Tag: শফিকুল ইসলাম

  • টিটিই শফিকুল নির্দোষ : তদন্ত কমিটি

    টিটিই শফিকুল নির্দোষ : তদন্ত কমিটি

    রেলমন্ত্রীর তিন আত্মীয়কে বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণের দায়ে জরিমানা করা টিটিই শফিকুল ইসলামের বরখাস্তের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি। প্রতিবেদনে টিটিইকে সম্পূর্ণ নির্দোষ বলা হয়েছে।

    সোমবার (১৬ মে) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে নিজ কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা নেন‌ পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহিদুল ইসলাম।

    এর আগে গত ৭ মে ঘটনার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এতে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা (এটিও) সাজেদুল ইসলামকে প্রধান এবং সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (এইএন) শিপন আলী ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সহকারী কমান্ডেন্ট (এসিআরএনবি) আবু হেনা মোস্তফা কামালকে সদস্য করা হয়।

    দুই কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও পরে আরও তিন দিন সময় বাড়ানো হয়। বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন দাখিল করার দিন ধার্য করা থাকলেও ডিআরএম ঢাকায় থাকায় এবং সরকারি ছুটি থাকায় তিন দিন পর আজ এই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হলো।

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার (০৬ মে) রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে বিনা টিকেটে রেল ভ্রমণ করায় তিন যাত্রীকে জরিমানা করায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয় খুলনা থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলামকে।

    এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর গত ৮ মে দুপুরে নিজ ক্ষমতাবলে টিটিই শফিকুল ইসলামের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে তাকে স্বপদে বহাল করেন পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক শাহিদুল ইসলাম। একইসঙ্গে তিনি বরখাস্তকারী পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনকে শোকজ করেন।

  • টিটিই শফিকুল অবশেষে কাজ শুরু করেছেন

    টিটিই শফিকুল অবশেষে কাজ শুরু করেছেন

    অবশেষে দায়িত্ব ফিরে পেলেন রেলমন্ত্রীর তিন আত্মীয়কে বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণের দায়ে জরিমানা আদায়ের জন্য বরখাস্ত হওয়া সেই আলোচিত পাবনার ঈশ্বরদী স্টেশনের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলাম।

    বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের দুই দিন পর মঙ্গলবার (১০ মে) বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে খুলনা থেকে চিলাহাটিগামী আন্তঃনগর ট্রেন রূপসা এক্সপ্রেসের টিটিই হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন।

    আজ বেলা ১১টায় ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশনের টিটিই হেডকোয়ার্টারের নিজ কার্যালয়ে উপস্থিত হন তিনি। পরে স্টেশনমাস্টার তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিলে তিনি পালন শুরু করেন। গত রোববার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার হলেও দুদিন চেকিংয়ের দায়িত্ব পাননি।‌

    অনুভূতি প্রকাশ করে শফিকুল বলেন, রেলমন্ত্রী মহোদয় স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞ যে আমার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে তিনি প্রথম অবদান রেখেছেন। আমি দায়িত্ব পালনের শুরুতেই রেলমন্ত্রী স্যার ও আমাদের ডিআরএম স্যারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আমি সাংবাদিক ভাইদের প্রতিও চিরকৃতজ্ঞ।

    রোববার (৮ মে) দুপুরে দেশব্যাপী আলোচিত-সমালোচিত এ ঘটনায় তদন্ত কমিটির কার্যক্রমের শুরুতেই টিটিই শফিকুল ইসলামের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়। এদিন নিজ ক্ষমতাবলে টিটিইর বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে তাকে স্বপদে বহাল করেন পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক শাহিদুল ইসলাম। একই সঙ্গে তিনি বরখাস্তকারী পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনকে শোকজ করেন। তাকে আগামী সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

    শনিবার (৭ মে) ঘটনার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। শুক্রবার (৬ মে) রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে বিনা টিকিটে রেল ভ্রমণ করায় তিন যাত্রীকে জরিমানা করায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয় খুলনা থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলামকে।

    তার আগে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে খুলনা থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে বিনা টিকিটে এসি রুমে ওঠেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের আত্মীয় পরিচয়ে তিন যাত্রী। মাঝপথে তাদের বিনা টিকিটে রেলভ্রমণের দায়ে জরিমানা করে সাময়িক বরখাস্ত হন ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলাম। এ নিয়ে গণামাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি হয়।

  • বড়দিন-থার্টি ফার্স্ট নাইটে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে,ডিজে পার্টি করা যাবেনা

    বড়দিন-থার্টি ফার্স্ট নাইটে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে,ডিজে পার্টি করা যাবেনা

    বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষ থার্টি ফার্স্ট নাইটকে ঘিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

    সোমবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে ‘বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট-২০২০ উদযাপন’ উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্তে এক সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

    সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠান সীমিত আকারে পালন করা হচ্ছে। প্রচুর লোক কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ায় লন্ডনে গ্রেড-৪ লকডাউন চলছে। তাই বাংলাদেশেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল প্রকার অনুষ্ঠান সীমিত আকারে পালিত হচ্ছে।

    তিনি বলেন, বড়দিন উপলক্ষে চার্চে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদান করা হবে। পাশাপাশি খ্রিস্টান অধ্যুষিত এলাকা ও প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত নজরদারি ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। চার্চগুলোতে এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন সময়ে একাধিক প্রার্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে ভালো হবে।

    থার্টি ফার্স্টের নিরাপত্তার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, উন্মুক্তস্থানে লোকসমাগম ও কোনো পার্টি করতে দেয়া হবে না। হোটেলে ডিজে পার্টির নামে কোনো স্পেস বা কক্ষ ভাড়া দেয়া যাবে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে হোটেলগুলোতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করতে পারবে। তবে কোনো ক্রমেই ডিজে পার্টি করতে দেয়া হবে না। হোটেলগুলোতে অনুষ্ঠানের কারণে রাস্তায় যেন অতিরিক্ত যানজট না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থার্টি ফার্স্ট নাইটের অনুষ্ঠান করা যাবে না।

    কমিশনার আরও বলেন, থার্টি ফার্স্টে সন্ধ্যা থেকে বারগুলো বন্ধ থাকবে। সামাজিক দূরত্ব ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলা রাখা যাবে। তবে যথারীতি রাত ৮টার পর সকল ফার্স্টফুড দোকানসহ মার্কেট বন্ধ থাকবে।

    সমন্বয় সভায় গৃহীত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে- প্রতিটি চার্চে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে ঢুকতে দেয়া হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশি করা হবে। অনুষ্ঠানস্থল ডগস্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার টেন্ডার ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। থাকবে চার্চ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎব্যবস্থা। চার্চ এলাকায় কোনো ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেয়া হবে না। কোনো প্রকার ব্যাগ, পোটলা, বাক্স, কার্টন ইত্যাদি নিয়ে চার্চে আসা যাবে না।

    এছাড়াও প্রতিটি অনুষ্ঠানস্থলের প্রবেশপথে সাবান-পানি দিয়ে হাতধোয়া ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা, থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা, জীবাণুনাশক অটোস্প্রে মেশিন অথবা টানেল বসানোর ব্যবস্থা করতে হবে। চার্চের ফাদার ও দায়িত্বরত ব্যক্তিবর্গসহ ভক্ত-দর্শনার্থীদের মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক। সর্বক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করাসহ অসুস্থ, বয়স্ক ও শিশুদের অনুষ্ঠানে আসতে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি অনুষ্ঠানস্থলে একমুখী চলাচল নিশ্চিত করতে হবে।

    সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

  • উপমন্ত্রীসহ ৬ এমপি একসঙ্গে করোনা আক্রান্ত

    উপমন্ত্রীসহ ৬ এমপি একসঙ্গে করোনা আক্রান্ত

    করোনা (কোভিড-১৯) পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নানা আয়োজনের মাধ্যমে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন আজ শুরু হচ্ছে। তার আগে আরও ছয়জন সংসদ সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার (৭ নভেম্বর) তাদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ এসেছে।

    এদের মধ্যে একজন এমপি দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া একজন উপমন্ত্রী ও একজন সদ্য শপথ নেয়া সংসদ সদস্যও রয়েছেন।

    করোনা আক্রান্ত এমপিরা হলেন- সংরক্ষিত নারী আসনের নাদিরা ইয়াসমিন জলি ও তাহমিনা বেগম; নাটোর-২ (নাটোর সদর উপজেলা ও নলডাঙ্গা উপজেলা) আসনের শফিকুল ইসলাম, পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের নুরুজ্জামান বিশ্বাস, নওগাঁ-২ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুজ্জামান সরকার এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার।

    সংসদ ক্লিনিকের কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করার পর সংশ্লিষ্ট একাধিক সংসদ সদস্য করোনা আক্রান্তের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

    দেশের প্রথম করোনা আক্রান্ত সংসদ সদস্য ছিলেন আওয়ামী লীগের শহিদুজ্জামান সরকার। গত ৩০ এপ্রিল তার করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরদিন ১ মে তাকে জানিয়ে দেয়া হয়, তিনি করোনা পজিটিভ। ১৬ মে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এবার তিনি দ্বিতীয়বারের মতো আক্রান্ত হলেন।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদ সদস্য শহিদুজ্জামান সরকার বলেন, ‘সত্যিই হতাশাজনক। দেশবাসীর কাছে আমি দোয়া চাই। যেন আগের মতো আবার সুস্থ হয়ে উঠি।’

    অন্যদিকে করোনা আক্রান্ত আওয়ামী লীগের নুরুজ্জামান বিশ্বাস ৭ অক্টোবর এমপি হিসেবে শপথ নেন। এবারই তিনি প্রথমবারের মতো সংসদে যোগ দেন।

    এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার শরীরে কোনো উপসর্গ নেই। তবুও করোনা পজিটিভ এসেছে। আমি সংসদ থেকে এ-সংক্রান্ত মেসেজ পাওয়ার পরই আইসোলেশনে আছি।’

    জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন বসছে আগামীকাল রোববার (৮ নভেম্বর)। সন্ধ্যা ৬টায় সংসদের বৈঠক শুরু হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সংসদের দশম অধিবেশনটি বিশেষ অধিবেশন হিসেবে বসছে।

    বিশেষ অধিবেশন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংসদে ভাষণ দেবেন। এজন্য সংসদ ভবন এলাকা সাজানো হয়েছে নতুন সাজে।

    বরাবরের মতো এবারও করোনা পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অধিবেশন চলবে। অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনা ছাড়াও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হওয়ার কথা রয়েছে।

    অধিবেশনের প্রথম দিন শোক প্রস্তাব ও অধ্যাদেশ উত্থাপন করা হবে। পরদিন ৯ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টায় বিশেষ অধিবেশনের কার্যক্রম শুরু হবে। ওইদিন অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেবেন।

    বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য ও কর্মময় রাজনৈতিক জীবন নিয়ে রাষ্ট্রপতির স্মারক বক্তৃতার পর তা নিয়ে আলোচনার জন্য একটি সাধারণ প্রস্তাব আনা হবে। ওই প্রস্তাবের ওপর সরকার ও বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যদের আলোচনা শেষে তা পাস হবে।

    এ অধিবেশন উপলক্ষে সাংবাদিকসহ সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষা চলছে।

    করোনাকালীন বিগত তিনটি অধিবেশনের মতো আগামী অধিবেশনেও সংসদ সদস্যরা রোস্টারভিত্তিতে অংশ নেবেন। রাষ্ট্রপতির স্মারক বক্তৃতার দিন ৯ নভেম্বর করোনা নেগেটিভ সব সংসদ সদস্য অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন।

    এদিন প্রধান বিচারপতি, তিন বাহিনীর প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা, বিদেশি কূটনীতিক, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সমাজের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা সংসদ গ্যালারিতে উপস্থিত থাকবেন।

    এই অধিবেশনে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিল ২০২০’ পাসের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গত ১৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি সংশোধিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ জারি করেন। এর আগে ১২ অক্টোবর অধ্যাদেশটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পায়।

    সংশ্লিষ্টরা জানান, সংসদে ১১টি বিল পাস ও উত্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে। এর মধ্যে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিল ২০২০’ ছাড়াও ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) বিল ২০২০’ রয়েছে।

    গত ৩০ আগস্ট মন্ত্রিসভার বৈঠকে ওই বিলটির খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। ইয়াবার উৎপাদন, পরিবহন, বিপণনের জন্য সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে ২০১৮ সালের অক্টোবরে জাতীয় সংসদে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিল ২০১৮’ পাস হয়। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর থেকে আইনটি কার্যকর করা হয়।

    মুজিববর্ষ উপলক্ষে গত ২২ মার্চ সংসদের বিশেষ অধিবেশন (সপ্তম অধিবেশন) আহ্বান করা হলেও দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় তা স্থগিত করেন রাষ্ট্রপতি।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম