Tag: রোহিঙ্গা ক্যাম্প

  • রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দফায় দফায় গোলাগুলি, নিহত ৪

    রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দফায় দফায় গোলাগুলি, নিহত ৪

    কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের পৃথক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজন নিহত হয়েছেন।

    মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাত ৮টার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পৃথক গোলাগুলির ঘটনায় উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা হলেন- উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৫ ব্লক জি/৩ এর কামাল উদ্দিনের ছেলে জয়নাল উদ্দিন (২৭), ক্যাম্প-১৭ এর আবুল বশরের ছেলে আবুল কাসেম (৩০), ক্যাম্প-১ ইস্ট ব্লক-জি/১২ এর মনি উল্লাহর ছেলে ইমাম হোসেন (৩০) এবং ক্যাম্প-১৫ ব্লক জি/৬ এর মো. শফিকের ছেলে আনোয়ার সাদেক (১৭)।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৫ এর জি/৩ ব্লকে আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) বাহিনীর প্রায় ৩০-৪০ জনের দল জড়ো হয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলিতে জড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনায় ৩ জন নিহত হন। এই দুই গ্রুপের মধ্যে প্রায় এক ঘণ্টা গোলাগুলি চলে। এ ঘটনার খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ঘটনাস্থল থেকে দুই গ্রুপের সদস্যরা পালিয়ে যান। পরবর্তী সময়ে পুলিশ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে।

    একই সময় রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৭ এর সি/৭৭ ব্লকে আরসার ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল আবুল কাসেম নামের এক সাধারণ রোহিঙ্গাকে আরএসওর সোর্স সন্দেহে মাথায় গুলি করে হত্যা করে।

    উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসাইন জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলির ঘটনায় নিহতদের মরদেহ উদ্ধার ও সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি হয়েছে। রাতে বা সকালে এসব মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে ময়নাতদন্ত করা হবে বলে উল্লেখ করেন ওসি।

  • রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের গোলাগুলি, নিহত ২

    রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের গোলাগুলি, নিহত ২

    কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার ও আরএসও দু’সন্ত্রাসী গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রে করে পৃথক গোলাগুলিতে দু’জন নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

    সোমবার (৯ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উখিয়ার ক্যাম্প-৫ এলাকার ইরানি পাহাড় ও ক্যাম্প-২ (ইস্ট)’র বালুর মাঠ এলাকায় এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি সৈয়দ হারুন অর রশীদ।

    নিহতরা হলেন: উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৭ ব্লাক, ডি/৫ মৃত মীর আহমেদের ছেলে সাকিবুল হাসান প্রকাশ সানাউল্লাহ (৩৩) ও একই ক্যাম্পের জি সাব ব্লক, এ/ ৩৮ আব্দুর গফুরের ছেলে আহমদ হোসেন (৩৫)।

    ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি সৈয়দ হারুন অর রশীদ জানায়, সোমবার ভোর রাতে উখিয়ার ইরানি পাহাড় ও নৌকার মাঠ এলাকায় আরসা ও আরএসও দু’সন্ত্রাসী গ্রুপের মাঝে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দু’জন নিহত হয়। তারা আরসা সন্ত্রাসী বলে উল্লেখ করেছে অপরাপর রোহিঙ্গারা।

    উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দু’সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যেই গোলাগুলিতে দু’জন নিহতের ঘটনা জানার পর থানার একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। পরে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

     

  • রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আরসা কমান্ডার নিহত

    রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আরসা কমান্ডার নিহত

    কক্সবাজারে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে হুসেন মাঝি নামে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসার এক শীর্ষ নেতা নিহত হয়েছেন। সোমবার (১০জুলাই) সকাল ৭টার দিকে উখিয়া ১৭ নং ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেন ১৪ আমর্ড পুলিশের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) সৈয়দ হারুন অর রশীদ।

    এ সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গুলি, ওয়াকিটকি, মোবাইলফোন ও মোবাইলের সিম জব্দ করা হয়। এখনো অভিযান চলমান বলে জানিয়েছে পুলিশ।

     

  • মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে

    মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী জনগোষ্ঠী যারা রয়েছে, তারাই মাঝে মাঝে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ঢুকছে এবং হত্যার ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। এসব বিছিন্নতাবাদীরা যাতে সীমান্তে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেজন্য আমরা বর্ডার ফোর্সকে আরও শক্তিশালী করছি।

    শুক্রবার (৭ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর নটরডেম কলেজে উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

    মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের কিছু সীমান্ত এলাকা অরক্ষিত রয়েছে, যেসব এলাকায় কোনো যাতায়াত নেই। নাফ নদীতে এমন কয়েকটি চরের মতো জায়গাও রয়েছে, যেখানে মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের নো ম্যানস ল্যান্ড রয়েছে। সেখানে তারা অভয়ারণ্য তৈরি করেছে৷ সেখানে তারা অহরহ যাতায়াত করছে। আমরা সেই জায়গাগুলোর জন্য নিরাপত্তা বাড়াচ্ছি।

    আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমরা দুটি হেলিকপ্টার কিনেছি, সারা বর্ডারে সেন্সর লাগাচ্ছি। এ ধরনের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যবস্থা নিচ্ছি। যে সমস্যাই সামনে আসছে, সেটা মাথায় নিয়ে সমাধান করছি। আপনারা দেখেছেন, আমাদের একজন সৈনিককেও তারা হত্যা করেছে।

    মিয়ানমারে প্রায় ৩০টি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী রয়েছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার সম্পর্কে আপনারা জানেন, সেখানে শুধু আরাকান আর্মিদের বিছিন্নতাবাদী নেই, বরং সেখানে কুকি-চিনসহ প্রায় ৩০টি গোষ্ঠী সব সময় সংঘর্ষে লিপ্ত। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী সেখান থেকেই আসছে। সেখান থেকে আসার কারণে হয়ত এখানে (রোহিঙ্গা ক্যাম্পে) তাদের দু’চারজন অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের মধ্যেই সংঘর্ষ হয়ে থাকতে পারে। এখানে কে নেতৃত্ব দেবে, সেটা নিয়েই সংঘর্ষ হচ্ছে। আজকের ঘটনাটি (রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে পাঁচ জন নিহত) আমাদের আরও বিস্তারিত জানতে হবে। ঘটনাটি ঘটেছে, এটা সত্য। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে আমরা আরও তথ্য জানতে পারব।

    আইসিসির প্রধান কৌশলী করিম খান রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের পরদিনই পাঁচ রোহিঙ্গা হত্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা মনে করি, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যত তাড়াতাড়ি তাদের দেশে ফেরত যায় ততই তাদের দেশের জন্য এবং আমাদের দেশের জন্য মঙ্গল। রোহিঙ্গারা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে এখানে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের একটি কেন্দ্রস্থলে পরিণত হতে পারে। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে বিশ্ব ফোরামকে আহ্বান জানাতে চাই। এদের যত তাড়াতাড়ি তাদের নিজ দেশে ফেরানো যায় ততই মঙ্গল।

  • রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষের গোলাগুলি, নিহত ৫

    রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষের গোলাগুলি, নিহত ৫

    কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় পাঁচ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন।

    শুক্রবার (৭ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে ক্যাম্প-৮ ওয়েস্টে এ ঘটনা ঘটে।

    ৮ এপিবিএন ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আমির জাফর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    নিহতরা হলেন, ক্যাম্প-৮ ডাব্লিউ এর এইচ-৪৯ ব্লকের আনোয়ার হোসেন (২৪), এ-২১ ব্লকের মোহাম্মদ হামীম (১৬), ক্যাম্প-১০ এর এইচ-৪২ ব্লকের নজিবুল্লাহ, ক্যাম্প-৩ এর বি-১৭ ব্লকের নুর আমিন ও অপরজনের পরিচয় তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি।

    অধিনায়ক আমির জাফর বলেন, আজ সকাল ৬টার দিকে ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পক্ষের পাঁচজন নিহত হয়। তবে কাদের মধ্যে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে তা তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি।

    স্থানীয়দের বরাতে উখিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে এপিবিএন ও পুলিশের যৌথ টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে পাঁচজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইওএম পরিচালিত হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

    তিনি আরও বলেন, ক্যাম্প এলাকায় পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।

    আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, গত দুই মাসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ নিয়ে ৩২টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।

  • রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি, ৩ শিশু গুলিবিদ্ধ

    রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি, ৩ শিশু গুলিবিদ্ধ

    কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে তিন রোহিঙ্গা শিশু গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

    সোমবার (৮ মে) দুপুর ১টার দিকে উখিয়া ১৯নং ক্যাম্পে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ শিশুদের উদ্ধার করে এমএসএফ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

    গুলিবিদ্ধ শিশুরা হলো- ওমর ফারুক (৬), জসিম (৭) ও কলিমুল্লা (১০)।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুটি সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ এবং গুলি বিনিময় হয়েছে। এতে তিন শিশু গুলিবিদ্ধ হয়েছে। গোলাগুলিতে অংশ নেওয়া গ্রুপ দুটি ‘আরসা’ এবং ‘আরএসও’ নামে পরিচিত।

    উখিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ঘটনাস্থলে আমাদের টিম গেছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে।

  • দুর্বৃত্তের গুলিতে প্রাণ গেল ২ রোহিঙ্গার

    দুর্বৃত্তের গুলিতে প্রাণ গেল ২ রোহিঙ্গার

    দুর্বৃত্তের গুলিতে কক্সবাজারের উখিয়া বালুখালী ক্যাম্পে দুই রোহিঙ্গা ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।

    মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী।

    নিহতরা হলেন, ক্যাম্প-১৩, জি-৪ এর বাসিন্দা বাচা মিয়ার ছেলে মো. রফিক (৩৪) ও মুহাম্মদ হেসেনের ছেলে মো. রফিক (৩০)। আহত রোহিঙ্গা যুবকের নাম মো. ইয়াসিন (২৮)।

    ওসি মোহাম্মদ আলী জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ১৫ থেকে ১৬ জন দুর্বৃত্ত বালুখালীর ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঢুকে গুলি চালাতে শুরু করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে গুরুতর দুইজনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক আরও একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অপরজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তিনি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

    তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ ও এপিবিএন কাজ করে যাচ্ছে।

  • রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে গুলি করে হত্যা

    রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে গুলি করে হত্যা

    কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে সৈয়দ হোসেন প্রকাশ ওরফে কালা বদ্দা (৩৫) নামের এক রোহিঙ্গা নেতা (হেড মাঝি) নিহত হয়েছেন।

    বুধবার (৮ মার্চ) ভোরে উখিয়ার লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২ ওয়েস্টে এই ঘটনা ঘটে।

    নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। নিহত রোহিঙ্গা ওই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝির দায়িত্ব পালন করত।

    এ ব্যাপারে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সকালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক রোহিঙ্গা মাঝি নিহত হয়েছেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

    ১৪-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি ছৈয়দ হারুন উর রশিদ বলেন, সৈয়দ হোসেন সকালে ঘর থেকে বের হন। আরসা নামধারী একদল দুষ্কৃতিকারী অতর্কিতভাবে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মারা যান।

  • উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুপক্ষের সংঘর্ষ, দুই শিশু গুলিবিদ্ধ

    উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুপক্ষের সংঘর্ষ, দুই শিশু গুলিবিদ্ধ

    কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছে দুই শিশু। আজ বুধবার দুপুরে ক্যাম্পের ৫৮ নম্বর ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।

    গুলিবিদ্ধ শিশু দুটিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তারা হলো—ক্যাম্প-৮ ডব্লিউর ব্লক এফের সাফ ব্লক এ/৫৮ এর বাসিন্দা ওবায়দুল হকের মেয়ে উম্মে হাফসা (১১) এবং আবদুল ফয়েজের ছেলে আবুল ফয়েজ (৮)।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষের সময় দুপক্ষ ১০-১৫ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে। ওই সময় দুই রোহিঙ্গা শিশু গুলিবিদ্ধ হয়। বর্তমানে ক্যাম্পে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে এপিবিএন সদস্যরা জানিয়েছেন।

    উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, শিশু হাফসার পেছন পাশে কোমরের উপরে গুলি লেগেছে, আর ফয়েজের লেগেছে ডান পায়ে। বর্তমানে ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

  • রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি, অস্ত্রসহ দুই জঙ্গি গ্রেপ্তার

    রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি, অস্ত্রসহ দুই জঙ্গি গ্রেপ্তার

    কক্সবাজারে কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে র‍্যাব ও জঙ্গিদের মধ্যে গোলাগুলির পর দুই জঙ্গিকে দেশি-বিদেশি অস্ত্রসহ আটক করেছে র‍্যাব।

    সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার র‍্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (আইন ও গণমাধ্যম) আবু সালাম চৌধুরী।

    আবু সালাম চৌধুরী জানান, নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ এর শুরা সদস্য ও সামরিক শাখার প্রধান রনবীর ও তার সহযোগী বোমা বিশেষজ্ঞ বাশারকে দেশি ও বিদেশি অস্ত্র-গোলাবারুদসহ কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    এ বিষয়ে পরবর্তীতে প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

  • টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, পুড়ল ৫ শতাধিক ঘর

    টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, পুড়ল ৫ শতাধিক ঘর

    কক্সবাজারের টেকনাফে একটি নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে পাঁচ শতাধিক ঘর পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

    গতকাল বুধবার (১৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া নিবন্ধিত শরণার্থী ক্যাম্পে এ অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।

    অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দৌজা নয়ন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    সামছু-দৌজা বলেন, গতরাত ৩টার দিকে টেকনাফের নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে আকস্মিক আগুন লাগে। খবর পেয়ে টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তাঁরা প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর ভোর ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরইমধ্যে ক্যাম্পটির অন্তত ৫ শতাধিক ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।’

    অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার আরো বলেন, আগুন লাগার কারণ প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি। তবে বিষয়টি জানতে সংশ্লিষ্ট পর্যায়ে কাজ চলছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণেও কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

    স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও রোহিঙ্গারা জানায়, গতরাত ৩টার দিকে টেকনাফ নয়াপাড়া নিবন্ধিত শরণার্থী ক্যাম্পের ই-ব্লকের একটি ঘর থেকে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। ঘরগুলোর চাল ও বেড়া পলিথিনের হওয়ায় এবং ঘরে ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার থাকায় তার অধিকাংশই বিস্ফোরিত হয়ে আগুন দ্রুত চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে এবং নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়। খবর পেয়ে টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস ও রোহিঙ্গারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে আজ বৃহস্পতিবার ভোরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

    আগুনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লকের ৫ শতাধিক রোহিঙ্গা বসতি, ১টি ইউএনএইচসিআরের কমিউনিটি সেন্টার এবং পাশের দুইটি স্থানীয় লোকের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এছাড়া পাশের ভাসমান আরো কিছু ঝুপড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

    নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের ইনচার্জ আব্দুল হান্নান অগ্নিকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ভোররাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নির্ণয়ে কাজ চলছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

  • টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষে গোলাগুলিতে নিহত ১, আহত ২৯

    টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষে গোলাগুলিতে নিহত ১, আহত ২৯

    কক্সবাজারের টেকনাফের চাকমারকুল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর গোলাগুলিতে এক রোহিঙ্গা নিহত ও আরও অন্তত ২৯ জন আহত হয়েছেন। রোববার (১০ জানুয়ারি) ভোরে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

    নিহত নুর হাকিম (২৭) টেকনাফের চাকমারকুলের ২১ নম্বর ক্যাম্পের সি- ব্লকের হোসেন আলীর ছেলে। আহতদের পরিচয় জানা যায়নি। গোলাগুলির ঘটনায় ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, উখিয়ার হাকিমপাড়া ও জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী টেকনাফের চাকমারকুল রোহিঙ্গা শিবিরের সি ব্লকে যায়। সেখানে তাদের সঙ্গে তোহা বাহিনীর ৫০-৬০ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন নুর হাকিম। আহত অন্তত ২৯ জনকে সেভ দ্য চিলড্রেনের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

    টেকনাফের হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নুরে আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

    শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের প্রতিনিধি এবং টেকনাফ চাকমারকুল রোহিঙ্গা শিবিরের ইনচার্জ (সিআইসি) সাধনা ত্রিপুরা জানান, শিবিরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে জেনেছি। কী বিষয়ে এবং কী ঘটেছে জানার চেষ্টা চলছে। পরে বিস্তারিত বলতে পারব।