Tag: লিবিয়া

  • শ্রমিক ও পেশাজীবীদের নিতে চায় লিবিয়া

    শ্রমিক ও পেশাজীবীদের নিতে চায় লিবিয়া

    বাংলাদেশ থেকে আরও শ্রমিক নেওয়ার পাশাপাশি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারদের মতো পেশাজীবীদেরও নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে লিবিয়া। দেশটির শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি হতে আহ্বানও জানিয়েছে আফ্রিকার দেশ লিবিয়া।

    রোববার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তার সাথে সাক্ষাতের সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালিব এসএম সালিমান এই আগ্রহ প্রকাশ করেন।

    লিবিয়ার কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশি শ্রমিকদের অবদানের কথা স্বীকার করেন রাষ্ট্রদূত সালিমান। বর্তমানে লিবিয়ায় কর্মরত কিছু বাংলাদেশি চিকিৎসক বেতনসংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে স্বীকার করেন তিনি। দেশটিতে চলমান সংস্কার সম্পন্ন হলে দ্রুত বিষয়টির সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।

    প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার বন্ধে বাংলাদেশ ও লিবিয়া একসঙ্গে কাজ করতে পারে বলে জোর দেন। তিনি বলেন, আমরা মানবপাচারকে সমর্থন করি না। অনেক মানুষ এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এটা বন্ধ করার জন্য আমাদের একসাথে কাজ করা উচিত।

    বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে কাজ করার জন্যও রাষ্ট্রদূতকে আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।

    পারস্পরিক সুবিধার জন্য লিবিয়া থেকে বাংলাদেশ তেল আমদানি করতে পারে কি না, তাও জানতে চান প্রধান উপদেষ্টা।

    দুই দেশের মধ্যে বিমান যোগাযোগ পুনরায় চালু করার জন্য বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন রাষ্ট্রদূত সালিমান।

  • লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি হত্যায় ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

    লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি হত্যায় ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

    লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় মিজদাহ শহরে ২৬ বাংলাদেশিকে হত্যার ঘটনায় ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ।

    আজ মঙ্গলবার ঢাকার মানবপাচার ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) মো. জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি এ অভিযোগপত্রটি আদালতে দাখিল করা হয়েছে।

    পেশকার বলেন, অভিযোগপত্রে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক আছলাম আলী ৪১ জনকে অভিযুক্ত ও পাঁচজনকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেছেন। এ ছাড়া আদালত সেই অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পাঁচ আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেন।

    অভিযোগপত্রের ৪১ জন হলেন- তানজিদ ওরফে তানজিমূল ওরফে তানজিরুল (৩৬), জোবর আলী (৬২), জাফর মিয়া (৩৮), স্বপন মিয়া (২৯), মিন্টু মিয়া (৪১), শাহিন বাবু (৪৫), আলী হোসেন (৩৭), আমির হোসেন (৫৫), নজরুল মোল্লা (৪৩), আ. রব মোড়ল (৪০), সজীব মিয়া (২৫), মুন্নী আক্তার রূপসী (২০), রবিউল মিয়া (৪২), রুবেল শেখ (৩৬), আসুদুল জামান (৩৪), বাহারুল আলম (৬৭), নাজমুল হাসান (২৫), হেলাল মিয়া (৪২), কামালউদ্দিন (৫২), কামাল হোসেন (৪০), রাশিদা বেগম (৪২), নুর হোসেন শেখ (৫৫), ইমাম হোসেন শেখ (৩৫), আকবর হোসেন শেখ (৩২), বুলু বেগম (৩৮), জুলহাস সরদার (৪৫), দিনা বেগম (২৫), শাহাদাত হোসাইন (৩০), জাহিদুল আলম (৪২), জাকির মাতুব্বর (৬০), লিয়াকত আলী শেখ (৫০), নাসির বয়াতী (২৫), রেজাউল বয়াতী (৩৮), হাজী শহীদ মিয়া (৬৩), খবির উদ্দিন (৪৭), পারভেজ হাসান (৪৫), কামছার মুন্সি (৩৫), মাহাবুব মুন্সি (৫৩), পারভেজ আহমেদ (৩৩), নজরুল ইসলাম সুমন (৩৮) ও কাউসার (৪০)।

    অব্যাহতিপ্রাপ্ত পাঁচজন হলেন- শেখ মো. মাহাবুবুর রহমান (৪৯), শেখ সাহিদুর রহমান (৪০), সাদ্দাম (২৬), কুদ্দুস বয়াতি (২৭) ও লালন (৩০)।

    নথি থেকে জানা যায়, গত বছরের ২৮ মে লিবিয়ায় মানবপাচারকারীদের হাতে ২৬ বাংলাদেশি নিহত হন। এ ছাড়া আহত হন আরও ১২ জন।

    এই ঘটনায় ৩৮ জনকে আসামি করে গত ২ বছরের জুন রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা করে সিআইডি।

    এন-কে

  • লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিকে হত্যার মূল হোতা ড্রোন হামলায় নিহত

    লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিকে হত্যার মূল হোতা ড্রোন হামলায় নিহত

    ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০ জনকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যায় ‘মূল হোতা’ বলে অভিযুক্ত মিলিশিয়া নেতা খালেদ আল-মিশাই লিবিয়ার বিমান বাহিনীর ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন।

    মঙ্গলবার রাজধানী ত্রিপোলির ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে গারিয়ান শহরের কাছে ওই হামলায় তার মৃত্যু হয়। লিবিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য লিবিয়া অবজারভার ২ জুন সন্ধ্যায় টুইটারে এ খবর প্রকাশ করেছে।

    লিবিয়ার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, খালেদ আল-মিশাই ছিলেন লিবিয়ার একাংশের নিয়ন্ত্রক বিদ্রোহী জেনারেল খলিফা হাফতারের অনুসারী।

    গত ২৮ মে ত্রিপোলি থেকে দূরে মিজদা শহরে ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০ জনকে গুলি করে হত্যা করে এক মানবপাচারকারীর সহযোগী ও স্বজনরা।

    এতে আহত হন আরও ১১ জন বাংলাদেশি।
    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • লিবিয়ার ঘটনায় হতাহত বাংলাদেশিদের পরিচয় প্রকাশ

    লিবিয়ার ঘটনায় হতাহত বাংলাদেশিদের পরিচয় প্রকাশ

    লিবিয়ায় মানবপাচারকারী চক্রের এক সদস্যের সহযোগী ও স্বজনদের বর্বরোচিত আক্রমণে হতাহত বাংলাদেশিদের পরিচয় মিলেছে।

    পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, ওই ঘটনায় ২৬ বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিক খুন হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১১ জন।

    হতাহতদের মধ্যে ‘নিখোঁজ বা মৃত’ হিসেবে ২৪ জনের এবং আহত হিসেবে ১১ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে সংশ্লিষ্ট সূত্রে।

    ‘নিখোঁজ বা মৃত’ ২৪ জন হলেন- গোপালগঞ্জের সুজন ও কামরুল; মাদারীপুরের জাকির হোসেন, সৈয়দুল, জুয়েল ও ফিরুজ, রাজৈরের বিদ্যানন্দীর জুয়েল ও মানিক, টেকেরহাটের আসাদুল, আয়নাল মোল্লা (মৃত) ও মনির, ইশবপুরের সজীব ও শাহীন, দুধখালীর শামীম; ঢাকার আরফান (মৃত); টাঙ্গাইলের মহেশপুরের বিনোদপুরের নারায়ণপুরের লাল চান্দ; কিশোরগঞ্জের ভৈরবের রাজন, শাকিল, সাকিব ও সোহাগ, রসুলপুরের আকাশ ও মো. আলী, হোসেনপুরের রহিম (মৃত) এবং যশোরের রাকিবুল।

