Tag: লক্ষ্মীপুর

  • লক্ষ্মীপুরে মাদকাসক্ত কিশোরকে ওসি’র সহায়তা

    লক্ষ্মীপুরে মাদকাসক্ত কিশোরকে ওসি’র সহায়তা

    অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় মাদকাসক্ত এক কিশোরকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য ওসি সহায়তা করেছেন। মাদকাসক্ত ইমরান হোসেন রাব্বি (১৭) নামের ওই কিশোরকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নিয়েছেন লক্ষ্মীপুরের রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল জলিল।

    মাদকাসক্ত কিশোরকে থানায় তার কার্যালয়ে ডেকে এনে পড়ালেখার জন্য আর্থিক সহায়তা দেন তিনি।

    স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার চরমোহনা ইউনিয়নের ইমরান হোসেন রাব্বি (১৭) নামে এক কিশোর বিভিন্ন ধরনের মাদকের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে। এ নিয়ে ওই ছেলের মা রায়পুর থানায় অভিযোগ করেন।

    অভিযোগের ভিত্তিতে মাদকাসক্ত ছেলে ও তার মাকে থানায় ডেকে আনা হয়। এসময় কিশোর রাব্বি আর মাদক গ্রহন করবে না বলে আশ্বাস দেয়। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল জলিল ওই কিশোরকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আনতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

    তাকে আবারও পড়ালেখায় মনোনিবেশ করার অনুরোধ করে, পড়ালেখার খরচ ও বই কেনার জন্য আর্থিক সহায়তা দেন ওসি আবদুল জলিল।

    প্রসঙ্গত, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর থানা এলাকায় মাদকের ব্যাপক বিস্তার রয়েছে। সম্প্রতি এ থানায় অফিসার ইনচার্জ পদে আবদুল জলিল যোগ দেয়ার পর, তিনি মাদক মুক্ত করার ঘোষণা দেয়। সেজন্য সকলের সহযোগিতা চান তিনি।

    এদিকে আবদুল জলিল এ থানায় অফিসার ইনচার্জ পদে যোগদানের পর থানায় মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে ও আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে নেয়া নানা পদক্ষেপ প্রশংসিত হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • লক্ষ্মীপুরে ডোবার পানিতে রোগমুক্তির নেপথ‌্যে যুবলীগ নেতার স্বপ্ন

    লক্ষ্মীপুরে ডোবার পানিতে রোগমুক্তির নেপথ‌্যে যুবলীগ নেতার স্বপ্ন

    অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : দুই বছর আগের ঘটনা। রাতে নামাজ পড়ে ঘুমাচ্ছিলেন রাশেদ। ঘুমের মধ‌্যে স্বপ্ন দেখেন বাড়ির পিছনের ডোবার পানি পান করলে ও তাতে গোসল করলে যে কোনো রোগ থেকে মুক্তি মিলবে।

    বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান‌্য ব্যক্তিসহ এলাকাবাসীকে জানাতে স্বপ্নের মধ‌্যে কেউ তাকে আদেশ দেন। অন্যথায় তার ক্ষতি হতে পারে বলে হুশিয়ারিও দেওয়া হয়।

    এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার সহিদপুর গ্রামের সাদুল্লা হাজী বাড়ির মৃত মাহবুবুল ইসলামের ছেলে রাশেদ হোসেন। তিনি উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের প্রাক্তন সভাপতি।

    রাশেদ হোসেন বলেন, ‘স্বপ্নের কথা পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়েছি। ইমামের মাধ্যমে কয়েকটি মসজিদে জুম্মা’র নামাজ পরবর্তীতে মুসুল্লিদের জানানোর ব‌্যবস্থা করেছি। এরপর থেকে মাঝে মধ্যে কয়েকজন লোক পানি পান করেছেন। তবে আমি নিজে সবসময় ওই ডোবার পানি পান করি ও গোসল করি।’

    রাশেদ দাবি করেন, ‘ডোবাটির পানি পানে করোনা অথবা নির্দিষ্ট কোনো রোগ মুক্তি মিলবে, এমন কথা কখনও প্রচার করিনি।’

    রাশেদের মা রেহানা আক্তার বলেন, ‘ছেলেকে তার স্বপ্নের কথা প্রচার করতে নিষেধ করেছি। সে তবুও মানুষকে জানিয়েছে। পরিবারের সদস্যদের ডোবার পানি পান করতে ও নামাজ পড়ার ব‌্যাপারে তাগিদ দিয়ে আসছে। তাকে অসুস্থ ভেবে চিকিৎসা করিয়েছি। তবুও থামছে না। রাশেদ বলে- স্বপ্নের কথা প্রচার না করায়, ছায়া হয়ে কেউ তার ক্ষতি করতে আসছে। কিন্তু লোকলজ্জা ও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে স্বপ্নের কথাটি কাউকে বলতে পারছি না। একারণে সদগাহ হিসেবে কয়েকটি মসজিদ ও মাদ্রাসায় নগদ অর্থ দান করেছি।’

    তিনি আরও বলেন, ‘মাছ চাষ করার জন্য বাড়ির পিছনে ডোবাটি খনন করেছিলাম। পাইপের মাধ্যমে বাড়ির ট্যাংকিতে পানি তোলার জন্য ওই পুকুরে একটি মোটর পাম্প স্থাপন করি। কিন্তু ওই পাম্প দিয়ে পানির বদলে গ্যাস আসে। পরে অন্য পাইপের মাধ্যমে গ্যাস সংগ্রহ করে তা রান্নার কাজে ব্যবহার করি। দেড় বছর পর চুলায় গ্যাস না আসায় সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দিই। এরপর থেকেই পুকুরে অনবরত বুদবুদ নির্গত হয়। তবে গ্যাস ওঠার ঘটনাটি প্রশাসনের কাউকে জানানো হয়নি।’

    রেহানা আক্তার বলেন, ‘সম্প্রতি উদেশ্য প্রণোদিতভাবে কে বা কারা ওই ডোবার পানি পান ও গোসলে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি মিলবে বলে গুজব ছড়িয়েছে। এসবের কিছুই আমরা জানি না। এই ধরনের কথা আমার পরিবারের কোনো সদস্য কখনও বলেনি। এছাড়া কখনো কাউকে পানি পান করতে বাধ্যও করিনি।’

    অনেকেই ডোবাটি থেকে পানি পান করেছেন। এতে রোগমুক্তি বা কারও ক্ষতি হতেও শোনেননি স্থানীয়রা। অনেকেই বিষয়টিকে ভুয়া ও গুজব বলে আখ্যায়িত করছেন।

    এদিকে যুবলীগ নেতা রাশেদকে মানসিক রোগী ও মাদক ব্যবসায়ী বলে দাবি করেন লাহারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মশু পাটোয়ারি।

    চেয়ারম্যান মশু পাটোয়ারি বলেন, ‘অসুস্থ হওয়ার আগে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল রাশেদ। তখন তার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছি। এখনও সুস্থ হয়নি সে। রাশেদ আজগুবি কথা বলে স্থানীয়দের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।’

    তবে স্বপ্নে দেখা সেই ডোবার পানি চেয়ারম্যান নিজেও পান করেছেন বলে জানান।

    সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, ‘ডোবার পানি পানে রোগমুক্তির বিষয়টি শোনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়দের সতর্ক করা হয়েছে, নিষেধ করা হয়েছে ডোবার ময়লা পানি পান করা থেকে বিরত থাকার জন্য। এরপরেও যদি কেউ মিথ্যা তথ্যটি প্রচার করে ও পানি পান করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

    জেলা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল গাফফার বলেন, ‘ডোবায় দীর্ঘদিন থেকেই বুদবুদ উঠছে। কিন্তু ওই ডোবার পানি পানে রোগমুক্তির কথাটি গুজব। এই কথাগুলোর কোনো নূন্যতম বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। উল্টো ময়লা পানি পানে রোগ সংক্রমণের আশংকা রয়েছে।’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • লক্ষ্মীপুরে বেড়ে গেছে সংক্রমণের ঝুঁকি: কমে গেছে করোনা পরীক্ষা

    লক্ষ্মীপুরে বেড়ে গেছে সংক্রমণের ঝুঁকি: কমে গেছে করোনা পরীক্ষা

    অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
    লক্ষ্মীপুরে করোনাভাইরাস শনাক্তে নমুনা পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করায় পরীক্ষা অনেক কমে গেছে।করোনার উপসর্গ থাকলেও অনেকে টাকা খরচ করে পরীক্ষা করাচ্ছেন না। গত ১০ দিনে জেলায় (১ জুলাই থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত) ৬৯৫টি নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। অথচ এর আগের ১০ দিনে (২০ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত) নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১ হাজার ৩৭৯টি। অর্থাৎ মূল্য নির্ধারণ করায় পরীক্ষার হার অর্ধেক কমে গেছে।

    জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তিন বিশেষজ্ঞ জানান, দরিদ্র মানুষ টাকা দিয়ে পরীক্ষা কম করাচ্ছেন। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। পরীক্ষা না করিয়ে, চিকিৎসা না নিয়ে তাঁরা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াচ্ছেন। তাঁরা বলেন, অনেক মানুষের উপার্জনের পথ বন্ধ হয়েছে। অনেকের জীবিকা হুমকির মুখে। দেশের বহু মানুষ কর্মহীন। জীবন-জীবিকা কঠিন হয়ে যাওয়ায় বড় শহর থেকে মানুষ গ্রামে ফেরত এসেছেন। সেসব মানুষের পক্ষে এখন টাকা খরচ করে করোনা পরীক্ষা করানো অনেক কঠিন।

    সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সেবা বিভাগ ‘কোভিড-১৯ পরীক্ষা-নিরীক্ষার ইউজার ফি’ বিষয়ে পরিপত্র জারি করেছে। পরিপত্রে বলা হয়েছে, বুথে ও হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার জন্য ২০০ টাকা করে দিতে হবে। আর বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ৫০০ টাকা দিতে হবে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ফি ৩ হাজার ৫০০ ও ৪ হাজার ৫০০ টাকা। ১ জুলাই থেকে পরিপত্র কার্যকর হয়েছে।

    সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) লক্ষ্মীপুর কমিটির সভাপতি মো. কামাল হোসেন বলেন, মহামারি পরিস্থিতিতে ২০০ বা ৫০০ টাকা নিম্নমধ্যবিত্ত বা দরিদ্র মানুষের কাছে অনেক বেশি টাকা। করোনার উপসর্গ থাকলেও অনেকে এই টাকা খরচ করে পরীক্ষা করাবেন না। পরীক্ষা না করিয়ে, চিকিৎসা না নিয়ে তাঁরা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াবেন। এতে মহাবিপদ ঘটতে পারে।

    জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার ৫ টি উপজেলা থেকে ৬৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ৯ জুলাই ৪৯টি, ৮ জুলাই ৮৪, ৭ জুলাই ৬২, ৬ জুলাই ১১৩, ৫ জুলাই ৫৫টিসহ গত ১০ দিনে ৬৯৫ ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে এসব নমুনা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। ফি নির্ধারণের আগে গত ২১ জুন ১১০টি, ২২ জুন ১৯৬, ২৩ জুন ১১৬, ২৪ জুন ৯০, ২৫ জুন ১২০টিসহ ৩০ জুন পর্যন্ত ১ হাজার ৩৭৯ ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

    চরআবাবিল গ্রামের আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি কৃষক। তিন দিন ধরে জ্বরে ও কাশিতে ভুগছেন। বৃহস্পতিবার রায়পুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পরীক্ষার জন্য গিয়েছিলেন। কিন্তু ২০০ টাকা না থাকায় নমুনা না দিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে তাঁকে।

    এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব ও সিভিল সার্জন মো. আবদুল গাফফার মোবাইল ফোনে জানান, আগে করোনা পরীক্ষা বিনা মূল্যে ছিল। এ কারণে উপসর্গ না থাকলেও অনেক মানুষ পরীক্ষার সুযোগ নিয়েছে। নতুন ব্যবস্থায় এটি রোধ হয়েছে। আর প্রথম অবস্থায় সাময়িক কিছু সমস্যা হয়তো দেখা দেবে। কিছুদিন পরেই এসব ঠিক হয়ে যাবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • লক্ষ্মীপুরে স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় ইউপি সদস্য কারাগারে

    লক্ষ্মীপুরে স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় ইউপি সদস্য কারাগারে

    অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে অশ্লীল ছবি তুলে যৌতুক দাবি ও নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রীর মামলায় ইউপি সুদস্য সুমন মিঝিকে (৩৪) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

    সোমবার সন্ধায় স্থানীয় মোল্ললারহাট বাজার থেকে-গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার সকালে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত সুুুমন মিঝি দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের এক নাম্বার ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ও একই এলাকার শাহ আলম মিঝির ছেলে।

    মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ইউপি সদস্য সুমন অন্য নারীর সাথে পরকিয়া ও নেশাগ্রস্থ থাকতো। এসবের প্রতিবাদ করলে সুমন তার স্ত্রী গৃহবধু ও বামনী ইউপির সাইচা গ্রামের সফিকুল ইসলামের মেয়ে শাহানা আক্তার মিকার উপর নির্যাতন করতো। এসব নির্যাতন থেকে বাঁচতে একপর্যায়ে গত বছরের ২৩ নভেম্বর সুমনকে তালাক দেয়ার পর সে মাফ চাওয়ায় ও শিশু সন্তানের কথা চিন্তা করে ২৩ ডিসেম্বর তা প্রত্যাহার করে নেয় শাহানা আক্তার।

    কিন্তু এসব ভূলে গিয়ে সুমন আবার নির্যাতন করে ও তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। মিকা অপারগতা প্রকাশ করলে সুমন তার পরিবারের সদস্যদের দিয়ে শারিরিক নির্যাতন করা হয়। অশ্লীল ছবি তুলে যৌতুক দাবি ও মারধর করার ঘটনায় ৯ জুলাই গৃহবধু মিকা বাদী হয়ে সুমনসহ তার মা, বোন ও ভাইকে আসামী করে থানায় মামলা করেন।

    এঘটনায় দক্ষিন চরবংশী-ইউপি সদস্য সুমনের পরিবার জানান, তাদের গৃহবধু মিকার মামলা সাজানো। তাকে নির্যাতন বা যৌতক চাওয়া হয়নি। আমাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।

    রায়পুর থানার এসআই শামসুল আরেফিন জানান, স্ত্রীকে নির্যাতন ও যৌতুকের মামলার প্রধান আসামী ইউপি সদস্য সুমন মিঝিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • লক্ষ্মীপুরে আ.লীগের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর, নেতাকর্মীদের কুপিয়ে জখম,বাড়ীঘর লুটপাট ভাঙচুর

    লক্ষ্মীপুরে আ.লীগের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর, নেতাকর্মীদের কুপিয়ে জখম,বাড়ীঘর লুটপাট ভাঙচুর

    জেলা প্রতিনিধি,লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার ২নং চরবংশী ইউনিয়নের খাসের হাট বাজারে আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর, নেতাকর্মীদের কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী, আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা আলতাফ হোসেন মাস্টার ও তার সমর্থিত লোকজনের বিরুদ্ধে।

    গেল উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বহিস্কৃত প্রার্থী আলতাফ হোসেন বহাল তবিয়তে থেকেই আধিপত্যতা কায়েম করছেন চরবংশী ইউনিয়নে। সেখানে যারা আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নৌকা ভোট করেছেন তাদের মারধর করাসহ দলীয় অফিস ভাঙচুর, বঙ্গবন্ধুর ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছিঁড়ে পদদলিত করে, নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর লুটপাট করে, নারীদের ঘর থেকে টেনে বের করে এনেছিল তাহলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

    খাসের হাট বাজারে আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয় দেয়াকে কেন্দ্র করে শুক্রবার মধ্যরাতে বহিস্কৃত নেতা আলতাফ মাস্টারের ক্যাডারবাহিনী অতর্কিত হামলা চালিয়ে দলীয় অফিস ভাঙচুর করে। এ সময় খলিফা বাড়িতে ঢুকে রাতের আধারে উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন খলিফাকে কুপিয়ে হাতের কব্জি দুভাগ করে দেয়, একই বাড়ীর মুজাহিদকে (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র) মুখের উপর কোপ মেরে দেয়। এতে তার ডান চোখ বেরিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। তাদের মুমূর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তাদের স্বজনরা।

    রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সিদ্দিকুর রহমান খলিফা, রাশেদ খলিফা, আবু সুফিয়ান খলিফা, জুবায়ের খান, জুলহাস খলিফা, মোজাম্মেল খলিফা, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নিহাল, আমজাদ মাঝি, নুর নবী ও নাজমুল। এদের কারো মাথা, কারো হাতে,কারো ঘাড়ে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

    ইউনিয়ন যুবলীগ সেক্রেটারি রাশেদ খলিফা বলেন-‘ আমরা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতি করি, আওয়ামী লীগ করার কারণে শেখ হাসিনা সমর্থিত উপজেলা প্রার্থী মামুনুর রশিদের নৌকা মার্কা নির্বাচন করার কারণে বিদ্রোহী প্রার্থী, দল থেকে বহিষ্কৃত নেতা আলতাফ মাস্টারের রোষানলে পুড়ছি। এজন্য আমাদের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর, বঙ্গবন্ধুর ছবি ছিঁড়ে ফেলা, রাতের আধারে ঘরে ঘরে ঢুকে পুরুষদের কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা, বাড়িঘরে লুটপাট ভাঙচুর করা এমনকি নারীদের শ্রীলতাহানি করেছেন আলতাফ মাস্টারের লেলিয়ে দেওয়া বাহিনী।’

    ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি সাবেক চেয়ারম্যান খালেদ হোসেন দেওয়ান বলেন -‘আমরা নৌকা মার্কা নির্বাচন করার জন্যই আজকে আমাদের উপরে সন্ত্রাসী হামলা। কেন খাসের হাটে দলীয় কার্যালয় দিয়েছি এ কারণে আলতাফ মাস্টারের পেটোয়া বাহিনী দিয়ে আমাদের দলীয় লোকজনের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এটা কোন ধরনের বর্বরতা! রাতের আধারে ঘরে ঘরে ঢুকে নারী-পুরুষের উপর হামলা করে। ঘরবাড়ি লুটপাট করে। আমরা আওয়ামীলীগের রাজনীতি করি, এটাই আমাদের দোষ?

    এই নিয়ে অভিযুক্ত আলতাফ মাস্টারের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

    রায়পুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল জলিল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    রায়পুর উপজেলা চেয়ারম্যানকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি বিধায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

    জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন -‘আমি ঘটনাটা শুনেছি, তদন্ত করে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/আকাশ

  • লক্ষ্মীপুরে ৫০ লাখ টাকা নিয়ে ভূয়া এনজিও উধাও

    লক্ষ্মীপুরে ৫০ লাখ টাকা নিয়ে ভূয়া এনজিও উধাও

    অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে করোনার সুযোগে রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) নামের একটি কথিত বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) কর্মকর্তারা গ্রাহকদের প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    এতে বিপাকে পড়েছেন প্রায় ২’শ গ্রাহক। গতকাল রাতে টাকা ফেরত ও প্রতারককে আটক করে শাস্তির দাবি জানিয়ে-উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট মারুফ বিন জাকারিয়ার কার্যালয়ে ক্ষতিগ্রাহকরা অভিযোগ করে কান্নাকাটি করেন। পরে উপায় না পেয়ে রাতেই থানার ওসির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রিক নামের সংস্থাটি রায়পুর শহরের রায়পুর-চাঁদপুর সড়কের সিএনজি স্ট্যান্ড সংলগ্নে বয়াতির বাড়ী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ চৌধুরির ভবনের ঠিকানা দিয়ে উপজেলায় কার্যক্রম শুরু করে। নোয়াখালির সুবর্নচরের চর মজিদ গ্রামের আনোয়ার মাঝির ছেলে ভুয়া এনজিও মালিক আব্দুল আজিজ এলাকায় ঋণ দেওয়ার কথা বলে বাড়ী ভাড়া নেন। কর্তৃপক্ষ এলাকার পাঁচজনকে মাঠপর্যায়ের কাজের জন্য নিয়োগ দেয়।

    রায়পুর পৌরসভার মধুপুর, কাঞ্চনপুর, দেনায়েতপুর উপজেলার রাখালিয়া, কেরোয়া, বামনী,চরবংশী, চরআবাবিল,চরপাতাসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে দোকান,প্রবাসী ঋণ, বিভিন্ন যন্ত্র ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা কিনতে ঋণ দেওয়ার কথা বলা হয়।

    এ জন্য এলাকায় প্রায় ৩০০ জনকে সদস্য করা হয়। ঋণ গ্রহণে আগ্রহী ব্যক্তিদের এক লাখ টাকার জন্য ১০ হাজার, দুই লাখ টাকার জন্য ২০ হাজার টাকা জমা দিতে বলা হয়। কয়েক দিন আগে দু-তিনজন সদস্যকে ঋণ দেওয়া হয়। অবশিষ্ট সদস্যদের সোমবার ঋণ দেওয়ার কথা ছিল। প্রায় শতাধিক গ্রাহক সোমবার দুপুরে সংস্থাটির কার্যালয়ে ভিড় করেন। কিন্তু তাঁরা দেখেন কার্যালয়টি তালাবদ্ধ।

    পৌরসভার দেনায়েতপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী হাজেরা বেগম শারীরিক পরিশ্রমের কোনো কাজ করতে পারেন না। তার স্বামী-অটোরিকশা কেনাবেচা করেন। ওই সংস্থা থেকে রোববার তাঁকে দুই লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার কথা ছিল। সংস্থাটিতে সঞ্চয় হিসাবে তিনি ২০ হাজার টাকা জমা দেন।

    প্রতারণার শিকার রাখালিয়া গ্রামের জাহাঙ্গির বলেন, ‘৪ লাখ লাখ টাকা ঋণ নিতে ৪০ হাজার টাকা জমা দিয়েছি। ঋণ নিতে এসে দেখি কর্মকর্তারা পালিয়ে গেছে।’একই অভিযোগ করেছেন জুয়েল,ফারুখ,আব্দুল আউয়াল,সোহেল রানা, হাজেরা বেগম,স্বপ্না,মাকছুদা ও আমেনা।

    স্থানীয়ভাবে নিয়োগ পাওয়া মাঠকর্মী কহিনুর বেগম বলেন, ‘ছয় হাজার টাকা মাসিক বেতনে জানুয়ারি মাসের ১ তারিখে এখানে যোগ দিয়েছি। আজ গ্রাহকদের কয়েক লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার কথা ছিল। কাউকে কিছু না বলেই প্রায় ৫০ লাখ টাকা নিয়ে আব্দুল আজিজ পালিয়ে গেছে। লোকজনের ভয়ে এখন আমরা বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না।’

    উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শরিফ হোসেন বলেন, রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) নামে কোনো সংস্থা সমাজসেবা থেকে অনুমোদন নেয়নি।

    উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা শিশির কান্তি বলেন, রিক নামে কোনো সমবায়ের সঙ্গে জড়িত নয়। এটি এনজিও। এটি সমবায় অধিদপ্তরে কাজ নেই। এই করোনার সময়ে গরিব মানুষের টাকাগুলো নিয়ে যাওয়া অত্যান্ত দুঃখজনক।

    এ ব্যাপারে সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার সকালে যোগাযোগের চেষ্টা করেও আব্দুল আজিজ ও তাঁর স্ত্রীর মুঠোফোন (০১৭৪৯৬৫২৬৪৩) বন্ধ পাওয়া যায়। তবে নীজের ভূয়া এনজিও খোলার আগের চাকুরির স্থল আরেকটি-এনজিও ‘সাগরিকার’ ম্যানেজার মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, আব্দুল আজিজ খারাপ স্বভাবের মানুষ। সে আমাদের এনজিওর লোকদের সাথেও প্রতারনা করেছিলো। পরে তাকে বরখাস্থ করা হয়েছিলো।

    রায়পুর থানার ওসি আব্দুল জলিল জানান, রিক নামের একটি এনজিওর মালিক প্রতারনা করে কয়েক লাখ টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার ঘটনায় কয়েকজন গ্রাহক অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • লক্ষ্মীপুরে সাড়ে সাত হাজার গাছের চারা বিতরণ

    লক্ষ্মীপুরে সাড়ে সাত হাজার গাছের চারা বিতরণ

    লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর রমণী মোহন ইউনিয়নে ৩৭৫ পরিবারের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে। বনায়ন প্রকল্প কর্মসূচির আওতায় ওই ইউনিয়নের মেঘনা নদী সংলগ্ন ৩৭৫ পরিবারের মাঝে সাড়ে ৭ হাজার বিভিন্ন জাতের গাছের চারা বিতরণ করা হয়।

    গতকাল বিকালে সদর উপজেলা নার্সারী ও সোস্যাল ফরেষ্ট নার্সারী ট্রেনিং সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন, বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা (নার্সারী) এ এস.এম মহি উদ্দিন চৌধুরী, সোস্যাল ফরেষ্ট নার্সারী ট্রেনিং সেন্টার (সদর উপজেলা) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছন্দন ভৌমিক, শহিদুল ইসলাম।

    বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা (নার্সারী) এ এস এম মহি উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বঙ্গোপসাগরে জেগে উঠা নতুন চরসহ উপকূলীয় এলাকায় বনায়ন প্রকল্পের আওতায় সদর (নার্সারী রেঞ্জ) ও সোস্যাল ফরেষ্ট নার্সারী ট্রেনিং সেন্টার (সদর উপজেলা) যৌথ উদ্যোগে চর রমণী মোহন ইউনিয়নের ৩৭৫ পরিবারের বসতবাড়িতে সাড়ে ৭ হাজার ফলজ, বনজসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/আকাশ

  • লক্ষ্মীপুরে সরকারি চাল মজুদ সন্দেহে দোকান সিলগালা, মালিক লাপাত্তা

    লক্ষ্মীপুরে সরকারি চাল মজুদ সন্দেহে দোকান সিলগালা, মালিক লাপাত্তা

    অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে নিজাম স্টোর নামে একটি পেঁয়াজ-আলুর আড়ৎ ঘরে সরকারি চাল মজুদ থাকা সন্দেহে দোকান সিলগালা করা হয়েছে। তবে অভিযানের খবর শুনে লাপাত্তা দোকান মালিক নিজাম।

    শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর বাজারের ধানহাটা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ সিলগালা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুর রিদোয়ান আরমান শাকিল।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মামুনুর রশিদ, লক্ষ্মীপুর সদর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাইমুল কবির টিটু, পরিদর্শক মাইন উদ্দিন, লক্ষ্মীপুর বণিক সমিতির সহ-সভাপতি আবদুল আজিজ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ বাপ্পী।

    এর আগে বিকেলে থেকে মজুদকৃত সরকারী চাল/গম উদ্ধারের অভিযানে নামে পুলিশ প্রশাসন। তবে রাতে ঘটনাটি ম্যানেজের চেষ্টাও চালায় অভিযুক্ত নিজামের লোকজন।

    সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুর রিদোয়ান আরমান শাকিল বলেন, গোপন সংবাদে খবর পাওয়া যায়, বাজারের ধানহাটা ওই দোকানটিতে সরকারি চাল মজুদ করা হয়েছে। এর ভিত্তিতে ওই দোকানে অভিযান চালানো হয়। তবে এর আগেই দোকান বন্ধ করে মালিক নিজাম লাপাত্তা হয়ে যায়। এতে দোকান তল্লাশী করা সম্ভব হয়নি। তবে সরকারী চাল সন্দেহ থাকায় আপতত দোকানটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • লক্ষ্মীপুরে ট্রাক-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ চালক নিহত

    লক্ষ্মীপুরে ট্রাক-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ চালক নিহত

    লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে কলা, ডাব ও খালি পিকআপ গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই চালক নিহত হয়েছে। পিকআপ চালক ঘটনাস্থলে ট্রাকচালক লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নেয়ার পরে মারা যান।

    ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার মধ্যরাতে রায়পুর ও চাঁদপুর সড়কের চৌধুরীপুলের বিপদজনক টার্নিং মোড়ে।

    নিহতদের একজন নারায়নগঞ্জ ও অন্যজন মুন্সিগঞ্জ শহর এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

    শনিবার সকালে রায়পুর পুলিশ দুই ব্যাক্তির মৃত দেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে রেখেছেন। মৃত ব্যাক্তিদের বহন করা দুর্ঘটনাযুক্ত ট্রাক ও পিকআপ খালে পড়ে রয়েছে। উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

    স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানান, শুক্রবার রাত ৩টার দিকে চাঁদপুর থেকে ছেড়ে আসা ডাব কলাবাহী ট্রাক ও বিপরীত দিক থেকে যাওয়া খালি পিকআপ রায়পুরের চৌধুরীপুলের সামনে পৌঁছলে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই পিকআপ চালক (৩৮) মারা যান ও ট্রাক চালক (৪৫) উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে মারা যান। সংঘর্ষ হওয়া ট্রাক ও পিকআপ গাড়ি সড়কের পাশে খালে পড়ে রয়েছে।

    রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল জানান, নিহত দুইজনকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/আকাশ

  • ফাঁদে ফেলে যুবকদের সর্বস্বান্ত করা পরী গ্রেফতার

    ফাঁদে ফেলে যুবকদের সর্বস্বান্ত করা পরী গ্রেফতার

    অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : কখনো তানিশা আক্তার, আবার কখনো ফারিয়া চৌধুরী অথবা পরী (৩০) যখন যে নামে ভর করুক না কেন যার উপর একবার পরীর নজর পড়েছে আর্থিক-মানসিক ও শারিরীকভাবে ভয়ঙ্কর বিপদে ফেলে দেওয়ার ঘটনা শত শত। হতদরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া ও একজন চা বিক্রেতার স্ত্রী হওয়া সত্বেও গোসল করতেন বিলাশবহুল বাথটাবে। রুমভর্তি দামী দামী আসবাবপত্রে ঠাসা। সমাজের উচুস্তরের বেশকিছু পুরুষ পতিতার আনাগোনা ছিলো প্রকাশ্যে।

    রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ প্রশাসন, পুলিশ ও রাজনৈতিক পরিচয়ে উপজেলার শতাধীক গরীব মানুষদেরকে সরকারী ঘর বরাদ্ধ, বয়স্ক ও বিধবা ভাতা এবং বিদ্যুতের মিটার দেয়ার নাম করে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রঙে বিভিন্ন রূপে টার্গেট করা ব্যক্তিদের জীবন অতিষ্ট করে তুললেও শেষ রক্ষা হলো না।

    লক্ষীপুরের রামগঞ্জে অবশেষে সেই ভয়ঙ্কর পরী বেগমকে গ্রেফতার করেছে রামগঞ্জ থানা পুলিশ।

    আজ দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহানের কার্যালয় থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেফতারের পর তাকে লক্ষীপুর জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন।

    পরীর গ্রেফতারের খবর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে রামগঞ্জ উপজেলাব্যাপী ভুক্তভুগীরা স্বস্থি প্রকাশ করেছে। পরীর না জানা আরো অনেক অপকর্ম নিয়ে নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন ভূক্তভূগীরা। এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন ভয়ংকর ওই পরীকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার বিভিন্ন অপকর্মের নানান তথ্য বের হয়ে আসবে।

    স্থানীয় এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী কয়েকজন নারী ও গরীব মানুষরা জানান, শুধু নামেই নয় সুন্দর চেহারার অধিকারী পরী বেগম। কখনো উপজেলা নির্বাহী অফিসার কখনো মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আবার কখনো সমাজসেবা কর্মকর্তা সেজে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে পুরুষ, গ্রামের অবলা দরিদ্র অসহায় নারী ও কিশোরীদের ফাঁদে ফেলে নিজের ইচ্ছা মাফিক অর্থ আদায় করাই হলো এই পরীর কাজ।

    আর উঠতি বয়সের যুবক, চাকুরীজীবি, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদসহ ব্যক্তিদের ফেইজবুকে আপত্তিকর চ্যাটিং বা মোবাইল ফোনে কথা বলে ট্রাপে ফেলেও প্রতারনার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা।
    অন্যদিকে ফোনে কথা বলে রুমমেট করার ফাঁদে ফেলে শিকার ধরতো ওই সুন্দরী পরী। পরীর মন হরন করা কথায় ফাঁদে পড়তেন এক শ্রেণীর পুরুষ বা মহিলা।

    কিন্তু এ ফাঁদ যে কত ভয়ঙ্কর তা যখন টের পেতো তখন কিছুই করার আর থাকতো না ভূক্তভোগীদের। তার ওইসব অপকর্মকে শেল্টার দেয়ার জন্য রয়েছে উপজেলায় রয়েছে অঘোষিত একটি সিন্ডিকেট । যার ফলশ্রুতিতে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি কখনো।

    এটা কোন কাল্পনিক কোন জ্বীন-পরীর গল্প না বা ডানাবিহীন পরীও না। জেলার রামগঞ্জের এক প্রতারক পরী বেগমের কথা বলছি। বেশ কয়েক মাস থেকে সে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জের এলাকা থেকে ওই পরী বেগমের নানান প্রতারনার খবর এখন টক অব দ্যা রামগঞ্জে পরিনত হয়েছে।

    পরীর এহেন অশালীন ও প্রতারনার কর্মকান্ডের বিচারের দাবিতে ভূক্তভোগী শিরীন আক্তার নামে এক গৃহবধু একাধিক নারীর পক্ষে বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার রামগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহানের বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    খোজ নিয়ে জানা গেছে, পরী বেগম (প্রকাশ ফাতেমা আক্তার পরী) রামগঞ্জ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড নন্দনপুর গ্রামের উম্মেদ ভূঁইয়া বাড়ির চা দোকানী আলমগীর হোসেনের স্ত্রী। চা দোকানদার স্বামী আলমগীর বেশ কয়েকবার স্ত্রীর বেপরোয়া অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করেও দফায় দফায় মারধরের শিকার হয়েছেন। পরীর ভাড়া করার লোক দিয়ে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে কয়েকবার।

    পরী বেগম সম্প্রতি রামগঞ্জ উপজেলার চন্ডীপুর ইউনিয়নের বেচারাম বাড়ির শিরীন আক্তারসহ ২৩জন দরিদ্র অসহায় নারীর কাছ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পরিচয় দিয়ে বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা, মাতৃত্বভাতা ও সরকারী বরাদ্ধে ঘর করে দেওয়ার নাম করে সহজ সরল মহিলাদের কাছ থেকে এক লক্ষাধীক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

    এছাড়াও প্রতারক পরী বেশকয়েকদিন আগেও রামগঞ্জ পৌরসভার সাতারপাড়া গ্রামের মিয়া বাড়ির জেসমিন আক্তার কাছ থেকে ৩ হাজার, সুফিয়া বেগমের কাছ থেকে ৮হাজার, একই গ্রামের মিয়ার বাড়ির সোহাগী বেগমের কাছ থেকে ১০ হাজার, নাসরিন আক্তারের কাছ থেকে ৩০ হাজার, সুমা আক্তার ৭হাজার, আকলিমা আক্তার ৭হাজার, বাচ্চু মিয়ার কাছ থেকে ৬ হাজার সহ পাশ্ববর্তী আবদুল করিম বেপারী বাড়ির, জয়নাল আবেদিন বেপারী বাড়ির সহ অসংখ্য নারী-পুরুষের হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক লক্ষ টাকা।

    এ ব্যপারে পরী বেগমের স্বামী আলমগীর হোসেন জানান, আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো মিথ্যা। শিরিন বেগম ইএনও অফিসে যে অভিযোগ করেছে তাও পুরোপুরি সত্য নয়। আমার স্ত্রীর সাথে কথা বলার সে জানায় শিরিন বেগম তাকে মাত্র ২হাজার ৫শত টাকা দিয়েছে। বাকী টাকা সে আত্মসাত করে আমার স্ত্রীকে দোষারোপ করছে।

    এ ব্যাপারে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান জানান, ফাতেমা আক্তার পরীর বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের জন্য সমাজসেবা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে পরীর বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

    রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, আমরা পরী বেগমের বিরুদ্ধে একটি প্রতারনা অভিযোগ পেয়ে তদন্তে সত্যতা পেয়ে তাকে গ্রেফতার করেছি। তার বিরুদ্ধে প্রতারনা ও প্রশাসনের পরিচয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারে প্রেরণ করেছি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • লক্ষ্মীপুরে পরিবহন চাঁদাবাজি থামছেই না; উপজেলায় মাসে অর্ধ-কোটি টাকা উত্তোলন

    লক্ষ্মীপুরে পরিবহন চাঁদাবাজি থামছেই না; উপজেলায় মাসে অর্ধ-কোটি টাকা উত্তোলন

    অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে-রায়পুরে পরিবহন খাতে প্রতি মাসে অর্ধ-কোটি টাকা চাঁদা (জিপি) উত্তোলন করা হচ্ছে। বাস, ট্রাক, টেম্পো, মাইক্রো বাস, সিএনজি ও অটোরিকশা ও ট্রলির ৫টি স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন এ চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগসহ তাদের সংগঠনের একদল নেতার হাতে জিম্মি এসব স্ট্যান্ড। চাঁদার ভাগ যায় বড় নেতা, পাতিনেতা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে। মাঝে মাঝে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হঠাৎ ধরপাকর হলেও আবারও শুরু হয় জিপির নামে চাঁদা উত্তোলন। পরিবহন মালিক ও চালকদের অভিযোগ, প্রতিটি বাস ও সিএনজি স্ট্যান্ডকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে মালিক সমিতি ও শ্রমিক সমিতির নামে বিভিন্ন সংগঠন।

    সিএনজি ও বাস মালিকরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রতিটি স্ট্যান্ডকে ঘিরে স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ নামধারীরা স্বঘোষিত মালিক ও শ্রমিক নেতা সেজে কমিটি গঠন করে রেখেছেন। প্রতিটি স্ট্যান্ডে রয়েছে তাদের লাইনম্যান। এরা নির্ধারিত হারে বাস,ট্রাক, মাইক্রো, ট্রলি, সিএনজি ও অটোরিকশা থেকে চাঁদা আদায় করে থাকেন। চাঁদা পরিশোধ না করে কারও পক্ষে স্ট্যান্ড ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। চাঁদা পরিশোধ করা না হলে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত ঈদের দুদিন পর মজুচৌধুরী ঘাট এলাকায় ৪টি মাইক্রো গাড়ি আটক করে মালিকের কাছ থেকে পুলিশের নামে ২০ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে।

    রায়পুর পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক হাজী ইসমাইল খোকনের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বললে বৈধ ইজারার মাধ্যমে তিন স্ট্যান্ড থেকে টাকা তোলা হচ্ছে বলে জানান। এ টাকা পৌরসভার উন্নয়নে খরচ করা হয়। চলতি জুন-২০ইং মাসে নতুন করে ইজারার আহব্বানের কথা ছিলো। কিন্তু করোনার কারনে বন্ধ রয়েছে।

    রায়পুর পরিবহন সেক্টরের খোঁজ-খবর রাখেন এমন লোকজন জানান, বর্তমানে প্রায় ৮ হাজার সিএনজি অটোরিকশা রয়েছে। পরিবহন চাঁদাবাজির সবচেয়ে বড় খাত হিসেবে দেখা দিয়েছে সিএনজি অটোরিকশা। রায়পুর থেকে চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর ও চৌমুহনী সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ৮২ টি আনন্দ পরিবহন প্রতিদিন জনপ্রতি গাড়ী রায়পুরে ১১৫ টাকাসহ ৬৩৫ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। রায়পুর থেকে চট্রগ্রাম সড়কে ৪৭টি ও ঢাকা সড়কে ৪০ জোনাকি পরিবহন এবং ৫০টি শাহী পরিবহন জনপ্রতি গাড়ী ২০ টাকা ও ৫০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। রায়পুর থেকে ঢাকা সড়কে চলাচলকারি ৩০টি ঢাকা এক্সপ্রেস বাস থেকে ১৫০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। রায়পুর থেকে কুমিল্লা সড়কে ১০টি বোগদাদ পরিবহনকে জনপ্রতি ৯০ টাকা করে দিতে হয়। প্রায় ১২০টি মাইক্রো গাড়ীকে জনপ্রতি চাঁদপুরে ৮০০ ও লক্ষ্মীপুরে ট্রাফিক বিভাগকে ৩০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। রায়পুর ট্রাক ষ্ট্যান্ড থেকে বিভিন্ন সড়কে চলাচলকারি প্রায় ২ শতাধিক পন্যবাহী ট্রাককে জনপ্রতি ৭০/১২০ টাকা হারে চাঁদা দিতে হয়। ছোট-বড় পন্যবাহী থেকে পৌরসভা কর্তৃক নির্ধারিত ১০/১৫ টাকা হারে নেয়ার নির্দেশনা থাকলেও ইজারাদার ওহীদ উল্লাহ তার ৬ জন লাইনম্যানের মাধ্যমে ৪০,৭০ ও ১২০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছেন।

    লক্ষ্মীপুর বিআরটিএর সহকারী পরিচালক (ইন্জিন) অনুজ চন্দ বলেন, জেলায় সিএনজি আটোরিকশার লাইসেন্স আছে ৭ হাজার ২’শটি। হাজার-হাজার সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করে থাকে স্ট্যান্ড কমিটিকে মোটা অঙ্কের চাঁদা দিয়ে। গত মে-২০ইং মাসে অভিযান হয়নি। তাছাড়া প্রতি মাসেই নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে আদালত পরিচালনা হয়ে থাকে। কোন চালক বা লোককে লাইসেন্স পেতে হয়রানি করা হয় না বলে দাবি।

    রায়পুর-লক্ষ্মীপুর সড়কের সিএনজি স্ট্যান্ডে কথা হয় সিএনজি চালক রহমত ও নূর ইসলামের সঙ্গে। তারা দুঃখের সঙ্গে বলেন, রুটে চলাচল করতে তাদের ভর্তি হিসেবে তিন-চার হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। গাড়ি চালাতে দিতে হয় প্রতিদিন ৩০ টাকা। চাঁদপুর রুটের তারেক হোসেন ও মনোয়ার জানান, তারা লাইসেন্সের জন্য দরখাস্ত করে রেখেছেন। কিন্তু বিআরটিএ লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ করে রেখেছে। এখন প্রতি মাসে ৩০০ টাকা পরিশোধ করে স্ট্যান্ড থেকে টোকেন নিতে হয়। রাস্তায় পুলিশকে স্ট্যান্ডের টোকেন দেখিয়ে চলাচল করতে হয়। টোকেন দেখাতে না পারলে গাড়ি আটক হয়ে যায়। মামলা করা হয়।

    রায়পুর সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র দাবি করেছে, প্রতিদিন শহরের থানার কর্নারে, বাসটার্মিনাল, সাবেক শহীদ মিনারের সামনে,মধ্যবাজারের মোড়ে এসব বাস, সিএনজি,অটো, ট্রাক ও মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডে কমপক্ষে ২ লাখ টাকা চাঁদা ওঠে। তবে করোনায় কয়েকটি স্পটে ১০, ৭০, ১২০ টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করা হচ্ছে। এছাড়াও ১০টি ইউনিয়নের গুরুত্বপুর্ণ স্থানে এসব ষ্টান্ড রয়েছে।

    পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লোকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, জেলার অন্যতম ব্যাস্ত রায়পুর-চাঁদপুর-কুমিল্লা, নোয়াখালি, রামগন্জ সড়কের রায়পুর বাসস্ট্যান্ড। এসব স্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণ করেন আওয়ামী লীগ নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ, মেয়র ইসমাইল খোকন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ আহব্বায়ক তানভির হায়দার চৌধুরী রিংকু, সাবেক যুবলীগ সম্পাদক শফিক খান, আ’লীগ কর্মী মোঃ ডালিম, বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম লিটন, আবুল কাশেম দেওয়ান, মোঃ বাবুল প্রমুখ। প্রায় ৫ বছর আগে ট্রাক মালিক ও শ্রমিকের নামে ৫০ টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করা হতো। গ্রুপিংয়ের কারনে তা বন্ধ হয়ে যায়।

    উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ দেশে করোনার আগে বিভিন্ন স্ট্যান্ডে ব্যাপক হারে চাঁদাবাজি হয়েছে বলে স্বীকার করেন। তবে করোনায় সময়ে তা বন্ধ রয়েছে। প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতা না হলে চাঁদাবাজি বন্ধ হবে না। বরং পরবর্তী সরকারের আমলে আরও বৃদ্ধি পাবে।

    সহকারি পুলিশ সুপার (রায়পুর ও রামগন্জ সার্কেল) স্পীনা রানী প্রামানিক জানান, গত ৮দিন আগে সড়কে পরিবহন থেকে চাঁদা উত্তোলনের বিষয়ে পুলিশ সুপার স্যার সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডেকে সতর্ক করেছিলেন। পরিবহন মালিকরা অভিযোগ করলে পুলিশ অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

    উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক তানভীর হায়দার চৌধুরী বলেন, স্ট্যান্ডে কোন চাঁদাবাজি হয় না। রায়পুর পৌরসভা থেকে গত জুন মাসে ২২ লাখ টাকায় ইজারা নিয়ে ১০ ও ২০ টাকা করে জিপি উত্তোলন করছি। রায়পুর-হায়দরগন্জ ও আলোনিয়া সড়ক নিয়ন্ত্রনকারি সাবেক যুবলীগ নেতা শফিক খান বলেন, ৩ লাখ টাকায় ইজারা নিয়ে ১০ টাকা করে উত্তোলন করছি। রায়পুর-চাঁদপুর- রামগন্জ-মীরগন্জ ও গাজিনগর সড়ক নিয়ন্ত্রকারি মোঃ ডালিম একই বক্তব্য দিয়েছেন।

    রায়পুর আনন্দ পরিবহনের মালিকদের সমন্বয়কারী শিপন ভুঁইয়া মোবাইলে বলেন, ৮২টির মধ্যে ৭০ পরিবহন চাঁদপুর-রায়পুর-লক্ষ্মীপুর ও চৌমহনী সড়কে চলাচল করছে। প্রায় ৮ মাস আগে পুলিশ সুপারের নির্দেশে ডিবি পুলিশ অভিযানে কয়েকজন লাইনম্যানকে আটক করে জেলে পাঠানো হয়েছে। অনিয়মতান্ত্রীকভাবে দায়িত্ব নেয়া শ্রমিকলীগ নেতা ভুট্রু ও খোকন তাদের দ্বায়ীত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। এ চাঁদার টাকা রায়পুর পৌরসভা, মসজিদের চাঁদা, শ্রমিকদের মেয়েদের বিয়ে ও সংগঠনের নামে মামলার খরচে ব্যায় করা হচ্ছে। তাছাড়া এ পরিবহনের সকল কিছুই লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র আবু তাহের ও আ’লীগ নেতা শাহজাহান হাজী পরিচালনা করছেন।

    লক্ষ্মীপুর পরিবহন শ্রমিক নেতা শাহজাহান হাজি মোবাইল ফোনে জানান,মহামারি করোনার সময় প্রায় পরিবহন বন্ধ রয়েছে। আনন্দ পরিবহন থেকে যে জিপির টাকা তোলা হয়, তা বিভিন্ন খাতেই ব্যায় হয়। অতিরিক্ত টাকা নেয়ার সুযোগ নাই। সংগঠনের সভাপতি সদর পৌরসভার মেয়র পরিবহনের কোন টাকারই খোঁজ খবর নেন না।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • লক্ষ্মীপুরে একদিনে সর্বোচ্চ ৬৯ জনের করোনা শনাক্ত; মোট ৬৭৮

    লক্ষ্মীপুরে একদিনে সর্বোচ্চ ৬৯ জনের করোনা শনাক্ত; মোট ৬৭৮

    অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে দিনে দিনে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ২৪ ঘন্টায় নতুন করে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯জন। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ৬৭৮জন।

    সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত সদর উপজেলায়। এ উপজেলা এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২৬ জনে।

    নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৩০ জন সদর উপজেলার, ২৩ জন কমলনগর উপজেলার, ১০ জন রামগঞ্জ উপজেলার, ৫ জন রামগতি উপজেলার ও ১ জন রায়াপুর উপজেলার বাসিন্দা। এ দিকে করোনায় মারা গেছে এখন পর্যন্ত ১৪জন। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে আরো ৬২জন।

    জেলায় করোনা আক্রান্ত ৬৭৮ জনের মধ্যে ২৭৬ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বাকি ৩৮৮ জন হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড ও হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    আজ বিকেলে লক্ষ্মীপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

    সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২৮০ জনের নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ আসে ২১১ জনের। আর পজিটিভ আসে ৬৯ জনের। জেলায় সর্বমোট ৬৭৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে সদরে ৩২৬ জন, রামগঞ্জে ১১৯ জন, রায়পুরে ৬৫ জন, কমলনগরে ১১১ জন ও রামগতিতে ৫৭ জন রয়েছেন।

    জেলায় এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৭৬ জন। তাদের মধ্যে রামগঞ্জে চিকিৎসকসহ ৫৭ জন, সদরে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও পুলিশসহ ১১৪ জন, কমলনগরে চিকিৎসক ও নারী-শিশুসহ ৩৭ জন, রামগতিতে জনপ্রতিনিধিসহ ১৯ জন এবং রায়পুরে জনপ্রতিনিধি ও পুলিশসহ ৪৯ জন।

    জেলার রামগঞ্জ ও সদর উপজেলায় শনাক্ত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা পজিটিভ দুইজন রোগী মারা যায়।

    এছাড়া রামগঞ্জ উপজেলায় ছয়জন, সদর উপজেলায় তিনজন, রায়পুর উপজেলায় একজন, রামগতি উপজেলায় একজন ও কমলনগর উপজেলায় একজন মৃত ব্যক্তির করোনা পজিটিভ আসে।

    এ দিকে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে সতর্কতার সঙ্গে জীবনাচার অনুশীলন করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর