Tag: লিভারপুল

  • লিভারপুলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে রিয়াল

    লিভারপুলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে রিয়াল

    চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা ধরে রাখার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল রিয়াল মাদ্রিদ। করিম বেনজেমার করা একমাত্র গোলে দুই লেগেই লিভারপুলকে হারিয়ে শেষ আটে জায়গা করে নিল তারা।

    সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দ্বিতীয় লেগে ১-০ গোলে জিতে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-২ ব্যবধানের জয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠলো কার্লো আনচেলত্তির দল।

    প্রথম লেগে লিভারপুলের মাঠে ৫-২ গোলের জয়ে কাজ প্রায় সেরেই রেখেছিল মাদ্রিদের দলটি, ঘরের মাঠে সারলো আনুষ্ঠানিকতা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সফলতম দলটির এটি ছিল ৩০০তম ম্যাচ। কষ্টে হলেও জয় দিয়েই উপলক্ষ রাঙালো স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা।

    পুরো খেলা জুড়ে দুই দল অসংখ্য সুযোগ নষ্ট করার পর ৭৮ মিনিটে ব্যবধান গড়ে দেন রিয়ালের ফ্রান্স স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা। মাঝমাঠ থেকে কামাভিঙ্গার বাড়ানো বল ভার্জিল ফন ডাইকের চ্যালেঞ্জের মুখে নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি বেনজেমা। ছুটে গিয়ে বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি ভিনিসিয়াস। ভারসাম্য হারিয়েও কোনোমতে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড খুঁজে নেন বেনজেমাকে। তখন ফরাসি ফরোয়ার্ড সুযোগ বুঝে করে ফেলেন পরের কাজটা।

    চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল ও নাপোলির আগে শেষ আটে খেলা নিশ্চিত করেছে বায়ার্ন মিউনিখ, ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসি, বেনফিকা, এসি মিলান, ও ইন্টার মিলান।

  • মৌসুমের প্রথম জয়ের লক্ষ্যে রাতে মাঠে নামছে ইউনাইটেড-লিভারপুল

    মৌসুমের প্রথম জয়ের লক্ষ্যে রাতে মাঠে নামছে ইউনাইটেড-লিভারপুল

    মৌসুমের চতুর্থ সপ্তাহেই আসরের সবচেয়ে বড় এবং উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচের সাক্ষী হতে যাচ্ছেন ফুটবল সমর্থকরা। বাংলাদেশ সময় সোমবার (২২ আগস্ট) দিবাগত রাত ১টায় ওল্ড ট্রাফোর্ডে মুখোমুখি হবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও লিভারপুল। টানা দুই ম্যাচ হেরে মৌসুমে এখনো পয়েন্টের দেখা পায়নি রেড ডেভিলরা। অন্যদিকে, না হারলেও দুই ম্যাচেই ড্র করে সম্মান বাঁচিয়েছে লিভারপুল। এ ম্যাচ দিয়ে ভাগ্য ফেরাতে মরিয়া দুই দল।

    ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও লিভারপুল–নাম দুটোর সঙ্গেই জড়িয়ে আছে ইংলিশ ফুটবলের অহম আর ঐতিহ্য। মৌসুমের যেকোনো সময়ই এই দুদলের লড়াই মানে বাড়তি উত্তাপ ইপিএলের পয়েন্ট টেবিলে। তবে, শেষ কয়েক বছরে রং হারিয়েছে এ ফুটবলীয় যুদ্ধের। বিশেষ করে লিভারপুলের শক্তিমত্তার সঙ্গে এখন আর ঠিক যায় না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে, ইতিহাসের দায় বলে তো একটা কথা আছে, তাই রেড ডেভিলদের বিপক্ষে অল রেড মানেই যেন যুদ্ধ-যুদ্ধ ভাব।

    গত মৌসুমের কথা মনে ধরে রাখলে এবার হয়তো কিক অফের আগেই হেরে যেতে হবে ইউনাইটেডকে। লিভারপুলের বিপক্ষে দুই লেগে গুনে গুনে নয় গোল হজম করতে হয়েছিল তাদের। এই থিয়েটার অব ড্রিমেই খেয়েছিল পাঁচ গোল। সঙ্গে চলতি মৌসুমের ফর্মটাও নতুন কিছুর জন্য আশাবাদী করতে পারছে না রেড ডেভিল সমর্থকদের। ব্রাইটন আর ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে হার ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে তাদের।

    কিন্তু, অহমের লড়াইয়ে ছাড় দিতে নারাজ এরিক টেন হ্যাগ। গ্রিনউডকে না পেলেও মার্শিয়াল সুস্থ হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে তার মনে। বড় ম্যাচে রোনালদোকেও হয়তো দেখা যাবে প্রথম থেকেই। ভারানে-ম্যালাসিয়া খেললে বেঞ্চে থাকবেন ম্যাগুয়ের-লুক শ।

    ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এরিক টেন হ্যাগ বলেন, ‘আমরা জানি আমাদের অবস্থা এখন খুব একটা ভালো নয়। কিন্তু লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যাচে এসব নিয়ে ভাবার উপায় কই? এ ম্যাচটা জিততে হবে, তাহলেই সমর্থকরা খুশি হবে। বিকল্প কোনো চিন্তার জায়গা নেই এখানে।’

    লিভারপুলের জন্য চিন্তার জায়গাও তাদের সাম্প্রতিক ফর্ম। ফরোয়ার্ডরা গোল পেলেও হজমও করতে হচ্ছে দেদার। ক্রিস্টাল প্যালেসের পর ফুলহ্যামের বিপক্ষে ড্র তাই শুরুতেই চাপে ফেলে দিয়েছে ক্লপ বাহিনীকে।

    ফিরমিনো ফিরে আসায় নুনেজের বিকল্প নিয়ে ভাবনা নেই লিভারপুলের। কিন্তু ইনজুরির মিছিল যেন পিছুই ছাড়ছে না অল রেডদের। মাতিপ, আলকান্তরা, জোতা, চেম্বারলেইন, রামসে কাউকেই একাদশে পাবে না অল রেডরা। বাধ্য হয়ে জো গোমেজ ও হেন্ডারসনকে ফিরিয়ে আনতে হতে পারে ক্লপকে।

    লিভারপুল কোচ বলেন, ‘ইনজুরির কারণে আমি আমার সেরা ফুটবলারদের পাব না, তাই বলে তো আর মৌসুম বন্ধ করে রাখা যাবে না। যারা আছে তারাই আমার তুরুপের তাস। ওল্ড ট্রাফোর্ড থেকে জয় নিয়েই ফিরব।’

    ম্যাচের আগে অবশ্য একটা নতুন শঙ্কা দেখা দিয়েছে ম্যানচেস্টারে। টানা হারের কারণে ক্ষুব্ধ সমর্থকরা আন্দোলনের ডাক দিয়েছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

    এন-কে

  • রিয়ালের ১৪ তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়

    রিয়ালের ১৪ তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়

    মোহামেদ সালাহর বিধ্বংসী আক্রমণ, সাদিও মানের বুলেট গতির শটে জেরবার অবস্থা। কিন্তু থিবো কোর্তোয়া অবিশ্বাস্য দৃঢ়তায় শুধু পোস্ট আগলে রাখলেন না, যেন ধরে রাখলেন রিয়াল মাদ্রিদের হাল। এর মাঝেই আচমকা এক প্রতি-আক্রমণে ব্যবধান গড়ে দিলেন ভিনিসিউস জুনিয়র। ব্যস, আসর জুড়ে দুর্দান্ত সব প্রত্যাবর্তনের গল্প লেখা কার্লো আনচেলত্তির দল সাফল্যের রঙ-তুলি দিয়ে আঁকল চেনা ছবি। ইউরোপ সেরার মুকুট আবারও উঠল তাদের মাথায়।

    ফ্রান্সের প্যারিসে শনিবার রাতের ফাইনালে ১-০ গোলে জিতে রেকর্ড ১৪তম বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতল মাদ্রিদের দলটি।

    ইউরোপ সেরার মঞ্চে রিয়ালের এবারের সাফল্যকে অবিশ্বাস্য বললেও বুঝি কম বলা হয়। নকআউট পর্বের প্রতিটি ধাপেই তারা পড়েছিল ছিটকে পড়ার দ্বারপ্রান্তে এবং হার না মানা, হাল না ছাড়া মানসিকতায় প্রতিবারই খাদের কিনারা থেকে দুর্দান্ত সব ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লেখে দলটি।

