লোহাগাড়া(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় চোরাইকৃত মালামালসহ ৪ চোরকে হাতে নাতে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৪ আগষ্ট) দুপুরে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪ চোরকে আটক করা হয়।
অভিযানে আটককৃতরা হল- উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের উত্তর পদুয়া মনির আহমদ পাড়ার মৃত হাকিম আলীর পুত্র আহম্মদ ছাফা প্রকাশ লালু (৫০), চুনতি ইউনিয়নের সোলতান মৌলভী পাড়ার আবদুল আলিমের পুত্র ইয়াহিয়া(৩২), পদুয়া ইউনিয়নের মাস্টার পাড়ার আবদুস সবুরের পুত্র দেলোয়ার(২৩) ও পদুয়া ইউনিয়নের ঠাকুরদিঘী খন্দকার পাড়ার মৃত আলি আহমদের পুত্র আকতার হোসেন প্রকাশ লেঙ্গা(৪০)।
লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, গত ৫ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চরম্বা নয়া বাজারে আতিয়ার পাড়ার আহমদ হোসেনের পুত্র মোঃ পারভেজের মালিকানাধীন আল-মদীনা ক্লথ ষ্টোর নামক কাপড়ের দোকান ও পার্শ্ববর্তী রহিম সওদাগরের মুদি দোকানে প্রবেশ করে প্রায় ২ লক্ষ ৫৩ হাজার ৫৪৬ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোরের দল। পরবর্তীতে দোকানের সিসি ক্যামরায় রেকর্ডকৃত ভিডিও অনুযায়ী চোরদের শনাক্ত করে পুলিশ। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এসআই অজয় দেব শীলের নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি টিম উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোরাইকৃত মালামালসহ ৪ চোরকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে থানায় চুরির মামলা (লোহাগাড়া থানার মামলা নং-২০, তারিখ-১৪/০৮/২০২০ইং) রুজু করে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : আমার শ্বশুড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, আমি জজ ও আমার বন্ধু-বান্ধব অনেকে ম্যাজিষ্ট্রেট ও জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট। আমাদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়া কুল পাইবেন না। আমি কাউকে পরোয়া করি না। পথ হবে। বেশি বাড়াবাড়ি করিলে আজীবনভর মামলার বোঝা বইতে বইতে কবরে যাইতে হইবে।
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পশ্চিম কলাউজানের হাছন আলী মিয়াজী পাড়ার অসহায় কৃষক মোহাম্মদ আয়ুবের মৌরসী দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় চাষের জমির মাঝখানে জোর পূর্বক চলাচলের পথ নির্মাণসহ ১১ শতক জায়গা জোর পূর্বক জবর-দখল কাজে নেতৃত্ব দেয়া আব্বাস উদ্দিন নামের এক সহকারী জজ ঠিক এমনই দম্ভোক্তি প্রকাশ করার অভিযোগ তুলেছেন ভূক্তভোগী কৃষক মো : আয়ুব।
৮ আগষ্ট (শনিবার) দুপুর ১টায় লোহাগাড়ার বটতলী মোটর ষ্টেশনের একটি রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ তুলেন।
এছাড়াও সহকারী জজ আব্বাস উদ্দিন ছাত্র থাকালীন সময়ে ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক ক্যাডার এবং স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিভিন্ন পদে দায়িত্বশীল হিসেবে কর্মরত থেকে ঢাকার রাজপথে ইসলামী ছাত্র শিবির ও জামায়াতে ইসলামীর প্রতিটি মিছিল-মিটিং ও আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। এসময়ে বাংলাদেশের অস্তিত্বের হুমকি হিসেবে অনেক অপকর্মেও লিপ্ত ছিল বলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো : আয়ুব। এ সময় তাঁর ছোট ভাই নুরুল আবছার ও রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে কৃষক মোহাম্মদ আয়ুব বলেন, দীর্ঘদিন যাবত স্থানীয় জামায়াত নেতা জামাল উদ্দিন ইউসুফের সাথে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। গত ১২ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দীর্ঘদিনের ভোগদলীয় চাষের জন্য প্রস্তুতকৃত জমির মাঝখানে বিনা প্রয়োজনে পথ নির্মাণ করার চেষ্টা চালায় জামায়াত নেতা জামাল উদ্দিন ইউসুফ ও সহকারী জজ আব্বাস উদ্দিনের নেতৃত্বে স্থানীয় ফরিদুল আলম, জোবাইয়ের হোসেন প্রকাশ যুবরাজ আদি, শাহাব উদ্দিন, মো : ফারুক, নাছির উদ্দিন, মো : ইউনুছ ও মহিউদ্দিন মো : ফারুক।
এ ঘটনায় লোহাগাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাযের করলে উপ-পরিদর্শক দুলাল বাড়ৈ ঘটনাস্থলে গিয়ে পথ নির্মাণকাজ না করার নির্দেশ দেন।
একইদিন বিকেল ৩টার দিকে এ নির্দেশ অমান্য করে সাবেক শিবির ক্যাডার আব্বাস উদ্দিনের নেতৃত্বে বিভিন্ন অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে জোরপূর্বক চলাচলের পথ নির্মাণ করেন।
এ সময় বাঁধা দিলে জোবাইয়ের হোসেন প্রকাশ যুবরাজ আদি কোমড় হইতে পিস্তল বের করে, “এক কদম সামনে আগালে বুক ঝাঁঝড়া করে ফেলিব” মর্মে হুমকি দিলে প্রাণের ভয়ে আমি সামনে আগাতে পারি নাই। এ সুযোগে প্রকাশ্যে আমার ভোগদখলীয় চাষের জমির মাঝখানে দৈর্ঘ্য ১২০ ফুট ও প্রস্থ ৩ ফুট রাস্তা নির্মাণ করে ফেলে।
এ ঘটনায় গত ২০ জুলাই অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মিছ মামলা নং- ৫৩২/২০২০ দায়ের করি। ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৫ ধারামতে উভয়পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আদালতের দেয়া আদেশ অমান্য করে গত ২৪ জুলাই বিকেল ৩টায় স্বসস্ত্র সন্ত্রাসী নিয়ে আমার মৌরসী ভোগদখলীয় পশ্চিম কলাউজান মৌজার বিএস ৯০৫ ও ১৪৬৯ নম্বর খতিয়ানের বিএস ৪১৬৩ ও ৪৭১৯ দাগের ১১ শতক জায়গা জবর-দখল করেন।
অভিযুক্তরা সহকারী জজ আব্বাস উদ্দিনের বলে বলিয়ান হয়ে সম্পুর্ন অন্যায়ভাবে জোরপূর্বক আমার চাষের জমির মাঝখানে চলাচলের পথ তৈরির দু:সাহস দেখাইয়াছে। এছাড়াও আব্বাস উদ্দিন নিজেকে একজন সহকারী জজ হিসেবে ক্ষমতা দেখাইয়া সকল অভিযুক্তদের অবৈধ অস্ত্রে-সস্ত্রে সজ্জিত হওয়ার নির্দেশ দিয়ে নিজেই ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থেকে এ রাস্তা নির্মাণের নির্দেশনা প্রদান করেন। এসময় আমি উক্ত সহকারী জজ আব্বাস উদ্দিনের নিকট গিয়ে এহেন জোরপূর্বক জমি দখলে আপনি কেন নেতৃত্ব দিচ্ছেন জানতে চাইলে, তিনি প্রত্যুত্তরে বলেন যে, ” আমার শ্বশুড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, আমি জজ ও আমার বন্ধু-বান্ধব অনেকে ম্যাজিষ্ট্রেট ও জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট। আমাদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়া কুল পাইবেন না। আমি কাউকে পরোয়া করি না। পথ হবে। বেশি বাড়াবাড়ি করিলে আজীবনভর মামলার বোঝা বইতে বইতে কবরে যাইতে হইবে।
কে এই সহকারী জজ আব্বাস উদ্দিন?
আব্বাস উদ্দিন (৩২)। পিতা মোহাম্মাদ আনিস। চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান ইউনিয়নের পশ্চিম কলাউজান ৫ নং ওয়ার্ডের হাছন আলী মিয়াজী পাড়ায় তার বাড়ী। ২০০৩ সালে কলাউজান ডা : এয়াকুব বজলুর রহমান সিকদার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। আব্বাস ছিলেন ২০০১ সালে উক্ত স্কুল শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী এবং ২০০৩ সালে সভাপতি। ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত মনোনীত চারদলীয় জোটের দাঁড়ি পাল্লা প্রতীকের প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরীর পক্ষে খালাসী পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির সচিব ছিলেন। ২০০৫ সালে ঢাকা কর্মাস কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। সে সময় তিনি কমার্স কলেজ শাখা ইসলামী ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারী ও সাথী পর্যায়ের নেতা ছিলেন। ২০০৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। ঢাবি ইসলামী ছাত্র শিবিরের আইন বিভাগ শাখার বিভিন্ন পদে দায়িত্বশীল হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ২০১০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র শিবিরের বায়তুল মাল সম্পাদক হিসেবে মাস্টার্স সম্পন্ন করে ঢাবি থেকে বিদায় নেন। ঢাকায় কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনাকালীন সময়ে ঢাকার রাজপথে ইসলামী ছাত্র শিবির ও জামায়াতে ইসলামীর প্রতিটি মিছিল-মিটিং ও আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। এসময়ে বাংলাদেশের অস্তিত্বের হুমকি হিসেবে অনেক অপকর্মে লিপ্ত ছিল। পরে
২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশ জুড়িসিয়্যাল সার্ভিসে যোগদান করেন। বর্তমানে সহকারী জজ হিসেবে কর্মরত।
সম্প্রতি লন্ডন থেকে প্রশিক্ষণশেষে দেশে ফিরে করোনাকালীন সময়ে বর্তমানে লোহাগাড়ার কলাউজান ইউনিয়নের পশ্চিম কলাউজান হাছন আলী মিয়াজী পাড়াস্থ গ্রামের বাড়ীতে অবস্থান করছেন।
সেই সহকারী জজের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিভিন্ন দপ্তরে : বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের সহকারী জজ পদে কর্মরত থেকেও নিজ গ্রামে এসে ক্ষমতার অপব্যবহার, নিজে উপস্থিত থেকে জোরপূর্বক জায়গা জবর-দখলে নেতৃত্ব দেওয়া ও গ্রামের অসহায় কৃষকদের জজের ভয়-ভীতি দেখানোসহ আরো বিভিন্ন অভিযোগে ছাত্র শিবিরের সাবেক ক্যাডার আব্বাস উদ্দিনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গত ১৫ জুলাই মাননীয় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী, স্বরাষ্ট মন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, মহাপুলিশ পরিদর্শক, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার, অধিনায়ক-RAB-7 সহ সরকারের কয়েকটি সংস্থার কাছে লিখিত অভিযোগ দাযের করা হয়েছে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে কয়েকটি সংস্থা ইতোমধ্যে তদন্তও শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
সহকারী জজের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাই ভূক্তভোগী কৃষকের কোরবানীর পশু জবাই করেনি ইমাম : ঘটনা এখানেই শেষ নয়, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরে সাবেক শিবির ক্যাডার সহকারী জজ আব্বাস উদ্দিনের অপকর্মের বিচার চেয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর বাবা মোহাম্মদ আনিস ও জামায়াত নেতা জামাল উদ্দিন ইউসুফসহ কয়েকজন মিলে গত পবিত্র ঈদুল আজহার কোরবানীর দিনে স্থানীয় মসজিদের ইমামকে অসহায় কৃষক মোহাম্মদ আয়ুবের পরিবারের কোরবানীর গরু জবাই করতে নিষেধ করার অভিযোগ তুলেছেন।
এছাড়াও পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেন এ কৃষক।
লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানায় ভূক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর মধ্যরাতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জায়গা জবর-দখলের অভিযোগ উঠেছে মাহামুদুল হক বাবুল নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
গত রবিবার (২ আগস্ট) দিনগত রাতে উপজেলার উত্তর আধুনগরের বেপারী পাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটে।
এর আগে একইদিন সকালে নিজের মৌরশী ও খরিদা জায়গা জোরপূর্বক দেখলচেষ্টার অভিযোগ এনে ভূক্তভোগী মো: আতিকুর রহমান উত্তর আধুনগরের বেপারী পাড়ার মৃত ইয়ার মোহাম্মদের পুত্র মাহামুদুল হক বাবুলের বিরুদ্ধে লোহাগাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জায়গা-জমি নিযে বিবাদী মাহমুদুল হক বাবুলের সাথে বাদী আতিকুর রহমানের বিরোধ চলে অাসছিল। এরই সূত্র ধরে বিগত কিছুদিন ধরে বাদীর মৌরষী ও খরিদা সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছিল বাবুল। তাই দীর্ঘদিন ভোগদখলীয় জায়গা রক্ষা করতে লোহাগাড়া সহকারী জজ আদালতে মামলা (অপর মামলা নং- ৯৪/২০২০ইং) দায়ের করেন।
এরই প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ লোহাগাড়া সহকারী জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত সহকারী জজ মুহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল উভয় পক্ষের শুনানীশেষে গত ২৯ জুলাই উক্ত জায়গার উপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।
কিন্তু আদালতের এ নিষেধাজ্ঞার আদেশ অমান্য করে প্রতিপক্ষ মাহমুদুল হক বাবুল ৭/৮ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে গত ২ আগষ্ট সকাল ১০টার দিকে জোরপূর্বক ঘেরাবেড়া দিয়ে জায়গা দখলের চেষ্টা করে। এতে বাঁধা দিতে গেলে বিবাদী ৭/৮ জনের সন্ত্রাসী দল নিয়ে বাদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করত: দা, চুরি, লাঠি ও গাছের বাটাম দিয়ে মারধর করতে এগিয়ে আসে।
এদিকে, এ ঘটনার পর পরই ভুক্তভোগী আতিক একইদিন লোহাগাড়া থানায় বাবুলসহ অজ্ঞাত ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাযের করেন।
এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগকারী মো: অাতিকুর রহমান জানান, ঘটনারদিন মাহমুদুল হক বাবুল তার সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে আমাদের প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। আমরা কোনরকমে পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করি। আমি এ ঘটনার পর পরই একইদিন বাবুলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দাযের করি। অভিযোগ পেয়ে লোহাগাড়া থানার এসআই মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিরোধীয় জায়গাতে কোন ধরনের কার্যক্রম না করতে নিষেধ করেন। কিন্তু পুলিশের এ নিষেধ ও আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ওইদিন রাতের আঁধারেই লোকজন নিয়ে আমাদের মৌরষী ও দীর্ঘদিনের ভোগ দখলীয় আমতলী মৌজার আরএস ২৯০ নম্বর খতিয়ানের ১২৮ নম্বর দাগ এবং বিএস ৯৯৮ নম্বর খতিয়ানের ১৮৮ নম্বর দাগের ৩০ শতক জায়গা ঘেরাবেড়া দিয়ে জবর-দখল করে। বর্তমানে প্রতিপক্ষ বাবুলের হুমকি-ধমকিতে আমিসহ পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
ঘটনার বিষয়ে জানতে উত্তর আধুনগর বেপারীপাড়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি অভিযুক্ত মাহমুদুল হক বাবুলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা বিএস খতিয়ানমূলে ১৮শতক জায়গা মসজিদ এবং মুসল্লীদের ব্যবহারের জন্য পেয়েছি। তাই মসজিদ ও কবরস্থানের পবিত্রতা রক্ষার জন্য জায়গাটি কাটাতার দিয়ে ঘেরাও করেছি ।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয় রিজিয়া গং আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞার আদেশ এনেছে বলে একটি কাগজ দেখাচ্ছে। তবে, এ বিষয়ে আমি আদালত থেকে লিখিত কোন নোটিশ পাইনি। নোটিশ পেলে আইনানুগভাবে জবাব দেব।
এ বিষয়ে অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুর রহমান বলেন, আতিকুর রহমানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং উভয় পক্ষকে বিরোধীয় জায়গায় কোন ধরণের কার্যক্রম না করার জন্য নিষেধ করা হয়েছে।
লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ায় সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকের সাথে যাত্রীবাহী সৌদিয়া বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন যাত্রী নিহত এবং অন্তত ১৫ যাত্রী আহত হয়েছে।
৩০ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সকাল পৌনে ৮টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বার আউলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। দোহাজারী হাইওয়ে থানার ওসি ইয়াছিন আরফাত এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চন নগর ইউনিয়নের বাদমতল এলকার বসিন্দা মো : শওকত হোসাইন (২৪) ও ঝালকাঠি জেলার মো : মোস্তাফিজুর রহমান (৩২)।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চট্টগ্রাম অভিমুখী বেপরোয়া গতির সৌদিয়া বাসের সাথে কক্সবাজারগামী সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকটির সংঘর্ষ হয় ঘটনাস্থলে। এসময় সৌদিয়া বাসটি উল্টে গিয়ে বাসের দুইজন যাত্রী নিহত এবং অন্তত ১৫ জন যাত্রী আহত হয় ।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার ওসি ইয়াছিন আরফাত জানান, কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী সৌদিয়া বাসটি চট্টগ্রামে যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীতমুখী ডায়মন্ড সিমেন্ট বোঝাই করা একটি ট্টাকের সঙ্গে ঘটনাস্থলে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে এতে দুইজন যাত্রী নিহত হয় এবং বেশ কয়েকজন আহতনদ হয়।
এদিকে, দুর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাৎক্ষনিকভাবে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়। তাই আহতদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
অন্যদিকে, দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও ট্রাক দুটি আটক করে দোহাজারী হাইওয়ে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক দিয়ে প্রাইভেটকার যোগে ইয়াবা পাচারকালে এক মহিলাসহ দুই মাদক পাচারকারীকে আটক করেছে থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
২৬ জুলাই (রবিবার) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ।
এদিকে, আজ সোমবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের চট্টগ্রাম আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা হল-ভোলা জেলার লালমোহন থানার চট্টলা গ্রামের জালাল আহমদের পুত্র হেলাল উদ্দিন (২৬) এবং ঢাকা বাড্ডা থানার মধ্য বাড্ডা এলাকার ইউসুফের কন্যা নিশাত জাহান নিলা (২৮)।
লোহাগাড়া থানা পুলিশ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় এসআই গোলাম কিবরিয়ার নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি টিম চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ফরেষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে চট্টগ্রাম অভিমুখী একটি প্রাইভেট কারে তল্লাশী চালিয়ে ৪ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুইজনকে আটক করে। উদ্ধারকৃত ইয়াবার মূল্য ১২ লক্ষ টাকা বলে জানানো হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় হাঙ্গর খালে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে মোহাম্মাদ দেলোয়ার নামে এক যুবকের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
২৬ জুলাই (রবিবার) বিকেল ৫ টার দিকে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের উত্তর পদুয়া আকাম উদ্দিন সওদাগর পাড়ায় হাঙ্গরখালে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে তার কাছ থেকে এ জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী জানান, উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের হাঙ্গরখাল থেকে কতিপয় ব্যাক্তি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিল এমন গোপন সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে দেলোয়ার নামে এক যুবকের কাছ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছি।
তিনি আরও জানান, উপজেলার বিভিন্ন খালে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে অনেক ঘর-বাড়ি বিলীন হয়ে যাচ্ছে এবং রাস্তাঘাট ভেঙে যাচ্ছে। আমরা প্রতিনিয়ত অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছি। এ ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না এবং এ অভিযান চলমান থাকবে।
এদিকে, একইদিন কোরবানির পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় সাত জনের কাছ থেকে ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অভিযানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন লোহাগাড়া থানার এসআই নুরুন্নবী, উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার শিশির স্বপন চাকমা, চুনতি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা শরফুদ্দিন খাঁন ও উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির সমির চৌধুরী প্রমুখ।
২৪ ঘণ্টা/এম আর/আজাদ
লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় বিয়ের সাড়ে তিন মাস পর করিম উদ্দিন (২৮) নামে এক সৌদিফেরত যুবক গত তিন দিন ধরে নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। তিনি উপজেলার লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ সুখছড়ি গ্রামের নাজির আলী পাড়ার মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র।
এ ব্যাপারে ২৬ জুলাই (রবিবার) রাতে নিখোঁজ প্রবাসীর স্ত্রী শারমিন আক্তার স্বামী নিখোঁজের ঘটনায় লোহাগাড়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করেছেন। (জিডি নং-১০৮৮, তারিখ- ২৬.০৭.২০২০ ইং)।
করিম উদ্দিনের স্ত্রী শারমিন আক্তার জানান, ভালোবাসার সুত্রে গত ২ এপ্রিল চট্টগ্রাম আদালতের মাধ্যমে আমাদের বিয়ে হয়। এরপর থেকে আমরা লোহাগাড়া উপজেলা সদরের দয়ার পাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছি। বিয়ের আগে কিংবা পরে আমরা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোন সময় মনোমালিন্য, ভূলবুঝাবুঝি কিংবা ঝগড়াঝাটিও হয়নি।
গত ২৪ জুলাই শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের ঘোনা পাড়ায় তাঁর খালাতো বোনের আকদ অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয় করিম। ওইদিন দুপুর ২ টার দিকেও মোবাইল ফোনে তাঁর সাথে কথা হয় আমার। কিন্তু রাত হয়ে গেলেও বাসায় না ফেরায় আমি আবারো আমার স্বামীর মোবাইলে (নং ০১৮৭৩- ৮০৯৩০৬) কল দিলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তখন আমি টেনশনে পড়ে গেলাম। রাতটা কোনভাবে কাটিয়ে পরদিন সকাল থেকে তার সকল আত্নীয়-স্বজনদের কাছে খোঁজ নিলাম এবং বিভিন্ন জায়গায় অনেক খোঁজাখুজি করেও তাঁর সন্ধান পেলাম না। অবশেষে নিরূপায় হয়ে লোহাগাড়া থানা পুলিশের শরণাপন্ন হলাম।
এ ব্যাপারে লোহাগাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম জানান, শারমিন আক্তারের স্বামী করিম উদ্দিন নিখোঁজের ঘটনাটি জেনেছি। এ ব্যাপারে নিখোঁজ ডায়রী নথিভুক্ত করা হয়েছে। তাঁকে উদ্ধারে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানা পুলিশ এবার এক অভিযানেই ১কোটি ৬৫ লাখ টাকা মূল্যের ৫৫ হাজার পিস ইয়াবার চালান উদ্ধার করেছে। এ সময় দুই পেশাদার মাদক পাচারকারীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে। ইয়াবা পাচার কাজে ব্যবহার করা একটি প্রাইভেট কার ও একটি পিক-আপও জব্দ করে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
আজ শূক্রবার (২৪ জুলাই) দুপুর ১২টায় লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংকালে এসব তথ্য জানিয়েছেন সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান মোল্যা।
এসময় ওসি জাকের হোসাইন মাহমুদ, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম ও সদ্য চট্টগ্রাম রেঞ্জের সেরা মাদক উদ্ধারকারী অফিসারের সম্মাননাপ্রাপ্ত উপ-পরিদর্শক গোলাম কিবরিয়া উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানে গ্রেফতারকৃতরা হল- চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা তালুকদার পাড়ার হিন্দু বাড়ীর হারাধন চক্রবর্তীর ছেলে জনি চক্রবর্ত্তী (৩১) এবং কুমিল্লা জেলা সদরের কোতোয়ালী কাপতান বাজার এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে মুহাম্মদ রাসেল (৩৬)।
প্রেস ব্রিফিংকালে সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান মোল্যা জানান, টেকনাফ থেকে একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেট কারযোগে (চট্ট-মেট্টো-গ-১২-৩৭৮৬) ইয়াবার একটি বড় চালান নিয়ে চট্টগ্রাম শহরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহষ্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁর নির্দেশে ওসি জাকের হোসাইন মাহমুদ, পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম ও এসআই গোলাম কিবরিয়ার নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি টিম চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহার দিঘীর পাড় এলাকায় চেকপোষ্ট বসিয়ে প্রাইভেট কারটিতে সিগন্যাল দিয়ে থামানো হয়।
এ সময় তল্লাশি চালানো হলে কারটির চালক জনি চক্রবর্তীর কাছে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। এসময ইয়াবা পাচার কাজে ব্যবহার করা প্রাইভেট কারটি জব্দ করে থানা হেফাজতে নেয়া হয়।
একইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে এসআই গোলাম কিবরিয়ার নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ওই স্থানে চট্টগ্রাম অভিমুখী একটি মিনি ট্রাক (পিক-আপ) গাড়িতে তল্লাশী চালিয়ে চালক মো : রাসেলকে ৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। এসময় পাচারকাজে ব্যবহার করা মিনি ট্রাকটি জব্দ করে থানা হেফাজতে নেয়া হয়। পৃথক দুটি অভিযানে ৫৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুইজনকে গ্রেফতার এবং দুটি গাড়ী জব্দ করা হয়েছে। উদ্ধার করা এসব ইয়াবার অনুমান মূল্য ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। যার প্রতি পিস ৩শ’ টাকা করে।
লোহাগাড়া থানার ওসি জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, করোনায় থেমে নেই ইয়াবা পাচার। প্রতিদিন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক দিয়ে পাচার হচ্ছে ইয়াবার বড় বড় চালান। আমাদের লোহাগাড়া থানা পুলিশের টিম প্রতিদিন মহাসড়কে দুরপাল্লার বাস, প্রাইভেট কার ও মিনি ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে হাজার হাজার ইয়াবার চালান উদ্ধার করছে এবং এসব পাচারকারীকে গ্রেফতার করছে। মাদকের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে, আজ শুক্রবার সকালে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় পৃথক দুটি মামলা রুজু করার পর তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম।
লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় এক অসহায় দিনমজুরের স্ত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দু’যুবককে অভিযুক্ত করে বুধবার দুপুরে ওই দিনমজুরের স্ত্রী লোহাগাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার (২১ জুলাই) রাত ৮টার দিকে উপজেলার আমিরাবাদ সুখছড়ী কামার দিঘী পাড় সংলগ্ন হাফেজ আবুল হোসেন মার্কেটের পেছনে ভাড়া বাসায় এ ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, পটিয়া উপজেলার দিনমজুর নুরুল ইসলাম খোকন স্ত্রী ও ২ সন্তানকে নিয়ে বিগত ৯ মাস ধরে আমিরাবাদ সুখছড়ী কামার দিঘী পাড় সংলগ্ন হাফেজ আবুল হোসেন মার্কেটের পেছনে ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন। খোকন পেশায় একজন ডেকোরেশন শ্রমিক। সে রাত-বিরাতে ডেকোরেশনের কাজ করে দীর্ঘদিন থেকে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে স্বামী বাসায় না থাকার সুযোগ নিয়ে স্থানীয় জয়নুল আবেদীনের ছেলে মনছুর আলম (৩২) ও মৃত সুফি কামালের ছেলে জালাল আহমদ (৩৪) জোরপূর্বক খোকনের বাসায় ঢুকে পড়ে। এসময় খোকনের স্ত্রী ময়না বেগম আসমাকে (২০) ৫শ’ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে তারা জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে।
খোকনের স্ত্রী ময়না বেগম আসমা জানান, এ সময় নিজেকে রক্ষা করতে শোর-চিৎকার শুরু করলে আশ-পাশের দোকানে থাকা লোকজন এগিয়ে আসতে দেখে তারা বাসার পেছনের বাউন্ডারী ওয়াল টপকিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ঘটনার বিষয়ে বুধবার দুপুরে ঘটনার শিকার আসমা লোহাগাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দাযের করেছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঘটনাটির বিষয়ে দায়েরকৃত অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগাড়া থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল হক বলেন, অভিযোগ তদন্তে সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ধর্ষণচেষ্টায় অভিযুক্তদের পেছনের সব দিক আমরা খতিয়ে দেখছি। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, জালাল ও মনছুর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ইয়াবা কারবারি। ইতোপূর্বেও জালাল আহমদ এলাকায় লাকী আক্তার নামের এক মহিলাকে নির্যাতনের অভিযোগে চট্টগ্রাম আদালতে দায়েরকৃত মামলার (সি.আর মামলা নং- ২১০/১৮) ৬ নম্বর এজাহারভূক্ত আসামী।
এছাড়াও বিগত কয়েক বছর আগে এলাকার বিভিন্ন সহজ-সরল নারী-পুরুষের ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে রবি সিম জালিয়াতির দায়ে তারা অভিযুক্ত হয়ে রবি কোম্পানির বিক্রয়কর্মী’র পদ থেকে চাকুরিচ্যুত হয়। এরপর থেকে তারা এলাকায় ইয়াবা ব্যবসা, টাকার বিনিময়ে জায়গা-জমি জবরদখল করে দেয়াসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, ঘটনার শিকার ভুক্তভোগী আসমা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার খবর শুনে জালাল ও মনছুর গা ঢাকা দিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় নারীসহ পাঁচ মাদক বিক্রেতাকে আটক করেছে থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে আনুমানিক ২১ লাখ টাকা মূল্যের সাত হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (২১ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়। আজ বুধবার (২২ জুলাই) দুপুরে তাদেরকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
অভিযানে আটকরা হল- মানিকগঞ্জের বাংলাবাজারের মহেশপুর এলাকার মনামিয়ার ছেলে আলিম (৪৫), সাতকানিয়ার দক্ষিণ ঢেমশা চাঁদের বাড়ি এলাকার রমজান আলীর ছেলে আনিস (২০), ঝালকাঠির রাজারপুর কাটপুট্টি এলাকার মৃত আবদুর রহমানের স্ত্রী আছমা আকতার পাপিয়া (৩৫), লোহাগাড়ার বড়হাতিয়া সিকদার পাড়ার মৃত মনির আহমদের ছেলে নুরুল ইসলাম (৫০) এবং ঝালকাঠি রাজারপুর রুপাতলী এলাকার হাসমত আলীর ছেলে সাকিব (২৪)।
লোহাগাড়া থানার ডিউটি অফিসার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ, পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম ও এসআই গোলাম কিবরিয়ার নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে চুনতি ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসের সামনে চট্টগ্রাম অভিমুখী একটি প্রাইভেট কারে তল্লাশি চালিয়ে সাত হাজার পিস ইয়াবাসহ পাঁচ মাদক বিক্রেতাকে আটক করা হয়।
লোহাগাড়া থানার ওসি জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, মাদক বিক্রেতাদের কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। করোনায় প্রতিদিন আমাদের থানা পুলিশের টিম চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক এবং উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ইয়াবার বড় বড় চালান জব্দ করছে। একইসঙ্গে অনেক মাদক বিক্রেতাকে আটক করতেও সক্ষম হয়েছি। গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটের আনুমানিক মুল্য ২১ লাখ টাকা হতে পারে।
আটকদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মাদ ইসহাক হুকুম দিয়েছেন। তাই বিয়ের নিকাহ রেজিস্ট্রার এন্ড কাজী কিংবা মুহুরীর প্রয়োজনবোধ করেননি। কাবিননামা রেজিষ্ট্রেশন ছাড়াই মাদ্রাসায় ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া নিয়মিত এক ছাত্রীকে বিয়ের পিঁড়িতে বসালেন মসজিদের এক ইমাম।
অবিশ্বাস্য হলেও ২০ জুলাই (সোমবার) বিকেলে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের সোনাইবর পাড়া জামে মসজিদে এ ঘটনাটি ঘটে।
আর স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মাদ ইছহাকের হুকুমে এ বাল্য বিয়েটি পড়ান পার্শ্ববর্তী গৌড়স্থান চৌধুরী পাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা খালেক হোসেন।
মেয়েটির নাম তাসফিয়া আক্তার। সে উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভেল্লাবর বাড়ীর প্রবাসী মোহাম্মাদ আলীর মেয়ে এবং গৌড়স্থান আখতারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণীর নিয়মিত ছাত্রী।
তিনি আরো জানান, ইসহাক মেম্বার আমাকে বলেছেন কোন সমস্যা হবেনা। অনলাইনে নতুন জন্মনিবন্ধনে মেয়ের বয়স ১৮ বছর ৭ মাস করে এনেছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মাদ ইসহাক বলেন, মাদরাসায় জমা দেয়া মেয়েটির জন্মনিবন্ধনে বয়স ১৫/১৬ বছর হবে। তবে, মেয়েটি স্ব-শরীরে বেড়ে যাওয়ায় বিয়ের জন্য ১৮ বছর ৭ মাস করে নতুন জন্মনিবন্ধন অনলাইন করে দিয়েছি।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মিয়ারবর বাড়ীর আবুল হোসেনের ছেলে মো: মিজানের সাথে একই ওয়ার্ডের ভেল্লাবর বাড়ীর প্রবাসী মোহাম্মদ আলীর মেয়ে স্থানীয় মাদ্রাসায় ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া নিয়মিত ছাত্রী তাসফিয়া আক্তারের বিয়ের কথা-বার্তা চূড়ান্ত হয়।
এরই সূত্র ধরে গত ২০ জুলাই (সোমবার) আছর নামাজের পর স্থানীয় সোনাইবর পাড়া জামে মসজিদে বিয়ের আকদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ইতিমধ্যে মেয়ের বয়স কম হওয়া এবং বাল্যবিয়ের বিষয়টি জানতে পেরে পুটিবিলা ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত নিকাহ রেজিস্ট্রার এন্ড কাজী আবদুস সোবাহান এই বাল্যবিয়েটি রেজিস্ট্রেশন করতে অপারগতা প্রকাশ করে আকদ অনুষ্টান বয়কট করেন।
এসময় জরুরী কাজ থাকার অজুহাত দেখিয়ে ওই মসজিদের দীর্ঘদিনের ইমাম মাওলানা নুরুল আলমও আকদ অনুষ্ঠান এড়িয়ে যান। পরে পার্শ্ববর্তী গৌড়স্থান চৌধুরী পাড়া জামে মসজিদের ইমামকে ডেকে এনে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মাদ ইসহাকের হুকুমে এবং উপস্থিতিতে নিকাহ রেজিস্ট্রার কিংবা কাবিননামা ছাড়াই এ বাল্যবিয়ের আকদের আয়োজন সম্পন্ন হয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্থানীয় গৌড়স্থান আখতারুল উলুম দাখিল মাদরাসার শিক্ষক মো : মাহমুদুর রশিদ বলেন, ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী তাসফিয়া আক্তার পড়া-লেখায় মোটামুটি ভালো ছিল। সে নিয়মিত মাদরাসায় ক্লাস করতো । এতো অল্প বয়সে তার বিয়ের খবর শুনে আমি খুবই মর্মাহত। এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানতে চাইলে স্থানীয় পুটিবিলা ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত নিকাহ রেজিস্ট্রার এন্ড কাজী আবদুস সোবাহান বলেন, আমার মহুরীর মাধ্যমে ছাত্রীটির বিয়ের বিষয়ে জানতে পেরে আমি ছাত্রীর পরিবারের সাথে কথা বলেছি। তারা আমার কাছে স্বীকার করেছেন মেয়েটি স্থানীয় গৌড়স্থান আখতারুল উলুম দাখিল মাদরাসার ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী। এছাড়াও আমি জানতে পেরেছি মেয়েটি বয়সে ছোট। তাই আমি দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মেয়েটির বাল্য বিয়ের আকদ অনুষ্ঠান বয়কট করি এবং রেজিষ্ট্রশন করতে অপারগতা প্রকাশ করি। পরে জানতে পারলাম পার্শ্ববর্তী স্থানীয় মসজিদের ইমামকে ডেকে এনে কাবিননামা ছাড়াই মেয়েটির আকদ পড়িয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: তৌছিফ আহমেদ বলেন, বাল্যবিবাহ একটি বড় অপরাধ। এ বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি। তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে, এ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোহাম্মাদ ইলিয়াছ নামের এক ব্যাক্তিকে শনিবার ভোরে আটক করেছে পুলিশ। সে উপজেলার পশ্চিম চুনতি মিরিখীল এলাকার মৃত আজম উল্লাহর ছেলে।
এর আগে গত ১৬ জুলাই বৃহষ্পতিবার দিনগত গভীর রাতে উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের মিরিখিল এলাকায় সস্বস্ত্র ডাকাতির এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ জাহাঙ্গীর আলম ছাড়াও তাঁর ভাই জাহেদুল আলম(৪৮) আহত হয়। জাহাঙ্গীর আলম ও জাহেদুল আলম ওই এলাকার মৃত ছিদ্দিক আহমদের ছেলে। জাহাঙ্গীর আলম উপজেলা সদর বটতলী শহরের রেডিয়াম ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও উপজেলা প্রাইভেট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক এসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ।
মামলার বাদী ব্যবসায়ী মো : জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঘটনারদিন রাত দেড়টার দিকে আমার ভাগিনা ইঞ্জিনিয়ার নেওয়াজ তানভীর, খালাতো ভাই নাঈম উদ্দিন, মো : ইমরান, মো : জুয়েল ও চাচাতো ভাই সালমানসহ ৫জন মিলে আমাদের পারিবারিক পুকুরে বড়শী দিয়ে মাছ ধরছিলেন। এমন সময় দিনগত রাত ৩টার দিকে ১০/১২ জনের মুখোশধারী সংঘবদ্ধ একটি সশস্ত্র ডাকাত দল তাদেরকে পুকুর সংলগ্ন আমার চাচা মনির আহমদের পরিত্যক্ত বাড়ীর একটি কক্ষে নিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা ও ৮টি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। এরপর আমার আরেক চাচা চুনতি ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় সাবেক মেম্বার হোসাইন আহমদের বাড়ির দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আলমিরা থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা, একটি আয়রণ ও ১টি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। পরে আমার বাড়ির গ্রিলের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকার চেষ্টা করলে আমি ও ছোট ভাই জাহেদুল আলমের সাথে ডাকাতদের হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে আমার ডান হাতের কব্জিতে গুলি করে এবং কপালে লোহার রড় দিয়ে আঘাত করে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এতে আমি গুলিবিদ্ধ ও গুরতর আঘাতপ্রাপ্ত হই। এসময় আমার ভাই জাহেদুল আলমও (৪৭) আহত হয়। এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে আমি বাদী হয়ে ১০/১২ জন অজ্ঞাতনামা ডাকাতদের আসামী করে মামলা দায়ের করেছি।
জানতে চাইলে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম জানান, ডাকাতির ঘটনায় মামলা রেকর্ড হওয়ার পর পরই মো : ইলিয়াছ নামের এক ব্যাক্তিকে আটক করেছি। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।