Tag: রেড জোন

  • রেড জোন:আরও ৪ জেলার ৭ এলাকায় সাধারণ ছুটি

    রেড জোন:আরও ৪ জেলার ৭ এলাকায় সাধারণ ছুটি

    দেশের আরও চার জেলার সাতটি এলাকাকে করোনাভাইরাস সংক্রমণপ্রবণ এলাকা হিসেবে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করেছে সরকার। নির্ধারিত ওই এলাকাসমূহে সাধারণ ছুটির আদেশ দেয়া হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২৩ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি হওয়া এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, কক্সবাজার, মাগুরা, খুলনা ও হবিগঞ্জের সাতটি ‘রেড জোনে’ ২৪ জুন থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

    এনিয়ে তিন দফায় ১৯ জেলার ৪৫টি এলাকাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করে সেখানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হল।

    করোনাভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের জন্য স্থানীয় প্রশাসন রেড জোন ঘোষিত এলাকায় অফিস-কারখানা বন্ধ থাকবে, যানবাহন ও সাধারণের চলাচলে থাকবে কড়াকড়ি। জীবনযাত্রা ‘কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ’ করতে পারবে।

    আদেশে বলা হয়েছে, ‘লাল অঞ্চল ঘোষিত এলাকায় অবস্থিত সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ ও বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থায় কর্মরত ও অন্য এলাকায় বসবাসরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও এ ছুটি প্রযোজ্য হবে।’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ৫ জেলার আরও ১১ রেড জোনে সাধারণ ছুটি

    ৫ জেলার আরও ১১ রেড জোনে সাধারণ ছুটি

    করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) অতি ঝুঁকিতে থাকা দেশের আরও ৫ জেলার ১১ এলাকাকে রেড জোন হিসেবে তালিকাভুক্ত করে সেখানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।

    সোমবার (২২ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী ও কুষ্টিয়ার ১১টি রেড জোন অঞ্চলে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে আদেশ জারি করেছে।

    এর আগে গতকাল মধ্যরাতে ১০ জেলার ২৭টি এলাকাকে রেড জোন হিসেবে তালিকাভুক্ত করে সেখানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।

    এতে বলা হয় ‘সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮’ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ কোভিড-১৯ রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে রোগের চলমান ঝুঁকি বিবেচনায় জন-চলাচল/জীবনযাত্রাভাবে নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে এই এলাকাগুলোকে রেড জোন ঘোষণা করায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সেখানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। এই ছুটির মধ্যে সাপ্তাহিক ছুটি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

    আদেশ অনুযায়ী এসব এলাকায় ২২ জুন থেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাধারণ ছুটি থাকবে।

    আদেশ অনুযায়ী, শুধুমাত্র রেড জোন ঘোষিত এলাকায় সাধারণ ছুটি কার্যকর থাকবে। রেড জোন ঘোষিত এলাকায় বসবাসরত সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, আধা-স্বায়ত্বশাসিত, সংবিধিবদ্ধ ও বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠান/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এ ছুটি প্রযোজ্য হবে।

    রেড জোন ঘোষিত এলাকায় অবস্থিত সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, আধা-স্বায়ত্বশাসিত, সংবিধিবদ্ধ ও বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠান/সংস্থায় কর্মরত ও অন্য এলাকায় বসবাসরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও এ ছুটি প্রযোজ্য হবে। জরুরি পরিষেবা এ সাধারণ ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

    কোন কোন রেড জোনে কোন ২১ দিন সাধারণ ছুটি থাকবে আদেশে তাও নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।

    করোনা মোকাবিলায় বেশি আক্রান্ত এলাকাকে রেড (লাল), অপেক্ষাকৃত কম আক্রান্ত এলাকাকে ইয়োলো (হলুদ) ও একেবারে কম আক্রান্ত বা আক্রান্ত মুক্ত এলাকাকে গ্রিন (সবুজ) জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে সরকার। রেড জোনকে লকডাউন করা হচ্ছে, সেখানে থাকছে সাধারণ ছুটি। ইয়োলো জোনে যেন আর সংক্রমণ না বাড়ে সেই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। সতর্কতা থাকবে গ্রিন জোনেও।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ঘরে থাকার নিশ্চয়তা দিন,আপনাদের পাশে আছি:চসিক মেয়র

    ঘরে থাকার নিশ্চয়তা দিন,আপনাদের পাশে আছি:চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, সরকারি সাধারণ ছুটির ৬৬ দিন অতিবাহিত করেছি আমরা। এরই মধ্যে শুধুমাত্র চট্টগ্রাম নগরীতে আক্রান্তের হার দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫শ‘র মতন এবং মৃত্যু হয়েছে ১১৭ জনের। শুধুমাত্র ১০নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে ৭৮ হাজার জনগণের মধ্যে গত ১৪ দিনের হিসাব মতে ১৪৫ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুবরণ করেছে ৭ জন, যা-কোন ভাবেই কাম্য নয়।

    এমন পরিস্থিতিতে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর হারে লাগাম টানতে ঘরে অবস্থানের কোন বিকল্প নাই।

    দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় করোনা প্রতিরোধে গঠিত কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে আগামীকাল মঙ্গলবার রাত ১২ টা ১মিঃ থেকে লকডাউন কার্যকর করা হচ্ছে নগরীর ১০নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে , যা আগামী ২১ দিন পর্যন্ত বহাল থাকবে। এই লকডাউন চলাকালীন সময়ে রেড জোন ঘোষিত এলাকায় প্রবেশ ও বাইরে যাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞ থাকবে।

    প্রধান সড়কে কোন প্রকার যাত্রী উঠা-নামা চলবে না, তবে রাত ১২ টার পর পণ্যবাহী গাড়ী চলাচল উম্মুক্ত থাকবে। এলাকার মানুষের সার্বিক সহায়তার জন্য থাকবে সিটি কর্পোরেশনের একাধিক কন্ট্রোলরুম ও এলাকাভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক টীম। বিশেষ কোন প্রয়োজনে কন্ট্রোলরুমের নির্দিষ্ট নম্বরে যোগাযোগ করে মিলবে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা। স্বেচ্ছাসেবক দ্বারা প্রতিটি ঘরে জিনিসপত্র পৌছে দেয়া হবে।

    চসিকের পক্ষ থেকে চলবে দিনভর প্রচারাভিযান ও লিফলেট বিতরণ।

    আজ সকালে নগরীর ১০ নং উত্তর কাট্টলীতে রেডজোন ঘোষাণার পূর্বদিনে জনসচেতনতা মূলক পরিদর্শনে সিটি মেয়র এসব তথ্য জানান।

    এসময় তিনি মাইকিং করে এলাকাবাসীকে লকডাউন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনায় বলেন, লকডাউন এখন সময়োচিত একটি পদক্ষেপ। তাই নিজেদের সুরক্ষায় ঘরে অবস্থান করে করোনা মহামারীকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সেজন্য আপনারা দৈনন্দিন প্রয়োজন সীমিত করে ঘরে অবস্থান করুন। অহেতুক কোন গুজবে কান না দিয়ে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি ও চসিকের নির্দেশনা মেনে চলুন। প্রয়োজনের বাইরে কেনাকাটা করা থেকেও বিরত থাকুন। যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই সংগ্রহ করুন।

    তিনি আরো বলেন, এলাকার নিম্মবিত্তদের মাঝে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি জরুরী চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করা হবে। মুমূুর্ষ রোগী পরিবহনে থাকবে এ্যাম্বুলেন্স। মোট কথা ঘরে থাকার নিশ্চয়তা দেবেন এলাকাবাসী আর আপনাদের প্রয়োজন মেটাতে আছি আমরা।

    এই ওয়ার্ডটি ছাড়াও নগরীর আরো ৯টি ওয়ার্ড রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ধাপে ধাপে সেগুলোও লকডাউন করা হবে। তবে পূর্ব ঘোষণা ছাড়া এইসব এলাকা লকডাউন করা হচ্ছে না।

    এ সময় চসিক প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাঈনুর রহমান, কাট্টলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা লোকমান আমিন, ইকবাল চৌধুরী, মো. দুলদুল, সুদীপ কুমার দাশ, মো. ছগির আলম, নুর আলম, হায়দার আলী, মুজিবুর রহমান, রোমন উদ্দিন, হারুন উর রশিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ‘ইয়েলো’ নয়, শুধু রেড জোনে সাধারণ ছুটি

    ‘ইয়েলো’ নয়, শুধু রেড জোনে সাধারণ ছুটি

    করোনা সংক্রমণের ভিত্তিতে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে বিভক্ত এলাকার মধ্যে শুধু রেড জোন সাধারণ ছুটির আওতায় পড়বে বলে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

    মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আজ সোমবার (১৫ জুন) দুপুরে জারি করা নির্দেশনা রাতে সংশোধিত আকারে প্রকাশ করে। তাতে শুধু রেড জোনে সাধারণ ছুটির কথা বলা হয়েছে। যদিও আগের নির্দেশনায় রেড ও ইয়েলো জোনে সাধারণ ছুটির কথা বলা ছিল।

    নির্দেশনায় বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রণীত ‘বাংলাদেশ রিস্ক জোন বেজড কোভিড-১৯ কনটেইনমেন্ট ইমপ্লিমেন্টেশন স্ট্রাটেজি/গাইড’ অনুসরণ করে সংক্রমণের ভিত্তিতে সংক্রামক রোগ প্রতিরাধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ এর কর্তৃত্ব অনুযায়ী এখতিয়ারবান কর্তৃপক্ষ লাল অঞ্চল (রেড জোন), হলুদ অঞ্চল (ইয়োলো জোন), সবুজ অঞ্চল (গ্রিন জোন) হিসেবে ভাগ করে জেলা/উপজেলা/এলাকা/বাড়ি/মহল্লাভিত্তিক জন চলাচল/জীবনযাত্রা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।

    এই হলুদ ও সবুজ অঞ্চলের ক্ষেত্রে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে।

    প্রত্যেকটি লাল জোনের জন্য কোভিড নমুনা পরীক্ষা, কোভিড-ননকোভিড স্বাস্থ্যসেবা প্রটোকল, কোয়ারেন্টিন/আইসোলেশন, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, জন চলাচল, যান চলাচল, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, খাবার ও ওষুধ সরবরাহ, দরিদ্র লোকদের জন্য মানবিক সহায়তা প্রদান, মসজিদ-মন্দির-অন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ধর্মচর্চা, জনসচেতনতা তৈরি, আইন-শৃঙ্খলঅ রক্ষা, ব্যাংকিং সুবিধাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান/শিল্পপ্রতিষ্ঠান/বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি পরিচালনার বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) তৈরি করতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

    সিটি করপোরেশন এলাকায় অঞ্চলভিত্তিক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার সার্বিক দায়িত্ব থাকবে সিটি করপোরেশনের। সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে জেলা প্রশাসন সার্বিক সমন্বয় করবে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, জেলা/উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ অন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর সমন্বিতভাবে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে। এ কার্যক্রমে সংসদ সদস্যসহ অন্য জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, স্বেচ্ছাসেবীসহ অন্যদের সম্পৃক্ত করতে হবে।

    লাল অঞ্চলে (আগে ছিল লাল ও হলুদ) অবস্থিত সামরিক বা অ-সামরিক সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত বা বেসরকারি দপ্তর এবং লাল ও হলুদ অঞ্চলে বসবাসকারী বর্ণিত দপ্তরের কর্মকর্তারা সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

    হলুদ ও সবুজ অঞ্চলে (আগে ছিল সবুজ) সব সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিসনিজ ব্যবস্থাপনায় সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে। উক্ত নিষেধাজ্ঞাকালে কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবে না। ঝুঁকিপূর্ণ, অসুস্থ কর্মচারী এবং সন্তানসম্ভবা নারীরা কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এক্ষেত্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণের জন্য স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে জারি করা ১৯ দফা নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। জরুরি ও অত্যাবশকীয় ক্ষেত্র ব্যতীত সব সভা ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিতে আয়োজন করতে হবে।

    স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অনুরোধ অনুসারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জোন সংক্রান্ত বিষয়াদি সমন্বয় করবে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।

    তবে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে জোনভিত্তিক ভাগ করে তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। রেড জোন হিসেবে ঢাকা শহরের ৪৫টি এলাকার একটি খসড়া তালিকা করেছে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটি। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রামের যেসব এলাকায় প্রতি ১ লাখ লোকের মধ্যে গত ১৪ দিনে ৬০ জন আক্রান্ত হয়েছে, সেসব এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঢাকার বাইরে এই অনুপাত ১ লাখে ১০ জন।
    জোনভিত্তিক এলাকার তালিকা আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে ছুটির ঘোষণা আসায় বিভ্রান্তিও তৈরি হয়েছে যে কবে থেকে সেই ছুটি কার্যকর হবে। আর কোন এলাকার কতটুকু অংশ রেড জোনের মধ্যে পড়বে তা নিয়েও চলছে আলোচনা।
    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • রেড জোনে নিজ ঘরে ইবাদত-উপাসনার নির্দেশ

    রেড জোনে নিজ ঘরে ইবাদত-উপাসনার নির্দেশ

    করোনার কারণে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকার জনসাধারণকে ইবাদত-উপাসনা নিজ নিজ ঘরে পালনের জন্য নির্দেশ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

    আজ শনিবার (১৩ জুন) ধর্ম মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।

    ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সকলের সঙ্গে পরামর্শক্রমে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে সাধারণ জনসাধারণের মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডাসহ অন্যান্য উপসনালয়ে স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ইবাদত/উপাসনার নির্দেশ প্রদান করা হলো।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চকরিয়া পৌরসভা ও ডুলাহাজারার ৩টি ওয়ার্ড ‘রেড জোন’ ঘোষণা

    চকরিয়া পৌরসভা ও ডুলাহাজারার ৩টি ওয়ার্ড ‘রেড জোন’ ঘোষণা

    কক্সবাজার প্রতিনিধি:কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পৌর এলাকা এবং উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ২, ৩, ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডকেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের ‘রেড জোন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

    এর আগে গতকাল কক্সবাজার পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের সবগুলোই ‘রেড জোন’ ঘোষণা করা হয়।

    আজ শনিবার (৬ জুন) চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, ‘চকরিয়া উপজেলার সমগ্র চকরিয়া পৌরসভা এবং ডুলাহাজারা ইউনিয়নের উল্লেখিত এলাকায় করোনার সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে হওয়ায় ওইসব এলাকায় বসবাসকারীরা অতিমাত্রায় ঝুঁকিতে রয়েছেন। তাই এসব এলাকা “রেড জোন” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঘোষিত রেড জোন এলাকায় আগামীকাল ৭ জুন বিকাল ৪টা থেকে পরবর্তী ১৪ দিন কঠোরভাবে লকডাউন কার্যকর করা হবে। এই ১৪ দিনের লকডাউনে করোনার প্রাদুর্ভাব না কমলে প্রয়োজনে লকডাউনের সময় আরও বাড়তে পারে।’

    ‘“রেড জোন” হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলো সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ থাকবে। প্রয়োজনে লকডাউন করা এলাকায় বসবাসকারী নিম্ন আয়ের মানুষদের সরকারিভাবে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হবে। করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতে প্রশাসনের প্রচেষ্টার কোনো কমতি নেই। দরকার হলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, জরুরি কাজের সঙ্গে জড়িতরা অনুমতি সাপেক্ষে “রেড জোন” এ অতি সীমিত আকারে চলাচল করতে পারবেন’, বলেন তিনি।

    জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার পৌরসভাসহ সদর উপজেলা ও চকরিয়া উপজেলা দিনের পর দিন করোনার ‘হটস্পট’ হয়ে উঠছে। প্রতিদিনই এ দুই উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

    উল্লেখ্য, গতকাল দিনগত রাত ১২টা থেকে কক্সবাজার পৌর এলাকায় ১৫ দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। লকডাউন চলাকালীন প্রশাসনের দেওয়া নিয়ম-কানুন নাগরিকদের অনুসরণ করার অনুরোধ জানিয়ে শহরজুড়ে মাইকিং করে প্রচারণা চালাচ্ছে জেলা তথ্য অফিস, জেলা দোকান মালিক সমিতি ফেডারেশন, কক্সবাজার পৌরসভা ও কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/ইসলাম

  • চৌমুহনীকে রেড জোন ঘোষণা

    চৌমুহনীকে রেড জোন ঘোষণা

    নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জে করোনা ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ব্যবসায়ী ও অন্যদের সাথে সভা করে চৌমুহনী শহরকে রেড জোন ঘোষণা করে এবং ২৩ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সকল দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

    মাহমারী করোনা ভাইরাসের প্রকোপ আরম্ভ হওয়ার পর থেকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসন বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও চৌমুহনী শহরে তা তেমন কার্যকর করা যায়নি। ব্যাপকহারে দোকানপাট খোলা ছিল। জনচলাচল স্বাভাবিক ছিল। লকডাউন বা স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই ছিল না। প্রশাসন কাঁচা বাজার চৌমুহনী মদন মোহন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানান্তর করলেও দোকানদাররা ২/৩ দিন পরে পূর্বের স্থানে চলে আসে।

    তাছাড়া বিভিন্ন গলির দোকানগুলিও ছিল স্বাভাবিক। এতে শহরের মাছ বাজার, কালীতলা রোড, দক্ষির বাজার, কলেজ রোড, ফেণী রোড, গনিপুর, হাজীপুর, বিসমতকরিমপুর,নরোত্তমপুর, নাজিরপুর, করিমপুরসহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়। বেগমগঞ্জ উপজেলা ১৩০ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়। তার মধ্যে ৮০ জনই চৌমুহনী শহরে।

    বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা, অসীম কুমার দাস জানান, বেগমগঞ্জে করোনা ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়ানোর একমাত্র কারণ, চৌমুহনী শহরে লকডাইন অমান্য করে ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বেপরোয়া চলাচল। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ২৩ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত চৌমুহনীর সকল দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া কোন পথ খোলা ছিল না।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর