Tag: লামা

  • লামায় বন্যহাতির আক্রমণে বৃদ্ধার মৃত্যু

    লামায় বন্যহাতির আক্রমণে বৃদ্ধার মৃত্যু

    বান্দরবানের লামায় বন্যহাতির আক্রমণে খতিজা বিবি (৬৫) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার সোহরাবপাড়ার মৃত ফজর আলীর স্ত্রী। এ ঘটনায় আরও দু’জন আহত হয়েছেন।

    শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সকাল ৮টায় উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

    আহতরা হলেন- উপজেলার মগবাজার এলাকার দোকানদার আমির আলী (৫০) ও জামালপাড়ার মোজাম্মেল হক বয়াতি (৬৫)। তাদের উদ্ধার করে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    প্রত্যক্ষদর্শী মো. জাকারিয়া ও মো. বাবলু বলেন, সকালে গৃহস্থালি কাজে বাড়ির পাশের পাহাড়ি ঝিরিতে গেলে সেখানে হাতির দলের সামনে পড়েন খতিজা বিবি। এ সময় তাকে আছাড় দিলে তার মৃত্যু হয়। এরপর মগ বাজার আমির আলীর দোকান ও জামাল পাড়ার মোজাম্মেল হক বয়াতির বাড়িতে ভাংচুর করে হাতির দল। এতে দু’জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

    আজিজনগর পুলিশ ক্যাম্পের আইসি এনামুল হক বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা চলছে।

    ২৪ঘণ্টা/এসএ

  • লামায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে যুবতীর আত্মহত্যা

    লামায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে যুবতীর আত্মহত্যা

    লামা প্রতিনিধি : বান্দরবানের লামা উপজেলায় বিলকিছ আক্তার (২০) নামের এক যুবতী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

    রবিবার সকালে উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের মুসলিম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। বিলকিছ আক্তার মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা মৃত মো. শহীদ কারবারীর মেয়ে।

    সূত্র জানায়, পারিবারিক বিষয় নিয়ে রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিলকিছ আক্তারের সাথে মা, ভাই ও ভাবীর সাথে ঝগড়া হয়। এর জের ধরে অভিমান করে বাড়ীর পাশের জনৈক মতিনের সেগুন বাগানে গিয়ে গাছের সাথে গলায় ফাঁস দেয়।

    স্বজনেরা খবর পেয়ে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার চেষ্টা করলে পথে বিলকিছ আক্তার মারা যায়।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/রফিক

  • লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রবেশ পথে জীবানু নাশক টানেল স্থাপন

    লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রবেশ পথে জীবানু নাশক টানেল স্থাপন

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ।লামা প্রতিনিধি:প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমন ঠেকাতে বান্দরবানের লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জীবানু নাশক টানেল স্থাপন করলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি’র ছেলে ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক উসিংহাই রবিন বাহাদুর।

    স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রবেশ পথে এ টানেল স্থাপন করা হয়।

    বুধবার (১৩ মে) দুপুরে স্থাপিত টানেলের উদ্ভোধন করেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা জামাল।

    এ সময় নিবার্হী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি, পৌরসভা মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর ও ফাতেমা পারুল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহেদ উদ্দিন, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাথোয়াইচিং মার্মা, রুপসীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছাচিংপ্রু মার্মা, লামা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বিজয় আইচ, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কান্তি দাশ, আবাসিক চিকিৎসক মোহাম্মদ রোবীন, চিকিৎসক (রোগনিয়ন্ত্রণ) মনিরুজ্জামান মোহাম্মদ, ডেন্টাল সার্জন আরিফ বিন রশীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    এর আগে মন্ত্রী পুত্র রবিন বাহাদুর এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, গ্লাভস এবং মাক্সও প্রদান করেন।

    বৈশ্বিক এ মহামারিতে মানব কল্যানে কাজ করার জন্য রবিন বাহাদুরসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদুল হক বলেন, এই টানেলটির ভেতর দিয়ে হেঁটে গেলে অটোমেটিক লেজার সেন্সর এক্টিভ হয়ে ব্যক্তির উপর স্প্রে হবে। এ স্প্রের কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঢুকতে অথবা বের হওয়ার সময় যে কেউ এর মাঝে দিয়ে হেটে গেলে তার শরীরে এবং জামা কাপড়ে লেগে থাকা জীবাণু সহজেই ধ্বংস হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/রফিক

     

  • লামায় প্রথম এক নারী করোনায় আক্তান্ত

    লামায় প্রথম এক নারী করোনায় আক্তান্ত

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। লামা প্রতিনিধি : বান্দরবানের লামা উপজেলায় প্রথম বারের মত এক নারীর (৪৫) নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পজেটিভ এসেছে, অর্থাৎ তার শরীরের প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

    বুধবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদুল হক। তিনি জানান, গত ১৬ এপ্রিল ওই নারী ও তার স্বামীসহ আপশাপাশের ১৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করার পর পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।

    মঙ্গলবার দিনগত রাত ১১টার দিকে পাওয়া তার নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে করোনা পজেটিভ এসেছে। বাকী ১৩ জনের রিপোর্ট এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু আক্রান্ত নারীর শরীরে কোন উপসর্গ দেখা যাচ্ছেনা। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।

    এক সপ্তাহ পর পরীক্ষার জন্য আবারো তার নমুনা সংগ্রহ করা হবে। পাশাপাশি তার আশপাশে সংস্পর্শে যারা আছেন তাদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

    আক্রান্ত নারী লামা সদর ইউনিয়নের মেরাখোলা গ্রামের পশ্চিম মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা। খবর পেয়ে রাতেই করোনা ভাইরাস আক্রান্ত নারীর বাড়িতে ছুঁটে যান- উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদুল হক, থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন।

    এ বিষযে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ- জান্নাত রুমি বলেন, প্রাণঘাতী করোনা সংক্রমন এড়াতে মেরাখোলা মুসলিম পাড়া ও আশপাশের এলাকাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রফিক সরকার/আর এস পি

  • বান্দরবানের লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি লকডাউন

    বান্দরবানের লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি লকডাউন

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। বান্দরবান প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাসের (করোনা-১৯) প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বান্দরবান জেলার তিনটি উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন।

    পার্শ্ববর্তী কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ায় পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলার লামা, আলীকদম এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করে প্রশাসন।

    আজ মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে তা কার্যকর হচ্ছে জানিয়ে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম বলেন, বান্দরবান জেলায় এখনও কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি।

    তবে বান্দরবানের তিনটি উপজেলার পার্শ্ববর্তী কক্সবাজারের চকরিয়ায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ায় পরিস্থিতি মোকাবেলায় বান্দরবান জেলার লামা, আলীকদম এবং নাইক্ষ্যংছড়ি ৩টি উপজেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তবে লামার সঙ্গে আলীকদম উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা সীমিত পরিমাণে খোলা থাকবে।

    আপাতত পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনে সবগুলো উপজেলা লকডাউন করা হবে। ইতিমধ্যে বান্দরবান জেলার সাতটি উপজেলায় সেনাবাহিনী মাঠে নেমেছে। ওষুধের দোকান, মুদি দোকান ছাড়া অন্যসব ধরনের দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

    এ দিকে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সেনাবাহিনী, পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের মধ্যে একটি সমন্বয় সভা হয়েছে। সেখানে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

    সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে দোকান বন্ধ রাখা, কোথাও জটলা তৈরি না করতে দেয়া, নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচাবাজার সীমিত রাখা, সাপ্তাহিক বাজারে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া একাধিক ব্যক্তিকে বাজারে আসতে না দেয়া। এ সব সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে স্থানীয় প্রশাসনকে সেনা সদস্যরা সহযোগিতা করতে মাঠে নেমেছে।

    সিভিল সার্জন ডা. অংসুই প্রু মারমা জানান, জেলার মোট ৫০ জনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে সদর হাসপাতালে ৬ জন, থানচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন এবং আলীকদম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জন। বাকি ৪১ জন হোম কোয়ারেন্টিনে।

    ২৪ ঘন্টা/আর এসপি

  • আগুনে পুড়ল লামা ত্রিপুরা পল্লীর ৯ বসতঘর, ক্ষতি ২৫ লাখ টাকা

    আগুনে পুড়ল লামা ত্রিপুরা পল্লীর ৯ বসতঘর, ক্ষতি ২৫ লাখ টাকা

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। লামা প্রতিনিধি : বান্দরবানের লামা উপজেলায় দুর্গম পাহাড়ি এলাকার একটি ত্রিপুরা পল্লীর ৯ কাঁচা বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

    আজ ১৮ মার্চ বুধবার দুপুরে উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের আকিরাম ত্রিপুরা পাড়ায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে বসতঘর মালিকের প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয় বলে দাবী করা হয়েছে।

    পাড়ার সোনা চন্দ্র ত্রিপুরার ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা জামাল, ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহেদ উদ্দিন, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ আগুন নিভানোর কাজে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

    সূত্র জানায়, বুধবার বেলা ১২টার দিকে আকিরাম ত্রিপুরা পাড়ার বাসিন্দা সোনা চন্দ্র ত্রিপুরার ঘর থেকে আগুন জ্বলে ওঠে। দ্রুত আগুন আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

    ততক্ষণে পাড়ার হাবুইতি ত্রিপুরা, খেমাজন ত্রিপুরা, আকিরাম ত্রিপুরা, মিহির ত্রিপুরা, বলি চন্দ্র ত্রিপুরা, ফিলিরাম ত্রিপুরা, সাধুরাম ত্রিপুরা, নয়ারাম ত্রিপুরার বসতঘরসহ ঘরের জিনিসপত্র সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

    স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক পরিষদ সদস্য প্রিতমা ত্রিপুরা, ক্ষতিগ্রস্ত নয়ারাম ত্রিপুরা ও বলিচন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, সোনা চন্দ্র ত্রিপুরা ছোট ছেলে মেয়েদেরকে ঘরে রেখে সকালে জুমে কাজ করতে যান। তার ছেলে মেয়েরা খেলারচ্ছলে ঘরের মশারীতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে করে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ায় এবং ঘরগুলো পাহাড়ের ওপর থাকায় ৯টি বসতঘরের কোন জিনিসপত্র রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।

    এ বিষয়ে লামা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ইনচার্জ মো. মোজাম্মেল হক বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে দুর্গম পাহাড়ি পথ ও ঘরগুলো পাহাড়ের ওপরে হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা কিছুটা সমস্যা হয়েছে।

    আগুনে ৯ বসতঘর পুড়ে ছাই হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা বলেন, ঘটনাটি খুবই দু:খ জনক। আগুনে প্রাথমিকভাবে ৯ বসতঘর মালিকের প্রায় ২৫লাখ টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে।

    তাৎক্ষনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদেরকে পরিষদের পক্ষ থেকে ২০ কেজি করে চাউল, হাড়ি পাতিলসহ যাবতীয় সহায়তা করা হয়েছে।

    ২৪ ঘন্টা/রফিক সরকার/আরএসপি

  • লামায় বন্যহাতির আক্রমণে প্রাণ গেল গৃহবধূর

    লামায় বন্যহাতির আক্রমণে প্রাণ গেল গৃহবধূর

    বান্দরবানের লামায় বন্যহাতির আক্রমণে জহুরা বেগম (৫৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।

    বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ভোররাতে উপজেলার সরই ইউনিয়নের কালাইয়া আগা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জহুরা স্থানীয় ফজলুল হকের স্ত্রী।

    স্থানীয় বাসিন্দা মাস্টার মো. শহিদুল্লাহ জানান, ভোররাতে বন্যহাতির দল এলাকায় ঢুকে তাণ্ডব চালিয়ে ৮-১০টি ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলে। এ সময় পালানোর চেষ্টাকালে হাতির আক্রমণে মারা যায় জাহেরা। তবে অন্যরা পালাতে সক্ষম হন। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। বন্যহাতির দলে ১৪টি হাতি ছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

    পরে হাতির দলটি বিভক্ত হয়ে টংকাবতী এবং লামার দিকে চলে যায়। আর সাতটি হাতি এখনও সরই পাহাড়ে অবস্থান করছে।

    সরই পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শফিউল আলম বলেন, এলাকাটি দুর্গম। আমরা মরদেহটি উদ্ধারে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।

  • লামায় ১৫ দিনের ব্যবধানে আরো এক বন্য হাতির মৃত্যু

    লামায় ১৫ দিনের ব্যবধানে আরো এক বন্য হাতির মৃত্যু

    লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি : পনের দিনের ব্যবধানে বান্দরবানের লামা উপজেলায় আরো একটি বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের কুমারী এলাকার দুর্গম পাহাড়ি ইসকাটার ঝিরির হরি রঞ্জন বাবুর রাবার বাগানের পাশে হাতিটির মৃত দেহ পাওয়া যায়।

    মৃত হাতিটির বয়স আনুমানিক ২৪ থেকে ২৫ বছর হবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এর আগে গত ৬ নভেম্বর একই ইউনিয়নের ইয়াংছা সলিমুল হক চৌধুরীর বাগানে একটি ও কুমারী চাককাটাররিতে একটি বাচ্চা বন্য হাতির মৃত্যু হয়।

    সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার সকালে কুমারী ইসকাটার ঝিরিতে একটি অসুস্থ বন্য হাতি দেখে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. আলমগীর চৌধুরী ও বন বিভাগ কর্তৃপক্ষকে খবর দেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ডুলহাজারা সাপারি পার্কের ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ও সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন খানসহ একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে অসুস্থ হাতিটিকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। এক পর্যায়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে হাতিটি মারা যায়।

    বন্যহাতির মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে লামা বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন খান ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, চলাচলের সময় বড় কোন পাহাড় থেকে পড়ে হাতিটি আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ্য হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের জন্য হাতিটির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

  • লামায় মোটরসাইকেল চালককে হত্যা

    লামায় মোটরসাইকেল চালককে হত্যা

    বান্দরবানের লামায় এক মোটর সাইকেল চালককে খুর দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।

    বুধবার (০৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় লামা ও বান্দরবান সদর উপজেলার সীমানা এলাকা বান্দরবান সদর উপজেলার টংকাবতী ইউনিয়নের রহিম কন্ট্রাক্টরের রাবার বাগানে এই ঘটনা ঘটে।

    মোটর সাইকেল ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে এই হত্যাকান্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন লামার সরই পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মনিরুল ইসলাম সরকার।

    তিনি আরো বলেন, ছিনতাইকৃত মোটর সাইকেল সহ এই ঘটনায় জড়িত দুইজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা ও মোটর সাইকেলটি সরই পুলিশ ফাঁড়িতে রয়েছে।

    হত্যার শিকার আকরাম হোসেন (২৩) লামা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড সাবেক বিলছড়ি এলাকার তবু মিয়া প্রকাশ তোব্বার ছেলে। সে মোটর সাইকেলে ভাড়া চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত। ৩ বোন ও ৩ ভাইয়ের মধ্যে সে সবার ছোট। এই ঘটনায় আটককৃত মো. বেলাল (১৯) লামা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বৈল্ল্যারচর এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে ও নূর হোসেন (২৫) লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড লাচ্ছাই পাড়া এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে।

    সরই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার আশরাফ আলী বলেন, লাশ দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে সরই পুলিশ সহ আমরা গিয়ে লাশ উদ্ধার করি। ছিনতাই মোটর সাইকেল সহ ২ জনকে আটক করা হয়েছে। মোটর সাইকেল ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে এই খুনের ঘটনা সংঘঠিত হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

    লামা থানা পুলিশের অফিসার (ওসি) অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, ঘটনাস্থল বান্দরবান সদর উপজেলায় পড়েছে। তারপরেও আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।

    এই বিষয়ে বান্দরবান সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম সাথে রাত ৯টায় কথা হয়। তিনি বলেন, আমরা ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে আরো ১ ঘন্টার বেশী লাগবে। ঘটনাস্থল অনেক দুর্গম এলাকা।

  • লামায় বন্য হাতির স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি হত্যা !

    লামায় বন্য হাতির স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি হত্যা !

    বান্দরবানের লামা উপজেলায় একটি বাচ্চা বন্য হাতির মৃত দেহ পাওয়া গেছে।

    উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছা এলাকার ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি মৎস্য প্রকল্পের পানিতে ভাসমান অবস্থায় হাতিটি পাওয়া যায়। মৃত হাতির বয়স আনুমানিক তিন থেকে সাড়ে তিন বছর হবে।

    খবর পেয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস.এম কাওচার, ইউনিয়ন পরিষদ চেযারম্যান মো. জাকের হোসেন মজুমদার, উপ-সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন ও অংচিং মার্মাসহ পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

    এদিকে কেউ বলছেন পানিতে পড়ে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে, আবার কেউ কেউ বলছেন বিদ্যুতের ফাঁদে পড়ে মারা গেছে হাতিটি। বর্তমানে এ নিয়ে সর্ব মহলে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।

    সূত্র জানায়, স্থানীয় সেলিমুল হক চৌধুরী বহু কায়িক শ্রম ও অর্থ ব্যয়ে ইয়াংছা হিমছড়ি এলাকায় একটি মৎস্য ও রাবার বাগান গড়ে তুলেন। সোমবার দুপুরে প্রকল্পের পানিতে একটি বন্য হাতির মৃতদেহ ভাসতে দেখে বন বিভাগে খবর দেন তিনি।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন স্থানীয় অধিবাসী জানান, বিভিন্ন সময় হাতির পাল ওই বাগানে হানা দিয়ে ক্ষয়ক্ষতি করে থাকে। এ কারণে বাগানে প্রায় সময় বিদ্যুতের ফাঁদ পেতে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করতেন প্রকল্পের মালিক। গত রবিবার দিনগত রাতে ৩০-৩৫টি বন্য হাতি খাবারের সন্ধানে প্রকল্পে ঢুকে পড়ে বাগানের ক্ষতিসাধণ করে।

    এ সময় একটি বাচ্চা হাতি পাতানো বিদ্যুতের তারের সাথে স্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। পরে এটিকে পানিতে ফেলে দেয়া হয়। উল্লেখ্য যে, একই প্রকল্পে ২০০৪ সালে আরো একটি বন্য হাতির মৃত্যু হয়।

    তবে অভিযোগ অস্বীকার করে প্রকল্পের মালিক সেলিমুল হক চৌধুরী ও জাহানারা আরজু বলেন, সম্ভবত হাতির বাচ্চাটি রোগাক্রান্ত ছিল। তাই চলাচলের সময় পানিতে পড়ে আর ওঠতে পারেনি। এতে হাতিটি মারা যায়।

    তিনি আরো বলেন, সেখানে কখনো বিদ্যুতের ফাঁদ পাতানো হয়নি। একটি মহল বিষয়টি নিয়ে মিথ্যা রটাচ্ছে।

    এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. জুয়েল মজুমদার বলেন, মৃত হাতিটির গায়ে ফোসকার চিহ্ন দেখা গেছে। এটির প্রাথমিক সুরতহাল ও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য সেগুলো চট্টগ্রাম পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে হাতিটিকে হত্যা করা হয়েছে নাকি, স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।

    বুনোহাতির মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস.এম কাওচার জানান, প্রাথমিকভাবে এ ঘটনায় লামা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • লামায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ভাগিনার মাথা ফাঁটালেন মামা!

    লামায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ভাগিনার মাথা ফাঁটালেন মামা!

    জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে বান্দরবানের লামা উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ এক পরিবারের ৩জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন-শফি আলম (৫৫), শফি আলমের স্ত্রী পারভীন বেগমা (৪৫) ও মা আয়না বেগম (৭৫)।

    শুধু তাই নয়, হামলার ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে প্রতিপক্ষ আপন ভাগিনার মাথা ফাটিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করারও অভিযোগ ওঠেছে। মঙ্গলবার ভোরে পৌরসভা এলাকার হরিণঝিরি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মিথ্যা অভিযোগ থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শফি আলম।

    অভিযোগে জানা যায়, লামা পৌরসভা এলাকার হরিণঝিরি গ্রামের বাসিন্দা মৃত ফজু মিয়ার ছেলে শফি আলমের (৫৫) নামে ২৯৩নং ছাগল খাইয়া মৌজার ৪২২নং হোল্ডিং মূলে ৪৪শতক ও ১৬৮নং খতিয়ন মূলে ৭০ শতক জমি রয়েছে। ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে ২০০৬ সাল থেকে শফি আলম ওই জমি ভোগ করে আসছেন।

    সম্প্রতি পাশের বাসিন্দা মৃত কালু মিয়ার ছেলে ওসমান গণি, নুরুল আলম এবং মেয়ে রুছিয়া বেগম ওই জমি তাদের বলে দাবী করে বিভিন্নভাবে জবর দখলের চেষ্টা করেন। এ নিয়ে শফি আলম উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন। আগামী ৬ নভেম্বর মামলাটির শুনানির দিন ধার্য্য আছে।

    মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার কু মানষে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষ ওসমান গণি, নুরুল আলম, রুছিয়া বেগম ও মো. ইছহাকসহ আরো ২-৩জন সংঘবদ্ধ হয়ে শফি আলমের পরিবারের ওপর হামলা করেন। এতে শফি আলম, শফি আলমের স্ত্রী পারভীন বেগমা ও মা আয়না বেগম আহত হন।

    এক পর্যায়ে শফি আলমগংদের ফাঁসাতে নিজের ভাগিনা ইছাহাকের (১৯) মাথা ফাঁটিয়ে দেন মামা ওসমান গণিসহ অন্যরা। পরে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।

    হামলার ঘটনায় আহত শফি আলম ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ ও সার্ভেয়ার সরেজমিন পরিদর্শন করে বিরোধীয় জমি আমার বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে ওসমান গনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের ওপর হামলা করেন।

    তিনি বলেন, ওসমান গণিগংদের কোন বৈধ কাগজপত্র নেই। তারা অন্য জায়গার একটি হোল্ডিং দেখিয়ে আমাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে মামলা হামলা করে চলেছে। এমনিক আমাদেরকে ফাঁসাতে তারা আপন ভাগিনার মাথা ফাঁটানোর মত জঘন্যতম কাজটিও করতে দ্বিধা করেনি। এখন বলে বেড়াচ্ছে আমরা নাকি ইছাহাকের মাথা ফাঁটিয়েছি।

    এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেকে জানান, শফি আলমগং কর্তৃক ইছহাকের মাথা ফাটানো ঘটনা তারা দেখেননি।

    অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত ওসমান গণি ও রুছিয়া বেগম ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, শফি আলমগং হামলার সময় লাঠি দ্বারা আঘাত করে ইছহাকের মাথা ফাঁটিয়ে দিয়েছেন।

    লামা পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিল মিয়া ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, শফি আলম ও ওসমান গণির মধ্যে তিন-চার মাস আগে থেকে জমি নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধরে ওসমান গণিগং প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের ভাগিনার মাথা ফাঁটানোর মত জঘন্য কাজ করেছেন।

    এ বিষয়ে লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. আমিনুল হক বলেন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে, হামলার ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • লামায় বিদ্যুৎ কর্মচারীর আত্মহত্যা

    লামায় বিদ্যুৎ কর্মচারীর আত্মহত্যা

    বান্দরবানের লামা উপজেলায় মো. আলমগীর হোসেন (৩৫) নামের এক বিদ্যুৎ কর্মচারী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

    শনিবার দুপুরে লামা পৌরসভা এলাকার মধুঝিরিস্থ তার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। আলমগীর হোসেন বগুড়া জেলার শেরপুর থানার উলিপুর গ্রামের বাসিন্দা আবুল হোসেনের ছেলে। তার এক স্ত্রী ও দুই ছেলে মেয়ে রয়েছে।

    প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার কারণ জানা যাযনি। তবে মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, এমন একটি চিরকুট রেখে যান আলমগীর হোসেন।

    সূত্র জানায়, আলমগীর হোসেন লামা বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্রে সাহায্যকারী পদে কর্মরত ছিলেন। স্ত্রী ও দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে পৌরসভা এলাকার মধুঝিরিস্থ একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।

    শনিবার দুপুর ২টার দিকে ঘরের একটি কক্ষে গলায় ফাঁস দিলে স্বজনেরা দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক আলমগীর হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।

    এ বিষয়ে লামা বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্রের আবাসিক প্রকৌশলী গীতি বসু চাকমা ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, শনিবার সকালে আলমগীর হোসেন অফিসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বাসায় চলে যান। পরে লোকমুখে আত্মহত্যার কথা শুনে তাকে দেখতে যাই। কেন আত্মহত্যা করেছেন তার কারণ জানা যায়নি। তবে মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, এমন একটি চিরকুট লিখে যান আলমগীর হোসেন।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের ডিউটি অফিসার টুম্পা চৌধুরী ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর মর্গে পাঠানো হয়েছে।