    ফাইনালের মঞ্চে অবশ্য তেমন কোনো গল্প বা মহাকাব্য নয়, বরং প্রতিপক্ষের টানা আক্রমণের মুখে ঘর সামলাতেই ব্যস্ত সময় কাটে তাদের। তবে, এত চাপে একটুর জন্যও দিক হারায়নি দলটি। রক্ষণ জমাট রেখে কাটিয়ে দেয় সময় আর বিশ্বস্ত প্রহরীর মতো পোস্ট আগলে রাখলেন কোর্তোয়া।

    মাঠে আক্রমণের হিসেবে লিভারপুলের দাপট কতটা ছিল, তা ম্যাচ পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট ফুটে উঠছে। গোলের উদ্দেশ্যে ২৪টি শট নেয় তারা, যার ৯টি ছিল লক্ষ্যে। সেখানে রিয়াল নিতে পারে মোটে চার শট, লক্ষ্যে মাত্র দুটি।

    ‘হিসাব চুকানোর আছে, নেওয়ার আছে প্রতিশোধ’-এই শব্দগুলো ফাইনালের আগে সবচেয়ে বেশি যার মুখ থেকে উচ্চারিত হয়েছে সেই মোহামেদ সালাহ ম্যাচের ষোড়শ মিনিটে প্রথম নিশ্চিত সুযোগ পান। ছয় গজ বক্সে জটলার মধ্যে ঠিকমতো তিনি শট নিতে না পারলেও বল ছিল লক্ষ্যে, শেষ মুহূর্তে ঝাঁপিয়ে ফেরান কোর্তোয়া।
    পরক্ষণেই আরেকটি সুযোগ পায় লিভারপুল; এবার অবশ্য থিয়াগো আলকান্তারার শট যায় কোর্তোয়া বরাবর। এক মিনিট পর আবারও ভীতি ছড়ান সালাহ। তবে তিনিও শট নিয়ে বসেন কোর্তোয়ার সোজা।

    চাপ ধরে রেখে ২১তম মিনিটে সেরা সুযোগটি পায় লিভারপুল। তবে কোর্তোয়ার নৈপুন্যে ও ভাগ্যের ছোঁয়ায় বেঁচে যায় রিয়াল। ডি-বক্সের বাইরে থেকে সাদিও মানের জোরাল নিচু শটে ঝাঁপিয়ে কোনোমতে আটকান গোলরক্ষক, তার হাতে লেগে বল বাধা পায় পোস্টে।

    একচেটিয়া আক্রমণে প্রথম ২৮ মিনিটে মোট ছয়টি শট নেয় লিভারপুল, যার মধ্যে চারটি ছিল লক্ষ্যে। এই সময়ে রিয়াল কোনো শটই নিতে পারেনি। এরপর পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করলেও পারছিল না তারা। উল্টো ৩৪তম মিনিটে আবারও ডি-বক্সে দারুণ পজিশনে বল পেয়ে যান সালাহ। যদিও আবারও গোলরক্ষক সোজা হেড করে নিয়ে হতাশ করেন তিনি।

    ৪৩তম মিনিটে ঘটে প্রথমার্ধের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনাটি। মাঝমাঠের কাছ থেকে সতীর্থের বাড়ানো ক্রস ডি-বক্সে নিয়ন্ত্রণে নিয়েও গোলরক্ষক এগিয়ে আসায় শট নেওয়ার জায়গা পাননি বেনজেমা। বল হারিয়েও ফেলেন তিনি, অবশ্য আলিসন ও ডিফেন্ডার ইব্রাহিমা কোনাতের ভুলে লিভারপুলও পারেনি বল ক্লিয়ার করতে।

    ফাবিনিয়ো ও কোনাতের থেকে বল কাড়তে ছুটে যান ফেদে ভালভেরদে, পারেননি তিনিও। তবে তাদের বল কাড়াকাড়ির মাঝেই ফাঁকায় পেয়ে যান বেনজেমা। এবার আর জালে পাঠাতে ভুল করেননি তিনি। তবে অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান। ভিএআর অনেক সময় নিয়ে দেখে অফসাইডের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। শেষবার বেনজেমা বল পাওয়ার সময় শেষ খেলেয়াড় হিসেবে তার পেছনে ছিলেন অ্যান্ড্রু রাবার্টসন।

    বিরতির পরও একইরকম আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে লিভারপুল। তবে দারুণ এক পাল্টা আক্রমণে ৫৯তম মিনিটে তাদের হতভম্ব করে দেয় রিয়াল। ডি-বক্সে ডান দিক থেকে ভালভেরদে অসাধারণ এক কোনাকুনি পাস বাড়ান গোলমুখে। ওখান থেকে বিনা বাধায় বল জালে পাঠাতে ভিনিসিউসের কেবল একটা ছোঁয়ারই দরকার ছিল।

    গোলের উদ্দেশ্যে ও লক্ষ্যে এটা ছিল রিয়ালের দ্বিতীয় শট। যেখানে ওই সময়ের মধ্যে লিভারপুলের ১০ শটের ৫টি ছিল লক্ষ্যে। মৌসুমে জুড়ে দুর্দান্ত খেলা ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোল হলো চারটি।

    একবিংশ শতাব্দীতে জন্ম নেওয়া প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে গোল করলেন ২০০০ সালের ১২ জুলাই জন্ম নেওয়া ভিনিসিউস।

    অধিকাংশ সময় আধিপত্য ধরে রেখেও এভাবে গোল হজম করাটা বড় ধাক্কাই বটে। তবে খেই হারায়নি লিভারপুল। ৬৪তম মিনিটে তো গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল দলটি; কিন্তু পারেনি কোর্তোয়ার দেয়াল ভাঙতে। ডি-বক্সের বাইরে ডান দিক থেকে বাঁ দিকে বল পায়ে কিছুটা আড়াআড়ি গিয়ে দূরের পোস্টে চমৎকার বাঁকানো শট নেন সালাহ, অসাধারণ নৈপুণ্যে ঝাঁপিয়ে রুখে দেন বেলজিয়ান গোলরক্ষক।

    গোলপোস্টে ভীষণ ব্যস্ত সময় কাটানো কোর্তোয়া পাঁচ মিনিট পর আবারও রিয়ালের ত্রাতা। একেবারের গোলমুখে সালাহর প্রচেষ্টা কোনোমতে পা দিয়ে আটকান তিনি। খানিক পর গোলমুখে সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও নিরাশ করেন কাসেমিরো। প্রথম সুযোগে শট নিয়েই ভুলটা করেন তিনি, বলও হারিয়ে ফেলেন।

    ৮২তম মিনিটে আবারও লিভারপুলের হানা এবং যথারীতি কোর্তোয়ার প্রাচীরে মুখ থুবড়ে পড়ল তা। এবার সালাহর কোনাকুনি শট দারুণ ক্ষিপ্রতায় পা বাড়িয়ে ঠেকান তিনি।

    বাকি সময়ে লিভারপুল কেবল আক্রমণই শানিয়েছে, কিন্তু সত্যিকারের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি আর। আসরে সর্বোচ্চ ১৫ গোল করা এবং মৌসুমে রিয়ালের সব সাফল্যের মূল নায়ক বেনজেমা শেষে গোল করে মুহুর্তটা আরও রাঙানোর সুযোগ পেয়েছিলেন, তবে কাজে লাগাতে পারেননি।

    তবে ক্ষণিকের সেই ব্যর্থতা ম্লান হয়ে গেছে শিরোপা হাসির কাছে। পাঁচ মিনিট যোগ করা সময়ের পর শেষের বাঁশি বাজতেই সেই চেনা দৃশ্য; হতাশায় মুখ ঢেকে নুয়ে পড়লেন লিভারপুলের অনেকে। আর পাশেই উল্লাসে ফেটে পড়ল রিয়ালের কোচ, খেলোয়াড় এবং গ্যালারির দর্শকরা।

    ২০১৭-১৮ আসরের ফাইনালে এই লিভারপুলকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ত্রয়োদশ শিরোপা জিতেছিল রিয়াল। তাদেরকেই কাঁদিয়ে সংখ্যাটা ১৪-তে উন্নীত করল মাদ্রিদের দলটি।

