Tag: লক্ষ্মীপুর

  • লক্ষ্মীপুর-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপনির্বাচনের ফলাফলের গেজেট স্থগিত

    লক্ষ্মীপুর-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপনির্বাচনের ফলাফলের গেজেট স্থগিত

    লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনের ফলাফলের গেজেট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

    মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ইসি সচিব জাহাংগীর আলম।

    ইসি সচিব বলেন, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে ফলাফলের গেজেট স্থগিত রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনে আছে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এলে ইসি প্রকাশিত গেজেট স্থগিত রেখে তদন্তের নির্দেশ দিতে পারবে। সে অনুযায়ী তদন্ত চলছে। তদন্ত রিপোর্ট এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    তিনি বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, এমন পরিস্থিতিতে তদন্ত প্রতিবেদনে ভোট কারচুপির অভিযোগ প্রমাণিত হলে ইসি নির্বাচন বাতিল বা সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের নির্বাচন বাতিল করতে পারে।

    জাহাংগীর আলম বলেন, গণমাধ্যমে লক্ষীপুরের একটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি ভোট কেন্দ্রের কিছু তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে। ইসি সেটির বিশ্লেষণ করেছে। এটার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলা নির্বাচন অফিসারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ইসি। সরেজমিন তদন্তের পর তারা যে প্রতিবেদন দেবে, তারপরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

    এর আগে, রোববার (৫ নভেম্বর) লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, সাদা রঙের পাঞ্জাবি পরা এক ব্যক্তি ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকে একের পর এক সিল মারছেন। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, যিনি সিল মেরেছেন তার নাম আজাদ হোসেন। তিনি লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তবে সম্প্রতি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করে জেলা ছাত্রলীগ। পরে বিষয়টি ইসির নজরে আসে।

    লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির মুহাম্মদ রাকিব হোসেন, নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ গোলাম ফারুক, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. সামছুল করিম ও আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সেলিম মাহমুদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই আসনে মোট ভোটার চার লাখ তিন হাজার ৭৪৪ জন। ১১৫টি ভোট কেন্দ্রের ৮২৭টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।

    নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ গোলাম ফারুক পিংকু এক লাখ ২০ হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেন। ভোট পড়ে ৩১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন তিন হাজার ৮৪৬ ভোট।

    আর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শাহজাহান আলম ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। এ উপনির্বাচনে কয়েকটি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ‘ওপেন ভোট’ নেওয়ার পাশাপাশি ‘জাল ভোট’ দেওয়ার অভিযোগ তোলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা।

  • লক্ষ্মীপুরের এমপি শাহজাহান কামাল আর নেই

    লক্ষ্মীপুরের এমপি শাহজাহান কামাল আর নেই

    প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য এবং সাবেক বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম শাহজাহান কামাল (৭৪) আর নেই।

    শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভোর সোয়া ৩টার দিকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

    শাহজাহান কামালের ছোট ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, বার্ধক্যজনিত রোগে আমার বড় ভাই শাহজাহান কামাল মারা গেছেন। বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় প্রথম ও লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাদ আসর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

    প্রবীণ নেতা শাহজাহান কামালের মৃত্যুতে লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসনের সংসদ সদস্য নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহান গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

    শাহজাহান কামাল প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-১১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ ও ১৮ সালের তিনি লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর মধ্যে ২০১৮ সালে প্রায় এক বছর তিনি বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

    শাহজাহান কামাল লক্ষ্মীপুর পৌরসভার আটিয়াতলি এলাকার ফরিদ আহমেদ ও মাছুমা খাতুন দম্পতির বড় ছেলে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও ৩ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

    দলীয় সূত্র জানায়, শাহজাহান কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ১৯৬৬ সালের ৬ দফা ও ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেন। ১৯৭২ সালে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮৫ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে জনতা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ সালে তিনি লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

