Tag: লুঙ্গি

  • পোড়া লুঙ্গি লাখ টাকায় কিনলেন তাহসান

    পোড়া লুঙ্গি লাখ টাকায় কিনলেন তাহসান

    স্বচ্ছ পলিব্যাগে মোড়ানো ছিল নতুন আর রঙিন কাপড়গুলো। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আজ সেই সব কাপড়ের রঙ কালো। আবার কিছু কাপড় পুড়ে ছাই। পরশুও ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে যে বাজার ছিল জমজমাট আজ সেখানে ধ্বংসস্তুপ আর হাহাকার। করোনা আর যুদ্ধের কারণে গত কয়েক বছর ধরে এমনিতেই ব্যবসায়ে ভাটা। এ বছর ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় থাকলেও আগুন যেন খাঁড়ার উপর মরার ঘা হয়েছে ব্যবসায়ীদের। যেন আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। এ অবস্থায় ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন তারকা, রাজনীতিবিদ থেকে আমজনতা পর্যন্ত।

    তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবাজারে পুড়ে যাওয়া একটি লুঙ্গি লাখ টাকায় কিনে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন দেশের সংগীত তারকা ও অভিনেতা তাহসান খান।

    বুধবার (৫ এপ্রিল) এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে দাতব্য সংস্থা বিদ্যানন্দ।

    বিদ্যানন্দের পোস্টটি ঢাকা পোস্ট পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল-

    ‘জনপ্রিয় শিল্পী তাহসান বঙ্গবাজারের পোড়া লুঙ্গির একটা কিনে নিয়েছেন এক লাখ টাকায়! যে টাকা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত বিক্রেতাদের কাছে। অনেক তারকা ব্যক্তিত্বের অনুরোধ আসছে বিদ্যানন্দে, সবাই সংগ্রহে রাখতে চান কিছু কাপড়, ‘বঙ্গবাজারের কাপড়ে বড় হইছি। আর তাদের বিপদে একটা কাপড় কিনতে পারবো না’?”

    ‘নগদ এক কোটি টাকা তুলে দিতে চাই ভুক্তভোগী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর হাতে। আপনাদের মতো অসাধারণ সাপোর্টারদের পাশাপাশি আমরা কিছু তারকা ব্যক্তিত্বকে সংযুক্ত করতে চাচ্ছি সচেতনতা বাড়াতে।’

    গতকালের আগুনে বঙ্গবাজারসহ আশপাশের ৬টি মার্কেটের ৫ হাজার ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। প্রাথমিকভাবে আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

    এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ঘুরে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যাপ্ত অনুদান দেবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

  • বোয়ালখালীতে লুঙ্গি তুলে পুরুষাঙ্গ দেখানোয় বৃদ্ধের কারাদণ্ড

    বোয়ালখালীতে লুঙ্গি তুলে পুরুষাঙ্গ দেখানোয় বৃদ্ধের কারাদণ্ড

    বোয়ালখালী(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে জায়গা জমির বিরোধের জেরে পরনের লুঙ্গি তুলে পুরুষাঙ্গ দেখা নোয় এক বৃদ্ধকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    বুধবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো.মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ আদালত পরিচালনা করেন।

    দণ্ডপ্রাপ্ত সিরাজুল ইসলাম (৬৫) উপজেলার পোপাদিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের নুরু মেম্বার বাড়ীর মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।

    আদালত সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল ১০টার দিকে সিরাজুল ইসলাম জায়গা জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে নিজের ভাইয়ের পরিবারের সদস্যদেরকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকেন। এসময় তাকে বাধা দিলে তিনি উপস্থিত শিশু-নারী শিশুসহ সকলের সামনে পরনের লুঙ্গি তুলে পুরুষাঙ্গ দেখান ও মহিলাদের শ্লীলতাহানি করেন।

    এ ব্যাপারে তার ভাইয়ের ছেলে মো. মিন্টু থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ সিরাজুল ইসলামকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোর্পদ করেন। আদালত অভিযোগ আমলে নিলে অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম নিজের অপরাধ স্বীকার করায় আদালত এ দণ্ডাদেশ দিয়েছেন।

    ম্যাজিষ্ট্রেট মো.মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, উপস্থিত সাক্ষ্য প্রমাণ ও অভিযুক্ত আসামী নিজের অপরাধ স্বীকার করায় দণ্ড বিধি ৫০৯ অনুযায়ী এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

  • লুঙ্গি পরে পুলিশের ‘দুঃসাহসী’ অভিযান

    লুঙ্গি পরে পুলিশের ‘দুঃসাহসী’ অভিযান

    বিভিন্ন সময়ে অপরাধীদের ধরতে নানা কৌশল অবলম্বন করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এসব কৌশল তারা সব সময়ই গোপন রাখার চেষ্টা করেন। তবে আলোচিত ঘটনাগুলোর ক্ষেত্রে আসামিদের গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে কিছু ব্যতিক্রমী কৌশল অবলমাবন করেন পুলিশ বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।

    তেমনি একটি আলোচিত ঘটনা ছিল মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি ড. সারওয়ার আলীকে হত্যাচেষ্টা মামলা। এটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি মামলা ছিল। কারণ ঘটনার পরে এটিকে জঙ্গি হামলা হিসেবে প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল। এ মামলার বেশ কয়েকজন আসামি গ্রেপ্তারের পর জানা গেছে আসলে হত্যাচেষ্টার উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন।

    এই ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি তদন্ত শুরু করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।তদন্তের শুরুর পরেই তারা ফরহাদ নামের এক আসামি গ্রেপ্তার করে। কিন্তু এই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী নাজমুলসহ অন্যদের গ্রেপ্তার করা ছিল তাদের বড় চ্যালেঞ্জ।

    সে কারণে নাজমুলকে গ্রেপ্তারের বিশেষ অভিযান চালিয়ে গত বুধবার দুপুরে উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। এ সময় তার অন্য সহযোগী শেখ রনি (২৫),ফয়সাল কবির (২৬) ও মনির হোসেনকে (২০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

    লুঙ্গি পরা পুলিশি অভিযানে অবাক সবাই

    পালতক নাজমুলকে গ্রেপ্তারের পিবিআই উত্তরের ছয় সদস্যদের একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় আসামির অবস্থান শনাক্ত করে যখন তারা আসামির হাতে হ্যান্ডকাপ পড়ায় তখন আসামিসহ উপস্থিত সাধারণ মানুষরা অবাক হয়ে যায়। কারণ ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করতে যাওয়া সবাই ছিলেন লুঙ্গি পরা ব্যক্তি।

    সেই অভিযানে অংশ নেওয়া পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) আলামিন শেখ। তিনি বলেন, ‘আমাদের অভিযানের কৌশল হিসেবে আগে থেকেই লুঙ্গি পরে ওই এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলাম। তাই আসামি তো আমাদের উপস্থিতি টের পায় নাই।’

    তিনি আরও বলেন, ‘এই আসামিকে যখন আমরা গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসি তখন উঁৎসুক অনেক মানুষ আমাদের দেখে নানা ধরনের মন্তব্য করছিলেন।’

    আমার দুঃসাহসী দল-পিবিআই প্রধান বনজ কুমার

    এই ঘটনার পরে পিবিআই প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার তার ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। সেই পোস্টে তিনি ওই অভিযানে অংশ নেওয়া সকল লুঙ্গি পড়া পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের ছবিও দিয়েছেন। ওই ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমার দুঃসাহসী দল। (অভিযান পরবর্তী সময়) মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলীর উত্তরার বাসায় ডাকাতির প্রচেষ্টায় ৭ জনের মধ্যে দলনেতাসহ পাঁচজনকে বাগেরহাট, ত্রিশাল, গাজীপুর ও ঢাকা হতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তারা সকলেই আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ-স্বীকারমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। পিবিআই ঢাকা মেট্রো (উত্তর) দলের অভিযানকারী সদস্য ছিলেন যথাক্রমে (বাঁ থেকে) ইন্সপেক্টর জুয়েল মিয়া, ইন্সপেক্টর তরিকুল ইসলাম, সাব-ইন্সপেক্টর আল আমিন শেখ, ইন্সপেক্টর আশরাফুজ্জামান, সাব-ইন্সপেক্টর ফরিদ উদ্দিন ও ৬.কনস্টেবল সুযন মিয়া।’

    ড. সারওয়ার আলী হত্যাচেষ্টা মামলার আদ্যোপান্ত

    ড. সারওয়ার আলী হত্যাচেষ্টা মামলার পালতক আসামি নাজমুলসহ চারজনকে গ্রেপ্তারের পর পিবিআই প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে কয়েকটি ডায়রি উদ্ধার করা হয়েছে। এতে উগ্রবাদী কোনো লেখা পাওয়া যায়নি। মূলত ক্ষোভ থেকেই এই হামলা করা হয়। কারণ ২০১৭ সালে সারওয়ার আলীর স্ত্রীর গাড়ি চালিয়েছে নাজমুল। তার দাবি, তখন মানুষ হিসেবে প্রাপ্য সঠিক ব্যবহার পায়নি সে। ড্রাইভার হিসেবে চাকরি করাকালীন ডা. সারওয়ার আলীর স্ত্রী ডা. মাখদুমা নার্গিস তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন। এটি মানতে না পেরেই চাকরি ছেড়ে দেয় নাজমুল। চাকরি ছাড়ার পর থেকেই প্রতিশোধ নিতে নানা পরিকল্পনা করে সে।’

    ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার আরও বলেন, ‘মূলত এরপর থেকেই ডা. সারওয়ার আলীর পরিবারকে উচিত শিক্ষা দেয়া ও ভয় দেখিয়ে ডাকাতির পরিকল্পনা করে নাজমুল। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৫ জানুয়ারি রাতে উত্তরা-৭ নম্বর সেক্টরের বাড়িতে ঢুকে ডা. সারওয়ার আলীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যারচেষ্টা চালায় দুর্বৃত্তরা। তবে বাসার লোকজন ও প্রতিবেশীদের তৎপরতায় তিনি এ যাত্রায় প্রাণে রক্ষা পান।পরে এই ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন তিনি।’

    পিবিআইর সূত্রে জানা যায়, আসামি নাজমুল ও ফরহাদসহ আরও কয়েক জন ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ ৪ জানুয়ারি রাজধানীর আশকোনা এলাকায় হজ ক্যাম্পের সামনে একটি হোটেলে নাস্তা করে ও হামলার পরিকল্পনা করে। ৫ জানুয়ারি বিকেল ৫টার দিকে আশকোনা এলাকার হোটেল রোজ ভ্যালির ৩০৩ নম্বর কক্ষে নাজমুলের নেতৃত্বে ওই ৭ দুর্বৃত্ত হামলার চূড়ান্ত পরিকল্পনা করে।

    ঘটনার মূলহোতা নাজমুল বাসার পরিবেশ, কক্ষ, পার্কিং প্লেস ইত্যাদি সম্পর্কে সবাইকে ব্রিফ করে এবং হামলার সময় কার কী ভূমিকা হবে তা বুঝিয়ে দেয়। নাজমুল অন্যদের জানায় যে, ডা. সারোয়ার আলীর বাসায় নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে।

    ঘটনার দিনে গত ৫ জানুয়ারি রাতে ১০টা ২০ মিনিটে ডা. সারওয়ার আলীর উত্তরার বাসায় স্ত্রী ডা. মাখদুমা নার্গিসসহ রাতের খাবার শেষে টিভি দেখছিলেন। এ সময় বাসার তৃতীয় তলায় বসবাসরত তাদের মেয়ে ডা. সায়মা আলীর বাসার দরজায় অজ্ঞাতনামা ২ দুর্বৃত্ত এসে কড়া নাড়ে। সায়মা দরজা খুলতেই ওই দুই দুর্বৃত্ত অতর্কিত ভেতরে সায়মা, তার স্বামী মো. হুমায়ুন কবির ও নাতনি অহনা কবিরের গলায় ছুরি ধরে। এর পর তাদের মধ্যে একজন তার মেয়েকে ছেড়ে দিয়ে চতুর্থ তলায় সারওয়ার আলীর বাসায় কড়া নাড়ে। তিনি দরজা খুলতেই জোর করে ঘরে ঢুকে সারওয়ার আলীকে মেঝেতে ফেলে গলায় ছুরি ধরে। ওই সময় তার স্ত্রী চিৎকার করলে তৃতীয় তলার অপর অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্ত চতুর্থ তলায় আসে। তার স্ত্রীর চিৎকার শুনে দ্বিতীয় তলার ভাড়াটিয়া মেজর (অব) সাহাবুদ্দিন চাকলাদার ও তার ছেলে মোবাশ্বের চাকলাদার ওরফে সজিব চতুর্থ তলায় আসে। সাহাবুদ্দিন চাকলাদার দুর্বৃত্তদের একজনকে জাপটে ধরে এবং তার ছেলে সজিব একটি গ্লাস হাতে নিয়ে অপর দুর্বৃত্তকে লক্ষ্য করে ছুড়ে মারে। দুর্বৃত্তরা এ সময় দ্রুত বাসা থেকে পালিয়ে যায়। তখন পর ডা. সারওয়ার আলীর মেয়ে ৯৯৯-এ ফোন দিলে দ্রুত উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ গিয়ে দুর্বৃত্তদের ফেলে যাওয়া একটি মোবাইল সেট, সাতটি চাপাতি, সিমবিহীন একটি মোবাইল, আইপ্যাড, নাইলনের দড়িসহ বিভিন্ন মাল উদ্ধার করে।