Tag: লিটন দাস

  • তামিমের বিদায়ে দলে প্রভাব পড়বে না : লিটন

    তামিমের বিদায়ে দলে প্রভাব পড়বে না : লিটন

    আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের মাঝপথেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। যে কারণে চলমান সিরিজের শেষের দুই ম্যাচে নেতৃত্ব দেবেন লিটন দাস। আজ শুক্রবার সকালে বিসিবির আনুষ্ঠানিক অধিনায়ক ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন লিটন।

    এ সময় বিদায়ী অধিনায়ক তামিমের না থাকা নিয়ে লিটন জানালেন, দলের পরিবেশে প্রভাব পড়বে না। আগের মতোই থাকবে।

    লিটন বলছিলেন, ‘উনি আগের ম্যাচে ছিলেন, এই ম্যাচে নেই। সামহাউ যদি ইনজুরি হতো আমরা কিন্তু উনাকে ছাড়াই খেলতাম। আমার কাছে মনে হয় না এরকম কিছু পরিবর্তন (পরিবেশে) আসবে। আগের মতোই থাকবে সব কিছু।’

    গতকাল সংবাদ সম্মেলনে তামিমের অবসর নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার আগেই লিটনরা জানতে পারেন বিষয়টি। সদ্য বিদায়ী ক্রিকেটার তামিম তাদের মেসেজ দিয়ে জানিয়েছিলেন বিষযটি। লিটন বলেন, তামিমের নেওয়া সিদ্ধান্তকে তারা সম্মান করেন। বলছিলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি দুপুর একটার দিকে। আমরা উপলব্ধি করতে পারিনি তিনি এমন কিছু করবেন। তবে তার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই।’

    যাওয়ার আগে অবশ্য বড় ভাই (তামিম) বলে গেছেন দল প্রথমে। আগামীকাল (শনিবার) দুপুরে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। দুপুর ২টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

  • বাকি দুই ম্যাচের অধিনায়ক লিটন

    বাকি দুই ম্যাচের অধিনায়ক লিটন

    আফগানিস্তানের বিপক্ষে চলমান সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তামিম ইকবাল। তবে বৃহস্পতিবার হুট করে দিয়েছেন অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। যদিও বিসিবি জানিয়েছে কোনো চিঠি পায়নি তারা। তবে তামিম যে আর খেলছেন না সেটা নিশ্চিত। তাতে বাকি দুই ম্যাচে নেতৃত্ব কে দেবেন সেটা নিয়ে কৌতুহল ছিল স্বাভাবিকভাবেই।

    রাজধানীর একটি হোটেলে রাত দশটা নাগাদ শুরু হয় মিটিং। অবশ্য সে মিটিং হয় দুই ঘণ্টা ব্যাপী। এরপর মধ্যরাতে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

    সংবাদ সম্মেলনে পাপন বলেছেন, ‘তামিমের কোনো অবসর পত্র আমরা পাইনি। তাই আমাদের কাছে সেই অধিনায়ক। তবে অধিনায়কের অনুপস্থিতিতে সহ-অধিনায়ক নেতৃত্ব দেন। এবারও সেটাই হবে।’

    এই সিরিজ শুরুর আগেও জানা ছিল না টাইগারদের সহ-অধিনায়ক কে। যদিও ভারতের বিপক্ষে তামিমের অবর্তমানে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লিটন দাস। জিতেছিলেন সিরিজও। কিন্তু তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সহ-অধিনায়ক ঘোষণা করা হয়নি। তবে আফগানিস্তান সিরিজের প্রথম ওয়ানডে চলাকালেই সেটা জানিয়ে দেওয়া হয়। তিনিই তামিমের সহযোগী। কিন্তু একদিন যেতে না যেতেই হয়ে যাচ্ছেন এখন পূর্ণ অধিনায়ক।

    বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানান, বোর্ড তার সঙ্গে কথা বলার জন্য অপেক্ষায় আছে।

  • সাকিব-লিটনে আইরিশদের গুঁড়িয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

    সাকিব-লিটনে আইরিশদের গুঁড়িয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

    বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করার পর এবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে পাওয়া দাপুটে জয়ে টাইগাররা এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত করেছে সিরিজ জয়। লিটন দাসের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসের দিনে সাকিব আল হাসান বল হাতে শিকার করেছেন ৫ উইকেট।

    চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমেই বাংলাদেশ মারমুখো ব্যাটিং শুরু করে। দুই ওপেনার লিটন ও রনি গড়েন ১২৪ রানের জুটি, যা বাংলাদেশের হয়ে ওপেনিংয়ে সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ। ৬ ওভারে বাংলাদেশ দল জড়ো করে ৮৩ রান। পাওয়ারপ্লে ছিল ৫ ওভার, তাই রেকর্ড বইয়ে আগের ম্যাচের ৮১ রানই অক্ষুণ্ণ থাকছে। তবে লিটন ও রনি ঠিকই তুলে নেন দ্রুততম দলীয় শতক। মাত্র ৪৩ বলে ১০০ রান স্পর্শ করে বাংলাদেশ।

    ১৮ বলে অর্ধশতক হাঁকিয়ে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম অর্ধশতকের কীর্তি গড়েন লিটন। পা বাড়াচ্ছিলেন শতকের দিকেও। তবে ৪১ বলে ৮৩ রান করে থামে তার ১০টি চার ও ৩টি ছক্কার ইনিংস। রনি অল্পের জন্য পঞ্চাশের মাইলফলকে পা রাখতে পারেননি। ২৩ বলে ৪৪ রান করেন তিনটি চার ও দুটি ছক্কায়। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও তৌহিদ হৃদয়। শেষ ওভারে বিদায় নেওয়ার আগে তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ১৩ বলে ২৪ রান করেন হৃদয়। তবে সাকিব শেষপর্যন্ত অপরাজিতই ছিলেন। ২৪ বলের মোকাবেলায় তিনটি চার ও দুটি ছক্কায় ৩৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২০২ রান।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা আয়ারল্যান্ড প্রথম বলেই উইকেট হারায়। তাসকিন আহমেদের শিকার হয়ে গোল্ডেন ডাকের স্বাদ পান পল স্টার্লিং। এরপর শুরু সাকিবের ভেলকি। একে একে সাজঘরে ফেরান লোরকান টাকার, রস এডায়ার, গ্যারেথ ডিলানি, জর্জ ডকরেল ও হ্যারি টেক্টরকে। ৪ ওভারে ২২ রানের খরচায় নামের পাশে ৫ উইকেট লেখার দিনে টিম সাউদিকে ছাড়িয়ে আবারও বনে যান আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।

    শেষপর্যন্ত আইরিশরা নির্ধারিত ১৭ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রান জড়ো করতে সমর্থ হয়। স্রোতের বিপরীতে হেঁটে ৩০ বলে ৫০ রান করেন কার্টিস ক্যামফার। এছাড়া হ্যারি টেক্টর ১৬ বলে ২২ ও গ্রাহাম হিউম ১৭ বলে অপরাজিত ২০ রানের ইনিংস খেলেন। সাকিবের ৫ উইকেটের দিনে তাসকিন আহমেদ তিনটি ও হাসান মাহমুদ একটি উইকেট শিকার করেন। ৭৭ রানের জয়ে বাংলাদেশ নিশ্চিত করেছে সিরিজ জয়।

  • টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে নতুন ইতিহাস গড়লেন লিটন

    টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে নতুন ইতিহাস গড়লেন লিটন

    ব্যাট হাতে ২০২২ সালে অসাধারণ এক বছর কাটিয়েছেন লিটন কুমার দাস। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে গত বছরে লিটন ছিলেন টাইগারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রানের মালিক। তিন ফরম্যাটে ৪২ ম্যাচ খেলে এই ক্রিকেটার রান করেছেন ১৯২১ রান।

    তার পরের অবস্থানে থাকা সাকিব আল হাসানের রান মাত্র ৯২২। লিটনের চেয়েও ৯৯৯ রানে পিছিয়ে তিনি। অসাধারণ এক বছর কাটানো লিটন সবচেয়ে বেশি সফল ছিলেন টেস্ট ফরম্যাটে। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে গত বছরে লিটন রান তুলেছেন ১০ ম্যাচে ১৮ ইনিংসে ব্যাটিং করে বরাবর ৮০০।

    যার কারণে বাংলাদেশের পক্ষে ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিং র‍্যাঙ্কিংয়েও উঠেছিলেন তিনি। বছরের মাঝামাঝিতে একবার ১২তম অবস্থান করা লিটন বছর শেষও করেছেন একই অবস্থানে থেকে। তবে নতুন বছরে নতুন শুরুর মিশনে বড় এক সুসংবাদ পেয়েছেন লিটন।

    বছরের শেষ টেস্টে ভারতের বিপক্ষে ৭৫ রানের ইনিংসের সুবাদে নিজের আগের অবস্থান থেকে আরও এক ধাপ এগিয়েছেন লিটন। টেস্টে এই ব্যাটসম্যানের নতুন র‍্যাঙ্কিং এখনও ১১তম স্থান। যা বাংলাদেশের ইতিহাসেই সর্বোচ্চ।

    এদিকে টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র‍্যাঙ্কিংয়ে যথারীতি শীর্ষে আছেন মার্নাস লাবুশেন। এই ক্রিকেটার ৯২৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছেন। এদিকে বাবর আজমকে পেছনে ফেলে দুইয়ে উঠে এসেছেন আরেক অজি ক্রিকেটার স্টিভেন স্মিথ। ৮৮৩ রেটিং পয়েন্ট স্মিথের। মাত্র ১ পয়েন্ট কম থাকায় তিনে নেমে গেছেন বাবর।

    পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিশতক হাঁকিয়ে সেরা পাঁচে জায়গা করে নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। দুই ধাপ এগিয়ে পাঁচে উঠে এসেছেন কিউই অধিনায়ক। চারে আছেন যথারীতি ট্রাভিস হেড। এদিকে শততম টেস্টে দ্বিশতক হাঁকানো ডেভিড ওয়ার্নার ১৭ ধাপ এগিয়ে ১৪তম স্থানে উঠে এসেছেন। লিটনের পেছনে থাকা বিরাট কোহলি আরেক ধাপ পিছিয়ে নেমে গেছেন ১৫তম স্থানে।

  • ওয়ানডের নতুন অধিনায়ক লিটন

    ওয়ানডের নতুন অধিনায়ক লিটন

    বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নতুন অধিনায়ক হলেন লিটন কুমার দাস। ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দেবেন তিনি।

    নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবাল চোটের কারণে এ সিরিজে খেলতে পারছেন না বলে দলের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে লিটনকে।

    বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিবি) শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

    আগামী ৪ ডিসেম্বর তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে দিয়ে এই সংস্করণে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হবে লিটনের। বাংলাদেশের ১৫তম ওয়ানডে অধিনায়ক হবেন লিটন।

    এর আগে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লিটন। ২০২১ সালের নিউজিল্যান্ড সফরে নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ চোটে পড়ায় ওই ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেন তিনি।

    লিটন দাস এই মুহূর্তে জাতীয় টেস্ট দলে সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। সাকিব আল হাসানের ডেপুটি হিসেবে তাকে নিয়োগ দেয় বিসিবি।

  • অধিনায়কত্ব ফিরে পেলেন সাকিব, লিটন সহ-অধিনায়ক

    অধিনায়কত্ব ফিরে পেলেন সাকিব, লিটন সহ-অধিনায়ক

    জল্পনা ছিল আগেই, সেটি সত্যি হলো। বাংলাদেশ দলের নতুন টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে সাকিব আল হাসানের নাম ঘোষণা করেছে ক্রিকেট বোর্ড। সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে লিটন কুমার দাসকে।

    আজ বৃহস্পতিবার (২ জুন) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দ্বিতীয় আনুষ্ঠানিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির এক পরিচালক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

    মুমিনুল হক টেস্ট অধিনায়কত্ব করতে চান না বলে জানানোর পর থেকে আলোচনায় নতুন টেস্ট অধিনায়ক। যেখানে সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছিল সাকিবের নাম। তাকেই দায়িত্ব দিয়েছে বিসিবি। আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে তৃতীয় মেয়াদে টেস্ট অধিনায়কত্ব করতে যাচ্ছেন টাইগার অলরাউন্ডার।

    ২০১৯ সালে সাকিব নিষেধাজ্ঞায় পড়াতে হুট করেই টেস্ট অধিনায়কত্ব পান মুমিনুল হক। তার নেতৃত্বে মাউন্ট মঙ্গানুইতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয় ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোনো সাফল্য নেই। এই সময়ে মুমিনুল ব্যাট হাতেও ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে।

    শ্রীলঙ্কা সিরিজের পরই তার ব্যাপারে জোর সমালোচনা শুরু হয়। যার অবসান ঘটালেন মুমিনুল নিজেই। গত ৩১ মে বিসিবি সভাপতিকে তিনি জানিয়ে দেন অধিনায়কত্ব আর করতে চান না। তার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে নতুন অধিনায়কের পথে হাঁটল দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

    এর আগে ২০০৯ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজা চোটে পড়ায় প্রথমবার টেস্ট অধিনায়কত্ব পান সাকিব আল হাসান। ওই মেয়াদে ২০১১ সাল পর্যন্ত ৯ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে জেতেন একটিতে। এরপর ২০১৮ সালে মুশফিকুর রহিমের স্থলাভিষিক্ত হন টাইগার অলরাউন্ডার। ২০১৯ সালে নিষেধাজ্ঞায় পড়ার আগ পর্যন্ত নেতৃত্ব দেন ৫ টেস্টে। যেখানে দল জয় পায় দুই ম্যাচে। সব মিলিয়ে আগের দুই মেয়াদে ১৪ টেস্টে ১১ হারের বিপিরীতে ৩ জয় সাকিবের।

    তৃতীয় মেয়াদে সাকিব টেস্টে কতটা সাফল্য এনে দিতে পারেন, সেটিই এখন দেখার বিষয়।

  • হোয়াইটওয়াশ দিয়ে অধিনায়ক মাশরাফি যুগের অবসান

    হোয়াইটওয়াশ দিয়ে অধিনায়ক মাশরাফি যুগের অবসান

    বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে ডানওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে জিম্বাবুয়েকে ১২৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। সিলেটে অনুষ্ঠিত আজকের ম্যাচটি ছিল অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি বিন মুর্তজার শেষ ম্যাচ। লিটন-তামিমের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ স্মরণীয় ম্যাচে জয় পেয়েছে অনায়াসেই।

    টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বৃষ্টির বাগড়ায় পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস। তবে তার আগেই দলকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। বৃষ্টিতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে ৪৩ ওভারে নেমে আসলে ফের মাঠে নেমে মারকুটে ব্যাটিং শুরু করেন দুই ওপেনার।

    একপর্যায়ে দেশের হয়ে যেকোনো উইকেটে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডও গড়ে ফেলেন দুজনে। দলীয় ২৯২ রানে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। আগের ম্যাচে তামিম ইকবালের গড়া ১৫৮ রানের রেকর্ড ভেঙে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস গড়ে সাজঘরে ফেরেন ১৭৬ রান করা লিটন। ১৪৩ বলের মোকাবেলায় হাঁকিয়েছেন ১৬টি চার ও ৮টি ছক্কা।

    লিটন সাজঘরে ফিরলেও তামিম থাকেন অপরাজিত। ১০৯ বলে ১২৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে, যে ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ৬টি ছক্কা। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৩ ও অভিষিক্ত আফিফ হোসেন ধ্রুব ৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন। আরেক অভিষিক্ত নাইম শেখ ব্যাট হাতে নামারই সুযোগ পাননি।

    জিম্বাবুয়ের পক্ষে তিনটি উইকেটই শিকার করেন কার্ল মুম্বা। নির্ধারিত ৪৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩২২ রান। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে জিম্বাবুয়ের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৪২ রান।

    বড় জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তোলার চেষ্টা করে জিম্বাবুয়ে। এতে দলটি নিয়মিত বিরতিতে উইকেটও হারাতে থাকে। শন উইলিয়ামস, রেগিস চাকাভা, সিকান্দার রাজা, ওয়েসলে মাধেভেরেরা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেও সফল হননি। সতীর্থদের ব্যর্থতায় দল চাপে পড়ে গেলে তাদের প্রচেষ্টা দলের জয়ের কারণ হতে পারেনি। শেষপর্যন্ত ৩৭.৩ ওভার ব্যাট করে জিম্বাবুয়ের ইনিংস গুটিয়ে যায় ২১৮ রানে।

    দলের পক্ষে সর্বোচ্চ স্কোর গড়েন রাজা- ৫০ বলের মোকাবেলায় ৬১ রান। এছাড়া মাধেভেরে ৪২, চাকাভা ৩৪ ও ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক উইলিয়ামস ৩০ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন চারটি, তাইজুল ইসলাম দুটি এবং আফিফ হোসেন ধ্রুব, মুস্তাফিজুর রহমান ও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা একটি করে উইকেট শিকার করেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস: জিম্বাবুয়ে

    বাংলাদেশ ৩২২/৩ (৪৩ ওভার)
    লিটন ১৭৬, তামিম ১২৮*, আফিফ ৭
    মুম্বা ৮-০-৬৯-৩

    জিম্বাবুয়ে ২১৮/১০ (৩৭.৩ ওভার)
    রাজা,৬১ মাধেভেরে ৪২, চাকাভা ৩৪, উইলিয়ামস ৩০
    সাইফউদ্দিন ৪১/৪, তাইজুল ৩৮/২, আফিফ ১২/১, মুস্তাফিজ ৩২/১, মাশরাফি ৪৭/১

    ফল: বাংলাদেশ ১২৩ রানে জয়ী (ডি/এল পদ্ধতিতে)
    সিরিজ: বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে জয়ী