বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার লোকালয়ে আসা হাতির আক্রমণে এ পর্যন্ত তিনজন নিহত হয়েছে। এসব বন্য হাতির আক্রমনে আবাদি জমির ফসলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে উপজেলার কধুরখীল, সৈয়দনগর ও জ্যৈষ্ঠপুরায় এলাকায় হাতির পৃথক আক্রমণের শিকার হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বোয়ালখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ফারুকী।
কধুরখীল ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুল করিম ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, সকালে ৪/৫টি হাতি কধুরখীল তৈয়্যবিয়া তাহেরীয়া সুলতান মোস্তফা কমপ্লেক্সের পূর্বপাশে শরীফ পাড়া এলাকায় শস্যক্ষেতে কাজ করার সময় স্থানীয় আবদুল লতিফ মিস্ত্রির সন্তান আবু তাহের মিস্ত্রি (৬০) হাতি আক্রমণের শিকার হন। ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়েছে। তিনি ৩পুত্র ও ১ কন্যা সন্তানের জনক। নিহতের বাড়ি কধুরখীল শরীফপাড়া আলী আহমদ মিস্ত্রির বাড়ি।
অন্যদিকে পূর্ব সৈয়দনগরে হাতির আক্রমনে মারা গেছেন খরণদ্বীপ বিজান বিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক জাকের হোছাইন (৬৫)। তিনি চরণদ্বীপ ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দনগর জাকের মাস্টারের বাড়ির মৃত আবদুল মোনাফের ছেলে।
নিহতের কন্যা ফাহমিনা আফরোজ তারিন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, সকালে চাঁন্দারহাট জামে মসজিদের পাশে হাতির পাল তাঁর বাবাকে(জাকের মাস্টার) আক্রমন করে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি হওয়াতে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এদিকে হাতির পালটি পাহাড়ের দিকে যাওয়ার পথে শ্রীপুর খরণদ্বীপ ইউনিয়নের আমির পাড়ার আবদুল মাবুদ (৬০) নামে এক কৃষককে আক্রমণ করে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হাছান চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, হাতির আক্রমণে আবদুল মাবুদের মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্থানীয় আলী আহমদের ছেলে। তার ১ছেলে ৩মেয়ে রয়েছে।
এ ব্যাপারে থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ফারুকী ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, তিনজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। হাতিগুলো দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলের আছে জানিয়ে তিনি সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার ভোরে জ্যৈষ্ঠপুরা পাহাড় থেকে লোকালয়ে নেমে আসে বাচ্চাসহ ৯টি হাতি। দিনভর হাতিগুলো পূর্ব কধুরখীল বায়তুল জামে মসজিদের সুপারী বাগানে অবস্থান নেয়।
রবিবার সকালে দুভাগে বিভক্ত হয়ে একদল কধুরখীল -চরণদ্বীপের দিকে যাায়, অন্যদল খরণদ্বীপ হয়ে পাহাড়ের দিকে যায়। এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।