    আহত ১১ জন হলেন- মাদারীপুর সদরের তীর বাগদি গ্রামের ফিরোজ বেপারী (হাঁটুতে গুলিবিদ্ধ), ফরিদপুরের ভাঙ্গার দুলকান্দি গ্রামের মো. সাজিদ (পেটে গুলিবিদ্ধ), কিশোরগঞ্জের ভৈরবের শম্ভপুর গ্রামের মো. জানু মিয়া (পেটে গুলিবিদ্ধ), ভৈরবের জগন্নাথপুর গ্রামের মো. সজল মিয়া (দুই হাতে মারাত্মকভাবে জখম ও মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন), গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বামনডাঙ্গা বাড়ির ওমর শেখ (হাতে মারাত্মকভাবে জখম ও আঙ্গুলে কামড়ের দাগ, দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ), টাঙ্গাইলের মহেশপুরের বিনোদপুরের নারায়ণপুরের মো. তরিকুল ইসলাম (২২), চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার বেলগাছির খেজুরতলার মো. বকুল হোসাইন (৩০), মাদারীপুরের রাজৈরের কদমবাড়ির মো. আলী (২২), কিশোরগঞ্জের ভৈরবের সখিপুরের মওটুলীর সোহাগ আহমেদ (২০), মাদারীপুরের রাজৈরের ইশবপুরের মো. সম্রাট খালাসী (২৯) এবং চুয়াডাঙ্গার বাপ্পী (মস্তিষ্কে গুলিবিদ্ধ, গুরুতর অবস্থা)।

    এরা সবাই ত্রিপোলি মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    লিবিয়ার সংবাদমাধ্যম জানায়, বৃহস্পতিবার ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০ অভিবাসী শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করে মানবপাচারকারী চক্রের এক সদস্যের সহযোগী ও স্বজনরা। নিহত বাকি চারজন আফ্রিকান। আহত হয়েছেন আরও ১১ বাংলাদেশি। ওই বাংলাদেশিসহ অভিবাসীদের মিজদা শহরের একটি জায়গায় টাকার জন্য জিম্মি করে রাখে মানবপাচারকারী চক্র। এ নিয়ে এক পর্যায়ে ওই চক্রের সঙ্গে মারামারি হয় অভিবাসী শ্রমিকদের। এতে এক মানবপাচারকারী মারা যায়। তারই প্রতিশোধ হিসেবে সেই মানবপাচারকারীর পরিবারের লোকজন এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

    ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে লিবিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, লিবিয়ার মিজদা শহরের এক নাগরিক অবৈধ অভিবাসীদের উপকূলীয় শহরে পাচারকালে তাদের হাতে নিহত হন। এতে ওই ব্যক্তির স্বজনেরা আইন নিজেদের হাতে তুলে নেন এবং বাংলাদেশের ২৬ জন ও আফ্রিকার চারজনকে হত্যা করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা

    লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা

    লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০ অভিবাসী শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করেছে মানবপাচারকারী চক্রের পরিবারের সদস্যরা। বাকি চারজন আফ্রিকান নাগরিক।

    বৃহস্পতিবার (২৮ মে) লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলেছে, এই ঘটনায় আরও ১১ জন বাংলাদেশি মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন।

    দেশটির ইংরেজি গণমাধ্যম দ্য লিবিয়া অবজারভার বৃহস্পতিবার রাত পৌনে নয়টার দিকে তাদের ফেইসবুক পেজে জানায়, নিহত বাংলাদেশিরা মিজদা শহরে ওই মানবপাচারকারীর জিম্মায় ছিলেন। তাকে আগেই হত্যা করা হয়।

    লিবিয়া প্রবাসী কল্যাণ ফোরামের ফেইসবুক পেজেও এই খবর দেয়া হয়েছে।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত পাচারকারী মঙ্গলবার রাতে অভিবাসীদের হাতে কোনোভাবে খুন হন। এরপর তার সহযোগী এবং আত্মীয়স্বজনেরা জিম্মি অভিবাসীদের ক্যাম্পে নির্বিচারে গুলি চালালে ঘটনাস্থলে ২৬ জন বাংলাদেশিসহ মোট ৩০ জন মারা যান।

    তেলসমৃদ্ধ অর্থনীতির কারণে অভিবাসীদের কাছে লিবিয়া অন্যতম ‘আকর্ষণীয়’ একটা দেশ। পাশাপাশি এই দেশ ব্যবহার করে অনেকে ইউরোপেও ঢোকার চেষ্টা করেন।

    লিবিয়া-ভিত্তিক অভিবাসীদের আন্তর্জাতিক সংস্থার মুখপাত্র সাফা মেশেলি ভুক্তভোগীদের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা এই মাত্র খবরটি পেলাম। বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি। যারা হাসপাতালে আছেন তাদের সাহায্য করছি।’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর