Tag: রুনা লায়লা

  • বিজ্ঞাপনে একসঙ্গে আলমগীর রুনা লায়লা ও আঁখি

    বিজ্ঞাপনে একসঙ্গে আলমগীর রুনা লায়লা ও আঁখি

    তারকা দম্পতি আলমগীর ও রুনা লায়লাকে এবার একসঙ্গে দেখা যাবে একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে। তাদের সঙ্গে চমক হিসেবে থাকবেন আঁখি আলমগীরও।

    অভিনেতা আলমগীরের প্রথম সংসারের মেয়ে আঁখি আলমগীর। ফলে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে তাদের তিনজনকে দেখা যাবে পর্দায়।

    তাদের নিয়ে বিজ্ঞাপনটি বানাচ্ছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা অনন্য মামুন। আগামী ১০ জানুয়ারি শুটিং হবে বিজ্ঞাপনটির।

    নির্মাতা অনন্য মামুন বলেন, একটি রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন হবে এটি। বড় আয়োজনে বিজ্ঞাপনটি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার হবে। বিজ্ঞাপনটির জন্য তাদের ছাড়া অন্য কাউকে কল্পনা করতে পারছিলাম না। সেই কারণে তাদের নিয়েছি। স্ক্রিনেও তারা অভিনেতা আলমগীর ও সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা হিসেবে আসছেন।

    তিনি বলেন, তাদের মতো কিংবদন্তিকে নিয়ে কাজ করতে পারাটা সৌভাগ্যের। এটা আমার জন্য অনেক বিশেষ একটি কাজ হতে যাচ্ছে। বিজ্ঞাপনের গল্প তাদের ঘিরেই সাজানো। সুতরাং এখানে অন্য কাউকে কল্পনা করতে পারিনি।

  • বয়স পেরোল ৭০, সঙ্গীতেই ৫৬

    বয়স পেরোল ৭০, সঙ্গীতেই ৫৬

    মাত্র ১৪ বছর বয়সে যার সঙ্গীতে পদার্পন। ৬ বছর আগেই যিনি গানে গানে তার প্রিয় ভুবনে ৫০ বছর পার করে ফেলেছেন। যিনি তার সঙ্গীত জীবনে ১৮টি ভাষায় গান করে রীতিমত রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। উপমহাদেশের কিংবদন্তি সেই সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লার ৭০তম জন্মদিন বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর)। দিনটি উপলক্ষ্যে পরিবার ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং টিভি চ্যানেলগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

    শৈশব থেকেই সংস্কৃতি চর্চার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত তিনি। চার বছর বয়সেই নাচের পাঠ নেওয়া শুরু করেন রুনা লায়লা। সেসময় গানের প্রতি কিন্তু তার বিন্দুমাত্র আগ্রহ ছিল না। বড়বোন দীনা লায়লা গান শিখতেন। ওইসময় খেলার ফাঁকে বড়বোনের সঙ্গে তিনিও ওই বয়সে বসে যেতেন রেওয়াজে, তবে সেটা নিয়মত নয়। সেসময় গানের ওস্তাদ তার স্মৃতিশক্তি ও তাল লয় আর সুরের জ্ঞান দেখে মুগ্ধ হন। সেই ওস্তাদই রুনার মাকে একদিন অনুরোধ করেছিলেন যেন তাকে গান শেখাতে দেওয়া হয়। মাও দ্বিধা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত রাজি হয়ে যান। সেই ওস্তাদ ওইটুকু বয়সে রুনার মধ্যে গানের যে প্রতিভা দেখেছিলেন তা নিতান্তই ভুল ছিল না, যার প্রমাণ আজকের বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করা কণ্ঠসম্রাজ্ঞীর অবস্থান। নাচের প্রতি যে মেয়েটা এত পাগল ছিল, সে হয়ে উঠল উপমহাদেশের প্রখ্যাত গানের মানুষ।

    বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলী ও মা আমেনা লায়লার দ্বিতীয় সন্তান রুনা লায়লা ক্রমেই হয়ে ওঠেন উপমহাদেশীয় সঙ্গীত জগতের এক বিষ্ময়কর নাম। তার বয়স সত্তর হলেও সঙ্গীত জীবন ৫৬ বছরেরও বেশি। দীর্ঘ এ সঙ্গীত ক্যারিয়ারে মোট ১৮টি ভাষায় দশ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন তিনি। রুনা লায়লাই বাংলাদেশের একমাত্র শিল্পী যিনি বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান এই তিন দেশেই সমানভাবে জনপ্রিয়।

    আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা নারী কণ্ঠশিল্পীর পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ থেকে এ ছাড়া পেয়েছেন স্বাধীনতা পদক সহ বিভিন্ন পুরস্কার। এই কিংবদন্তি শিল্পী শুধু বাংলাদেশেই পুরস্কার পাননি, তিনি পাকিস্তান থেকে ৩টি ও ভারত থেকে দাদা সাহেব ফালকে সম্মাননাসহ ২টি সম্মানজনক পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি শুধু গানই নয়, চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘শিল্পী’ নামক চলচ্চিত্রে অভিনয়ও করেছিলেন। এতে তিনি নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। মূলত এ ছবিতে তার ক্যারিয়ারকে ফোকাস করা হয়েছিল।

    বর্ণাঢ্য সঙ্গীত জীবনের ৭০ বছরের পদার্পনকে তিনি বিশেষ কিছু মনে করছেন। জন্মদিনের অনুভূতি জানাতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, কেন যেন এবারের জন্মদিনটিকে মনে হচ্ছে একটু বেশিই বিশেষ। অনেক আগে থেকেই এই দিনটিকে ঘিরে চলছে নানান আয়োজন। পারিবারিকভাবেও দিনটিকে উদযাপনের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আমরা পরিবারের সদস্যরাই থাকছি। এছাড়া চ্যানেল আইতে থাকছে বিশেষ আয়োজন।

    জন্মদিনে বৃহস্পতিবার চ্যানেল আইতে ১২.৩০ মিনিটে তিনি অনন্যা রুমা প্রযোজিত বর্ণাঢ্য ‘তারকা কথন’ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। একই অনুষ্ঠানে কোনাল, ঝিলিক, তরিক মৃধা ও মেজবাহ বাপ্পীর রুনা লায়লাকে নিয়ে গাওয়া একটি বিশেষ গানও প্রচার করা হবে। গানটি লিখেছেন হাসনাত করিম পিন্টু ও সুর করেছেন মনোয়োর হোসেন টুটুল।

    এবারের জন্মদিনে তিনি একটু বেশিই আবেগতাড়িত। জন্মদিনের কথা বলতে গিয়ে তিনি মা-বাবার কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, জীবনের এই বিশেষ দিনে বাবা মায়ের কথা বিশেষভাবে মনে পড়ছে। দীনা আপার কথা মনে পড়ছে। হয়তো সবাই থাকলে জীবনের এই দিনটি আরো বিশেষায়িত হতো। তারপরও যারা আছেন সবসময় পাশে তাদের নিয়েই ভালো থাকাটাও জরুরি।

    নিজের শারীরিক অবস্থা জানিয়ে ও দোয়া চেয়ে রুনা লায়লা বলেন, আলহামদুলিল্লাহ্, আমি ভালো আছি সুস্থ আছি। সবাই দোয়া করবেন যেন আগামী দিনেও আল্লাহ ভালো রাখেন, সুস্থ রাখেন।

    বাড়িতে জন্মদিনের আয়োজন নিয়ে রুনা লায়লা বলেন, আমার জন্মদিনের সব আয়োজন আলমগীরই (চিত্রনায়ক আলমগীর) করেন। আমাদের বাড়িতে পরিবার, আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠান হবে। এখানে আমার কোনো কাজ নেই। তবে প্রতি জন্মদিনেই একটা না একটা সারপ্রাইজ থাকেই।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • রুনা লায়লার ”ফেরাতে পারিনি” মুক্ত

    রুনা লায়লার ”ফেরাতে পারিনি” মুক্ত

    উপমহাদেশের প্রখ্যাত গায়িকা, জীবন্ত কিংবদন্তি রুনা লায়লার কণ্ঠে নতুন গান ”ফেরাতে পারিনি” মুক্ত হয়েছে। দেশীয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ধ্রব মিউজিক স্টেশন (ডিএমএস) থেকে শনিবার মুক্ত হওয়া এই গানটি তার নিজের সুরে প্রথম কণ্ঠ।

    কবির বকুলের লেখা গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন রাজা কাশেফ। প্রডাকশন হাউজ প্রেক্ষাগৃহের ব্যানারে গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন শাহরিয়ার পলক। মিউজিক ভিডিওতে নিলয় আলমগীর এবং সালহা খানম নাদিয়ার অনবদ্য অভিনয় ছড়িয়েছে মুগ্ধতা আর রুনা লায়লার উপস্থিতি দিয়েছে পূর্ণতা।

    গানটি নিয়ে রুনা লায়লা বলেন,”গানটি মেলোডিয়াস ঘরানার, ক্ল্যাসিক্যাল বেইজড। আমার বিশ্বাস, এই গান শ্রোতা-দর্শকের মধ্যে অন্যরকম ভালোলাগার সৃষ্টি করবে। গানের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাই অনেক শ্রম দিয়ে গানটি করেছি। বড় কথা, গানটির সঙ্গে আমাদের প্রত্যেকের ভালোবাসা জড়িয়ে আছে।”

    ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের ইউটিউব চ্যানেলে পাওয়া যাবে গানটির ভিডিও। পাশাপাশি গানটি শুনতে পাওয়া যাবে ডিএমএস ওয়েবসাইট, জিপি মিউজিক এবং বাংলালিংক ভাইবে। রুনা লায়লার গানটি দেখতে বা শুনতে ক্লিক করুন লিংকে:

    https://youtu.be/bHlUCgBafo8

  • শুভ জন্মদিন রুনা লায়লা

    শুভ জন্মদিন রুনা লায়লা

    আজ উপমহাদেশের প্রখ্যাত গায়িকা রুনা লায়লার ৬৭তম জন্মদিন। পাঁচ দশকের দীর্ঘ সঙ্গীত জীবনে ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান করেছেন দমাদম মাস্ত কালান্দার খ্যাত এই গুণী তারকা শিল্পী। কুড়িয়েছেন উপমহাদেশের কোটি মানুষের ভালোবাসা।

    রুনা লায়লা ১৯৫২ সালে সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন রুনা লায়লা। বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলী ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা এবং মা আনিতা সেন ওরফে আমেনা লায়লা ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী। তার মামা সুবীর সেন ভারতের বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী।

    রুনা লায়লার যখন আড়াই বছর বয়স তার বাবা রাজশাহী থেকে বদলি হয়ে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের মুলতানে যান। সে সূত্রে তার শৈশব কাটে পাকিস্তানের লাহোরে। সঙ্গীতভূবনে পাঁচ দশক কাটিয়ে ফেলে এখনও সেরা হয়েই বিচরণ করছেন এই শিল্পী।

    দীর্ঘ সঙ্গীত জীবনে ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান করেছেন। কুড়িয়েছেন উপমহাদেশের কোটি মানুষের ভালোবাসা। তার দমাদম মাস্ত কালান্দার গান উপমহাদেশ বিখ্যাত। আজ জন্মদিনের শুভেচ্ছায় ভাসছেন রুনা লায়লা। জন্মদিনের আগেই সুরকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

    ‘একটি সিনেমার গল্প’ সিনেমার একটি গানের সুর করে এ পুরস্কার পান তিনি। এছাড়া জন্মদিনের আগে নিজের সুর-কণ্ঠে প্রকাশ পেয়েছে ‘ফেরাতে পারিনি’ শিরোনামের নতুন গানের ভিডিও। এদিকে ২২ নভেম্বর কলকাতায় অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ ভারতের দিবারাত্রির ক্রিকেট টেস্ট ম্যাচ শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন রুনা লায়লা।

    এসব মিলিয়ে ৬৭তম জন্মদিনটি বিশেষ হয়ে রইল এ গুণী শিল্পীর জন্য। ছোটবেলায় পাকিস্তানের ‘যুগ্নু’ ছবিতে প্রথম প্লেব্যাক করেন রুনা লায়লা। ১৯৭৪ সালে প্রয়াত সত্য সাহার সুরে ‘জীবন সাথী’ ছবিতে গান দিয়ে বাংলাদেশের ছবিতে প্রথম প্লেব্যাক করেন। এরপর পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অসংখ্য ছবির গানে একচেটিয়াভাবে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।

    নন্দিত এই শিল্পী অভিনয় করেছেন ‘শিল্পী’ নামক চলচ্চিত্রেও। পেয়েছেন নানা পুরস্কার। এসবের মধ্যে রয়েছে দেশ থেকে পাঁচবার জাতীয় চলিচ্চত্র পুরস্কার, স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার। এছাড়া ভারত থেকে পেয়েছেন সায়গল পুরস্কার। পাকিস্তান থেকে অর্জন করেছেন নিগার, ক্রিটিক্স, গ্র্যাজুয়েটস পুরস্কারসহ জাতীয় সঙ্গীত পরিষদ স্বর্ণপদক। নব্বইয়ের দশকে গিনেস বুকে স্থান পান এই গুণী শিল্পী।

    সুর সম্রাজ্ঞী রুনা লায়লাকে ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ পরিবারের পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।