Tag: রোগী

  • করোনা/চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ ল্যাবে ৫৫৯ জনের নমুনায় ৫৮ জন শনাক্ত,একজনের মৃত্যু

    করোনা/চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ ল্যাবে ৫৫৯ জনের নমুনায় ৫৮ জন শনাক্ত,একজনের মৃত্যু

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে আরো একজনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। তাছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের চারটি সরকারি ল্যাবে মোট ৫৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুনভাবে শনাক্ত হয়েছেন আরো ৫৮ জন করোনা রোগী।

    নতুন আক্রান্তদের মধ্যে নগরে ৫১জন এবং উপজেলায় ৭ জন। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন ১৭ হাজার ছাড়িয়ে ১শত ১০ জনে দাড়িয়েছে। গত২৪ ঘণ্টায় উপজেলা পর্যায়ে নতুনভাবে করোনা শনাক্ত ৭ জন সবাই হাটাহাজারী উপজেলার।

    জেলা সিভিল সার্জন সূত্র বলছে চট্টগ্রামে মোট আক্রান্তের মধ্যে সিংহভাগই নগরের। নগরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার ১শত ৯৮ জন। তাছাড়া চার হাজার ৯শ ১২ জন মানুষ চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

    মৃতের সংখ্যায় নতুন একজনসহ মোট সংখ্যা দাড়িয়েছে ২৭২ জন। যার মধ্যে ১৮৯ জন চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা এবং ৮৩ জন চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

    অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সোমবার (৩১ আগস্ট) চট্টগ্রামের বেসরকারি শেভরন ও ইম্পেরিয়াল এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়নি। তাছাড়া গত দুদিনের মতোই গত ২৪ ঘণ্টাতেও করোনা আক্রান্ত রোগীর সুস্থতার কোন তথ্য জানা যায়নি। ফলে আক্রান্তদের মধ্য থেকে সুস্থতার সংখ্যা চার হাজার ৯০ জনেই স্থির আছে।

    আজ মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তাছাড়া সোমবার (৩১ আগস্ট) রাতে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের প্রধান করোনা পরীক্ষাগার ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)-ল্যাবে মোট ৩ শত ১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৩ জনের দেহে করোনা সংক্রমন ধরা পড়েছে। আত্রান্তরা সকলেই চট্টগ্রাম নগরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

    চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাব ৬৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এদের মধ্যে ২১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। শনাক্ত করোনা রোগীদের মধ্যে একজন চট্টগ্রাম উপজেলার এবং বাকি সবাই নগরের বাসিন্দা।

    তাছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮ জনের এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া যায়।

    চমেক ল্যাবে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৭ জন নগরের ও ১ জন উপজেলার এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে নতুন করে শনাক্ত ৬ জন করোনা রোগীর মধ্যে ৫ জন উপজেলার এবং ১ জন চট্টগ্রাম নগরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • বিআইটিআইডি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় যিনি নেতৃত্ব দেন তিনি নিজেই করোনা রোগী

    বিআইটিআইডি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় যিনি নেতৃত্ব দেন তিনি নিজেই করোনা রোগী

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস যখন বাংলাদেশে হানা দিতে শুরু করেছে টিক তখনই চট্টগ্রামে করোনা পরীক্ষার প্রধান ল্যাব ঘোষণা করা হয় ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি)।

    আর গত দুই মাস ধরে এ ল্যাবের নেতৃত্ব দিয়ে প্রতিদিন শতশত নমুনা পরীক্ষার পর করোনা রোগী শনাক্ত করেন ল্যাব প্রধান ডা. শাকিল আহমেদ। অবশেষে নিজের নমুনা পরীক্ষা করে তিনি জানতে পারেন করোনার কবলে তিনি নিজেও।

    মঙ্গলবার (২৬ মে) বিআইটিআইডিতে নমুনা পরীক্ষা তার করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়। রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডা. শাকিল আহমেদ।

    জানা যায়, গত ২৫ মার্চ থেকে চট্টগ্রামে করোনা পরীক্ষার প্রধান ল্যাবের নমুনা পরীক্ষার টিমে প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। প্রতিদিন প্রায় ৩শ টেস্টের রেজাল্ট সাক্ষর করেব ডাক্তার শাকিল। একই সাথে ল্যাবে পরীক্ষাও করেন তিনি।

    তিনি জানান, গত দুইদিন ধরে সর্দি ও হালকা জ্বর অনুভূত হলে নিজের ল্যাবেই নমুনা পরীক্ষা করি। ২৬ মে প্রকাশিত নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে করোনা পজেটিভ আসে। তবে শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ থাকার কথা জানিয়েছেন তিনি।

    এখন পর্যন্ত এ ল্যাব নমুনা পরীক্ষার টিমেদুজন সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে চট্টগ্রামের নমুনা পরীক্ষার প্রধান এ ল্যাবে অন্যান্য সদস্যরা কোয়ারেন্টাইনে গেলে পরীক্ষায় কিছুটা প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন ল্যাব সংশ্লিষ্টরা।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা এবং এলাকা চষে বেড়িয়েছেন ২৩ করোনা রোগী/আতঙ্ক সর্বত্র

    মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা এবং এলাকা চষে বেড়িয়েছেন ২৩ করোনা রোগী/আতঙ্ক সর্বত্র

    ২৪ ঘণ্টা ডট জেলা সংবাদ : ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে ট্রাকে করে ইটভাটা ও গার্মেন্টসে কাজ করে এমন ২৪ জন শ্রমিক সাতক্ষীরার দেবহাটায় ফেরেন গত ১ মে।

    খবর পেয়ে প্রশাসন তাদেরকে আটকে দেবহাটা খানবাহাদুর আহসানউল্লাহ কলেজের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে যায়।

    সেখানে এক যুবকের শরীরে করোনা শনাক্ত হয় গত ৫ মে। এরপর বাকিদের নমুনা সংগ্রহ করা হলে বাকি ২৩ শ্রমিকের উপসর্গ না থাকায় ১৪ মে কোয়ারেন্টাইন থেকে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।

    তবে দুইদিন পর আজ রোববার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ওই ২৩ শ্রমিকের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে।

    এদিকে এই খবরে দেবহাটার সর্বত্র এলাকা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। জানা যায়, আক্রান্ত ওই ২৩ শ্রমিক কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ির স্বজনদের জন্য বিভিন্ন মার্কেটে ঘুরে ঘুরে ঈদের কেনাকাটা করেছেন।

    তাছাড়া দেবহাটার পুরো এলাকায় তারা চষে বেড়িয়েছেন। মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়ার আশংকায় ভীত দেবহাটা উপজেলার বাসিন্দারা।

    দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া আফরীন বলেন, প্রশাসনের নজর এড়িয়ে করোনা আক্রান্তদের এলাকায় ঘুরে বেড়ানো অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে বিষয়টি আগে কেউ প্রশাসন বা পুলিশকে জানায়নি।

    করোনা আক্রান্ত সবার বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা পেলে করোনা ছড়িয়ে পড়া ইউনিয়নগুলোও লকডাউন করা হবে।

    জানা যায়, সাতক্ষীরা জেলায় খুব কঠোর ভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ করেছিল প্রশাসন। রোববার (১৭ মে) বিকেলে হঠাৎ পাল্টে যায় করোনা পরিস্থিতির চিত্র। একসঙ্গে ২৪ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে।

    আজ রোববার বিকেলে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়াত বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব থেকে তাকে জানানো হয়েছে, নমুনা পরীক্ষায় সাতক্ষীরায় ২৪ জনের রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়া গেছে।

    এর মধ্যে ২৩ জন দেবহাটা উপজেলার এবং একজন আশাশুনি উপজেলার বাসিন্দা। আক্রান্ত ২৩ শ্রমিকের মধ্যে এক পরিবারের দুই শিশু ও তার মা-বাবার করোনা পজিটিভ এসেছে।

    তারা দেবহাটার খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ কলেজে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। তাদের বাড়ি সাতক্ষীরা সদরের ধূলিহর এলাকায়।

    কোয়ারেন্টাইনমুক্ত হয়ে তারা দেবহাটা থকে সাতক্ষীরার বাড়িতে ফেরেন। আক্রান্তদের মধ্যে দেবহাটা সদর ইউনিয়নের একজন গ্রাম পুলিশও রয়েছেন। বাকি আক্রান্তদের বাড়ি দেবহাটা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।

    সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়াত বলেন, আক্রান্ত ২৩ শ্রমিকের সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। প্রয়োজনে দেবহাটা উপজেলা লকডাউন করা হবে।

    এদিকে, রোববার বিকেল পর্যন্ত সাতক্ষীরায় করোনা শনাক্ত ছিল তিনজন। যশোরের শনাক্ত হওয়া এক স্বাস্থ্যকর্মী ছিলেন সাতক্ষীরায়। এছাড়া ঢাকা থেকে পালিয়ে এসেছেন একজন আক্রান্ত নারী। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ জন।

    ২৪ ঘন্টা/আর এস পি

  • চট্টগ্রামে চিকিৎসক কণ্যা করোনা আক্রান্ত, সাংবাদিক পিতার ফেসবুকে হৃদয়স্পর্শী স্ট্যাটাস!

    চট্টগ্রামে চিকিৎসক কণ্যা করোনা আক্রান্ত, সাংবাদিক পিতার ফেসবুকে হৃদয়স্পর্শী স্ট্যাটাস!

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত শিশুদের সুস্থ করে তুলতে, তাদের সেবায় একাত্ব হয়ে এমনভাবে নিজেকে উৎসর্গ করেছে, এখন সে নিজেই এ রোগের শিকার।

    সাজাজিক যোগাযোগাগ মাধ্যম ফেসবুকে এমনভাবেই মত প্রকাশ করেন চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক নাসিরুদ্দিন চৌধুরী। তিনি স্ট্যাটাসে তার ২৯ বছর বয়সী চিকিৎসক কণ্যা ডাঃ সামিয়া নাজনীন করোনা আক্রান্তের তথ্যটি নিশ্চিত করেন।

    তিনি ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজকে জানান, গত কয়েকদিন ধরে তার মেয়ের শরীরে জ্বরসহ করোনা উপসর্গ দেখা দিলে করোনা পরীক্ষার জন্য গত ১০ মে বিআইটিআইডিতে নমুনা দিয়ে আসেন। গতকাল সোমবার (১১ মে) রাতে বিআইটিআইডি ল্যাবের রিপোর্টে তার করোনা পজিটিভ আসে।

    সাংবাদিক পিতা তার ফেসবুকে হৃদয়স্পর্শী স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসার পর থেকে আমার কোমলমতি মেয়েটি খুব কাঁদছে, তার মাও কাঁদছে অবিরত। চোখেও ঘুম নেই মেয়ের কথা চিন্তা করতে করতে। অন্যদিকে আমার ভিতরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। অস্রু জমাট বেধে আছে কিন্তু চোখ ফেটে বের হতে পারছে না।

    এদিকে করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর থেকেই করোনা আক্রান্ত এ নারী চিকিৎসক তার শ্বশুরবাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সামিয়া নাজনীনের স্বামী সানিউল ইসলাম।

    তিনি বলেন, করোনা মহামারিতেও সে ঘরে বসে ছিলেন না। সপ্তাহে অন্তত তিনদিন তিনি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে উপস্থিত থেকে শিশুদের সেবা করেছেন।

    তবে কিভাবে সামিয়া করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তার কোন নির্দ্দিষ্ট কারণ তিনি জানে না উল্লেখ করে বর্তমানে সে বাসায় আইসোলেশনে আছেন এবং শরীরও মোটামুটি ভাল বলে জানায়।

    এদিকে মেয়ে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে বুক ফাঁটা, মনে কষ্ট ও চাপা ক্ষোভ মিশ্রিত এক মন্তব্য প্রকাশ করেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক নাসিরুদ্দিন চৌধুরী। তার মেয়ের জন্য তিনি সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন।

    তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, আমার মেয়ে তার বাপের স্বভাবই পেয়েছে। আমি সারাজীবন জনসেবা করার চেষ্টা করেছি। অন্যের সেবায় জীবন উৎসর্গ করেছি। রাজনীতি, সাংবাদিকতা যখন যা করেছি সমস্ত মন প্রান দিয়ে করেছি। পরের কাজে জীবনটা বিলিয়ে দিয়েছি, কোন ফাঁকি রাখিনি।

    নিজের স্বার্থ নিয়ে কোনদিন মাথা ঘামাইনি। যখন যে কাজ করেছি তাতে ষোলআনা উজাড় করে দিয়েছি। নিজেকে এমনভাবে কাজের মধ্যে ডুবিয়ে দিয়ে কখন জীবনের শেষপ্রান্তে এসে পৌঁছেছি টেরই পাইনি।

    শেষ বেলায় হিসেব করে দেখছি আমার হিসেবের ঘরে ফাঁকি। আমি একজন ব্যর্থ মানুষ। আমার প্লট নেই, ফ্ল্যাট নেই, গাড়ি নেই, বাড়ি নেই, ব্যাংক ব্যালান্স নেই। আমার ছেলেমেয়েদের ইউরোপ আমেরিকায় পড়াতে পারিনি।

    আমার মেয়েও আমার মত আত্মবিস্মৃত হয়ে করোনা রোগিদের সেবা করতে যেয়ে নিজের শরীরে করোনা ভাইরাস ঢুকিয়েছে।

    আমার সকল মুরব্বী, মুক্তিযুদ্ধের সহযোদ্ধা, রাজনৈতিক জীবনের নেতা, রাজনৈতিক সহকর্মী, সিনিয়র, জুনিয়র, বন্ধু, ছোট ভাইয়ের মত আমি যাদেরকে পরিচর্যা করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করেছি, তারা এবং আমার সহযোগি সাংবাদিক-সকলের প্রতি আমার সকরুন মিনতি, আমার মেয়েটাকে সুস্থ করে তুলতে কারো কোন করনীয় থাকলে, সাহায্যের উদার হস্ত নিয়ে এগিয়ে আসুন, আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।

    আমার মেয়ে এখন শ্বশুরবাড়িতে কোয়ারান্টাইনে বাস করছে। আমি মুক্তিযুদ্ধে জিতেছি,আশা করি আমার মেয়েও করোনা যুদ্ধে জিতবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব সেন প্রিন্স

  • কক্সবাজারে ১০ দিন পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন করোনা আক্রান্ত রোগী

    কক্সবাজারে ১০ দিন পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন করোনা আক্রান্ত রোগী

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারে করোনা শনাক্তের ১০ দিন পর সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরলেন নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রুর তাবলীগ ফেরত বৃদ্ধ আবু ছিদ্দিক।

    আজ রবিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে নাইক্ষ্যংছি উপজেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিট থেকে অ্যাম্বুলেন্স করে নিজ বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন উজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। তার সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন উপজেলা প্রশাসন।

    উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ওই করোনা পজেটিভ সনাক্ত বৃদ্ধ আবু ছিদ্দিক ঢাকা থেকে তবলীগ ফেরত হয়েছিল গত ৬ এপ্রিল। উপজেলা প্রশাসন খবর পাওয়ার সাথে সাথে হোম কোয়ারেন্টেইনে থাকার নির্দেশ দেন তাকে। ১৫ এপ্রিল নমুনা সংগ্রহ করে তাঁর। ১৬ এপ্রিল রিপোর্টে পজেটিভ আসে।

    ওই দিন তাকে হোম কোয়ারেন্টেইনে রেখে মোবাইলের মাধ্যমে চিকিৎসা দিলেও একদিন পর উর্ধতনের নির্দেশে রোগীকে রাখা হয় সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে।

    ন্যাশনাল গাইড লাইনের প্রটোকল অনুযায়ী চিকিৎসা পেয়ে এবং আইসোলেশন থেকে আজ (২৬ এপ্রিল) রবিবার সে মুটামুটি সুস্থ হয়ে বাড়ী ফেরার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

    এর আগে আইসোলেশনে এক সাপ্তাহ ধরে অবস্থান করার পর গত ২৩ এপ্রিল কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পাঠানো হয় তার দ্বিতীয় বারের নমুনা।২৪ এপ্রিল ফলোআপ পরীক্ষায় ওই নমুনার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।

    ২৪ ঘণ্টা/ইসলাম মাহমুদ/আর এস পি