    লিভারপুল প্রতিশোধ নিতে পারল না। কিছুদিন আগেও দলটির আকাশে-বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছিল কোয়াড্রপল জয়ের স্বপ্ন। গত সপ্তাহে প্রিমিয়ার লিগের শেষ রাউন্ডে জিতেও ভেস্তে যায় শিরোপা সম্ভাবনা। তারপরও টিকে ছিল ট্রেবল জয়ের আশা। সেই আশাও নিভে গেল এবার। শেষ পর্যন্ত ওই লিগ কাপ ও এফএ কাপ জয়েই শেষ হলো তাদের দারুণ এক মৌসুম।

    বরং প্রতিশোধ নিল রিয়াল; ১৯৮১ সালে এই প্যারিসেই ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনালে ‘অল রেড’ খ্যাত দলটির বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছিল তারা।

    লিভারপুলের বিপক্ষে তাদের সবশেষ হারের স্মৃতিও ওটাই। এরপর থেকে এই নিয়ে আরও ছয়বার মুখোমুখি হয়ে রিয়াল জিতল পাঁচবার, অন্যটি ড্র।

    আক্রমণভাগে পরীক্ষিত শক্তির ঘাটতি, রক্ষণে নতুন মুখ, মাঝমাঠে অভিজ্ঞ কিন্তু ‘বুড়ো’ হতে বসা তারকা-সব মিলিয়ে মৌসুমের শুরুতে রিয়ালকে নিয়ে বাজি ধরার লোক খুব বেশি কি ছিল? উত্তরটা যাই হোক, শেষের হাসি তাদের এতটাই চওড়া যে, শুরুর কথা এখন কেই-বা মনে রাখে!

    মাদ্রিদে সময়টা যে এখন আনন্দে ভাসার, উৎসবে মেতে ওঠার।

  • আজ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল

    আজ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল

    ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের আসর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। এই টুর্নামেন্টের শিরোপার লড়াইয়ে আজ মাঠে নামবে ইংল্যান্ডের লিভারপুল ও স্পেনের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় প্যারিসের স্ট্যাড ডি ফ্রান্সে হবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি।

    স্প্যানিশ লা লিগার চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ফুরফুরে মেজাজেই মাঠে নামবে রিয়াল। কিন্তু মাত্র এক পয়েন্টের জন্য ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা খোয়ানোর হতাশা সঙ্গী হয়ে রয়েছে লিভারপুলের। তবু তাদের সামনে থাকছে রিয়ালের বিপক্ষে প্রতিশোধ নেওয়ার হাতছানি।

    ২০১৮ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালেও মুখোমুখি হয়েছিল এ দুই দল। উড়ন্ত ফর্মের লিভারপুলকে সেই ফাইনালে খুব একটা লড়তে দেয়নি রিয়াল। গ্যারেথ বেলের জোড়া গোলের সঙ্গে করিম বেনজেমার এক গোলে ৩-১ ব্যবধানে সহজেই ম্যাচটি জিতে নিয়েছিল স্প্যানিশ জায়ান্টরা।

    ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় শেষ পাঁচ ম্যাচে রিয়ালের বিপক্ষে জয়ের দেখা পায়নি লিভারপুল। এই পাঁচ ম্যাচের চারতিই জিতেছে রিয়াল, ড্র হয়েছে একটি। তবে সবমিলিয়ে আগের আট দেখায় লিভারপুলের জয় তিন ম্যাচে, রিয়াল জিতেছে চারটি আর ড্র অন্য ম্যাচটি।

    এর আগে দুইবার ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার ফাইনালে দেখা হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ ও লিভারপুলের। ১৯৮১ সালে ইউরোপিয়ান কাপে ১-০ ব্যবধানে জিতেছিল অলরেডরা। তবে সবশেষ ২০১৮ সালের আসরে তারা হেরে যায় ১-৩ ব্যবধানে।

    চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৩বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। তাদের আশপাশেও নেই আর কোনো ক্লাব। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাতবার জিতেছে ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলান। আজ রাতের ম্যাচে জিতলে মিলানের সমান সাতটি শিরোপা হবে লিভারপুলের।

    তবে ইংলিশ জায়ান্টদের কাজটি মোটেও সহজ হবে না। কেননা শেষ সাতবার ফাইনালে উঠে একবারও শিরোপা ছাড়া মাঠ ছাড়েনি রিয়াল। সবশেষ ১৯৮১ সালের ফাইনালে লিভারপুলের কাছেই হেরেছিল তারা। সেখান থেকে অনুপ্রেরণা খুঁজে নিতে পারেন সালাহ-মানেরা।

    লিভারপুলের সম্ভাব্য শুরুর একাদশ: অ্যালিসন বেকার, ট্রেন্ট অ্যালেক্সান্ডার আরনল্ড, ইব্রাহিম কোনাতে, ভার্জিল ফন ডাইক, অ্যান্ডি রবার্টসন, জর্ডান হ্যান্ডারসন, ফাবিনহো, থিয়াগো আলকান্তারা, মোহামেদ সালাহ, সাদিও মানে ও লুইস দিয়াজ।

    রিয়াল মাদ্রিদের সম্ভাব্য শুরুর একাদশ: থিবো কর্তোয়া, দানি কারভাহাল, এডের মিলিতাও, ডেভিড আলাবা, ফারল্যান্ড মেন্ডি, টনি ক্রুস, কার্লোস হেনরিক ক্যাসেমিরো, লুকা মদ্রিচ, ফেডে ভালভার্দে, করিম বেনজেমা ও ভিনিসিয়াস জুনিয়র।

  • সালাহর সেঞ্চুরি, ৩ গোল দিয়েও জিতল না লিভারপুল

    সালাহর সেঞ্চুরি, ৩ গোল দিয়েও জিতল না লিভারপুল

    ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে (ইপিএল) লিভারপুলের হয়ে ১০০ গোল করলেন মোহাম্মদ সালাহ। সতীর্থরা করলেন আরও দুই গোল। তবুও জিতল না লিভারপুল।

    শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ছয় গোলের ম্যাচে লিভারপুলকে রুখে দিয়েছে ৭৪ বছর পর ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে ফেরা ব্রেন্টফোর্ড। প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়।

    ব্রেন্টফোর্ডের মাঠে ৬৭ শতাংশ সময় বল দখলে রাখে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। গোলের জন্য ১৬টি শট নেয় লিভারপুল। অন্যদিকে, নবাগত ব্রেন্টফোর্ডের ১২ শটের ৪টি লক্ষ্যে ছিল। তবুও প্রথমেই এগিয়ে যায় নবাগতরাই।

    ব্রেন্টফোর্ড কমিউনিটি স্টেডিয়ামে ম্যাচের ২৭তম মিনিটে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ইভান টনির ব্যাক ফ্লিকে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে লিভারপুল ডিফেন্স। আর সে সুযোগে গোল করেন ইথান পিনক। দূরের পোস্টে বাঁ পায়ের টোকায় জাল খুঁজে নেন তিনি।

    অবশ্য তাদের আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৪ মিনিট পরই ম্যাচে ফেরে অতিথিরা। মোহাম্মদ সালাহ পাস দেন জর্ডান হেন্ডারসনকে। ডান প্রান্ত থেকে আসা হেন্ডারসনের ক্রসে মাথা লাগিয়ে দলকে ম্যাচে ফেরান দিয়েগো জোতা। সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ।

    বিরতি থেকে ফিরে সালাহর গোলে এগিয়ে যায় সফরকারীরা। ম্যাচের ৫৪তম মিনিটে ফাবিনিয়োর ক্রসে কাছ থেকে গোলরক্ষককে ফাঁকি দেন সালাহ। লাইন্সম্যান শুরুতে অফসাইডের পতাকা তুলে। তবে ভিএআরে পাল্টায় সিদ্ধান্ত। লিভারপুলের জার্সিতে প্রিমিয়ার লিগে এটা মিশরীয় তারকার শততম গোল। সব মিলিয়ে প্রিমিয়ার লিগে সালাহর গোল ১০২টি। বাকি দুটি চেলসির হয়ে।

    দ্য রেডস খ্যাত দলটির ১৩তম খেলোয়াড় হিসেবে ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে এই মাইলফলক স্পর্শ করলেন সালাহ। এর মধ্যে সালাহসহ চারজন এটি করে দেখিয়েছেন প্রিমিয়ার লিগ নামকরণের পর।

    তবে সালাহর রেকর্ডের সে আনন্দ মুছে গেছে ৯ মিনিট পর। ম্যাচের ৬৩তম মিনিটে ভিটালি জ্যানেট স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান দারুণ এক গোলে। ইয়ানসনের প্রচেষ্টা ক্রসবারের নিচের দিকে লেগে ফেরার পর হেডে বল জালে জড়ান ভিটালি।

    অবশ্য ৪ মিনিট পরই আবার এগিয়ে যায় সফরকারীরা। ম্যাচের ৬৭তম মিনিটে দলকে দ্বিতীয়বার এগিয়ে দেন কার্টিস জোন্স। এই তরুণ গোল করেই মাঠ ছাড়েন, মাঠে নামেন ফর্ম হারিয়ে খোঁজা রবার্তো ফিরমিনো।

    যদিও এই বদলি খুব একটা কাজে আসেনি। উল্টো ম্যাচের ৮২তম মিনিটে ব্রেন্টফোর্ডকে আবার সমতায় ফেরান ইয়োন ভিসা। এর ৪ মিনিট পর টনি ব্রেন্টফোর্ডকে জয় এনে দিয়েছেন বলেই মনে হয়েছিল। কিন্তু বল জালে জড়ালেও অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি।

    এই ড্রয়ে আসরে দ্বিতীয়বার পয়েন্ট হারালেও একমাত্র দল হিসেবে প্রিমিয়ার লিগে অপরাজিত থাকল লিভারপুল। ৬ ম্যাচে চার জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। ১৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে চেলসিকে হারানো ম্যানচেস্টার সিটি। সমান পয়েন্ট নিয়ে তিনে দ্যা ব্লুজ খ্যাত দল চেলসি। যথাক্রমে ৪ ও ৫ নম্বরে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও এভারটনের পয়েন্টও ১৩ করে।

    এন-কে

  • সাদিও মানের রেকর্ডের দিনে লিভারপুলের জয়

    সাদিও মানের রেকর্ডের দিনে লিভারপুলের জয়

    ম্যাচের প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়ে শততম গোলের রেকর্ড স্পর্শ করেন সাদিও মানে। সেইসঙ্গে জালের দেখা পেয়েছেন মোহাম্মদ সালাহ ও নাবি কেইটা। তারকাদের জ্বলে ওঠার দিনে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ক্রিস্টাল প্যালেসকে উড়িয়ে দিল লিভারপুল।

    গতকাল শনিবার রাতে ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে পঞ্চম রাউন্ডে ক্রিস্টাল প্যালেসকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে লিভারপুল। এই জয়ের মাধ্যমে লিগ টেবিলের শীর্ষস্থান মজবুত করেছে প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম ক্লাবটি।

    ঘরের মাঠে এদিন বল দখল ও আক্রমণে দুটোতেই দাপুটে ছিল লিভারপুল। ম্যাচের ৬০ ভাগ সময় বল দখলে রেখে ২৫টি শট নেয় তারা, যার মধ্যে ১০টিই ছিল অনটার্গেটে যাওয়ার মতো। অন্যদিকে, প্যালেসের ১২ শটের মাত্র দুটি লক্ষ্যে যাওয়ার মতো ছিল।

    ম্যাচের ৪৩ মিনিটে মানের হাত ধরে প্রথম গোলের দেখা পায় লিভারপুল। কর্নারে সালাহর হেডে দুর্দান্ত সেভ করেন গুয়াইতা। কিন্তু, ছুটে এসে কাছ থেকে কোনাকুনি শটে ঠিকানা খুঁজে নেন মানে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে লিভারপুলের জার্সিতে মানের ১০০টি গোল হলো।

    মানের এগিয়ে নেওয়ার পর বাকি দুই গোল করেন সালাহ ও কেইটা। ম্যাচের ৭৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সালাহ। কর্নারে ভার্জিল ফন ডাইক হেড করতে লাফিয়ে ঠিকমতো বলে মাথা ছোঁয়াতে পারেননি। তাঁর কাঁধে লেগে বলে যায় ছয় বক্সের মুখে সালাহর পায়ে। সুযোগ হাতছাড়া না করে গোল করেন মিসরের এই ফরোয়ার্ড।

    আর, ৮৯তম মিনিটে সব স্কোরলাইন ৩-০ করেন কেইটা। ফলে স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ে লিভারপুর। পাঁচ ম্যাচে চার জয় ও এক ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লিভারপুল। দুইয়ে আছে ম্যানচেস্টার সিটি, তিনে আছে ইউনাইটেড।

    এন-কে

  • দীর্ঘ ৩০ বছরের খরা কাটিয়ে ইংলিশ লিগ চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল

    দীর্ঘ ৩০ বছরের খরা কাটিয়ে ইংলিশ লিগ চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল

    সেই ১৯৮৯-৯০ মৌসুম। এরপর একে একে কেটে গেল ৩০টি বছর। এর মাঝে একবারও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের(ইপিএল) শিরোপা ছুঁয়ে দেখা হয়নি লিভারপুলের। অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষা শেষ হলো। তিন দশক পর ইংলিশ লিগের চাম্পিয়ন হলো লিভারপুল।

    অবশ্য কাগজে-কলমে এবারের মৌসুমে লিভারপুলের শিরোপা জেতার সম্ভাবনা জাগে আগেই। জয়ের ছন্দে উড়তে থাকা দলটি নিজেদের অনেকটা এগিয়ে রেখেছিল। অপেক্ষা ছিল সময়ের। অবশেষে সেই সময় এলো। সাত ম্যাচ হাতে রেখেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হলো ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।

    আগের দিন দারুণ জয়ে শিরোপার মঞ্চ ঠিক করে রেখেছিল লিভারপুল। চেলসি ও ম্যানচেস্টার সিটির ম্যাচটি অপেক্ষা বাড়ায়। ম্যাচটিতে চেলসির কাছে ম্যানচেস্টার সিটি হারলেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। এমন সমীকরণ নিয়ে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে মাঠে নামে দুই দল। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সেটাই হলো। সিটিকে ২-১ গোলে হারাল চেলসি। ফলে শিরোপা উল্লাস করল লিভারপুল।

    লিগে চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল ৩১ ম্যাচে ২৮ জয় ও দুই ড্রয়ে ৮৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে সবার শীর্ষে। ২০ জয় ও তিন ড্রয়ে দ্বিতীয়তে থাকা ম্যান সিটির পয়েন্ট ৬৩।

    ৩১ ম্যাচে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে লেস্টার সিটি। দারুণ এই জয়ে লেস্টার সিটির সঙ্গে ব্যবধান ১ পয়েন্টে নিয়ে এলো চেলসি। সমান ৩১ ম্যাচ খেলে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থতে আছে দলটি। ৩১ ম্যাচে ১৩ জয় ও ১০ ড্রয়ে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে সুলশারের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

    গতকাল দিনের আরেক ম্যাচে সাউথ্যাম্পটনকে ২-০ গোলে হারিয়ে জয়ের পথে ফিরেছে আর্সেনাল। ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে আছে তারা।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শেষ ষোলোর ড্র অনুষ্ঠিত

    চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শেষ ষোলোর ড্র অনুষ্ঠিত

    এবারের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শেষ ষোলোর ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। নক আউট পর্বে সবচেয়ে আকর্ষণীয় লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ এবং ম্যানচেস্টার সিটি। অপরদিকে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ পেয়েছে বার্সেলোনা; তাদের প্রতিপক্ষ নাপোলি।

    সুইজারল্যান্ডের নিয়নে সোমবার ২০১৯-২০ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বের ড্র হয়। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে খেলবে আতলেতিকোর মাদ্রিদের বিপক্ষে।

    দেখুন চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শেষ ষোলোয় কে কার মুখোমুখি

    বরুসিয়া ডর্টমুন্ড-পিএসজি

    রিয়াল মাদ্রিদ-ম্যানচেস্টার সিটি

    আটালান্টা-ভালেন্সিয়া

    এটলেটিকো মাদ্রিদ-লিভারপুল

    চেলসি-বায়ার্ন মিউনিখ

    অলিম্পিক লিওঁ-জুভেন্টাস

    টটেনহ্যাম হটস্পার-লিপজিগ

    নাপোলি-বার্সেলোনা

    আগামী ১৮, ১৯, ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি হবে প্রথম লেগের খেলা। দ্বিতীয় লেগ হবে ১০, ১১, ১৭ ও ১৮ মার্চ।

    ফাইনাল হবে তুরস্কের ইস্তানবুলে, আতাতুর্ক অলিম্পিক স্টেডিয়ামে।