Tag: লিওনেল মেসি

  • মেসিই হলেন ‘ফিফা দ্য বেস্ট’

    মেসিই হলেন ‘ফিফা দ্য বেস্ট’

    ২০২২ সালের পুরোটাই যেন আর্জেন্টিনা নিজেদের করে নিয়েছে। এ বছরই বিশ্বকাপ না জেতার শাপ মুছে দিয়েছে আলবিসেলেস্তারা। তবে তার পেছনের প্রধান কারিগর হিসেবে লিওনেল মেসির নাম উচ্চারিত হলে মোটেও ভুল হবে না! এবার নিজেকে আরও উচ্চতায় নিয়ে গেছেন মেসি। সর্বোচ্চ ৭ম বারের মতো জিতেছেন ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ অ্যাওয়ার্ড।

    এর আগে বর্ষসেরা পুরষ্কারের লড়াইয়ে মেসিকেই এগিয়ে রেখেছিলেন ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা। সংবাদমাধ্যম মার্কা তো আরও এককাঠি সরেশ! তারা বলেই দিয়েছে মেসিই হচ্ছেন এবারের বর্ষসেরা ফুটবলার।

    সে খবরে যারা অটুট আস্থা রেখেছিলেন, তারা নিশ্চয়ই আজ রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করেননি। তবে যাই হোক, ২০২২ কোপা আমেরিকা এবং বিশ্বকাপ জেতা মেসি বর্ষসেরার দৌড়ে এগিয়ে থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। সে জল্পনা প্যারিসে অনুষ্ঠিত ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে ঘুচে গেছে।

    মেসির সঙ্গে সেরা হওয়ার লড়াইয়ে ছিলেন আরও দুজন। দুই ফরাসি ডিফেন্ডার করিম বেনজেমা ও কিলিয়ান এমবাপেকে টপকে শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত বর্ষসেরার ট্রফি হাতে তুলে নিয়েছেন মেসি। করিম বেনজেমা বিশ্বকাপ না খেলায় তার সম্ভাবনা আগেই ক্ষীণ হয়ে পড়েছিল। তবে বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করা এমবাপে লড়াই জমিয়ে তুলেছিলেন। ফরাসি ক্লাব পিএসজির হয়ে একসঙ্গে খেললেও পারফরম্যান্স ও স্বীকৃতির মঞ্চে ছাড় দিতে রাজি ছিলেন না কেউই!

    সম্প্রতি পিএসজির সর্বশেষ ম্যাচে বল জালে জড়িয়ে ক্লাব ক্যারিয়ারের ৭০০তম গোল পান মেসি। এর আগে এ কীর্তি গড়েছেন তার দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তবে এ মাইলফলক ছুঁতে রোনালদোর চেয়ে মেসি ১০৩ ম্যাচ কম খেলেছেন।

    এরপরই মূলত মেসি বর্ষসেরা হওয়ার সর্বশেষ গুঞ্জন ওঠে। ইতালিয়ান সাংবাদিক রোমানো এক টুইটে দাবি করেন, ‘লিওনেল মেসি তার অবিশ্বাস্য ক্যারিয়ারে…এবং লিও সোমবার প্যারিসে ফিফা বেস্ট পুরস্কারটি জিতবেন।’

    গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর পর্দা নামে কাতার বিশ্বকাপের। যে বিশ্বকাপ মেসির ক্যারিয়ারকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিয়েছে। আর্জেন্টিনার দীর্ঘদিনের বিশ্বকাপ খরা এবং ব্যক্তিগতভাবে জাতীয় দলের চ্যাম্পিয়ন তকমা না পাওয়ার শুধা সুধা মিটিয়েছেন তিনি।

    বিশ্বকাপের ফাইনালে এমবাপে হ্যাটট্রিক করলেও আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হয় টাইব্রেকারে। পুরো আসরে মেসি নিজে ৭ গোল করার পাশাপাশি আরও ৩টি গোল করিয়েছেন। পরবর্তীতে বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার (গোল্ডেন বুট) জিতেন তিনি।

    এর আগে আরও তিনজন ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরষ্কার জিতেছিলেন। ব্রাজিলিয়ান রোনালদো লিমা ও ফরাসি ফরোয়ার্ড জিনেদিন জিদান এ পুরষ্কার জিতেন ৩ বার করে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো বর্ষসেরা হয়েছেন ৫ বার।

     

  • মেসি ছাড়াও সাফল্য পাচ্ছে পিএসজি

    মেসি ছাড়াও সাফল্য পাচ্ছে পিএসজি

    আর কদিন বাদে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে মুখোমুখি হবে পিএসজি। এই ম্যাচের আগে লিগ ওয়ানের ম্যাচে ঘরের মাঠে মঁপেলিয়ের মুখোমুখি হয় তারা। লিওনেল মেসি না থাকলেও ম্যাচ জিততে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি পিএসজিকে। তারা সহজেই ২-০ গোলে জিতেছে।

    এদিন শুরু থেকেই ম্যাচে দাপট দেখায় পিএসজি। হাঁটুর চোটের কারণে মেসি এই ম্যাচেও মাঠে নামতে পারেননি। তাঁর পরিবর্তে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, নেইমার ও এমবাপ্পে খেলেন। তবে দলের একাধিক তারকা ফরোয়ার্ডের উপস্থিতিতেও ম্যাচের প্রথম গোলটি করেন ইদ্রিসা গানা গে। ডি মারিয়ার পাস থেকে বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। পরে প্রথমার্ধে নেইমার আরও দুটি সুযোগ নষ্ট করেন।

    তবে দ্বিতীয়ার্ধে ব্যর্থ হচ্ছিলেন পিএসজি তারকারা। নেইমার একাধিক সুযোগ নষ্ট করার পাশপাশি কিলিয়ান এমবাপ্পে ব্যর্থ হন। এমন অবস্থায় ৮৯ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন জুলিয়ান ড্র্যাক্সলার। এই জয়ের সুবাদে লিগ ওয়ানের প্রতিটি ম্যাচ জয়ের রেকর্ড বজায় রাখল পিএসজি।

    অবশ্য এদিন মেসি স্ট্যান্ডে বসে পুরো ম্যাচ দেখেন। এই ম্যাচের পর ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে যে তাঁকে পিএসজি পাবে না, তা প্রায় নিশ্চিত।

    এন-কে

  • জোড়া গোলে পিএসজিকে জেতালেন হাকিমি

    জোড়া গোলে পিএসজিকে জেতালেন হাকিমি

    হাঁটুর চোটের কারণে খেলা হয়নি লিওনেল মেসির। দলের অন্যান্য তারকারাও পারলেন না ভূমিকা রাখতে। এমন দিনে জ্বলে উঠলেন আশরাফ হাকিমি। তাঁর জোড়া গোলে মেসের বিপক্ষে স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল প্যারিসের ক্লাব পিএসজি।

    গতকাল বুধবার রাতে মেসের বিপক্ষে ম্যাচটিতে ২-১ গোলে জিতেছে পিএসজি। লিঁওর বিপক্ষে আগের ম্যাচেও যোগ করা সময়ের গোলে জিতেছিল প্যারিসের দলটি।

    চলতি লিগে প্রথম সাত রাউন্ডে টানা সপ্তম জয় তুলে নিয়েছে পিএসজি। আর মেসের বিপক্ষে টানা ১১ ম্যাচে জিতল প্যারিসের ক্লাবটি।

    এদিন ম্যাচের ৭৪ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ১৫টি অনটার্গেট শট, যার পাঁচটি লক্ষ্যে যাওয়ার মতো ছিল। বিপরীতে মেসের ছয় শটের লক্ষ্যে ছিল। ম্যাচটিতে হারের পাশাপাশি লাল কার্ড দেখে মেসের খেলোয়াড়। একই সঙ্গে লাল কার্ড দেকে তাদের কোচ।

    এদিন ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায় পিএসজি। নেইমারের থ্রু বল ধরে মাউরো ইকার্দি গোলরক্ষককে পরাস্ত করলেও ডাইভ দিয়ে ফিরিয়ে দেন প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার মাথিউ উদল। ফিরতি বল ফাঁকায় পেয়ে হাকিমির ভলিও ফিরিয়ে দেন আরেকজন, তবে এবার বল গোললাইন পেরিয়ে যাওয়ার সবুজ সংকেত দেন রেফারি।

    ৩৯তম মিনিটে সমতায় ফেরে মেস। দলকে সমতায় ফিরিয়ে আশা জাগান মালির ফুটবলার বুবাকার কুয়াইৎ। কিন্তু, ব্যবধান ধরে রাখতে পারলেন না। শেষ মুহূর্তে যোগ করা সময়ে গোল করে পিএসজিকে জয় উপহার দিলেন হাকিমি।

    এই নিয়ে সাত জয়ে মোট ২১ পয়েন্ট নিয়ে সবার শীর্ষে আছে পিএসজি। এক ম্যাচ কম খেলে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে মার্সেই। তিন পয়েন্ট নিয়ে ২০ নম্বরে আছে মেস।

    এন-কে

  • মেসির বার্সা ছাড়ার জন্য দায়ী লা লিগা সভাপতি, বলছেন লাপোর্তা

    মেসির বার্সা ছাড়ার জন্য দায়ী লা লিগা সভাপতি, বলছেন লাপোর্তা

    ২১ বছরের সম্পর্ক ভেঙে প্যারিসে পাড়ি জমিয়েছেন লিওনেল মেসি। ফ্রান্সের ক্লাব পিএসজির হয়ে এরই মধ্যে অভিষেকও হয়ে গেছে আর্জেন্টাইন তারকার। কিন্তু, এতদিনেও মেসির চলে যাওয়ার ক্ষত শুকায়নি বার্সেলোনার। প্রায়ই বিভিন্ন মাধ্যমে কথা উঠছে মেসির বার্সেলোনা ছাড়া প্রসঙ্গে। এবার এ প্রসঙ্গে বার্সা’র সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা জানিয়েছেন, মেসির বার্সা ছাড়ার জন্য দায়ী হলেন লা লিগার প্রধান হাভিয়ের তেবাস।

    মূলত লা লিগার ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে নিয়মের কারণে নিজেদের ক্লাব ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়কে ছাড়তে হয়েছে বার্সেলোনাকে। লা লিগার নিয়মের কারণে অনেকটা বাধ্য হয়েই প্রিয় ক্লাব ছেড়েছেন রেকর্ড ছয় বারের বর্ষসেরা ফুটবলার।

    স্পেনের দৈনিক ক্রীড়াপত্রিকা স্পোর্তকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গত রোববার তেবাস জানিয়েছিলেন, সিভিসি ক্যাপিটাল পার্টনার্সের সঙ্গে বিনিয়োগের চুক্তি বার্সেলোনা প্রত্যাখ্যান করার জন্যই আর্জেন্টাইন তারকাকে ধরে রাখতে পারেনি তারা।

    তেবাসের এই অভিযোগ প্রত্যাখান করেছেন বার্সা সভাপতি লাপোর্তা। তেবাসের সাক্ষাৎকারের পরদিনই বার্সা টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লাপোর্তা বলেছেন, ‘সম্প্রীতি ও সংবেদনশীলতার পরিবর্তে তিনি (তেবাস) সবসময় দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের পথ খোঁজেন। কীভাবে বার্সা ও এর মূল্যবোধের ক্ষতি হয়, সবসময় তিনি সেটা দেখার অপেক্ষায় থাকেন, এটা তাঁর মানসিক অসুস্থতা। কিন্তু আমরা কাতালানরা এরই মধ্যে তাঁকে চিনে ফেলেছি।”

    এরপর লাপোর্তা বলেছেন, ‘তিনি (তেবাস) বলেছেন, মেসি বার্সায় থাকেনি। কিন্তু না থাকার জন্য দায়ী তিনিই, তাঁর (নিয়ম নিয়ে) বাড়াবাড়ির কারণেই এমনটা হয়েছে। বাকি লিগগুলো (ফেয়ার প্লে নিয়মের ক্ষেত্রে) অনেক নমনীয় হয়েছে এবং তাদের সবচেয়ে উপযুক্ত খেলোয়াড়দের রাখতে পেরেছে।’

    এন-কে

  • চোখের জলে মেসির বিদায়

    চোখের জলে মেসির বিদায়

    ‘বিদায়’ শব্দটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিরহের। আর মেসি তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন। ২১ বছরের বন্ধন ছিন্ন করা চাট্টিখানি কথা নয়। আর্জেন্টাইন খুদেরাজের সেই বিরহ প্রকাশ হলো চোখের জল দিয়ে। রোববার সংবাদসম্মেলনে বিদায়ী বক্তব্য দিতে এসে অনেকটা সময় শুধু কাঁদলেন আর কাঁদলেন। এ সময় উপস্থিত বার্সার কর্মকর্তরাসহ ক্রীড়া সাংবাদিকদের চোখও ছলছল করে উঠে।

    তারা মেসির জন্য আবেগ প্রকাশ করতে দাঁড়িয়ে যান সবাই। অনবরত হাততালি দিতে থাকেন। সে এক আবেগঘন পরিবেশের অবতারণা। অবশেষে মেসি নিজেকে সামলে নেন। স্ত্রীর কাছ থেকে টিস্যু নিয়ে চোখ-নাক মুছেন। এরপর জানালেন, কেন এতো কাঁদছেন। কেন এই বিচ্ছেদ বেশি পোড়াচ্ছে তাকে! কেন নিজেকে সামলে নিতে পারছেন না!

    মেসি সত্যিটাই বললেন। তিনি বললেন, ‘এই জায়গা, এই ক্লাব যেখানে আমার জীবন পুরোপুরি বদলে গেছে সেটা ছেড়ে যাওয়ার অর্থ আজও আমি বুঝতে পারছি না। প্রথম স্কোয়াডে ছিলাম ১৬ বছর। এখন আবার আমাকে নতুন করে শুরু করতে হবে। কিন্তু আমার ব্যথা, অনেক বেশি ব্যথা। কারণ, আমি আমার ভালোবাসার ক্লাব ছেড়ে যাচ্ছি। এমনটা প্রত্যাশা করিনি। আমি সব সময়ই সত্যিটা বলেছি। গত বছর আমি ছাড়তে চেয়েছিলাম, এই বছর নয়। ব্যথাটা এ কারণেই। গত বছর বুরোফ্যাক্স নিয়ে নাটকের সময় (ক্লাব ছাড়তে হলে) আমি কী বলব, সেটা ঠিক করে রেখেছিলাম। কিন্তু এ বছর সবকিছু অনেক ভিন্ন। এটা আমার ঘর, আমাদের ঘর। আমি এখানে থাকতে চেয়েছিলাম। সেটাই পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু আজ সবকিছু ছেড়ে যেতে হচ্ছে।’

    কষ্ট বেশি পাবার আরো একটি কারণ জানালেন মেসি। বললেন, ‘দেড় বছর ধরে মাঠে আমাদের সমর্থকদের দেখতে পাইনি। তাদের না দেখে বিদায় নিতে হচ্ছে, এই ব্যাপারটাই বেশি কষ্ট দিচ্ছে। তবে আমি এখানে আবার ফিরব, এটা আমার ঘর। আমার সন্তানদেরও আমি কথা দিয়েছি, আমি আবার এখানে ফিরে আসব।’

    মেসি যখন সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন, ক্যাম্প ন্যুর বাইরে সমর্থকদের ভিড়। আর ভেতরের কক্ষে প্রথম সারিতে তিনটি চেয়ারে বসে মেসির তিন ছেলে। তাদের পাশে মেসির স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো। অন্যপাশে মেসির বার্সেলোনা সতীর্থরা সবাই একসঙ্গে। এছাড়াও ছিলেন সাবেক সতীর্থ জাভি হার্নান্দেজ–কার্লোস পুয়োলরাও। বার্সা সভাপতি হুয়ান লাপোর্তাসহ ক্লাবের অন্য কর্মকর্তারাও ছিলেন সেখানে। আর স্প্যানিশ গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরাও ছিলেন।

  • রোনালদোর জোড়া গোলে বার্সাকে উড়িয়ে দিল জুভেন্টাস

    রোনালদোর জোড়া গোলে বার্সাকে উড়িয়ে দিল জুভেন্টাস

    দুই তারকার মহামিলন; ম্যাচের ফলাফলের চেয়ে এই দ্বৈরথ দেখতে মুখিয়ে ছিল ফুটবল ভক্তরা। কিন্তু পুনর্মিলনের ম্যাচে একাই আলো ছড়িয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সুযোগ তৈরি করেও সফলতা পেলেন না লিওনেল মেসি। পর্তুগিজ তারকা রোনালদোর জোড়া গোলে বার্সেলোনাকে উড়িয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলো জুভেন্টাস।

    গতকাল মঙ্গলবার রাতে ন্যু ক্যাম্পে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচে বার্সেলোনাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে জুভেন্টাস। রোনালদোর দুই গোলের সঙ্গে আরেকটি করেন ওয়েস্টন ম্যাককেনি।

    অবশ্য ম্যাচটিতে জুভেন্টাস গোলরক্ষক বিশেষভাবে নজর কেড়েছেন। ম্যাচের পুরোটা সময় গোলবার আগলে রেখেছেন জানলুইজি বুফন। অভিজ্ঞ এই ইতালিয়ান গোলরক্ষকের বাধা এড়িয়ে সাফল্যের দেখা পাননি মেসিরা।

    অথচ হারলেও পুরো ম্যাচে জুভেন্টাসের চেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক ছিল বার্সা। ম্যাচের ৬০ শতাংশ বল দখলে রেখে অন টার্গেট শট নেয় ১৯ বার। কিন্তু একটিও সফল হতে দেননি জুভেন্টাস গোলরক্ষক। অন্যদিকে, পুরো ম্যাচে ৪০ ভাগ সময় বল দখলে রেখে সাতবার শট নিয়েই সফল জুভেন্টাস।

    এর আগে প্রথম দেখায় জুভেন্টাসের মাঠে ২-০ গোলে জিতেছিল বার্সা। ওই ম্যাচে ছিলেন না রোনালদো। এবার ফিরেই চ্যাম্পিয়ানস লিগে বার্সাকে প্রথম হারের স্বাদ দিলেন তিনি।

    এদিন ম্যাচের ১৩ মিনিটেই গোলের দেখা পেয়ে যায় জুভেন্টাস। সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন রোনালদো। বার্সার ডি-বক্সে ঢুকলে পর্তুগিজ তারকাকে ফাউল করে বসেন স্বাগতিক ডিফেন্ডার আরাহো। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ওই সুযোগে গোল আদায় করে নেন রোনালদো।

    ২০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ম্যাককেনি। কুয়াদরাদোর ক্রস ধরে ডি বক্সের বাইরে পেয়ে ডান পায়ের ভলিতে স্কোরলাইন ২-০ করেন তিনি।

    বিরতির পর তৃতীয় গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় জুভেন্টাস। সেটিও আসে স্পট কিক থেকে। বার্সেলোনার ডি-বক্সে ডিফেন্ডার ক্লেমোঁ লংলের হাতে বল লাগলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজার রেফারি। পেনাল্টি থেকে জোরালো শটে দলের বড় জয় নিশ্চিত করেন রোনালদো। সবমিলিয়ে এই প্রতিযোগিতায় ১৩৪টি গোল করলেন জুভেন্টাস ফরোয়ার্ড।

  • বার্সেলোনা ছেড়ে নতুন গন্তব্যে যাচ্ছেন মেসি

    বার্সেলোনা ছেড়ে নতুন গন্তব্যে যাচ্ছেন মেসি

    ক্লাব বার্সেলোনা ছেড়ে যাচ্ছেন লিওনেল মেসি। কি চমকে উঠলেন। হ্যাঁ, প্রিয় ক্লাব বার্সেলোনা ছাড়তে চেয়ে আনুষ্ঠনিকভাবে ক্লাব কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি।

    এমন খবরে গরম হয়ে উঠেছে বিশ্বের গণমাধ্যমগুলো। তবে, এ ব্যাপারে এখনো মুখ খোলেনি কাতালান ক্লাবটি। এদিকে, জোর গুঞ্জন বার্সেলোনা ছেড়ে মেসি পাড়ি জমাচ্ছেন পিএসজিতে।

    মেসি বার্সা ছাড়ছেন। কিংবা মেসিকে কিনতে টাকার বস্তা নিয়ে বসে আছে উরোপের নামিদামি ক্লাবগুলো। ২০০৪ সাল থেকে এই খবরটি গণমাধ্যমে শুধু মুখরোচক সংবাদই হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে পরিণত হয়নি কোনোদিন। এমনকি মেসিকে কিনতে ব্লাঙ্ক চেক দিয়েছিলেন কাতারের বেশ কয়েকজন ধনকুবের । কিন্ত টাকার কাছে মেসির মন গলেনি এতটুকু। জীবনের সবচেয়ে প্রিয় ক্লাব মেসি ছাড়বেন কি করে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে মেসির মন। আনুষ্ঠানিক ভাবে মেসি বার্সেলোনাকে চিঠি দিয়েছেন। বিষয়বস্তু মেসি বার্সা ছাড়তে চান। বড় বড় গণমাধ্যমগুলো এমন খবর নিশ্চিত করেছে।

    শুধু বায়ার্নের কাছে ৮-২ গোলের পরাজয়েই এমন বড় সিদ্ধান্ত নয়। নেইমারকে কিনতে না পারা, সাবেক কোচ কিকে সেতিয়েনের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক ও ক্লাব প্রেসিডেন্টের সব কিছু মেনে না নেয়া। মেসির বার্সা থেকে মন উঠে যাওয়ার কারণ। সরাসরি কোনোদিন কোনো গণমাধ্যমে মুখ ফুটে বার্সাকে নিয়ে কোনো বাজে মন্তব্য করেনি মেসি। করবেন কি করে। মেসির সঙ্গে যে কাতালান ক্লাবটির আত্মার সম্পর্ক। জীবনের শেষ ম্যাচ এই ক্লাবের হয়েই খেলতে চান জানিয়েছিলেন। কিন্তু কি এমন হলো, যে কারণে নিতে হলো জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত। গণমাধ্যমে জোর গুঞ্জণ মেসি যোগ দিচ্ছেন পিএসজিতে।

    মেসির আনুষ্ঠানিক চিঠির জবাবে কি উত্তর দিবে বার্সেলোনা? সেটার জন্য অপেক্ষা এখন সারা বিশ্বের। বার্সেলোনা ক্লাব কর্মকর্তাদের বড় একটা অংশ মেসিকে বুঝিয়েও কোনো লাভ হয়নি।

    আরেক অংশ মেসিকে নাকি ছেড়ে দিতেও রাজি হয়েছে। চলতি সপ্তাহে ইতালিয়ান গণমাধ্যমে এমন খবর চাওড়া হয়েছে। কোচও মেসিকে কেন্দ্র করে দল গড়বেন- বলেও রাজি করতে পারেনি। যেই ক্লাবকে কেন্দ্র করে মেসির বেড়ে ওঠা। শুধু মেসি খেলেন বলে যারা বার্সেলোনার পাড় ভক্ত। তাদের এখন মন ভাঙ্গার যোগাড়।

    মেসির সঙ্গে এখনো এক বছরের চুক্তি আছে বার্সার। এই সময়ে কেউ মেসিকে কিনতে গেলে গুনতে হবে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৬ শতাধিক মিলিয়ন ইউরো। এতো বড় আর্থিক মূল্যে কে কিনবে মেসিকে? সে নিয়েও আগামী দিন গুলোতে চলবে প্রতিযোগিতা। কারণ নামটা যে লিওনেল মেসি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ব্যালন ডি’অর জিতলেন মেসি

    ব্যালন ডি’অর জিতলেন মেসি

    সব আলোচনা ও জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে লিওনেল মেসির হাতেই উঠল ব্যালন ডি’অরের ট্রফি। রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো ব্যালন ডি’অর জিতে ফুটবল বিস্ময় মেসি ছাপিয়ে গেলেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে। আর নারী ব্যালন ডি’অর জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বকাপ জেতানো রেগান রেপিনো।

    স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা খবরটা আগেই ফাঁস করেছিল, এবারের ব্যালন ডি’অর জিততে যাচ্ছেন লিওনেল মেসি। তার পর দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে শুরু করেন দর্শক ভক্তরা। লা লিগার শেষ ম্যাচে মেসি কেন চুলের নতুন ছাঁট দিয়েছেন? তার মানে কি তিনি পুরস্কার জেতার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন? এসব নিয়ে চলতে থাকা নানারকম গুঞ্জন ও সংবাদ।

    শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই সত্য হলো। প্যারিসে ব্যালন ডি’অর জয়ী হিসেবে ঘোষণা হলো লিওনেল মেসির নাম। রোনালদো ও মেসি সমান পাঁচবার করে জিতে এতদিন পাশাপাশি ছিলেন। ষষ্ঠবারের মতো এ পুরস্কার জিতে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড মেসি পর্তুগিজ তারকা রোনালদোকে ছাপিয়ে নতুন এক মাইলফলক তৈরি করলেন। মেসির হাতে পুরস্কার তুলে দেন গতবারের জয়ী রিয়াল তারকা লুকা মদ্রিচ। এবারের ব্যালন ডি’অরের জন্য তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় মেসির পর দ্বিতীয় সর্ব্বোচ ভোট পেয়েছেন লিভারপুল তারকা ভার্জিল ফন ডাইক।

    মেসি গত মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে করেন ৪০ গোল। পাশাপাশি ১৭টি গোলে সহযোগিতা করেছেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও লা লিগায় মেসি সর্ব্বোচ গোলদাতা হয়েছেন। দলকে লা লিগা ও সুপার কোপা জিতিয়েছিলেন।

    এদিকে লিওনেল মেসির আগে ঘোষণা করা হয় নারী ব্যালন ডি’অর জয়ীর নাম। দ্বিতীয় নারী ফুটবলার হিসেবে এবারের এই পুরস্কার জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রেগান রেপিনো। ৩৪ বছর বয়সী এই নারী ফুটবলার পেছনে ফেলেছেন ইংল্যান্ডের লুচি ব্রোঞ্জ ও জাতীয় দলের সতীর্থ অ্যালেক্স মরগানকে। রেপিনো দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্টকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন। সর্বশেষ বিশ্বকাপে করেছেন ছয় গোল। জিতেছেন গোল্ডেন বুট ও গোল্ডেন বল। তবে এই পুরস্কারের দাবিদার তাঁর দলের সবাই বলে তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না। ভিডিও বার্তায় তিনি সে কথা জানিয়েছেন।

  • গ্লোব সকারের বর্ষসেরার সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ

    গ্লোব সকারের বর্ষসেরার সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ

    গ্লোব সকারের বর্ষসেরা খেলোয়াড় পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে আজ। প্রত্যশামত এই তালিকায় আছেন মেসি এবং রোনালদো।

    আগামী ২৯ ডিসেম্বর জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গ্লোব সকারের একাদশ তম সংস্করণের পুরস্কার প্রদান করা হবে।

    এই পুরস্কারটি সর্বোচ্চ পাঁচবার জিতেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। রোনালদোই ইতিহাসের একমাত্র ফুটবলার যে কিনা একবারের বেশি এই পুরস্কারটি জয়ের কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। সর্বোচ্চ পাঁচবার এই পুরস্কার নিজের করে নিয়েছেন এই পর্তুগীজ তারকা।

    এবারের পুরস্কারের জন্য মনোনীত ফুটবলাররা হলো

    ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (জুভেন্টাস, পর্তুগাল)

    লিওনেল মেসি (বার্সেলোনা, আর্জেন্টিনা)

    ভার্জিল ভ্যান ডিজক (লিভারপুল, নেদারল্যান্ডস)

    অ্যালিসন বেকার (লিভারপুল, ব্রাজিল)

    সাদিও মানে (লিভারপুল, সেনেগাল)

    মোহাম্মদ সালাহ (লিভারপুল, মিশর)

    বার্নার্ডো সিলভা (ম্যান সিটি, পর্তুগাল)

  • আবারও গোল্ডেন বুট লিওনেল মেসির : এ নিয়ে ষষ্ঠবার অর্জন

    আবারও গোল্ডেন বুট লিওনেল মেসির : এ নিয়ে ষষ্ঠবার অর্জন

    আবারও গোল্ডেন বুট জিতলেন লিওনেল মেসি। ইউরোপের ঘরোয়া লিগগুলোয় সবচেয়ে বেশি গোল করায় সর্বোচ্চ গোল স্কোরার হয়ে টানা তৃতীয়বার গোল্ডেন বুট জিতলেন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি৷ এ নিয়ে রেকর্ড ষষ্ঠ এবং টানা তৃতীয়বারের মতো এই পুরস্কার জিতলেন এ ছোট ম্যাজিসিয়ান বার্সেলোনা অধিনায়ক৷

    ১৯৬৭ সাল থেকে গোল্ডেন বুট পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়৷ প্রথমবার এই পুরস্কার জিতেছিলেন ইউসেবিও৷ তবে মেসি সবচেয়ে বেশি ৬ বার গোল্ডেন বুট জিতেছেন৷ ২০০৯-১০, ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ মৌসুমে পুরস্কারটি জিতেছিলেন মেসি।

    পুরস্কারটি জয়ের দিক দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন মেসির চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। চারবার এ পুরস্কার জিতেছেন তিনি। এছাড়াও দু’বার গোল্ডেন বুট পেয়েছেন সুয়ারেজ।

    বুধবার বার্সেলোনায় জমকালো অনুষ্ঠানে সপরিবারে হাজির হন মেসি। সেইসঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বার্সার সতীর্থরাও৷ সুয়ারেজ ও জোর্ডি আলবা আগাগোড়া মেসির সঙ্গে অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন৷

    পিএসজির ফরাসি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পেকে হারিয়ে পুরস্কারটি ঘরে তোলেন মেসি। গেল মৌসুমে ইউরোপিয়ান ঘরোয়া লিগে ৩৬ গোল করেন বার্সা অধিনায়ক। আর ফরাসি ক্লাব পিএসজির প্রাণভোমরা করেন ৩৩ গোল।

    গোল্ডেন বুট জয়ের পর সঙ্গীদের ধন্যবাদ জানান মেসি। তিনি বলেন, আবারও সাফল্যের স্বীকৃতি পেলাম। সতীর্থদের ছাড়া এর একটিও জিততে পারতাম না। সবাইকে ধন্যবাদ।