Tag: লক্ষ্মীপুর

  • লক্ষ্মীপুরে ছাদে পানির সুইচ দিতে গিয়ে স্কুলছাত্রী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট

    লক্ষ্মীপুরে ছাদে পানির সুইচ দিতে গিয়ে স্কুলছাত্রী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট

    লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে-দ্বিতলা ভবন থেকে পড়ে যাওয়া ভাবনা আক্তার (১২) নামের শিশুটি মারাত্মক জখম হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মৃত্যুশয্যায় রয়েছে শিশুটি। ঘটনাটি ঘটেছে আজ সকালে উপজেলার উত্তর চরআবাবিল ইউপির হায়দরগন্জ বাংলাবাজার এলাকায়। বিকালে উত্তেজিত এলাকাবাসী ওই ভবনটির সামনের অংশ ভাংচুর করে পুলিশ ও জনপ্রতিনিধির কাছে উপযুক্ত বিচার দাবি করে।

    আহত বামনা আক্তার উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের হায়দরগঞ্জের বাংলাবাজার এলাকার হুমায়ুন কবির বাচ্চুর মেয়ে ও বন্ধন একাডেমীর ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী।।

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে বন্ধন একাডেমির পাশের ভবনে মক্তব পড়তে যায় ভাবনা। ছুটি শেষে শিক্ষকের নির্দেশে সহপাঠি মোহনার সাথে ওই ভবনে ছাদে পানির লাইন চালু করতে উঠে। এসময় মোহনার অগোচরে ভাবনা প্রবাসী বাবুল মাঝির দ্বিতলা ভবনের ছাদে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নীচে পাকা রাস্তায় পড়ে যায়। এতে তার শরীরের অর্ধেক অংশ পুড়ে যায় ও মাথায় মারাত্নক জখম হয়। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। কিশোরি মেয়েটির অবস্থা আশংকাজনক।

    উল্লেখ্য-গত এক বছরের মধ্যে এক রাজমিস্ত্রি মাহবুব ওই দ্বিতলা ভবনের কাজ করতে গিয়ে ও ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রী সায়েমও খেলা করতে গিয়ে বিদ্যুত স্পৃষ্ট হয়ে নীচে পড়ে মারাত্নক আহত হয়েছিলো। পরে চিকিৎসা খরচ ও জরিমানা দিয়ে মামলা থেকে রক্ষা পায় ভবন মালিক বাবুল মাঝি। কিন্তু শালিসদার ও বিদ্যুত কর্তৃপক্ষের নির্দেশের পরেও ওই ভবনের অতিরিক্ত অংশ ভাঙ্গে নি। যার কারনে আজকের এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।

    এঘটনায় ভবন মালিকের ছেলে ফারুক মাঝি মোবাইলে জানান, ভবন নির্মানের সময় সামনের অংশ বাড়তি করায় ভুল হয়েছে। আহত স্কুল ছাত্রীর চিকিৎসার সকল খরচ বহন করছি। স্থানীয়ভাবে বৈঠক বসে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

    রায়পুর পল্লী বিদ্যুতের হায়দরগঞ্জ শহর কার্যালয়ের ইনচার্জ লুৎফুর রহমান বলেন, ওই ভবনটি করার আগেই বিদ্যুত লাইন সংযোগ দেয়া হয়েছে। দুই ভবনের মালিককে তাদের ভবনের সামনের অংশ ভেঙ্গে ফেলতে বললেও তারা শুনেনি। আমরা আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

    রায়পুরের হায়দরগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ জাহাঙ্গীর বলেন, খবর পেয়েছি শিশুটি ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থা আছেন। তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/আকাশ

  • লক্ষ্মীপুরে পৃথক ঘটনায় দুই স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার

    লক্ষ্মীপুরে পৃথক ঘটনায় দুই স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার

    অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে রহিমা আক্তার লামিয়া (১০) নামে এক স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।গতকাল সন্ধ্যায় উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের আব্দুর রহিমের বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

    অপর দিকে রায়পুর উপজেলার ২ নং উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের উত্তর চরবংশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শেণীর স্কুল ছাত্রী ডালিয়া আক্তারের মাথায় পতাকার স্টান্ড ভেঙে পড়ে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর বাবা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিকে বিবাদী করে মামলা করেছেন।

    এদিকে লামিয়ার মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে দুপুরে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। নিহত লামিয়া একই এলাকার আবদুর রহিমের মেয়ে ও পশ্চিম চরকাদিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।

    পুলিশ জানায়, লামিয়া বিকেলে দোলনায় খেলছিলেন। ওই সময় দোলনার রশি গলায় ফাঁস লেগে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কেউ কেউ বলছেন লামিয়া বাবা-মার সাথে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

    কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল আবছার জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।

    অপরদিকে রায়পুরে ৪র্থ শেণীর স্কুল ছাত্রী ডালিয়া নিহতের ঘটনায় প্রধান শিক্ষিকা ও সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    বুধবারে নিহত স্কুলছাত্রীর বাবা উত্তর চরবংশী ইউপির সাবেক সদস্য টিটু কবিরাজ বাদি হয়ে এই মামলা করেন।

    উল্লেখ্য, গত ৪ অক্টোবর জাতীয় পতাকার ঝরাজীর্ণ ষ্ট্যান্ড ভেঙ্গে ৪র্থ শ্রেণীর মেধাবি ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদাউস ডালিয়া গুরুত্বর জখম হয়। তাকে উদ্ধার করে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লক্ষ্মীপুর এবং নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল হয়ে ঢাকায় একটি হাসপাতালে উঠার সময় রাত ১১টা ২৫ মিনিটে সে মারা যায়।

    মামলার এজাহারে জানা যায়, ৩০৪ এর ৩৪ প্যানাল কোড ১৮৬০ অবহেলা জনিত মৃত্যু ও সহায়তার অভিযোগে উত্তর চরবংশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জেসমিন আক্তার ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবু তাহের মাষ্টার-সহ অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে মামলা দায়ের করা হয়।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক ও অভিভাবক জানান, শিশুটি নিহতের ঘটনায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কারণ দর্শানো একটি নোটিশ দিয়েই কোন দায়িত্ব শেষ করেছেন। এছাড়াও স্কুল চলাকালিন সময়ে সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে কোচিং বাণিজ্য, গাইড বই বাণিজ্য, আল্পনা আক্তার নামে এক শিক্ষিকার বদলি, শিক্ষক না হয়েও মহিলাকে শিক্ষকের স্বামীকে দিয়ে পাঠদান করাসহ বেতন আত্মসাৎ ও স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পরোক্ষভাবে দায়ী প্রধান শিক্ষিকা জেসমিন আক্তার। জেলা ও উপজেলার কর্মকর্তারা পরিদর্শন পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিলেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নেয়নি।

    নিহত ছাত্রীর পিতা টিটু কবিরাজ আরো জানান, প্রধান শিক্ষিকা জেসমিন আক্তারের অনিয়মের সুযোগ করে দিয়েছেন শিক্ষা কর্মকর্তারা। তাদের নির্দেশই জেসমিন আক্তার প্রধানমন্ত্রীর ও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অমান্য করে নানা অনিয়ম ও দুর্ণীতি করে চলেছেন। শিক্ষা কর্মকর্তাদের যোগসাজশে স্কুলের স্লিপ ফান্ডের টাকাও আত্মসাৎ করেছেন। সংস্কারের বাৎসরিক অনুদান পেলেও তার কোনটিই খরচ করেননি বলে তিনি জানান।

    ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জেসমিন আক্তার পলাতক থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইলে কল করলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

    উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কেএম মোস্তাক আহম্মেদ জানান, করোনার মধ্যে স্কুল বন্ধ থাকলেও স্কাউটের তালিকা করতে ওই গ্রুপের নিহত শিক্ষার্থীসহ কয়েকজনকে স্কুলে ডেকে আনেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • লক্ষ্মীপুরে গাঁজাসহ গ্রেপ্তার-২

    লক্ষ্মীপুরে গাঁজাসহ গ্রেপ্তার-২

    লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে শুক্রবার বিকেলে ১ কেজি গাঁজাসহ ২ ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর পুলিশ ফাঁড়ীর এসআই কাউসার, এস আই মহিউদ্দিন এবং এএসআই এমরান অভিযান চালিয়ে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ডস্থ ইটেরপোলের কৈরশ হাজী বাড়ী থেকে গাঁজাসহ ব্যবসায়ী তাহেরা বেগম ও কবির হোসেনকে হাতেনাতে গাঁজাসহ গ্রেপ্তার করে। কবির প্রকাশ গাঁজা কবির পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের দোখলার বাড়ির বাসিন্দা।

    গাঁজা কবির ও তাহেরা বেগম দীর্ঘদিন যাবৎ গাঁজাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য বেচাকেনা করে আসছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর ফাঁড়ী পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/আকাশ

  • লক্ষ্মীপুরে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ৩ জনকে পিটিয়েছে বখাটে

    লক্ষ্মীপুরে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ৩ জনকে পিটিয়েছে বখাটে

    অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
    ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ৩ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে বখাটে ও তার লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুর সদরের চর রমণীমোহন ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ভাঙ্গারপুল নামক স্থানে।

    জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় ফার্নিচার মিস্ত্রী আবুল হোসেন গাজীর কিশোরী কন্যা(১৫)কে ৩ নং ওয়ার্ডের গাজী বাড়ির মালিক গাজীর বখাটে ছেলে রিয়াজ গাজি(২০) দীর্ঘদিন ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিশোরী মেয়েটির পরিবার বেড়িরপাশে থাকায় বেড়ির উপর দাঁড়িয়ে বখাটে রিয়াজ হোসেন রাত-বিরাতে অশ্লীল ভাষা ও কুরুচিপূর্ণ ইঙ্গিত করে আসছিল। এই নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইয়াকুব সরকার ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একাধিক সালিশ বৈঠক হয়েছে তথাপিও মালেক গাজীর বখাটে ছেলে কিশোরীটিকে তুলে নেয়ার লাগাতার হুমকি, ঘরে ঢিল মারা ও অর্ধউলঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকাসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে।

    শনিবার দুপুরের পরে কিশোরী মেয়েটিকে একা ঘরে পেয়ে বখাটে রিয়াজ হোসেন ওড়না দিয়ে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় মেয়েটির আত্মচিৎকারে তার মা শিল্পী আক্তার এগিয়ে এলে বখাটে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

    শিল্পী আক্তার বখাটে রিয়াজের মায়ের কাছে ঘটনাটি জানাতে গেলে বখাটে রিয়াজের বাবা মালেক গাজী(৫৫), এরশাদ (২৩) ও স্থানীয় জাহাঙ্গীর সর্দারের ছেলে মিলন(২২) সহ শিল্পী আক্তারের উপর হামলে পড়ে। খবর পেয়ে শিল্পী আক্তারের বৃদ্ধ বাবা হোসেন খালাসী (৬০) ও মা দেলোয়ারা বেগম (৫৫)এগিয়ে এলে তাদেরকেও বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

    ধর্ষণ চেষ্টা ও মারধরের বিষয়ে মালেক গাজীর সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

    এনিয়ে আহত শিল্পী আক্তারের স্বামী মোঃ আবুল হোসেন গাজী বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

    এই বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এ কে এম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন -‘অভিযোগ পেলে ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • লক্ষ্মীপুরে ৩ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

    লক্ষ্মীপুরে ৩ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

    লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে তিন হাজার পিস ইয়াবাসহ দুই ইয়াবা ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে লক্ষ্মীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে জেলার বিভিন্নস্থানে ইয়াবা কারবার করে আসছে বলে গোয়েন্দা বিভাগ জানায়।

    গোয়েন্দা বিভাগ লক্ষীপুরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম ফজলুল হকের নেতৃত্বে এসআই মোঃ এহ্তেশামুল হক, এএসআই বাকের হোসেন, এএসআই মো: সুলতান মাহবুব গোপন সংবাদের সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার রাতে সদর দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের গঙ্গাপুর গ্রামের জমার্দার বাড়ির সামনে থেকে তিন হাজার পিস ইয়াবাসহ মোঃ ইসমাইল হোসেন ও দুলাল হোসেন নামের দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করে।

    মোঃ ইসমাইল হোসেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৩ নং দালাল বাজার ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামের কাজিমুদ্দিন ব্যাপারী বাড়ির মৃত রাহাতুল্লাহর ছেলে ও দুলাল হোসেন একই এলাকার নুর মিয়া বেপারী বাড়ির তাজুল ইসলামের ছেলে।

    গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ‘ইসমাইল ও দুলাল চিহ্নিত মাদক কারবারি। তারা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে জেলার রামগঞ্জ, রায়পুর, বাসাবাড়ি, হায়দারগঞ্জ, হাজিমারা, খাসেরহাট, মোল্লারহাট, রাখালিয়া, মাতাব্বরহাট, দালাল বাজার, খায়ের হাট, কাজির দিঘীর পাড়, চৌধুরী বাজার, পানপাড়া, কালিবাজার, পালেরহাট, মজুচৌধুরী হাট সহ বিভিন্ন স্থানে মাদক সরবরাহ করে আসছিল।’

    ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে ইসমাইল জানিয়েছে “-ইসমাইলের ভগ্নিপতি একাধিক মামলার আসামী মোঃ জহির হোসেন ও তার বোন মরিয়ম বেগম কুট্টি অপর আরেক ভাই সাহাব উদ্দিন মাদক বিক্রি করে আসছে।” গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে তিন হাজার পিস ইয়াবাসহ ইসমাইল ও দুলালকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা বিভাগ ডিবি।

    জিজ্ঞাসাবাদে ইসমাইল আরো জানিয়েছে -সে তার ভগ্নিপতি জহির হোসেন, বোন মরিয়ম বেগম কুট্টি, অপর আরেক ভাই শাহাবুদ্দিনসহ দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে জেলার বিভিন্ন স্থানে গোপনে ইয়াবা বিক্রি করে আসছে। বোন মরিয়ম বেগম কুট্টি ও ভগ্নিপতি জহির হোসেন কয়েকবার ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়ে জেল খাটলেও ইসমাইল এই প্রথম ধরা খেয়েছে বলে ডিবিকে জানায়। তাদের একাজে স্থানীয় মেম্বার সহযোগিতা করছে ও মাসিক চাঁদা নিচ্ছে বলেও গোয়েন্দা বিভাগকে জানিয়েছে মাদক ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন।

    এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম ফজলুল হক বলেন-” একটা মাদক সিন্ডিকেট জেলাকে নরকে পরিণত করছে, যুব সমাজকে বিপথগামী করছে, ধ্বংস করে দিচ্ছে মরণনেশা ইয়াবার মাধ্যমে। আমরা গোপন সংবাদের মাধ্যমে ইসমাইল ও দুলাল নামের দুই মাদক ব্যবসায়ীকে তিন হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

    গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে চালান দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • লক্ষ্মীপুরে পৈতৃক সম্পত্তি বিরোধে বড় ভাই ভেঙে দিল ছোট ভাইয়ের হাত

    লক্ষ্মীপুরে পৈতৃক সম্পত্তি বিরোধে বড় ভাই ভেঙে দিল ছোট ভাইয়ের হাত

    লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে আপন বড় ভাই ভেঙে দিল ছোট ভাইয়ের হাত। ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানার রামনগর গ্রামে।

    ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, রামনগর গ্রামের ৩নং ওয়ার্ডের কালার বাড়ির মৃত কালা মিয়ার ছেলে হাফিজুল্লাহ (৬৬) তার আপন ছোট ভাই শফিক উল্লাহ (৬৫)কে পৈতৃক জমিজমা বিষয়ক পূর্ব বিরোধের জের ধরে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় হাফিজুল্লাহ ভারী কাঠের টুকরো দিয়ে শফিকুল্লাহর মাথায় বাড়ি দিলে বাম হাত দ্বারা সে বাড়ি প্রতিহত করলে বাম হাতের কব্জি ভেঙে যায়।

    হাসপাতালে শয্যাশায়ী শফিকুল্লাহ জানান, হাফিজুল্লাহ সব সময় ছেনি, লোহার রড, লাঠি নিয়ে আমাকে মারতে তেড়ে আসে। আমি দৌড়ে পালিয়ে যাই। আজ পালাতে না পারায় এলোপাতাড়ি মেরে হাত ভেঙ্গে দেয়।

    এই নিয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় শফিকুল্লাহ বাদী হয়ে হাফিজুল্লাহ ও তার স্ত্রী দেলোয়ারা বেগমকে বিবাদী করে অভিযোগ দায়ের করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • লক্ষ্মীপুরে যুবতীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা;আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা

    লক্ষ্মীপুরে যুবতীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা;আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা

    লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার ৬ নং কেরোয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের লুধুয়া গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির মৃত সিরাজুল্লাহ’র কনিষ্ট মেয়ে ফাতেমা আক্তারের মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি করছে একটি চক্র। পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে এ চক্রটি। ফাতেমা আক্তারকে হত্যা করার সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে ময়না তদন্ত রিপোর্টে। তবুও এই হত্যাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে খুনীদেরকে আড়াল করার জন্য একটি চক্র উঠেপড়ে লেগেছে।

    এ বছরের জুলাই মাসের ১৯ তারিখে ফাতেমা আক্তারকে একা ঘরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়। এতে ব্যর্থ হয়ে মৃত ফাতেমা আক্তারকে বিছানায় শুইয়ে রাখে হত্যাকারীরা। পরে একে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় খুনিরা!

    খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রায়পুর থানার পুলিশ এসে সুরতহাল সংগ্রহ করে লাশ নিয়ে যায়। ৪২ দিন পর ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসে, ফাতেমা আক্তারের মাথায় জখম করে ও শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়।

    নিহত ফাতেমা আক্তারের বোন সারাবান তহুরা প্রকাশ বৃষ্টি বাদী হয়ে রায়পুর থানায় ৩০২/৩৪ ধারায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নাম্বার ৩৮ তাং২৯/০৮/২০২০. এতে করে রায়হান নামের এক আসামিকে রায়পুর থানা পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। বাকি আসামিরা পালিয়ে রয়েছেন।

    হত্যা মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নিহত ফাতেমা আক্তারের পরিবারের সাথে পাশের ঘরের চাচাতো ভাই রায়হান (২৬) পিতা শরীফ ভূঁইয়া, রহিমা বেগম (৫৫) স্বামী শরীফ ভুইয়া, শারমিন আক্তার (২৪) স্বামী মোঃ মানিক ভূঁইয়া, মো: ইয়াসিন (২০) পিতা শরীফ ভূঁইয়াকে আসামি করা হয়।

    এদের সাথে পূর্ব থেকে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় ও জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। রায়হান ও তার পরিবার প্রায় সময় পূর্ব বিরোধের কারণে বিভিন্ন সময়ে ফাতেমা আক্তারের পরিবারের লোকজনের সাথে খারাপ আচরণ ও ক্ষতি করার হুমকি দিত বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

    ময়নাতদন্ত রিপোর্টে মাথায় আঘাত ও গলা টিপে হত্যা করার স্পষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও একটি কুচক্রী মহল খুনীদেরকে আড়ালে রেখে পরিকল্পিত হত্যাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে নিহতের পরিবার থেকে জানানো হয়।

    নিহত ফাতেমা আক্তারের ভগ্নিপতি মোরশেদ আলম বলেন -‘আমার বোন ফাতেমা আক্তারের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। কোনভাবেই যেন খুনিরা আইনের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে যেতে না পারে।’

    মামলার বাদী মেঝো বোন শারাবান তহুরা প্রকাশ বৃষ্টি বলেন -‘যারা আমার ছোট বোনকে খুন করেছে তাদের ফাঁসি চাই। যারা এ খুনের ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নেয়ার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করি।’

    এ বিষয়ে রায়পুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল জলিল বলেন -‘ মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। আমরা একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকিরা পলাতক থাকায় তাদেরকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • লক্ষ্মীপুরে চাঁদা না দেয়ায় গ্যারেজ কর্মচারীকে কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে গেল সন্ত্রাসীরা

    লক্ষ্মীপুরে চাঁদা না দেয়ায় গ্যারেজ কর্মচারীকে কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে গেল সন্ত্রাসীরা

    অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে চাঁদা না পেয়ে গ্যারেজ কর্মচারীকে কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে গেল সন্ত্রাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ডের জিন্নাত আলী পাওয়ারী বাড়ীর সামনে।

    ঘটনার বিস্তারিত জানা গেছে একই এলাকার জিন্নাত আলী পাটওয়ারী বাড়ীর মোহাম্মদ মোস্তফা কামালের গ্যারেজে এম এস ট্রেডার্স এর কর্মচারী ও স্থানীয় মাসুদুর রহমানের ছেলে সুজন এর কাছে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল একই এলাকার জিন্নাত আলী পাটোয়ারি বাড়ীর নুরুল ইসলামের ছেলে রিপন (৩০)। চাঁদা না দেয়ায় এর পূর্বেও গত মাসের আটাশ তারিখে মাইক্রোবাসযোগে রিপন তার সাঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে এসে সুজনকে বেধড়ক মারধর করে। এ নিয়ে স্থানীয় ভাবে সমাধান হলেও রিপন বরাবরের মতোই চাঁদা দাবি করে আসছিল।

    বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে আবারও চাঁদার দাবিতে রিপন ও তার সাঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে রাতের আঁধারে সুজন এর উপর হামলা করে। তাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে মৃত ভেবে রাস্তার পাশে ফেলে যায় সন্ত্রাসী রিপন।

    পথচারীরা সুজনকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

    জানা গেছে, রিপন এলাকায় একজন চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস হিসেবে পরিচিত। সে ধারালো ছেনি, লোহার রড নিয়ে এলাকায় মহড়া দেয় আর চাঁদাবাজি করে বেড়ায়।

    সন্ত্রাসীদ রিপন পৌরসভার পালোয়ান মসজিদ মার্কেটের শাপলা লাইটিং হাউজ এর মালিক বেলায়েত হোসেন শিপন এর কাছে প্রতি সপ্তাহে ১০ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করে। শিপন দিতে অস্বীকার করলে তাকেও লোহার রড দিয়ে মেরে আহত করে। এ নিয়ে শিপন বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার নং সি আর ৫২৯/১৯.

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • লক্ষ্মীপুরে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে বিধবাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত

    লক্ষ্মীপুরে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে বিধবাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত

    লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঘরের সিঁধ কেটে ঢুকে এক বিধবাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা নিয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    জানা গেছে সদর উপজেলার ২ নং দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের জলিল হাজি বেপারি বাড়ির মৃত বাবুলের স্ত্রী রেনু বেগম (৩৫) কে জায়গা জমি বিষয়ক পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে একই বাড়ির শাহাবুদ্দিনের ছেলে সোহাগ ও তার সাঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে ঘরে সিঁধ কেটে প্রবেশ করে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।

    এতে ব্যর্থ হয়ে সোহাগ বিধবার রেনু বেগমকে পিটিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। সোহাগ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা এ সময় আট আনা ওজনের সোনার চেইন, কানের দুল ও নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায় বলে রেনু বেগম জানান।

    এ বিষয়ে সফিক উল্যাহ বলেন চিৎকার শুনে আমরা এসে দেখি সোহাগ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে দেখি ঘরের সিঁধ কেটে ঢুকেছে তারা। ধর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়ে মারাত্মক ভাবে পিটিয়েছে রেনু বেগমকে। স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা নিয়েছেন বলেও তিনি জানান।

    বিধবা রেনু বেগম এর মেয়ে ফাহিমা আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন -‘আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম, হঠাৎ আমার আম্মুর চিৎকার শুনে জেগে দেখি সোহাগ ও তার সাথে কয়েকজন লোক আম্মুর সাথে ধস্তাধস্তি করে, পিটায়। এ আগেই তারা গলার চেইন, কানের দুল নিয়ে যায়। আমরা চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়।’

    স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মীর শাহ আলম বলেন- ‘আমি ঘটনাটি শুনেছি, আহত রেনু বেগমকে চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দিয়েছি, পরে বিষয়টি মিটমাট করা হবে।’

    সদর মডেল থানার ওসি একেএম আজিজুর রহমান বলেন -‘এখনো অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

    এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান রেনু বেগম এর বোন মাহমুদা।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/আবির

  • লক্ষ্মীপুরে নেশার টাকার জন্য মাকে গলা কেটে হত্যা করল ছেলে

    লক্ষ্মীপুরে নেশার টাকার জন্য মাকে গলা কেটে হত্যা করল ছেলে

    অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ধারালো দা দিয়ে মাকে জবাই করে হত্যা করেছে পাষন্ড ছেলে।

    শুক্রবার সকালে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাখালীয়া গ্রামে সর্দরবাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শেফালী বেগম (৬০) ঐ গ্রামের হোসেন আলীর স্ত্রী। এলাকাবাসীরা ঘাতক জাফর হোসেন (২৬) কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

    নিহত শেফালী বেগমের বড় ছেলে মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, গত কয়েক মাস ধরে জাফর বন্ধু বান্ধবদের সাথে আড্ডা দিয়ে মাদক সেবন করে অনেক টাকা ঋণ করেছে। এই টাকার জন্য বিভিন্ন সময়ে তার মায়ের কাছে অর্থ দাবি করে আসছে এবং খারাপ আচরণ করে।

    শুক্রবার সকালে মায়ের সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তার মাকে বিছানায় ফেলে ধারালো দা দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে। ঘটনার সময় প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে আটক করে পুলিশকে ফোন দেয়।

    খবর পেয়ে রায়পুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামবাসীর কাছ থেকে নরপিচাশ জাফরকে তাদের হেফাজতে নেয়। একই সাথে পুলিশ শেফালী বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদনন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

    রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল বলেন, আটক জাফরের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। ছেলের মাদক সেবনের বিরোধের কারণে হত্যাকান্ড হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • লক্ষ্মীপুরে ৭টি অবৈধ প্রাইভেট হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ

    লক্ষ্মীপুরে ৭টি অবৈধ প্রাইভেট হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ

    অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি : নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা এবং নবায়ন করা হয়নি এমন অভিযোগে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ১০ টি প্রাইভেট হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছেন সিভিল সার্জন।

    আজ দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় নবায়ন না থাকা ও ডিপ্লোমা নার্স না থাকাসহ অন্যান্য অনিয়মের সত্যতা পাওয়ায় মাতৃছায়া ও সেবা হাসপাতাল ছাড়া ৭টি প্রাইভেট হাসপাতাল বন্ধের জন্য মৌখিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

    হসপিটাল গুলো হচ্ছে মডার্ণ, মেঘনা, মেহেরুন্নেসা, জনসেবা, ম্যাক্সকেয়ার, মা ও শিশু নিরাময় হাসপাতাল।

    অভিযানে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুল গফ্ফার ও রায়পুর সরকারি হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার বাহারুল আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    সিভিল সার্জন ডাক্তার আব্দুর গফ্ফার বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা বা সিলগালা করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা চাচ্ছি, আমাদের সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলো সুষ্ঠু নিয়মে চলুক। আইনের মধ্যে থেকে সেবা নিশ্চিত করুক।

    সিভিল সার্জন আরও বলেন, গত ২৩ আগষ্ট নবায়ন করার শেষ সময় পার হলেও তা না করাসহ রায়পুরে প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে সমস্যা পাওয়া গেছে। সেজন্য হাসপাতাল কতৃপক্ষকে কাগজপত্রসহ অন্যান্য সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

    আজ দুপুর ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত অভিযানে সিভিল সার্জনসহ তার টিম অপারেশন থিয়েটার, ফার্মেসি, প্যাথলজিক্যাল ল্যাব পরিদর্শন করেন, কাগজপত্র যাচাই বাছাই করেন।

    রায়পুর সরকারি হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার বাহারুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি “হাসপাতালগুলোর লাইসেন্সের বিষয়টি কর্তৃপক্ষের” উল্লেখ করে এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

    লক্ষ্মীপুর প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক এসোসিশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান তুহিন বলেন, সরকারের সকল নিয়ম মেনে কাগজপত্র ও টাকা জমা দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে। কিন্তু কর্মকর্তাদের হয়রানির কারনে কাগজপত্র পেতে দেরি হচ্ছে। নবায়ন না করায় রায়পুরে ২টি ছাড়া ৭ টি হাসপাতালকে মৌখিকভাবে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • টানা বৃষ্টি ও মেঘনার জোয়ারে লক্ষ্মীপুরে ৩০ গ্রাম পানির নিচে

    টানা বৃষ্টি ও মেঘনার জোয়ারে লক্ষ্মীপুরে ৩০ গ্রাম পানির নিচে

    অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর : পনেরো দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো টানা বৃষ্টি ও মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ারে আঘাত হেনেছে লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগর উপজেলার ৩০টি গ্রামে।জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে মানুষের ঘর-বাড়ীতে। গত ৩ দিনের টানা বৃষ্টির পানি আর মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারে তলিয়ে গেছে স্কুল মাদ্রাসা,পুকুরের মাছ ও কৃষকের ফসলি জমি। প্রতি নিয়তই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আলেকজান্ডার ইউনিয়নের মুন্সিরহাট বালুরচরের প্রায় সকল এলাকায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে ঘরের খাট কিংবা চৌকিতে। পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে রান্না ঘরের চুলাও।

    রামগতি উপজেলার চরগাজী, বড়খেরী, বিবিরহাট, চরগোসাই, চরআলগী, চরমেহার আলেকজান্ডার, বালুরচর, মুন্সিরহাট, চর আবদুল্যাহ এবং কমলনগরের লুধুয়া, সাহেবেরহাট, চর মার্টিন, পাটারীরহাট, ফলকন, মতিরহাটসহ বিভিন্ন এলাকা জোয়ারের পানিতে ভাসছে। রাস্তাঘাট ঠুবে লোকালয়ে প্রবেশ করছে পানি।

    ভুক্তভোগীরা মেঘনায় বেড়ীবাঁধ না থাকাকে দায়ী করেছেন। সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে উপকূলবাসীকে রক্ষায় দ্রুত বেড়ীবাঁধ দেয়ার দাবি জানান। অস্বাভাবিক জোয়ারে লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগর উপজেলার প্রায় ৩০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। হঠাৎ নদীর পানি৪-৫ ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বল্প সময়ের মধ্যে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত হয়ে ৭ হাজার হেক্টর জমির ফসলসহ গবাধিপশু, মুরগির পোল্ট্রি খামার ও শতাধিক মাছের ঘের ক্ষতির শিকার হয়েছে। গত দিনের টানা বৃষ্টি ও আচমকা মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ারে বেড়ি বাঁধ না থাকায় জোয়ারে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বলে স্থানীয়দের।

    সূত্র জানা যায়, মেঘনার ভয়াবহ ভাঙ্গনে নদীতে বিলিন হয়ে গেছে বেড়িবাধ। তাই অরক্ষিত হয়ে পড়ে এসব এলাকা। হঠাৎ গত ৩ দিনের বৃষ্টি আট মেঘনা নদীর জোয়ারের পানি অস্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট বেড়ে যায়। এসময় তীব্র বাতাস ও স্রোতে নদীর পানি হু-হু করে ঢুকে পড়ে উপকূল এলাকায়। মুহূর্তেই বিস্তীর্ণ জনপদ পানির স্রোতে ভেসে যায়।

    খোঁজ নিয়ে জানা যায়,কমলনগরের চর ফলকন, চর কালকিনি, চর লরেন্স, নবীগঞ্জ, নাছিরগঞ্জ ও রামগতি উপজেলার চর আবদুল্লাহ, চর গজারিয়া, চর গাজী, চর আলগী, বড়খেরী, তেলীর চর, আলেকজান্ডার, বালুর চর, সুজন গ্রাম, জনতা বাজার, সেবা গ্রামসহ অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়। নদীর তীর থেকে এসব এলাকার প্রায় ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত জোয়ারের পানি প্রবেশ করে। এতে প্রায়লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে নদী সংযুক্ত খাল, পুকুর, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয়-প্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাট হাঁটু পরিমাণ পানিতে ডুবে আছে। শত শত বসতঘরে পানি ঢুকে ক্ষতি হয়েছে আসবাবপত্র ও বিভিন্ন মালামাল। এতে মেঘনা উপকূলীয় মানুষগুলো চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।

    উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারি কর্মকর্তা রফিকুল্লাহ মুরাদ জানান, মেঘনার অস্বাভাকি জোয়ারে রামগতি- কমলনগর উপজেলায় আউশ, রোপা আমন, বোনা আমন ও শাকসবজিসহ প্রায় ১১ হাজার হেক্টর ফসলি জমি নিমজ্জিত হয়েছে। এতে রোপা আমনের ৩৭৫ হেক্টর জমির বীজতলাও নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ক্ষতির পরিমান সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে।

    জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বন্যা মোকাবেলায় জিআর নগদ ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, জিআর চাল ৩৫০ টন, গোখাদ্যের জন্য ৬ লক্ষ টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য ২ লক্ষ টাকা, শুকনা খাবার ২ হাজার প্যাকেট মজুদ রাখা হয়েছে। এছাড়াও কবলিত এলাকর মানুষের আশ্রয়ের জন্য জেলার মোট ৫ উপজেলায় ১০১টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র খোলা রয়েছে।

    চরকালকিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাষ্টার সাইফুল্লাহ ও চরগাজী ইউপি চেয়ারম্যান তাওহিদুল ইসলাম সুমন জানান, তাদের ইউনিয়ন গুলোতে জোয়ারের কারণে বেশ কিছু কাঁচা, আধাপাকা ঘরবাড়ি ও সড়কের গাছসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসব এলাকায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন তারা। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোতে শুকনা খাবারসহ সহ সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

    কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোবারক হোসেন জানান, জোয়ারের পানিতে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ২৫ হাজার পরিবারের ৬০ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়ে। এতে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য সহায়তা চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে।

    রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মোমিন বলেন, মেঘনার হঠাৎ জোয়ারে ৬টি ইউনিয়ন ও রামগতি পৌরসভার আংশিক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে ঘর-বাড়ি, গবাদিপশু ও ফসলী জমিসহ ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে ১০ হাজার পরিবারের মধ্যে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে।তাৎক্ষনিক কিছু শুকনা খাবার দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসক নিকট ত্রাণের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। বরাদ্ধ পেলে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর