২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজার জেলার উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে নতুন কোনো বিদেশি যেতে চাইলে তাকে ক্যাম্পে যাওয়ার আগে কমপক্ষে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
কোয়ারেইন্টানে থেকে আশংকামুক্ত হলেই রোহিঙ্গা প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে যেতে পারবেন। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে রোহিঙ্গা প্রশাসন এ বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে।
তবে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে আগে থেকেই কর্মরত বিদেশিরা এ নির্দেশনার আওতায় পড়বেন না। কারণ তারা আগেই থেকেই ক্যাম্পে কাজ করার কারণে তাদের স্বাস্থ্যগত অবস্থা এখানকার সুস্থ, স্বাভাবিক মানুষের মতোই। এমনটাই জানিয়েছেন, কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার- আরআরআরসি মো: মাহবুব আলম তালুকদার।
তিনি আরো জানান, ৩৪টি রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে ৪৭টি করোনাভাইরাস আইসোলেশন বেড রেডি করা আছে। প্রয়োজন হলে আরো ১৫০ শয্যার বেড প্রাথমিকভাবে প্রাক-প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। যেটা জরুরিভিত্তিতে ব্যবহার করা যাবে। তবে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো এ বিষয়ে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে কাজ করছে।
রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে বড়, ছোট, মধ্যম মিলিয়ে প্রায় ২০৭টি স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক কেন্দ্রে গত এক সপ্তাহ ধরে এ সেবা জোরদার করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রেগুলোতে থার্মাল স্ক্যানারসহ কোনো পরীক্ষা সামগ্রীর অপ্রতুলতা নেই। আধুনিক সব পরীক্ষা সামগ্রী রয়েছে।
জাতিসঙ্ঘ উদ্বাস্তু বিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর) এর নির্মিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে যে খালি ভবনগুলো রয়েছে, জরুরি অবস্থায় প্রয়োজনে সেগুলোও ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। রোহিঙ্গা প্রশাসন থেকে এ বিষয়ে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে। উচ্চ পর্যায়ের হেলথ মনিটরিং টিম এসব ব্যবস্থা ও করণীয় বিষয়ে নিয়মিত মনিটরিং করছে।
আরআরআরসি মো: মাহবুব আলম তালুকদার আরো বলেন, দেশের স্বাস্থ্য বিভাগীয় ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনাগুলোর প্রেরিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত লিফলেট, হ্যান্ডবিল ইত্যাদি বার্মিজ ভাষায় অনুবাদ করে ক্যাম্পে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের মাঝে বিলি করা হচ্ছে। যাতে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের সেগুলো বুঝতে সুবিধা হয়।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আতংকিত না হয়ে তাদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে ক্যাম্পে প্রচুর কাজ করা হচ্ছে। সীমান্ত দিয়ে যাতে মিয়ানমারের কোনো নাগরিক সহজে এদেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে বিষয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া, উখিয়া-টেকনাফে অবস্থিত রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প এলাকার চলমান লার্নিং সেন্টার, মাদরাসা, মক্তব গত ১৭ মার্চ মঙ্গলবার থেকে ৩১ মার্চ মঙ্গলবার পর্যন্ত সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।