Tag: রোহিঙ্গা

  • রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় মামলা

    রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় মামলা

    কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহত মুহিবুল্লাহর ভাই হাবিব উল্লাহ।

    সত্যতা নিশ্চিত করে উখিয়া থানার ওসি সন্জুর মোর্শেদ জানান, রোহিঙ্গা নেতা মুহিববুল্লাহ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছে।

    এদিকে নিহত মুহিবুল্লাহর মরদেহ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় ময়নাতদন্তের পর আইনী প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নামাজে জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মুহিবুল্লাহকে দাফন করা হয়।

    রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ১৪-এপিবিএন এর অধিনায়ক মো. নাঈমুল হক জানিয়েছেন, বিকেলে রোহিঙ্গা নেতা মুহিববুল্লাহ শান্তিপূর্ণ ভাবে নামাজে জানাযা দাফন সম্পন্ন হয়েছে। থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। এখনো ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ক্যাম্পের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হত্যাকান্ডের ঘটনাটি তাদের সংগঠনের কোন্দল থেকে হতে পারে।

    বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা মুহিবুল্লাহর নিজ অফিসে ৫ রাউন্ড গুলি করে। এসময় ৩ রাউন্ড গুলি তার বুকে লাগে। এতে সে ঘটনাস্থলে পড়ে যায়। খবর পেয়ে এপিবিএন সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ‘এমএসএফ’ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরে উখিয়া থানা পুলিশকে মৃতদেহটি হস্তান্তর করে।

    এন-কে

  • ভাসানচর থেকে পালানোর সময় ১৮ রোহিঙ্গা আটক

    ভাসানচর থেকে পালানোর সময় ১৮ রোহিঙ্গা আটক

    নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ১০ শিশুসহ ১৮ জন রোহিঙ্গাকে চেয়ারম্যানঘাট এলাকা থেকে আটক করেছে স্থানীয় লোকজন। পরে তাদের পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।

    বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে চেয়ারম্যানঘাটের চতলারঘাটের জঙ্গল থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের রোহিঙ্গা পুনর্বাসন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ভাসানচরে ফেরত পাঠানো হবে বলে নিশ্চিত করেছেন চেয়ারম্যানঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জাহের।

    আটককৃতরা হচ্ছেন- ইদ্রিস (৩৮), শুকতারা (২৮), মিজানুর রহমান (১২), তাসলিমা (৯), নূর হাসান (১৭), নুরুল আমিন (৩৫), রাশিদা বেগম (৩০), রোজিনা আক্তার (১২), মুনতাহা (৭), শাখায়েত (৫), শাহীন ফাতেমা (৪), ফাহাদ (৩), সৈয়দ আহম্মদ (৩৫), খতিজা (২৫), মিনারা (৬), নূর আংকিছ (৫), মো হুমায়ের (৩) ও ইয়াছিন (২৫)।

    হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম জানান, দালাল চক্রের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার রাতে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে ১০ শিশু ও ৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ নৌকাযোগে পালানোর চেষ্টা করে। রাত ২টার দিকে তাদের বহনকারী নৌকাটি চেয়ারম্যানঘাটের পাশের চতলাঘাটের একটি জঙ্গলে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাদের আটক করে পুলিশ ফাঁড়িতে জানালে পুলিশ তাদেরকে ফাঁড়িতে নিয়ে আসে।

    এন-কে

  • ‘রোহিঙ্গাদের স্বচ্ছ প্রত্যাবাসনে জোরালো ভূমিকা রাখুন’

    ‘রোহিঙ্গাদের স্বচ্ছ প্রত্যাবাসনে জোরালো ভূমিকা রাখুন’

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন রোহিঙ্গা নাগরিকদের স্বচ্ছ প্রত্যাবাসন, কমনওয়েলথের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বৃদ্ধি, ভ্যাকসিনের সমতা এবং ফলাফল ভিত্তিক জলবায়ু কর্মের জন্য কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

    এদিকে, কমনওয়েলথ নেতারা বিপুল সংখ্যক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের আশ্রয় দেওয়ার সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক ভূমিকার প্রশংসা করেন। নেতারা বলেন, বাংলাদেশ এভাবে হাজার হাজার নিরীহ মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে। লন্ডনে অনুষ্ঠিত ২১তম কমনওয়েলথ পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রীদের বৈঠকে তাঁরা এই মন্তব্য করেন। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ এবং উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী এলিজাবেথ ট্রাস সভাপতিত্ব করেন। কমনওয়েলথ মহাসচিব এবং কমনওয়েলথ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এতে অংশ নেন।

    আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।

    বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন এবং ভাসানচরে তাদের আংশিক স্থানান্তরের বিষয়ে বর্তমান অচলাবস্থা তুলে ধরেন। তিনি কমনওয়েলথকে মিয়ানমার সরকারকে তাদের প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে সাহায্য করার আহ্বান জানান।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী কমনওয়েলথ নেতাদের জলবায়ু ফোরামের (সিভিএফ) চেয়ারম্যান হিসেবে গৃহীত উদ্যোগের কথা জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী কমনওয়েলথ ও সিভিএফের মধ্যে আরও সহযোগিতার আহ্বান জানান।

    ড. মোমেন কমনওয়েলথ সদস্য দেশগুলোকে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য আগের চেয়ে বেশি একসঙ্গে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান, যা কোভিড মহামারির কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। তিনি মহামারি-পরবর্তী কমনওয়েলথকে আরও স্থিতিস্থাপক, সবুজ ও টেকসই পরবর্তী পুনরুদ্ধারের জন্য কমনওয়েলথ সংহতি, সংযোগ ও সম্মিলিত পদক্ষেপ প্রদর্শন করার আহ্বান জানান।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে জানান, কমনওয়েলথ ব্যবসা-থেকে-ব্যবসায় সংযোগ ক্লাস্টারের প্রধান দেশ হিসেবে বাংলাদেশ একটি কারিগরিচালিত কম কার্বন ব্যবসা পুনরুদ্ধারের মডেল এবং একটি কমনওয়েলথ ডিজিটাল মার্কেটপ্লেস তৈরির জন্য কমনওয়েলথ বেসরকারি খাতগুলোকে সংযুক্ত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

    এন-কে

  • সীতাকুণ্ডে শিশুসহ দুই রোহিঙ্গা নারী আটক, ২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

    সীতাকুণ্ডে শিশুসহ দুই রোহিঙ্গা নারী আটক, ২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডে দুই হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার সময় এক শিশুসহ দুই রোহিঙ্গা নারীকে আটক করেছে পুলিশ।

    বুধবার রাত ১১ টার সময় উপজেলার পৌরসভা বাস স্টেশন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে দুই হাজার পিস ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা দুই নারী ও তাদের সাথে একটি শিশুকে আটক করে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ।

    আটককৃতরা হচ্ছে কক্সবাজার জেলার উখিয়া কুতুবপালং ক্যাম্পের মোঃ রফিকের স্ত্রী সাবেকুর নাহার (৩২), তাদের পুত্র নুরুল আফসার(৮) এবং মোঃ সোনান মিয়ার স্ত্রী রশিদা খাতুন (৪৮)।

    জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনাকালে গতিবিধি সন্দেহ হলে তাদেরকে আটক করে শরীরে তল্লাসী করলে বিশেষ ভাবে রাখা ২ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।

    জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, আটক সাবেকুর নাহার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা তার স্বামীকে দেখতে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন।

    এব্যাপারে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, রাতে বাস স্টেশন এলাকায় রোহিঙ্গা দুই নারীর গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে এক শিশুসহ তাদেরকে আটক করে তল্লাশি করলে দুই হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল।

    বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের বিরুদ্ধে মাদক ও অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের পর তাদেরকে চট্টগ্রাম আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/দুলু

  • ভাসানচর গেল আরও ১৭৫৯ জন রোহিঙ্গা

    ভাসানচর গেল আরও ১৭৫৯ জন রোহিঙ্গা

    পঞ্চম দফায় দ্বিতীয় দিনে আরও ১ হাজার ৭৫৯ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে যাচ্ছেন। এর আগে প্রথম দিনে বুধবার ২ হাজার ২৬০ রোহিঙ্গা ভাসানচরে যান। বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে রোহিঙ্গাদের বহনকারী নৌবাহিনীর ৫টি জাহাজ ভাসানচরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।

    টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে বাসযোগে চট্টগ্রামে বিএএফ শাহীন কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পে রাখা হয় রোহিঙ্গাদের। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার দফায় কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে ৯ হাজার ৫৪০ জন রোহিঙ্গাকে।

    প্রথম দফায় গত ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যান। এরপর ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ১ হাজার ৮০৫ জন ও তৃতীয় ধাপে দুইদিনে ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি ৩ হাজার ২০০ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২ হাজার ১৪ জন ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ৮৭৯ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে গেছে।

  • বোয়ালখালীতে ৪শত পিস ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা যুবক গ্রেফতার

    বোয়ালখালীতে ৪শত পিস ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা যুবক গ্রেফতার

    বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ৪শত পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক রোহিঙ্গা যুবককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মো. ইমতিয়াজ (২৩) মায়ানমারের আকিয়াব জেলার বুচিডং থানার বরই সিকদার পাড়ার মৃত শমছু আলমের ছেলে। সে কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানার কুতুবপালং শরণার্থী ক্যাম্পে থাকে।

    শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল পৌণে ১১ টার সময় উপজেলার চরণদ্বীপ ফকিরাখালী বাজার থেকে তাকে আটক করা বলে জানায় পুলিশ। এ সময় তার পরনের প্যান্টের পকেটে ৪শত পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়।

    বোয়ালখালী থানা উপ-পরিদর্শক সুমন কান্তি দে জানান, ফকিরাখালী বাজার এলাকায় পুলিশি উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় রোহিঙ্গা যুবক ইমতিয়াজকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তার সাথে ইয়াবা থাকার কথা স্বীকার করলে তার দেহ তল্লাশী করে পরনের প্যান্টের পকেটে ২টি প্যাকেটে ২০০ করে মোট ৪শত গোলাপী রঙের ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া গেছে।

    তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত ইমতিয়াজের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় ও বিদেশীয় নাগরিক সম্পর্কিত আইনে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/পূজন

  • ভাসানচরে গেলেন আরও ১৭৭৮ রোহিঙ্গা

    ভাসানচরে গেলেন আরও ১৭৭৮ রোহিঙ্গা

    তৃতীয় দফায় আরও এক হাজার ৭৭৮ রোহিঙ্গা নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে গেলেন।

    চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে চারটি জাহাজ ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টায় সেখানে তারা পৌঁছান।

    এর আগে বৃহস্পতিবার প্রায় এক হাজার ৮০০ রোহিঙ্গা ভাসানচরে যান।

    কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ থেকে ভাসানচরে এটি হলো তৃতীয় দফা ও বৃহৎ সংখ্যায় রোহিঙ্গা স্থানান্তর।

    এ ছাড়া ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে রোহিঙ্গাদের আরও একটি দলকে চতুর্থ দফায় ভাসানচরে স্থানান্তরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

    ২০২০ সালের ৪ ও ২৯ ডিসেম্বর দুই দফায় তিন হাজার ৪৪৬ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।

    মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা ও নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় আট লাখ রোহিঙ্গা। এর আগে আসে আরও কয়েক লাখ। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ।

  • ভাসানচরে এসে রোহিঙ্গাদের ভুল ভেঙে গেছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    ভাসানচরে এসে রোহিঙ্গাদের ভুল ভেঙে গেছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, নোয়াখালীর ভাসানচরে আসা রোহিঙ্গাদের ভুল ভেঙেছে। তারা এখানে আসার আগে ভেবেছিলেন, এখানে আসলে ঠিকমত তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা হবে না, কষ্টে থাকবেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের থাকা-খাওয়ার যে সুব্যবস্থা করে রেখেছেন, তা দেখে তাদের ধারণা বদলে গেছে।

    মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালীর হাতিয়ার নবগঠিত ভাসানচর থানার উদ্বোধনকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ইতোমধ্যে ভাসানচরে আসা রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে এখানকার সুব্যবস্থার কথা জানতে পেরে দলে দলে রোহিঙ্গারা ভাসানচরে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করছেন। পর্যায়ক্রমে এখানে আরও অনেক রোহিঙ্গা স্থানান্তর করা হবে।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত নোয়াখালী-৬ আসনের এমপি আয়েশা ফেরদাউস, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল উদ্দীন, পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজির আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আনোয়ার হোসেন, ও জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন।

    নোয়াখালীর দশম থানা হিসেবে ভাসানচর থানার যাত্রা শুরু হল। ভাসানচর আশ্রায়ন প্রকল্প-৩ এ বসবাসকারী মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গাসহ অন্যদের নিরাপত্তায় ও আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিতের জন্য একজন ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ), দুইজন এসআই, ৪ জন এএসআই ও ১৭ জন কনস্টেবলসহ মোট ২৪টি পদ নিয়ে ভাসানচর থানার যাত্রা শুরু হল।

  • ৮ হাজার ইয়াবা উদ্ধার,১ রোহিঙ্গাসহ আটক ২

    ৮ হাজার ইয়াবা উদ্ধার,১ রোহিঙ্গাসহ আটক ২

    চট্টগ্রাম মহানগরীর স্টেশন রোড এলাকা থেকে ইয়াবাসহ একজনকে গ্রেফতারের পর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে এক রোহিঙ্গা ‘মাঝিকে’ গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।

    মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি জানানো হয়।

    গ্রেফতার দুইজন হলো- পটিয়া পৌরসভার পাইকপাড়া এলাকার নজরুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে মুনতাসিরুল ইসলাম চৌধুরী ইমতিয়াজ (২০) ও উখিয়া উপজেলার বালুখালী মইন্যার ঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নুর আহাম্মদের ছেলে লিয়াকত আলী প্রকাশ মাঝি (৪৫)।

    এদের মধ্যে মুনতাসিরুল ইসলাম চৌধুরী ইমতিয়াজকে চট্টগ্রাম নগরের স্টেশন রোড থেকে ৮ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে পুলিশ।

    পরে তার দেওয়া তথ্যে বালুখালী মইন্যার ঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে লিয়াকত আলী প্রকাশ মাঝিকে গ্রেফতার করা হয়।

    কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, স্টেশন রোড থেকে ৮ হাজার পিস ইয়াবাসহ একজনকে গ্রেফতার করা হয়।

    পরে তার দেওয়া তথ্যে উখিয়া বালুখালী এলাকায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে এক রোহিঙ্গা মাঝিকে গ্রেফতার করা হয়। লিয়াকত আলী নামে ওই রোহিঙ্গা মাঝি ইয়াবাগুলো বিক্রির জন্য স্টেশন রোড থেকে গ্রেফতার ব্যক্তিকে দিয়েছিলেন।

  • রোহিঙ্গাদের জোর করে ভাসানচরে পাঠানো হয়নি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

    রোহিঙ্গাদের জোর করে ভাসানচরে পাঠানো হয়নি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

    রোহিঙ্গাদের কাউকেই জোর করে ভাসানচরে পাঠানো হয়নি। সেখানে যারা গেছেন, তাদের সবাই স্বেচ্ছায় গেছেন।

    বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠানো হয়। এরপর ২৯ ডিসেম্বর ১ হাজার ৮০৪ জনকে পাঠানো হয়েছে। তাদের কাউকে জোর করে বা আর্থিক প্রলোভন দেখিয়ে ভাসানচরে পাঠানো হয়নি। আর যারা সেখানে গেছেন, তাদের জোর করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।

    এতে আরও বলা হয়, ৩০ বছরের পুরোনো ভাসানচর পুরোপুরি সুরক্ষিত। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের সময়ও এ দ্বীপে কোনো ক্ষতি হয়নি। এখানে আবাসন, সুপেয় পানি, চিকিৎসাসহ নানা ধরনের সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।

    বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

  • দ্বিতীয় ধাপে ভাসানচরের পথে রোহিঙ্গাবাহী জাহাজ

    দ্বিতীয় ধাপে ভাসানচরের পথে রোহিঙ্গাবাহী জাহাজ

    দ্বিতীয় ধাপে চট্টগ্রাম থেকে নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজে করে এক হাজার ১৩৪ জনকে নিয়ে নোয়াখালীর দ্বীপ ভাসানচরের পথে যাত্রা শুরু করেছে রোহিঙ্গাবাহী জাহাজ।

    মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় নৌবাহিনীর জেটি থেকে প্রথম জাহাজটি ছেড়ে যায়। এরপর ধাপে ধাপে আরো ৪টি জাহাজ ভাসানচরের পথে ছেড়ে যায়।

    জানা গেছে, উখিয়া ও টেকনাফের তালিকাভুক্ত (রেজিস্টার) ক্যাম্প ছাড়া বাকি সব ক্যাম্প থেকেই এবার রোহিঙ্গারা ভাসানচর যাচ্ছেন।

    উখিয়ার কুতুপালং-১, ২, ৩, ৪, ৫, ৮ ডব্লিউ ক্যাম্প থেকেও যাচ্ছে অনেক রোহিঙ্গা পরিবার। উখিয়ার কুতুপালং-৪ নম্বর ক্যাম্প থেকে ২৭ ও কুতুপালং-২ ডব্লিউ থেকে ২৪টি পরিবার ভাসানচরে যাচ্ছে।
    এর আগে, গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় এক হাজার ৬৪২ রোহিঙ্গা ভাসানচরে গেছেন।

    কোনো বলপ্রয়োগ ছাড়াই রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে যাওয়ার ইতিবাচক মনোভাব দেখে তাদের সেখানে পাঠানোর বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয় সরকার।

  • ভাসানচরে পৌঁছেছে ১৬৪২ রোহিঙ্গা

    ভাসানচরে পৌঁছেছে ১৬৪২ রোহিঙ্গা

    এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা নিয়ে নোয়াখালীর ভাসানচরে পৌঁছেছে নৌবাহিনীর ৮ জাহাজ।

    শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে জাহাজগুলো সেখানে পৌঁছে।

    এর আগে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের তত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের বহনকারী এই জাহাজগুলো শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম ছেড়ে যায়। সকাল ৯টা থেকে পতেঙ্গা এলাকার বোট ক্লাব ঘাট, কোস্টগার্ড ঘাট ও রেডি রেসপন্স বাথ ঘাটে রাখা ওই জাহাজগুলো রোহিঙ্গাদের তোলা হয়।

    এর আগে বৃহস্পতিবার এই স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়। এদিন ২০টি বাসে করে একদল রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরের জন্য চট্টগ্রামে নেওয়া হয়।
    জানা গেছে, পর্যায়ক্রমে ১ লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার রোহিঙ্গা নেওয়া হবে সেখানে।

    রোহিঙ্গাদের এই দলটি থাকবে ভাসানচরের অত্যাধুনিক আবাসন প্রকল্পে।
    সম্পূর্ণ নিজেদের ইচ্ছায় ভাসানচরে গিয়ে থাকতে রাজি রোহিঙ্গাদের এ দলটির মাধ্যমে আশ্রয়ণ প্রকল্প হিসেবে যাত্রা হতে যাচ্ছে ভাসানচরের।

    এরই মধ্যে ভাসানচরে মজুদ রাখা হয়েছে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী। ভাসানচরে প্রথম ধাপে যাওয়া রোহিঙ্গাদের রাখা হবে ৫ থেকে ১১ নম্বর ক্লাস্টারে।

    তিন মাসের মজুদ সক্ষমতার খাদ্য গুদামে প্রস্তুত ৬৬ টন খাদ্যপণ্য। তবে প্রথম দিকে রোহিঙ্গাদের রান্না করা খাবার সরবরাহ করবে বেসরকারি সংস্থাগুলো। ইতোমধ্যে ২২টি এনজিওর প্রতিনিধিরা ভাসানচরে কাজ শুরু করেছেন।