নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডে ১৫ মামলায় অভিযুক্ত আসামি শরণাংকর ভিক্ষু আবারও রাঙ্গুনিয়ায় প্রবেশের পাঁয়তারা শুরু করেছে। এই খবরে বিক্ষোভ করেছে রাঙ্গুরিয়ার ফলহারিয়া এলাকাবাসী।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ফলাহারিয়া বাজারে মুসলিম উম্মাহ ঐক্য পরিষদ এই বিক্ষোভ কর্মসূচীর আয়োজন করেন।
সংগঠনের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ হাকিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পদুয়া ইউনিয়ন মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি মুহাম্মদ বদিউজ্জামান বদি। প্রধান বক্তা ছিলেন পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজারহাট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আক্কাস মিয়া, ফলাহারিয়া হযরত পাঠান আউলিয়া (রহঃ) সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, সহ সভাপতি মুহাম্মদ আনোয়ার, হযরত আরবান আলী শাহ নূরীয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা নুরুল আজিম আল কাদেরী, মুসলিম উম্মাহ ঐক্য পরিষদের অর্থ সম্পাদক মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইদ্রিছ, আজিম উদ্দিন বাদশা, খোরশেদ আলম কুসুম, মুহাম্মাদ রফিক সওদাগর, প্রিয়তোষ কান্তি দে, মুহাম্মদ মহির উদ্দিন রানা, সঞ্জয় দে প্রমুখ।
এদিকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৮টার দিকে গোপন সংবাদে অভিযান চালিয়ে শরণাংকর ভিক্ষুর আস্তানা থেকে ৪টি রাম দা, ৫টি ছোরা, ১১টি লোহার রড, ১১টি বেতের লাটি, ২টি কোড়াবাড়ি, ২টি প্লাস উদ্ধার করে পুলিশ। এরআগে গত ১৮ জানুয়ারি আবারও স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা চালায় তার অনুসারীরা। খবর পেয়ে স্থাপনা নির্মাণে বাঁধা দিতে গেলে তারা অনুসারীদের হাতে হামলার শিকার হয় তিন বনকর্মী। এভাবে বিতর্কিত বৌদ্ধ ভিক্ষু শরণাংকর থের’র বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উষ্কানি, ধর্মের নামে সরকারি বনভূমি উজাড়, জোরপূর্বক নিরহ মানুষের জায়গা-জমি দখল, ঘরবাড়ি উচ্ছেদ, ফলজচারা কর্তন, হিন্দু সম্প্রদায়ের শশ্মান দখলসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
এসব বিতর্কিত কর্মকান্ডে তার বিরুদ্ধে ১৫টিরও বেশি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়। শরণাংকর ভিক্ষুকে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবীতে প্রায় ৮ মাস ধরে দেশব্যাপী নানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।