Tag: লাজ ফার্মা

  • লাজ ফার্মায় বিপুল পরিমাণ অনুমোদনহীন ওষুধ, জরিমানা ২৯ লাখ

    লাজ ফার্মায় বিপুল পরিমাণ অনুমোদনহীন ওষুধ, জরিমানা ২৯ লাখ

    সরকারের অনুমোদন ছাড়া ক্যানসারের ওষুধ, ইনজেকশনসহ বিভিন্ন রোগের প্রায় ৭০ ধরনের ওষুধ বিক্রি করছিল লাজ ফার্মা। সরকারের ভ্যাট, ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে ল্যাগেজে এসব ওষুধ এনে বিক্রি করত। এছাড়া তাদের ড্রাগ লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হলেও তা বাড়ায়নি।

    এসব অনিয়মের অভিযোগে সোমবার বিকালে থেকে প্রতিষ্ঠানটির রাজধানীর কাকরাইল শাখায় অভিযান শুরু করে র‌্যাব। বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিকে ২৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

    অভিযান পরিচালনা করছেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। তিনি বলেন, ‘ক্যানসারের ওষুধ, এন্টিবায়োটিক, ইনজেকশনসহ বিভিন্ন রোগের প্রায় ৭০ ধরনের ওষুধ পাওয়া গেছে। সরকার তথা ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদনহীন এসব ওষুধ দেশে বিক্রির অনুমোদন নেই। এমন বিপুল পরিমাণ ওষুধ জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া গেছে। এসব ওষুধের বাজার মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা। তাদের কাছ থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ কিনেছে এমন দুই ক্রেতাও অভিযান চলাকালে উপস্থিত হয়। তারা আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন।’

    প্রতিষ্ঠানটির ড্রাগ লাইসেন্সের মেয়াদ ছিল না জানিয়ে পলাশ বলেন, ‘তাদের ওষুধ বিক্রির যে ড্রাগ লাইসেন্স তা মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল। অনেক সময় দেখা যায়, দেশের বাইরের অনেক ওষুধের অনুমোদন সরকার দেয় না। তারা সরকারের ট্যাক্স, ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে ল্যাগেজে এসব ওষুধ এনেছে। এটা একটা বড় অপরাধ তারা করেছে।’

    অপর এক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘অনুমোদন না দেবার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। যেমন- এসব ওষুধ দেশের তাপমাত্রার সঙ্গে যায় না, আবার মানুষের শরীরের সঙ্গে যায় না। এমন অনেক কারণে সরকার এসব ওষুধের অনুমতি দেয় না। তারা সরকারের এসব সিদ্ধান্তের ‘বৃদ্ধাঙ্গুলি’ দেখিয়ে দেশের বাইরে থেকে এসব ওষুধ এনে বিক্রি করছে। কারণ, তারা নিজেদের অনেক প্রভাবশালী মনে করে।’

    এসব অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার, অ্যাকাউন্টেন্ট, ইনচার্জসহ সাতজনকে মোট ২৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বেশী দামে মাস্ক বিক্রি, লাজ ফার্মাকে জরিমানা

    বেশী দামে মাস্ক বিক্রি, লাজ ফার্মাকে জরিমানা

    মাত্রাতিরিক্ত দামে মাস্ক বিক্রির দায়ে সাভারে লার্জ ফার্মা লিমিটেডে অভিযান চালিয়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    সোমবার (১০ মার্চ) ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহফুজের নেতৃত্বে দুপুরে সাভার থানা রোডে বিভিন্ন ওষুধ ফার্মেসিতে অভিযান পরিচালিত হয়।।

    জানা গেছে, দুপুরে ক্রেতা সেজে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মাস্ক কিনতে গেলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে বাড়তি চাহিদার কথা বলে সাভার লাজ ফার্মায় ৫ টাকা মূল্যের সাধারণ মাস্ক ৪০ টাকায় বিক্রি করা হয়। এছাড়া চালানবিহীন বিভিন্ন বিদেশি ওষুধও পাওয়া এই ফার্মেসিতে। এ সময় বিক্রয় রসিদ চাইলেও তা দিতে অপারগতা জানান ফার্মেসি কর্মকর্তারা।
    পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে আসা পুলিশ গিয়ে হাতেনাতে আটক করে ব্যবস্থাপক মতিউর রহমান ও বিক্রয়কর্মী পাপন দেবনাথকে। পরে ভোক্তা অধিকার আইনে এক লাখ জরিমানা করা হয় ও অনাদায়ের ৩ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। পরবর্তীতে এক লাখ জরিমানা আদায় সাপেক্ষে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

    ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, করোনা ভাইরাস আতঙ্কে সাভারের ফার্মেসিগুলোতে রাতারাতি মাস্ক এর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় উচ্চমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হচ্ছে।