Tag: লকডাউন

  • ঈদের পর ১৪ দিন কঠোর লকডাউন : জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

    ঈদের পর ১৪ দিন কঠোর লকডাউন : জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

    জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন বলেছেন, দেশের অর্থনীতির কথা চিন্তা করে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে লকডাউন শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোরবানিকে ঘিরে আমাদের একটি বিশাল অর্থনীতি রয়েছে। অনেকে গরু প্রতিপালন করেছে। সবকিছু বিবেচনা করে আমাদের চলাফেরার ওপর বিধিনিষেধ শিথিল করতে হয়েছে। তবে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

    তিনি বলেন, ঈদের পর যে লকডাউন আসছে তা কঠোর থেকে কঠোরতর হবে। ২৩ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউনের আওতায় আসবে গোটা দেশ। সেসময় বন্ধ থাকবে গার্মেন্টস, শিল্প-কলকারখানাসহ সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান।

    শনিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির সদর দফতরে অনুষ্ঠিত বিজিবির ৯৬তম রিক্রুট ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

    জাতীয় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণে পরামর্শ কমিটির আশঙ্কা, লকডাউন শিথিলের কারণে দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে এ বিষয়টি প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি ও মুসলমানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের কথা চিন্তা করে সরকার লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

    প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ আরও বলেন, দেশের সবজায়গায় সমানভাবে উন্নয়ন করছে বর্তমান সরকার। সমতার ভিত্তিতে উন্নয়নের সমবণ্টন করা হচ্ছে। কোনো এলাকা এখন আর অবহেলিত নয়। সবখানেই উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।

    চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর অঞ্চলের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকা চুয়াডাঙ্গার যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হচ্ছে। এ অঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন রয়েছে একটি বিমান বন্দরের। সেই স্বপ্নও পূরণ হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুষম উন্নয়নে বিশ্বাসী। আর তাই প্রতিটি জেলাতে সমানভাবে উন্নয়ন কাজ হবে।

    অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বিজিবির সক্ষমতার প্রশংসা করে বলেন, অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বিজিবি এখন অনেক শক্তিশালী। এ বাহিনীকে আরও আধুনিকভাবে গড়ে তুলতেও সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তিনি চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি দফতরে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন। সেইসঙ্গে মেহেরপুর জেলায় বিজিবির নতুন একটি ব্যাটালিয়ন সংযুক্ত করা হবেও উল্লেখ করেন।

    কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, বিজিবির যশোর রিজিওয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মশিউর রহমান, চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান পিএসসি, জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মুনছুর আলম খান, মেহেরপুর পুলিশ সুপার রাফিউল আলমসহ বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

  • সোমবার থেকে সীমিত, বৃহস্পতিবার থেকে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’

    করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে আগামী সোমবার (২৮ জুন) থেকে সীমিত পরিসরে ‘লকডাউন’ শুরু হবে। আর সাত দিনের ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হবে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে।

    তবে সোমবার থেকে গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাবে। তবে সীমিত পরিসরে কিছু প্রতিষ্ঠান বা ক্ষেত্র খোলা থাকবে। এ ছাড়া শিল্প কলকারখানা লকডাউনের আওতার বাইরেই থাকতে পারে বলে জানা গেছে। এই সময়ে রপ্তানিমুখী কার্যক্রম সচল রাখার স্বার্থে ব্যাংকিং সেবাও খোলা রাখা হতে পারে।

    শনিবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    সভা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হলেও অর্থবছরের শেষ সময় হওয়ায় সেই সিদ্ধান্ত কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে সোমবার থেকে গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাবে। শপিংমল, হোটেল-রেস্তোরাঁসহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে সীমিত পরিসরে লকডাউন শুরু হবে। এই সময়ে কিছু বিষয় খোলা থাকবে। ১ জুলাই থেকে শুরু হবে সাত দিনের সর্বাত্মক লকডাউন।এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য রোববার জানানো হবে।

    এর আগে শুক্রবার রাতে সরকারের এক তথ্যবিবরণীতে সোমবার থেকে কঠোর লকডাউনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এতে বলা হয়, জরুরি পণ্যবাহী ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। শুধু অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসাসংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত যানবাহন চলাচল করতে পারবে। জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবে না। তবে গণমাধ্যম এর আওতামুক্ত থাকবে।

    ওইদিন রাতে তথ্যবিবরণী দেওয়ার পাশাপাশি একই বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, আমরা শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন দেব। আগামী ২৮ তারিখ থেকে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ দেব। এরপর প্রয়োজন হলে সেটা আমরা বাড়াব। এটা কঠোরভাবে সবাই যেন প্রতিপালন করে সেজন্য বেশি কড়াকড়ি থাকবে। এটি নিশ্চিতে মাঠে পুলিশ-বিজিবি থাকবে। এমনকি সেনাবাহিনীও থাকতে পারে। মানুষ অপ্রয়োজনে বাইরে আসবে না, অফিস-আদালত বন্ধ থাকবে। তবে বাজেটসংক্রান্ত কার্যক্রম এনবিআর বা পেমেন্ট সম্পৃক্ত অফিসগুলো খোলা থাকবে। জরুরি পরিষেবা ইন্টারনেট, গণমাধ্যম ইত্যাদি খোলা থাকবে।

  • লকডাউনে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী-বিজিবি

    লকডাউনে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী-বিজিবি

    করোনা সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরতে আগামী সোমবার (২৮ জুন) থেকে কঠোর লকডাউন (বিধিনিষেধ) আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সময় সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

    শুক্রবার (২৫ জুন) রাতে তিনি বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আগামীকালকে প্রজ্ঞাপন দেওয়া হবে। আমাদের তথ্য অফিসার সেটি জানিয়েছেন। আগামী এক সপ্তাহের জন্য আমরা কঠোর বিধিনিষেধ দেব, প্রয়োজন হলে আমরা সেটি আরও বাড়াব।

    তিনি বলেন, এটি যাতে কঠোরভাবে প্রতিপালন হয়, সেজন্য বেশ কড়াকড়ি থাকবে। পুলিশ এবং বিজিবি থাকবে। এক সপ্তাহের জন্য সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, থাকার সম্ভাবনা আছে।

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানুষ অপ্রয়োজনে বাইরে আসবে না। তবে বাজেটের যে বিষয়টি আছে, এ সংক্রান্ত যে কার্যক্রমগুলো আছে, এনবিআর এবং ব্যাংক সম্পর্কিত যে বিষয়গুলো আছে, সেগুলো সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে। তাছাড়া সবই বন্ধ থাকবে।

    তিনি বলেন, জরুরি পরিষেবা ব্যতীত সবই বন্ধ থাকবে। আমরা কড়া লকডাউন দিতে চাই, বলেন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

    এর আগে সন্ধ্যায়, তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আগামী সোমবার (২৮ জুন) থেকে পরবর্তী সাত দিন সারাদেশে কঠোর লকডাউন জারি থাকবে।

    তিনি বলেন, লকডাউনে জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস, দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ থাকবে। জরুরি পণ্যবাহী যান ব্যতীত সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে শুধু যানবাহন চলাচল করতে পারবে।

    জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবেন না। গণমাধ্যম লকডাউনের আওতা বহির্ভূত থাকবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত আদেশ দিয়ে শনিবার (২৬ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলেও জানান তিনি।

  • সোমবার থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউন

    করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে আগামী সোমবার (২৮ জুন) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারাদেশে কঠোর লকডাউন জারি থাকবে।

    শুক্রবার (২৫ জুন) তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, লকডাউনে জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস, দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ থাকবে। জরুরি পণ্যবাহী যান ব্যতীত সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে শুধু যানবাহন চলাচল করতে পারবে।

    জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবেন না। গণমাধ্যম লকডাউনের আওতা বহির্ভূত থাকবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত আদেশ দিয়ে শনিবার (২৬ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলেও জানান তিনি।

    এসআরএইচ/আরএইচ

  • ৫ মে পর্যন্ত বিধিনিষেধ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি

    ৫ মে পর্যন্ত বিধিনিষেধ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি

    চলমান বিধিনিষেধ ৫ মে (বুধবার) মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বুধবার (২৮ এপ্রিল) এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

    প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাজনিত রোগ সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় কয়েকটি শর্ত সংযুক্ত করে আগামী ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে ৫ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপের সময় বর্ধিত করা হলো।

    ১. স্থল, নৌ ও বিমানযোগে যেকোনো ব্যক্তি ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের (পণ্য পরিবহন ব্যতীত) ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে শুধুমাত্র ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ বাংলাদেশিরা ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের অনুমতি বা অনাপত্তি ছাড়পত্র গ্রহণ সাপেক্ষে বিশেষ বিবেচনায় বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রবেশকারীদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন সংক্রান্ত বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রণীত বিধিনিষেধ কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

    ২. দোকানপাট ও শপিংমলগুলো সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে খোলা রাখা যাবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শ্রম মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট বাজার বা সংস্থার ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    ৩. আসন্ন ঈদুল ফিতরের নামাজের বিষয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।

    ৪. মধ্যপ্রাচ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও চীন থেকে আগত যাত্রীদের ভ্যাকসিন গ্রহণের সনদসহ নন-কোভিড-১৯ সনদধারী যাত্রীরা নিজ বাড়িতে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। সেক্ষেত্রে তাদেরকে সংশ্লিষ্ট থানাকে আগমন ও কোয়ারেন্টাইনের বিষয়ে অবহিত করতে হবে।

    ৫. উল্লেখিত দেশ থেকে আগত শুধুমাত্র নন-কোভিড-১৯ সনদধারীরা সরকার নির্ধারিত কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থায় থাকবেন। তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে চিকিৎসকরা তাদের পরীক্ষা করে সম্মতি প্রদান করলে তারা স্ব স্ব বাড়িতে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। তবে সেক্ষেত্রে তাদের স্ব-স্ব থানাকে অবহিত করতে হবে।

    ৬. অন্যান্য দেশ থেকে আগত যাত্রীরা সরকার নির্ধারিত হোটেলে নিজ ব্যয়ে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন।

    প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, উল্লেখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

    এর আগে ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় গত ২৫ এপ্রিল (রোববার) দেশটির সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ২৬ এপ্রিল (সোমবার) থেকে পরবর্তী ১৪ দিনের জন্য দেশটির সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ থাকবে।

    গত সোমবার (২৬ এপ্রিল) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘ভারতের সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। এটা আমাদের দেশেও ছড়িয়ে যেতে পারে। সেজন্য জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো, সার্বিক করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে যে অবস্থাটা আছে সেটি আরও এক সপ্তাহ কন্টিনিউ করা। না হলে এটা আরও ভয়াবহ অবস্থা ধারণ করতে পারে। সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেজন্য বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।’

    তিনি আরও বলেন, রাত ৮টা পর্যন্ত শপিংমল খোলা থাকবে। মানুষকে অবশ্যই কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শপিংমলে যেতে হবে। তবে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে।

    এছাড়া করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে নিকটস্থ মসজিদে আদায়ের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করাসহ ১২টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

    করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় প্রথমবার ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বিধিনিষেধ দেওয়া হলেও তা খুব একটা কার্যকর হয়নি। পরে ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ। এটি বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। যদিও শপিং মল খোলাসহ বেশকিছু বিষয়ে বিধিনিষেধের শর্ত শিথিল করেছে সরকার।

  • লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি

    লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি

    দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে আগামী এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনের ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। আজ রবিবার (৪ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

    প্রজ্ঞাপনে দেওয়া নির্দেশনাগুলো হলো-

    ১. সব প্রকার গণপরিবহন সড়ক, রেল ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন উৎপাদন ব্যবস্থার জরুরি সেবা দানের ক্ষেত্রে এ আদেশ প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া বিদেশগামী ও বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না।

    ২. আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন- ত্রাণ বিতরণ স্বাস্থ্যসেবা বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দর সমূহের স্থলবন্দর, নৌবন্দর ও সমুদ্র বন্দর কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবার জরুরি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ এবং তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এই নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে।

    ৩. সব সরকারি-আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত অফিস-আদালত এবং বেসরকারি অফিস কেবল জরুরি কাজ সম্পাদনের জন্য সীমিত পরিসরে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়ে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় অফিসে আনা নেওয়া করতে পারবে। শিল্প-কারখানা ও নির্মাণকার্য চালু থাকবে। শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেওয়া করতে হবে। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএকে শিল্প-কারখানা এলাকায় নিকটবর্তী সুবিধাজনক স্থানে তাদের শ্রমিকদের জন্য ফিল্ড হাসপাতাল/চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

    ৪. সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয়, চিকিৎসাসেবা মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।

    ৫. খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় কেবল খাদ্য বিক্রয় ও সরবরাহ করা যাবে। কোনো অবস্থাতেই হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খাওয়া যাবে না।

    ৬. শপিং মলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ থাকবে। তবে দোকানগুলো পাইকারি ও খুচরা পণ্য অনলাইনের মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই সর্বাবস্থায় কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং অন্য কোনো শহরে যেতে পারবে না।

    ৭. কাঁচা বাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। বাজার কর্তৃপক্ষ/স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

    ৮. ব্যাংকিং ব্যবস্থা সীমিত পরিসরে চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে।

    ৯. সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ঢাকায় সুবিধাজনক স্থানে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

    ১০. সারাদেশে জেলা ও মাঠ প্রশাসন উল্লেখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহল জোরদার করবে।

    ১১. এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    এদিকে, লকডাউন এড়াতে ও কর্মহীন হয়ে আটকা পড়ার ভয়ে অনেকেই ঢাকা ছাড়ছেন। রাজধানী ঘুরে দেখা গেছে, বাস, ট্রেন ও লঞ্চে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়।

    এর আগে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে। তবে, শিল্প কলকারখানা শর্তসাপেক্ষ চালু থাকতে পারে।

  • সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন

    সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন

    করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় আগামী সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে সারাদেশ এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার।

    শনিবার (৩ এপ্রিল) সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।

    তিনি বলেন, সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করছে সরকার।

    অন্যদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও এ কথা বলা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, দ্রুত ছড়াতে থাকা করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সরকার দুই-তিন দিনের মধ্যে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনের চিন্তা করছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

    গত বছরের মার্চে দেশে প্রথমবার করোনা শনাক্ত হওয়ার পর বেশ কিছু দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। সেই ছুটির পর ধাপে ধাপে কার্যক্রম স্বাভাবিক হয় দেশে। ওই বছরের শেষদিকে সংক্রমণ ও মৃত্যুহার কমতে থাকলেও মার্চের শেষ থেকেই হুট করে বাড়তে থাকে।

    গত ক’দিনে সংক্রমণ শনাক্তে আগের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে। মৃত্যুও হচ্ছে অর্ধশতসংখ্যক। গত শুক্রবারই (২ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃত্যু হয়েছে নয় হাজার ১৫৫ জনের। সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও ছয় হাজার ৮৩০ জনের মধ্যে। যা এ পর্যন্ত দেশে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এ নিয়ে মোট শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ছয় লাখ ২৪ হাজার ৫৯৪ জনে।

  • আজ থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪ দিনের লকডাউন শুরু

    আজ থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪ দিনের লকডাউন শুরু

    মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাস ১৪ দিনের জন্য লকডাউন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

    শনিবার (৪ জুলাই) সকাল থেকে এই লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, ক্যাম্পাসে দ্রুত করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় ৪ জুলাই থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত ১৪ দিন চবি ক্যাম্পাস সর্বাত্মক লকডাউন করা হয়েছে। এ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি প্রশাসনিক কার্যক্রম নগরীর চারুকলা ইনস্টিটিউট অফিস থেকে পরিচালিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্যদের সঙ্গে জরুরি আলোচনা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।

    উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে উপাচার্য দফতরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর করোনায় আক্রান্ত হন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেট সংলগ্ন কর্মচারীদের আবাসিক এলাকা শোভা কলোনীতে দুইজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর পরপরই ক্যাম্পাস এলাকা লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ৪ জুলাই থেকে ২১ দিনের জন্য লকডাউন হচ্ছে ওয়ারী

    ৪ জুলাই থেকে ২১ দিনের জন্য লকডাউন হচ্ছে ওয়ারী

    আগামী শনিবার (৪ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ারী এলাকা লকডাউন করা হবে। ২৫ জুলাই পর্যন্ত মোট ২১ দিন লকডাউন কার্যকর থাকবে।

    মঙ্গলবার (৩০ জুন) বিকালে দক্ষিণ সিটির নগর ভবনে লকডাউন বিষয়ক কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা কমিটির দ্বিতীয় সভা শেষে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

    তিনি জানান, এখানে সার্বিকভাবে সবকিছুই বন্ধ থাকবে, শুধু ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। দৈনন্দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সমন্বয় করে সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে। ২৫ জুলাই পর্যন্ত ২১ দিন লকডাউন বাস্তবায়ন করবো।

