Tag: শফিউল আলম

  • সাবেক কাউন্সিলর শফি জামিনে মুক্ত

    সাবেক কাউন্সিলর শফি জামিনে মুক্ত

    ২৪ ঘণ্টা ডেস্ক : জামিনে মুক্ত হলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ৩৭ নং উত্তর-মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শফিউল আলম। দীর্ঘ ২ মাস কারাভোগের পর সম্প্রতি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।

    আজ শনিবার (১৭ অক্টোবর) সাবেক কাউন্সিলর শফিউল আলম নিজেই ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজকে তথ্যটি নিশ্চিত করেন। কারাগার থেকে মুক্তির পর তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজকে তিনি বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করা হয়েছে।

    কারাভোগের সময় যারা খোঁজখবর নিয়েছেন তাদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং দুঃসময়ে তার পাশে থাকার জন্য এলাকাবাসীকে ধন্যবাদ জানান।

    জানা যায়, চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি কামাল নামে এক যুবলীগ নেতা বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করেন। এতে আসামি করা হয় চসিকের সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউল আলমকে। মামলার পরপরই শফি উচ্চ আদালত থেকে অন্তবর্তীকালীন জামিনে ছিলেন।

    জামিনের মেয়াদ শেষে গত ১ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত তারিখে হাজিরা দিতে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে শফিউল আলমকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

    দীর্ঘ ২ মাস কারাভোগের পর তিনি আবারো জমিনপ্রাপ্ত হয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান।

    জানা যায়, শফিউল আলম কাউন্সিলর থাকাকালীন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের দীর্ঘ ৪ বছর অর্থ ও সংস্থাপন সম্পর্কীত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন।

    এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, শফিউল আল কাউন্সিলর পদে থাকাকালে ৩৭ নং উত্তর-মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডের অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়। বিশেষ করে মাদক ও সমাজবিরোধী কর্মকান্ড তিনি কঠোর হস্তে দমন করেছেন। এ ব্যাপারে এলাকায় তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন।

    শফিউল আলম কুমিরাস্থ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের বোর্ড অব ট্রাস্টির অতিরিক্ত পরিচালক পদে দায়িত্বরত আছেন বলে জানা গেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/

  • সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিবের স্ট্যাটাস ভাইরাল

    সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিবের স্ট্যাটাস ভাইরাল

    প্রশাসনের সহকর্মীদের ফোন না ধরার বিষয়ে আবেগী হয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। তিনি বর্তমানে তিন বছরের চুক্তিতে নিউইয়র্কে বিশ্বব্যাংকের ‘বিকল্প নির্বাহী পরিচালক’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

    বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালের দিকে তিনি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘সহকর্মীদের সাথে দূরবাস হতে কথা বলতে গিয়ে বুঝলাম তাদের বেশিরভাগই অপরিচিত কল ধরেন না, মেসেজ পড়ে দেখেন না বা উত্তর দেন না। আমরা কি এ সংস্কৃতি হতে বের হতে পারি না?’

    পরে তিনি স্ট্যাটাসটি সামান্য সংশোধন করে ‘দূরবাস’ শব্দটিকে ‘প্রবাস’ করে দেন।

    এরপরই তার এই স্ট্যাটাসটি নিয়ে প্রশাসন ও সাংবাদিক মহলে আলোচনার শুরু হয়। অনেকেই তার স্ট্যাটাসটি শেয়ার করেছেন, কেউ কেউ কপি করে নিজের ওয়ালে পোস্ট করেছেন। অনেকেই মন্তব্য করেছেন। বেশিরভাগই তার বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। আবার কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন তিনিও মন্ত্রিপরিষদ সচিব থাকার সময় ফোন ধরেননি। সাবেক ও বর্তমান ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও কমেন্ট করেছেন সেখানে।
    বুধবার সন্ধ্যার পর ‘ফোন না ধরার সংস্কৃতি’ শিরোনামে আরেকটি স্ট্যাটাস দেন তিনি। এখানে মূলত তিনি আগের স্ট্যাটাসের বিষয়টি আরও বিস্তৃতভাবে তুলে ধরেন।

    সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলমের ফেসবুক স্ট্যাটাস

    শফিউল আলম সেখানে লেখেন, ‘আমার একটি পোস্টে কিছু নেতিবাচক কথা লিখেছিলাম। তার একটু ব্যাখ্যা দিচ্ছি। বিদেশ হতে সময়ের ব্যবধানের কারণে ফোন করা খুবই কঠিন। সময় বুঝে হিসাব কিতাব করে ফোন করতে হয়। যখন সেই ফোনটি দেশে যায় তখন তা রূপান্তরিত হয়ে টেলিটক নাম্বার হয়ে যায়। ফলে ফোন গ্রাহক বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন, তাই ধরেন না। তারপরও ব্যতিক্রম যে নেই তা নয়। উদাহরণ- আমি গতকাল রাত ১২.১৪টায় অর্থসচিবকে ভয়ে ভয়ে একটি মেসেজ পাঠালাম। আমি অবাক তিনি সাথে সাথে তার উত্তর দিলেন দেখে। কারণ অত রাতে কেউ জেগে থাকার কথা না।’

    ‘দেশে থাকতে আমরা সহকর্মীদের মাঝে এই এটিকেট-টি চালু করার চেষ্টা করেছি, পরিচিত অপরিচিত সবার ফোন ধরার। না পারলে মেসেজ দেয়া, তাও না পারলে পরে কলব্যাক করা। এই নিয়ম মানতে গিয়ে কত বিপদে পড়েছি তার শেষ নেই। তবুও তা অব্যাহত রেখেছি এ পর্যন্ত। তবে আমার অভিজ্ঞতা এবং ধারণা আমাদের জেলাপ্রশাসকগণ এই ক্ষেত্রে ইতিবাচক নজির রেখে যাচ্ছেন।’

    তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমার বন্ধুদের কেউ কেউ অনুযোগ করেছেন আমিও দেশে থাকতে একই কাজ করেছি। অর্থাৎ অনেকের ফোন ধরিনি। এ রকমটি হয়ে থাকলে আমি তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমি জেনেশুনে এ কাজটি কখনও করিনি। তবে ভিভিআইপি পরিবেশে বা মন্ত্রিসভা চলাকালে ধরার সুযোগ ছিল না। আবার প্রচণ্ড চাপের সময়ে ধরতে না পারলেও মেসেজ দেয়ার চেষ্টা করতাম বা পরে ব্যাক করতাম।’

    ‘মন্ত্রিসভার সদস্য বা ব্যস্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে কথা উঠেছে। আমি তাদের মাঝে responsiveness অনেক বেশি দেখেছি। উদাহরণ হিসেবে সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিত স্যারের কথা বলতে পারি। তিনি এক্ষেত্রে role model.’

    শফিউল আলম স্ট্যাটাসে আরও লিখেছেন, ‘উল্লেখ্য, উন্নত বিশ্বে ফোন না ধরাটা রীতিমতো অভদ্রতা। কোনো কোনো দেশে তা অপরাধও বটে।’

    ‘আসুন আমরা সবাই জনবান্ধব হই, সেবাপ্রার্থীদের ব্যথা বোঝার চেষ্টা করি, তাদের ডাকে সাড়া দেই- অত্যন্ত প্রতিকূল পরিবেশ না হলে পরিচিত অপরিচিত সবার ফোন ধরি’।

    https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=10222283228416533&id=1440703905

     

  • শফিউল আলম বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক হচ্ছেন

    শফিউল আলম বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক হচ্ছেন

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বিশ্বব্যাংকের ওয়াশিংটনের প্রধান কার্যালয়ে বিকল্প নির্বাহী পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

    রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

    রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার উপসচিব মো. অলিউর রহমান স্বাক্ষরিত​প্রজ্ঞাপনের উল্লেখ করা হয়, মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত কর্মকর্তা জনাব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সঙ্গে সরকারের সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদে তাঁর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ২৯ অক্টোবর থেকে বাতিলপূর্বক আগামী ১ নভেম্বর ২০১৯ অথবা যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী ৩ বছর মেয়াদে তাঁকে বিশ্বব্যাংকের ওয়াশিংটনস্থ প্রধান কার্যালয়ে ‘বিকল্প নির্বাহী পরিচালক পদে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এর পদমর্যাদায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো।

    এদিকে একই দিন আরেক প্রজ্ঞাপনেমন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

    মোহাম্মদ শফিউল আলম ১৯৫৯ সালে কক্সবাজার জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৯৮১ সালে ইংরেজিতে এমএ এবং ১৯৯০ সালে এলএলবি ডিগ্রি এবং পরবর্তীতে যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উন্নয়ন প্রশাসন বিষয়ে এমএসএস ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ১৯৮২ নিয়মিত ব্যাচের একজন সদস্য।

    গত ৩৫ বছর ধরে মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন শফিউল আলম।

    তিনি মাগুরা ও ময়মনসিংহ জেলার জেলা প্রশাসক, বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের এবং বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব, ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।