Tag: রোহিঙ্গা

  • ভাসানচরের পথে ১৬৪২ রোহিঙ্গা

    ভাসানচরের পথে ১৬৪২ রোহিঙ্গা

    চট্টগ্রামের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে রাত্রি যাপন শেষে অবশেষে নোয়াখালীর ভাসানচর যাওয়া শুরু করেছেন কক্সবাজারের উখিয়া থেকে নিয়ে আসা রোহিঙ্গারা।

    শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের তিনটি ঘাট দিয়ে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে যাত্রা শুরু হয়েছে। এর আগে, সকাল ৯টা থেকে তাদের জাহাজে তোলার কার্যক্রম শুরু হয়।

    আটটি জাহাজে করে মোট ১ হাজার ৬৪২ জনকে ভাসানচরে পাঠানো হচ্ছে বলে নৌবাহিনী সূত্রে জানা গেছে।

    বৃহস্পতিবার উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে নিতে এসব রোহিঙ্গাদের ২০টি বাসে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। বাসের নিরাপত্তায় ছিল পুলিশ। এখন চট্টগ্রাম থেকে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের জাহাজে করে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পতেঙ্গায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর রেডি রেসপন্স বাথ জেটি ও বিএএফ শাহীন কলেজ মাঠ এলাকায় তাবু টাঙিয়ে অস্থায়ী ট্রানজিট পয়েন্ট স্থাপন করা হয়। রাতে রোহিঙ্গাদের এখানে রাখা হয়।

    সমাজকল্যাণ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারপার্সন জেসমিন প্রেমা জানান, শুধুমাত্র আগ্রহী রোহিঙ্গাদের ভাসানচর নেয়ার কাজ করছে সরকার এবং ২২ উন্নয়ন সংস্থা। তাদের স্থানান্তরের জন্য সমন্বিতভাবে কাজ করছে সরকার।

    রোহিঙ্গাদের জাহাজে উঠানোর পূর্বে বিভিন্ন তথ্য পূরণ সাপেক্ষে বরাদ্দকৃত আশ্রয়ণের টোকেন ও চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

    তিনি বলেন, ভাসানচরকে বাসস্থানের উপযোগী করা, অবকাঠামো উন্নয়ন, বনায়ন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দায়িত্বে রয়েছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

    নিজ দেশ থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখের অধিক মিয়ানমারের নাগরিক বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে।

    কক্সবাজারের শিবিরগুলোতে থাকা রোহিঙ্গাদের মধ্যে এক লাখ মানুষকে সরকার ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে। সে জন্য চরটিতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, সরকার জোর করে কোনো রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাচ্ছে না।

    তিনি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা জোর করে কোনো রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাচ্ছি না। যারা যেতে ইচ্ছুক তাদের নিয়ে যাচ্ছি। তারা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যাচ্ছেন।’

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী পুনরায় উল্লেখ করেন যে তারা কাউকে জোর করে ভাসানচরে নেবেন না। ‘আমরা এখনও আগের অবস্থানেই আছি।’

  • মাদক বিক্রির কোটি টাকা মিলল রোহিঙ্গা দম্পতির ঘরে, ইয়াবা উদ্ধার

    মাদক বিক্রির কোটি টাকা মিলল রোহিঙ্গা দম্পতির ঘরে, ইয়াবা উদ্ধার

    নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বি ব্লকের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ৫ হাজার ৩শ পিস ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা দম্পতিকে আটক করেছে র‌্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে মাদক বিক্রির নগদ ১ কোটি ১৭ লাখ এক হাজার ৫শত টাকা উদ্ধার করা হয়।

    গতকাল রবিবার (৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার সময় তাদের আটক করা হলেও আজ সোমবার (৯ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করে র‌্যাব।

    আটক রোহিঙ্গা দম্পতি হলেন স্বামী মো. শওকত ইসলাম (৩২) ও স্ত্রী মোরজিনা (২৮)। ইয়াবা ও নগদ টাকাসহ রোহিঙ্গা দম্পতি আটকের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মাহমুদুল হাসান মামুন।

    তিনি বলেন, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার একটি বাসায় কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ি ইয়াবা বিকিকিনির জন্য অবস্থান করছে এমন সংবাদ পেয়ে অভিযানে যায় র‌্যাবের আভিযানিক টিম। এসময় ৫ হাজার ৩শ পিস ইয়াবাসহ এক রোহিঙ্গা দম্পতিকে আটক করা হয়।

    র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই দম্পতি তাদের হেফাজতে থাকা মাদক বিক্রির নগদ টাকা ঘরের জানালা দিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পরে টাকা গুলো উদ্ধার করে গণনা করা হলে সেখানে এক কোটি ১৭ লাখ ১ হাজার ৫শ টাকা পাওয়া যায়।

    আটক দুজনই মায়ানমারের নাগরিক জানিয়ে র‌্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে দীর্ঘদিন ধরে মায়ানমার থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাসা ভাড়া করে বিক্রি করে আসছিল।

    আটক দুজনের বিরুদ্ধে নগরীর চান্দগাঁও থানায় নিষিদ্ধ মাদক রাখা এবং অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপরাধে দেশের প্রচলিত আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান র‌্যাবের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মাহমুদুল হাসান মামুন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • রোহিঙ্গা সঙ্কটসহ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতিসংঘের জোরালো ভূমিকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    রোহিঙ্গা সঙ্কটসহ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতিসংঘের জোরালো ভূমিকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সঙ্কটসহ বিদ্যমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতিসংঘকে আরো সুনিশ্চিত ও জোরালো ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

    প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক বার্তায় আজ বলেছেন, ‘এখনো এমন কিছু ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে রোহিঙ্গা সঙ্কটের মতো আজকের অনেক জটিল চ্যালেঞ্জ সমাধানে জাতিসংঘ আরো সুনির্দিষ্ট ও শক্তিশালী ভূমিকা নিতে পারে।’

    তিনি বলেন, বিশ্ব এখনো দারিদ্র্য, ক্ষুধা, সশস্ত্র সংঘাত, সন্ত্রাসবাদ, নিরাপত্তাহীনতা, জলবায়ু পরিবর্তন এসব সমস্যায় জর্জরিত। এসব সমস্যার প্রতিটির সমাধানে সমন্বিত প্রচেষ্টা এবং বৃহত্তর পদক্ষেপ প্রয়োজন।

    তিনি যোগ করেন, ‘আমরা জাতিসংঘের ৭৫তম বার্ষিকীর ঘোষণায় যেমন সম্মত হয়েছিলাম, আজ আমাদের চ্যালেঞ্জগুলো পরস্পর সংযুক্ত এবং কেবল পুনরুজ্জীবিত বহুপক্ষীয়তার মাধ্যমেই এর সমাধান করা যেতে পারে। আমরা কেবল একসাথে কাজ করার মাধ্যমেই ভবিষ্যতের মহামারী এবং অন্যান্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের ধকল কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা তৈরি করতে পারি।’

    জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকীতে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে জাতিসংঘের সনদে অন্তর্ভুক্ত নীতি ও লক্ষ্যগুলোর প্রতি তার অটল প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে।

    তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এই বছরটি বাংলাদেশের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তাঁর প্রথম বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধু বিশ্ব শান্তির প্রতি তাঁর দ্ব্যর্থহীন প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন; বিভিন্ন দেশের মধ্যে সংহতির ওপর জোর দেন; বহুপক্ষীয়তার পক্ষে কথা বলেন এবং জাতীয় ও বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার, ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন উন্নয়নের আহ্বান জানান।

    তিনি যোগ করেন, ‘জাতিসংঘের সাথে আমাদের সম্পৃক্ততা তাঁর প্রাজ্ঞ দর্শন এবং দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা পরিচালিত হয়।’

    শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাবের কারণে ২০২০ একটি চ্যালেঞ্জিং বছর এবং ২০২০ সালের প্রথম দিক থেকে মহামারীটি সারা বিশ্বকে বিধ্বস্ত ও বিপর্যস্ত করে চলেছে।

    তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের সমাজ, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, জীবন ও জীবিকা, ব্যবসায় এবং রফতানি আয়ের ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করেছে। কেবল একসঙ্গে এবং সংহতি নিয়ে কাজ করার মাধ্যমেই আমরা এ মহামারীর অবসান ঘটাতে পারি এবং এর পরবর্তী প্রভাব কার্যকরভাবে মোকাবেলা করতে পারি।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ৭৫ বছরে জাতিসংঘের অনেক অর্জন রয়েছে এবং এটি স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেছে, আন্তর্জাতিক উন্নয়নের রীতিনীতি রূপদান করেছে, সংঘাত নিরসনে সহায়তা করেছে এবং মানবিক পদক্ষেপের মাধ্যমে লাখো মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।

    তিনি আরো বলেন, এটি নারী-পুরুষের সমান অধিকারসহ সকলের জন্য মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতা নিশ্চিত ও সুরক্ষায় কাজ করেছে।

    বাংলাদেশ জাতিসংঘের একটি সক্রিয়, অবদানকারী ও দায়িত্বশীল সদস্য হিসাবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাপী শান্তি ও সুরক্ষা বজায় রাখার প্রয়াসে বাংলাদেশ তার দীর্ঘদিনের ‘শান্তির সংস্কৃতি’র প্রতি অনুগত থেকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অন্যতম নেতা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে।

    তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার এসডিজি বাস্তবায়ন, নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকারে অ্যাক্সেস বৃদ্ধি, খাদ্য সুরক্ষা অর্জন এবং বৈষম্য হ্রাস করার ক্ষেত্রে অনুকরণীয় সাফল্য অর্জন করেছে।’

    তিনি বলেন, ‘গত ১১ বছর ধরে আমাদের অর্থনৈতিক পারফরম্যান্স দুর্দান্ত। ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশে, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ এবং ২০০০ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ বদ্বীপে পরিণত হওয়ার অভিযাত্রায় আমরা সঠিক পথে রয়েছি।’

    আজকের বিশ্ব ৭৫ বছর আগে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময়ের চেয়ে আলাদা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ ও সুযোগের এই পরিবর্তনশীল বিশ্বে জাতিসংঘ সকল দেশের জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।’

    তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যত গড়ার একটি সুনির্দিষ্ট ও অর্থবহ রোডম্যাপের সাহায্যে জাতিসংঘ আমাদের সুরক্ষিত ভবিষ্যত গড়ার প্রয়াসে আমাদের পথনির্দেশক হতে পারে, যেখানে নিরাপত্তা নিশ্চিত ও উন্নয়ন নিশ্চিত হবে এবং মানবাধিকার সুরক্ষিত হবে।’

    শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ, টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায়বিচারের বিশ্ব গঠনের জন্য সকল অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে একসঙ্গে কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • আজ রোহিঙ্গা জেনোসাইড রিমেম্বার ডে/স্বেচ্ছায় ঘরে রোহিঙ্গারা

    আজ রোহিঙ্গা জেনোসাইড রিমেম্বার ডে/স্বেচ্ছায় ঘরে রোহিঙ্গারা

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। কক্সবাজার : তিন বছর আগে আজ এ দিনে মিয়ানমারের রাখাইন (আরাকান) অঞ্চলের মংডু, বুচিথং ও রাসেথং জেলার রোহিঙ্গাদের ওপর গণহারে অত্যাচার নির্যাতন শুরু করে মিয়ানমরার সেনাবাহিনী ও সেনা সমর্থিত নাটালা বাহিনীর লোকজন।

    জীবন মান বাঁচাতে সীমানা অতিক্রম করে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট ভোর থেকেই কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেন। বর্তমানে এসব স্থানের ৩৪টি ক্যাম্পে এসব রোহিঙ্গারা অবস্থান করছেন।

    এ ছাড়া বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের নো ম্যান্স ল্যান্ড বা শুন্য রেখায় অবস্থান করছেন দশ হাজারের মত রোহিঙ্গা। আজ ৩য় ‘রোহিঙ্গা জেনোসাইড রিমেম্বার ডে’ পালন করছে বাংরাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা।

    রোহিঙ্গারা অভিযোগ করেছেন, গণহত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, শিশু হত্যা, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়াসহ সব ধরনের অপরাধ সংঘঠিত করেছে মিয়ানমার সরকার বাহিনী। ইতিমধ্যে এ ঘটনায় আইসিজে ও আইসিসিসহ আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।

    রোহিঙ্গারা তাদের ওপর বর্বরতার বিচার ও নাগরিকত্বসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করলেই ফিরে যাবেন স্বদেশের ভূমিতে, এমন আশায় বুক বেঁধে ৩ বছর কাটিয়ে দিয়েছেন ক্যাম্পে। পাড় করেছেন অনিশ্চিত জীবন।

    তাই প্রতি বছর ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে থাকে তারা। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে বড় আকারে সমাবেশ আয়োজন, মসজিদে মসজিদে দোয়া, ব্যানার ফেস্টুন, টি শার্ট ইত্যাদি নিয়ে ব্যাপক আকারে দিনটিকে স্বরণ করে থাকে। কিন্তু এ বছর ভিন্ন।

    একদিকে কভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। অন্যদিক বড় ধরনের আয়োজনের অনুমতি না পাওয়া। অনুমতি পাওয়া যায়নি তাতে কি হয়েছে এমনটি জানিয়ে আরকান রোহিঙ্গা সোসাইট ফর পিস এন্ড হিউমিনিটি (এআরএসপিএস) ভাইস চেয়ারম্যান মাস্টার আব্দুর রহিম জানান, এবার আমরা বড় কোন আয়োজন করবো না ঠিক।

    তবে ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন হচ্ছে, সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের কাজকর্ম বন্ধ রেখে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিজ নিজ ঘরে অবস্থান নেবে। কেউ রেশন নেবে না, অফিস করবে না। বাড়িতে অবস্থান নেবে।

    এটাকে আমরা ঘরে ফিরে যাওয়াকেই প্রধান আকাঙ্খা হিসেবে বুঝাতে চেষ্টা করছি। এ সংক্রান্ত চারটি দাবি আমরা এবার তুলে ধরেছি। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে সংগঠনের পক্ষ হতে লিখিতভাবে কক্সবাজারস্থ শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারকে জানানো হয়েছে।

    তিনি জানান, টেকনাফ ও উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ভয়েস অব রোহিঙ্গা, স্টুডেন্ট ইউনিয়ন, রোহিঙ্গা স্টুডেন্ট নের্টওয়াক, রোহিঙ্গা ইয়থ ফর লিগ্যাল অ্যাকশন, রোহিঙ্গা ইয়থ ফেডারেশন, রোহিঙ্গা কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, ইডেুকেশন ফর রোহিঙ্গা জেনারেশন, রোহিঙ্গা ওমেন ফর জাস্টিস অ্যান্ড পিস নামের সংগঠন এই কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।

    টেকনাফ লেদা রোহিঙ্গা শিবিরের নেতা মোস্তফা কামাল বলেছেন, ‘২৫ আগস্ট মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের তিন বছর পূর্ণ হবে। এই উপলক্ষ্যে যাতে ক্যাম্পে কোন লোকজন জড়ো হয়ে মিছিলি, মিটিংয়ে অংশ না নেয়, আগে থেকে নিষেধ করা হয়েছে।’

    এদিকে দিবসটি ঘিরে কোন ধরনের অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানান অতিরিক্ত শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা ।

    রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরপাত্তা দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা কক্সবাজারের ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) মো. হেমায়েতুল ইসলাম বলেন, ‘করোনাকাল হওয়ায় ক্যাম্পে ২৫ আগস্ট উপলক্ষে মিটিং, মিছিলসহ সব ধরনের সভা না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • উখিয়ায় বন্দুকযুদ্ধে ৩ রোহিঙ্গা নিহত, তিন লাখ ইয়াবা উদ্ধার

    উখিয়ায় বন্দুকযুদ্ধে ৩ রোহিঙ্গা নিহত, তিন লাখ ইয়াবা উদ্ধার

    কক্সবাজারের উখিয়ায় ইয়াবা পাচার করতে গিয়ে বিজিবির সাথে বন্দুকযুদ্ধে তিন রোহিঙ্গা ইয়াবাকারবারী নিহত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) ভোররাতে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের তুলাতলী সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

    এসময় ঘটনাস্থল থেকে তিন লাখ ইয়াবা, দেশীয় তৈরি দুইটি পাইপগান ও ৫ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

    কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    নিহতরা হলেন, তুমব্রু রোহিঙ্গা শিবিরের মৃত জুলুর মলুকের ছেলে নুর আলম (৪৫), বালুখালী ক্যাম্পের মো. হামিদ (২৫) ও কুতুপালংয়ের নাজির হোসেন (২৫)।

    কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে গেলে তুলাতলী সীমান্তে বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় মাদক কারবারিরা। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে এসব অস্ত্র ও ইয়াবাসহ তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ২৫মে/ কক্সবাজারে ৪ রোহিঙ্গাসহ ২৫ জনের করোনা শনাক্ত

    ২৫মে/ কক্সবাজারে ৪ রোহিঙ্গাসহ ২৫ জনের করোনা শনাক্ত

    কক্সবাজারে ৪ রোহিঙ্গাসহ নতুন করে আরও ২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

    সোমবার (২৫ মে) কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ৯০ জনের স্যাম্পল টেস্ট করে ২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয় এবং ৬৯ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

    নতুন করোনা শনাক্তের তথ্য: কক্সবাজার সদর ৭, চকরিয়া ৮, কুতুবদিয়া ১, মহেশখালী ১, উখিয়া ২, বান্দরবান ২ এবং রোহিঙ্গা ৪ জন।

    কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারি অধ্যাপক (ট্রপিক্যাল মেডিসিন ও সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ) ডাঃ মোহাম্মদ শাহজাহান নাজির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    কক্সবাজার জেলায় ২৫মে পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৫২ জন। করোনা আক্রান্ত হওয়া রোহিঙ্গা শরনার্থী ২৯জনসহ মোট করোনা রোগী ৩৮১জন।

    এরমধ্যে চকরিয়া উপজেলায় ১৩১ জন, কক্সবাজার সদর উপজেলায় ১১৮ জন, পেকুয়া উপজেলায় ৩৯ জন, মহেশখালী উপজেলায় ২৯জন, উখিয়া উপজেলায় ৪৭ জন, টেকনাফ উপজেলায় ১৫জন, রামু উপজেলায় ৮জন, কুতুবদিয়া উপজেলায় ৩ জন এবং রোহিঙ্গা শরনার্থী ২৯জন।

    কক্সবাজার জেলায় ইতিমধ্যে একজন মহিলা সহ মৃত্যুবরণ করেছেন ৪জন করোনা রোগী। মোট ৬৪জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনা / কক্সবাজার ল্যাবে ২৪ ঘন্টায় আরো ৪৯ জন শনাক্ত

    করোনা / কক্সবাজার ল্যাবে ২৪ ঘন্টায় আরো ৪৯ জন শনাক্ত

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে রোববার (২৪মে) ১৮১জনের করেনা টেস্ট করা হয়। এর মধ্যে ৪৯ জনের রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ পাওয়া যায়।

    এর মধ্যে ৪৩জন কক্সবাজার জেলার নাগরিক। বাকী ৬ জনের মধ্যে রোহিঙ্গা শরনার্থী ৪জন এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ২জন। এছাড়া আগে আক্রান্ত হওয়া ১৯জন করোনা ফলোআপ রিপোর্টও ‘পজেটিভ’ পাওয়া যায়। বাকী ১১৪ জনের রিপোর্ট ‘নেগেটিভ।

    কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভাবে করোনা শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলার ১১জন, চকরিয়া উপজেলায় ১৮জন, পেকুয়া উপজেলায় ৭জন, উখিয়া উপজেলায় ৩জন ও টেকনাফ উপজেলায় ৪জন।

    তাছাড়া একইদিন ২য় দফায় রোহিঙ্গা শরনার্থীর স্যাম্পল টেস্ট করে ৪ জন রোহিঙ্গা করোনা রোগী সনাক্ত করা হয়। করোনা আক্রান্ত হওয়া রোগীর ফলোআপ টেস্টে রিপোর্টে চকরিয়া উপজেলায় ১২জন, উখিয়া উপজেলায় ৬ জন এবং রোহিঙ্গা শরনার্থী ১জনের রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ পাওয়া যায়।

    এনিয়ে কক্সবাজার জেলায় রোববার ২৪মে পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হলো ৩৩৩ জন। করোনা আক্রান্ত হওয়া রোহিঙ্গা শরনার্থী ২৫জন সহ মোট করোনা রোগী ৩৫৮ জন। এ ২৫জন রোহিঙ্গা শরনার্থী করোনা রোগী আজ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়। আজ রোববার শরনার্থী ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের সকাল-বিকাল ২দফে স্যাম্পল টেস্ট করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/ইসলাম মাহমুদ/আর এস পি

  • কক্সবাজার ল্যাবে ২৪ ঘন্টায় রোহিঙ্গাসহ ১৮ করোনা আক্রান্ত

    কক্সবাজার ল্যাবে ২৪ ঘন্টায় রোহিঙ্গাসহ ১৮ করোনা আক্রান্ত

    কক্সবাজার প্রতিনিধি:কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে আরও ১ রোহিঙ্গাসহ ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

    সোমবার (১৮ মে )১৮৮ জনের স্যাম্পল টেস্টের মধ্যে ১৮ জনের রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ পাওয়া গেছে।

    এদের মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলায় ৮জন, মহেশখালী উপজেলায় ১ জন, পেকুয়া উপজেলায় ১ জন, উখিয়া উপজেলায় ২জন, টেকনাফ উপজেলায় ১জন, পেকুয়া উপজেলায় ১জন, রোহিঙ্গা শরনার্থী ১জন এবং চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় ৫জন ।

    এছাড়া চকরিয়া উপজেলার ৩জন এবং রামু উপজেলায় ১জন পুরাতন করোনা রোগীর ফলোআপ রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ পাওয়া যায়।

    এনিয়ে কক্সবাজার জেলায় সোমবার পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হলো ২০২ জন।

    এতে চকরিয়া উপজেলায় ৬০ জন, কক্সবাজার সদর উপজেলায় ৫৮ জন, পেকুয়া উপজেলায় ২৫ জন, মহেশখালী উপজেলায় ১৩ জন, উখিয়া উপজেলায় ২৮ জন, টেকনাফ উপজেলায় ৮জন, রামু উপজেলায় ৪ জন, কুতুবদিয়া উপজেলায় ২ জন এবং রোহিঙ্গা শরনার্থী ৬জন।

    কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারি অধ্যাপক (ট্রপিক্যাল মেডিসিন ও সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ) ডাঃ মোহাম্মদ শাহজাহান নাজির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এ পর্যন্ত একজন রোগী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

    তিনি রামু উপজেলার কাউয়ার খোপ ইউনিয়নের পূর্ব কাউয়ার খোপ গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এর স্ত্রী।মোট ৩৬ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • কক্সবাজারে ১ রোহিঙ্গাসহ ২২ জনের করোনা শনাক্ত

    কক্সবাজারে ১ রোহিঙ্গাসহ ২২ জনের করোনা শনাক্ত

    কক্সবাজার প্রতিনিধি:কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে রোববার (১৭ মে) ১৮৪ জনের করোনার নমুনা টেস্ট করা হয়।
    এদের মধ্যে ২২ জনের রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ পাওয়া যায়। এছাড়া কক্সবাজার সদর উপজেলার ১জন পুরাতন করোনা রোগীর ফলোআপ রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ পাওয়া যায়। বাকী ১৬১ জনের রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ পাওয়া যায়।

    কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    শনাক্ত ২২জন মধ্যে কক্সবাজার সদরে ৯ জন, পেকুয়া ১ জন, উখিয়া ৪জন ও
    চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় ৬জন এবং  একজন রোহিঙ্গা শরনার্থী।

    এনিয়ে কক্সবাজার জেলায় রোববার ১৭মে পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ১৯০ জন।

    এদেরমধ্যে চকরিয়া উপজেলায় ৬০ জন, কক্সবাজার সদর উপজেলায় ৫০ জন, পেকুয়া উপজেলায় ২৪ জন, মহেশখালী উপজেলায় ১২ জন, উখিয়া উপজেলায় ২৬ জন, টেকনাফ উপজেলায় ৭ জন, রামু উপজেলায় ৪ জন, কুতুবদিয়া উপজেলায় ২ জন এবং রোহিঙ্গা শরনার্থী ৫জন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/মাহমুদ

  • ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে রোহিঙ্গাসহ করোনা আক্রান্ত ২৩

    ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে রোহিঙ্গাসহ করোনা আক্রান্ত ২৩

    কক্সবাজার প্রতিনিধি:কক্সবাজারে নতুন করে ১ রোহিঙ্গাসহ ২৩ জনের দেহে করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। এনিয়ে জেলায় ৪ রোহিঙ্গা সহ মোট ১৭৪ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হল।

    শনিবার (১৬ মে) এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. অনুপম বড়ুয়া।

    তিনি জানান, শুক্রবার কক্সবাজারের ৮টি উপজেলা, ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা এবং চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থেকে মোট ১৮৪ জন সন্দেহভাজন রোগীর করোনা নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে পরীক্ষা করার পর ২৪ জনকে পজেটিভ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন পুরাতন রোগীর ফলোআপ রিপোর্ট। অপর ২৩ জনের মধ্যে একজন রোহিঙ্গা রয়েছে। অন্যান্যদের মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলায় ৬ জন, চকরিয়া উপজেলায় ৮ জন, পেকুয়া উপজেলায় ১ জন এবং উখিয়া উপজেলায় ৭ জন রয়েছে।

    এনিয়ে কক্সবাজারে করোনায় শনাক্ত হলেন ৪ রোহিঙ্গা সহ ১৭৪ জন। যদিও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পরীক্ষা হওয়া আক্রান্তের সংখ্যা ১৮৯ জন। অন্যান্যরা কক্সবাজার জেলার নিকটবর্তী বান্দরবান জেলার বাসিন্দা এবং চট্টগ্রামের লোহাগাড়া ও সাতবানিয়ার বাসিন্দা।

    গত ৪৫ দিনে মোট ৩৭৩১ জন সন্দেহভাজন রোগীর করোনা ভাইরাস টেষ্ট করা হয় কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে স্থাপিত ল্যাবে। তারমধ্যে ১৮৯ জনের রিপোর্ট করোনা পজেটিভ পাওয়া গেল। এর মধ্যে মহেশখালীতে ১২ জন, টেকনাফে ৭ জন, উখিয়ায় ২১ জন, রামু ৩ জন, চকরিয়ায় ৬১ জন, কক্সবাজার সদরে ৪৩ জন, কুতুবদিয়ায় ১ জন এবং পেকুয়ায় ২২ জন রয়েছে। এর সাথে যোগ হল ৪ জন রোহিঙ্গা। অন্যান্যরা কক্সবাজার জেলার নিকটবর্তী বান্দরবান জেলার বাসিন্দা এবং চট্টগ্রামের লোহাগাড়া ও সাতবানিয়ার বাসিন্দা।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/মাহমুদ

  • কক্সবাজারে ২৪ ঘণ্টায় ৩ রোহিঙ্গাসহ ২১ জন করোনা আক্রান্ত

    কক্সবাজারে ২৪ ঘণ্টায় ৩ রোহিঙ্গাসহ ২১ জন করোনা আক্রান্ত

    কক্সবাজার প্রতিনিধি:কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে শুক্রবার (১৫ মে) ১৮৪ জনের করোনা টেস্ট হয়। এর মধ্যে ২১ জনের করোনা ‘পজেটিভ’ পাওয়া যায়।

    এছাড়া রামু’র ২ জন পুরাতন করোনা রোগীর ফলোআপ রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ পাওয়া যায়। বাকী ১৬১ জনের করোনা ‘নেগেটিভ’ পাওয়া যায়।

    কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    আক্রান্ত ২১জনের মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলায় ১ জন, চকরিয়া উপজেলায় ১৫ জন, পেকুয়া উপজেলায় ১ জন, কুতুবদিয়ায় ১ জন এবং রোহিঙ্গা শরনার্থী ৩ জন।

    এনিয়ে কক্সবাজার জেলায় এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হলো ১৫২ জন।

    এরমধ্যে চকরিয়া উপজেলায় ৫২ জন, কক্সবাজার সদর উপজেলায় ৩৬ জন, পেকুয়া উপজেলায় ২১ জন, মহেশখালী উপজেলায় ১২ জন, উখিয়া উপজেলায় ১৪ জন, টেকনাফ উপজেলায় ৭ জন, রামু উপজেলায় ৪ জন, কুতুবদিয়া উপজেলায় ১ জন এবং রোহিঙ্গা শরনার্থী ৪ জন। কুতুবদিয়া উপজেলায় আজই প্রথম ১ জনের করোনা ভাইরাসের জীবাণু শনাক্ত হলো।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত

    টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। কক্সবাজার প্রতিনিধি : টেকনাফে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত হয়েছে।

    আজ শুক্রবার (১ মে) ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে টেকনাফ উপজেলার জাদিমোরা ২৬নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শালবাগান এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটেছে।

    এসময় ১৫টি দেশীয় তৈরী লম্বা বন্দুক, ২৮ রাউন্ড গুলি ও দুইটি রাম দা উদ্ধার করা হয়েছে।

    নিহতরা হলেন, টেকনাফের ২৬ নং নয়াপাড়া ক্যাম্পের ডি-ব্লকের আব্দুল হামিদের ছেলে আবদুল হাকিম (৩৫) ও অজিউল্লাহ’র ছেলে রশীদ উল্লাহ (৩০)। র‌্যাবের দাবি নিহত দুইজনই স্থানীয় রোহিঙ্গা ডাকাত গ্রুপ রকি বাহিনীর সদস্য।

    কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) আবদুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব জানতে পারে যে, টেকনাফ উপজেলার জাদিমোরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২৬ শালবাগান ক্যাম্পের পাশ্ববর্তী পাহাড়ে একদল রোহিঙ্গা ডাকাত অবস্থান করছে।বন্দুকযুদ্ধে ২ রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত

    এ খবরের ভিত্তিতে র‌্যাব সদস্যরা অভিযানে গেলে ডাকাতদল র‌্যাবের উপর অতর্কিতভাবে গুলি ছোড়ে। এসময় র‌্যাবও পাল্টা গুলি করে। গোলাগুলির একপর্যায়ে ডাকাতদল পালিয়ে গেলে র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

    পরে তাদের রকি গ্রুপের সদস্যরা বলে সনাক্ত করে র‌্যাব। এসময় ১৫টি দেশীয় তৈরী বন্দুক, ২৮ রাউন্ড গুলি ও দুইটি ধারালো রাম দা উদ্ধার করা হয়।

    এদিকে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, র‌্যাব সুত্রে খবর পেয়ে দুইটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত জব্দ করেছে। মৃতদেহ দুটি ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

    এ ব্যাপারে টেকনাফ থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে’।

    ২৪ ঘণ্টা/ইসলাম/আর এস পি