Tag: রেললাইন

  • টুকুর নির্দেশনায় রেললাইন কাটে যুবদল নেতা

    টুকুর নির্দেশনায় রেললাইন কাটে যুবদল নেতা

    যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর নির্দেশনায় গাজীপুরের শ্রীপুরে রেললাইন কাটেন ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমান যুবদল নেতা মো. ইখতিয়ার রহমান কবির (৪৩)। রেল লাইন কেটে নাশকতার ঘটনার মূলহোতা কবিরসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

    গ্রেফতার আরও একজন হলেন, লালবাগ থানার ২৪ নম্বর ওয়ার্ড মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি মো. ইমন হোসেন (১৯)।

    সিটিটিসি জানায়, রেল লাইনে নাশকতা করে সাধারণ জনগণের মাঝে ভীতি সঞ্চার এবং ব্যাপক প্রাণনাশের পরিকল্পনা করেন যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু। গ্রেফতার যুবদল নেতা ইখতিয়ার রহমান কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেন দলীয় উচ্চ পর্যায় থেকে বড় কিছু করার চাপ আছে।

    নাশকতাকারীরার রেললাইন কাটার পর তাদের মোটা অঙ্কের টাকাও দেওয়া হয় দলীয় পর্যায় থেকে।

    সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিটিটিসির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।

  • রেললাইন কেটে নাশকতা : কাউন্সিলরসহ গ্রেপ্তার ৭

    রেললাইন কেটে নাশকতা : কাউন্সিলরসহ গ্রেপ্তার ৭

    গাজীপুরে রেললাইন কেটে নাশকতার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ২৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হাসান আজমল ভূঁইয়াসহ (৫০) সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

    বাকি গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জান্নাতুল ইসলাম (২৩), মেহেদী হাসান (২৫), মো. হাসান আজমল ভূঁইয়া (৫০), জুলকার নাইন আশরাফি ওরফে হৃদয় (৩৫), শাহানুর আলম (৫৩), মো. সাইদুল ইসলাম (৩২) ও সোহেল রানা (৩৮)।

    গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) উপ-কমিশনার মোহাম্মদ কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    এ ব্যাপারে আজ রোববার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

    প্রসঙ্গত, গাজীপুরের ভাওয়াল ও রাজেন্দ্রপুর রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যবর্তী বনখড়িয়া এলাকায় রেললাইন কেটে ফেলায় গত বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার দিকে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকার কমলাপুরগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে ট্রেনযাত্রী আসলাম মিয়া নিহত ও লোকোমোটিভ মাস্টারসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।

    এই ঘটনায় কমলাপুর রেলওয়ে থানায় বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) মামলা হয়। ঘটনা তদন্তে রেলওয়ে, গাজীপুর জেলা প্রশাসন এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আলাদা তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

  • এবার রেললাইনের ৭২টি ক্লিপ খুলে নিল দুর্বৃত্তরা, অল্পের জন্য রক্ষা

    এবার রেললাইনের ৭২টি ক্লিপ খুলে নিল দুর্বৃত্তরা, অল্পের জন্য রক্ষা

    নীলফামারীর ডোমারে রেললাইনের ফিসপ্লেট ক্লিপ খুলে নাশকতার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে এলাকাবাসীর প্রতিরোধে বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের বাগডোকরা প্রধানপাড়া দোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ডোমার-চিলাহাটি রেলপথে প্রায় দেড় ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।

    এলাকাবাসী জানায়, বুধবার রাতে ওই এলাকায় রেললাইনের লোহা লস্কর খোলার শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। এগিয়ে গিয়ে একদল দুর্বৃত্তদের রেললাইনের ফিসপ্লেট পিন খুলতে দেখা গেলে এলাকাবাসী জোটবদ্ধ হয়ে তাদের ধাওয়া করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

    ওই গ্রামের হরিদাস চন্দ্র রায় (৩৫) বলেন, ঘটনার পর চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি আসছিল। এসময় ঘটনাস্থলে ৩০০ থেকে ৪০০ লোকজন উপস্থিত ছিলেন। তারা সবাই বিভিন্নভাবে সংকেত দিতে থাকলে ট্রেনটি থেমে যায়। এতে করে বড় দুর্ঘটনা থেকে ট্রেনটি রক্ষা পায়।

    বোড়াগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রিমন বলেন, এলাকাবাসীর ধাওয়ায় দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে তাদের ফেলে যাওয়া একটি বস্তা থেকে ৭২ পিস ফিসপ্লেট ক্লিপ উদ্ধার হয়। এরপর রেলের লোকজন এসে লাইন মেরামত করলে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর খুলনার উদ্দেশ্যে ট্রেনটি ছেড়ে যায়।

    জোড়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাখাওয়াৎ হাবীব বাবু বলেন, ঘটনাটি আমার ইউনিয়নের সীমানায় ঘটেছে। আমি গিয়ে রেললাইনের বিভিন্নস্থানে ফিসপ্লেট ক্লিপ খোলা দেখতে পেয়েছি। এলাকাবাসীর সচেতনতায় দুর্ঘটনা থেকে ট্রেনটি রক্ষা পেয়েছে।

    নীলফামারী স্টেশন মাস্টার ওবায়দুর রহমান রতন বলেন, লাইন মেরামতের পর প্রায় দেড় ঘণ্টা ট্রেনটি সেখান থেকে ছেড়ে আসে। অপরদিকে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা বরেন্দ্র একপ্রেস ট্রেনটিও দেড় ঘণ্টা ডোমার স্টেশনে আটকা পড়ে।

    সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের গার্ড হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা এখানে আসার পর এলাকাবাসী আমাদের ট্রেনটি দাঁড় করায়। তারপর তারা আমাদের বলে যে রেললাইনের ফিসপ্লেট খুলে রাখা আছে। যারা এগুলো খুলেছিল তাদেরকে তারা ধরতে পারেনি কিন্তু তাদেরকে ধাওয়া দিয়েছিল। এখানে লাইনের যারা কাজ করে তারা কিছু কাজ করে দেওয়ার পর আমরা চলাচলের অনুমতি পাই। তবে আমাদেরকে এখন সর্তকর্তার সঙ্গে ধীরে ধীরে ট্রেন চালাতে হবে।

    ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল আলম বিপিএএ বলেন, আমি ঘটনাস্থলে দেখতে পাই রেললাইনের প্রায় ৭২টি ফিসপ্লেট খোলা হয়েছে। আমাদের ডোমারের ‍ওপরে দিয়ে রেললাইনের একটি বড় অংশ গেছে। আমরা সরকারকে অবহিত করব যাতে যে স্থান দিয়ে রেললাইন গেছে সে স্থানের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। এছাড়া আমরা রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছি তারা আমাদের কাছে যে ধরনের সহযোগিতা চাইবেন আমরা তাদেরকে সে ধরনের সহযোগিতা প্রদান করব।

    উল্লেখ্য, এর আগে বুধবার গাজীপুরের ভাওয়ালে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেললাইনের একটি অংশ কেটে ফেলে দুর্বৃত্তরা। ওই পথে যাওয়ার সময় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১০ থেকে ১২ জন।

  • এফডিসি সিগন্যালে ট্রেন থামিয়ে শ্রমিকদের রেললাইন অবরোধ

    এফডিসি সিগন্যালে ট্রেন থামিয়ে শ্রমিকদের রেললাইন অবরোধ

    চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি ও আউটসোর্সিংয়ের প্রতিবাদে রাজধানীর এফডিসি সিগন্যালে রেললাইন অবরোধ করে আন্দোলন করছেন রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকরা। এর ফলে ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল-যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

    রোববার (১৬ জুলাই) সকাল ১০টায় এফডিসি রেলগেট এলাকায় রেললাইনের ওপর ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে অস্থায়ী শ্রমিকবৃন্দ’ ব্যানারে অবস্থান শুরু করেন তারা। এসময় তিতাস কমিউটার ট্রেন আটকে দেন শ্রমিকরা।

    জানা গেছে, বাংলাদেশ রেলওয়েতে নিয়োগ পাওয়া অস্থায়ী শ্রমিকদের (টিএলআর) চাকরি ফেরত দেওয়া, স্থায়ীকরণ, আউটসোর্সিং প্রথা বাতিল করা এবং নিয়োগবিধি ২০২০ সংশোধন করে আগের মতো ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ৮ম শ্রেণি পাশ বহাল রাখার দাবিতে ট্রেন আটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন অস্থায়ী শ্রমিকরা। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

    অবস্থান কর্মসূচিতে থাকা রেলওয়ে শ্রমিকরা বলেন, গত ১ জুলাই থেকে আমাদের চাকরি থাকছে না বলে জানিয়ে দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া জুলাই ও আগস্ট এ দুই মাস আমাদের বিনা বেতনে চাকরি করতে হবে। বিনা বেতনে চাকরি করলে যেন থাকি আর না করলে যেন চলে যাই— এ নির্দেশনা দিয়েছে রেলওয়ের ডিআরএমরা (বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার)।

    রেলওয়ে শ্রমিক মো. এমরান আক্ষেপ করে বলেন, রেলওয়েতে আমার চাকরির বয়স সাত বছর। আমরা এখানে অভিজ্ঞ। অথচ আমাদের বাদ দিয়ে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। আমাদের এখানে একেকজনের কাজের বয়স ৫ থেকে ১০-১২ বছর পর্যন্ত। এতদিন আমরা রেলওয়েতে সার্ভিস দিলাম, কিন্তু রেলওয়ে আমাদের মূল্যায়নই করল না।

    গেটম্যান হীরা বলেন, আমরা বারবার রেল ভবনে এ বিষয়ে স্মারক লিপি দিয়েছি। কিন্তু তারা আমাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। আমাদেরকে বাদ দিয়ে তারা ঠিকাদারের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগের ব্যবস্থা করেছে। আমরা চাই আমাদের চাকরিটা ফেরত দেওয়া হোক। কারণ এ মুহূর্তে আমাদের আর অন্য কোনো চাকরি করার বয়স নেই। এতদিন রেলওয়ের সঙ্গে থেকে শেষ বয়সে এসে না খেয়ে মরব, সেটা তো হতে পারে না।

    আন্দোলনকারী শ্রমিকদের দেওয়া তথ্য মতে, রেলওয়ের জনবল সংকট নতুন কিছু নয়। জনবল সংকট দূরীকরণে শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটি শূন্য পদের বিপরীতে এতদিন অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে আসছিল। কিন্তু বর্তমানে আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লোক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে আউটসোর্সিং প্রক্রিয়া বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন অস্থায়ী শ্রমিকরা।

    বাংলাদেশ রেলওয়ের অস্থায়ী কর্মরত শ্রমিকদের পদগুলো হচ্ছে— মেকানিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং (গেটকিপার, ওয়েম্যান, লোকো খালাসী, ক্যারেজ খালাসী) সিগন্যালিং ইলেকট্রিক্যাল ও ট্রান্সপোর্টেশন (গেটকিপার, পোর্টার, পয়েন্টসম্যান) ইত্যাদি।

    শ্রমিকরা বলেন, রেলের ইঞ্জিনিয়ারিংসহ বিভিন্ন পদে অস্থায়ীভাবে মোট ৭ হাজার শ্রমিক কর্মরত আছেন। আমাদের মধ্যে অনেকের চাকরির বয়স ৩-১০ বছর। বর্তমানে অনেকের বয়স ৩৫-৪০ বছরের মধ্যে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের অন্য কোথাও চাকরি করার বয়স নেই।

    তারা বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়েতে কখনোই আউটসোর্সিং পদ্ধতি ছিল না। বর্তমানে আমাদের অস্থায়ী শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করার জন্য এটা চালু করা হয়েছে। যা আমাদের জীবন ধ্বংস করার পদ্ধতি বলে বিবেচিত। আমরা এই আউটসোর্সিং প্রথা বাতিল ও চাকরি ফেরত পাওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

    ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস বলেন, আমরা সকাল ১০টায় খবর পেয়েছি যে, এফডিসি সিগন্যালে রেললাইন অবরোধ করে রাখা হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন রেলওয়ে পুলিশের সদস্যরা।