    মেয়র বলেন, যাতায়াত সুবিধার জন্য ওয়ারী এলাকার দুটি পথ খোলা থাকবে। বাকি পথগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেখানে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হবে। নমুনা সংগ্রহ করার জন্য বুথ থাকবে এবং সিটি করপোরেশনের মহানগর জেনারেল হাসপাতালে আক্রান্তদের জন্য আইসোলেশন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

    তিনি আরও বলেন, ওয়ারী এলাকায় সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী সরবরাহের জন্য মীনাবাজার ও স্বপ্নসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা করা হবে। আর স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে যেসব এসওপি দেওয়া হয়েছে সেগুলো যথাযথভাবে পালন করা হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • দামুড়হুদায় লকডাউন ভেঙ্গে মেসির জন্মদিন পালন, ১৫ ভক্তের জরিমানা

    দামুড়হুদায় লকডাউন ভেঙ্গে মেসির জন্মদিন পালন, ১৫ ভক্তের জরিমানা

    আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি বার্সেলোনায় তার ৩৩তম জন্মদিনটা ঘটা করে হয়তো পালন করা হয়নি।

    করোনাভাইরাসের এই সময়ে হই-হুল্লোড় আর করবেনই বা কীভাবে!
    তবে বার্সেলোনা থেকে কয়েক হাজার মাইল দূরের বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলায় ঠিকই ধুমধাম করে হলো মেসির জন্মদিনের উৎসব। আর্জেন্টাইন তারকার বেশ কজন ভক্ত কেক কেটে, কফি পান করে তাঁর জন্মদিন পালন করেছেন এক ক্যাফেতে। সবই লকডাউনের নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে। আর যায় কোথায়! জরিমানা গুনতে হয়েছে সবাইকে।

    বার্তা সংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, ১৭ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে ১৫ জন মেসিভক্ত কাল দামুড়হুদার এক ক্যাফেতে মেসির জন্মদিন পালন করেছেন। কিন্তু ধরা পড়েছেন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে।

    লকডাউনের নিয়ম না মেনে, সামাজিক দূরত্বের বালাই না করে এভাবে উৎসব করায় সবার জরিমানা হয়েছে। জরিমানা হয়েছে ওই ক্যাফেরও।

    মেসিভক্তদের জরিমানার অঙ্কটা অবশ্য খুব বেশি নয় – প্রত্যেকের জরিমানা ১০০ টাকা করে। আর ওই ক্যাফে মালিকের জরিমানা হয়েছে ৬ হাজার টাকা! ‘তাঁরা সামাজিক দূরত্বের নিয়ম না মেনে সন্ধ্যায় বের হয়েছেন। লকডাউনের নির্দেশনা অমান্য করেছেন’ – বলেছেন ম্যাজিস্ট্রেট ফিরাজ হোসেন।

    তবে যে ক্যাফেতে জন্মদিনের উৎসব হয়েছে, সেই ক্যাফে মালিক জাহিদুল আলম এত জরিমানা দেওয়ার পরও ওই মেসিভক্তদের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন। এএফপিকে আলম বলেছেন, ‘ওদের বাড়ি পাঠিয়ে দিতে ইচ্ছে হচ্ছিল না। ওরা মেসির জন্মদিন নিয়ে অনেক রোমাঞ্চিত ছিল।’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • রাউজানের পাহাড়তলীর ঊনসত্তর পাড়া আবাসিক লকডাউন

    রাউজানের পাহাড়তলীর ঊনসত্তর পাড়া আবাসিক লকডাউন

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার
    ৯নং পাহাড়তলি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ঊনসত্তর পাড়া আবাসিক লকডাউন করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (১৬ জুন) সকালে আবাসিকের মাওলানা এমদাদ ভিলার তিনজনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসায় রাউজান উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে পাহাড়তলী ইউপি চেয়ারম্যান রোকন উদ্দিন গিয়ে লকডাউন করেন। এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

    ইউপি চেয়ারম্যান রোকন উদ্দিন বলেন, গত কয়েকদিন পূর্বে ঊনসত্তর পাড়া আবাসিকের মৌলানা এমদাদ ভিলার মালিক, পশ্চিম গুজরা দারুচ্ছুন্নাহ মাদ্রাসার আরবী শিক্ষক, বিশিষ্ট ওয়ায়েজিন মাওলানা এমদাদুল হক ইন্তেকাল করেন। তিনি পরিবার নিয়ে আবাসিকে নিজের বাসায় থাকতেন। তার মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যদের করোনা পরীক্ষায় হুজুরের শ্যালিকার জামাতাসহ, হুজুরের এক পুত্র ও এক কন্যার রিপোর্ট পজিটিভ আসায় প্রশাসনের নির্দেশে আমি আবাসিকটি লকডাউন করেছি। এই লকডাউনের আওতায় পরিবারসমূহের পাশে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/নেজাম

  • করোনার এ সংকটে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আক্রান্ত ব্যক্তিকে সনাক্ত করা: চসিক মেয়র

    করোনার এ সংকটে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আক্রান্ত ব্যক্তিকে সনাক্ত করা: চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস ঢাকা, নারায়নগঞ্জের পর বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় নগরের বিভিন্ন স্পটে ১২টি টেস্টিং বুথ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি। তন্মোধ্যে এখন পর্যন্ত ৫টি বুথ স্থাপন কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

    তিনি বলেন, ‘করোনার এ সংকটে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আক্রান্ত ব্যক্তিকে সনাক্ত করা। নানা সীমাবদ্ধতার কারণে নমুনা সংগ্রহ নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে সবখানেই। এ সময় সংকট কাটাতে নমুনা সংগ্রহের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।

    আজ কুলগাঁও সিটি কর্পোরেশন কলেজে যে বুথ স্থাপন করেছে, এতে বুথে নমুনা দিতে হলে মোবাইল নম্বর এবং জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। বুথে আসার পর আমাদের প্রশিক্ষিত কর্মীরা করোনা আক্রান্ত সন্দেহভাজন ব্যক্তির কাছে কয়েকটি তথ্য জানতে চান। যেমন, তিনি ডায়াবেটিস কিংবা কিডনিজনিত রোগে ভুগছেন কি না। এমন কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে গেছেন কি না, যিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। সব তথ্য ডেটা ফর্মে লিপিবদ্ধ করার পর প্রশিক্ষিত কর্মীরা করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন। এখন পর্যন্ত আমাদের বুথে কাজ করা কোনো কর্মী করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হননি।

    আজ সকালে নগরীর কুলগাঁও সিটি কর্পোরেশন কলেজে করোনা নমুনা সংগ্রহ বুথ উদ্বোধনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।

    উদ্বোধনকালে কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবু, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, ব্র্যাকের আঞ্চলিক পরিচালক হানিফ উদ্দীন, মহানগর আওয়ামীলীগের সদস্য বেলাল আহমদ, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ এয়াকুব, কুলগাঁও সিটি কর্পোরেশন কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল হক, স্কুলের প্রধান শিক্ষক এস এম এহসান উদ্দিন,প্রভাষক শহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ সহিদুল আকতার, এস এম মামুনুর রশিদ মামুন, মোহাম্মদ রাশেদ, আবু তাহের, আজগর আলী, আকতার জামাল, জুয়েল রানা উপস্থিত ছিলেন।

    মেয়র আরো বলেন, বুথে সেবাদানকারী প্রত্যেক কর্মীকে যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর নমুনা সংগ্রহের কাজে পাঠানো হয়েছে। প্রত্যেক কর্মীকে পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) সরবরাহ করাসহ সব ধরনের জিনিসপত্র সরবরাহ করে আসছি। সম্পূর্ণ বিনা পয়সায় যেকোনো মানুষ আমাদের বুথে নমুনা দিয়ে করোনা পরীক্ষা করাতে সক্ষম হচ্ছেন।’

    বুথের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করা হলে স্বাস্থ্যকর্মী সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে না বলে মন্তব্য করে মেয়র বলেন, ‘বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাঁরা নমুনা সংগ্রহ করা হলে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে, কারণ নাকের ভেতর থেকে সোয়াব সংগ্রহ করতে হলে স্বাস্থ্যকর্মীকে ওই ব্যক্তির খুব কাছাকাছি চলে যেতে হয়। আবার যখন নাকের ভেতর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়, তখন রোগী অবধারিতভাবে হাঁচি দেন। এতে নমুনা সংগ্রহকারী কিন্তু সব সময় ঝুঁকির মধ্যে থাকেন।’

    তিনি নগরবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে বলেন, বিজ্ঞাণীরা ভ্যাকসিন বা ঔষধ আবিস্কার করবেন, চিকিৎসকরা চিকিৎসা প্রয়োগ করবেন কিন্তু ধৈর্য্যসহকারে সাহসের সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জীবন যাপন করতে হবে।

    লকডাউনের কার্যকারিতার কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, লকডাউন কার্যকর থাকাকালীন সময়ে ওই এলাকায় কেউ প্রবেশ ও বের হতে পারবে না। সরকারি-বেসরকারি অফিস থাকবে সাধারণ ছুটির আওতায়। খাবার ও ওষুধসহ সবধরণের দোকানপাট বন্ধ থাকবে। চলবে না গণপরিবহন, থাকবে না স্টপেজও। লকডাউন এলাকায় অবস্থানকারী সকল সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারী সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবেন। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তারা যাতে কোন ধরণের সমস্যার সম্মুখীন না হন সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, লকডাউন মানে লকডাউন। সবাইকে অবশ্যই ঘরে থাকতে হবে। ইতোমধ্যে আমরা মাইকিং করেছি। প্রতিটি ঘরে ঘরে নির্দেশনা দিয়ে লিফলেট পৌঁছে দিচ্ছি। সবকিছু মনিটরিং করার জন্য কেন্দ্রের ফরম্যাট অনুযায়ী, স্থানীয় কাউন্সিলরকে আহবায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, ই-কমার্স এসোসিয়েশনের প্রতিনিধি, সমাজ কল্যাণ সমিতির প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম সদস্য আছেন।

    লকডাউনের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে চসিকের সমন্বয় বৈঠক
    মানতে হবে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি
    চসিকের প্রদর্শিত নিয়ম-কানুন-মেয়র
    আজ রাত ১২ টা থেকে লকডাউন কার্যকর হচ্ছে নগরীর ১০নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে। লকডাউনের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আজ দুপুরে চসিক কনফারেন্স হলে এক সমন্বয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ. ম নাছির উদ্দীন। এসময় প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর ড.নিছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, বাংলাদেশ ইনফেন্ট্রি রেজিমেন্ট সিও লে. কর্ণেল মাহবুব, চট্টগ্রামে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোস্তফা খালেদ আহমদ, চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি, সিএমপি’র এসপি মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, ব্রাকের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মো. হানিফ উদ্দিন, চসিকের ডা.মোহাম্মদ আলী, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ রেজাউল করিম, আইটি অফিসার ইকবাল হাসান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডা. সরোয়ার আলম, সহকারি পরিচালক স্বাস্থ্য কামরুল আজাদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

    বৈঠকে সিদ্ধান্তানুযায়ী লকডাউনকৃত ১০ নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে ২০ টি প্রবেশ পথ রয়েছে। তন্মধ্যে ১৪টি রাস্তা বন্ধ থাকবে এবং প্রয়োজনীয় কাজের জন্য ৬টি রাস্তা খোলা থাকবে। লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে সাগরিকাস্থ বিসিক শিল্প এলাকা। প্রতিদিন রিক্সাভ্যানের মাধ্যমে ন্যায্য বাজার মূল্যে কাঁচা বাজার সরবরাহ করা হবে। ধর্মীয় ইবাদত ঘরে থেকেই আদায় করতে হবে, এলাকাবাসীর সার্বিক সহায়তার জন্য থাকবে সিটি কর্পোরেশনের একাধিক কন্ট্রোলরুম ও এলাকাভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক টীম।

    জরুরী প্রয়োজনে চসিকের কন্ট্রোল রুমের নম্বর সমুহ- ঃ ০৩১-৪৩১৫১৩৬৮, ০৩১-৪৩১৫১৩৬৯, ০৩১-৪৩১৫১৩৭০, ০৩১-৪৩১৫১৩৭১, ০৩১-৪৩১৫১৩৭২, মোবাইল- ০১৮১৯-০৫৬৮৪৪, ০১৮১১-৮৮৭০৮৪-তে যোগাযোগ করা যাবে। চসিকের ব্যবস্থাপনায় কোভিড ও নন- কোভিড রোগীদের চিকিৎসা ও হাসপাতালে প্রেরণের জন্য সার্বক্ষণিক এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা থাকবে। লকডাউন এলাকায় অবস্থানকারী সকল সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারী সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবে। এসময় মেয়র এলাকাবাসীকে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি ও চসিকের প্রদর্শিত নিয়মকানুন মেনে লকডাউন কার্যকর করার জন্য অনুরোধ জানান।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর