Tag: রোহিঙ্গা

  • রোহিঙ্গা প্রবেশে উদারতা দেখানোর সুযোগ নেই : কাদের

    রোহিঙ্গা প্রবেশে উদারতা দেখানোর সুযোগ নেই : কাদের

    সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নতুন করে আর কোনো রোহিঙ্গাকে অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। আমরা একবার উদারভাবে সীমান্ত খুলে দিয়েছিলাম। এখন সেই উদারতা দেখানোর আরো কোনো সুযোগ নেই।

    বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বনানীর সেতু ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, রোহিঙ্গারা আমাদের জন্য একটা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক যে সাহায্য ছিল, সেটা অনেক কমে গেছে। এমন অবস্থায় এই বোঝা আমরা আর কতদিন বইবো?

    তিনি বলেন, এটা মিয়ানমারের নিজস্ব সমস্যা। আরাকান আর্মিদের তাদের দেশের সমস্যা। তাদের ইন্টারনাল বিষয় নিয়ে তারা কী করবে সেটা তাদের ব্যাপার। তাদের সমস্যার জন্য আমাদের এখানে যেন কোনো শঙ্কা বা উদ্বেগ না হয়, সে বিষয়ে যারা যারা সংশ্লিষ্ট তাদের সঙ্গে কথা বলব। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতে গিয়েছেন। চীনের সঙ্গেও আমরা আলাপ আলোচনা করছি।

    বিএনপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির মন্তব্য নিয়ে কথা বলার সময় আমার নেই। তাদের নিয়ে আমাদের চিন্তা করার কিছু নেই। তাদের মধ্যে ব্যর্থ আন্দোলন, নির্বাচনে অংশ না নেওয়া-এসব কারণে একটা হতাশা আছে। এ কারণে তারা বিরোধিতা করছে, করবে। তারা তো বিরোধী দল, তাদের পেছনে কিছু তো বলতেই হবে। বললে সরকারের খারাপটাই বলতে হবে। কারণ তারা এখন কোনোকিছু ভালো চোখে দেখছে না। তারা হতাশার মধ্যে আছে। এই হতাশা থেকে তারা এসব আবোল-তাবোল বলছে। এগুলোর কোনো বাস্তবতা নেই, এগুলো নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।

  • সীমান্ত পরিস্থিতি বিজিবির নিয়ন্ত্রণে, রোহিঙ্গা ঢুকতে দেওয়া হবে না

    সীমান্ত পরিস্থিতি বিজিবির নিয়ন্ত্রণে, রোহিঙ্গা ঢুকতে দেওয়া হবে না

    বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নবনিযুক্ত মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি বিজিবির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা কোনোভাবেই নতুন করে আর কোনো রোহিঙ্গা নাগরিককে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেব না।

    বিজিবি মহাপরিচালক মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান এবং বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

    বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, আমি গতকাল দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সবচেয়ে বেশি এই সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে ইনভলভ আছি। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) আমি নিজে সরেজমিনে সীমান্ত পরিদর্শনে যাচ্ছি। আমরা ধৈর্য ধারণ করে, মানবিক দিক বিবেচনা করে এবং আন্তর্জাতিকভাবে সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সেরকমই। গতকাল প্রধানমন্ত্রী এব্যাপারে কথাও বলেছেন, ধৈর্যধারণের নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা অনুযায়ী বিজিবি কাজ করে যাচ্ছে।

    বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, গতকাল রাত পর্যন্ত ১১৫ জন বিজিপি সদস্য আমাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে বা আশ্রয় নিয়েছেন। আজ সকালে আরও ১১৪ জন যুক্ত হয়েছে। দুপুর পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ২২৯। দুপুরের পর আরো বিজিপিসহ দেশটির অন্যান্য বাহিনীর ৩৫ জন যোগ হয়ে ২৬৪ জন আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের আমরা থাকা ও খাবারের ব্যবস্থা করেছি। তাদের মধ্যে ১৫ জন আহত ছিলেন, এরমধ্যে ৮ জন ছিলেন গুরুতর আহত। এই ৮ জনের মধ্যে চারজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে বিজিবির ব্যবস্থাপনায় ভর্তি করা হয়েছে। বাকি চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিজিবির ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    সীমান্তে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সরকারি পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। আশ্রিতদের প্রত্যাবর্তন বা ফেরানোর বিষয়ে কীভাবে সমাধান করা যায় তা নিয়ে কাজ চলছে। মিয়ানমার এব্যাপারে সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে। তারাও প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে নোট নিয়েছে। আশা করি খুব শিগগিরই তাদের প্রত্যাবর্তন করানো হবে।

    বিজিবি ডিজি বলেন, একই সঙ্গে দুই দেশের দুই সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে যোগাযোগ হচ্ছে। সীমান্তবর্তী পরিস্থিতি আপনারা জানেন। মিয়ানমারে গোলাগুলির মধ্যে কিছু শেল এসে বাংলাদেশে পড়ছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে গতকাল এক রোহিঙ্গা নাগরিক ও একজন বাংলাদেশি নারী মারা গেছেন। এই মৃত্যু কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা প্রোটেস্ট নোট দিয়েছি। আমরা বারবার বলেছি আজকেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি বড় মিটিং হচ্ছে। আর আমি আগামীকাল সরেজমিন সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যাব।

    তিনি বলেন, আজকে মিয়ানমারের ডিএ (ডিফেন্স অ্যাটাচ) আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। সবদিক অ্যাঙ্গেজ করে কীভাবে এর আশু সমাধান করা যায়, সে চেষ্টা আমরা করছি।

    বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, আজকে ৬৫ জন রোহিঙ্গা বোটের মাধ্যমে নদী পথে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের প্রবেশের চেষ্টা করেছে। আমাদের টেকনাফ বিজিবি তাদেরকে প্রতিহত করেছে। তাদের পুশব্যাক করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আমরা নতুন করে কোনো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আর প্রবেশ করতে দেব না। এভাবে আমরা বাংলাদেশের অখণ্ডতা রক্ষা করে প্রধানমন্ত্রী দিক-নির্দেশনায় বিজিবি কাজ করে যাচ্ছে। সীমান্তের সার্বিক নিরাপত্তা পরিষদের এখন পর্যন্ত বিজেপি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

    উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারি তিনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

  • রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার জন্য ওআইসি সদস্যদের অর্থ দেওয়ার আহ্বান

    রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার জন্য ওআইসি সদস্যদের অর্থ দেওয়ার আহ্বান

    রোহিঙ্গা গণহত্যা বিষয়ক মামলা পরিচালনার জন্য অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনের (ওআইসি) সদস্যদের অর্থ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং ওআইসি মহাসচিব যৌথ এক চিঠিতে এই আহ্বান জানান। রবিবার (২৮ মে) ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ওআইসি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকের পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এ কথা বলেন।

    রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে মামলা করেছে গাম্বিয়া এবং ওই মামলা পরিচালনার জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে ওই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ওআইসি মহাসচিবের সঙ্গে রোহিঙ্গা ও অন্যান্য ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মুসলিমদের সংহত হতে হবে, মুসলিমদের অনেক সম্পদ আছে এবং সেগুলো নিজেদের কাজে কীভাবে ব্যবহার করা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

    ওআইসি মহাসচিব হিসাইন ব্রাহিম তাহা জানান, ওআইসির অন্যতম অগ্রাধিকার হচ্ছে রোহিঙ্গা। সদস্যভুক্ত দেশগুলোর শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।

    রোহিঙ্গা তহবিল ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল সংগ্রহের প্রধান কাজটি করে জাতিসংঘ।

    তহবিল সংকট নিয়ে ওআইসিরও উদ্বেগ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেজন্য আমি ওআইসির মহাসচিব হিসেবে সদস্য দেশগুলোকে চিঠি দিয়েছি রোহিঙ্গাদের সহায়তা করার জন্য। রোহিঙ্গা নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে মামলা করেছে গাম্বিয়া এবং দেশটি বড় বা ধনী দেশ নয়। এজন্য আমরা সব সদস্য দেশগুলোকে আহ্বান জানাই গাম্বিয়াকে সহযোগিতা এবং তহবিলে অর্থ দেওয়ার জন্য।

     

     

  • রোহিঙ্গারা যেন সারাদেশে ছড়িয়ে না পড়ে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    রোহিঙ্গারা যেন সারাদেশে ছড়িয়ে না পড়ে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    শক্তি সঞ্চয় করে বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা। মোখাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গারা যেন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য এপিবিএনসহ সব সংস্থাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

    শনিবার (১৩ মে) দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে আয়োজিত তেজগাঁও মহিলা কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগের সুযোগ নিয়ে রোহিঙ্গারা যাতে কাঁটাতারের বেড়া ক্রস (অতিক্রম) করে বের হতে না পারে এ জন্য সজাগ আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে যদি মোখা মিয়ানমারের বদলে বাংলাদেশ অংশে আঘাত হানে তখন রোহিঙ্গাদের নিরাপদ জায়গায় নেওয়া হবে।

    দুর্যোগ মোকাবিলায় মানুষকে সহায়তা করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

    আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মোখা মোকাবিলায় সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। সেন্ট মার্টিন থেকে প্রায় সব মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সেন্ট মার্টিনে কী পরিমাণ ঝড় হবে সেই নির্দেশনা ওই এলাকার বাসীন্দাদের দেওয়া হয়েছে, তাদেরকে সচেতন ও নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে মোখাকে কেন্দ্র করে। সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার সময় যদি প্রয়োজন হয় তবে রোহিঙ্গাদের সরকারিভাবে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। তবে কেউ যদি স্বেচ্ছায় যেতে চায় তাদেরকে যেতে দেওয়া হবে না। তাদেরকে নির্দিষ্ট স্থানেই রাখা হবে।

  • পাহাড় কাটার সময় মাটিচাপা পড়ে ৩ রোহিঙ্গা নিহত

    পাহাড় কাটার সময় মাটিচাপা পড়ে ৩ রোহিঙ্গা নিহত

    কক্সবাজারের উখিয়ায় অবৈধভাবে পাহাড় কাটতে গিয়ে মাটিচাপা পড়ে তিন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিখোঁজ একজনকে উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস।

    বুধবার (২৯ মার্চ) সকালে উপজেলার উখিয়া সদরের মুহুরিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা হলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১-ইস্ট এর বাসিন্দা আব্দুল মোতালেবের ছেলে জাহিদ হোসেন (২৩), ৩ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ ওয়ারেসের ছেলে ছৈয়দ আকবর (২০) ও অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

    প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, মুহুরিপাড়া এলাকার নেছার আহমদের বাড়ির পাহাড় কেটে সমতল করার কাজ করছিল একদল রোহিঙ্গা শ্রমিক। মাটি কাটার এক পর্যায়ে ওপরে থাকা নেছার আহমেদের বাড়ির আঙিনা অংশের পাহাড় ধসে পড়লে কর্মরত তিন শ্রমিক মাটিতে চাপা পড়ে। এ সময় স্থানীয়রা একজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

    উখিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স’র স্টেশন ইনচার্জ এমদাদুল হক জানান, বুধবার সকালে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

  • ৬১ রোহিঙ্গা এইচআইভিতে মারা গেছে

    ৬১ রোহিঙ্গা এইচআইভিতে মারা গেছে

    রোহিঙ্গা এলাকা এইিআইভি/এইডস, হেপাটাইটিস সি, ডিপথেরিয়া ইত্যাদির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এসব রোগে এখন পর্যন্ত কক্সবাজারে ৭১০ জন পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৬১২ জনই রোহিঙ্গা। ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ৬১ জন রোহিঙ্গা এইচআইভিতে মৃত্যুবরণ করেছে। এছাড়া ৫ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নারী কক্সবাজারে বিভিন্ন হোটেলে দেহ ব্যবসায় সক্রিয় রয়েছে।

    বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে উত্থাপিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

    প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আরসাসহ তিনটি সন্ত্রাসী গ্রুপসহ ৭টি ডাকাত দল রোহিঙ্গা এলাকায় সক্রিয় রয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ ক্যাম্পের ওপর আরসার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। জিরো লাইনে অবস্থিত তমব্রু কোনাপাড়া ক্যাম্পটিতে নিয়মিত টহল ও নজরদারি জোরদার করতে না পারার কারণে সেখানে আরসার সাংগঠনিক কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ, মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

    প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোকে ১০টি দুর্বৃত্ত সংগঠন বর্তমানে সক্রিয় রয়েছে। এর মধ্যে আরসা সক্রিয় রয়েছে উখিয়া, বালুখালী, পালংখালী, হোয়াইক্যংয়ে, আরএসও এবং মাস্টার মুন্না দল উখিয়া, পালংখালীতে, ইসলামী মাহাজ ও জাবু ডাকাত দল হোয়াইক্যংয়ে এবং নয়াপাড়া ক্যাম্পে চাকমা ডাকাত দল, নবী হোসেন ডাকাত দল, পুতিয়া ডাকাত দল, সালমান শাহ ডাকাত দল, খালেক ডাকাত দল সক্রিয় বলে উল্লেখ করা হয়।

    বেশিরভাগ ক্যাম্পের ওপর আরসার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে উল্লেখ করে এতে আরা বলা হয়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আরসা ও নবী হোসেন ডাকাত দল প্রায়ই মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

    আরসার উপস্থিতি ও তাদের সন্দেহভাজন কার্যক্রম নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করেছে উল্লেখ করে বলা হয়- জিরো লাইনে অবস্থিত তমব্রু কোনাপাড়া ক্যাম্পটি আরসার সাংগঠনিক কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ, মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

    প্রতিবেদনে ২০২১ ও ২০২২ সালে সংঘটিত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরা হয়। এদের সার্বিক অপরাধ কিছু কমেছে বলে প্রতীয়মান হয়। তবে এ সময়ে বেড়েছে হত্যাকাণ্ড। ২০২১ সালে যেখনে ২২টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ২০২২ সালে তা বেড়ে হয় ৩২টি।

    এদিকে ২০২১ সালের চুরি ডাকাতির ঘটনা ৭৭ থেকে কমে ২০২২ সালে ৭৫টি, গোলাগুলির ঘটনা ৫১টা থেকে ১৮টা, অপহরণের ঘটনা ১৭৩টি থেকে কমে ৮৬টি, আন্তঃকোন্দন ১১টি থেকে কমে একটি, মাদকের ঘটনা ২৬৮টি থেকে ২৪৯টি এবং অন্যান্য অপরাধ ৫৬৭টি থেকে কমে ৫৫৩টি, সংঘটিত হয়েছে।

    প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জানুয়ারি ২০২১ থেকে ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ২২২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৯৯টি দুর্ঘটনাজনিত। ৬০টি নাশকতামূলক ও ৬৩টির কারণ জানা যায়নি।

    রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে প্রতিদিন ৯৫ জন শিশু জন্মগ্রহণ করে। ২০২৫ সালে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ১২-১৩ লাখ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে বলে প্রতিবেদনে ধারণার কথা জানানো হয়।

    কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটি সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ এবং নাসির উদ্দিন অংশ নেন।

  • শূন্যরেখায় আশ্রিত রোহিঙ্গাদের কুতুপালংয়ে নেওয়া শুরু

    শূন্যরেখায় আশ্রিত রোহিঙ্গাদের কুতুপালংয়ে নেওয়া শুরু

    বাংলাদেশ-মিয়ানমার তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় দেশটির দুটি সশস্ত্র সংগঠনের সংঘর্ষে বসতবাড়ি পুড়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের উখিয়ার কুতুপালংয়ে হস্তান্তর শুরু হয়েছে।

    রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে প্রথম দফায় বান্দরবান সীমান্তের তুমব্রু গ্রাম থেকে তাদের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসা হয়। এরপর বেলা ১২টার দিকে সেখানে টোকেনের মাধ্যমে পরিচয় পত্র দিয়ে বাসে করে কুতুপালংয়ে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) ট্রানজিট পয়েন্টে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

    তিনি জানান, তুমব্রুতে আশ্রয় নেওয়া শূন্যরেখার রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাছাই শেষে প্রথম দফায় একটি দল হস্তান্তর শুরু হয়েছে। সেখানে মোট ৫৬২ পরিবারের দুই হাজার ৯৭০ রোহিঙ্গার তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রথম দিনে ৩৭ পরিবারের ১৮০ জন রোহিঙ্গাকে উখিয়া ট্রানজিট পয়েন্টে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বাকিদেরও পর্যায়ক্রমে হস্তান্তর করা হবে।

    আরআরআরসি আরও জানায়, এসব রোহিঙ্গাদের মধ্য যাদের তথ্য বিভিন্ন ক্যাম্পে আগে থেকে অন্তর্ভুক্ত আছে, তাদের সেসব ক্যাম্পে পাঠানো হবে। বাকিদের নতুন করে আঙুলের ছাপ সংগ্রহ ও ছবি তোলার কাজ শুরু করা হবে। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

    নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদে রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাছাইয়ের কাজে দায়িত্বে ছিলেন উখিয়া ক্যাম্প-৫ এর ইনচার্জ (সিনিয়র সহকারী সচিব) প্রীতম সাহা। তিনি বলেন, প্রথম দিনে আমদের ৪০ এর কাছাকাছি পরিবারের প্রায় ২০০ রোহিঙ্গাকে উখিয়া ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরে সেখান থেকে যাদের তথ্য আগে থেকেই অন্য ক্যাম্পে অন্তর্ভুক্ত করা আছে তাদের সেই ক্যাম্পে পাঠানো হবে। আর অন্যদের তথ্য নতুনভাবে সংগ্রহ করে ক্যাম্পে পাঠানো হবে।

    এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, সকালে তুমব্রু বাজারে আশ্রয় নেওয়া শূন্যরেখার রোহিঙ্গাদের ইউনিয়ন পরিষদে আনা হয়। পরে সেখানে সিআইসির মাধ্যমে তাদের টোকেন দিয়ে বাসে করে কুতুপালংয়ে পাঠানো হয়। বাকিদেরও একই প্রক্রিয়ায় পাঠানো হবে।

    এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) এবং আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) মধ্যকার সংঘর্ষে অন্তত একজন নিহত হন আর শূন্যরেখার শিবিরে আগুনে পুড়ে বসতবাড়ি হারিয়ে তুমব্রু গ্রামে প্রায় তিন হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয়।

    উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে গত ২৮ জানুয়ারি একটি কমিটি ওই রোহিঙ্গাদের তথ্যসংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষে তাদের হস্তান্তর কার্যক্রম শুরু করে।

  • সাগরে নৌকা ডুবে ১৮০ রোহিঙ্গার মৃত্যুর আশঙ্কা

    সাগরে নৌকা ডুবে ১৮০ রোহিঙ্গার মৃত্যুর আশঙ্কা

    সাগরে কয়েক সপ্তাহ ভেসে থাকার রোহিঙ্গা বোঝাই একটি নৌকা ডুবে অন্তত ১৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)। নৌকায় থাকা সবাই মারা গেছেন বলে ধারণা করছে সংস্থাটি।

    অসমর্থিত সূত্রের বরাত দিয়ে ইউএনএইচসিআর জানায়, নৌকাটি সমুদ্রযাত্রায় ‘অনুপযোগী’ হওয়ার কারণেই সম্ভবত ডুবে গেছে। ডুবে যাওয়ার আগে নৌকাটি পথ হারিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ নৌকায় থাকা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে তাঁদের আত্মীয়স্বজনদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

    ইউএনএইচসিআর টুইটারে এক পোস্টে জানায়, ‘আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া সবাই ডুবে মারা গেছেন বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।’

    ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা কয়েক লাখসহ ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বর্তমানে কক্সবাজারের টেকনাফে আশ্রয়শিবিরে বসবাস করছে।

    বৌদ্ধ-সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নাগরিকত্ব তো দূরের কথা, উল্টো তাদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ আখ্যা দিয়ে নির্যাতন নিপীড়ন চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় লাখ লাখ রোহিঙ্গা।

    বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, বাংলাদেশে থাকাদের কাজের সুযোগ কম হওয়ায় উন্নত জীবনের আশায় দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যাওয়ার চেষ্টা করে রোহিঙ্গারা। এর সুযোগ নিয়ে মানবপাচারকারীরা তাদের মালয়েশিয়ার মতো দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে কাজ দেওয়ার কথা বলে সাগরে ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রায় নিয়ে যায়। ওই রোহিঙ্গাদের বেশির ভাগেরই ক্ষুধা-তৃষ্ণা ও রোগে ভুগে যাত্রার ইতি ঘটে আন্তর্জাতিক জলসীমায়।

    গত সপ্তাহে মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা দুটি সংগঠন জানায়, ভারত উপকূলে দুই সপ্তাহ ভেসে থাকা একটি রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকার ২০ জনের মতো যাত্রী মারা গেছে। অন্তত ১০০ লোক নিয়ে নৌকাটি বর্তমানে মালয়েশিয়ার জলসীমায় আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

  • উখিয়া ক্যাম্পে গোলাগুলি, ২ রোহিঙ্গা নিহত

    উখিয়া ক্যাম্পে গোলাগুলি, ২ রোহিঙ্গা নিহত

    কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী এবং পুলিশের মধ্যে গোলাগুলিতে ২ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।

    শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। এখনও নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

    রোহিঙ্গারা জানান, ওই ক্যাম্পে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেন গ্রুপের সদস্যদের ওপর হামলা চালায় আরসার লোকজন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়। পরে এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তখন তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি করে। এ সময় দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। তাদের মধ্যে একজন ক্যাম্প ৮-ই’র বাসিন্দা বলে জানা গেছে। অন্যজনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।

    উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী গণমাধ্যমকে বলেন, ক্যাম্পে গোলাগুলির ঘটনায় দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

  • রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার আসামি আরসা নেতার কারাগারে মৃত্যু

    রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার আসামি আরসা নেতার কারাগারে মৃত্যু

    কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মৌলভী জকোরিয়া (৫৩) চট্টগ্রাম কারাগারে মারা গেছেন। আজ শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম কারাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান মোহাম্মদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    মৌলভী জকোরিয়া উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১-ইস্ট, ব্লক ডি/৮-এর বাসিন্দা মৃত আব্দুল করিমের ছেলে (এফসিএন নম্বর ১৪৭৯৬৭)। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন।

    কক্সবাজার কারাগারের জেলার কামাল উদ্দিন বলেন, ‘জকোরিয়া মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার ১৪ নম্বর আসামি। তাঁকে কিছুদিন আগে চট্টগ্রাম কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।’

    চট্টগ্রাম কারাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান মোহাম্মদ জানান, শুক্রবার মধ্যরাতে কারাগারে প্রাথমিক চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। তাঁকে কয়েক দিন আগে চট্টগ্রাম কারাগারে আনা হয়।

    ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ায় লাম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একদল দুর্বৃত্তরা আলোচিত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে পালিয়ে যায়।

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের সপ্তাহ খানেক আগে আলোচিত রোহিঙ্গা নেতা মাস্টার মুহিবুল্লাহকে পৃথিবীকে সরিয়ে দেওয়ার ফতোয়া দিয়ে আত্মগোপনে চলে যান মৌলিভী জকোরিয়া। চলতি বছরের ৫ মার্চ মহিবুল্লাহকে হত্যার ফতোয়া দেওয়ার অভিযোগ এনে উখিয়ার লম্বাশিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ১৪ এপিবিএন।

    গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানায়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্থিরতা তৈরির মদদদাতাদের একজন শীর্ষ পরামর্শক হিসেবে জকোরিয়াকে বিবেচনা করা হয়।

    রোহিঙ্গাদের কথিত উগ্রপন্থী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির (আরসা) ওলামা কাউন্সিলের প্রধান হিসেবে আরসা প্রধানের নির্দেশনায় মহিবুল্লাহকে হত্যার জন্য ফতোয়া দেওয়ার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন জকোরিয়া।

    মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের উত্তর মংডুর বাসিন্দা মৌলভি জকোরিয়া ২০১৫ সালে বাংলাদেশে এলেও পরে মিয়ানমারে ফিরে যান। ২০১৭ সালের আগস্টে আবার অনুপ্রবেশ করে লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেন।

    ২০১৯ সালে তাঁকে নিজেদের ফতোয়া বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব দেয় আরসা। এরপর ২০২০ সাল থেকে আরসার ধর্মীয় শাখা ওলামা কাউন্সিলের কুতুপালং এলাকার প্রধান কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন জকোরিয়া।

    এদিকে গত ১১ সেপ্টেম্বর মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার আসামিদের বিচার শুরু হয়েছে। এর আগে ১৩ জুন ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।

    মুহিবুল্লাহ আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান ছিলেন। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বড় ভূমিকা ছিল তাঁর। ঘটনার পর ১৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার মধ্যে ৬ জন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। সাড়ে আট মাস তদন্তের পর ওই দিন দুপুরে ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট আদালতের ডকেট শাখায় জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উখিয়া থানার ওসি তদন্ত গাজী সালাউদ্দিন।

    ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ায় লাম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একদল দুর্বৃত্তরা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে পালিয়ে যায়। এরপর তাঁর ভাই হাবিবুল্লাহ মামলা করেন। তাতে অজ্ঞাতনামা ২০ / ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তিনি হামলাকারী কয়েকজনকে চেনার কথা সাংবাদিকদের জানালেও মামলায় আসামির তালিকায় কারও নাম দেওয়া হয়নি সে সময়।

    মুহিবুল্লাহকে হত্যার ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। সে সময় জাতিসংঘ, ইউএনএইচসিআর, যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।

    রোহিঙ্গাদের কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত মুহিবুল্লাহ ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করে আলোচনায় এসেছিলেন। জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থায় রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্বও করেছিলেন তিনি।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • উখিয়ায় এপিবিএন সদস্যকে কোপালো রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা

    উখিয়ায় এপিবিএন সদস্যকে কোপালো রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা

    কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) এক সদস্যকে কুপিয়ে জখম করেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা।

    শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বালুখালীর ৭ নম্বর ক্যাম্পের ব্লক ডি-এ ঘটনা ঘটে।

    গুরুতর আহত এপিবিএন সদস্যকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

    এপিবিএনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আহত সদস্যকে সন্ধ্যার পর প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হয়।পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

    ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক ( অতিরিক্ত ডিআইজি) সৈয়দ হারুনুর রশিদ বলেন, কনস্টেবল শহিদুল ক্যাম্প-৭-এর দিকে আসছিলেন।

    এসময় পথে একজন রোহিঙ্গার পরিচয় জানতে চান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা তাকে কোপায়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

    এ ঘটনার সাথে জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে এবং অন্যদের ধরতে অভিযান চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা: সন্দেহভাজন যুবক আটক

    রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা: সন্দেহভাজন যুবক আটক

    রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সেলিম উল্লাহ ওরফে লম্বা সেলিম নামে এক রোহিঙ্গা যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। শুক্রবার (১ অক্টোবর) দুপুরে কুতুপালং ৬ নম্বর ক্যাম্প থেকে তাকে আটক করা হয়। এপিবিএন-১৪-এর পুলিশ সুপার (এসপি) নাইমুল হক ও উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সনজুর মোরশেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    ওসি জানান, রোহিঙ্গা নেতা হত্যা মামলার আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। শৃঙ্খলা বাহিনীর সব শাখা এই ব্যাপারে একীভূত হয়ে কাজ করছে। দুপুরে এপিবিএন সদস্যরা সন্দেহভাজন এক রোহিঙ্গা যুবককে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

    উল্রেখ্য, গত বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে নিজ অফিসে উপস্থিত অন্য রোহিঙ্গাদের সামনেই অস্ত্রধারীরা রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে। এই ঘটনায় পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে মুহিবুল্লাহকে দাফনের পর রাতেই কক্সবাজারের উখিয়া থানায় মুহিবুল্লাহর ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

    এন-কে