Tag: শবে বরাত

  • শবে বরাত ২৫ ফেব্রুয়ারি

    শবে বরাত ২৫ ফেব্রুয়ারি

    বাংলাদেশে এ বছর শবে বরাত পালিত হবে ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে।

    রোববার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।

    কমিটির বৈঠক শেষে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু. আ. আউয়াল হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, “রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে শাবান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। এমতাবস্থায়, ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে শাবান মাস গণনা শুরু হবে। ১৪ শাবান, ২৫ ফেব্রুয়ারি রোববার দিবাগত রাতে শবে বরাত পালিত হবে।”

    হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত মুসলমানদের কাছে শবে বরাত বা ‘সৌভাগ্যের’ রাত হিসেবে বিবেচিত। ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ রাতটিতে মুসলমানরা ইবাদতে কাটিয়ে দেন।

    শবে বরাত রমজানের বার্তাও নিয়ে আসে। সাধারণত এই রাতের ১৫ দিনের মাথায় শুরু হয় সিয়াম সাধনার মাস।

    শবে বরাত ঘিরে দিনটিতে বাড়িতে বাড়িতে হরেক রকমের হালুয়া, ফিরনি, রুটিসহ নানা ধরনের খাবার তৈরির প্রচলন আছে। এসব খাবার দুঃস্থ-গরিবদের মাঝে বিতরণের পাশাপাশি প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে বাড়িতেও কেউ কেউ পাঠান।

    বাংলাদেশে শবে বরাতের পরের দিনটি নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকে। ফলে এবার সেই ছুটি হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি।

    ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মহা. বশিরুল আলম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভুঁইয়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. কাউসার আহাম্মদ, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মোহাম্মদ রুহুল আমীন, ঢাকার অতিরিক্ত ডিসি মো. আমিনুর রহমানও চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

  • “মুক্তি, ভাগ্য রজনী, পবিত্র শবে বরাত”

    “মুক্তি, ভাগ্য রজনী, পবিত্র শবে বরাত”

    হিজরী শা’বান মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখের মধ্যবর্তী রাতে পালিত হয় মুসলিমদের গুরুত্বপূর্ণ রাত। উপমহাদেশে এই রাতকে পবিত্র শবে বরাত বলা হয়। ইসলামী বিশ্বাস মতে, এই রাতে আল্লাহ তার বান্দাদেরকে বিশেষভাবে ক্ষমা করেন। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের অনেক মুসলমান নফল ইবাদাতের মাধ্যমে শবে বরাত পালন করেন। শবে বরাত কথাটি ফারসি থেকে এসেছে। ‘শব’ মানে রাত, ‘বরাত’ মানে মুক্তি। শবে বরাত অর্থ মুক্তির রাত। শবে বরাতের আরবি হলো ‘লাইলাতুল বারাআত’। হাদিস শরিফে যাকে ‘নিসফ শাবান’ বা ‘শাবান মাসের মধ্য দিবসের রজনী’ বলা হয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশ, পারস্যসহ পৃথিবীর অনেক দেশের ফারসি উর্দু, বাংলা, হিন্দিসহ নানা ভাষায় যা পবিত্র ‘শবে বরাত’ নামেই অধিক পরিচিত।

    রাসুলুল্লাহ (দ.) বলেন, যখন শাবানের মধ্য দিবস আসবে, তখন তোমরা রাতে নফল ইবাদত করবে ও দিনে রোজা পালন করবে। (ইবনে মাজাহ)। নবী করিম (দ.) বলেছেন ১৪ শাবান দিবাগত রাত যখন আসে, তখন তোমরা এ রাত ইবাদত বন্দেগিতে কাটাও এবং দিনের বেলায় রোজা রাখো। কেননা এদিন সূর্যাস্তের পর আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার আসমানে নেমে আসেন এবং আহ্বান করেন, কোনো ক্ষমাপ্রার্থী আছো কি? আমি ক্ষমা করব কোনো রিজিক প্রার্থী আছ কি? আমি রিজিক দেব, আছ কি কোনো বিপদগ্রস্ত? আমি উদ্ধার করব।এভাবে ভোর পর্যন্ত আল্লাহ মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করে আহ্বান করতে থাকেন। (ইবনে মাজাহ: ১৩৮৪)।আল্লাহ তাআলা মুসলিম জাতিকে এমন কিছু বরকতময় দিন ও রাত দিয়েছেন, যাতে ইবাদত করলে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা সম্ভব। এসবের মধ্যে পবিত্র শবে বরাত একটি।

    হাদিস শরীফে আছে, হজরত আয়েশা (র.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন একবার রাসূল (দ.) নামাজে দাঁড়ালেন এবং এতো দীর্ঘ সিজদা করলেন যে আমার ধারণা হলো তিনি ইন্তেকাল করেছেন। আমি তখন উঠে তার পায়ের বৃদ্ধা আঙ্গুলে নাড়া দিলাম। এরপর তিনি সিজদা থেকে উঠে নামাজ শেষ করে আমাকে লক্ষ্য করে বললেন হে আয়েশা তোমার কি আশঙ্খা হয়েছে? আয়েশা (র.)বলেন ইয়া রাসূলুল্লাহ (দ.) আপনার দীর্ঘ সিজদা দেখে আমার আশঙ্খা হয়েছিল আপনি ইন্তেকাল করেছেন কিনা। রাসুলুল্লাহ (দ.) বললেন তুমি কি জানো এটা কোন রাত? আমি বললাম আল্লাহ ও তার রাসূল (দ.) ভালো জানেন। তখন রাসূল (দ.) বলেন এটা হলো মধ্য শাবানের রাত। এ রাতে আল্লাহ তার বান্দাদের প্রতি মনোযোগ দেন। ক্ষমা পার্থনকারীদের ক্ষমা করে দেন। অনুগ্রহ প্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন, আর বিদ্বেষ পোষণ কারীদেরকে তাদের অবস্থাতেই ছেড়ে দেন।(শুআবুল ঈমান তৃতীয় খন্ড পৃষ্ঠা ৩৮২)রাসূল (দ.) আরো বলেছেন শা’বান মাসের মধ্য রজনীতে (১৫ ই শা’বানের রাতে) ঘুমিয়ে ছিলাম এমন সময় জিব্রাঈল(আ.)আমার শিয়রে উপস্থিত হয়ে বলল হে মুহাম্মদ উঠুন! এরপর সে আমাকে শোয়া থেকে উঠালো এবং জান্নাতুল বাকী কবরস্থানে নিয়ে গিয়ে বলল আকাশের দিকে চেয়ে দেখুন! আজ রাতে আসমানের দরজাসমূহ, রহমতের দরজাসমূহ খুলে যাবে এবং খুলে যাবে সকল সুখ, সমৃদ্ধি, ক্ষমা, রুযি, পরিত্রাণ পাওয়া ও পূনর্জ্জিবীত হওয়ার দরজাসমূহ।

    রাসুলুল্লাহ (দ.)আরো বলেন হে আয়েশা, আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা এ রাতে চতুস্পদ জন্তুর গায়ের চুল ও পশমের পরিমাণ নিজ বান্দাগণকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দান করবেন। এ রাতে তিনি মৃত্যুর সময় এবং আগামী এক বছরের রিযিক নির্ধারণ করবেন। যারা এ রাতে জাগ্রত থেকে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালাকে পবিত্র ও একক সত্তা যেনে তাঁর যিকির করবে, তাকে রাজি খুশি করার জন্য নামাজ দোয়া পড়বে, পবিত্র কোরআন পাঠ করবে ও অধিক পরিমাণে এস্তেগফার করে রাতকে প্রভাতে পৌছাবে তাদের স্থান হবে বেহেস্তে এবং তারা ইতিপূর্বে যা কিছু গোনাহ আঞ্জাম দিয়েছে ও পরবর্তিতে আঞ্জাম দিবে তাও ক্ষমা করে দিবেন। প্রতিবছরই শবে বরাত আসে। আসে মুক্তি ও ক্ষমার বার্তা নিয়ে। আল্লাহর ভয়ে কম্পমান হৃদয়ে এ রাতে তাওবার উদ্রেক হয় তাওবাকারীর জন্য ক্ষমার সওগাত নিয়ে আসে শবেবরাত। আল্লাহ তাআলা মুসলিম জাতিকে এমন কিছু বরকতময় দিন ও রাত দিয়েছেন, যাতে ইবাদত করলে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা সম্ভব। এসবের মধ্যে শবে বরাত হচ্ছে অন্যতম একটি রাত। পাপ আক্রান্ত মন এ রাতে পরিশুদ্ধ জীবনে ফেরার তাগিদ অনুভব করে।শবেবরাত একটি বরকতময় রাত তাই আমাদের প্রার্থনায় মনোযোগ দিতে হবে এবং নফল নামাজের সাথে আল্লাহ পাকের শুকরিয়া আদায় করতে হবে। এই রাতে সমস্ত নেতিবাচক শক্তি পুড়ে এবং ইতিবাচক শক্তি আসুক জীবনে।

    শবে বরাতের এই পুণ্যময় রাতটি বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলমানরা নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত সহ ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে কাটিয়ে থাকেন। শাবান মাস শেষেই মুসলমানদের সবেচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের আগমনী আনন্দ বার্তা নিয়ে শুরু হয় সিয়াম সাধনার মাস রমজান।

    নুর মোহাম্মদ রানা
    প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট, সাংবাদিক

  • পবিত্র শবে বরাত ৭ মার্চ

    পবিত্র শবে বরাত ৭ মার্চ

    দেশের আকাশে ১৪৪৪ হিজরি সনের পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামী বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) শাবান মাস শুরু হবে। সেই হিসেবে আগামী ৭ মার্চ দিনগত রাতে পবিত্র শবে বরাত।

    মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
    প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহা. বশিরুল আলম।

    সভায় ১৪৪৪ হিজরি সনের পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়গুলো, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, আজ ২৯ রজব ১৪৪৪ হিজরি, ৮ ফাল্গুন ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ খ্রি. মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। এমতাবস্থায়, আগামী ৯ ফাল্গুন ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ খ্রি. বুধবার থেকে ১৪৪৪ হিজরি সনের পবিত্র শাবান মাস গণনা শুরু হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১৪ শাবান ১৪৪৪ হিজরি, ২২ ফাল্গুন ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ৭ মার্চ ২০২৩ খ্রি. মঙ্গলবার দিনগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে।

  • শবে বরাত:ঘরে নামাজ, কবরস্থান-মাজারে যাওয়া যাবেনা

    শবে বরাত:ঘরে নামাজ, কবরস্থান-মাজারে যাওয়া যাবেনা

    পবিত্র শবে বরাতের রাতে কবরস্থান ও মাজারে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

    আজ বুধবার (৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়। একইসঙ্গে মাজার ও কবরস্থানের গেট বন্ধ রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। এর আগে করোনার বিস্তার রোধে মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

    ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সারা দেশে পবিত্র শবে বরাত উদযাপিত হবে। শাবান মাসের ১৪ তারিখে দিবাগত রাতটিকে মুসলমানরা সৌভাগ্যের রাত হিসেবে পালন করেন। অনেকের মতে, মহিমান্বিত এ রাতে মহান আল্লাহ তার বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। মুসলমানরা এ রাতে মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরসহ বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে অতিবাহিত করেন।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়ংকর আকার ধারণ করছে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব দৃশ্যমান হচ্ছে। বিরাজমান এ পরিস্থিতিতে শবে বরাতের রাতে নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করে ইবাদত বন্দেগি করতে বলা হয়েছে। এ সময় ব্যক্তিগত দোয়া ও প্রার্থনা ছাড়াও করোনাভাইরাসের মহামারির আক্রমণ থেকে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি, মুসলিম উম্মাহ ও বিশ্ববাসীকে নিরাপদ রাখার বিষয়ে আল্লাহর দরবারে বিশেষ দোয়ার জন্য দেশের সব ধর্মপ্রাণ মুসলমানের প্রতি আহ্বান জানানো যাচ্ছে।

    দেশের আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ, খতিব, ঈমাম, মুয়াজ্জিন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও শিক্ষকসহ সব ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে এই দোয়া ও প্রার্থনার জন্য সবিনয়ে অনুরোধ জানিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র শবে বরাতে জিয়ারতের জন্য কবরস্থান ও মাজারে অনেক লোকের সমাগম হয়। এ ছাড়া কবরস্থান ও মাজারের ভেতরে-বাইরে অনেক ভিক্ষুক, অসহায়, অসচ্ছল, প্রতিবন্ধী ওর রোগাক্রান্ত ব্যক্তি সাহায্যের জন্য সমবেত হয়। এ ধরনের জনসমাগমের কারণে করোনাভাইরাস ব্যাপক হারে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় করোনার সংক্রমণ রোধকল্পে শবে বরাতে কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে কবরস্থানে না গিয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে থেকে মৃত আত্মীয়-স্বজনের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে আহ্বান জানানো যাচ্ছে।

    সেইসঙ্গে কবরস্থান ও মাজারের গেট বন্ধ রাখাসহ কবরস্থানের ভেতর ও বাইরে কোনো ধরনের জনসমাগম না করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তদের অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

    বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে বিভিন্ন গুজব ছড়ানোর অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে গুজব ছড়ানো ও গুজবে বিশ্বাস করা থেকে বিরত থাকার জন্যও সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

  • শবে বরাত নিয়ে ইফা’র নির্দেশনা

    শবে বরাত নিয়ে ইফা’র নির্দেশনা

    দেশে বিরাজমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে নিজ নিজ বাসস্থানে দোয়া ও নামাজ আদায় করার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

    শনিবার (৪ এপ্রিল) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ সাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

    প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি রোধকল্পে সরকার সকল সরকারি বেসরকারি অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। অত্যন্ত জরুরী প্রয়োজন ছাড়া জনসাধারণকে ঘরের বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। সব ধরণের সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয় জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। সকলকে হোম কোয়ারেন্টাইন পালন করতে কঠোরভাবে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকেও মসজিদে জুমা ও পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজে মুসল্লিদের অংশগ্রহণ সীমিত রাখার আহ্বান করা হয়েছে। অযু, নফল ও সুন্নত নামাজ বাসায় আদায় করার অনুরোধ করা হয়েছে।

    এতে আরো বলা হয়, এই সংকটকালীন পরিস্থিতিতে দেশের নাগরিকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার স্বার্থে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক ঘোষিত নির্দেশনা মান্য করে আগামী ৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নিজ নিজ বাসস্থানে বসে পবিত্র শবে বরাতের ইবাদত যথাযথ মর্যাদায় আদায় করার জন্য সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

  • পবিত্র শবে বরাত ৯ এপ্রিল

    পবিত্র শবে বরাত ৯ এপ্রিল

    আজ বুধবার সন্ধ্যায় দেশের আকাশে কোথাও পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। এজন্য বৃহস্পতিবার রজব মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হচ্ছে।

    আগামী শুক্রবার থেকে শাবান মাস গণনা শুরু হবে। সেই হিসেবে আগামী ৯ এপ্রিল দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে।

    সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ।

    শাবান মাসের ১৫তম রাতে (১৪ শাবান দিবাগত রাত) শবে বরাত পালিত হয়। সেই হিসেবে আগামী ৯ এপ্রিল (বুধবার) দিবাগত রাতই শবে বরাতের রাত। শবে বরাতের পরের দিন বাংলাদেশে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি। এবার এ ছুটি পড়েছে ১০ এপ্রিল (শুক্রবার), অর্থাৎ সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যেই।

    শাবান মাস শেষেই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের আনন্দ বারতা নিয়ে শুরু হয় সিয়াম সাধনার মাস রমজান।

    ‘ভাগ্য রজনী’ হিসেবে পরিচিত লাইলাতুল বরাতে পুণ্যময় রাতটি বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মুসলমানরা নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াতসহ ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে কাটিয়ে থাকেন।