Tag: রোনালদো

  • বিশ্বরেকর্ডের ম্যাচে রোনালদোর গোলে জিতল পর্তুগাল

    বিশ্বরেকর্ডের ম্যাচে রোনালদোর গোলে জিতল পর্তুগাল

    প্রথম কোনো খেলোয়াড় হিসেবে ২০০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার নজির স্থাপন করেছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এমন স্মরণীয় ম্যাচে তার শেষ মুহূর্তের গোলে নিশ্চিত ড্র থেকে রক্ষা পেয়েছে পর্তুগাল। নির্ধারিত সময়ের মাত্র এক মিনিট বাকি থাকতেই জোরালো শটে সিআরসেভেন জাল কাঁপান। আর তাতেই আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠে ছাড়ে পর্তুগিজরা।

    এদিন ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে খেলতে নামার আগে রোনালদোকে সম্মান জানায় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ। আন্তর্জাতিক ফুটবল ক্যারিয়ারের ১৯ বছর ৩০৪ দিন বয়সে তিনি ২০০তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন। তার যাত্রাটা শুরু হয়েছিল কাজাখস্তানের বিপক্ষে ২০০৩ সালের ২০ আগস্ট।

    পুরো ম্যাচেই রোনালদোর দল দাপট ধরে রেখে খেলে। ৭২ শতাংশ বলের দখল এবং গোলের লক্ষ্যে ১১টি শট নিলেও তারা লিড নিতে পারছিল না। তবে অন টার্গেটে ছিল মাত্র তিনটি শট। বিপরীতে আইসল্যান্ড দ্বিতীয়ার্ধে পরিণত হয় ১০ জনের দলে। তাদের সাতটি শটের মাত্র একটি ছিল গোলের লক্ষ্যে।

    ম্যাচের প্রথম ডেডলক ভাঙতে সময় লাগে ৮৯ মিনিট পর্যন্ত। আর তাও এলো আন্তর্জাতিক ফুটবল ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনালদোর পা থেকে। রাফায়েল গেরেরোর উঁচু করে বাড়ানো বল পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে গনসালো ইনাসিও হেড করার পর পেয়ে যান রোনালদো। জোরালো শটে খুব কাছ থেকে আইসল্যান্ডের গোলরক্ষক অ্যালেক্স রানারসনকে পরাস্ত করেন তিনি। আন্তর্জাতিক ম্যাচে এটি তার ১২৩তম গোল।

    ২০১৬ সালের ইউরোর চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল এবারের ইউরো বাছাইয়ে চার ম্যাচের সবকটিতেই জিতেছে। ফলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে আছে ‘জে’ গ্রুপের শীর্ষে অবস্থান করছে রবার্তো মার্টিনেজের শিষ্যরা। ১০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে স্লোভাকিয়া।

  • উড়ছে রোনালদো, এবার প্রথমার্ধেই হ্যাটট্রিক

    উড়ছে রোনালদো, এবার প্রথমার্ধেই হ্যাটট্রিক

    সৌদি প্রো লিগে পর পর দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষকে গোল বন্যায় ভাসিয়েছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনারদো। সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরের হয়ে প্রথম দুই ম্যাচ রাঙাতে পারেননি তিনি। তাতে পর্তুগিজ মহাতারকাকে অনেক সমালোচনা শুনতে হয়েছে।

    রোনালদো অবশ্য বরাবরই পারফরম্যান্স দিয়ে নিন্দুকদের মুখে কুলুপ এঁটে দিয়েছেন। এখনো দিয়ে যাচ্ছেন।

    আল নাসরের হয়ে প্রথম দুই ম্যাচে গোল না পাওয়া রোনালদোই পরের চার ম্যাচে করে ফেললেন ৮ গোল। আল ওয়েহদার পর আজ দামাকের বিপক্ষেও হ্যাটট্রিক করলেন ৩৮ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড; সেটাও প্রথমার্ধে মাত্র ২৬ মিনিটের ব্যবধানে।

    দ্বিতীয়ার্ধে আর গোল না হওয়ায় সৌদিতে রোনালদোর দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকেই দামাককে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে আল নাসর।

    সেই সঙ্গে সৌদি প্রো লিগের শীর্ষে ফিরেছে ক্লাবটি।
    ১৮ ম্যাচে আল নাসরের পয়েন্ট ৪৩। দুইয়ে নেমে যাওয়া আল হত্তিহাদের পয়েন্ট ৪১, তিনে থাকা আল শাবাবের ৪০। আর ২২ পয়েন্ট নিয়ে সাতেই রয়ে গেছে দামাক।

    বেশ কিছুদিন ধরেই লিগের শীর্ষস্থান নিয়ে ইঁদুর-বিড়াল খেলা চলছে আল নাসর ও আল ইত্তিহাদের মধ্যে। পরশুই আল রাইদের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে চূড়ায় উঠেছিল ইত্তিহাদ। আজ রোনালদোর হ্যাটট্রিক নাসরকে আবারও শীর্ষে ফেরাল।

    আল নাসরের হয়ে সর্বশেষ চার ম্যাচেই গোলে অবদান রেখেছেন রোনালদো। দলের শেষ দশ গোলের সবকটিতেই আছে তাঁর ছোঁয়া। আটটি নিজে করেছেন, দুটি সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন। আল তাউনের বিপক্ষে আগের ম্যাচে গোল না পেলেও দুটি অ্যাসিস্ট করেছিলেন রোনালদো। এর আগে আল ওয়েহদার বিপক্ষে একাই করেছেন চার গোল।

    হ্যাটট্রিকের নিরিখে বর্তমান সময়ের ফুটবলারদের মধ্যে অনেক আগেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসিকে ছাড়িয়ে গেছেন রোনালদো। আজকেরটা নিয়ে তাঁর হ্যাটট্রিক সংখ্যা গিয়ে ঠেকল ৬২টিতে। মেসির হ্যাটট্রিক ৫৬টি।

    বয়স শুধুই একটা সংখ্যা’—অতিমাত্রায় ক্লিশে হয়ে পড়া বাক্যটিকেই বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন রোনালদো। ৬২ হ্যাটট্রিকের ৩২টিই যে তিনি করেছেন ৩০তম জন্মদিনের কেট কাটার পর!

    দামাকের মাঠ প্রিন্স সুলতান বিন আবদুল আজিজ স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১৮ মিনিটে সফল স্পট কিকে আল নাসরকে এগিয়ে দেন রোনালদো। ফারুখ চাফাই নিজেদের বক্সে বলে হাত লাগালে পেনাল্টি পায় আল নাসর।

    পাঁচ মিনিট পরেই সুলতান আল–ঘান্নামের পাস থেকে ব্যবধান ২-০ করে ফেলেন রোনালদো। আর বিবরতির ঠিক আগমুহূর্তে পেয়ে যান তৃতীয় গোল। এই গোলে আইমান ইয়াহইয়া অ্যাসিস্ট করলেও পুরো কৃতিত্ব উইঙ্গার আবদুলরহমান ঘারিবের। নিজেদের বক্সের একটু বাইরে সতীর্থের হেড থেকে বল পেয়ে দৌড় শুরু করেন ঘারিব। দামাকের দুই খেলোয়াড়কে কাটিয়ে এগিয়ে যান আরও অনেক দূর। সুযোগ বুঝে বল বাড়ান ডানপ্রান্তে ফাঁকায় দাঁড়ানো ইয়াহইয়াকে। ইয়াহইয়া পাস দেন রোনালদোকে। দূরের পোস্টে উঁচু করে নেওয়া শটে বাকি কাজ সারেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা।

    সৌদি আরবের ফুটবল যে মানের বিচারে ইউরোপের ধারেকাছেও নেই, দামাকের প্রতিটি গোল হজমে নিজেদের রক্ষণভাগের দুর্বলতা যেন সেটাই স্পষ্ট ফুটিয়ে তুলেছে। এতে অবশ্য রোনালাদোর অর্জনকে ছোট করে দেখার কারণ নেই। লিগের মান যেমনই হোক, দলের সর্বশেষ দশ গোলের সবকটিতে অবদান রাখা নিশ্চয় চাট্টিখানি ব্যাপার নয়।

  • সৌদি লিগে রোনালদোর অভিষেক

    সৌদি লিগে রোনালদোর অভিষেক

    ক্যারিয়ারের একেবারে শেষ পর্যায়ে ইউরোপ ছেড়ে এশিয়ায় খেলতে এলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো; কিন্তু নিষেধাজ্ঞার কারণে ম্যাঠে নামা হচ্ছিল না তার। যদিও এরই মধ্যে একটি ম্যাচ খেলেছেন এবং দুর্দান্ত দুটি গোল করে সবারই নজর কেড়ে নিয়েছেন সিআর সেভেন। সেই ম্যাচটি ছিল মেসি, নেইমার এমবাপেদের পিএসজির বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ। তাও আল হিলাল এবং আল নাসরের যৌথ একাদশের হয়ে।

    ২ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার পর অবশেষে সৌদি প্রো লিগে মাঠে নামার সুযোগ পেলেন পর্তুগিজ সুপারস্টার। রোববার রাতে ক্লাবের জার্সিতে আল নাসরের হয়ে সৌদি লিগে অভিষেক হয়ে গেলো ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। খেলেছেন মারসুল পার্কে আল ইত্তিফানের বিপক্ষে। দর্শক উপস্থিতি ছিল প্রায় ২৩ হাজার।

    তবে অভিষেক ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেও গোল পেলেন না রোনালদো। যদিও তার দল আল ইত্তিফাকের বিপক্ষে জিতেছে ১-০ গোলের ব্যবধানে। ম্যাচের প্রথমার্ধেই ব্রাজিলিয়ান অ্যান্ডারসন তালিসকার দারুণ এক হেডে জয় নিশ্চিত করে আল নাসর। এই জয়ে রিয়াদের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী আল হিলালের চেয়ে এক পয়েন্ট এগিয়ে থেকে শীর্ষে উঠে গেছে রোনালদোর ক্লাব।

    ইউরোপের নামকরা অনেক ক্লাবে খেললেও কখনো নেতৃত্বের আর্মব্যান্ড ওঠেনি রোনালদোর হাতে। জাতীয় দল পর্তুগালের নেতৃত্ব দিলেও কখনো কোনো ঘরোয়া লিগের ম্যাচে নেতৃত্ব দেননি সিআর সেভেন। এই প্রথম কোনো লিগের ম্যাচে দলের নেতৃত্ব দিলেন তিনি। আল নাসর অভিষেকেই নেতৃত্বের আর্মব্যান্ড পরিয়ে দেন পর্তুগিজ তারকাকে।

    ৩১ মিনিটে অ্যান্ডারসন তালিসকা যে হেডে গোলটি করেছিলেন, সেটি হতে পারতো রোনালদোরও। বক্সের সামনে থেকে দারুণ এক ক্রসে ভেসে আসা বলে লাফিয়ে উঠে মাথা ছোঁয়ানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু বল তার মাথার নাগাল পায়নি। পেছনে থাকা তালিসকা সে সুযোগে হেড করে বল জড়িয়ে দেন আল ইত্তিফাকের জালে।

    এরপর একটি ফ্রি কিক পেয়েছিলো আল নাসর। একেবারে বক্সের সামনে থাকা সেই ফ্রি-কিক থেকে গোল মিস করেন সিআর সেভেন। তার শটটি চলে যায় পোস্টের আলতো ওপর দিয়ে।

    ম্যাচের পর গোলদাতা তালিসকা বলেন, ‘বিশ্ব ফুটবলে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো কেবল একজনই রয়েছেন। আমরা খুব খুশি যে তাকে পাশে পেয়েছি। তার ব্যক্তিত্বই তাকে দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সহায়তা করেছে।’

    তিনি আরো যোগ করেন, ‘আপনি যদি শিরোপা জিততে চান, তাহলে অবশ্যই এ ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ ম্যাচ জিততে হবে এবং লড়াই করতে হবে। আমাদের গোল দলকে শীর্ষে নিয়ে এসেছে এবং এ জন্য অবশ্যই পুরো দলকে ধন্যবাদ।’

  • প্রাক-মৌসুম সফরে ম্যান ইউর সঙ্গে ভ্রমণে যাচ্ছেন না রোনালদো

    প্রাক-মৌসুম সফরে ম্যান ইউর সঙ্গে ভ্রমণে যাচ্ছেন না রোনালদো

    ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে প্রাক-মৌসুমে থাইল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া সফরে যাচ্ছেন না পর্তুগাল স্ট্রাইকার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পারিবারিক সমস্যার কারণে এই সফর থেকে বিরত থাকছেন তিনি। গত সোমবার ইউনাইটেডের নতুন বস এরিক টেন হ্যাগ প্রাক-মৌসুম প্রশিক্ষণ শুরুর জন্য খেলোয়াড়দের স্বাগত জানান, তখন রোনালদো অনুপস্থিত ছিলেন।

    এএফপির খবরে জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আগে আগামী মঙ্গলবার থাইল্যান্ডে লিভারপুলের মুখোমুখি হওয়ার কথা ইউনাইটেডের। রোনালদো দলের সঙ্গে যোগ দেবেন কি না তা নিশ্চিত নয়।

    ৩৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড ওল্ড ট্র্যাফোর্ড ছেড়ে যাচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে। ইউনাইটেড গত প্রিমিয়ার লিগে ষষ্ঠ স্থানে থেকে শেষ করেছে। তাই দলটি চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলা মিস করেছে। যে কারণে রোনালদোকে নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে।

    ইউনাইটেডের একজন মুখপাত্র ম্যানচেস্টার ইভিনিংকে বলেন, ‘রোনালদো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে থাইল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ায় প্রাক-মৌসুম সফরে যাবেন না। পারিবারিক সমস্যার কারণে তাকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাথে আরেকটি মৌসুমের জন্য চুক্তির অধীনে রয়েছেন, তিনি বিক্রির জন্য নন।’

    রোনালদো গত মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলে ২৪ গোল করেন। ক্লাবের বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। কিন্তু ইউনাইটেড ২০১৭ সালের পর সবচেয়ে বাজে ফল করেছে।

    এন-কে

  • শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ম্যানইউকে জেতালেন রোনালদো

    শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ম্যানইউকে জেতালেন রোনালদো

    ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে শ্বাসরুদ্ধকর এক ম্যাচের সাক্ষী হলো ফুটবলভক্তেরা। ড্রয়ের শঙ্কায় পড়ে যাওয়া ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে শেষ মুহূর্তে উদ্ধার করলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পর্তুগিজ তারকার গোলে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নিল উলে গুনার সুলশারের দলটি।

    গতকাল বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচে ভিয়ারিয়ালকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ভিয়ারিয়ালকে বিরতির পর এগিয়ে নেন পাকো আলকাসের। সেখান থেকে সমতায় ফেরান অ্যালেক্স তেলেস। তবে, শেষ দিকে ড্রয়ের শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল ম্যানইউ। শেষ পর্যন্ত অঘটন হয়নি, শেষ মুহূর্তে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন রোনালদো।

    ম্যাচটিতে বল দখলে একটু এগিয়ে থাকা ইউনাইটেড ম্যাচে মোট ১৪টি শট নেয়, যার সাতটি ছিল অন টার্গেট শট। অন্যদিকে, ভিয়ারিয়ালের ১৫ শটের সাতটি ছিল লক্ষ্যে যাওয়ার মতো।

    ম্যাচের লড়াই মূলত জমে ওঠে বিরতির পর। দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে বাঁ থেকে ডানজুমার গোলমুখে বাড়ানো ক্রসে জালে পাঠান আলকাসের। সাত মিনিট পরই দুর্দান্ত এক গোলে সমতা টানেন তেলেস।

    এরপর গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয় শেষ পর্যন্ত। ড্রয়ের দিতে যেতে থাকা ম্যাচটিতে প্রাণ ফেরান রোনালদো। শেষ দিকে যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে দুরূহ কোণ থেকে জোরালো শটে গোলটি করেন পাঁচ বারের বর্ষসেরা ফুটবলার। সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে ভাসে ওল্ড ট্র্যাফোর্ড।

    দিনের প্রথম ম্যাচে ইয়াং বয়েজকে ১-০ গোলে হারানো আতালান্তা দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে গ্রুপের শীর্ষে। ইয়াং বয়েজ ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পয়েন্ট সমান ৩ করে। চার নম্বরে ভিয়ারিয়ালের পয়েন্ট ১।

    এন-কে

  • জয়ের ধারায় ফিরতে চায় রোনালদোর ম্যানইউ

    জয়ের ধারায় ফিরতে চায় রোনালদোর ম্যানইউ

    জয়ের ধারায় ফিরতে বিকেলে মাঠে নামবে রোনালদোর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে রেড ডেভিলদের প্রতিপক্ষ অ্যাস্টন ভিলা। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টায়। এ ছাড়া রাত সাড়ে ১০টায় ব্রেন্টফোর্ডের মুখোমুখি হবে লিভারপুল।

    উজ্জীবিত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড হুট করে হোঁচট খেয়েছে। ওয়েস্টহ্যামের কাছে হেরে লিগ কাপ থেকে ছিটকে গেছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দল। যদিও ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে হতাশার রাতে ছিলেন না সিআরসেভেন। এ ম্যাচে আবারও লাল জার্সিটা গায়ে জড়ানোর অপেক্ষায় পর্তুগিজ তারকা। ওয়েস্টহ্যামের বিপক্ষে খেলা অনেক ফুটবলারকেই এ ম্যাচে আবারও গরম করতে হবে সাইড বেঞ্চ।

    ইপিএলের রেইসে শুরুটা মন মতোই হয়েছে রেড ডেভিলদের। ৫ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে টেবিলের তিনে। পরবর্তী ম্যাচের প্রতিপক্ষ অ্যাস্টন ভিলা সবশেষ ১৭ দেখায় ইউনাইটেডকে হারাতে পারেনি। এবারও তো ফেবারিট নিঃসন্দেহে সোলশয়ারের দলটাই।

    ইনজুরিতে আছেন মার্কাস রাশফোর্ড। এডিনসন কাভানির ফেরা নিয়ে আছে অনিশ্চয়তা। তবুও রোনালদো-পগবা-ব্রুনো-গ্রিনউডদের নিয়ে ডেভিলদের আক্রমণভাগ যেন পাওয়ার হাউস।

    টাইটেল রেইসে ইউনাইটেডের চেয়ে এগিয়ে লিভারপুল। সমান পয়েন্ট হলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় টেবিলের দুইয়ে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। তবে টানা জয়ের মধ্যে থাকলেও ব্রেন্টফোর্ডকে নিয়ে ভয় আছে জায়ান্টদের।

    ইয়ুর্গেন ক্লপ বলেন, ‌’ব্রেন্টফোর্ডের মতো দলের প্রিমিয়ার লিগে আসা দারুণ ব্যাপার। কম বাজেটের দল নিয়েও কীভাবে লড়তে হয় সেটা তারা দেখিয়েছে। দারুণ খেলছে ওরা। থমাস খুব ভালো করছে।‌’

    চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী কোচের এই প্রশংসা বাণী নিশ্চয়ই আরও আত্মবিশ্বাসী করবে ব্রেন্টফোর্ড কোচ থমাস ফ্র্যাঙ্ককে। তার অধীনে ইপিএলে নবাগত দলটার লড়াকু মানসিকতা সমীহ আদায় করে নিয়েছে সবার। এরই মধ্যে আর্সেনাল ও উলভসকে হারিয়েছে টেবিলের ৯’এ থাকা ব্রেন্টফোর্ড।

    তবে অলরেডদের আস্থার নাম মোহাম্মদ সালাহ। ৪ গোল নিয়ে মৌসুমে এখন পর্যন্ত লিগের সর্বোচ্চ স্কোরার মিসরীয় তারকা। গোলপোস্টে কোচের আস্থাভাজন অ্যালিসন বেকার। কিছু ইনজুরি সমস্যা আছে দলে। থিয়াগো আলকানতারা অক্টোবরের আগে ফিরছেন না মাঠে। ছিটকে গেছেন ন্যাবি কেইটাও।

    এন-কে

  • শতাব্দীর সেরা ফুটবলার রোনালদো, সেরা কোচ গার্দিওলা

    শতাব্দীর সেরা ফুটবলার রোনালদো, সেরা কোচ গার্দিওলা

    দুবাইয়ে গ্লোব সকার এওয়ার্ড অনুষ্ঠানে চলতি শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসের পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। শতাব্দীসেরা কোচের খেতাব জিতেছেন ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ ম্যানেজার পেপ গার্দিওলা।

    রোববার রাতে হওয়া এ অনুষ্ঠানে চির প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি ও ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার রোনালদিনহো গাউচোকে পেছনে ফেলে এ পুরস্কার জিতেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। শতাব্দীসেরা খেলোয়াড়ের এ পুরস্কারের দৌড়ে ছিলেন মিসরের মোহামেদ সালাহও।

    তবে সবাইকে পেছনে ফেলে ২০০১ থেকে ২০২০ পর্যন্ত সময়ের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন রোনালদোই। পুরস্কারের জন্য বিবেচিত এ সময়ে তিনি জিতেছেন পাঁচটি চ্যাম্পিয়ন লিগ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে তিনটি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে দুটি লা লিগা, জুভেন্টাসের হয়ে দুটি সিরি আ, দেশের হয়ে একটি ইউরো কাপ ও উয়েফা নেশনস লিগসহ অনেক শিরোপা।

    সশরীরে উপস্থিত থেকে পুরস্কারটি গ্রহণ করেছেন রোনালদো। যেখানে তিনি বলেন, ‘যেকোনও স্বীকৃতি পাওয়াই অনেক আনন্দের বিষয়। লম্বা সময় ধরে সাফল্যের শীর্ষে থাকা খুব সহজ কাজ নয়। আমি সত্যিই গর্বিত। তবে দল, ভালো কোচ এবং ক্লাব ছাড়া আমার এ সফলতা সম্ভব ছিল না।’

    পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘আজকের পুরস্কার পাওয়ার চেয়ে বেশি খুশি আর হতে পারে না। পেশাদার ক্যারিয়ারের ২০ বছর পূর্তিতে এমন একটা পুরস্কার সত্যিই আনন্দের। গ্লোব সকার প্লেয়ার অব দ্য সেঞ্চুরি- অনেক গর্বের সঙ্গে এ স্বীকৃতিটা গ্রহণ করছি আমি।’

    এই এওয়ার্ড অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না শতাব্দীসেরা কোচের খেতাব জেতা পেপ গার্দিওলা। দুইবার চ্যাম্পিয়নস লিগ, স্প্যানিশ লা লিগা, জার্মান বুন্দেসলিগা ও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগসহ অনেক শিরোপা জেতা এ কোচ এক ভিডিওবার্তার মাধ্যমে এই পুরস্কার গ্রহণ করেছেন।

    এদিকে গ্লোব সকারের ২০২০ সালের বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন বায়ার্ন মিউনিখের পোলিশ ফরোয়ার্ড রবার্ট লেওয়ানডোস্কি। একইভাবে বর্ষসেরা কোচের খেতাব জিতেছেন বায়ার্নের ম্যানেজার হান্সি ফ্লিক এবং বর্ষসেরা ক্লাবের পুরস্কার জিতেছে বায়ার্ন মিউনিখই।

    এছাড়া শতাব্দীর সেরা ক্লাব নির্বাচিত হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। গ্লোব সকার এওয়ার্ডে ২০১১ সাল থেকে বর্ষসেরা ফুটবলার, কোচ, ক্লাবসহ নানান ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হচ্ছে।

  • রোনালদোর জোড়া গোলে বার্সাকে উড়িয়ে দিল জুভেন্টাস

    রোনালদোর জোড়া গোলে বার্সাকে উড়িয়ে দিল জুভেন্টাস

    দুই তারকার মহামিলন; ম্যাচের ফলাফলের চেয়ে এই দ্বৈরথ দেখতে মুখিয়ে ছিল ফুটবল ভক্তরা। কিন্তু পুনর্মিলনের ম্যাচে একাই আলো ছড়িয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সুযোগ তৈরি করেও সফলতা পেলেন না লিওনেল মেসি। পর্তুগিজ তারকা রোনালদোর জোড়া গোলে বার্সেলোনাকে উড়িয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলো জুভেন্টাস।

    গতকাল মঙ্গলবার রাতে ন্যু ক্যাম্পে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচে বার্সেলোনাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে জুভেন্টাস। রোনালদোর দুই গোলের সঙ্গে আরেকটি করেন ওয়েস্টন ম্যাককেনি।

    অবশ্য ম্যাচটিতে জুভেন্টাস গোলরক্ষক বিশেষভাবে নজর কেড়েছেন। ম্যাচের পুরোটা সময় গোলবার আগলে রেখেছেন জানলুইজি বুফন। অভিজ্ঞ এই ইতালিয়ান গোলরক্ষকের বাধা এড়িয়ে সাফল্যের দেখা পাননি মেসিরা।

    অথচ হারলেও পুরো ম্যাচে জুভেন্টাসের চেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক ছিল বার্সা। ম্যাচের ৬০ শতাংশ বল দখলে রেখে অন টার্গেট শট নেয় ১৯ বার। কিন্তু একটিও সফল হতে দেননি জুভেন্টাস গোলরক্ষক। অন্যদিকে, পুরো ম্যাচে ৪০ ভাগ সময় বল দখলে রেখে সাতবার শট নিয়েই সফল জুভেন্টাস।

    এর আগে প্রথম দেখায় জুভেন্টাসের মাঠে ২-০ গোলে জিতেছিল বার্সা। ওই ম্যাচে ছিলেন না রোনালদো। এবার ফিরেই চ্যাম্পিয়ানস লিগে বার্সাকে প্রথম হারের স্বাদ দিলেন তিনি।

    এদিন ম্যাচের ১৩ মিনিটেই গোলের দেখা পেয়ে যায় জুভেন্টাস। সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন রোনালদো। বার্সার ডি-বক্সে ঢুকলে পর্তুগিজ তারকাকে ফাউল করে বসেন স্বাগতিক ডিফেন্ডার আরাহো। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ওই সুযোগে গোল আদায় করে নেন রোনালদো।

    ২০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ম্যাককেনি। কুয়াদরাদোর ক্রস ধরে ডি বক্সের বাইরে পেয়ে ডান পায়ের ভলিতে স্কোরলাইন ২-০ করেন তিনি।

    বিরতির পর তৃতীয় গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় জুভেন্টাস। সেটিও আসে স্পট কিক থেকে। বার্সেলোনার ডি-বক্সে ডিফেন্ডার ক্লেমোঁ লংলের হাতে বল লাগলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজার রেফারি। পেনাল্টি থেকে জোরালো শটে দলের বড় জয় নিশ্চিত করেন রোনালদো। সবমিলিয়ে এই প্রতিযোগিতায় ১৩৪টি গোল করলেন জুভেন্টাস ফরোয়ার্ড।

  • ‘গোল্ডেন ফুট অ্যাওয়ার্ড’ জিতলেন রোনালদো

    ‘গোল্ডেন ফুট অ্যাওয়ার্ড’ জিতলেন রোনালদো

    ‘গোল্ডেন ফুট অ্যাওয়ার্ড’ জিতেছেন পর্তুগীজ তারকা ও জুভেন্টাস ফরোয়ার্ড ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।

    এর আগে কয়েকবার ছিলেন অ্যাওয়ার্ড মনোনীতি ১০ জনের প্রাথমিক তালিকায়। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি এতদিন।

    এবার লিওনেল মেসি, রবের্ত লেভানদোভস্কিদের পেছনে ফেলে ‘গোল্ডেন ফুট অ্যাওয়ার্ড-২০’ নিজের করে নিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।

    ২০০৩ সালে চালু হওয়া পুরস্কারটি একজন ফুটবলার কেবল একবারই জিততে পারেন।

    এই অ্যাওয়ার্ড দিয়ে ক্যারিয়ারে আরেকটি কাঙ্ক্ষিত পালক যুক্ত করলেন এই পর্তুগিজ ফুটবলের যুবরাজ।

    পুরস্কারটি দিয়ে নিজের দেশকেও সম্মানিত করেছেন রোনাল্ডো। কারণ প্রথম পর্তুগিজ খেলোয়াড় হিসেবে পুরস্কারটি জিতলেন রোনাল্ডো।

    পুরস্কারটির জন্য সাংবাদিকদের একটি প্যানেল প্রথমে ১০ খেলোয়াড়কে মনোনীত করেন। রোনাল্ডোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন বার্সেলোনার মেসি, বায়ার্ন মিউনিখের লেভানদোভস্কি, লিভারপুলের মোহামেদ সালাহ, পিএসজির নেইমার, রিয়াল মাদ্রিদের সার্জিও রামোস, ম্যানচেস্টার সিটির সার্জিও আগুয়েরো, বার্সার জেরার্ড পিকে, ইন্টার মিলানের আর্তুরো ভিদাল ও জুভেন্টাসের জিওর্জিও চিলিনি।

    মঙ্গলবার অনলাইনে ভোটের মাধ্যমে সবাইকে পেছনে ফেলে বিজয়ী হন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড রোনাল্ডো।

    চলতি মৌসুমে জুভেন্টাসের হয়ে ৪৬টি খেলায় ৩৭টি গোল করায় রোনাল্ডোকে এ পুরস্কারে মনোনীত করে জুড়িবোর্ড।

    ১৮তম খেলোয়াড় হিসেবে এ পুরস্কার পেলেন রোনাল্ডো। ইতালির সাবেক ফরোয়ার্ড রবের্তো বাজিও প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ‘গোল্ডেন ফুট অ্যাওয়ার্ড’ -এ মনোনীত হয়েছিলেন।

    এর পর এই অ্যাওয়ার্ডে নিজেদের ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ করেছেন রোনালদিনহো, ইকের কাসিয়াস, জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ, জানলুইজি বুফন, স্যামুয়েল ইতো, দিদিয়ের দ্রগবা, রায়ান গিগস, এদিনসন কাভানি, ফ্রান্সিসকো টট্টি ও লুকা মদরিচ।

    অর্থাৎ সময়ের সেরা খেলোয়াড় বার্সেলোনা অধিনায়ক লিওনেল মেসির এখনও এই পুরস্কার জেতা হয়নি।

  • অবশেষে করোনামুক্ত রোনালদো

    অবশেষে করোনামুক্ত রোনালদো

    অবশেষে করোনামুক্ত হলেন পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।

    পর পর দুইবার টেস্টে পজিটিভ এসেছিল তার। শুক্রবার তৃতীয় টেস্টে নেগেটিভ শানাক্ত হয়েছেন ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসের এই তারকা ফুটবলার।

    এক বিবৃতিতে জুভেন্টাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘কোভিড-১৯ এর জন্য একটি ডায়াগনস্টিক টেস্ট করানো হয়েছিল রোনাল্ডোর। যেখানে ফলাফল এসেছে নেগেটিভ। যার মানে দাঁড়ায় তিনি ১৯ দিন পর এখন করোনামুক্ত এবং আর আইসোলেশনে থাকতে হবে না।’

    দীর্ঘ ১৯ দিন প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন তিনি।

    গত ১৩ অক্টোবর করোনায় আক্রান্ত হন রোনাল্ডো। এরপর আইসোলেনে চলে যান তিনি। যে কারণে জাতীয় দলের হয়ে উয়েফা নেশনস কাপের কয়েকটি ম্যাচে মাঠে নামা হয়নি তার। পর্তুগালের হয়ে একটি ও জুভেন্টাসের হয়ে ঘরোয়া লিগে আরও দুইটি ম্যাচ খেলতে পারেননি রোনাল্ডো।

    তবু আশা করা হচ্ছিল ২৮ অক্টোবরের আগেই করোনামুক্ত হয়ে খেলায় ফিরবেন তিনি। চির প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসির বিপক্ষে মাঠে লড়াই করবেন। সে আশায় রোনাল্ডোর দ্রুত রোগমুক্তির প্রার্থনাও করেছিলেন মেসি।

    কিন্তু পরে দ্বিতীয়বারের টেস্টেও নেগেটিভ হননি রোনাল্ডো। ১৯ দিন থাকতে হয়েছে আইসোলেশনে।

    তবে রোনাল্ডোর করোনামুক্তির খবরে ফুটবলপ্রেমীরা হাফ ছেড়ে বাচলই বটে। ২৮ অক্টোবর পর্তুগিত তারকারকে মিস করা ফুটবলভক্তদের আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সেদিন মেসির বার্সেলোনার মুখোমুখি হবে জুভেন্টাস।

    রোববার স্পেজিয়ার বিপক্ষে সেরি-এ’র ম্যাচে দেখা যেতে পারে জুভেন্টাসের এই সেরা তারকাকে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • তৃতীয়বারের পরীক্ষাতেও করোনা পজিটিভ রোনালদো

    তৃতীয়বারের পরীক্ষাতেও করোনা পজিটিভ রোনালদো

    করোনাভাইরাস ছাড়ছেই না ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে। একের পর এক পরীক্ষায় পজিটিভ রিপোর্ট আসছে তার। এ কারণে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনার বিপক্ষে রোনালদোর খেলা পুরোপুরি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

    আজ রাতেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের মাঠে বার্সেলোনার মুখোমুখি হচ্ছে জুভেন্টাস। কিন্তু তার আগে করোনা টেস্টে আবারও রিপোর্ট পজিটিভ আসলো সিআর সেভেনের।

    মঙ্গলবার বিকেলেই জুভেন্টাস কোচ আন্দ্রে পিরলো জানিয়েছেন, তিনি রোনালদোর করোনা রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন। যদি রেজাল্ট পজিটিভ আসে এবং সম্ভব হয়, তাহলে রোনালদোকে নিয়েই একাদশ সাজাতে চান। কিন্তু পিরলোর সেই আশার গুড়ে বালি। রোনালদোকে করোনা ছাড়েনি।

    রোনালদোর প্রথম করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছিল ১৩ অক্টোবর। পর্তুগালের হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলতে যাওয়ার পরই তিনি করোনা আক্রান্ত হলেন। এরপরই সেলফ আইসোসেশনে চলে যান তিনি।

    এরই মধ্যে আবার ইতালিতেও ফিরে আসেন রোনালদো। উদ্দেশ্যে এর মধ্যে রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তিনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সার বিপক্ষে, সর্বোপরি মেসির বিপক্ষে আবারও খেলতে নামতে পারবেন। কিন্তু তার সেই আশায় গুড়েবালি।

    এর মধ্যে গত ২২ অক্টোবর আরও একবার পরীক্ষা করা হয়েছিল রোনালদোর। সে পরীক্ষায়ও তার করোনা রিপোর্ট এসেছিল পজিটিভ। ২৮ অক্টোবর পরীক্ষায়ও পজিটিভ এলেন তিনি।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • দ্বিতীয় পরীক্ষাতেও করোনা পজিটিভ রোনালদো

    দ্বিতীয় পরীক্ষাতেও করোনা পজিটিভ রোনালদো

    গত ১৩ অক্টোবর পর্তুগাল ফুটবল ফেডারেশন রোনালদোর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে। যদিও তাঁর শরীরে কোনও উপসর্গ নেই। কিন্তু সিআর সেভেন তারপর থেকেই আইসোলেশনে রয়েছেন। পর্তুগাল থেকে তিনি সোজা তুরিনে চলে যান।

    নিয়ম অনুযায়ী ২২ অক্টোবরের মধ্যে দ্বিতীয় কোভিড টেস্ট করার কথা ছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। সেই পরীক্ষা করিয়েছেন সিআর সেভেন। আর সেই কোভিড টেস্টের ফলও পজিটিভ এসেছে। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা সূত্রে খবর, দ্বিতীয় পরীক্ষাতেও রোনালদোর শরীরে করোনার অস্তিত্ব ধরা পড়েছে। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে বার্সেলোনার বিরুদ্ধে নামতে অনিশ্চিত ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো

    উয়েফার করোনা প্রটোকল অনুযায়ী, একজন খেলোয়াড়কে মাঠে নামার এক সপ্তাহ আগেই করোনা নেগেটিভ হতে হবে। কিন্তু রোনালদো তা পারলেন না। যদিও করোনা পজিটিভ হওয়ার পর নিজ দেশে সিআর সেভেনের আইসোলেশনে থাকার কথা। তবে নিয়মের তোয়াক্কা না করে ইতালিতে ফিরেছেন জুভেন্টাস ফরোয়ার্ড।

    নিয়ম ভেঙে তুরিনে ফিরে আসায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন রোনালদো।

    আগামী ২৮ অক্টোবর চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে বার্সেলোনার মুখোমুখি হবে জুভেন্টাস। ধারণা করা হচ্ছিল, এই ম্যাচে দীর্ঘদিন পর মেসি বনাম রোনালদো দ্বৈরথ দেখা যাবে। কিন্তু দ্বিতীয় পরীক্ষাতেও করোনা পজিটিভ হওয়ায় সে আশা ভেস্তে গেল।

    তবে সুযোগ এখনও শেষ হয়নি। গ্রুপের ষষ্ঠ ম্যাচে আবারও দুই দল মুখোমুখি হবে।

    মেসি ও রোনালদো এর আগে কখনোই চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হননি। তবে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন মৌসুমের নকআউট পর্বে দেখা হয়েছে তাদের।

    করোনা পজিটিভ থাকা সত্ত্বেও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো নতুন হেয়ার স্টাইল করে ফিটনেস বাড়ানোর ট্রেনিংয়ে নেমে পড়েছেন। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা পর্তুগিজ তারকা সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি পোস্ট করেছেন। মাথায় এখন আর চুল নেই সিআর সেভেনের।

    করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর দুটি ম্যাচে জুভেন্টাসের জার্সিতে মাঠে নামতে পারেননি রোনালদো। তুরিনে তিনি গৃহবন্দি রয়েছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম