Tag: রুমা

  • রুমায় ৪ শ্রমিককে অপহরণ করেছে কেএনএফ

    রুমায় ৪ শ্রমিককে অপহরণ করেছে কেএনএফ

    বান্দরবানের রুমা থেকে চার নির্মাণ শ্রমিককে অস্ত্রের মুখে অপহরণের অভিযোগ উঠে‌ছে কু‌কি‌চিন ন‌্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে। শুক্রবার (৯ জুন) ভোরে রুমার বগালেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটলেও শনিবার সকালে বিষয়‌টি জানাজানি হয়।

    অপহৃতরা শ্রমিকরা হলেন- ইদ্রিস, আওয়াল, জসিম ও রিপন বড়ুয়া।

    পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার ভোরে রুমা উপজেলার বগালেক এলাকা থেকে অস্ত্র দেখিয়ে চার শ্রমিককে অপহরণ করে নিয়ে যায় কেএনএফের সন্ত্রাসীরা। পরে বিকালে জসিম ও রিপন বড়ুয়াকে ছেড়ে দিলেও ইদ্রিস ও আওয়ালকে তারা আটক করে রাখে।

    এ বিষয়ে রুমা থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, ‘দুই নির্মাণ শ্রমিককে অপহরণের খবর শুনেছি, তবে এখনও কোনও অভিযোগ আসেনি।’

    রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছৈয়দ মাহবুবুল হক বলেন, ‘শুক্রবার ভোরে রাস্তার নির্মাণ কাজের চার শ্রমিককে কেএনএফ অপহরণ করে নিয়ে যায়। বিকালে দুই জনকে ছেড়ে দিলেও বাকী দুজন এখনও তাদের কাছে রয়েছে।’

    এর আগে গত ১৭ মার্চ নির্মাণ কাজের ঠিকাদার সার্জেন্ট আনোয়ারকে অপহরণ করে নিয়ে যায় কেএনএফ এর সদস্যরা। ১৫ দিন পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

     

  • রুমায় কুকি-চিন সন্ত্রাসীদের হামলায় ২ সেনা নিহত

    রুমায় কুকি-চিন সন্ত্রাসীদের হামলায় ২ সেনা নিহত

    বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনীর টহল দলের ওপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা করে কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ)। এ হামলায় দুই জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছেন।

    বুধবার (১৭ মে) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছ।

    আইএসপিআর জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রুমা উপজেলার সুংসুংপাড়া সেনা ক্যাম্পের আওতাধীন জারুলছড়ি পাড়া নামক স্থানে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আস্তানার খবর আসে। এই সংবাদ পেয়ে সুংসুংপাড়া আর্মি ক্যাম্প থেকে মেজর মনোয়ারের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল মঙ্গলবার (১৬ মে) দ্রুততার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্থানে যায়। টহল দলটি জারুলছড়ি পাড়ার নিকটস্থ পানির ছড়ার কাছাকাছি পৌঁছালে আনুমানিক দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটের দিকে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) সন্ত্রাসীদের ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণ ও অতর্কিত গুলিবর্ষণের মুখে পড়ে। এতে দুইজন অফিসার ও দুই সৈনিক আহত হয়। আহতদের দ্রুত হেলিকপ্টারের মাধ্যমে সিএমএইচ চট্টগ্রামে স্থানান্তরিত করা হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসারত অবস্থায় আহত দুই সৈনিক মারা যায়। আহত অপর দুই অফিসার বর্তমানে চট্টগ্রাম সিএমএইচে চিকিৎসাধীন।

    উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে কেএনএ বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার গহীন অরণ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অরাজক পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। দেশের জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহীদ সেনা সদস্যদের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে সেনাবাহিনী প্রধান গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

  • রুমায় দুই ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৬

    রুমায় দুই ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৬

    বান্দরবানের রুমা উপজেলার পাহাড়ি সড়কে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১২ জন।

    সোমবার দুপুরে রুমা উপজেলার বগালেক সড়কের ঢালু পথে দুই ট্রাকের এ সংঘর্ষ হয়। রুমা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন শিবলী বিষয়টি দৈনিক বাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।

    নিহত ও আহতরা রুমা উপজেলার থাইক্ষ্যং পাড়া ও চুনচুন পাড়ার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তবে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

    পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে বগালেক থেকে ট্রাকে করে থাইক্ষ্যং পাড়া ও চুনচুন পাড়ার ১৬-১৭ জন বাসিন্দা রুমা সদরে আসছিলেন। পথে বগালেকের ঢালু রাস্তা দিয়ে ওই ট্রাক নামার সময় আরেক ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে চারজন এবং পরে আরও দুজন মারা যান। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন ১২ জন।

    খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। এদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

    রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন দৈনিক বাংলাকে বলেন, রুমার বগালেকের সড়কে দুটি ট্রাকের সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হন। আহত ১২ জনকে উদ্ধার করে রুমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়েছে।

  • এবার বান্দরবা‌নের ২ উপজেলায় অনি‌র্দিষ্টকা‌লের ভ্রমণ নি‌ষেধাজ্ঞা

    এবার বান্দরবা‌নের ২ উপজেলায় অনি‌র্দিষ্টকা‌লের ভ্রমণ নি‌ষেধাজ্ঞা

    এবার বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও রুমা‌য় স্থানীয় ও বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণে অনি‌র্দিষ্টকা‌লের নিষেধাজ্ঞা দি‌য়ে‌ছে স্থানীয় প্রশাসন। এ নি‌য়ে ১১ বা‌রের মতো বাড়‌ল নি‌ষেধাজ্ঞা।

    রোববার (১১ ডি‌সেম্বর) সন্ধ‌্যায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লুৎফর রহমানের (জেলা প্রশাসক, রু‌টিন দা‌য়িত্ব) সই করা জনস্বার্থে প্রকা‌শিত গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়‌টি জানানো হয়।

    গণ‌বিজ্ঞ‌প্তি‌তে বলা হয়, জেলার রোয়াংছ‌ড়ি ও রুমায় সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহের জন্য বান্দরবান সেনানিবাসের রিজিয়ন কর্তৃক আধিপত্য বিস্তারমূলক টহল কার্যক্রম পরিচালনা এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। এ জন্য পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে ওই দুই উপ‌জেলায় পর্যটক ভ্রমণে নি‌ষেধাজ্ঞা সোমবার (১২ ডি‌সেম্বর) থে‌কে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাক‌বে।

    বান্দরবানের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের বেঞ্চ সহকারী সুমন পাল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘রোয়াংছড়ি ও রুমা উপ‌জেলায় পর্যটক‌দের ভ্রম‌ণে পরবর্তী নি‌র্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নি‌ষেধাজ্ঞা দেওয়া হ‌য়ে‌ছে। বাকি উপ‌জেলায় পর্যটকরা ভ্রমণ কর‌তে পার‌বেন।’

    উল্লেখ‌্য, গেল ১৭ অক্টোবর রা‌ত থে‌কে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত রুমা ও রোয়াংছ‌ড়ি‌ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ২৩ অক্টোবর থে‌কে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ওই দুই উপজেলাসহ থান‌চি ও আলীকদ‌মে পর্যটক‌দের ভ্রম‌ণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ৩১ থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়। পরে এ চার উপ‌জেলায় ৮ নভেম্বর পর্যন্ত আবারও নি‌ষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এরপর ৯ ন‌ভেম্বর থে‌কে ১২ ন‌ভেম্বর পর্যন্ত আলীকদ‌মের নি‌ষেধাজ্ঞা প্রত‌্যাহার ক‌রে রোয়াংছড়ি, রুমা ও থান‌চি-‌ এ তিন উপ‌জেলায় নি‌ষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ১৩ ন‌ভেম্বর থে‌কে ১৬ ন‌ভেম্বর পর্যন্ত এ তিন উপ‌জেলা আবা‌রও নি‌ষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে।

    প‌রে থান‌চি‌তে নি‌ষেধাজ্ঞা প্রত‌্যাহার ক‌রে ১৭ ন‌ভেম্বর থে‌কে ২০ ন‌ভেম্বর পর্যন্ত রোয়াংছ‌ড়ি ও রুমা‌তে নি‌ষেধাজ্ঞা বহাল রাখা হয়। ওই দুই উপজেলায় ২১ ন‌ভেম্বর থে‌কে ২৭ ন‌ভেম্বর পর্যন্ত নি‌ষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর আবা‌রও ২৮ ন‌ভেম্বর থে‌কে ৪ ডি‌সেম্বর পর্যন্ত সাত ‌দি‌নের নি‌ষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়ে‌। প‌রে নি‌ষেধাজ্ঞা শেষ হবার ১‌দিন আগেই ফের ৪ ‌ডি‌সেম্বর থে‌কে ১১ ‌ডি‌সেম্বর পর্যন্ত আট‌ দিন নি‌ষেধাজ্ঞা দেওয়া হ‌য়ে‌ছে। এই নি‌ষেধাজ্ঞা শেষ হ‌লে ১২‌ডি‌সেম্বর থে‌কে অনির্দিষ্টকালের নি‌ষেধাজ্ঞা দেওয়া হ‌লো।