Tag: লবণ

  • এবার লবণ আমদানির অনুমতি

    এবার লবণ আমদানির অনুমতি

    ডিম ও আলুর পর এবার লবণ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। সেই লক্ষ্যে ২৬৪টি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টন লবণ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

    মঙ্গলবার (০৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

    প্রাকৃতিক কারণে লবণের উৎপাদন মৌসুম বিলম্বিত হচ্ছে। বাজারে যেন কোনো ঘাটতি না হয় সেজন্য এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানান সিনিয়র সচিব।

    তিনি বলেন, ‘গত ১৫ দিন আগে থেকেই এটার সৃজন (উৎপাদন) শুরু হওয়ার কথা, তো এটা একটু পিছিয়ে গেছে বলেই শিল্প মন্ত্রণালয় হয়ত মনে করেছে যে, পূর্ব সতর্কতা হিসেবে কিছু লবণ আমদানি করে রাখলে যেন কোনো ঘাটতি না হয়, সেজন্য এটা (অনুমতি) দিয়েছে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘গত বছর সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন হয়েছিল বলেই কিন্তু কোরবানির ঈদের সময়ও আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তখন যথেষ্ট লবণ ছিল। কিন্তু যেহেতু এই মৌসুমে প্রাকৃতিক কারণে লবণ আসতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে… সেজন্যই এটা পূর্ব সতর্কতা হিসেবে দেওয়া (আমদানির অনুমতি হয়েছে), যেন বাজারে কোনো ঘাটতি না হয়।’

    ডিম আমদানির বিষয়ে সিনিয়র সচিব জানান, ভারত থেকে ৬১ হাজার ৯৫০ পিস ডিম আমদানি করা হয়েছে। দেরির কারণ (আমদানি) বার্ড ফ্লু পরীক্ষা। সেই সমস্যা মিটেছে। এখন ডিম আসতে থাকবে। সব মিলিয়ে ২০ কোটি পিস আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

  • ৬২ শতাংশ প্যাকেট খাবারে উচ্চ মাত্রায় লবণ

    ৬২ শতাংশ প্যাকেট খাবারে উচ্চ মাত্রায় লবণ

    বাংলাদেশের ৯৭ শতাংশ মানুষ সপ্তাহে অন্তত একবার প্রক্রিয়াজাত প্যাকেট খাবার গ্রহণ করে। ৬২ শতাংশ প্রক্রিয়াজাত প্যাকেট খাবারে অধিক (উচ্চ) মাত্রায় লবণ রয়েছে। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

    ‘প্রক্রিয়াজাত প্যাকেটকৃত খাবারে লবণ নিয়ন্ত্রণ’ জানতে এ গবেষণা করা হয় সম্প্রতি। রোববার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এ গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন হাসপাতালের রেজিস্ট্রার (ক্লিনিকাল রিসার্চ) ডা. শেখ মো. মাহবুবুস সোবহান। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এবং রিসলভ টু সেইভ লাইভসের (আরটিএসএল) সহযোগিতায় এ সভার আয়োজন করা হয়। হাসপাতালের চিফ কনসালটেন্ট কার্ডিওলজিস্ট অধ্যাপক ফজিলা-তুন-নেসা মালিক সভায় সভাপতিত্ব করেন।

    ডা. শেখ মো. মাহবুবুস সোবহান বলেন, দেশের বাজারে বিদ্যমান প্রক্রিয়াজাত খাদ্যে লবণের উপস্থিতি নির্ণয়ে ২০২১ সালের জুন থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত আট বিভাগীয় শহর থেকে এক হাজার ৩৯৭ ধরনের প্রক্রিয়াজাত প্যাকেট খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ১০৫ ধরনের প্রক্রিয়াজাত প্যাকেট খাবার ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, সেখানে ৬২ শতাংশ প্রক্রিয়াজাত প্যাকেট খাবারে অধিক (উচ্চ) মাত্রায় লবণ রয়েছে। এর মধ্যে ৩৫ দশমিক ২ শতাংশ খাবারে অত্যাধিক এবং ২৬ দশমিক ৭ শতাংশ খাবারে বেশি লবণের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ৩৮ দশমিক ১ শতাংশ প্রক্রিয়াজাত প্যাকেট খাবারে সঠিক মাত্রায় লবণ রয়েছে।

    তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, একজন ব্যক্তির সুস্থ থাকতে দৈনিক ৫ গ্রাম লবণ গ্রহণের প্রয়োজন। তবে বাংলাদেশে একজন ব্যক্তি গড়ে ৯ গ্রাম লবণ গ্রহণ করে। এটি উদ্বেগের বিষয়।

    সভায় মান নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠানের (বিএসটিআই) উপপরিচালক এনামুল হক বলেন- উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, বাজারে থাকা খাবারের প্যাকেটগুলোতে যে লেবেল থাকে, সেখানে সঠিক তথ্য দেওয়া থাকে না। অনেক কোম্পানি খাদ্যপণ্যের উপাদানের সঠিক মাত্রা লুকিয়ে বাজারজাত করে। এতে ভোক্তারা প্রতারিত হন। নগরায়নের জীবনে প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা কষ্টকর। তাই এই অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ থেকে বাঁচতে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নাজমা শাহীন বলেন, প্রক্রিয়াজাত প্যাকেট খাবারে অতিরিক্ত লবণ থাকে। তারপরও সাধারণ মানুষ এটি গ্রহণ করছে। এর মূল কারণ সচেতনতার অভাব। তাই ভোক্তাদের সচেতন করতে হবে। এজন্য প্রক্রিয়াজাত প্যাকেট খাবারের ‘ফ্রন্ট অব প্যাক লেবেলিং’ অর্থাৎ সামনের দিকে পণ্যের খাদ্য উপাদানের তথ্য থাকতে হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্টদের জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে।

    জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, খাদ্যে লবণ ব্যবহারের পরিমাণ নিয়ে এই মুহূর্তে কোনো আইন নেই। তাই সাধারণ মানুষকে অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের ক্ষতিকর দিক জানাতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এগুলো থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।

    অধ্যাপক ফজিলা-তুন-নেসা মালিক বলেন, প্রক্রিয়াজাত প্যাকেট খাবারে লবণের সঠিক ব্যবহারের জন্য সরকারকে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। যেমন সর্বোচ্চ কী পরিমাণ লবণ ব্যবহার করা যাবে, সেটি নির্ধারণ করে দেওয়া। প্যাকেটের সামনে লেবেল ঠিক করে দেওয়া। খাবারে অতিরিক্ত লবণ ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো। একই সঙ্গে লবণ খাওয়ার ভুল ধারণা বাদ দিতে হবে।

  • দেশে ৬২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন

    দেশে ৬২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন

    বাংলাদেশ চলতি মৌসুমে ১০ হাজার ৯৩০ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন করে ৬২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছে।

    শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।

    ২৫ এপ্রিলের হিসেব অনুসারে, চলতি মৌসুমে মোট লবণ উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন। বিগত বছরে লবণ উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল ১৮ লাখ ৩২ হাজার মেট্রিক টন। এই মৌসুমে মোট লবণ চাষকৃত জমির পরিমাণ ৬৬ হাজার ৪২৪ একর, গত বছর ছিল ৬৩ হাজার ২৯১ একর। গত বছরের তুলনায় এ বছর লবণ চাষের জমি বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ হাজার ১৩৩ একর।

    এবার লবণ চাষির সংখ্যা ৩৯ হাজার ৪৬৭ জন, যা গত বছর ছিল ৩৭ হাজার ২৩১ জন। গত বছরের তুলনায় লবণ চাষির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ২ হাজার ২৩৬ জন।

    লবণ আমদানি না করে দেশে তা উৎপাদনের মাধ্যমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে চলতি লবণ মৌসুমে একমাস আগেই চাষিদেরকে মাঠে নামানো হয়। গত লবণ মৌসুমে প্রথম লবণ উৎপাদন শুরু হওয়ায় চলতি লবণ মৌসুমে লবণ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে স্বল্পমেয়াদী (১ বছর), মধ্যমেয়াদী (১-৫ বছর) এবং দীর্ঘমেয়াদী (৫ বছরের উর্ধ্বে) কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, আধুনিক পদ্ধতিতে লবণ চাষিদেরকে অগ্রীম লবণ চাষে উদ্বুদ্ধকরণ ও প্রশিক্ষণ, লবণ চাষের নতুন এলাকা চিহ্নিতকরণ এবং সম্প্রসারণ, সহজ শর্তে লবণ চাষিদের ঋণ প্রদান, লবণ উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ, প্রকৃত লবণ চাষিদের নিকট বরাদ্দকরণ, লবণ চাষের জমির লীজ মূল্য নির্ধারণ, লবণ চাষের জমি সংরক্ষণ, আধুনিক পদ্ধতিতে লবণ উৎপাদনে প্রদর্শনী ও উৎপাদিত লবণের মান নিয়ন্ত্রণে কারিগরি সহায়তা প্রদান, জরিপ পরিচালনা, লবণ চাষ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ এবং লবণ উৎপাদন, মজুদ ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে নিয়মিতভাবে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

    চলতি লবণ মৌসুমে লবণ উৎপাদন চলমান রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ২০ লক্ষ মে.টনের অধিক লবণ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

    মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জাতীয় লবণনীতি, ২০২২ অনুযায়ী শিল্প মন্ত্রণালয়ের দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) লবণ শিল্পের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকে। ১৯৬১ সাল থেকে বিসিকের মাধ্যমেই দেশে পরিকল্পিতভাবে লবণ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়।

    বর্তমানে কক্সবাজারে অবস্থিত বিসিকের লবণ শিল্পের উন্নয়ন কর্মসূচি কার্যালয়ের আওতাধীন ১২টি লবণ কেন্দ্রের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলার সকল উপজেলায় এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে লবণ চাষের জন্য লবণ চাষীদের প্রশিক্ষণ, ঋণ প্রদান এবং প্রযুক্তি সম্প্রসারণসহ সার্বিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

  • সীতাকুণ্ডে লবণভর্তি ট্রাকে মিলল ২৬ হাজার ইয়াবা, চালক-হেলপার আটক

    সীতাকুণ্ডে লবণভর্তি ট্রাকে মিলল ২৬ হাজার ইয়াবা, চালক-হেলপার আটক

    ২৪ ঘণ্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে র‌্যাবের বিশেষ অভিযানে লবণভর্তি ট্রাকে মিলল এক কোটি ৩০ লাখ টাকা মূল্যের ২৬ হাজার পিস ইয়াবা।

    সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ১১টার সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড থানাধীন বাড়বকুণ্ড এলাকার বিএন সোনারগাঁ ফিলিং স্টেশনের সামনে লবণ বোঝাই ট্রাকে তল্লাশী চালিয়ে এসব ইয়াবা উদ্ধার হয়।

    এসময় ইয়াবা কারবারের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ট্রাক চালক ও হেলপারকে আটক করে র‌্যাব। তাছাড়া ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-২২-১৩৩৯)টি জব্দ করা হয়।

    আটককৃতরা হলেন, ট্রাক চালক পাবনা জেলার সাথিয়া আতরশোভা এলাকার মো. ইদালী হোসেনের ছেলে ও ট্রাক চালক মো. মাসুদ রানা (২৮) এবং একই জেলা সদরের লস্করপুর এলাকার মো. আফজাল মোল্লার ছেলে মো. ফরিদ মোল্লা (২০)।

    র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী এএসপি মাশকুর রহমান বলেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড এলাকায় বিশেষ চেক পোস্ট স্থাপন করে র‌্যাবের বিশেষ টিম।

    রাত সোয়া ১১ টার সময় লবণভর্তি একটি ট্রাকের গতিবিধি সন্দেহ হলে সেটি থামিয়ে তল্লাশী করা হয়। এসময় চালক ও হেলপার কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে দুজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে ট্রাকের চালক ও হেলপারের সিটের পিছনে বিশেষ কায়দায় রক্ষিত অবস্থায় ২৬ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।

    ইয়াবাসহ দুজনকে আটক দেখিয়ে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সীতাকুণ্ড থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে জানালেন র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • লবণ : শুনেছি দাম বাড়ছে তাই আমিও বাড়াই দিছি!

    লবণ : শুনেছি দাম বাড়ছে তাই আমিও বাড়াই দিছি!

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা পৌরসদরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে দুই মুদি দোকানির কাছ থেকে জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

    গুজবে কান দিয়ে লবনের প্যাকেটের গায়ে লেখা দামের তুলনায় অধিক মুল্য নেয়ার অপরাধে তাদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করে নির্বার্হী ম্যাজিস্ট্রেট।

    মঙ্গলবার রাত ৮ টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন।

    জরিমানা আদায়ের পর রুহুল আমিন দোকানিকে হঠাৎ করে লবণের দাম বাড়তি নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে দোকানি সহজ সরল উত্তর দেন, ‘শুনছি দাম বাড়ছে তাই আমিও দাম বাড়াই দিছি’।

    রুহুল আমিন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, হঠাৎ করে সারাদেশে লবণ সংকট ও লবণের দাম বৃদ্ধির গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এর প্রভাব পড়ার আগেই সাধারণ ব্যবসায়িদের সতর্ক করতে মঙ্গলবার রাতেই উপজেলা পৌরসদরের বিভিন্ন মুদি দোকানে অভিযান চালায়।

    এসময় ক্রেতাদের কাছ থেকে লবণের প্যাকেটের গায়ে লেখার চাইতেও বেশি দাম নেওয়ার অপরাধে পৌরসভার দুই মুদি দোকানিকে জরিমানা করা হয়।

    প্রথম দিনের অভিযানে মেসার্স মেঝবাহ স্টোরকে ৫শ এবং মেসার্স খোরশেদ স্টোরকে ৫শ টাকা জরিমানা করে সকল ব্যবসায়িকে প্রথমবারের মত সতর্ক করে দেওয়া হয়।

    তবে ভবিষ্যতে একই অপরাধ ধরা পড়লে প্রশাসন আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে তিনি সকল ব্যবসায়িদের হুশিয়ার করে দেন।

  • লবণ নিয়ে গুজব ঠেকাতে হটলাইন চালু

    লবণ নিয়ে গুজব ঠেকাতে হটলাইন চালু

    সারা দেশে লবণের দাম বাড়ার গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে অনেকেই অতিরিক্ত লবণ কিনে রাখছেন। দেশের কোথাও কোথাও বেশি দামে লবণ বিক্রিও হচ্ছে।

    শিল্প মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) মাধ্যমে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশে বর্তমানে সাড়ে ছয় লাখ মেট্রিক টনের বেশি ভোজ্য লবণ মজুত রয়েছে। একটি স্বার্থান্বেষী মহল লবণের সংকট রয়েছে মর্মে গুজব রটনা করে অধিক মুনাফা লাভের আশায় লবণের দাম অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ ধরনের গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।

    লবণ সংক্রান্ত বিষয়ে তদারকির জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) প্রধান কার্যালয়ে ইতোমধ্যে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এর নাম্বার হচ্ছে: ০২-৯৫৭৩৫০৫ (ল্যান্ড ফোন), ০১৭১৫-২২৩৯৪৯, ০১৬২৪২৭৬০১২ (সেল ফোন)।

    ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুর শাহরিয়ার জানিয়েছেন, লবণ সংক্রান্ত যে কোনো তথ্যের প্রয়োজনে কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে। এছাড়া লবনের দাম বেশি চাইলে ভোক্তারা সরাসরি এই নাম্বারেও ফোন দিয়ে দেখতে পারেন।

    জাতীয় ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্র:
    ফোন-০২-৫৫০১৩২১৮, ০১৭৭৭-৭৫৩৬৬৮.
    এছাড়া ই-মেইল করতে পারেন, nccc@dncrp.gov.bd এই ঠিকানায়। এর পাশাপাশি নিকটস্থ থানাকে অবহিত করতে পারেন। প্রয়োজনে জরুরি সেবা ৯৯৯-য়ে ফোন করে সহায়তা নিতে পারেন।

  • ‘দেশে লবণের কোনো ঘাটতি নেই’

    ‘দেশে লবণের কোনো ঘাটতি নেই’

    দেশে লবণের বাজার স্বাভাবিক রয়েছে, কোনো ধরনের ঘাটতি নেই। বর্তমান যে পরিমাণ লবণ উদ্বৃত্ত রয়েছে তা দিয়ে আরো অন্তত দুই মাস চলবে। একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী লবণের সংকট দেখিয়ে দাম বৃদ্ধির অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।

    ইতিমধ্যে একটা কুচক্রিমহল লবণের কেজি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে অপপ্রচার চালিয়েছে। তারা মূলত এ শিল্পকে ধ্বংস করতে চাচ্ছে। অপপ্রচারকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।

    আজ মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির সাধারণ সভায় মিল মালিকরা এসব কথা বলেন।

    কক্সবাজার শহরের একটি আবাসিক হোটেলের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত মিল মালিক সভায় সমিতির সভাপতি নুরুল কবির বলেছেন, বর্তমানে তিন লাখ মেট্রিক টনের ওপরে লবণ উদ্বৃত্ত। কিছু মিল মালিকের কারণে মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর সোডিয়াম সালফেট বাজারে সয়লাব হয়ে গেছে। বন্ড লাইসেন্স, কাস্টিং সল্ট ইত্যাদি নামে লবণ আমদানি করছিল একটা শ্রেণী। আমাদের কঠোরতায় ওই রকম লবণ আমদানি বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি।

    লবণের জাতীয় চাহিদা নিরূপণে সবাইকে এক টেবিলে বসতে হবে। আমরা লবণ ব্যবসায়ী ঐক্যবদ্ধ হলে এই শিল্পকে বাঁচানো সম্ভব। ঘরের সমস্যা ঘরেই সমাধান চাই।

    লবণ মিল মালিকদের ওই সভায় বক্তব্য রাখেন সমিতির সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম, আফতাব হোসেন, মাষ্টার আব্দুল কাদের, এম কায়সার ইদ্রিস, মো: ফজলুল হক, ওমর ফারুক মিঠু, সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী।

    মিল মালিকরা বলেন, আয়োডিনের দাম সর্বোচ্চ ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা হওয়া দরকার। কিন্তু আমাদের কিনতে হচ্ছে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত দামে। আয়োডিনের দাম কমানো প্রয়োজন।

    সভায় লবণ মিল মালিক বলেন, কালোবাজারি, উৎপাদিত লবণের ন্যায্যমূল্য না পাওয়া ও বিষাক্ত সোডিয়াম সালফেটের কারণে ধ্বংস হচ্ছে দেশীয় লবণ শিল্প। মাঠে ও মিলে পড়ে রয়েছে অন্তত ছয় লাখ মেট্রিকটন অবিক্রিত লবণ। কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে কালোবাজারিদের লবণ আমদানির কারণে দেশীয় লবণ খাত মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছে না। পিছিয়ে যাচ্ছে দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ খাত। দরপতন অব্যাহত থাকলে সামনের মৌসুমে লবণ চাষিরা মাঠে যাবে কিনা সন্দেহ রয়েছে।

    লবণ মিল মালিক, ব্যবসায়ী, চাষিসহ সংশ্লিষ্টদের দাবি, দেশীয় লবণশিল্প বাঁচাতে সমস্ত লবণ আমদানি বন্ধ করতে হবে। ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে না পারলে মাঠে ফেরানো যাবে না চাষিদের। পরনির্ভর হবে দেশ। বাড়বে বেকারত্ব। সুডিয়াম সালফেটের আড়ালে যারা ইন্ডাস্ট্রিয়াল সল্ট, সোডিয়াম ক্লোরাইড আমদানি তাদের কঠোরহস্তে দমন করতে হবে।

    ৮০ কেজির লবণের বস্তা মাঠ পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকা দরে। সে হিসেবে কেজিতে পড়ছে মাত্র চার টাকা। যা দিয়ে মজুরি বা উৎপাদন খরচও সামাল দিতে পারছে না চাষিরা। অথচ বাজারে প্যাকেটজাত লবণ কেজিতে বিক্রি করা হয় প্রায় ৪০ টাকা। উৎপাদনের পর থেকে বাজারে পৌঁছা পর্যন্ত অন্তত তিনটি হাত বদল হয় লবণের। প্রত্যেক হাতে লাভ পড়ে। কেবল লোকসান সয়েই যেতে হচ্ছে ‘চিরবঞ্চিত’ চাষাদের।

    লবণ মিল মালিকদের একটি সূত্র জানায়, অপরিশোধিত লবণ পরিশোধিত তথা খাবার উপযুক্ত ও বাজারজাত করতে কেজিতে সর্বোচ্চ এক থেকে দেড় টাকা খরচ পড়বে। সে হিসেবে এক কেজি লবণের দাম হওয়ার কথা সাড়ে পাঁচ টাকার নিচে। কিন্তু বাজারে ভোক্তারা কিনছে প্রায় ৪০ টাকা। লবণ চাষিদের অবহেলা, রাঘববোয়াল ও শিল্প কারখানার মালিকদের প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ‘দরদি মনোভাব’-এর কারণে এমনটি হচ্ছে বলে ধারণা সাধারণ মানুষের।

    নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে লবণের মৌসুম। ইতোমধ্যে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে লবণ উৎপাদন হচ্ছে। গেল মৌসুমেও অন্তত ছয় লাখ মেট্রিক টন লবণ উদ্বৃত্ত।

    বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) কক্সবাজারের লবণ শিল্প উন্নয়ন প্রকল্প কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৯-২০ মৌসুমে বিসিকের চাহিদা ১৮ লাখ ৪৯ হাজার মেট্রিক টন। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন। ২০১৮-১৯ মৌসুমে কক্সবাজার জেলায় উৎপাদনযোগ্য লবণ জমির পরিমাণ ছিল ৬০ হাজার ৫৯৬ একর। চাষির সংখ্যা ২৯ হাজার ২৮৭ জন। এই মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮ লাখ মেট্রিক টন। বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে ১৮ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন। যা বিগত ৫৮ বছরের লবণ উৎপাদনের রেকর্ড ছাড়িয়েছে।

    সভায় কার্যনির্বাহী সদস্য মো: আবু হানিফ ভূঁইয়া, মো: শহিদুজ্জামান শরিফ, আলহাজ্ব মো: কামাল দেওয়ান, মো: আবুল কালাম আজাদ, হাজি এসএম ইজ্জত আলী, মীর আহম্মদ, সাদেক মোহাম্মদ, এম এ তাহের, গাজী সাব্বির আহমদ, অহিদুস সামাদ হেলাল, মো: কুতুব উদ্দিন, ফরিদুল ইসলাম, শেখ ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, অছিয়র রহমান চেয়ারম্যান, জাফর আহম্মদ, মো: কামাল শরীফসহ সমিতির সদস্য ও দেড় শতাধিক মিল মালিক উপস্থিত ছিলেন।

  • লবণ নিয়ে কারসাজি করলেই ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ বাণিজ্যমন্ত্রীর

    লবণ নিয়ে কারসাজি করলেই ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ বাণিজ্যমন্ত্রীর

    বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশে লবণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে, কিন্তু অপপ্রচার চালিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিচ্ছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

    অপপ্রচারের কারণে কিছু জায়গায় লবণের দাম বেড়েছে। দামবৃদ্ধির জন্য সাংবাদিকদেরও দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

    এ সময় আগামী বছর কোরবানির সব কাঁচা চামড়া সরকার কিনে নেবে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

    এদিকে শিল্প মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, দেশে লবণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। দেশে বর্তমানে সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টনেরও বেশি ভোজ্য লবণ মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের লবণ চাষিদের কাছে ৪ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন এবং বিভিন্ন লবণ মিলের গুদামে ২ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন লবণ মজুদ রয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একটি স্বার্থান্বেষী মহল লবণের সংকটের গুজব ছড়িয়ে অধিক মুনাফা লাভের আশায় লবণের দাম অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ ধরনের গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

    প্রসঙ্গত, লবণ সংকটের গুজব ছড়িয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে হঠাৎ করে দাম বেড়ে যায়। কোথাও কোথাও একশ’ টাকা কেজি দরে লবণ বিক্রি হচ্ছে।

  • লবণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে দেশে: শিল্প মন্ত্রণালয়

    লবণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে দেশে: শিল্প মন্ত্রণালয়

    দেশে বর্তমানে সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টনের বেশি ভোজ্য লবণ মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের লবণ চাষিদের কাছে ৪ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন এবং বিভিন্ন লবণ মিলের গুদামে ২ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন লবণ মজুদ রয়েছে।

    একটি স্বার্থান্বেষী মহল লবণের সংকটের গুজব ছড়িয়ে অধিক মুনাফা লাভের আশায় লবণের দাম অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এ ধরনের গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে মন্ত্রণালয়।

    মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে বর্তমানে সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টনেরও বেশি ভোজ্য লবণ মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের লবণ চাষিদের কাছে ৪ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন এবং বিভিন্ন লবণ মিলের গুদামে ২ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন লবণ মজুদ রয়েছে।

    এছাড়া সারাদেশে বিভিন্ন লবণ কোম্পানির ডিলার, পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে লবণ মজুদ রয়েছে। পাশাপাশি চলতি নভেম্বর মাস থেকে লবণের উৎপাদন মওসুম শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া ও মহেশখালী উপজেলায় উৎপাদিত নতুন লবণও বাজারে আসতে শুরু করেছে।

    দেশে প্রতি মাসে ভোজ্য লবণের চাহিদা থাকে কম-বেশি ১ লাখ মেট্রিক টন। অন্যদিকে লবণের মজুদ আছে সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টন। সে হিসাবে লবণের কোনো ঘাটতি বা সংকট হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

    উল্লেখ্য, লবণ সংক্রান্ত বিষয়ে তদারকির জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) প্রধান কার্যালয়ে এরই মধ্যে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এর নম্বর: ০২-৯৫৭৩৫০৫ (ল্যান্ড ফোন), ০১৭১৫-২২৩৯৪৯ (সেল ফোন)। লবণ সংক্রান্ত যে কোনো তথ্যের জন্য কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।