Tag: লোহাগাড়া

  • চট্টগ্রাম জেলার নতুন হটস্পট লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, একদিনে আক্রান্ত ১২ স্বাস্থ্যকর্মী

    চট্টগ্রাম জেলার নতুন হটস্পট লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, একদিনে আক্রান্ত ১২ স্বাস্থ্যকর্মী

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ কর্মরত এক নার্সের স্বামীর প্রথম করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে গত ১ মে।

    এরপর মাত্র ৯ দিনে পুরো লোহাগাড়া উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২১ জনে দাঁড়িয়েছে। 

    আজ ১০ মে রবিবার চট্টগ্রামে করোনা পরীক্ষার ২য় চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয (সিভাসু) ল্যাবে করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে এ উপজেলার আরো ১৪ জন আক্রান্ত হয়েছে।

    এর মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মী আছে ১২ জন। অন্য দুজনের মধ্যে এক জনের বাড়ি উপজেলার চুনতি ও অপরজনের বাড়ি আমিরাবাদ এলাকায়।

    আজ নতুন করে ১২ জন স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে ৭ জন পুরুষ ও ৫ জন নারী। এর আগেও একই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরো দুজন করোনা আক্রান্ত হয়েছে।

    ফলে এ নিয়ে একই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চট্টগ্রামের নতুন হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ হানিফ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

    তিনি জানান, নতুন আক্রান্ত ১২জন স্বাস্থ্যকর্মীকে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আজ নতুন করে এ উপজেলায় আরো ২ জন আক্রান্ত হয়।

    অন্য দুজনের মধ্যে এক জনের বাড়ি উপজেলার চুনতি ও অপরজনের বাড়ি আমিরাবাদ এলাকায়। তাদেরকেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশেন নিয়ে আসার প্রচেষ্টা চলছে।

    এর আগে গত ১ মে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স অনিতা দাশের স্বামী সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সের স্বাস্থ্য পরিদর্শক উৎপল আচর্য্যের নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ আসে।

    উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওই স্বাস্থ্যকর্মীর আগে থেকে শ্বাস কষ্ট (হাঁপানি) ছিল। তা ছাড়া তিনি মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন। গত ৭ মে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নার্স ও এক মেডিকেল টেকনেশিয়ান করোনা আক্রান্ত হয়।

    লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌছিফ আহমেদ বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা যে ভবনগুলোতে বসবাস করেন ওই ভবনগুলো লকডাউন করা হচ্ছে।

    তাছাড়া ওই ভবনগুলোর বাসিন্দাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও এর পাশের লোকজনকে করোনাকালের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • চট্টগ্রামে মৃত এক জনসহ ১৮ জনের করোনা শনাক্ত

    চট্টগ্রামে মৃত এক জনসহ ১৮ জনের করোনা শনাক্ত

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ:::চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইডিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯৮ টি নমুনা পরীক্ষা করে চট্টগ্রামে আরও ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে তবে এর মধ্যে এক জন আগেই মারা গেছেন। 

    আক্রান্তদের মধ্যে নগরীতে ১৪ এবং দুই উপজেলায় ৪ জন রয়েছেন।

    এছাড়া ভিন্ন নোয়াখালী জেলার চাটখিলে এক জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (৭ মে) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা: সেখ ফজলে রাব্বি।

    তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১৯০টি নমুুুুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ১১ জন। এনিয়ে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে ১৫৮ জন।

    বিআইটিআইডির পরীক্ষায় চট্টগ্রামের শহরে আক্রান্তরা হলেন:- দক্ষিণ নালাপাড়া পুরুষ (বয়স ৩৫), শুলকবহর কিশোর (বয়স ১০), কর্নেলহাট পুুুরুষ (বয়স ৫৭) ঈদগাহ বড় পুকুর পাড় গাছতলা এলাকায় দুজন পুরুষ রোগী (বয়স ৩৫ ও ৩১) হালিশহর রামপুরা এলাকায় দুজন পুরুষ (বয়স ৫৫ ও ৩৮), এনায়েত বাজারে দুইজন পুরুষ (বয়স ৬০ ও ২৮), রাহাত্তারপুলে একজন পুরুষ (বয়স ১১), পাঁচলাইশে একজন পুরুষ (বয়স ৪০), আকবরশাহ এলাকায় একজন নারী (বয়স ২৪) এবং কোতোয়ালী এলাকায় একজন নারী (বয়স ৪৪)।

    এছাড়া সাগরিকা ১ জন করোনা শনাক্তের আগেই মারা গেছেন। ৬০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম সগির আহমেদ।

    নগরীর বাইরে জেলার মধ্যে করোনা শনাক্ত লোহাগাড়ায় দুই পুরুষ বয়স (৩৭ ও ৪৫),পদুয়ায় এক নারী এবং সাতকানিয়ায় ৩৮ বছর বয়সী ১ জন।

    চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তদের বারো জন ইতিমধ্যে মারা গেছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৯ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনা : ২৪ ঘণ্টায় ১৬ জন, চট্টগ্রামে ১শ ছাড়িয়েছে আক্রান্ত

    করোনা : ২৪ ঘণ্টায় ১৬ জন, চট্টগ্রামে ১শ ছাড়িয়েছে আক্রান্ত

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ:::চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪৩টি করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

    এরমধ্যে চট্টগ্রাম শহরে ১২ জন এবং জেলায় ৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

    এছাড়া লক্ষ্মীপুরে ৪ নোয়াখালীতে ২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

    চট্টগ্রাম জেলার মধ্যে বাঁশখালীতে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়া রোগীটি একজন পুরুষ(৪৫)। এছাড়া লোহাগাড়া উপজেলায় ২৭ বছর বয়সী একজন পুরুষ, পটিয়া উপজেলায় ৪৫ বছর বয়সী একজন পুরুষ এবং সীতাকুন্ডের বড় কুমিরায় ৩৫ বছর বয়সী একজন পুরুষ করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছেন। পটিয়ায় আক্রান্ত নতুন রোগীটি পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কাগজীপাড়ায় করোনাজয়ী মহিলার দেবর।

    চট্টগ্রাম নগরীর মধ্যে শনাক্ত হওয়া ১২ জনের মধ্যে রয়েছেন দামপাড়া পুলিশ লাইনের ২৫ ও ৩৫ বয়সী দুইজন পুরুষ। এছাড়া উত্তর কাট্টলীতে ৪০ বছর বয়সী একজন পুরুষ, আকবরশাহ থানায় ৫১ বছর বয়সী একজন পুরুষ, দক্ষিণ হালিশহর ৭৫ বছর ও ৩৪ বছর বয়সী দুই নারী, এনায়েত বাজার ২১ ও ৪৭ বছর বয়সী ২ পুরুষ, পাহাড়তলী থানার মৌসুমী আবাসিক এলাকায় ৪২ ও ৩৭ বছর বয়সী দুই পুরুষ করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন।

    চট্টগ্রাম জেলায় শনাক্ত হওয়া বাকি দুজনের একজন ফৌজদারহাটের বিশেষায়িত হাসপাতাল বিআইটিআইডি এবং অন্যজন চট্টগ্রাম সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    লক্ষ্মীপুর জেলার চারজনের মধ্যে রামগঞ্জ ২,রায়পুর ১ এবং কমলনগরে ১ জন।

    নোয়াখালী জেলার ২ জনের মধ্যে কবিরহাট ১ এবং সোনাইমুড়ী ১ জন।

    আজ সোমবার (৪ মে) রাত ১১টা ৬ মিনিটে তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন।

    চট্টগ্রামে এখন করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সর্বমোট ১১০ জনে দাঁড়ালো।

    চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩৯ দিনে চট্টগ্রামে মোট ১০৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

    এছাড়া ঢাকা, কুমিল্লা, কক্সবাজার ও রাজবাড়ীতে করানো শনাক্ত হয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও ফিল্ড হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরো পাঁচ ব্যক্তি।

    চট্টগ্রামে আক্রান্তের মধ্যে নগরের ৭৪ জন, সাতকানিয়ার ১৬ জন, লোহাগাড়ার ২ জন, সীতাকুণ্ডের ৪ জন, বোয়ালখালীর ২ জন, পটিয়ার ৩ জন, আনোয়ারার ১ জন, চন্দনাইশের ২ জন, সন্দ্বীপের ১ জন, রাঙ্গুনিয়ার ১ জন, ফটিকছড়ির ১ জন, বাঁশখালী ১ জন ও মিরসরাইয়ের ২ জন রয়েছেন।

    চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত ৬ বছরের এক শিশু, তিন বয়স্ক পুরুষ ও দুই নারীসহ মোট সাতজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

    এছাড়াও ৬ জন মারা গেছে আইসোলেশনে। তবে মৃত্যুর পর তাদের পাঁচজনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ পাওয়া যায়।

    আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৬১ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ২৪ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/আর এস পি

  • লোহাগাড়ায় আমিনুল ইসলামের পাঠানো ত্রাণ পেল ৮’শ কর্মহীন শ্রমজীবি

    লোহাগাড়ায় আমিনুল ইসলামের পাঠানো ত্রাণ পেল ৮’শ কর্মহীন শ্রমজীবি

    লোহাগাড়া প্রতিনিধি :  প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে নিজ ঘরে আটকে পড়া দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া ও সাতকানিয়ায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলামের নিজস্ব অর্থায়নে ১৮’শ কর্মহীন শ্রমজীবি, খেটে খাওয়া ও হতদরিদ্র মানুষদের ঘরে ঘরে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার (৩ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় লোহাগাড়ায় দ্বিতীয় কিস্তিতে ৪০০জন কর্মহীন শ্রমজীবি মানুষের ঘরে পৌঁছে দিতে স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকের কাছে হস্তান্তার করা হয়েছে।

    আমিনুল ইসলামের পক্ষে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের কাছে এসব ত্রাণ সামগ্রী হস্তান্তর করেন লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী।

    এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লোহাগাড়া প্রেস ক্লাব সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাশেম মিয়া, ফরিদ আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুজিবুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক তৈয়বুল হক বেদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, কোষাধ্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধা হাজ্বী মাহমুদুল হক, শ্রমিকলীগের সভাপতি ফরিদ উদ্দিন ও আমিনুল ইসলামের ব্যক্তিগত সহকারী মিরান হোসেন মিজানসহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।

    এদিকে, গত বুধবার, বৃহষ্পতিবার ও শুক্রবার আমিনুল ইসলামের পক্ষে সাতকানিয়ায় ১ হাজার কর্মহীন শ্রমজীবি মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

    এসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আলহাজ্ব মাষ্টার ফারুখ আহমদ, সাতকানিয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো: নেজাম উদ্দিন, সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক এস.এম আজিজ ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: সেলিম উদ্দিন।

    ইতোপূর্বেও লোহাগাড়ায় প্রথম কিস্তিতে স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে ৪০০ জন কর্মহীন শ্রমজীবি মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানো হয়েছে। বিতরণকৃত এসব খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১কেজি ডাল, ১ কেজি লবন, ১ কেজি পেঁয়াজ ও ১টি সাবান।

    আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম জানান, সাম্প্রতিক কালের প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্ব স্তব্দ হয়ে পড়েছে। এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দুরদর্শিতা ও আগাম পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দেশের আকাশ পথ ও সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় আমার প্রাণপ্রিয় সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় আসা সম্ভব না হলেও টেলিফোনে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে লোকজনের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছি এবং ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার ঘরে আটকে পড়া ১৮’শ কর্মহীন শ্রমজীবি-হতদরিদ্র মানুষের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। এছাড়াও কয়েক দফায় দুই উপজেলায় তিন হাজার মাক্স, সাবান, গ্লাভস ও হ্যন্ড স্যানিটাইজারসহ সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণের ব্যবস্থা করেছি। আশা রাখি এর মাধ্যমে ঘরে আটকে থাকা কর্মহীন হতদরিদ্ররা কিছুটা হলেও খাদ্য সংকট থেকে উত্তোরিত হবে। এছাড়াও প্রিয় সাতকানিয়া-লোহাগাড়াবাসীকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি চলমান সরকারী সাধারণ ছুটিতে আত্মীয়-স্বজনের বাড়ীতে বেড়াতে না গিয়ে, দোকান-পাট, হাট-বাজার ও রাস্তা-ঘাটে অযথা ঘুরাঘুরি না করে এই প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে নিজ ঘরেই অবস্থান করুন এবং মহান আল্লাহর দরবারে বেশী বেশী প্রার্থনা করুন।

  • লোহাগাড়ায় অসহায়দের মাঝে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের ত্রাণ বিতরণ

    লোহাগাড়ায় অসহায়দের মাঝে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের ত্রাণ বিতরণ

    মহামারী করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় কর্মহীন, অসহায়, দিনমজুর ও দরিদ্রদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করলেন ‘চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগে’র নেতৃবৃন্দ। সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তাহেরের ব্যবস্থাপনায় বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) দুপুর ২টা থেকে লোহাগাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

    এইসময় ইউনিয়ন পর্যায়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অসহায়,কর্মহীনদের ঘরে ঘরে গিয়ে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেন।

    ত্রাণ বিতরণকালে সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তাহের বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে এই মহামারী করোনা ভাইরাস আঘাত হেনেছে । পুরো বিশ্বে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৫১ হাজার, আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লক্ষেরও অধিক। আল্লাহর অশেষ রহমতে বাংলাদেশে এই ভাইরাস এখনও তেমন বিস্তার ঘটাতে পারেনি। তবে আমাদের সচেতনতায় পারে এই মহামারী রোধ করতে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহামারী রোধে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সকল ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থাসহ সুরক্ষা সরঞ্জামও প্রেরণ করেছেন। সুতরাং আপনারা এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে নিজ বাড়িতে অবস্থান করুন। সাথে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলুন।

    ত্রাণ বিতরণের সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আকতার হোসেন নাবিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজবাহ উদ্দিন সিকদার সুমন, স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জয়নাল আবেদীন রুবেল, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-সম্পাদক তারেক চৌধুরী, সহ-সম্পাদক মারুফ খান, লোহাগাড়া উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সফিউল আলম জুয়েল,রবিউল ইসলাম রুবেল,ওমর ফারুক মো. সাকিব চৌধুরী অভি, মোস্তফিজুর রহমান কলেজ ছাত্রলীগ নেতা নাঈমুল ইসলাম মুরাদ প্রমুখ

  • সাতকানিয়া- লোহাগাড়ায় ঘরবন্দি দেড় হাজার শ্রমজীবি মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

    সাতকানিয়া- লোহাগাড়ায় ঘরবন্দি দেড় হাজার শ্রমজীবি মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। লোহাগাড়া প্রতিনিধি : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী ঘরে আটকে থাকা দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া উপজেলার দেড় হাজার শ্রমজীবি, খেটে খাওয়া মানুষ, হতদরিদ্র ও নিন্ম আয়ের মানুষদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

    আজ ১ এপ্রিল বুধবার দুপুর ১২টায় সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের বারদোনা গ্রাম থেকে এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ শুরু হয়।

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলামের ব্যক্তিগত আর্থিক সহায়তায় এসব খাদ্য সামগ্রী হতদরিদ্র ও শ্রমজীবি মানুষদের বাড়ী বাড়ী পৌঁছে দিচ্ছেন সাতকানিয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো: নেজাম উদ্দিন, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাষ্টার ফারুক আহমদ, সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক এস.এম আজিজ, স্থানীয় ইউপি সদস্য যুবলীগ নেতা মো: সেলিম উদ্দিন ও যুবলীগ নেতা জাবেদুর রশীদসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

    এদিকে, লোহাগাড়া উপজেলায় আমিনুল ইসলামের পক্ষে ঘরে আটকে থাকা হতদরিদ্র ও শ্রমজীবিদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন আমিনুল ইসলামের ব্যক্তিগত সহকারী আওয়ামী লীগ নেতা মিরান হোসেন মিজান, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক তৈয়বুল হক বেদার, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রিহান পারভেজ চৌধুরী, জেলা ছাত্রলীগের আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক রানা বড়ুয়াসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।

    ২৪ঘণ্টা/

  • লোহাগাড়ায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

    লোহাগাড়ায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

    চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় মাইক্রোবাসের (হাইচ) সাথে সংঘর্ষে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন এবং অপরজন আহত হয়েছেন।

    শনিবার (১১ জানুয়ারী) রাত সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মোস্তাফিজুর রহমান ডিগ্রী কলেজ এর সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা হলেন-উপজেলার আধুনগরের ছেদিরপুনি পাড়ার লিটন বড়ুয়ার পুত্র বিশাল বড়ুয়া (১৮) ও স্বপন বড়ুয়ার পুত্র উত্তম বড়ুয়া (২৪)। নিহতদের মধ্যে উত্তম মোটর সাইকেল মেকানিক ও বিশাল গ্রিল ওয়ার্কশপ কর্মচারী।

    দোহাজারী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত দুজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, নিহতরা উপজেলা সদরের বটতলী এলাকা থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে উক্ত স্থানে চট্টগ্রাম অভিমূখী মাইক্রোবাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

    এদিকে দোহাজারী হাইওয়ে পুলিশ উপজেলার বারআউলিয়া কলেজের সামনে থেকে মাইক্রোবাসটি আটক করেছে।

  • সেই হাতিটি মারা গেছে

    সেই হাতিটি মারা গেছে

    চট্টগ্রামের লোহাগড়ার চুনতিতে কাদা মাটিতে আটকে পড়া হাতিটি পায়ে জখম নিয়ে পালের সাথে আর চলতে পারছিল না বয়সের ভারে, কাদাপানিতে ঠাঁই নেওয়ার দুইদিন পর বৃদ্ধ হাতিটি মারা গেল।

    রোববার (১০ নভেম্বর) সকালে ট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতি ইউনিয়নের নারিশ্চা চাকমা জোন এলাকায় মাদি হাতিটি মারা যায়।

    হাতিটির মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে সেখানেই মাটিচাপা দেওয়া হবে জানিয়েছেন বাঁশখালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌছিফ আহমেদ।

    তিনি বলেন, “আজ সকালে হাতিটি মারা গেছে। এটির ‘গ্যাংগ্রিন’ (পচনশীল ঘা) আঘাত ছিল। অনেকদিন ধরেই এটি অসুস্থ ছিল।”

    ৮ নভেম্বর (শুক্রবার) চুনতির নারিশ্চা গ্রামের চাকমার জোন এলাকায় হাতিটি কাদায় আটকে পড়ে। পরে শনিবার সকালে সেটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।

    বন্য প্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের চুনতি কার্যালয়ের রেঞ্জ কর্মকর্তা মনজুরুল আলম বলেন, হাতিটির বয়স প্রায় ৭০ বছর। এর পেছনের বাম পায়ে গ্যাংগ্রিন ছিল।

    “পায়ে আঘাতের কারণে এটি আগে থেকেই স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারত না। লার্জ এনিম্যালের আচরণ হল এরা মৃত্যুর সময় পানির কাছাকাছি আশ্রয় নেয়। একটি হাতির জন্য পানি খুবই প্রয়োজনীয়। হাতিটি আর চলতে না পেরে পানি আছে এরকম একটি জায়গায় অবস্থান নিয়েছিল।”

    গত শুক্রবার নারিশ্চা চাকমা জোন এলাকায় হাতিটিকে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা জনপ্রতিনিধিদের খবর দেয়। জনপ্রতিনিধিরা স্থানীয় প্রশাসন ও বন বিভাগকে জানান।

    বন্য প্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, বন বিভাগের চুনতি ও পদুয়া রেঞ্জ এবং ডুলহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের চিকিৎসক দল শনিবার সেখানে পৌঁছে।

    মনজুরুল আলম বলেন, “গতকাল আমরা হাতিটি সরিয়ে শেডের নিচে নিয়ে আসি। খড়কুটো বিছিয়ে সেটিকে রাখি। চিকিৎসা দেওয়া হয়, খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়।

    “সম্ভবত বয়সের কারণে এবং পায়ের আঘাতের কারণে ঠিকমত খেতে না পারায় এটি মারা গেছে। পোস্ট মর্টেম করা হচ্ছে।”

    শুক্রবার রাত পর্যন্ত পাশের পাহাড়ে হাতির পাল ছিল জানিয়ে মনজুরুল আলম বলেন, চুনতি অভায়রণ্য ও আশপাশের পাহাড়ি এলাকায় কয়েকটি হাতির পাল আছে। যাতে আনুমানিক ৫০টির মতো হাতি আছে। এসব পালে আরও কয়েকটি পঞ্চাশোর্ধ বয়সী হাতি আছে।

  • লোহাগাড়ায় বাড়ির পাশের পুকুরে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

    লোহাগাড়ায় বাড়ির পাশের পুকুরে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

    চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় খেলতে খেলতে পুকুরে পড়ে ডুবে গিয়ে মর্মান্তিকভাবে দুই ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

    আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের ৮নং সুখছডড়ি ওয়ার্ড এর হাঁচির পাড়ায় পুকুরে ডুবে মর্মান্তিক এ মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে।

    নিহতরা হলেন, উপজেলার হাঁচির পাড়ার ইউপি সদস্য আব্দুল খালেকের ছোট ভাই আব্দুল গফুর সওদাগরের ছেলে মোহাম্মদ জিহাদ (৭) ও আব্দুল্লাহ আল তাওহিদ (৪) ।

    স্থানীয়রা জানায়, জিহাদ ও তাওহিদ দুই মিলে আপন মনে খেলা করছিলো। এক পর্যায়ে দুজন হারিয়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা মিলে অনেক খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির পাশে পুকুরে দু’জনকে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায়।

    নিহত শিশুদের চাচা আব্দুল মালেক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে আমার দুই ভাতিজাকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে উপজেলার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, আমার ভাই গফুর স্থানীয় একটি কাঁচাবাজারে গফুর ট্রেডার্স নামক একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। এক মেয়ে ও ২ সন্তানের মধ্যে ২ সন্তানকে হারিয়ে সে এখন দিশেহারা। তাকে সান্তনা দেওয়ারও ভাষা জানা নেই।

    এদিকে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর আকস্মিক মৃত্যুতে পুরো এলাকা জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।