কর্মজীবনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটিলিয়ন, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ও সর্বশেষ বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • রায়হান হত্যা: এসআই আকবর ৭ দিনের রিমান্ডে

    রায়হান হত্যা: এসআই আকবর ৭ দিনের রিমান্ডে

    সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান আহমদ হত্যার নেপথ্যে থাকা এসআই (বরখাস্ত) আকবর হোসেন ভূঁইয়ার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কাশেম শুনানি শেষে তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    আদালত সূত্র জানায়, রিমান্ড শুনানিকালে আকবরের কিছু বলার আছে কিনা জানতে চান বিচারক। এ সময় আকবর নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, আমি কোনো দোষ করিনি।

    এর আগে সোমবার সিলেট জেলা পুলিশ রাত ৮টার দিকে আকবরকে পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করেছে। রাতেই পিবিআই তাদের কার্যালয়ে আকবরকে কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করে।

    এ বিষয়ে পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার খালেদ-উজ-জামান মঙ্গলবার দুপুরে যুগান্তরকে বলেন, আমরা তাকে আদালতে সাত দিনের রিমান্ডে চাই। আদালত শুনানি শেষে সাত দিনের মঞ্জুর করেছেন।

    প্রসঙ্গত, গত ১১ অক্টোবর ভোরে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন রায়হান আহমদ (৩৪)। পরে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে তিনি মারা যান। রায়হান সিলেট নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি নগরীর রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে কাজ করতেন।

    এ ঘটনায় ১২ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হেফাজতে মৃত্যু আইনে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী। স্ত্রীর করা মামলাটির তদন্ত করছে পিবিআই।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • দুই মামলায় ইরফান ও জাহিদ ৫ দিনের রিমান্ডে

    দুই মামলায় ইরফান ও জাহিদ ৫ দিনের রিমান্ডে

    অস্ত্র ও মাদক মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদের ফের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    আজ ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলামের আদালতে তাদের বিরুদ্ধে করা অস্ত্র মামলার সাত দিনের রিমান্ড শুনানি হয়। আদালত শুনানি শেষে তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    অপর দিকে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে মাদক মামলার সাত দিনের রিমান্ড শুনানি শেষে বিচারক তাদের দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড জাহিদের বিরুদ্ধে চকবাজর থানার অস্ত্র ও মাদক আইনে করা পৃথক মামলায় সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. দেলোয়ার হোসেন। আদালত শুনানির জন্য এদিন ধার্য করেন।

    ১ নভেম্বর নৌ বাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

    এরআগে ২৮ অক্টোবর ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুর তাদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    গত ২৫ অক্টোবর রাতে হাজী সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমদ খানকে মারধর করা হয়। রাজধানীর কলাবাগান সিগন্যালের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

    ওইদিন রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও পরদিন ভোরে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদি হয়ে ইরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মো. জাহিদ, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ ৭ জনকে আসামি করে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন।

    ঘটনার পরের দিন এ মালায় ইরফানকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এছাড়া পুরান ঢাকায় তার বাসায় অভিযান চালানো হয়।

    অভিযানে ৩৮টি ওয়াকিটকি, পাঁচটি ভিপিএস সেট, একটি পিস্তল, একটি একনলা বন্দুক, একটি ব্রিফকেস, একটি হ্যান্ডকাফ, একটি ড্রোন এবং সাত বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়।
    বাসায় বিদেশি মদ ও অনুমোদনহীন ওয়াকিটকি রাখার দায়ে কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড মো. জাহিদকে এক বছর করে জেল দেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাতেই তাদের কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • ইরফান সেলিম ও দেহরক্ষী জাহিদ ৩ দিনের রিমান্ডে

    ইরফান সেলিম ও দেহরক্ষী জাহিদ ৩ দিনের রিমান্ডে

    রাজধানীতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে হত্যা চেষ্টা মামলায় বরখাস্ত ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে এ মামলায় প্রত্যেককে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।

    বুধবার (২৭ অক্টোবর ) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুর শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    এর আগে সকালে কারাগার থেকে দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় কারাগারের গারদে রাখা হয় তাদের। দুপুর ১২টায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দুই আসামিকে ধানমন্ডি থানার মামলায় গ্রেফতার দেখান। তারপর একই আদালতে দুই আসামির রিমান্ড শুনানি হয়।

    এ সময় আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    এর আগে মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) আশফাক রাজীব হায়দার আসামি ইরফান সেলিম ও জাহিদকে গ্রেফতার দেখানো এবং সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। পরে আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে (শোন অ্যারেস্ট) গ্রেফতার দেখানোর বিষয়ে শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন।

    এ মামলায় গত সোমবার (২৬ অক্টোবর) এমপি হাজী সেলিমের গাড়িচালক মিজানুর রহমানের একদিন এবং মঙ্গলবার এরফানের ব্যক্তিগত সহকারী এবি সিদ্দিকী দীপুর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

    গত সোমবার সকালে সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদ, এবি সিদ্দিক দীপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।

    নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় মামলায় সোমবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফানের বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। ৮তলা ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে অভিযান চলে। ইরফানের বাসা থেকে বেশ কিছু অবৈধ জিনিস উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ছিল একটি আগ্নেয়াস্ত্র, যেটা অবৈধ। সেটির কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি। এছাড়া ৫-৬ লিটার মদ ও ৪০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পাওয়া যায় বেশ কিছু বিয়ারের ক্যান।

    অভিযান চালিয়ে হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান ও তার দেহরক্ষী জাহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। পরে ইরফানকে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে এক বছর ও অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার দায়ে আরও ছয় মাস কারাদণ্ডাদেশ দেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। আর জাহিদুলকে অবৈধ ওয়াকিটকি বহনের দায়ে ছয় মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়

    দণ্ডিত হওয়ায় ইরফানকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাকে বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ।

    গত ২৫ অক্টোবর রাতে ধানমন্ডিতে ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও ২৬ অক্টোবর ভোরে হাজী সেলিমের ছেলেসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওয়াসিফ। মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে।
    মামলায় বলা হয়, ইরফানের গাড়ি ওয়াসিমকে ধাক্কা মারার পর নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিম সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামান এবং গাড়ির সামনে দাঁড়ান। নিজের পরিচয় দেন। এরপরই গাড়ি থেকে কয়েকজন বের হয়ে ওয়াসিমকে কিলঘুষি মারেন এবং তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। তারা মারধর করে ওয়াসিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যান। পরে তার স্ত্রী, স্থানীয় জনতা এবং পাশে ডিউটিরত ধানমন্ডির ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

     

     

  • অর্থ আত্মসাৎ মামলায় সাহেদ চার দিনের রিমান্ডে

    অর্থ আত্মসাৎ মামলায় সাহেদ চার দিনের রিমান্ডে

    চট্টগ্রামে অর্থ আত্মসাতের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    রোববার দুপুর দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার জাহানের আদালত এ আদেশ দেন।

    আদালতের বেঞ্চ সহকারী আবুল কালাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, অর্থ আত্মসাতের মামলায় মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    এর আগে চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠান মেগা মোটরসের অর্থ আত্মসাতের মামলায় হাজিরার জন্য আজ দুপুর ১টার দিকে চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হয় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে।

    তার আগে শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সাহেদকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসা হয়।

    মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঢাকায় রুট পারমিট পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে গাড়ির যন্ত্রাংশ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেগা মোটরস থেকে ৯১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে গত ১৩ জুলাই চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানায় সাহেদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

    প্রসঙ্গত, সাহেদ করিম ঢাকার রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে টেস্টের নাম করে রোগীদের কাছ থেকৈ টাকা নিয়ে প্রতারণার বিস্তর অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার হাসপাতাল বন্ধ করে দেয় আইনশৃংখলা বাহিনী।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • প্রদীপ-লিয়াকত-নন্দ ৭ দিনের রিমান্ডে,৪ জনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

    প্রদীপ-লিয়াকত-নন্দ ৭ দিনের রিমান্ডে,৪ জনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

    সাবেক সেনা কর্মকর্তা (মেজর) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীসহ তিনজনকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। এ মামলায় কারাগারে পাঠানো বাকি চার পুলিশকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আদেশ দিয়েছেন আদালত।

    বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজারের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন এ আদেশ দেন।

    এর আগে কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আজিম আহমেদ সাত আসামিদের প্রত্যেককে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন।

    শুনানি শেষে আদালত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতকে সাত দিন করে রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেন। আর বাকি চারজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার আদেশ দেন।

    এর আগে বৃহস্পতিবার পুলিশের গাড়িতে করে কঠোর নিরাপত্তায় দুই দফায় ওই ওসিসহ সাতজনকে আদালতে তোলা হয়। বিকাল সোয়া ৪টায় প্রথমে মামলার প্রধান আসামি লিয়াকত আলীসহ ৬ জনকে আদালতে তোলা হয়। পরে কঠোর পুলিশি পাহারায় চট্টগ্রাম থেকে এনে বিকাল ৫টায় তোলা হয় নানা অপকর্মের হুতা ওসি প্রদীপকে। পরে আদালত দুই দফা শুনানি শেষে হত্যা মামলার ৭ আসামিকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

    এরপরই র‌্যাব কর্মকর্তা আসামি সাতজনকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করলে আবার শুনানি শুরু হয়।

    জেলগেটে যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, তারা হলেন- মামলার এজাহারভুক্ত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল মো. আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া। এ ছাড়া মামলার আরও দুই আসামি এসআই টুটুল ও কনস্টেবল মোস্তফা পলাতক রয়েছেন।

    সূত্রমতে, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর সিনহা হত্যা মামলার দ্বিতীয় আসামি টেকনাফ থানার প্রত্যাহারকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার হাসপাতালে চিকিৎসার কথা বলে গাড়ি নিয়ে এলে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাকে নিয়ে দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় পুলিশ। বিকাল ৫টার দিকে তাকে তোলা হয় কক্সবাজারের টেকনাফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে।

    এর আগে গেল বুধবার রাত ১০টায় টেকনাফ থানায় আদালতের নির্দেশে মেজর সিনহার বোনের করা হত্যা মামলাটি নথিভুক্ত হয়। ওই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ টেকনাফের বিচারক তামান্না ফারহার আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া। পরে আদালত সেটি টেকনাফ থানাকে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন। এ ছাড়া মামলার তদন্তভার দেয়া হয় কক্সবাজার র‌্যাব-১৫-এর অধিনায়ককে।

    প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান (৩৬)। তার ওপর গুলি চালান বাহারছড়া ফাঁড়ির দায়িত্বরত পুলিশ ইন্সপেক্টর লিয়াকত। নিহত সিনহা রাশেদকে ঢাকায় সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এই ঘটনায় বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীসহ ২০ জনকে ক্লোজড (প্রত্যাহার) করা হয়েছে। বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়িতে পুরো নতুন টিম দেয়া হয়েছে।

    এদিকে গেল বুধবার (৫ আগস্ট) পুলিশ সদর দফতরের একটি সূত্র জানায়, টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। থানার সেকেন্ড অফিসার পরিদর্শক এ‌বিএম দোহাকে এ পদে দায়িত্ব দেয়া হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সাহেদ ২৮ মাসুদ ২১ দিনের রিমান্ডে

    সাহেদ ২৮ মাসুদ ২১ দিনের রিমান্ডে

    রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান শাহেদ করিম ওরফে মোহাম্মদ সাহেদকে ২৮ এবং প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজের ২১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    রোববার (২৬ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    এর আগে সকাল ১০টার দিকে ১০ দিনের রিমান্ড শেষে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিমে তিন ও উত্তরা পূর্ব থানায় প্রতারণার এক মামলায় গ্রেফতার দেখানোর পর ১০ দিন করে মোট ৪০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে তাদের হাজির করা হয়। এ সময় তাদের রাখা হয় আদালতের হাজত খানায়।

    গত ১৬ জুলাই সাহেদ-মাসুদ ও তরিকুলকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তিনজনের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক এস এম গাফফার আলম। অপরদিকে তাদের আইনজীবী নাজমুল হোসেন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে সাহেদ ও মাসুদের ১০ দিনের এবং তরিকুলের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম মো. জসিম।

    এর আগে করোনা চিকিৎসায় রিজেন্ট হাসপাতালের ভয়াবহ জালিয়াতি ধরা পড়ার পর ৮ জুলাই গ্রেফতার হন তরিকুল। ১০ জুলাই তাকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়। মামলার ২ নম্বর আসামি মাসুদ পারভেজকে গাজীপুর থেকে গত ১৪ জুলাই গ্রেফতার করে র‌্যাব।

    এর আগে গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম ধরা পড়ে। পরদিন ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় দণ্ডবিধি ৪০৬/৪১৭/৪৬৫/৪৬৮/৪৭১/২৬৯ ধারায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। পরে মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ডা. সাবরিনা আরো ২ দিনের রিমান্ডে

    ডা. সাবরিনা আরো ২ দিনের রিমান্ডে

    জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান এবং জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে সদ্য বহিষ্কৃত ডা. সাবরিনা চৌধুরীকে নতুন করে আরো দুই দিনের রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত।

    নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার জোবেদা খাতুন হেলথকেয়ার (জেকেজি) প্রজেক্টের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনাকে শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করলে এই আদেশ দেন বিচারক।

    এ সময় আসামী পক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। এছাড়া তেজগাঁও থানার প্রতারণা মামলায় আবারো তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করে ডিবি। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদুর রহমানের আদালত জামিন আবেদন খারিজ করে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    সরকারি ডাক্তার হওয়ার পরও জোবেদা খাতুন হেলথকেয়ার (জেকেজি) প্রকল্পে নিয়ম না মেনে চেয়ারম্যান থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ প্রতিষ্ঠান থেকেই তিনি করোনার ভুয়া সনদ দিয়েছেন বলে অভিযোগ পুলিশের।

    এর আগে গত ১৪ জুলাই ডা. সাবরিনার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সেই রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে।

    গত ২৩ জুন জেকেজির গুলশান কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ও ডা. সাবরিনার স্বামী আরিফ চৌধুরীসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পর থেকেই সরকারি চিকিৎসক হয়ে একটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পদে থাকা সাবরিনার নাম এবং জালিয়াতির তথ্য নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। এ সময় একটি ল্যাপটপে ১৫ হাজার ভুয়া রিপোর্ট তৈরির আলামত পাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়।

    জেকেজি হেলথকেয়ার থেকে ২৭ হাজার রোগীকে করোনা টেস্টের রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের করোনার নমুনা সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) মাধ্যমে সঠিক পরীক্ষা করানো হয়েছিল। বাকি ১৫ হাজার ৪৬০ জনের ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করা হয়, যা জব্দ করা ল্যাপটপে পাওয়া গেছে।

    ২৪ ঘন্টা/এম আর