Tag: রোহিঙ্গা

  • রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রবেশের আগে বিদেশিদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে : আরআরআরসি

    রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রবেশের আগে বিদেশিদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে : আরআরআরসি

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজার জেলার উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে নতুন কোনো বিদেশি যেতে চাইলে তাকে ক্যাম্পে যাওয়ার আগে কমপক্ষে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

    কোয়ারেইন্টানে থেকে আশংকামুক্ত হলেই রোহিঙ্গা প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে যেতে পারবেন। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে রোহিঙ্গা প্রশাসন এ বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে।

    তবে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে আগে থেকেই কর্মরত বিদেশিরা এ নির্দেশনার আওতায় পড়বেন না। কারণ তারা আগেই থেকেই ক্যাম্পে কাজ করার কারণে তাদের স্বাস্থ্যগত অবস্থা এখানকার সুস্থ, স্বাভাবিক মানুষের মতোই। এমনটাই জানিয়েছেন, কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার- আরআরআরসি মো: মাহবুব আলম তালুকদার।

    তিনি আরো জানান, ৩৪টি রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে ৪৭টি করোনাভাইরাস আইসোলেশন বেড রেডি করা আছে। প্রয়োজন হলে আরো ১৫০ শয্যার বেড প্রাথমিকভাবে প্রাক-প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। যেটা জরুরিভিত্তিতে ব্যবহার করা যাবে। তবে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো এ বিষয়ে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে কাজ করছে।

    রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে বড়, ছোট, মধ্যম মিলিয়ে প্রায় ২০৭টি স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক কেন্দ্রে গত এক সপ্তাহ ধরে এ সেবা জোরদার করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রেগুলোতে থার্মাল স্ক্যানারসহ কোনো পরীক্ষা সামগ্রীর অপ্রতুলতা নেই। আধুনিক সব পরীক্ষা সামগ্রী রয়েছে।

    জাতিসঙ্ঘ উদ্বাস্তু বিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর) এর নির্মিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে যে খালি ভবনগুলো রয়েছে, জরুরি অবস্থায় প্রয়োজনে সেগুলোও ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। রোহিঙ্গা প্রশাসন থেকে এ বিষয়ে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে। উচ্চ পর্যায়ের হেলথ মনিটরিং টিম এসব ব্যবস্থা ও করণীয় বিষয়ে নিয়মিত মনিটরিং করছে।

    আরআরআরসি মো: মাহবুব আলম তালুকদার আরো বলেন, দেশের স্বাস্থ্য বিভাগীয় ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনাগুলোর প্রেরিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত লিফলেট, হ্যান্ডবিল ইত্যাদি বার্মিজ ভাষায় অনুবাদ করে ক্যাম্পে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের মাঝে বিলি করা হচ্ছে। যাতে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের সেগুলো বুঝতে সুবিধা হয়।

    রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আতংকিত না হয়ে তাদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে ক্যাম্পে প্রচুর কাজ করা হচ্ছে। সীমান্ত দিয়ে যাতে মিয়ানমারের কোনো নাগরিক সহজে এদেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে বিষয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

    এছাড়া, উখিয়া-টেকনাফে অবস্থিত রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প এলাকার চলমান লার্নিং সেন্টার, মাদরাসা, মক্তব গত ১৭ মার্চ মঙ্গলবার থেকে ৩১ মার্চ মঙ্গলবার পর্যন্ত সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

  • মালয়েশিয়াগামী ৩৭ রোহিঙ্গা উদ্ধার,৩ দালাল আটক

    মালয়েশিয়াগামী ৩৭ রোহিঙ্গা উদ্ধার,৩ দালাল আটক

    কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ কক্সবাজারের রেজু খাল ব্রিজের রামু অংশের সমুদ্র উপকূল দিয়ে মালয়েশিয়া পাচারকালে ৩৭ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার এবং ৩ দালালকে আটক করেছে পুলিশ।

    সোমবার (২ মার্চ) ভোর রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের রেজু খাল ব্রিজের রামু অংশের সমুদ্র উপকূলে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই এসএম আতিক উল্লাহ। তবে আটক দালালদের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।

    পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৪ জন শিশু, ১৭ জন নারী ও ১৬ জন রয়েছে। এসব রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা।

    এসআই আতিক উল্লাহ বলেন, ভোর রাতে রেজু খালের রামু অংশের সমুদ্র উপকূল দিয়ে মালয়েশিয়া পাচারের জন্য কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা জড়ো করা হয়েছে খবরে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে কয়েকজন দালাল পালিয়ে গেলেও ৩ জনকে আটক করা সম্ভব হয়।

    তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া পাচারের জন্য জড়ো করা নারী ও শিশুসহ ৩৭ জনকে উদ্ধার করা হয়। এসব রোহিঙ্গারা উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা।”

    আটক দালালদের বিরুদ্ধে রামু থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান এসআই আতিক উল্লাহ।

  • টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে রোহিঙ্গা নিহত, ১ লক্ষ ৩০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

    টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে রোহিঙ্গা নিহত, ১ লক্ষ ৩০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

    কক্সবাজার জেলার টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইয়াবা কারবারি রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছে।

    এসময় ঘটনাস্থল থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক ও এক রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।

    শুক্রবার ২৪ জানুয়ারি ভোরে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোড়া নাফনদী সংলগ্ন এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।

    টেকনাফের ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ান অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ফয়সাল হাসান খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, শুক্রবার ভোরের দিকে দমদমিয়া বিওপি বিজিবির একটি বিশেষ টিম টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোড়া মসজিদের পূর্ব পাশের কেওড়া বাগানের নিকট নাফনদী এলাকায় অবস্থান নেয়। এসময় কয়েকজন লোককে বস্তা মাথায় নিয়ে হেঁটে যেতে দেখে চ্যালেঞ্জ করলে সশস্ত্র ইয়াবা কারবারিরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে এসময় পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে তারা গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়। পরে ওই এলাকা থেকে ইয়াবা ও অস্ত্রসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অজ্ঞাতনামা একজনকে উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তি নিজেকে একজন রোহিঙ্গা বলে পরিচয় দিয়েছে। সে উখিয়ার থ্যাইংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করতো বলে জানিয়েছে। তবে তার নাম ঠিকানা বিস্তারিত জানা যায়নি।

    নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানিয়েছেন বিজিবি কর্মকর্তা।

  • মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে আইসিজে’র সিদ্ধান্ত দেয়ার এখতিয়ার রয়েছে

    মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে আইসিজে’র সিদ্ধান্ত দেয়ার এখতিয়ার রয়েছে

    জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত বলেছে, রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর মিয়ানমারের গণহত্যা চালানোর অভিযোগ বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া প্রশ্নে তাদের সিদ্ধান্ত দেয়ার এখতিয়ার রয়েছে।

    মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জরুরি পদক্ষেপ নিতে গাম্বিয়ার করা আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)’র প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আবদুলকাভি আহমেদ ইউসুফ বলেছেন, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না, সেই বিচারের এখতিয়ার আইসিজের রয়েছে।

    একইসঙ্গে আইসিজে রোহিঙ্গাদের ওপর আরো সহিংসতা বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নেয়াকে যুক্তিযুক্ত মনে করছে বলেও প্রেসিডেন্টের ঘোষণায় বলা হয়েছে।

    মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দুই বছর আগে রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনী বর্বর নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। জাতিসংঘ একে জাতিগত নিধন হিসেবে উল্লেখ করে।

    এই বর্বরতার মধ্যদিয়ে ১৯৮৪ সালের আন্তর্জাতিক গণহত্যা কনভেনশন ভঙ্গ করার অভিযোগে পশ্চিম আফ্রিকার ছোট্ট দেশ গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের এই সর্বোচ্চ আদালতে মামলা করে ।

    নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের পিস প্যালেসে গত ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর ওই মামলার ওপর শুনানি হয়। তাতে গাম্বিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির বিচার বিষয়ক মন্ত্রী আবুবকর তামবাদু। অন্যদিকে মিয়ানমারের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চি।

  • সমুদ্রপথে মালয়েশিয়াগামী ২৩ রোহিঙ্গা উদ্ধার

    সমুদ্রপথে মালয়েশিয়াগামী ২৩ রোহিঙ্গা উদ্ধার

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ : কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রাক্বালে ২৩জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় কোনো দালালকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

    সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালীয়াপাড়া সমুদ্র সৈকত এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোহাম্মদ লিয়াকত আলী।

    তিনি বলেন, সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে রোহিঙ্গা নাগরিকদের বাহির করে আনেন দালাল চক্রের সদস্যরা। রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বাহারছড়ার নোয়াখালীয়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৮ নারী , ১ শিশু ও ৩ পুরুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

    পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ লিয়াকত আলী বলেন, সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে এক শ্রেণীর দালাল চক্রের সদস্যরা তাদেরকে নোয়াখালীয়াপাড়া এলাকায় এনে জড়ো করেন এবং রাতে তাদেরকে সমুদ্রে অবস্থানরত বড় ট্রলারে তুলে দেওয়ার কথা ছিল। তার আগে তারা পুলিশে হাতে ধরা পড়েছেন। উদ্ধার করা রোহিঙ্গা নাগরিকদের যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এ কাজে কারা জড়িত ছিলেন সেই তথ্য বাহির করার চেষ্টা চলছে।

    আজ (মঙ্গলবার) তাদের স্ব স্ব রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ফেরত পাঠানো হবে। তবে এ ঘটনায় কোনো দালাল চক্রের কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

  • টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ রোহিঙ্গা নিহত:অস্ত্র,গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার

    টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ রোহিঙ্গা নিহত:অস্ত্র,গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার

    টেকনাফ প্রতিনিধি: কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের টেকনাফ থানাধীন শামলাপুর এলাকায় র‍্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন রোহিঙ্গা মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে।

    ১৪ জানুয়ারি দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

    জানা যায়, র‌্যাব -১৫ (সিপিসি-২) টেকনাফ ক্যাম্পের একটি চৌকষ আভিযানিক দল মাদকের চালান খালাসের সংবাদ পেয়ে অভিযানে গেলে মাদক কারবারী চক্রের স্বশস্ত্র সদস্যরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলিবর্ষণ করার কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি শান্ত হলে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে অস্ত্র, মাদক এবং ইয়াবাসহ গুলিবিদ্ধ দুইজনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।

    সেখানে তাদের চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যায়।

    তাদের পকেটে থাকা পরিচয়পত্রের সূত্রধরে জানাযায়, নিহতরা কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের হোছাইন শরীফের পুত্র আবুল হাশিম (৩০) এবং শামসুল আলমের পুত্র মোঃ আইয়ুব (২৪) বলে সনাক্ত করা হয়। মৃতদেহ ২টি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

    র‌্যাবের পক্ষথেকে সত্যতা নিশ্চিত করে ল একটি বার্তা প্রেরণ করা হয়।

  • সাতকানিয়ায় গাড়ি থেকে পড়ে রোহিঙ্গা নাগরিকের মৃত্যু

    সাতকানিয়ায় গাড়ি থেকে পড়ে রোহিঙ্গা নাগরিকের মৃত্যু

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়া এলাকায় মাহেন্দ্র গাড়ি থেকে পড়ে এক রোহিঙ্গা নাগরিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

    গতকাল ১২ জানুয়ারি রবিবার রাতে সাতকানিয়ার কেরানিহাট এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে নিহত হয়েছেন নুরুল আমিন (৩৫)। তিনি কক্সবাজারের টেকনাফের জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আবদুল গফুরের ছেলে বলে জানা গেছে।

    তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার। তিনি বলেন, রবিবার রাতে মাহেন্দ্র গাড়ির পেছনে দাড়িয়ে এক নিকট আত্মীয়ের সাথে দেখা করতে যাচ্ছিলেন।

    হঠাৎ অসুস্থ হয়ে সে গাড়ি থেকে নিচে পড়ে যায়। রাত একটার সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

  • রোহিঙ্গা আশ্রয়: বিপন্ন উখিয়া-টেকনাফের জীব-বৈচিত্র্য

    রোহিঙ্গা আশ্রয়: বিপন্ন উখিয়া-টেকনাফের জীব-বৈচিত্র্য

    ইসলাম মাহমুদ, কক্সবাজার প্রতিনিধি : বন কেটে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয়স্থল নির্মাণের কারণে বনাঞ্চলে দিন দিন কমছে প্রাণীর বিচরণ। হারিয়ে যাচ্ছে বানর, বনমোরগ, বনরুইসহ নানা প্রাণী। খাদ্য ও আবাস সংকটে বারবার লোকালয়ে চলে আসছে হাতি।

    আর রোহিঙ্গাদের বসতি স্থাপন ও জ্বালানির জন্য প্রতিদিনই উজাড় হচ্ছে একরের পর একর বনভূমি। ধ্বংস হচ্ছে কৃষি জমি ও বড় বড় পাহাড়। নানা সমস্যার মুখে পড়ছে স্থানীয়রা।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারের যে পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে তা কখনোই পূরণ করার সক্ষমতা বাংলাদেশের নেই। এতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ার পাশাপাশি পর্যটন সম্ভাবনাও কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদরা। মিয়ানমার সেনা বাহিনীর নির্যাতনে পালিয়ে মানবিক কারণে আশ্রয় পাওয়া ১১ লাখ রোহিঙ্গা এখন সবদিক থেকে বাংলাদেশের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গাদের কারণে দেশ সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি বিলুপ্ত হচ্ছে বনাঞ্চলও।

    সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, রোহিঙ্গারা আসার পর কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে প্রায় ৮ হাজার একর বনভূমি ধ্বংস হয়েছে। এতে বনাঞ্চল ও জীববৈচিত্র্যের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। প্রাণীবিদরা বলছেন, শুধু বনভূমিই ধ্বংস নয় এতে হারিয়ে যাচ্ছে নানা প্রজাতির প্রাণী।

    বাংলাদেশ প্রাণী বিজ্ঞান সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. গুলশান আরা লতিফা বলেন, “উখিয়া-টেকনাফের বনাঞ্চলে বানর, ক্যামেলিয়ান, বনরুই, সজারু, বনগাই, ময়ূর, বনমোরগসহ নানা প্রজাতির প্রাণী অনেক চোখের বাইরে চলে গেছে। যা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার কারণে এলাকায় সেসব বন্যপ্রাণী এখন বিলুপ্তির পথে।”

    অতিরিক্ত মানুষের চাপে কক্সবাজার জেলার নদী ও খালে যেমন দূষণ বাড়ছে, তেমনি নষ্ট হচ্ছে সমুদ্রের পরিবেশও। এতে এসডিজি বাস্তবায়ন এবং সমুদ্র অর্থনীতিতে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়বে বলে মনে করেন সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদ।

    তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে প্রচুর ভূমি ধস ও ভূমি ক্ষয় হয়েছে। এটি হচ্ছে মাটিতে কোনো উদ্ভিদ না থাকার কারণে। উপকূলীয় বনাঞ্চল না থাকার কারণে বিশেষ করে এখানে যে অর্গানিক মেটার তৈরি হয় সেটা কিন্তু মাছের খাদ্য। এটি কিন্তু ধীরে ধীরে অনেক নষ্ট হয়ে গেছে। অদূর অবিষ্যতে ফিরে আসার কোনো সম্ভবনা নেই।

    কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ। যেখানে রাস্তার দু’পাশে দেখা যেতো বড় বড় পাহাড়ে ছোট-বড় গাছ-গাছালি আর সবুজে ঘেরা ফসলি জমি। কিন্তু গত দু’বছর ধরে আর সে দৃশ্য চোখে পড়েনা। এখন শুধু তাকালেই দেখা যায় ক্ষতচিহ্ন আর রোহিঙ্গাদের বসতি। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে গাছ-গাছালি, পাহাড় ও ফসলি জমি ধ্বংস করে গড়ে তোলা হয়েছে ইচ্ছামত বসতি ও স্থাপনা। এতে বিপন্ন উখিয়া-টেকনাফের জীব-বৈচিত্র্যও।

    এড. আবুহেনা মোস্তফা কামাল বলেন, “দিন দিন রোহিঙ্গার সংখ্যাও বাড়ছে। এতে পরিবেশের উপর চাপও পড়ছে। ফলে এ অবস্থা চলতে থাকলে প্রাকৃতিক দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হবে।

    পরিবেশ কর্মী ইব্রাহীম খলিল মামুন বলেন, “রোহিঙ্গারা রান্না জন্য বন উজাড় করছে। এছাড়া ১১ লাখ রোহিঙ্গার পয়ঃবর্জ্যে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় হচ্ছে। তাদের অবস্থান দীর্ঘস্থায়ী হলে স্থানীয়দের বসবাস করা কঠিন হবে।

    এদিকে সম্প্রতি উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এসময় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প স্থাপনের কারণে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি পুরোপুরি পুষিয়ে নেয়া কোনভাবে সম্ভব নয়। তবে যতটুকু সম্ভব এই ক্ষতি পরিমাণ, ধারণ নির্ধারণে কাজ শুরু হয়েছে। তা পুষিয়ে নিতে কি করা দরকার বিশেষজ্ঞরা কাজ করবেন।

    বন বিভাগের হিসাবে, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা নির্যাতিত রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে উখিয়া ও টেকনাফের সাড়ে ছয় হাজার একর বনভূমিতে। তবে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর দাবি, এখন দশ হাজার একর বনভূমি ছাড়িয়েছে।

  • দুই লাখ ইয়াবাসহ আটক মিয়ানমারের নাগরিক

    দুই লাখ ইয়াবাসহ আটক মিয়ানমারের নাগরিক

    কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা থেকে দুই লাখ পিস ইয়াবাসহ আবুল কালাম (২০) নামে এক মিয়ানমারের নাগরিককে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১৫)।

    আটককৃত আবুল কালাম মিয়ানমারের মংডু মাংগালাপাড়া এলাকার মৃত মো. ইউসুফের ছেলে।

    রবিবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মিয়ানমার থেকে আসার সময় টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা থেকে ইয়াবাসহ তাকে আটক করা হয়।

    বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ মিয়ানমারের নাগরিককে আটকের সত্যতা স্বীকার করে র‌্যাব-১৫, সিপিসি-১-এর টেকনাফ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মির্জা শাহেদ মাহাতাব জানান, রবিবার টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা সীমান্ত দিয়ে ইয়াবার চালান আসার খবরে সেখানে অভিযান চালায় র‌্যাবের একটি বিশেষ দল। এ সময় সীমান্ত অতিক্রম করে জাদিমুরা ডাটা সেন্টার পার হয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রবেশের পূবেই দুই লাখ পিস ইয়াবাসহ ওই যুবককে আটক করা হয়। একই সময়ে ঘটনাস্থল থেকে কৌশলে পালিয়ে যায় আরও কয়েকজন পাচারকারী।

    উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইয়াবাসহ আটককৃত মিয়ানমারের নাগরিককে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করে তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে পৃথক মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

  • মানবপাচার : সোনাদিয়া থেকে ২৫ রোহিঙ্গা উদ্ধার

    মানবপাচার : সোনাদিয়া থেকে ২৫ রোহিঙ্গা উদ্ধার

    কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় দুই শিশুসহ ২৫ রোহিঙ্গা নাগরিককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের সোনাদিয়া দ্বীপের মগচর থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে একটি ফিশিং বোটে করে ৪০ রোহিঙ্গা সোনাদিয়া দ্বীপে ভেড়ে। তাদের নামিয়ে দিয়ে পাচারকারীরা ওই বোটে পালিয়ে যায়। সকাল হলে স্থানীয় বাসিন্দারা রোহিঙ্গাদের দেখে স্থানীয় থানার পুলিশকে খবর দেন।

    মহেশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ বাবুল ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, খবর পেয়ে রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে একদল পুলিশ পাঠানো হয়। পরে বেলা ১১টার দিকে সোনাদিয়া দ্বীপের মগচর এলাকা থেকে দুই শিশুসহ ২৫ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়েছে। কী কারণে তারা এখানে এসেছে, সে বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

    ২৫ জন রোহিঙ্গাদের মধ্যে ২টি শিশু, ১১ জন পুরুষ ও ১২ জন নারী রয়েছে। তারা সবাই উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির থেকে পালিয়ে স্থানীয় দালাল চক্রে মাধ্যমে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তাই এ ঘটনার পেছনে কারা জড়িত, তার তদন্ত চলছে।

  • রোহিঙ্গাদের এনআইডি,চট্টগ্রামে ইসির আরও এক কর্মী গ্রেফতার

    রোহিঙ্গাদের এনআইডি,চট্টগ্রামে ইসির আরও এক কর্মী গ্রেফতার

    জালিয়াতির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার অভিযোগে নাজিম উদ্দিন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। গ্রেফতারকৃত নাজিম চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মচারী। এ নিয়ে এনআইডি কেলেঙ্কারির ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের ৪ কর্মচারীসহ মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    আজ সোমবার (১৮ নভেম্বর) বেলা ২টার দিকে জেলা নির্বাচন অফিস থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজেশ বড়ুয়া।

    তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি সংক্রান্ত মামলায় আগে গ্রেফতার হওয়া নির্বাচন কমিশনের ৪ কর্মচারীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নাজিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।আগামীকাল (মঙ্গলবার) তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

  • কক্সবাজারে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে জবাই করে হত্যা

    কক্সবাজারে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে জবাই করে হত্যা

    কক্সবাজারের দুর্ধর্ষ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নুর জোহার (২৫)কে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে।

    শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সাহিত্যিকা পল্লী সমিতি বাজার সংলগ্ন ব্রিজের নিচে তার জবাইকৃত লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা।

    এই খবর স্থানীয় বাসিন্দা রাসেল উদ্দিন মুঠোফোনে সিবিএনকে জানিয়েছেন।
    খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।

    রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নুর জোহারের লাশ উদ্ধার করে মর্গে নিয়ে যাচ্ছে সদর থানা পুলিশ। –ছবি রাসেল উদ্দিন।

    সন্ত্রাসী নুর জোহার ওই এলাকার মৃত হোসেন আহমদের ছেলে। তাকে কি কারণে, কারা হত্যা করেছে, তা জানা যায়নি।

    তবে এলাকাবাসীর ধারণা, প্রতিপক্ষরা ঘটনাটি ঘটতে পারে।

    পুলিশের তালিকাভুক্ত এই সন্ত্রাসীর মৃত্যুর সংবাদে স্থানীয়রা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।

    কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ খাইরুজ্জামান ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নেবেন বলে জানিয়েছেন।