  • লক্ষ্মীপুরে ৫ যুবক গ্রামবাসীর গণপিটুনির শিকার, অবশেষে কারাগারে

    লক্ষ্মীপুরে ৫ যুবক গ্রামবাসীর গণপিটুনির শিকার, অবশেষে কারাগারে

    অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় ৫ যুবককে গনপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী। গতকাল দুপুরে তাদেরকে ডাকাতির প্রস্তুতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। দীর্ঘদিন পাহারা দেয়ার পর অবশেষে যুবকদের আটক করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানায় গ্রামবাসী।।

    ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার চরপাতা ইউপির পুর্বচরপাতা গ্রামের খাইল্লাগো পুলের সামনের আক্তারুজ্জামান পাটোয়ারী বাড়ীর রাস্তার উপরে।

    গনপিটুনির শিকার যুবকরা হলো, কুমিল্লার লটিয়া গ্রামের আবদুর রবের ছেলে সুমন (২৪), বরিশালের বাকেরগঞ্জের দেউলি গ্রামের তৈবুর রহমানের ছেলে ইলিয়াস (৩৯), লক্ষ্মীপুর সদরের মাছিমনগর গ্রামের হোসেন আহাম্মদ ভুঁয়ার ছেলে বিএম জাকারিয়া ওরফে রাকিব (৪২), গোপালগঞ্জের কাশিয়ানির ভাটিয়াপাড়া গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে রাজিব মোল্লা (৩০), কুমিল্লার তিতাসের বাতাকান্দি গ্রামের হাসিমুলের ছেলে সানাউল (২৫)। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির সরঞ্জামাদি ও একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়েছে।।
    পুলিশ জানান, চর পাতা ইউপির ০৯নং ওয়ার্ডের পূর্ব চরপাতা গ্রামের খাইল্লাগো পোল টু মালিবাড়ি সড়কের আক্তারুজ্জামান পাটোয়ারী বাড়ীর পূর্বে রবি ও এয়ারটেল টাওয়ারে ৫ জনের যুবক প্রাইভেটকার যোগে এসে ডাকাতি করার প্রস্তুতি নেয়। গ্রামবাসী বুঝতে পেরে চারিদিক থেকে তাদের ঘেরাও করে গনপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরে ওসির নেতৃত্বে এসআই মোহাম্মদ সাফায়েত উল্লাহ ও এসআই মোঃ আব্দুল কুদ্দুছসহ পুলিশ ওই ৫ যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।

    রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল জলিল বলেন, গ্রামবাসীর কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে ৫ যুবককে ডাকাতির সরঞ্জাম ও একটি প্রাইবেটকারসহ আটক করা হয়। দুপুরে ডাকাতির প্রস্তুতির মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

  • লক্ষ্মীপুরে উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি: সেতুুুমন্ত্রী 

    লক্ষ্মীপুরে উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি: সেতুুুমন্ত্রী 

    অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : ফেনী ও নোয়াখালীর তুলনায় লক্ষ্মীপুরে তেমন কোন উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়নি। সড়ক বিভাগধীন ৩ টি প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে লক্ষ্মীপুরবাসীর দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হবে’ বলে মন্তব্য করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তিনটি প্রকল্প নির্মাণকাজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনী বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন-‘দলের নাম ভাঙ্গিয়ে যদি কেউ নমিনেশন বাণিজ্য বা কোন ধরনের অপকর্ম করে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ৫০টি উন্নয়নের সুনাম নষ্ট হয় একজন দলীয় লোকের খারাপ আচরণে। দলের সুনাম নষ্ট হয় এমনকর্মী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান না। তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে।’

    ওবায়দুল কাদের এ সময় লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর হস্তে অপরাধীদের দমন করতে বলেন।

    লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাজার রোড প্রশস্তকরণ, চন্দ্রগঞ্জ থানার মান্দারী দিঘলি রোডের মান্দারী সেতু, দিঘলি সেতু, মন্ডলতলি সেতু ও আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল হতে ভোলা-বরিশাল সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কনফারেন্স রুম থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরাসরি উদ্বোধন করা হয়।

    নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত দাসের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন সাবেক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল এমপি, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসেন আকন্দ, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল কবীর প্রমুখ।

    বাস্তবায়নাধীন তিনটি প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে মোট-৫১৮ কোটি টাকা। সাবেক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন-‘সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে, উন্নয়ন টেকসই করতে হবে। ছয় মাস পর কাজ নষ্ট হয়ে যায় এমন উন্নয়ন করার চেয়ে না করাই ভালো। আপনারা কাজের মান ভালো করার দিকে নজর রাখবেন।’

    সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উদ্বোধনী বক্তব্যে চৌমুহনী থেকে রায়পুর সড়ক ফোর লেন করার বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও জনপথ অধিদপ্তরের সচিবকে নির্দেশনা দেন।

  • লক্ষ্মীপুরে শীতার্ত মানুষের খোঁজে ওসি

    লক্ষ্মীপুরে শীতার্ত মানুষের খোঁজে ওসি

    অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : পৌষের কনকনে শীত উপেক্ষা করে গভীর রাতে শীতার্ত মানুষকে খুঁজে কম্বল বিতরণ করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।

    লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে গভীর রাতে ছিন্নমূল ও শীতার্ত মানুষ খুঁজে তাদের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দেন থানার ওসি আবদুল জলিল। রবিবার দিবাগত রাতে পৌর শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে শীতার্তদের মাঝে বেশকিছু কম্বল বিতরণ করেন তিনি।

    শীতে ছিন্নমূল ও শীতার্ত মানুষের দুর্ভোগ এবং কষ্টের কথা চিন্তা করে নিজ উদ্যোগে শহরের বাসষ্ট্যান্ড, মহিলা কলেজ মোড়, সরকারি হাসপাতাল এলাকা, মুড়ি হাটা, নতুন বাজার, পৌর কার্যালয়ের সামনে, পেট্রোলপাম্প এলাকায় ঘুরে ঘুরে ছিন্নমূল ও শীতার্ত মানুষের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দেন রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল। এ সময় তার সাথে থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    ওসি আবদুল জলিল বলেন-‘ছিন্নমূল ও শীতার্ত মানুষের দূর্ভোগ ও কষ্টের কথা চিন্তা করে বিবেকের তাড়নায় গত কয়েক রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পথে ঘাটে শুয়ে থাকা বেশ কিছু মানুষকে কম্বল দিয়েছি।’

    এসময় তিনি সমাজের বিত্তবানদেরকেও অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।

    এছাড়াও ওসি আবদুল জলিল রায়পুরে যোগদানের পর থেকে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমসহ বিভিন্ন মানবিক কাজের জন্য ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন।

    এ প্রতিবেদককে সাথে আলাপকালে তিনি বলেন-‘আমি চাই কোন অসহায় মানুষ যেন এই শীতে কষ্ট না পায়। সাধ্য থাকলে আমি কম্বল বিতরণ এর কার্যক্রম অব্যাহত রাখতাম।’ তবে ভবিষ্যতে কিছু ভিন্নধর্মী চিন্তাভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন।

  • লক্ষ্মীপুর-হাজিগঞ্জ ও গৌরীপুর জেলা সড়ক ২টি আঞ্চলিক মহাসড়কে উন্নীত হতে যাচ্ছে

    লক্ষ্মীপুর-হাজিগঞ্জ ও গৌরীপুর জেলা সড়ক ২টি আঞ্চলিক মহাসড়কে উন্নীত হতে যাচ্ছে

    অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিনিধি : লক্ষ্মীপুরের বাগবাড়ি হতে উৎপন্ন পালেরহাট কালিবাজার মীরগঞ্জ রামগঞ্জ ফকির বাজার চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ হয়ে কুমিল্লার কচুয়া গৌরীপুর পর্যম্ত জেলামহাসড়ক দুইটিকে একত্রিকরণ করে ‘আঞ্চলিক মহাসড়কে’ উন্নীত হতে যাচ্ছে। এতে করে ঢাকামুখী যানবাহনগুলো স্বল্প সময়ে এই সড়কে রাজধানীর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবে।

    গেলো বছরের নভেম্বরের ২৬ তারিখে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির পিটিশন বিভাগের সদস্য ও চাঁদপুর-১ আসনের সাংসদ ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর প্রেরিত বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ হতে প্রাপ্ত ডিওপত্রে অত্র জেলা সড়ক দুইটির গুরুত্বারোপ করেন। এ পত্রের আলোকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মহাসড়ক বিভাগ পরিকল্পনা শাখার (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) উপসচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক ৮ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগকে পরিপত্রের মাধ্যমে সড়কটির উপর টেকনিক্যাল সার্ভে রিপোর্টসহ পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব প্রেরণের নির্দেশ দেন।

    জেলা মহাসড়ক থেকে আঞ্চলিক মহাসড়কে উন্নীতকরণ করা হলে বর্তমান ১৮ ফুটের সড়ক ২৪ ফুটে উন্নীতকরণ করা হবে।

    সড়ক ও জনপদ বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী ড.মোহাম্মদ আহাদ উল্লাহ বলেন-‘আমরা চিঠি পাওয়ার পর টেকনিক্যাল রিপোর্টসহ পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাবনার পাইল মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছি। ফাইল পাস হয়ে এলে দ্রুতই আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নীতকরণ কাজ শুরু হবে।

    লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের সহকারি প্রকৌশলী মোঃ মোজাম্মেল হক(২) বলেন-‘আঞ্চলিক মহাসড়ক করনের বিষয়ে চিঠি পেয়ে আমি সড়ক পরিদর্শন করেছি। লক্ষ্মীপুর অংশের ৩৮ কিলোমিটার সড়কে আঁকাবাঁকা বেশি । আমাদের প্রস্তাবনায় আমরা সড়কের আঁকাবাঁকা গুলোর ‘যেসব স্থান অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ’ সেগুলোকে সহজীকরণ করার বিষয়ে প্রস্তাবনা করেছি।’

    আঞ্চলিক মহাসড়ক হলে উপকূলীয় জনপদ লক্ষ্মীপুরবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হবে এবং রাজধানী ঢাকার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সুগম হবে। একদিকে জরুরী রোগী পরিবহন যেমন সহজ হবে তেমনি এতদঞ্চলের কাঁচা শাকসবজি আমদানি-রপ্তানিতে সময় ও খরচ কম লাগবে।

  • লক্ষ্মীপুরে দুই’শ ভূমিহীন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর জমির দলিলসহ ঘর উপহার

    লক্ষ্মীপুরে দুই’শ ভূমিহীন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর জমির দলিলসহ ঘর উপহার

    অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুই’শ ভূমিহীন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জমির দলিলসহ ঘর উপহার দিলেন । মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীনদের গৃহ হস্তাস্তর অনুষ্ঠান লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে শনিবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠান শুরুতে ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের গৃহ হস্তাস্তর অনুষ্ঠান শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ’র সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম’র পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার ড. এ. এইচ. এম কামরুজ্জামান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একে এম সালাহ উদ্দিন টিপু প্রমুখ।

    এসময় আরো বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোহাম্মদ সফিউজ্জামান ভুঁইয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. শাহিদুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মামুনুর রশিদ, জাকির হোসেন ভৃঁইয়া আজাদ প্রমুখ।

    পরে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ভূমিহীন ও গৃহহীন ৬৫ জন এবং সদর উপজেলার চর রমণী মোহন ইউনিয়নের জেগে উঠা চর মেঘার জান্নাতুল মাওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২৪টি ব্যারাকে ১২০ পরিবারকে জমি, ঘরের চাবিসহ অন্যান্য উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।

    জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার ৬৫ জনসহ জেলার মোট ২০০ ভূমিহীন ও গৃহহীনদের গৃহ হস্তান্তর করা হয়।

  • লক্ষ্মীপুরে ইটভাটা শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

    লক্ষ্মীপুরে ইটভাটা শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

    অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে রাস্তার পাশে গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় কাশেম আলী (২৭) নামে এক ইটভাটা শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের আন্দার মানিক এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধারের পর লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এদিকে ইটভাটা শ্রমিককে হত্যার পর গলায় মাফলার পেঁছিয়ে মৃতদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ নিহতের স্বজনদের।

    নিহত কাশেম আলী সদর উপজেলার তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের আন্দার মানিক গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। সে জসিম ব্রিকস্ নামে স্থানীয় একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতো।

    স্থানীয় ও নিহতের স্বজনরা জানায়, গত কয়েকদিন স্থানীয় জসিম ব্রিকস ফিল্ডে ইট তৈরির কাজ শেষে সোমবার ভোরে বাড়ি ফিরছিলেন শ্রমিক কাশেম আলী। সকালে আন্দার মানিক এলাকায় বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছালে কে বা কাহারে তাকে হত্যার পর রাস্তার পাশে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। এসময় তার হাটু মাটির সাথে লেগে ছিলো। পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

    স্থানীয় তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান ইবনে ওমর হোসাইন ভুলু বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধারের পর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যা না আত্মহত্যা এখনি সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছে না। ময়না তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    নিহতের বাড়িতে চলছে আহাজারি। দূরদূরান্ত থেকে মানুষজন ছুটে আসছেন এমন মর্মান্তিক খবর শুনে।

  • লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ৪ মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল

    লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ৪ মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল

    অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : পৌরসভা নির্বাচনে চতুর্থ ধাপে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণা অনুযায়ী মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন রবিবার। এদিন মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিতসহ ৪জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন বলে নির্বাচন অফিস সূত্রে গেছে।

    করোনা পরিস্থিতির ভেতরেও দলবল নিয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী শাহেদ আলী পটু ও ১১টায় আওয়ামী লীগের মেজবাহ উদ্দিন মেজু, এরপর জাতীয় পার্টির আলমগীর হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী আব্দুল্ল্যাহ উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে তাদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন।

    এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিলর পদের প্রার্থীরাও উৎসব মুখর পরিবেশে তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন বলে জানান উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হেকমত আলী।

    নির্বাচন কর্মকর্তা আরো জানান পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রামগতি পৌরসভায় ভোটারদের মাঝে বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। তবে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী শাহেদ আলী পটু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী আব্দুল্লাহ আপন দুই ভাই।

    বিভিন্ন লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে আপন দুই ভাই দীর্ঘদিন থেকে পৌর নির্বাচনে লড়বেন বলে জনসংযোগ করে আসছিলেন।

  • বেলুন বিক্রি করে সাতসদস্যের সংসার চলে

    বেলুন বিক্রি করে সাতসদস্যের সংসার চলে

    অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : বেল্লাল হোসেন ছয় বছর ধরে বেলুন বিক্রি করে। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তৃতীয় সে। বাবা আজগর হোসেন কৃষিকাজ করেন, মা গৃহিনী। স্কুল বন্ধ থাকায় ছোট আরো দুই ভাই তার সাথে বেলুন বিক্রি করে। প্রতিটি বেলুন ৫০ টাকা করে বিক্রি হয়।

    জনবহুল স্থানে ঘুরে ফিরে বেলুন বিক্রি করে বেল্লাল। তবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হলে একটু ভালো বিক্রি হয়। ছোট ছোট বাচ্চা ছেলেমেয়েদের টার্গেট করে সে স্থানে ঘুরঘুর করে মনোহারী বেলুন নিয়ে। কোন অনুষ্ঠান বা সভা-সেমিনার না থাকলে হাসপাতাল এলাকায় বেলুন নিয়ে যায়। সেখানে রোগী ও দর্শনার্থীদের সাথে ছোট ছোট বাচ্চাছেলেমেয়েরা আকৃষ্ট হয় নানা রঙের, নানা ডিজাইনের বেলুন দেখে। হাতি, ঘোড়া, মাছ, বিমান, পাখি ও কুকুরসহ নানা বন্য পশু পাখির অবয়বে তৈরি হয় বেলুন। হাওয়া ও গ্যাস দুই ধরনের বেলুন হয়, তবে গ্যাসভর্তি উড়ন্ত বেলুনের চাহিদা ভালো। প্রতিদিন তিন ভাই মিলে প্রায় আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকার বেলুন বিক্রি করে।

    প্যাকেট বা কার্টুন হিসেবে হাওয়া বা গ্যাসহীন খালি বেলুন কিনে বেল্লাল বাড়িতে বা সুবিধামতো স্থানে বসে গ্যাস ভর্তি করে তারপর বিভিন্ন স্থানে ফেরি করে বিক্রি করে।

    হাসপাতাল ছাড়াও দক্ষিণ ও উত্তর তেমুহনী, কোর্ট এলাকা, বিজয় চত্তর, বাজারের কসমেটিক ও শাড়ি পট্টি, স্কুলের গেটে দাঁড়িয়ে বা হেঁটে হেঁটে বেলুন বিক্রি করা হয়। অভিভাবকদের অনিচ্ছাসত্ত্বেও বাচ্চাদের কান্নাকাটিতে ৫০ টাকা দিয়ে বেলুন কিনতে বাধ্য হয়। দেখা গেছে বেলুন কিনে একটু সামনে যেতেই পলিথিন আবৃত বেলুন লিকেজ হয়ে গ্যাস উদাও। স্বল্প সময়ের জন্য মনোহর বেলুন বিক্রি করে সাত সদস্যের পরিবার বেশ ভালোই চলছে।

    বেলালের বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদরের জকসিন বাজার এলাকায়।

  • কৃষকেরা না জানলেও অ্যাপস’র মাধ্যমে আমন ধান সংগ্রহ শুরু

    কৃষকেরা না জানলেও অ্যাপস’র মাধ্যমে আমন ধান সংগ্রহ শুরু

    অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : কৃষকেরা না জানলেও অ্যাপসের মাধ্যমে আমন ধান সংগ্রহ শুরু করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুরে প্রথম বারের মত অনলাইন অ্যাপস ‘কৃষকের অ্যাপস্’ এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ আমন ধান সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

    এ বছর অ্যাপসে’র মাধ্যমে সদর উপজেলার নিবন্ধিত ১ হাজার ২৩২ জন কৃষকের কাছ থেকে ৩৫৬ মেট্ট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে। তবে অসচেতনতার কারণে এখনও বহু কৃষক থেকে বঞ্চিত হবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা ধারণা করছেন এই কৃষক অ্যাপস এর কারণে বহু কৃষক বাদ পড়ে যাবেন নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হয়ে।

    মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ে ফিতা কেটে এর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল। এ ধান সংগ্রহের কার্যক্রম চলবে আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত।

    লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মংখ্যাই, ধান সংগ্রহ কমিটির সদস্য ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উল্যাহসহ খাদ্য নিয়ন্ত্রণ বিভাগের কর্মকর্তা ও কৃষকবৃন্দ।

    খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুরে এবার অনলাইন মাধ্যম কৃষকের অ্যাপস্ এর মাধ্যমে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুর পৌরসভা ১০৩ জন কৃষক সহ ২১টি ইউনিয়নের ১ হাজার ২৩২ জন প্রান্তিক কৃষক এ অ্যাপস্ এ নিবন্ধন করা হয়। এতে (প্রতি কেজি ২৬ টাকা) মন প্রতি ১ হাজার ৪০ টাকা হারে ৩৫৬ মে.ট্রন ধান সংগ্রহ করা হবে। প্রতি কৃষক সর্বনিম্ন ১২০ কেজি থেকে শুরু করে ৬ মে.টন পর্যন্ত আমন ধান খাদ্য নিয়ন্ত্রণ বিভাগের কাছে বিক্রি করতে পারবেন। এর আগে গত ২০ নভেম্বর পর্যন্ত কৃষি বিভাগ ও খাদ্য নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পক্ষ থেকে যৌথভাবে কৃষকের অ্যাপস্ এ লক্ষ্মীপুরের প্রান্তিক কৃষকদের নিবন্ধণ কার্যক্রম ও সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা করা হয় বলে জানানো হয়।

    জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল জানান, কৃষকই বাংলাদেশের জিডিবিতে অবদান রাখছে। তাই কৃষকের ন্যায্য দাম মিটিয়ে দিতে সরকার এ অ্যাপস ভিত্তিক ধান সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেছে। এতে প্রকৃত কৃষকই সুবিধা পাবেন। এজন এর আগে প্রকৃত কৃষক নির্বাচন করে এ অ্যাপস্ এ নিবন্ধন করা হয়। ধান সংগ্রহের সাথে সাথেই অ্যাপস এর মাধ্যমে হয়রানি ছাড়াই কৃষকের ব্যাংক একাউন্টে ন্যায্য দাম পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

    সচেতন মহল দাবি করেন এই অ্যাপসের এখনো প্রচার-প্রচারণা না থাকায় তৃণমূল পর্যায়ে কৃষকদের মাঝে তেমন সচেতনতা সৃষ্টি হয়নি। এতে করে কৃষক তাদের ন্যায্য পাওনা ভিত্তিক ধান বিক্রয় থেকে অনেকে বঞ্চিত হবেন বলে ধারণা করছেন।

    কৃষক অ্যাপসটি সঠিক প্রচার প্রচারণা ও এর যথাযথ ব্যবহার বিধি যদি প্রচারণা করা হয় তাহলে অনেক কৃষকই এই কৃষি অ্যাপস এর আওতায় আসবে বলে মনে করছেন কৃষকেরা।

  • লক্ষ্মীপুরে জেঁকে বসেছে শীত, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগী বাড়ছে

    লক্ষ্মীপুরে জেঁকে বসেছে শীত, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগী বাড়ছে

    অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে জেঁকে বসেছে শীত। গত কয়েক দিনের তুলনায় গতকাল থেকে প্রচুর শীত পড়ছে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরে।

    চলছে বৈরী আবহাওয়া। ঠান্ডায় লক্ষ্মীপুরে বেড়ে চলছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালই নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৫শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। ২শতাধিকের বেশি ভর্তি হয়েছে।

    উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর চিত্র একই। আক্রান্তদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া প্রতিরোধে অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার খুবই জরুরী।

    লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতাল ১০০ শয্যার। দিনে প্রচন্ড গরম আর রাতে ঠান্ডার কারণে প্রতিদিন নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে ভিড় করছেন। আক্রান্ত হয়ে জরুরী বিভাগে ৭০/৮০ শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। এর মধ্যে ২৫/৩০জন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে গত এক সপ্তাহে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় ৫শতাধিক রোগী। এর মধ্যে দুই শতাধিক শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগীর অনুপাতে হাসপাতালে বেড না থাকায় চিকিৎসা নিতে হাসপাতালের মেঝেতে অবস্থান নিয়েছেন রোগীরা। এছাড়া প্রতিবেডে এক শিশুকে চিকিৎসা দেয়ার কথা থাকলেও বেড না থাকায় দুই শিশুকে এক বেডে থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এতে করে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগী ও স্বজনদের। এছাড়া কমলনগর, রামগতি, রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও ভর্তি হচ্ছে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীরা। পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স না থাকায় এসব রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।

    রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, ভর্তির পর হাসপাতাল থেকে তাদের খাবার স্যালাইন ও সামান্য কিছু ঔষধ দেয়া হয়। বাকী ঔষধ বাহির থেকে কিনতে হয়। এছাড়া তেমন চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেন তারা। প্রতিদিনই ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েইন চলছে। তবে প্রতিবেডে এক শিশুকে চিকিৎসা দেয়ার কথা থাকলেও বেড না থাকায় দুই শিশুকে এক বেডে থেকে এবং মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এতে করে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।

    এবিষয়ে লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন ডাক্তার আব্দুল গাফফার চৌধুরী জানান, অন্যান্য মাসের তুলনায় গত কয়েকদিন যাবত ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। দৈনিক ২৫/৩০ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত ঔষধ সরবরাহ থাকলেও জনবল সংকটের কারণে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

    জেলায় ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। ঠান্ডা-গরমের কারনে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ বেড়েই চলছে। প্রতিনিয়ত করা হচ্ছে মনিটরিং। সাধ্যমতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া প্রতিরোধে অভিবাকদের সচেতন হওয়ার জন্য বললেন এ কর্মকর্তা।

    হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সীমাহীন দুর্ভোগ। এই ঠান্ডার ভিতর মেঝেতে শুয়ে তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন জীবন বাঁচানোর জন্য, তদুপরিও হাসপাতাল থেকে কার্যত ব্যবস্থা জনবল সংকট দেখিয়ে গ্রহণ করা হচ্ছে না।