Tag: রেজাউল করিম চৌধুরী

  • স্বাস্থ্যবিধি ও শিষ্টাচার না মানলে বড় বিপদ আসন্ন : চসিক মেয়র

    স্বাস্থ্যবিধি ও শিষ্টাচার না মানলে বড় বিপদ আসন্ন : চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম. রেজাউল করিম চৌধুরী করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিদের্শিত স্বাস্থ্যবিধি ও শিষ্টাচার যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

    মেয়র এক বিবৃতিতে বলেন, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ছোবলে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার উদ্বেগজনক পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। সরকারের কার্যকর পদক্ষেপে প্রথম পর্যায়ে করোনা সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব সামাল দেয়া সম্ভব হলেও করোনা সংক্রমণ মুক্ত বিশ্ব পরিস্থিতি শতভাগ নিশ্চিত হয়নি। তাই ভ্যাকসিন বা টিকা আবিস্কৃত ও মানবদেহে এর প্রয়োগ শুরু হওয়ার পরও কাউকে একেবারে নিরাপদ ভাবার কোন অবকাশ নেই। এ কারণে আমাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি ও শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে।

    এক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র অবহেলা করা হলে নিজের ও অপরের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। আমাদেরকে ঘরের বাইরে চলা- ফেরার সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, বার-বার হাত ধূতে হবে, স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবানু মুক্ত করতে হবে, জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং সর্বোপরি বিয়ে-শাদিসহ সকল সামাজিক অনুষ্ঠানে সীমিত অংশগ্রহণ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনানুসারে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

    তিনি আরো বলেন, অপ্রয়োজনীয় চলাফেরা, জনসমাগম পরিহার এবং উপলক্ষমূলক অনুষ্ঠানাদি সীমিত পরিসরে আয়োজন না করা হলে এবং অতীব প্রয়োজন ব্যতীত সাধারণ কর্মসূচি বন্ধ না রাখা হলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে ।

    তিনি নগরবাসীকে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে মাস্ক পরিধান ও পারস্পরিক শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সহ পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে আরো সজাগ ও দায়িত্বশীল হওয়ার আহবান জানান। তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন যে, স্বাস্থ্যবিধি ও শিষ্টাচার না মানলে বড় বিপদ আসন্ন।

  • পরিবহন খাতের শঙ্খলায় মালিক নেতাদের ভূমিকাই মুখ্য : চসিক মেয়র

    পরিবহন খাতের শঙ্খলায় মালিক নেতাদের ভূমিকাই মুখ্য : চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন,পরিবহন খাতের শৃঙ্খলা ফিরাতে মুখ্য ভূমিকা রাখতে পারে একমাত্র এই খাতে যারা জড়িত তারাই। পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের সহায়তা আন্তরিকতা ছাড়া পরিবহন খাতকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করা সম্ভবপর নয়। জনমানুষের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের সাথে পরিবহন ব্যবস্থা জড়িয়ে আছে।

    যারা পরিবহন ব্যবসা পরিচালনা করেন, অবহেলার কারণে তাদের নিজেদের স্বজনরাও অনেক সময় দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। কাজেই পরিবহন খাতকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করতে পারলে নগরের যানজট কমার পাশাপাশি মানুষের কর্মঘন্টার সাশ্রয় হবে। দুর্ঘটনা থেকেও রক্ষা পাবে মানুষের জানমাল।

    তিনি আজ সোমবার সকালে নগরীর শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন এলাকায় ‘সোনার বাংলা’ স্পেশাল বাস সার্ভিস এর উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিআরটিএ’ এর উপ-পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মুসা, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অলি আহম্মদ।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র আরো বলেন, এই নগর শুধু মেয়রের একার নয়। এই শহর সবার। তাই নগরীকে পরিচ্ছন্ন বাসযোগ্য করতে সবার পরামর্শ ও সহযোগীতা লাগবে। পরিবহন খাতের শৃঙ্খলা ফেরাতে আমি পরিবহন মালিক ও নেতাদের সাথে বসবো। সবার সমন্বয়ে আমি নগরীকে নান্দনিকভাবে সাজাতে চাই। আশা করি সবার সহযোগীতা আমি পাব।

    পরে মেয়র ‘সোনার বাংলা’ স্পেশাল বাস সার্ভিসের উদ্বোধন করেন। উল্লেখ্য এই বাস সার্ভিস চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপ চালু করেছে।

  • নবনির্বাচিত চসিক মেয়র নগরকে সন্ত্রাস,জলাবদ্ধতামুক্ত পরিচ্ছন্ন রূপে সাজাবেন এটাই প্রত্যাশা : শিক্ষা উপমন্ত্রী

    নবনির্বাচিত চসিক মেয়র নগরকে সন্ত্রাস,জলাবদ্ধতামুক্ত পরিচ্ছন্ন রূপে সাজাবেন এটাই প্রত্যাশা : শিক্ষা উপমন্ত্রী

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ : শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, নগরকে সুন্দর করতে নাগরিকদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। নয়তো নবনির্বাচিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সফল হতে পারবেন না। তিনি নবনির্বাচিত মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীকে সৃষ্টিশীল রাজনৈতিক কর্মী উল্লেখ করে সফলতা কামনার পাশাপাশি দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তাঁর মধ্যে কর্মনিষ্ঠা প্রত্যাশা করেন।

    নওফেল দায়িত্ব গ্রহনের পূর্বে চট্টগ্রামের বিশিষ্টজনদের পরামর্শ মতামত নিতে সুধী সমাবেশ ডাকায় নতুন মেয়রকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান। নবনির্বাচিত মেয়র প্রিয় এই নগরকে সন্ত্রাস, জলাবদ্ধতামুক্ত পরিচ্ছন্ন রূপে সাজাবেন এটাই প্রত্যাশা করি।

    তিনি আজ সোমবার সকালে নগরীর ইনিঞ্জনিয়ার্স ইনস্টিটিউাশন হলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরীর দায়িত্ব গ্রহণ উপলক্ষে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় হুইপ শামসুল হক চৌধুরী এমপি, চন্দনাইশ সাতকানিয়া (আংশিক) আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, বোয়ালখালী ও চান্দগাঁও (আংশিক) আসনের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দীন আহম্মেদ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সদ্য বিদায়ী প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, চসিকের প্রধান নির্বাহী কাজী মুহাম্মদ মোজম্মেল হক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.আনোয়ারুল আজিম আরিফ, ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ ছালাম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ডা. শেখ শফিউল আজম, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রে সভাপতি প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন, নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের মধ্যে সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ হারুন, চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রদীপ চক্রবর্ত্তী, চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর ভাইস চ্যান্সেলর ড. রফিকুল আলম, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দীন বাবুল, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, মুক্তিযোদ্ধা মহানগর কমান্ডার মোজাফফর আহাম্মেদ।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা এভভোকেট সুনীল সরকার, বদিউল আলম, শ্রমিক নেতা শফর আলী, শেখ মোহাম্মদ ইসহাক, শফিক আদনান, শফিকুল ইসলাম ফারুক, আব্দুল আহাদ, মোহাম্মদ হোসেন, আবু তাহের, সৈয়দ হাসান মাহমুদ চৌধুরী শমসের, বখতিয়ার উদ্দিন খান, আবুল মনছুর, ফিরোজ আহাম্মেদ, জাহাঙ্গীর চৌধুরী সিএনসি, মোহাম্মদ আবু তাহের।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুহাম্মদ মফিদুল আলম, চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহম্মেদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাসেম, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু।

    সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন অর্থ বিত্ত নয়, আমার কাছে মুখ্য বিষয় হলো জনগণ ও নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা। জীবনে কখনো আদর্শচ্যুত হয়ে অনৈতিক পথে পা বাড়ায়নি। মেয়রের চেয়ারে বসেও কোন দুর্নীতি ও অসততার আশ্রয় নেয়া আমার পক্ষে সম্ভব হবে না। চট্টগ্রামকে নিয়ে আমার স্বপ্নের কথা আমি নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করেছি। সেই অনুসারে সবার বুদ্ধি পরামর্শকে বিবেচনায় নিয়ে নগরীর সব সেবাসংস্থার মধ্যে সমন্বয় করে নগারিকসেবা কার্যক্রম চলমান রাখবো।

    তিনি প্রধানমন্ত্রীর নিকট তাঁকে মনোনয়ন দেয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমি চেষ্টা করবো চট্টগ্রামকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রত্যাশা পূরণের। মো. রেজাউল করিম চৌধুরী নির্বাচিত মেয়রের নির্বাহী ক্ষমতা থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করে সকল সেবা সংস্থাকে চট্টগ্রামের উন্নয়নে সমন্বয়ের মাধ্যমে জবাবদিহীতার আওতায় আনার ঘোষণা দেন।

    তিনি বলেন, মেয়র নির্বাচিত হয়েছি মানে চট্টগ্রাম শুধু মেয়রের নয়। প্রিয় এই চট্টগ্রাম নগরী সকল চট্টগ্রামবাসীর। নগরবাসীর প্রত্যাশা ও প্রধানমন্ত্রীর আস্থা বিশ্বাসের সেই মূল্য আমি নাগরিকসেবা দিয়ে পূরণ করতে চাই।

    জাতীয় সংসদের হুইপ এম সামশুল হক নতুন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীকে সময়সূচী নির্ধারণ করে জনগণ তথা নগরবাসীকে সময় দেয়ার আহ্বান জানান। তিনি চট্টগ্রামের স্থানীয় সংসদদের ডেকে মাঝে-মাঝে চা চক্রের আয়োজনের পাশাপাশি পরামর্শ নিতে বলেন। শামসুল হক বলেন, নতুন মেয়র বুদ্ধিমান ও কৌশলী। তিনি সফল হবেন এটাই প্রত্যাশা আমাদের। তিনি মহিলা কাউন্সিলরদেরও উন্নয়ন কাজের সাথে যুক্ত করবেন এটা আশা রাখি।

    সংসদ সদ্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, নতুন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ত্যাগী রাজনীতিক। আমার প্রত্যাশা চট্টগ্রামের স্বার্থে ও উন্নয়নের তাগিদে তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্যদের মাঝে মাঝে ডেকে আলাপ-পরামর্শ করবেন। তিনি মহেশ খাল, চাক্তাই খাল খননের পর এরই দুই খালে ওয়াটারবাস চালু করতে নতুন মেয়রকে পরামর্শ দেন। এতে নগরীর সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পাবে বলে উল্লেখ করেন এমপি নজরুল।

    চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃদপিণ্ড। তাই চট্টগ্রামকে নিয়ে ভাবতে হবে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য মেয়রের ভূমিকা আছে। তাই নতুন মেয়রকে চট্টগ্রাম নগরীর স্বার্থে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। মেয়রকে তাঁর সমস্যাগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে হবে। মেয়র ডাকলে সব সেবাসংস্থা যাতে আসেন এর নিশ্চয়তা চাই।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম হচ্ছে দুধেল গাভী। চট্টগ্রাম দুধ দেয়, বাংলাদেশ তা খায়। তিনি বলেন, আজকে অনুষ্ঠানের আলোচকরা এখানে নগর সরকারের কথা বলেছেন। এই প্রস্তাব আমি ৩০ বছর পূর্বে দিয়েছিলাম। তখন কর্পোরেশনে কাউন্সিলর ছিলো তিন ধরনের। নির্বাচিত, অফিসিয়াল ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর। তখন অফিসিয়াল কাউন্সিলররা অর্থ্যাৎ নগরীর সেবাসংস্থার প্রধানদের চসিকের সাধারণ সভায় আসা লাগতো। এখন কেন আসেন না! তাদের আসাটা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামের সাথে বিমাতাসুলভ আচরণ কেন করা হবে? এর সুরাহা হওয়া চাই। ঢাকায় পৌর করের হার ১৪% হলে চট্টগ্রামের পৌরকর ১৭% আদায় কেন হবে এর মিমাংসা হওয়া উচিত। তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের সম্মান মানে চট্টগ্রামের সম্মান উল্লেখ করে নগরীর স্বার্থে নবনির্বাচিত মেয়রের পদ মর্যাদা পূর্নমন্ত্রীর সম ও কাউন্সিলরদের পদমর্যাদা উপ-সচিবের সম করা উচিত বলে উল্লেখ করেন। যে আইন পাশ হয়েছে তিনি মেয়র থাকাকালে বলেন, নবনির্বাচিত মেয়র ও তাঁর নির্বাচিত পর্ষদকে স্মরণ করিয়ে দেন।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সদ্য বিদায়ী প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, আমি দায়িত্ব পেয়ে ৬ মাস চেষ্টা করেছি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে ঢেলে সাজাতে। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনুধাবন করলাম চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাছে খালি প্রত্যাশা করলে হবে না। কর্পোরেশনকে সক্রিয় করতে গেলে সরকারিভাবে চসিকের কর্তৃত্ব আইন করে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তিনি বলেন রেজাউল করিম ভাই পরিক্ষীত। আমার প্রত্যাশা তিনি পৌরকর বাড়িয়ে কর্পোরেশনের আয় বাড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন না। বিদায়ী প্রশাসক সুজন বলেন নগরীর অধিবাসীদের মধ্যে মাত্র ২০ থেকে ৩০ শতাংশ মানুষ এই শহরের উপকারভোগী। বাকি ৮০ থেকে ৭০ শতাংশ সুবিধা নিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর, রেলওয়ে, কাস্টমস, ওয়াসাসহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক বীমা স্টীল রিরোলিং মিলসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন নগরে ৩০ হাজার ভারি যানবাহন চলে। এ শহরে ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা হয় মূলত বন্দর কাস্টমস কেন্দ্রিক। অথচ শহরের সড়কগুলো ভারি যানবাহন লরি চলাচলের উপযোগী করে তৈরি করা যাচ্ছে না। কারণ অর্থের অভাব। তাই নগরবাসীর উপর পৌরকরের বোঝা চাপিয়ে নয়, নগরীর অবকাঠামোগত উন্নয়নে সরকারি বড় বড় প্রতিষ্ঠান ও বেসরাকরি প্রতিষ্ঠান থেকে ১ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। এই টাকাতেই চট্টগ্রাম অপরূপ সুন্দর নগরে পরিণত হবে।

    বোয়ালখালী আসনের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমি ১৯৭৩ সনে এই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কমিশনার ছিলাম। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে বলবো, নতুন মেয়র স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন। এটাই আশা রাখি। তিনি বিদায়ী প্রশাসকের সাথে নতুন মেয়রের ঘনিষ্ঠ সুসম্পর্ক আছে উল্লেখ করে প্রয়োজনে বিদায়ী প্রশাসকের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে তাঁর কাছ থেকে পরামর্শ নেয়ার আহ্বান জানান মেয়রকে। মোছলেম উদ্দীন কাউন্সিলরদেরও নগরীর উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা দেখবেন বলে প্রত্যাশা করেন।

    চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী নতুন মেয়রকে তাঁর ঘরের দুয়ার সর্ব সাধারনের জন্য উম্মুক্ত রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন আপনি জনগণের ও নগবাসীর মেয়র।

    কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেলকে স্বাগত বক্তব্যে বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মোট ২৮ ধরনের নাগরিক সেবা প্রদান করে থাকে। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে সেবা প্রদান করে চসিক। বর্তমানে নগরে সরকারের ৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান আছে জানিয়ে কর্পোরেশনের সার্বিক কাজে নতুন মেয়রের পাশপাশি কাউন্সিলরগণের ইতিবাচক সহযোগিতা প্রত্যশা করেন। তিনি বলেন আইন অনুযায়ী কাউন্সিলররা পাবলিক সার্ভেন্ট। কাজেই তা বিবেচনা করে নাগরিক সেবা দিবেন এটা প্রত্যাশা করি।

    শুরুতে পবিত্র কোরান তেলাওয়াত, গীতা পাঠ ও বাইবেল থেকে পাঠের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়।

  • আমি আবেগ তাড়িত হই না কাজে বিশ্বাসী: চসিক মেয়র

    আমি আবেগ তাড়িত হই না কাজে বিশ্বাসী: চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী রাজধানীতে তাঁকে দেয়া সংবর্ধনা ও মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে বলেছেন ‘ইট পাথরের শহর ও কথার ফুলঝুড়ি নয় নগরবাসীর পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য পরিকল্পিত পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য ও ঐতিহ্যবাহী পর্যটন নগরী করতে চাই।

    আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জেল হোসেন মানিক মিয়া হলে সংবর্ধনা ও মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে চিটাগাং জার্নালিস্ট ফোরাম-ঢাকা সিজেএফডি আয়োজিত অনুষ্ঠানে চসিক মেয়র রেজাউল করিম একথা বলেন।

    মেয়রকে প্রাধান্য ও কর্তৃত্বের সুযোগ দিয়ে স্থানীয় ওয়াসা, টিএন্ডটি, গণপূর্তসহ অন্যান্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান প্রধানকে জবাবদিহিতার ব্যবস্থার মাধ্যমে সমন্বয় সভার সিদ্ধান্ত কার্যকর করা গেলে নগরীর অনেক সমস্য দ্রুত সমাধান করা যাবে। এ ক্ষেত্রে ৫ বছরের মধ্যে শতভাগ না হলেও ৮০ ভাগ কাজের সুফল পাবে নগরবাসি। তিনি এজন্য নগরীর উন্নয়ন ও কল্যাণে সকলের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা কামনা করেন।

    সিজেএফডির সভাপতি শাহেদ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ নোমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিজেএফডির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শাহীন উল ইসলাম চৌধুরী। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এনামুল হক চৌধুরী, সাবেক সভাপতি মো. মোস্তফা কামাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম জাহাঙ্গীর, সিনিয়র সাংবাদিক মামুন আবদুল্লাহ, তৌহিদুর রহমান, চসিক এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক।

    উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহমুদুল হক, নগর যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আসহাব রসুল চৌধুরী, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এম. আর আজিম, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী। সংবর্ধনা সভায় সিজেএফডির পক্ষ থেকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে সিটি মেয়র রেজাউল করিমকে অভিনন্দন জানানো হয়।

    সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নোত্তরে মেয়র রেজাউল করিম বলেন, আমি আবেগ তাড়িত হই না কাজে বিশ্বাসী। শহরে মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে। একই সাথে জলাবদ্ধতা নিরসন ও রাস্তা ঘাটগুলো মেরামত করা জরুরী। প্রভাবশালীরা খাল ও নালাগুলো দখল করে রেখেছে। যতই প্রভাবশালী হউক দখলমুক্ত করে পানি চলাচলে ব্যবস্থা করা হবে।

    তিনি বলেন, জতির পিতা বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অন্তঃপ্রান আদর্শ কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও অবিচল রাজনৈতিক চর্চার জন্য আমাকে নেত্রী মূল্যায়ন করেছেন। ৫২ বছরের রাজনীতিতে অন্যায় ও কালিমা, লোভ লালসা ছিল না। আগামীতে এ আস্থা ও বিশ্বাসকে সমুন্নত রেখে নগরীকে গড়ে তুলতে চাই।

    তিনি বলেন, ‘সরকারী অনেক জায়গা আছে ব্যবহৃত হয়নি। বিভিন্ন ওয়ার্ডে খেলার মাঠ ও কয়েকটি অঞ্চলে ভাগ করে সাংস্কৃতিক মঞ্চ করার ইচ্ছা আছে। এতে কিশোর গ্যাং এর অপতৎপরতা কমতে পারে। এছাড়া ৬ দফা ঘোষণা, মুক্তিযুদ্ধের ও স্বাধীনতার ঘোষণা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র চালুসহ সংগ্রাম ও বিভিন্ন ঐতিহ্যের সূতিগার চট্টগ্রাম নগরীর উল্লেখযোগ্য স্থানগুলোকে সংরক্ষণ করা হবে। মেয়র ব্যক্তি চিন্তাকে ভুল হয় সমষ্টি চিন্তা ও পরামর্শে সূচারুভাবে কাজের সম্ভাবনা থাকে উল্লেখ করে এবং সকল পেশার ও বিজ্ঞজনদের পরামর্শ এবং সহযোগিতার উপর জোর দিয়ে বলেন, এ শহরে শুধু মেয়রের নয় সমগ্র নগরবাসীর। তাই উন্নয়ন সমৃদ্ধি ও কল্যাণে সকলের অংশগ্রহণ প্রয়োজন।

    কোভিড-১৯ করোনার কারণে দীর্ঘদিন স্থগিত থাকার পর গত ২৭ জানুয়ারি’ ২০২১ চসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পর গত ১১ ফেব্রুয়ারি মেয়র মো. রাজাউল করিম শপথ গ্রহণ করেন এবং আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সোমবার তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন।

  • নতুন ধারার সূচনায় চট্টগ্রাম হ‌বে স্ব‌প্নের মহানগর:রেজাউল ক‌রিম

    নতুন ধারার সূচনায় চট্টগ্রাম হ‌বে স্ব‌প্নের মহানগর:রেজাউল ক‌রিম

    ৩৭দফা ইশ‌তেহার বাস্তবায়‌নে কর্মসূচী নির্ধার‌নের ল‌ক্ষ্যে চট্টগ্রা‌মের সাংবা‌দিক‌দের সা‌থে মত বি‌নিময় ক‌রে‌ছেন চট্টগ্রাম সি‌টি ক‌র্পো‌রেশ‌নের নব নির্বা‌চিত মেয়র বীর মু‌ক্তি‌যোদ্ধা আলহাজ্ব এম রেজাউল ক‌রিম চৌধুরী।

    আজ র‌বিবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলনায়ত‌নে অনু‌ষ্ঠিত এ মত বি‌নিময় সভায় শিক্ষা উপ মন্ত্রী ব‌্যা‌রিষ্টার ম‌হিবুল হাসান চৌধুরী নও‌ফেল, মহানগর আওয়ামী লী‌গের সহ সভাপ‌তি এড‌ভো‌কেট ইব্রা‌হিম হো‌সেন বাবুল,কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, শফিকুল ইসলাম ফারুক, চন্দন ধর, নবনির্বাচিত কাউন্সিলর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    চট্টগ্রাম প্রেসক্লা‌বের সভাপ‌তি সভাপ‌তি আলী আব্বাসের সভাপ‌তি‌ত্বে ও যুগ্ম সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলা‌মের সঞ্চালনায় বক্তব‌্য রা‌খেন ক্লা‌বেরসাবেক সভাপতি কলিম সরওয়ার, সিনিয়র সহ সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ।

    এ ছাড়াও সিনিয়র সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, জসিম চৌধুরী সবুজ, মোস্তাক আহমেদ, শামশুল হক হায়দারী, নির্মল চন্দ্র দাশ, আসিফ সিরাজ, ক্লাবের সহ সভাপতি স ম ইব্রাহিম, কার্যনির্বাহী সদস্য মোয়াজ্জেমুল হক, শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, মনজুর কাদের, দেবদুলাল ভৌমিক প্রমুখ এ সময় সভায় উপ‌স্থিত ছি‌লেন।

    মত বি‌নিময়কা‌লে রেজাউল ক‌রিম চৌধুরী ইশ‌তেহা‌রের নানা দিক নি‌য়ে আ‌লোচনা ক‌রেন এবং বাস্তবায়‌নে সক‌লের মতামত, পরামর্শ ও সহ‌যো‌গিতা কামনা ক‌রেন।

    তি‌নি ব‌লেন, চট্টগ্রাম নগরীর সমস‌্যা বল‌তে যে বিষয় গু‌লো আ‌গে চ‌লে আ‌সে তা হল, জলাবদ্ধতা, যানজট, সন্ত্রাস, মাদক, দখল, দুষন, ক্রীড়া ও বি‌নোদ‌নের সু‌যো‌গের স্বল্পতা, মশ‌কের উপদ্রব, স্বয়ং সম্পূর্ণ ও পর্যাপ্ত স্বাস্থ‌্য সেবা কে‌ন্দ্রের স্বল্পতা ইত‌্যা‌দি।

    এ সকল সমস‌্যার ৬০ভা‌গেরও বেশী সমাধান কেবল নাগ‌রিক স‌চেতনতার মাধ‌্যমেই হ‌তে পা‌রে। আর, এক‌টি স‌চেতন নাগ‌রিক সমাজ গঠ‌নে সাংবা‌দিক‌দের লেখনী সব‌চে‌য়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ ভূ‌মিকা রাখ‌তে পা‌রে। নাগ‌রিক স‌চেতনতা, প্রা‌তিষ্ঠা‌নিক উ‌দ্যোগ এবং উ‌দ্যোগ বাস্তবায়‌নে সমম্বয়, সাহস, উদ‌্যম, আন্ত‌রিকতা, সততা, নিষ্ঠা, শ্রম ও মেধা যুক্ত হ‌লে যে কোন সমস‌্যা‌কে সহ‌জেই দুর করা সম্ভব।

    প্রকট সমস‌্যাগু‌লো দুরীকর‌ণে সম্ভাবনা দিক তু‌লে ধর‌তে গি‌য়ে তি‌নি বঙ্গবন্ধু কন‌্যা প্রধানমন্ত্রী জন‌নেত্রী শেখ হা‌সিনার চট্টগ্রা‌মের প্রতি আন্ত‌রিকতা ও স্বল্প, মধ‌্যম, দীর্ঘ মেয়া‌দে গৃ‌হিত প‌রিকল্পনার কথা তু‌লে ধ‌রেন এবং চট্টগ্রাম নগরবাসীর পক্ষ থে‌কে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

    তি‌নি ব‌লেন, জলাবদ্ধতা নিরস‌নে চট্টগ্রা‌মে প্রায় ১০হাজার কো‌টি টাকার প্রক‌ল্পের কাজ নানা পর্যা‌য়ে চলমান র‌য়ে‌ছে। উপযুক্ততা বি‌বেচনায় প্রকল্পগু‌লো সি‌ডিএ, পা‌নি উন্নয়ন বোর্ড ও সি‌টি ক‌র্পো‌রেশ‌নের মাধ‌্যমে বাস্তবায়‌নের দা‌য়িত্ব বন্টন ক‌রে‌ছেন উন্নয়‌নের নেত্রী জন‌নেত্রী শেখ হা‌সিনা। এ সমস্ত প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়‌নে যে সকল বাধা র‌য়ে‌ছে সেগু‌লো দ্রুত অপসার‌নে সি‌টি ক‌র্পো‌রেশন তার আওতায় থে‌কে অগ্রা‌ধিকার দি‌য়ে কাজ কর‌বে।

    বেদখল হ‌য়ে যাওয়া খা‌লের অংশ উদ্ধার কর‌তে ক‌ঠোর প্রশাস‌নিক ব‌্যবস্থায় যাওয়ার কথা উ‌ল্লেখ ক‌রে রেজাউল ক‌রিম ব‌লেন, দখলদার যতই প্রভাবশালী হোক ক‌ঠোর হা‌তে দমন করা হ‌বে। সাংবা‌দিক ভাই‌দের এ কা‌জে আমার পা‌শে চাই।
    যানজট নিরস‌নে ফ্লাই ওভার নির্মা‌নের সুফল এখন মানুষ পা‌চ্ছে এ‌টি অস্বীকার করা যা‌বেনা মন্তব‌্য ক‌রে তি‌নি ব‌লেন চলমান এ‌লি‌ভে‌টেড এক্স‌প্রেস ও‌য়ের কাজ শেষ হ‌লে যানজট আ‌রো ক‌মে আস‌বে। এ ছাড়া দু‌রের যাত্রী‌দের জন‌্য মে‌ট্রো রেল সা‌র্ভিস করা যায় কিনা বি‌শেষজ্ঞ মতামত নি‌য়ে পদ‌ক্ষেপ নেয়া হ‌বে।

    চলমান উন্নয়ন কর্মকা‌ন্ডের কার‌ণেও যানজট বিড়ম্বনা সৃ‌ষ্টি হয় উ‌ল্লেখ ক‌রে তি‌নি ব‌লেন, চলমান উন্নয়ন কাজ‌কে আ‌রো দ্রুত সম‌য়ে সম্পন্ন করা হ‌বে। আর একই কাজ বার বার ও সারা বছর ধরে যা‌তে কর‌তে না হয় সে ব‌্যাপা‌রে সকল সেবা সংস্থা‌কে এক ছাতায় আন‌তে কাজ কর‌বে ক‌র্পো‌রেশন।

    প‌রি‌বেশ ও শহ‌রের স্বাভা‌বিক সৌন্দর্য রক্ষার ক্ষে‌ত্রে ক‌ঠোর প্রশাস‌নিক অবস্থান থাক‌বে উ‌ল্লেখ ক‌রে তি‌নি ব‌লেন পাহাড়, নদী, সমুদ্র সমম্ব‌য়ে গ‌ঠিত চট্টগ্রাম প্রকৃ‌তির অপার দান। এ দানকে ধ্বংস কর‌লে প্রজ‌ন্মের কা‌ছে আমরা দায়ী হ‌য়ে যাব। সকল‌কে স‌চেতনতার প‌রিচয় ‌দি‌য়ে প্রাকৃ‌তিক প‌রি‌বেশ বজায় রে‌খে, প্রকৃ‌তির সা‌থে সামঞ্জস‌্য রে‌খে উন্নয়ন কাজ কর‌তে হবে।

    কি‌শোর তরুন তরুনীরা যা‌তে বিপ‌থে না যায়, যা‌তে সুস্থ মান‌সিকতার বিকাশ হয় তার জন‌্য যথাসম্ভব ক্রীড়া ও সুস্থ সাংস্কৃ‌তি চর্চার ক্ষে‌ত্রের পাশাপা‌শি বি‌নোদনের সু‌যোগ তৈরী করা হ‌বে। আর সন্ত্রাস, মাদক, দুর্ণী‌তি, দখলবা‌জি, চাঁদাবা‌জি, রাহাজা‌নির বিরু‌দ্ধে প্রতি‌রোধ গড়‌তে স‌র্বোচ্চ ক‌ঠোরতা নি‌য়ে জনগ‌ণের নির্বা‌চিত প্রতি‌নি‌ধি হি‌সে‌বে দা‌য়িত্ব নি‌য়ে নেতৃত্ব দেয়ার কথাও জোর দি‌য়ে ব‌লেন তি‌নি।

    সং‌ক্ষিপ্ত আকা‌রে মোগল আমল থে‌কে ব্রিটিশ বি‌রোধী আ‌ন্দোলন এবং মহান মু‌ক্তি সংগ্রাম ও স্বাধীনতার যু‌দ্ধে চট্টগ্রা‌মের বীরত্বপূর্ণ ই‌তিহা‌সের দিক তু‌লে ধ‌রে প্রজ‌ন্মের এসব স্মৃ‌তি চিহ্ন উদ্ধার ও রক্ষনা‌বেক্ষ‌নের উপর গুরুত্ব দি‌য়ে সাংবা‌দিক ও গ‌বেষক‌দের সহ‌যো‌গিতার হাত প্রসা‌রিত করার আহ্বান জানান সহ‌যোগীতা চান রেজাউল।

    শে‌ষে এক কথায় তি‌নি ব‌লেন, সকল শ্রেণী পেশার মানুষ, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান‌কে নি‌য়ে সম‌ম্বিত উপা‌য়ে এক‌টি নতুন ধারা রচনা কর‌তে চাই উ‌ল্লেখ ক‌রে তি‌নি ব‌লেন, চট্টগ্রাম মহানগর হ‌বে স্ব‌প্নের বা‌ণি‌জ্যিক ও পর্যটন মহানগরী।

  • নৌকার এ বিজয় চট্টগ্রামে আওয়ামী ঐক্যের প্রতিফলন : মোশাররফ হোসেন এমপি

    নৌকার এ বিজয় চট্টগ্রামে আওয়ামী ঐক্যের প্রতিফলন : মোশাররফ হোসেন এমপি

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিজয় লাভের পর নেতা কর্মী, শুভানুধ্যায়ীদের ফুলেল অভিনন্দনে সিক্ত হওয়ার দ্বিতীয় দিন শেষে রাতে প্রবীণ নেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের নন্দন কাননস্থ বাস ভবনে সৌজন্য সাক্ষাতে যান নব নির্বাচিত চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম রেজাউল করিম চৌধুরী।

    চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন বাবুল, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, কোষাধ্যক্ষ সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, প্রচার সম্পাদক শফিফুল ইসলাম ফারুক, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. ইফতেখার সাইমুন চৌধুরী, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবদুল আহাদ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

    সাক্ষাৎকালে রেজাউল করিম চৌধুরীকে অভিনন্দন জানান সাবেক মন্ত্রী বর্ষীয়ান নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। এ সময় এক আনন্দঘন পরিবেশের অবতারনা হয় এবং নেতৃবৃন্দ চট্টগ্রামের আওয়ামী রাজনীতির অভিভাবক মোশাররফ এমপির গলায় বিজয় মাল্য পড়িয়ে দেন।

    সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে নৌকার এ বিজয়ের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, নৌকা ও শেখ হাসিনার প্রশ্নে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের সুদৃঢ় ঐক্যের প্রতিফলন ঘটেছে। আবারো প্রমান হল চট্টগ্রামের মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতির উপর আস্থাশীল। প্রমানিত হল, জনকল্যানমূখী রাজনৈতিক দল হিসেবে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের বিজয়কে কেউ ঠেকাতে পারেনা।

  • নতুন চসিক মেয়রকে অভিনন্দন জানালেন প্রশাসক সুজন

    নতুন চসিক মেয়রকে অভিনন্দন জানালেন প্রশাসক সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন নব নির্বাচিত মেয়র মুক্তিযোদ্ধা এম. রেজাউল করিম চৌধুরীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    প্রশাসক আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বহদ্দারহাটস্থ বাসভবনে গিয়ে নব নির্বাচিত মেয়রকে ফুল ও মিষ্টি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। প্রশাসক মেয়রের পাশাপাশি নির্বাচিত সকল ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদেরও অভিনন্দন জানান।

    এ সময় প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, আপনার নেতৃত্বে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত পর্ষদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম নগরী আগামী দিনে একটি সুন্দর, পরিবেশবান্ধব, পরিচ্ছন্ন, বাসযোগ্য ও আধুনিক নগরে রূপান্তরিত হবে এটাই আমার প্রত্যাশা।

    তিনি গতকাল ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চসিক নির্বাচনকে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুশৃংখলভাবে সম্পন্ন করায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি), বিজিবি, র‌্যাব, আনসার ভিডিপিসহ সকল আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    তিনি বলেন আইনশৃংখলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান ও আন্তরিকতার কারণে জানমালের বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। এই কৃতিত্বের অংশীদার নির্বাচন কমিশনও। নির্বাচন কমিশন ও তাদের সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাদেরও অভিনন্দন জানান চসিক প্রশাসক। এসময় প্রশাসকের সহকারি একান্ত সচিব স্বরুপ কুমার দত্ত রাজু উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ মার্চ কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় অন্তবর্তী মেয়াদকালের জন্য রাজনীতিক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনকে প্রশাসকের দায়িত্বে নিয়োগ দেয় সরকার।

  • চট্টগ্রামকে আমি পরিকল্পিতভাবে সাজাতে চাই: নবনির্বাচিত মেয়র

    চট্টগ্রামকে আমি পরিকল্পিতভাবে সাজাতে চাই: নবনির্বাচিত মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ব্যক্ত করেছেন নিজের প্রতিক্রিয়া।

    বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে বহদ্দার বাড়িতে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন সহ শুভানুধ্যায়ীরা।

    এসময় রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, এই চট্টগ্রামকে আমি পরিকল্পিতভাবে সাজাতে চাই। এজন্য সবার সঙ্গে পরামর্শ করে এবং তা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে পর্যালোচনা করে যেটা বাস্তবসম্মত হবে সেটাই গ্রহণ করবো।

    বিভিন্ন এলাকায় অনেক সমস্যা আছে। ওয়ার্ডগুলোতে-মহল্লায় অনেক দরিদ্র মানুষ বসবাস করে।

    একজন রিকশা চালকেরও মেধা আছে, বুদ্ধি আছে। আর্থিক সমস্যার কারণে সে হয়তো উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারেনি।
    তার বুদ্ধিও অনেক সময় কাজে লাগতে পারে।

    ‘আমি এলাকার সব মানুষকে ডাকবো। মহল্লা সর্দার থেকে আরম্ভ করে এলাকার গণ্যমান্য লোক-সবার পরামর্শ নেবো। আপনার এলাকার কি সমস্যা আছে-সেটা আপনিই চিহ্নিত করতে পারেন। বাইরের কেউ এসে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা অনেক সময় সম্ভব হয় না। তাই এলাকার মানুষই এলাকার সমস্যাগুলো দেখিয়ে দেবে। তারপর এসব সমস্যা কিভাবে সমাধান করা যায়, তাদের পরামর্শ নিয়ে এবং যে পরামর্শ গ্রহণযোগ্য হবে, যে পরামর্শ ওই এলাকা পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার জন্য প্রযোজ্য হবে-সেটাই গ্রহণ করবো ও বাস্তবায়ন করবো। তখন কেউ আর এককভাবে মেয়রকে দোষারোপ করতে পারবে না। তখন আমি বলবো-আপনাদের সবার সাথেই তো পরামর্শ করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন মেয়রকে দোষ দেওয়ার কোনও অবকাশ আপনাদের নাই’।

    নগরপিতা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, সফলতা আসলে সবার জন্যই আসবে। সবার সঙ্গে পরামর্শ করে কাজ করলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। আর এককভাবে যদি কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় তাহলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমি চিন্তা করছি নতুন প্রজন্মকে নিয়ে। আমাদের শিশুরা স্কুলে যায়, দুপুরে খেয়ে-দেয়ে ঘুমায়, বিকালে টিচার আসে। খেলাধুলার কোনও জায়গা নাই। মোবাইল নিয়ে তারা বসে থাকে। তাই আমি চিন্তা করেছি-প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে যদিও খেলার মাঠ করা সম্ভব নয়, যেখানে সরকারি অনেক জায়গা আছে; চেষ্টা করবো ছোট হোক বড় হোক যদি খেলার মাঠ করে দেওয়া যায় তাহলে আমাদের শিশুরা সেখানে গিয়ে খেলতে পারবে। কিশোর গ্যাং এর কথা বলা হয়। আজকে যুবসমাজ মাদকাসক্ত হচ্ছে। কেন হচ্ছে? তারা আসলে কোনও ভালো পরিবেশ পাচ্ছে না। যদি সাংস্কৃতিক চর্চার দিকে তাদের ধাবিত করতে পারি তাহলে অনেকাংশে আমাদের যুবকদের সেখান থেকে সরিয়ে আনতে পারবো। তাই চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় যতটুকু পারা যায় সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স গড়ে তোলার একটা চিন্তা-ভাবনা আমার আছে।

    এসময় তিনি আরও বলেন, ‘আজ যেটার বিরুদ্ধে আমি প্রতিবাদ করছি এবং বিভিন্নভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম করছি সেটা হচ্ছে সন্ত্রাস। আমি নিজেও সন্ত্রাস পালি না, সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেই না। সাধারণ মানুষ একবেলা না খেয়ে থাকলেও শান্তিতে থাকতে চায়। তাই সন্ত্রাস ও মাদকের ব্যাপারে আমি কঠোর অবস্থানে যাবো। আমি আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসবো। তাদের বলবো-এই চট্টগ্রামের মানুষ নিরাপদে থাকতে চায়। অনেক প্রভাবশালী এই সন্ত্রাসীদের মদদ দিচ্ছে। সে ব্যাপারে আমার অবস্থান কঠোর। যতই প্রভাবশালী হোক না কেন-আপনাদের সঙ্গে আপনাদের নির্বাচিত মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী আছে। আমিই সব মোকাবেলা করবো।

    ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৮৪ ভোট পেয়ে আগামি পাঁচ বছরের জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ১৯৬৭ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সদস্য হন। ১৯৬৯-১৯৭০ সালে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১৯৭০-১৯৭১ সালে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। ১ নম্বর সেক্টরের বিএলএফ এর মাধ্যমে গেরিলাযুদ্ধে অংশ নেন। চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ ও কোতোয়ালি থানা এলাকায় সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।

    ১৯৭৩-১৯৭৫ সালে তিনি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে অধ্যয়নকালীন সময়ে সামরিক দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেন। ১৯৮০ সালে মহানগর যুবলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৭-২০০৬ সালে মহানগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, ২০০৬-২০১৪ সালে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রেজাউল করিম চৌধুরী। বর্তমানে তিনি নগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

    ১৯৫৩ সালে চান্দগাঁও থানার পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের ঐতিহ্যবাহী জমিদার বংশ বহদ্দার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রেজাউল করিম চৌধুরী। তার পিতা মরহুম হারুন-অর-রশীদ চৌধুরী ছিলেন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। দাদা ছালেহ আহমদ ছিলেন খ্যাতিমান আইনজী ও ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত কমরেড ব্যাংকের (বর্তমানে বিলুপ্ত) প্রতিষ্ঠাতা। বড় ভাই অধ্যাপক সুলতানুল আলম চৌধুরী ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। দুই মেয়ে ও এক ছেলের জনক রেজাউল করিম চৌধুরীর বড় মেয়ে তানজিনা শারমিন নিপুন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।

  • রেজাউল নাকি শাহাদাত, কে হচ্ছেন চসিক মেয়র?

    রেজাউল নাকি শাহাদাত, কে হচ্ছেন চসিক মেয়র?

    গত বছরের ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ষষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে নির্বাচনের আট দিন আগে তা স্থগিত করা হয়। এরপর পরিস্থিতির উন্নতি বিবেচনায় ১০ মাস পর চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি ভোটের দিন ঠিক করে নির্বাচন কমিশন।

    সে অনুযায়ী আজ বুধবার (২৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ইভিএমসহ নির্বাচনি সরঞ্জাম।নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-বিএনপির দুই প্রার্থীর বাইরে আরও ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন রেজাউল করিম চৌধুরী। বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী ডা. ডা. শাহাদাত হোসেন। এরবাইরে অন্য প্রার্থীরা হলেন এনপিপি’র আবুল মনজুর (আম), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন (মোমবাতি), স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরী (হাতি), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (চেয়ার) এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম (হাতপাখা)।

    নির্বাচনে মেয়র পদে সাত প্রার্থী থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মূলত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর মধ্যেই। এদিকে, ৪১টি সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৪টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন ২৩৭ জন। এবার ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডের প্রার্থী তারেক সোলেমান সেলিম মারা যাওয়ায় সেখানে কাউন্সিলর নির্বাচন হবে না। তবে ওই ওয়ার্ডে মেয়র পদে ভোটগ্রহণ হবে। ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত হারুন অর রশিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাই এই ওয়ার্ডেও এবার কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হচ্ছে না। তাই বুধবার (২৭ জানুয়ারি) নগরীর ৩৯টি ওয়ার্ড নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই ৩৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৪টিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

    চট্টগ্রাম সিটিতে ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩। নারী ভোটার ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ জন। এবার ৭৩৫টি ভোট কেন্দ্রের ৪ হাজার ৮৮৬টি ভোট কক্ষে এই ভোটাররা ভোট প্রদান করবেন।

    ভোট গ্রহণে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ৭৩৫ জন, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ১৪৭০ জন, পোলিং ও কর্মকর্তা ২৯৪০ জন দায়িত্ব পালন করবেন।নিরাপত্তার দায়িত্বে মোট ১৮ হাজার পুলিশ ও আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে র‌্যাবের সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। ইতোমধ্যে ২৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি ২০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৬৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করছেন।

    রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এবার নগরীর ৭৩৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। বুধবার সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হবে। আশা করছি, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে বিকাল ৪টায় নির্বাচন শেষ হবে। ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে পছন্দের প্রার্থীকে মেয়র নির্বাচিত করতে পারবেন নগরবাসী।’

  • ‘জনসমর্থন হা‌রি‌য়ে বিএ‌ন‌পি এখন অজুহাত পা‌র্টি‌তে প‌রিণত’

    ‘জনসমর্থন হা‌রি‌য়ে বিএ‌ন‌পি এখন অজুহাত পা‌র্টি‌তে প‌রিণত’

    চট্টগ্রাম সি‌টি ক‌র্পো‌রেশন নির্বাচ‌নের শেষ দি‌নে বি‌ভিন্ন সংগঠন, প্রিন্ট ও ই‌লেকট্রনিক মি‌ডিয়া, দলীয় নেতাকর্মী‌দের সা‌থে শু‌ভেচ্ছা বি‌নিময়, ব্রিফিং প্রদান ও বহরদার হাট এলাকার আশপা‌শের এলাকায় প্রচারণা চা‌লি‌য়ে‌ছেন আওয়ামী লীগ ম‌নোনীত মেয়র পদপ্রার্থী বীর মু‌ক্তি‌যোদ্ধা আলহাজ্ব মো. রেজাউল ক‌রিম চৌধুরী।

    মহানগর আওয়ামী লী‌গের সাধারন সম্পাদক সা‌বেক মেয়র আ জ ম না‌ছির উ‌দ্দিন, সহ সভাপ‌তি এড‌ভো‌কেট ইব্রা‌হিম হো‌সেন চৌধুরী বাবুল, সাংগঠ‌নিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শ‌ফিক আদনান, প্রচার সম্পাদক শ‌ফিকুল ইসলাম ফারুক, তথ‌্য ও প্রযু‌ক্তি বিষয়ক সম্পাদক চন্দন ধর, চট্টগ্রাম দ‌ক্ষিন জেলা আওয়ামী লী‌গের তথ‌্য ও প্রযু‌ক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুল কা‌দের সুজন, দ‌ক্ষিন জেলা কৃষক লী‌গের সভাপ‌তি মো. আ‌তিকুর রহমান, চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় শ্রমিক লী‌গের সহ সভাপ‌তি সফর আলী গণসং‌যোগকা‌লে রেজাউল ক‌রিম চৌধুরী সা‌থে ছি‌লেন। এ সময় তারা এলাকাবাসী‌কে সালাম ও শু‌ভেচ্ছা জা‌নি‌য়ে উন্নয়‌নের প্রতীক নৌকায় প্রার্থনা ক‌রেন।

    শাহদা‌তের নির্বাচনী এ‌জেন্ট ও নেতাকর্মীদের প্রশাস‌নিকভা‌বে হয়রা‌নি করা হ‌চ্ছে ব‌লে বিএন‌পির অ‌ভি‌যো‌গের ব‌্যাপা‌রে জান‌তে চাই‌লে সাংবা‌দিক‌দের রেজাউল ক‌রিম চৌধুরী ব‌লেন, এসব অ‌ভি‌যো‌গের কোন ভি‌ত্তি নেই। আমরা কা‌দের এ‌জেন্ট হি‌সে‌বে ম‌নোনীত ক‌রে‌ছি তা যেমন কোন মি‌ডিয়ায় প্রকাশ ক‌রি‌নি, তেমনি বিএ‌ন‌পি কা‌দের এ‌জেন্ট হি‌সে‌বে রাখ‌ছেন তা কেউ জা‌নেনা। তাহ‌লে কিভা‌বে তারা ছাড়া এ‌জেন্ট‌দের কেউ কিভা‌বে হয়রা‌নি কিংবা আদর করবে ব‌লেও প্রশ্ন রা‌খেন তি‌নি।

    তি‌নি এও ব‌লেন যে, য‌দি কা‌রো বিরু‌দ্ধে মামলা থা‌কে এবং ওয়া‌রেন্টভূক্ত আসামী‌কে প্রশাসন খোঁ‌জে বা গ্রেফতা‌রের পদ‌ক্ষেপ নেয় সেটা এলাকার শা‌ন্তি শৃঙ্খলার স্বা‌র্থে প্রশাস‌ন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বা‌হিনী কর‌তেই পা‌রে, এখা‌নে আপনার আমার কোন হাতও নেই আপ‌ত্তিও নেই।

    বিএন‌পি মূলত জনসমর্থন হা‌রি‌য়ে, জনগণ দ্বারা প্রত‌্যাখ‌্যাত হ‌য়ে অজুহাত ও অ‌ভি‌যোগ পা‌র্টি‌তে প‌রিনত হ‌য়ে‌ছে ব‌লেও মন্তব‌্য ক‌রেন তি‌নি।

    মহানগর আওয়ামী লী‌গের সাধারন সম্পাদক আ জ ম না‌ছির উ‌দ্দিন ব‌লেন, বিএন‌পি আস‌লেই কোন এ‌জেন্ট দি‌চ্ছেন কিনা কিংবা আ‌দৌ নির্বাচন কর‌তে চায় কিনা তা এখ‌নো প‌রিস্কার নয়।

  • ‘দে‌শের জন‌্য লড়াকু বী‌রের বিজয় হ‌লে চট্টলার উন্নয়‌নের বিজয় হ‌বে’

    ‘দে‌শের জন‌্য লড়াকু বী‌রের বিজয় হ‌লে চট্টলার উন্নয়‌নের বিজয় হ‌বে’

    আজ র‌বিবার সারা‌দিন বি‌ভিন্ন সংগঠন ও নির্বাচনী কেন্দ্র প‌রিচালনা ক‌মি‌টির সা‌থে মত‌বি‌নিময় সভা ক‌রে ব‌্যস্ত সময় পার ক‌রছেন বাংলা‌দেশ আওয়ামী লীগ ম‌নোনীত চ‌সিক মেয়র পদপ্রার্থী বীর মু‌ক্তি‌যোদ্ধা আলহাজ্ব মো. রেজাউল ক‌রিম চৌধুরী।

    সকাল ১১টায় তি‌নি চট্টগ্রাম বিশ্ব‌বিদ‌্যাল‌য়ের মু‌ক্তিযু‌দ্ধের সপ‌ক্ষের শিক্ষক‌দের প‌্যা‌নেল হলুদ দ‌লের উ‌দ্যো‌গে প্রেস ক্লা‌বের ই‌ঞ্জি‌নিয়ার আবদুল খা‌লেক মিলনাতনে অনু‌ষ্ঠিত মত‌বি‌নিময় সভায় অংশ নেন। এরপর তি‌নি আগ্রাবাদ এ‌ক্সেজ রোডস্থ এক‌টি ক‌মিউ‌নি‌টি সেন্টা‌রে অনু‌ষ্ঠিত আগ্রাবাদ ওয়া‌র্ডের নৌকার সমর্থ‌নে গ‌ঠিত ভোট কেন্দ্র প‌রিচালনা ক‌মি‌টির সা‌থে মত‌বি‌নিময়।

    বি‌কেল সা‌ড়ে তিনটায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লা‌বের সাম‌নে থে‌কে বাংলা‌দেশ চল‌চ্চিত্র ও টে‌লি‌ভিশন শিল্পীবৃ‌ন্দের ব‌্যানা‌রে নৌকার সমর্থ‌নে শুরু করা গণসং‌যোগ ও নির্বাচনী প্রচারনা কর্মসূচীর উ‌দ্বোধন ক‌রেন। এ সময় তি‌নি চট্টগ্রা‌মের মু‌ক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম ও স্বাধীনতার সপ‌ক্ষের জনসাধারন‌কে নৌকার প‌ক্ষে উজ্জী‌বিত কর‌তে ভূ‌মিকা রাখার জন‌্য শিল্পী‌দের প্রতি ধন‌্যবাদ জানান।

    শিল্পীবৃন্দ তা‌দের বক্ত‌ব্যে ব‌লেন, জন‌নেত্রী শেখ হা‌সিনা একজন নিরেট দেশ‌প্রেমিক মহান মু‌ক্তি‌যোদ্ধা‌কে চট্টগ্রাম সি‌টি ক‌র্পো‌রেশন নির্বাচ‌নে মেয়র প‌দের জন‌্য ম‌নোনয়ন দিয়ে স্বাধীনতার প্রতীক নৌকা তু‌লে দি‌য়ে‌ছেন। বীর এই মু‌ক্তি‌যোদ্ধা ষা‌টের দশ‌কের একজন ছাত্রনেতা। শত প্রলোভন ও স্বৈরাচা‌রের রক্তচক্ষুর শাসা‌নি যা‌কে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থে‌কে, জনকল‌্যা‌নের ব্রত থে‌কে একচুলও সরা‌তে পা‌রে‌নি। আদ‌র্শিক সৎ ও প্রজ্ঞাবান নেতা রেজাউল ক‌রিম‌কে নৌকায় ভোট দি‌য়ে মেয়র নির্বা‌চিত ক‌রে রূপসী চট্টগ্রা‌ম ও চট্টগ্রা‌ম মহানগ‌রের মানু‌ষের জীবনমান উন্নয়‌নের সু‌যোগ দি‌তে ভোটার‌দের প্রতি অনু‌রোধ জা‌নি‌য়ে শিল্পীবৃন্দ আ‌রো ব‌লেন, সমগ্র বাংলা‌দে‌শে জন‌নেত্রী শেখ হা‌সিনার নেতৃ‌ত্বে যে উন্নয়ন যজ্ঞ চল‌ছে তা‌তে তি‌নি চট্টগ্রা‌মের মানু‌ষের জীবনমা‌নের উন্নয়নের দা‌য়িত্ব দি‌তে উপযুক্ত ব‌্যক্তি‌কেই বে‌ছে নি‌য়ে‌ছেন এবং চট্টগ্রা‌মের মানুষ নৌকায় ভোট দি‌য়ে রেজাউল ক‌রিম‌কে বিজয়ী ক‌রে ‌নি‌জে‌দের বু‌দ্ধিমত্তার প‌রিচয় দি‌বেন। তারা আ‌রো ব‌লেন,দে‌শের জন‌্য লড়াকু বী‌রের বিজয় হ‌লে বীর চট্টলার উন্নয়‌নের বিজয় হ‌বে।

    শিল্পীবৃ‌ন্দের ম‌ধ্যে রিয়াজ আহ‌মেদ, তানভীন সুই‌টি, অরুনা বিশ্বাস, মীর সা‌ব্বির, তা‌রিন, বিজরী বরকতউল্লাহ, মা‌হিয়া মা‌হি, অপু বিশ্বাস, সায়মন সা‌দিকসহ অন‌্যান‌্যরা এসময় উপ‌স্থিত ছি‌লেন।

    শিল্পীবৃ‌ন্দের প্রচারনার উ‌দ্বোধন ক‌রে তি‌নি বন্দর ক্লা‌বে অনু‌ষ্ঠিত এক‌টি মত‌বি‌নিময় সভায় বক্তব‌্য রা‌খেন এরপর দ‌ক্ষিন হা‌লিশহর, প‌তেঙ্গায় নেতাকর্মী‌দের সা‌থে মত‌বি‌নিময় শে‌ষে চট্টগ্রা‌মের স‌ম্মি‌লিত বে‌ৗদ্ধ সমা‌জের নেতৃবৃন্দ ও জনসাধার‌নের সা‌থে মো‌মিন রোডস্থ এক‌টি ক‌মিউ‌নি‌টি হ‌লে মত‌বিনিম‌য়ের কথা র‌য়ে‌ছে।

  • ৩৭টি প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেজাউল করিমের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা

    ৩৭টি প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেজাউল করিমের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা

    চট্টগ্রাম ব্যুরো: আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী ৩৭টি প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।

    শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে তিনি এ ইশতেহার ঘোষণা করেন।

    ইশতেহারে রেজাউল করিম চৌধুরী নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন, যানজট নিরসন, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, নালা-খাল-নদী থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ মোট ৩৭টি প্রতিশ্রুতি দেন।

    নির্বাচনী ইশতেহারে ‘রূপসী চট্টগ্রাম আমার আপনার অহংকার, অঙ্গীকার-সবার যোগে সাজবে নগর’ শ্লোগানে রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম প্রকৃতির এক অনন্য উপহার।

    ঘন সবুজের দেয়াল ঘেরা পাহাড়-নদী-হ্রদ ঝিলের সমন্বয়ে প্রকৃতি নিজের হাতে সাজিয়েছে চট্টগ্রামে বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক বন্দর চট্টগ্রাম। দক্ষিণ এশিয়ার প্রবেশদ্বার এই বন্দর।

    জাতীয় আমদানী-রফতানির ৮৫ শতাংশ চট্টগ্রাম দিয়ে পরিচালিত হয়। স্বাভাবিক কারণে চট্টগ্রাম দেশের অর্থনীতির প্রাণভোমরা।

    তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১২ বছরে চট্টগ্রাম বন্দর বিশ্বমানের আন্তর্জাতিক বন্দরে পরিণত হয়েছে। তাই চট্টগ্রাম অনেক দূর এগিয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের ভূমিবেষ্টিত সেভেন সিস্টার, চিনের কুনমিং শহর, নেপাল ও ভূটানের আমদানী-রফতানির ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার হবে চট্টগ্রাম। পাশাপাশি বিশ্বের অন্যতম পর্যটন তীর্থ হিসেবে গড়ে উঠবে বৃহত্তর চট্টগ্রাম।

    রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমরা পরম সৌভাগ্যবান হয়েও প্রকৃতির চমৎকার উপহার চট্টগ্রামকে ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারছি না। এর জন্য শুধু দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ নয়, চট্টগ্রামের নাগরিক হিসেবে সকলেই সমান দায়ী। কারণ আমাদের মধ্যে নাগরিক দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট অভাব রয়েছে। আমি নিজেও এই দায় এড়াতে পারি না। আপনাদের সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় অতীতের সকল ভু ল বিচ্যুতি পরিহার করে চট্টগ্রামকে সর্বাধুনিক বাসোপযোগী বিশ্বমানের উন্নত ও নান্দনিক নগর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

    তিনি বলেন, আমি নির্বাচিত হলে আমার ধারাবাহিক উন্নয়ন সূচীর মূল অঙ্গীকারগুলো হলো: জলাবদ্ধতা নিরসন, নগরীর দখলকৃত খাল, নালা-নদী পুনরুদ্ধার ও পানি নিষ্কাশন উপযোগী করতে ১০০ দিনের মধ্যে সব ত্রুটি ও প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করে তা নির্মূলে কঠোর আইন প্রয়োগ, যানজট সমস্যা থেকে উত্তরণ, সড়ক শৃঙ্খলায় ফিরিয়ে আনা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন, চট্টগ্রামকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা, প্রতিনিয়ত মশক নিধনে ক্রাশ প্রোগ্রাম অব্যাহত রাখা এবং হোল্ডিং ট্যাক্সসহ সকল ধার্য্যকৃত কর সহনীয় পর্যায়ে রাখা।

    রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে একটি সেবামূলক ও কল্যাণ-জনমুখী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করাব। আমার পূর্বসুরী সাবেক সিটি মেয়র প্রয়াত এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী যে উচ্চতায় চট্টগ্রাম নগরীকে উন্নীত করেছিলেন তা পুনরুদ্ধার করে চলমান রাখবো এবং তাঁর আমলে প্রতিষ্ঠিত আয়বর্ধক প্রকল্পগুলো পুনরায় চালু করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে স্বনির্ভর ও আত্মনির্ভর করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো।

    ইশতেহার ঘোষণা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফ, আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সহ-সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান।