Tag: শহীদ দিবস

  • রাউজানে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

    রাউজানে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের রাউজানে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। কর্মসূচির মধ্যে ছিল প্রভাত ফেরী, মহান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভা।

    রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারী) সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা কেন্দ্রীয় মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে মহান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রেলপথ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এম.পি।

    এই সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অতীশ দর্শী চাকমা, পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল হারুন।

    এর পূর্বে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রভাত ফেরীতে অংশ নেন সাংসদসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। পরে সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে পৃথক দুটি অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন।

    উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন সমূহের
    উদ্যোগে মুন্সিরঘাটাস্থ দলীয় স্থায়ী কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবদুল ওহাবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, সি. সহ-সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, পৌর মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি স্বপন দাশগুপ্ত, কাজী ইকবাল, ইরফান আহমেদ চৌধুরী, কামরুল হাছান বাহাদুর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বশির উদ্দিন খান, দপ্তর সম্পাদক জসিম উদ্দিন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও কাউন্সিলর আলমগীর আলী, আইন বিষয়ক সম্পাদক কাউন্সিলর এড. দিলীপ চৌধুরী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সি. সহ সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম চৌধুরী শাহাজাহান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তসলিম উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম, মুসলিম উদ্দিন জয়নাল, উপজেলা আ.লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক হাছান মো. রাসেল,
    উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি সুমন দে, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল জব্বার সোহেল,
    যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব চৌধুরী হাসান,দপ্তর সম্পাদক তপন দে, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জিল্লুর রহমান মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন পিবলু, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক মো. আসিফ প্রমুখ।

    অপরদিকে নোয়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সংলগ্ন দক্ষিণ রাউজানের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

    ২৪ ঘণ্টা/নেজাম

  • আজ মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

    আজ মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

    আজ ২১ ফেব্রুয়ারি। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। মাতৃভাষা আন্দোলনের ৬৯ বছর পূর্ণ হবে এদিন।

    জাতিসংঘের উদ্যোগে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ভাষা শহীদদের স্মরণে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে।

    এদিন একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতির পক্ষে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম। অপর দিকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী।

    রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং তার পরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় বাজছিল অমর একুশের কালজয়ী গান, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি।’

    জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো) মহান একুশের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও গত কয়েক বছর ধরে দিবসটি পালিত হচ্ছে।

    বাঙালি জাতির জন্য এই দিবসটি হচ্ছে চরম শোক ও বেদনার। অনদিকে মায়ের ভাষা বাংলার অধিকার আদায়ের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত। যে কোনো জাতির জন্য সবচেয়ে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার হচ্ছে মৃত্যুর উত্তরাধিকার, মরতে জানা ও মরতে পারার উত্তরাধিকার। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদরা জাতিকে সে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার দিয়ে গেছেন।

    ১৯৫২ সালের এদিনে ‘বাংলাকে’ রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাংলার (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ছাত্র ও যুবসমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ সে সময়ের শাসকগোষ্ঠির চোখ-রাঙ্গানি ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসে।

    মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দুর্বার গতি পাকিস্তানি শাসকদের শংকিত করে তোলায় সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিক গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।

    তাদের এই আত্মদান নিয়ে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সরদার ফজলুল করিম তার ‘বায়ান্নর ও আগে’ প্রবন্ধে লিখেছেন, ‘বরকত, সালামকে আমরা ভালোবাসি। কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা বরকত সালাম আমাদের ভালোবাসে। ওরা আমাদের ভালোবাসে বলেই ওদের জীবন দিয়ে আমাদের জীবন রক্ষা করেছে। ওরা আমাদের জীবনে অমৃতরসের স্পর্শ দিয়ে গেছে। সে রসে আমরা জনে জনে, প্রতিজনে এবং সমগ্রজনে সিক্ত।’

    একুশে ফেব্রুয়ারি সরকারি ছুটি। এদিন দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সঠিক নিয়মে, সঠিক রং ও মাপে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে।

    দিবসটি পালন উপলক্ষে জাতীয় অনুষ্ঠানের সাথে সঙ্গতি রেখে বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সকল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনসমূহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

    আজিমপুর কবরস্থানে ফাতেহা পাঠ ও কোরআনখানির আয়োজনসহ দেশের সকল উপাসনালয়ে ভাষা শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।

    বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক প্রতিটি সংগঠনের পক্ষ হতে সর্বোচ্চ ৫ জন প্রতিনিধি হিসেবে ও ব্যক্তিপর্যায়ে একসাথে সর্বোচ্চ ২ জন শহীদ মিনারে পুষ্পস্পবক অর্পণ করতে পারবেন। শহীদ মিনারের সকল প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার জন্য বেসিন ও লিকুইড সাবান রাখা হবে। মাস্ক পরা ব্যতীত কাউকে শহীদ মিনার চত্বরে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।

    ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র এবং বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলো একুশের বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।

  • সৈয়দপুরে শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে র‌্যালী, পুষ্পমাল্য অর্পন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

    সৈয়দপুরে শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে র‌্যালী, পুষ্পমাল্য অর্পন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে নীলফামারীর সৈয়দপুরে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এর উদ্যোগে র‌্যালী, শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ২১ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার সকালে ব্যাংকের নিজস্ব কার্যালয় থেকে র‌্যালী নিয়ে সৈয়দপুর সরকারী কলেজ ক্যাম্পাসের শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়। বিকালে ব্যাংক ভবনে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

    এতে উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা ব্যবস্থাপক আনোয়ারুল হক, ম্যানেজার অপারেশন নুরে আলম, সিনিয়র অফিসার আরিফ জনি, অফিসার মোঃ সেকেন্দার আলী, রওশন আলীসহ ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ গ্রাহকবৃন্দ।

    দোয়া মাহফিলে ৫২’র ভাষা আন্দোলনে নিজের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে যারা শহীদ হয়েছেন সেইসকল ভাষা শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়।

  • আজ মহান ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’

    আজ মহান ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’

    আজ মহান ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’। মাতৃভাষা আন্দোলনের ৬৮ বছরও পূর্ণ হবে আজ।

    রাজধানী ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বিভিন্ন স্থানে আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতি একুশের মহান শহীদদের প্রতি এদিন শ্রদ্ধা জানাবে।

    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ একুশের প্রথম প্রহরে ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর পরপরই শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

    জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো) ১৯৯৯ সালে মহান একুশের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও গত কয়েক বছর ধরে দিবসটি পালিত হচ্ছে।

    বাঙালি জাতির জন্য এই দিবসটি হচ্ছে চরম শোক ও বেদনার, অনদিকে মায়ের ভাষা বাংলার অধিকার আদায়ের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত।

    যে কোন জাতির জন্য সবচেয়ে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার হচ্ছে মৃত্যুর উত্তরাধিকার-মরতে জানা ও মরতে পারার উত্তরাধিকার। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদরা জাতিকে সে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার দিয়ে গেছেন।

    ১৯৫২ সালের এদিনে ‘বাংলাকে’ রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাংলার (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ছাত্র ও যুবসমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ সে সময়ের শাসকগোষ্ঠির চোখ-রাঙ্গানি ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসে।

    মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দুর্বার গতি পাকিস্তানি শাসকদের শংকিত করে তোলায় সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিক গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।

    তাদের এই আত্মদান নিয়ে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সরদার ফজলুল করিম তার ‘বায়ান্নরও আগে’ প্রবন্ধে লিখেছেন ‘ বরকত, সালামকে আমরা ভালবাসি। কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা বরকত সালাম আমাদের ভালবাসে। ওরা আমাদের ভালবাসে বলেই ওদের জীবন দিয়ে আমাদের জীবন রক্ষা করেছে। ওরা আমাদের জীবনে অমৃতরসের স্পর্শ দিয়ে গেছে। সে রসে আমরা জনে জনে, প্রতিজনে এবং সমগ্রজনে সিক্ত। ’

    এদের আত্মদানের মধ্যদিয়ে আমরা অমরতা পেয়েছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজ আমরা বলতে পারি দস্যুকে, বর্বরকে এবং দাম্ভিককে : তোমরা আর আমাদের মারতে পারবে না । কেননা বরকত সালাম রক্তের সমুদ্র মন্থন করে আমাদের জীবনে অমরতার স্পর্শ দিয়ে গেছেন।’

    বরেণ্য শিক্ষাবিদ আবুল ফজল একুশ নিয়ে তার এক লেখায় লিখেছেন ‘মাতৃভাষার দাবি স্বভাবের দাবি। ন্যায়ের দাবি, সত্যের দাবি এ দাবির লড়াইয়ে একুশে ফেব্রুয়ারির শহীদরা প্রাণ দিয়েছেন। প্রাণ দিয়ে প্রমাণ করেছেন, স্বভাবের ব্যাপারে, ন্যায় ও সত্যের ব্যাপারে কোন আপোষ চলে না, চলে না কোন গোঁজামিল। জীবন-মৃত্যুর ভ্রকুটি উপেক্ষা করেই হতে হয় তার সম্মুখীন।

    দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আওয়ামী লীগের দুদিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- রাত ১২টা ১ মিনিটে (রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সকালে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় বঙ্গবন্ধু ভবনসহ সংগঠনের সকল শাখা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭টায় কালো ব্যাজ ধারণ, প্রভাতফেরি সহকারে আজিমপুর কবরস্থানে শহীদদের কবরে ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন।

    এ ছাড়াও ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সন্মেলন কেন্দ্রে এ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা

    ২১ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ছুটির দিন। এদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।

    শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী প্রদান করেছেন।

    ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র এবং বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলো একুশের বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।