Tag: লক্ষীপুর

  • লক্ষীপুরের বিষাক্ত কাঁচা সুপারি যাচ্ছে উত্তরাঞ্চলের বাজারে

    লক্ষীপুরের বিষাক্ত কাঁচা সুপারি যাচ্ছে উত্তরাঞ্চলের বাজারে

    অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষীপুর জেলা সদরসহ রায়পুর রামগঞ্জ কমলনগর-রামগতি থেকে দেশের উত্তরাঞ্চল নীলফামারী, সৈয়দপুর, রংপুর দিনাজপুর সিলেট নওগাঁসহ ১৬ টি বিভিন্ন জেলা-উপজেলার আড়তে প্রতি মৌসুমে ৪৫ থেকে ৫০ কোটি টাকার হাইড্রোজ মিশ্রিত বিষাক্ত কাঁচা সুপারি উত্তরের ১৬ জেলার বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে উত্তরাঞ্চলের কয়েক কোটি মানুষ এ বিষাক্ত কেমিক্যালযুক্ত সুপারি খেয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে।

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সুপারি খেলে লিভার ও কিডনি বিকল বা ক্যানসারের মতো ঘাতক ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই এ বিষাক্ত সুপারির সরবরাহ বন্ধে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া দরকার বলে মনে করে স্থানীয় সচেতন মহল।

    লক্ষ্মীপুর সদরের চররুহিতা ইউনিয়নের স্থানীয় কয়েকজন সুপারি ব্যাপারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় পাইকারি সুপারির আড়ত হচ্ছে সৈয়দপুর। ওই আড়তের ব্যবসায়ীরা আমাদের লক্ষীপুর থেকে সিংহভাগ সুপারি ক্রয় করে থাকেন। এছাড়াও বরিশাল, খুলনা, বাগেরহাট, নোয়াখালী, পঞ্চগড়, চিলাহাটি থেকে পানিতে পঁচা সুপারি কিনে নেন ব্যবসায়ীরা।

    জানা গেছে এসব সুপারি আড়ত থেকে পাশের প্রায় ১৬টি জেলার ব্যবসায়ীরা এ পঁচা সুপারি কিনে নিজ নিজ এলাকায় সরবরাহ করেন।

    কয়েকজন পাইকারি সুপারি ব্যবসায়ী বলেন, এখানকার আড়তদারের কাঁচা সুপারিগুলো যায় উত্তরাঞ্চলের সব জেলার বাজারে। তুলনামূলক সস্তা দরের কারণে খুচরা ব্যবসায়ীদের এ সুপারির প্রতি আগ্রহ বেশি। শুকনা সুপারি তিন মাস পাওয়া যায়। এরপর পুরো বছরই কাঁচা সুপারির ওপর নির্ভর করতে হয়। তবে হাইড্রোস মিশ্রিত করে বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা সুপারি পাঠালে পানি পঁচার বিকট গন্ধ থাকে না। রংটাও ভালো থাকে। পাশাপাশি এটি সহজে নষ্ট হয় না।

    আরিফ নামের এক পাইকারি সুপারি ব্যবসায়ী বলেন, এক বস্তা সুপারির দাম ১ হাজার ৮০০ টাকা। ৪৫ থেকে ৫০ কোটি টাকার সুপারি পুরো মৌসুমে আমদানি-রপ্তানি হয়।

    পানিতে পঁচা সুপারি নিয়ে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের এলাকার পান দোকানদার তৈয়ব আলী ও আকবর বলেন, ‘শতকরা ৮০ জন পানসেবী এ কাঁচা সুপারিতে আসক্ত হয়ে পড়েছে। তাই বাধ্য হয়ে কাঁচা সুপারি বিক্রয় করছি। তবে এতে ক্ষতির কথা না জানলেও হাইড্রোজ মিশানোর কথা স্বীকার করেন পান দোকানিরা।’

    এমন বিষাক্ত কেমিক্যাল, ক্ষতিকর রং ও হাইড্রোজ মিশিয়ে পঁচা সুপারীকে চকচকে লাল আকর্ষণীয় করে তোলার দৃশ্য লক্ষ্মীপুর জেলার আনাচে-কানাচে প্রতিদিনই দেখতে পাওয়া যায়। স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করা হলেও তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না বলে কয়েকজনের সাথে আলাপকালে জানা যায়।

    বিষাক্ত কেমিক্যাল, ক্ষতিকারক রং ও হাইড্রোজ মিশ্রনের সময় বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করানো হলে তিনি পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ডের ছিটন বাড়ির পাশে পঁচা সুপারির গুদামে ‘বারেক বেপারী’ নামের এক বড় ব্যবসায়ী ও তার লোকজনকে সুপারি রং করা অবস্থায় দেখতে পান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম ওই ব্যবসায়ীকে সুপারিতে বিষাক্ত কেমিক্যাল মেশানো নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জেলা সিভিল সার্জন বরাবর -‘এই রং, কেমিক্যাল ও হাইড্রোজ মানব দেহের কোন ক্ষতি করে কিনা’ এই মর্মে আবেদন করেছেন বলে একটি কাগজ দেখান। এখনো আবেদনের কোন রেজাল্ট হাতে না আসায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসুম কোন বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেননি।

    তবে লক্ষ্মীপুরে দাদনে সুপারি পঁচানো বড় বড় ব্যাপারী হলো সদর পৌরসভা ১৫ নং ওয়ার্ডের ছিটন বাড়ির আব্দুল বারেক ও একই এলাকার করিম খাঁ ব্যাপারী, দালাল বাজার ইউনিয়নের চন্দন গাজী বাড়ীর সেলিম বেপারী, মিলগেট এলাকার হানিফ বেপারী, কাঞ্চনী বাজারের জহিরুল ইসলাম, দাসপাড়া এলাকার মানিক ব্যাপারী, জকসিন বাজারের শফিক ও সোহেল, মিয়ার রাস্তার মাথার মোমিন বেপারী, ভবানীগঞ্জের সেলিম বেপারী, সীতা ডাক্তার গোঁজার ছুট্টু বেপারী রামগঞ্জ উপজেলার মোরশেদ বেপারী, রফিক বেপারী ও রাশেদ বেপারী, রায়পুর উপজেলার হায়দারগঞ্জ বাজারের শাহ আলম মিজি, আলাউদ্দিন বেপারীসহ ছোটখাটো আরো সুপারি ব্যাপারীরা প্রতি মৌসুমে সুপারি পঁচিয়ে তা বিষাক্ত কেমিক্যাল, ক্ষতিকর রং ও ক্যান্সার সৃষ্টিকারীকার হাইড্রোজ মিশিয়ে সুপারিকে চকচকে আকর্ষণীয় লাল রঙ কর তুলছে।

    এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মাসুম বলেন, খাদ্যে ভেজালের বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাই ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    জেলা সিভিল সার্জন আব্দুল গফফার বলেন-‘হাইড্রোজ হচ্ছে একটি বিষাক্ত কেমিক্যাল। এর প্রভাবে কিডনি, লিভারের ক্ষতিসহ শরীরের যেকোনো স্থানে ক্যানসার হতে পারে। এ সুপারি খাওয়া লোকদের ঠোঁটের দুই কোণে সাদা ঘা দেখা যায়। তাই এ সুপারি বন্ধে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

    তিনি আরো বলেন- ‘কোনো ক্ষতিকারক কেমিক্যাল রং বা হাইড্রোজ মিশিয়ে সুপারি রং করা যাবে না। যদি কোনো অসাধু ব্যবসায়ী এ অবৈধ কাজ করে তাকে শীঘ্রই আইনের আওতায় আনা হবে।’

  • স্ত্রী ও মেয়ে হত্যার আসামির ফাঁসি কার্যকর

    স্ত্রী ও মেয়ে হত্যার আসামির ফাঁসি কার্যকর

    লক্ষীপুরে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও দুই বছরের মেয়েকে হত্যার দায়ে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ আব্দুল গফুর নামে এক কয়েদীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

    রোববার দিনগত রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে কারাগার কর্তৃপক্ষ।

    আব্দুল গফুর (৪৭) লক্ষীপুরের রামগতি থানার দক্ষিণ চরলরেঞ্জ এলাকার মৃত শামসুল হকের ছেলে।

    এসময় গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেট আবুল কালাম আজাদ, জিভিল সার্জন ডাক্তার মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

    কাশিমপুর কারাগার-২ এর সিনিয়র জেলসুপার আব্দুল জলিল রায় কার্যকরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    ২০০৬ সালের ৮ অক্টোবর আব্দুল গফুরের বিরুদ্ধে লক্ষীপুরের রামগতি থানায় পারিবারিক কলেহের জেরে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও দুই বছর বয়সী মেয়েকে হত্যার দায়ে মামলা হয়।

    মামলায় ২০০৮ সালের ২৮ এপ্রিল লক্ষীপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।

    দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর গত রাতে এ রায় কার্যকর করে কাশিমপুর কারাগার কর্তৃপক্ষ।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • লক্ষ্মীপুরে আরও ১৭ জন করোনায় আক্রান্ত

    লক্ষ্মীপুরে আরও ১৭ জন করোনায় আক্রান্ত

    লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:লক্ষ্মীপুরে নতুন করে আরোও ১৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

    এরমধ্যে জেলার রামগঞ্জ উপজেলায় ১৩ জন, কমলনগর উপজেলায় ৩ জন ও সদর উপজেলায় ১ জন। এনিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছে ৪৬৫ জন।

    মঙ্গলবার (১৬ জুন) দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।

    সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে আরো জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় লক্ষ্মীপুরে ১৭ জনের করোনা পজেটিভ আসে। এনিয়ে জেলায় ৪’শ ৬৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে সদরে-২০৯ জন, রায়পুরে ৫৩ জন, রামগঞ্জে ৯৮ জন, রামগতি ৩২ জন ও কমলনগরে ৭৩ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/আকাশ

  • মঙ্গলবার থেকে লক্ষীপুর জেলা লকডাউন

    মঙ্গলবার থেকে লক্ষীপুর জেলা লকডাউন

    অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:লক্ষ্মীপুরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত বিস্তারে ‘রেড জোন’ বিবেচনা করে লক্ষ্মীপুর জেলাকে ফের লকডাউন করা হচ্ছে।

    ফলে করোনার প্রকোপ থেকে জনসাধারণের সুরক্ষায় আগামীকাল মঙ্গলবার (১৬ জুন) ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়ে ৩০ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর সদর, রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলায় এই লকডাউন কার্যকর হতে পারে।

    এর আগে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলা দুটি লকডাউন ঘোষণা করা হয়। আজ ১৫ জুন ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়ে ৩০ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত এই লকডাউন কার্যকর থাকবে।

    শনিবার বিকেলে উপজেলা দুটির নির্বাহী কর্মকর্তা ও করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল মোমিন ও মোহাম্মদ মোবারক হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে থেকে এ তথ্য জানা যায়।

    রবিবার সকালে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেন জেলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান, সিভিল সার্জন ডা. আবদুল গফফার, পৌরসভার মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।

    সভায় জানানো হয়, রেড জোনে থাকায় সকলের সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী করোনার প্রকোপ থেকে জনসাধারনের সুরক্ষায় লক্ষ্মীপুর জেলাকে লকডাউন ঘোষনা করা হবে।

    সিভিল সার্জন ডা. আবদুল গফফার জানান,আজ পর্যন্ত লক্ষ্মীপুরে সর্বমোট ৪১৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে সদরে ১৯৫ জন, রামগঞ্জে ৮০ জন, রায়পুরে ৫২ জন, কমলনগরে ৫৮ জন ও রামগতিতে ৩২ জন রয়েছেন। জেলায় এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৮২ জন। তাদের মধ্যে রামগঞ্জে চিকিৎসকসহ ৪২ জন, সদরে সাংবাদিকসহ ৭২ জন, কমলনগরে চিকিৎসক ও নারী-শিশুসহ ১৮ জন, রামগতিতে ১৩ জন এবং রায়পুরে জনপ্রতিনিধিসহ ৩৭ জন।

    এছাড়া রামগঞ্জ উপজেলায় তিনজন, সদর উপজেলায় দুইজন, রায়পুর উপজেলায় একজন, কমলনগর উপজোলায় একজন ও রামগতি উপজেলায় একজন মৃত ব্যক্তির করোনা পজিটিভ আসে। তবে শনাক্ত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় এখনো কোন পজেটিভ রোগী জেলায় মারা যায়নি।

    জেলা প্রশাসক ও জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অঞ্জন চন্দ্র পাল জানান, অত্যাধিক ঝুঁকি বিবেচনায় লক্ষ্মীপুর জেলা লকডাউন ঘোষণার প্রস্তাব করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে লকডাউন কার্যকর করা হচ্ছে। এতে সব ধরনের যানবাহন এবং দোকান ও শপিংমল বন্ধ থাকবে। ওষুধের দোকান, অ্যাম্বুলেস ও ওষুধ পরিবহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে। এই লকডাউন পূর্বের ন্যায় হবেনা। এটি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাইকিং করে লকডাউনের বিষয়ে প্রচারণা চালানো হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • প্রসূতির সিজারের ছবি ফেসবুকে; লক্ষীপুরে চরম অসন্তোষ

    প্রসূতির সিজারের ছবি ফেসবুকে; লক্ষীপুরে চরম অসন্তোষ

    লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার মাতৃছায়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক প্রসূতির সিজারকালীন ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক) দেওয়ায় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

    হাসপাতালের উপ-ব্যবস্থাপক পরিচালক তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে ওই ছবিটি পোস্ট করেন। এর পর থেকে গত দুই দিন ধরে ফেসবুকে এনিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে।

    অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করে ডাক্তার ও নার্সের সামনে হাসপাতালের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রহমান তুহিন ওই ছবি তুলেন বলে যানা যায়। অথচ তিনি চিকিৎসক নয়। ফেসবুকে বিভিন্ন ব্যক্তি এ ঘটনায় দোষীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

    জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জাকির হোসেন বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আইনগত ভাবে এটি অপরাধ। কর্তৃপক্ষতো দূরের কথা, অপারেশন থিয়েটারে ডাক্তার ও নার্স ছাড়া স্বজনরাও থাকতে পারে না। তাছাড়া কোন প্রসুতির অনুমতি ছাড়া ছবি তোলারও নিয়ম নেই। সেটি ফেসবুকে দেওয়া চরম অন্যায়।

    জানা গেছে, গত ২৪ মে রায়পুর মাতৃছায়া হাসপাতালে এক প্রসূতি প্রসব বেদনা নিয়ে ভর্তি হয়। রাতে ডাক্তার ও নার্স ওই প্রসূতির সিজার অপারেশন শুরু করেন। এসময় হাসপাতালের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে অস্ত্রোপচারের সময় প্রসূতির কয়েকটি ছবি তুলে ফেলেন। পরে ওই ছবিগুলো তুহিন তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে। ওই ছবিগুলোর মধ্যে একটি ছবিই আপত্তিকর বলে স্থানীয়রা মন্তব্য করেন।

    কয়েকজন জনপ্রতিনিধি জানান, তুহিনের বিরুদ্ধে এর আগেও অনেক প্রসূতির নারীর অপারেশন থিয়েটারের ছবি ও ভিডিও করার অভিযোগ রয়েছে। পরে এ ছবি দিয়ে নারীদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করা হয়।

    প্রসুতির সিজারের ছবি তুলার ঘটনায় প্রশাসননের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আবিদ হাসান তুর্জয় নামের এক ফেসবুক আইডিতে বলেন, কোন প্রসূতি মহিলার অপারেশন থিয়েটারে অপারেশন চলাকালীন সময় কর্তপক্ষ উপস্থিতি থাকতে পারেন না। এটা পেশাদার সুলভ ও নিয়মনীতির পারিপন্থি। ছবি তুলে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোষ্ট করা নজির বিহীন ঘটনা।

    রায়পুর হাসপাতালের উপ-ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রহমান তুহিন বলেন, মহামারী করোনার সময় মানুষকে উৎসাহিত করার জন্য এই ছবি তুলে পোষ্ট করা হয়েছে। প্রসূতির মুখের ছবিটি কী ভাবে চলে আসে তা আমার জানা নেই। তবে কয়েকজন এই ছবি নিয়ে সমালোচনা করে আমার বিরুদ্ধে পোষ্ট দিয়েছে বিষয়টি আমি দেখেছি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/আকাশ

  • লক্ষ্মীপুর এ আরো ৩ করোনা রোগী শনাক্ত,মোট ৬১

    লক্ষ্মীপুর এ আরো ৩ করোনা রোগী শনাক্ত,মোট ৬১

    লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লকডাউন শীতল হওয়ার পর থেকেই লক্ষ্মীপুরে হু হু করে বেড়েই চলেছে করোনা ভাইরাস এর রোগী। জেলায় নতুন করে আরও ৩ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।

    আজ রবিবার (১০ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল গফফার। এ নিয়ে জেলায় মোট ৬১ জন করোনারোগী শানাক্ত হলো।

    সিভিল সার্জন জানান, জেলায় মোট আক্রান্তদের মধ্যে সদরে ২৪ জন, রায়পুরে ৪ জন, রামগঞ্জে ১৯ জন, কমলনগর ৭ জন ও রামগতিতে ৮ জন। শনাক্ত হওয়ার আগেই একজন মারা যায়। এদের মধ্য ১৪ জন ‍সুস্থ হয়েছেন।

    ২৪ ঘন্টা/এম আর/আকাশ

  • লক্ষ্মীপুরে অসহায় নারীকে ত্রাণ দিলো সেনাবাহিনী

    লক্ষ্মীপুরে অসহায় নারীকে ত্রাণ দিলো সেনাবাহিনী

    অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর ঝুমুর সিনেমাহল চত্বর এলাকায় এক অসহায় নারী তার মেয়েকে নিয়ে চুপচাপ বসে আছেন। হঠাৎ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর টহল সদস্যরা গাড়ি থামিয়ে মা-মেয়ের সামনে বস্তা ভর্তি খাদ্যসামগ্রী উপহার দেন।

    আজ লক্ষ্মীপুর শহরের ঝুমুর ট্রাফিক চত্বরের পাশে সেনাবাহিনীর এমন মানবিক দৃশ্য দেখা যায়।

    জানতে চাইলে কুমিল্লা সেনানিবাসের ১৭ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি লেফটেনেন্ট শাহ মোহতাসিম রহমান বলেন, প্রতিদিন আমরা টহল অবস্থা অসহায় মানুষকে পেলে তাদের কাছে পৌঁছে দিই খাদ্যসামগ্রী।

  • চট্টগ্রামে করোনায় প্রথম মৃত্যু, আক্রান্ত আরও ২ জন

    চট্টগ্রামে করোনায় প্রথম মৃত্যু, আক্রান্ত আরও ২ জন

    চট্টগ্রাম ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজের (বিআইটিআইডি) ল্যাবে করোনাভাইরাস সন্দেহে নমুনা পরীক্ষায় নতুন আরো তিন জন শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে একজন পাহাড়তলী এলাকার, একজন সাতকানিয়ার এবং অপরজন লক্ষীপুর জেলার। আক্রান্তদের মধ্যে সাতকানিয়ার ওই বাসিন্দা গত বৃহস্পতিবার মারা যান। এটি চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তি।

    তার নমুনা পরীক্ষা করে করোনা নিশ্চিত হয়।
    শনিবার বিআইটিআইডি ল্যাবে নতুন ৭৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে তিনজনের করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়।

    সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৭৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে তিনজনের পজেটিভ পাওয়া যায়। একজন পাহাড়তলী সিডিএ মার্কেট এলাকার ৫০ বছর বয়সী বাসিন্দা, একজন সাতকানিয়া উপজেলার আলী নগরের ইছামতি এলাকার ৬৯ বছর বয়সী বাসিন্দা এবং একজন লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার দানপাড়া কোদাল বাড়ির ৩২ বছর বয়সী বাসিন্দা।

    চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘চট্টগ্রামে নতুন করে আরো তিনজন করোনায় আক্রন্ত হয়েছেন।

    এর মধ্যে দুইজন চট্টগ্রামের বাসিন্দা ও একজন লক্ষীপুর জেলার। তাদের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ এবং বাড়ি লকডাউনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ’

    সাতকানিয়া উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরে আলম বলেন, ‘নতুন যে তিনজন করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন তাদের একজন মারা গেছেন। তিনি সাতকানিয়ার বাসিন্দা। ’

    করোনা মোকাবিলায় গঠিত স্বাচিপের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সমন্বয়ক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘নতুন আক্রান্ত তিন জনের মধ্যে সাতকানিয়ার ইছামতি এলাকার বাসিন্দা গত বৃহষ্পতিবার করোনা সংক্রমণ নিয়ে মারা যান। পরে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা শনাক্ত হয়েছে। ওই ব্যক্তি মারা গেলেও তার সংস্পর্শে আসাদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। ’

    জানা যায়, চট্টগ্রামে গত ৩ ও ৫এপ্রিল একজন করে দুইজন, ৮ এপ্রিল তিনজন এবং গত ১০ এপ্রিল দুইজন আক্রান্ত হয়। নতুন তিনজনসহ বর্তমানে চট্টগ্রামে মোট ১০ জন আক্রান্ত হয়। আক্রান্তদের চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

     

  • সড়কে জীবানুনাশক ঔষধ ছিটালো লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিস

    সড়কে জীবানুনাশক ঔষধ ছিটালো লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিস

    লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : দেশব্যাপী করনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে লক্ষ্মীপুর শহরের বিভিন্ন সড়কে ফায়ার সাভির্সের উদ্যেগে জীবানুনাশক ওষধ ছিটানো হয়েছে।

    মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় শহরের উত্তর তেমুহনী ট্রাফিক চত্তর থেকে শুরু করে চক বাজার এস আর রোড থেকে দক্ষিন তেমুহনী পর্যন্ত এ জীবানুনাশক ঔষধ ছিটানো হয়।

    ফায়ার সার্ভিসের কোম্পানী কমান্ডার মোঃ ইউসুফ জানান করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে পুরো শহরে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জীবানুনাশক ওষধ ছিটানো হচ্ছে। যাতে শহরের রাস্তা ঘাট নিরাপদ থাকে।

  • লক্ষ্মীপুরে কেন্দ্রীয় আ’লীগ নেত্রী লাইলীর মাস্ক-হ্যান্ড গ্লাভস বিতরণ

    লক্ষ্মীপুরে কেন্দ্রীয় আ’লীগ নেত্রী লাইলীর মাস্ক-হ্যান্ড গ্লাভস বিতরণ

    লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষের মাঝে ১৫ হাজর মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ও সাবান বিতরণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এবং সাবেক সংসদ সদস্য ফরিদুন্নাহার লায়লীর দেওয়া এসব মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ও সাবান জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মতলব এবং প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ড. আশরাফ আলী চৌধুরী সারুর সার্বিক সহযোগিতায় বিতরণ করা হয়।

    করোনা সচেতনতায় যখন শহরের মানুষের বাড়ি-বাড়ি মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, সাবান ও খাদ্য সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছেন প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। তখন লক্ষ্মীপুরের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষের জন্য নিজের ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে ১৫ হাজার মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ও সাবান বিতরণের জন্য পাঠিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেত্রী ফরিদুন্নাহার লায়লী।

    মঙ্গলবার দুপুরে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ বাজার, চর লরেঞ্চ, হাজির হাট, করুনা নগর, জমিদার হাট, সেকান্তর রাস্তার মাথা, আলেকজান্ডার বাজার, রামদয়াল বাজার, বিবির হাট, রামগতি বাজার, চৌধুরীর হাট, মার্টিন বাজার, মতির হাট বাজার, পাটোয়ারীর হাট, কমলনগর থানা, কমলনগর উপজেলা পরিষদ, রামগতি থানা ও রামগতি উপজেলা পরিষদে এসব মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ও সাবান স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাতে বিতরণের জন্য তুলে দেওয়া হয়।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম দিদার, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক উপ-কমিটির সাবেক সদস্য আব্দুল্যা আল মামুন, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম পারভেজসহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

    পরে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ‘সুরক্ষা বৃত্ত’ অঙ্কন করে অসহায় দরিদ্র জেলে ও কৃষকদের মাঝে মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ও সাবান বিতরণ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও কৃষকলীগের নেতাকর্মীরা।

  • লক্ষীপুরে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দোকানপাট বন্ধ ঘোষণা

    লক্ষীপুরে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দোকানপাট বন্ধ ঘোষণা

    লক্ষ্মীপুরে নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) প্রতিরোধে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ১১ দিন শহরের জামা-কাপড়, জুতা ও কসমেটিকসের দোকানগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    শুক্রবার (২০ মার্চ) বিকালে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও লক্ষীপুর বণিক সমিতির সভাপতি একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু দোকানে দোকানে গিয়ে এ নির্দেশনা দেয়।

    একই সময় দ্রব্যমূল্য তালিকা না থাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দুই দোকানির ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

    অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিদুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ জরিমানা করেন।

    এদিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত এ জেলায় করোনা আক্রান্ত কেউ শনাক্ত হয়নি। দোকানপাট বন্ধ কিংবা লকডাউন করার মত পরিস্থিতিও সৃষ্টি হয়নি।

    অন্যদিকে চেয়ারম্যান টিপুর নির্দেশনা শুনে ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়ে পড়েছে। ব্যবসায়ীদের ভাষ্যমতে, করোনা আতঙ্কে শহরে মানুষের চলাফেরা কমে গেছে। এতে বেচাকেনাও কমেছে। তারা রাতে তাড়াতাড়ি দোকান বন্ধ করছে। কিন্তু ১১ দিন বন্ধ রাখলে ঋণ পরিশোধ ও দোকান ভাড়ার টাকা দিতে সবাইকে হিমশিমে পড়তে হবে।

    লক্ষ্মীপুর বণিক সমিতির সভাপতি একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু বলেন, করোনা প্রতিরোধে বণিক সমিতির পক্ষ থেকে জামা-কাপড়, জুতা ও কসমেটিকসের দোকানগুলো আগামি ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানগুলো খোলা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

    লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন ড. আবদুল গাফ্ফার বলেন, এ জেলায় এখনো পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত কেউ নেই। করোনা সন্দেহে ৪৬০ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তবে দোকানপাট বন্ধ কিংবা জেলা লকডাউন করার মত পরিস্থিতি এখনো সৃষ্টি হয়নি।

    জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, এ জেলায় ৪৫৮ জন প্রবাসী ও দুইজন ঢাকার একটি কারখানার শ্রমিককে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪ জন, সদর উপজেলায় ৬৯, রায়পুরে ১৭৪, রামগঞ্জে ৮৫, কমলনগর ২৫ ও রামগতিতে ১০৩ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে।

    স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে দিয়ে তাদেরকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কিন্তু চলতি মাসে ৩ হাজার ৬৬২ জন প্রবাসী লক্ষ্মীপুরে এসেছেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩ হাজার ২১৪ জন প্রবাসীর খোঁজ পাওয়া যায়নি।

    এদিকে হোম কোয়ারেন্টাইন বিধি লঙ্ঘন করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সদরে একজনের ৫ হাজার, রামগঞ্জে দুইজনের ২০ হাজার ও রামগতিতে একজনের ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। চারজনই বিদেশ ফেরত।

     

  • লক্ষীপুরে পিকআপ খাদে পড়ে নিহত ৩

    লক্ষীপুরে পিকআপ খাদে পড়ে নিহত ৩

    লক্ষ্মীপুরে চাকা ফেটে পিকআপ ভ্যান উল্টে সড়কের পাশের খাদে পড়ে তিন নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এতে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।

    বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৮টার দিকে লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালী সড়কের পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় পিকআপ ভ্যানটির চাকা ফেটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। পিকআপটি উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। আহতদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে।

    পুলিশ জানায়, রাস্তার পিচ ঢালাইয়ের কাজে সকালে পিকআপ ভ্যানে করে আদিমনগর থেকে হাজিপাড়া যাচ্ছিলেন ২০ জন শ্রমিক। লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে পৌঁছলে পিকআপ ভ্যানের চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে শ্রমিকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

    পরে রফিক, খোরশেদ ও মফিজ নামে তিন শ্রমিককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। নিহতদের বাড়ি সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নে।