Tag: রেলওয়ে শ্রমিক লীগ

  • রেলওয়ে শ্রমিক লীগের উদ্যোগে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    রেলওয়ে শ্রমিক লীগের উদ্যোগে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    বিএনপি জামায়াত কর্তৃক সরকার পতনের কথিত আন্দোলনের নামে অরাজকতা,সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের প্রতিবাদে জনগন ও জানমাল রক্ষায় বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আজ বুধবার ১১ অক্টোবর সকালে সিআরবি রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল মহাব্যবস্থাপক কার্যালয়ে চত্বরে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    রেলওয়ে শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এই শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সহসভাপতি নঈম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি শফর আলী, প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব প্রমুখ।

    মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বক্তব্যে বলেন, দেশব্যাপী বিএনপি জামায়াত চক্র আন্দোলনের নামে যে অরাজকতা নৈরাজ্য শুরু করেছে দেশের জনগণ তা মুখ বুঝে সহ্য করে আছে। যেদিন দেশের জনগণের ক্ষোভ বিষ্ফোরিত হবে সেদিন স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপি জামায়াত নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

    আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, বিএনপি জামায়াত নাকি অবৈধ সরকার পতনের আন্দোলন করে বেড়াচ্ছে। এই সরকার যদি অবৈধ হয় তাহলে তারা এই সরকারের কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তির আবদার করছে কিভাবে? আসলে বিএনপি জামায়াত নেতাদের কর্মকান্ড পাগলের প্রলাপ বকার মতো। তারা কখন কি বলে, না বলে তা একমাত্র তারাই জানে।

  • করোনার সাথে সহাবস্থান মেনে নিয়ে জীবন জীবিকার লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে-মেয়র

    করোনার সাথে সহাবস্থান মেনে নিয়ে জীবন জীবিকার লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে-মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন বলেছেন, দেশের এই দুর্যোগময় মূহুর্তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমাদের মানবিক সংগঠক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠটনগুলোর নিবেদিত নেতারা অকাতরে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছেন যা দেখে সমাজের একটি মহল ঈর্ষানীত হয়ে নানা প্রকার অপপ্রচার ও গুজব রটাচ্ছেন। সত্যিকার অর্থে খাদ্য সংকট, খাদ্য প্রাপ্তি সংকট, এসব ভীতি যারা দেখাচ্ছে তারাই ভুল প্রমাণিত হবে। করোনা ভাইরাসজনিত কারণে সৃষ্ট সঙ্কটে ক্রাইসিস ম্যানেজার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সততা ও দক্ষতার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা ৭৫ পরবর্তী ইতিহাসে নজিরবিহীন।

    তিনি বলেন, করোনার সাথে সহাবস্থান মেনে নিয়ে জীবন জীবিকার লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে করোনা মহামারির কারণে বিশ্বজুড়ে অর্থনীতি সংকটের মুখে পড়েছে। এখনো পর্যন্ত এই ভাইরাসের কার্যকর কোন টীকা বা প্রতিষেধধক আবিস্কার না হওয়ায় দেশের সর্বস্তরের নাগরিককে সাবধানতা অবলম্বন করে হাত ধোয়া, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকার পাশাপাশি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া স্বেচ্ছাগৃহবন্ধী থাকতে হচ্ছে। আর এতে সবচাইতে বিরূপ পরিস্থিতিতে আর্থিক সংকটে পড়েছে গরীব-দু:স্থ,নিম্নবিত্ত,মধ্যবিত্ত লোকজনেরা। দীর্ঘ চার মাসের সাধারণ ছুটি ও গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ থাকায় গাড়ি চালকরাও অন্য শ্রমজীবীদেরও আয় রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। তিনি বাংলাদেশের একজন মানুষকেও খাদ্যের অভাবে মরতে দিতে রাজী নন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সর্বশক্তি দিয়ে মানুষের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

    মেয়র সমাজের বিত্তবানদেরও এই সংকটকালীন সময়ে গরীব দু:স্থদের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহবান জনান ।

    তিনি বলেন, সামাজিক সংক্রমনের তীব্রতা বিস্তার রোধে সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব আপনার আমার ও সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। আমি আশা করি আপনারা সকলেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সরকারের নির্দেশনা সমূহ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে এই সংকট উত্তরণে যোদ্ধা হিসেবে নিবেদিত হবেন।

    আজ সকালে বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগের উদ্যেগে ৫শ রেল শ্রমিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী উপহার প্রদানকালে সিটি মেয়র এসব কথা বলেন।

    এসময় কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন হিরন, বাংলাদেশ শ্রমিকলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সফর আলী, রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম,জাতীয় শ্রমিকলীগ চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি বখতেয়ার উদ্দিন খান সহ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • লোকোমাস্টার ছাড়াই ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে ট্রেন গেল রাজশাহীতে

    লোকোমাস্টার ছাড়াই ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে ট্রেন গেল রাজশাহীতে

    পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেন ঈশ্বরদী থেকে ছেড়ে পাবনা হয়ে রাজশাহী গেল চালক ছাড়াই। পাকশী বিভাগীয় রেলের ঈশ্বরদীতে রোববার চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে।

    এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ঈশ্বরদী রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক লোকো মাস্টার (এলএম) আসলাম উদ্দিন খান মিলন, শ্রমিক লীগের একই কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও ওই ট্রেনের সহকারী লোকো মাস্টার (এএলএম) আহসান উদ্দিন আশা এবং ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) আনোয়ার হোসেনকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করা হয়।

    রেলওয়ে সূত্র জানায়, পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক (এলএম) আসলাম উদ্দিন খান মিলন ট্রেনে না উঠে তার সহকারী আহসান উদ্দিন আশাকে দিয়ে রোববার ট্রেনটি ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে রাজশাহী পাঠান।

    এ ঘটনাটি ট্রেনের গার্ড জানলেও তিনি রেল কর্তৃপক্ষের কাউকে না জানিয়ে সহকারী এলএমকে নিয়ে ট্রেনটি পরিচালনা করেন।

    এ খবর জানার পর বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আব্দুল্লাহ আল-মামুন ট্রেনের গার্ডকে এবং বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ডিএমই লোকো) আশিষ কুমার চক্রবর্তী চালক ও সহকারী চালককে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।

    পাকশী বিভাগীয় রেলের এই দুই কর্মকর্তা পৃথক পৃথকভাবে এ তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে দেশ বলেন, ট্রেন সময়মতো না ছাড়লেও একজন পূর্ণাঙ্গ চালক (এলএম) ছাড়া কোনো ট্রেন চালানোর সুযোগ রেলওয়েতে নেই, যেটি রোববার পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেনে ঘটেছে।

    চালক ছাড়া ট্রেনটি রাজশাহী পৌঁছার পর রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে এ তিনজনকে অব্যাহতি দিয়ে অন্য চালক ও গার্ডকে দিয়ে ফিরতি ট্রেন পাঠান ঈশ্বরদীতে।

    ফিরতি ট্রেনের যাত্রীরা এ ঘটনা শুনে আতঙ্ক ও বিস্ময় প্রকাশ করেন।

    রেলওয়ে সূত্র জানায়, পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেন ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে প্রতিদিন মাঝগ্রাম জংশন, দাশুড়িয়া, টেবুনিয়া স্টেশন হয়ে প্রথমে পাবনা স্টেশনে যায়। পাবনা থেকে ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন হয়ে রাজশাহী যায়। ফিরতি সময়ে রাজশাহী স্টেশন থেকে পাবনা হয়ে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে ফিরে আসে ট্রেনটি।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে রেল সূত্র জানায়, এই নিয়ম না মেনে প্রায়ই এই ট্রেনের চালক ও রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আসলাম উদ্দিন খান মিলন বাইপাস স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠেন, আবার মাঝেমধ্যেই তিনি তার সহকারীকে দিয়ে ট্রেন রাজশাহীতে পাঠিয়ে থাকেন।