Tag: শারদীয় দূর্গা উৎসব

  • জামজমকপূর্ণ শারদীয় দূর্গোৎসবই প্রমাণ করে শেখ হাসিনার সরকার অসাম্প্রদায়িক সরকার:সুজন

    জামজমকপূর্ণ শারদীয় দূর্গোৎসবই প্রমাণ করে শেখ হাসিনার সরকার অসাম্প্রদায়িক সরকার:সুজন

    শেখ হাসিনার সরকার অসাম্প্রদায়িক সরকার তাই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জাকজমকপূর্ণ তাদের প্রধানতম ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গোৎসব মহাসমারোহে উদযাপন করতে পেরেছে বলে মত প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি গতকাল ৭ই অক্টোবর সোমবার শারদীয়া দূর্গাপূজার মহানবমীর দিন সকালে এবং সন্ধ্যায় নগরীর রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম, লোকনাথ ব্রহ্মচারী পূজা মন্ডপ, হাজারী লেইন এবং কৈবল্যধামসহ বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন এবং সনাতন ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সাথে শারদীয়া শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

    এ সময় জনাব সুজন বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হচ্ছে বাংলাদেশ এ কথা বারবার প্রমাণিত হয়েছে শেখ হাসিনার সরকারের আমলে। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের নিরাপদ আবাসস্থল বাংলাদেশ। অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধারণ করে নানা ধর্মের, বর্ণের মানুষ একসঙ্গে শান্তিপূর্র্ণভাবে বসবাস করছে এ দেশে। বিশ্বজুড়ে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পে মানুষের মাঝে যখন মানবতা, সম্প্রীতি এবং সৌহার্দ ভ‚লুন্ঠিত ঠিক সেই মূহুর্তে অসাম্প্রদায়িকতার বাংলাদেশ সারা বিশ্বে নজির স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।

    তিনি আরো বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব সমাজকে অসহিষ্ণুতা, হিংসা, বিদ্বেষ ও অশুভ প্রভাব থেকে মুক্ত করে মানুষের মধ্যে ঐক্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করে। তাই যে কোন মূল্যে আমাদেরকে এ ঐক্য ধরে রাখতে হবে। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের এ স্বাধীনতা। আমরা আমাদের এই প্রিয় মাতৃভ‚মিতে আর কখোনই বিভেদের দৈত্যকে মাথা তুলে দাড়াতে দেবো না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষনা করেছেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার। তাই আমরাও আজ আপনাদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করতে এসেছি। আপনাদের সুখে দুঃখে পাশে দাড়াতে এসেছি। আপনাদের যে কোন সমস্যা এবং অসুবিধায় অতীতের মতো পাশে থাকবো এই হবে আমাদের প্রত্যয়।

    এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মসিউর রহমান চৌধুরী, কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী, মোঃ নিজাম উদ্দিন, শওকত হোসাইন, নূরুল কবির, শিশির কান্তি বল, মোরশেদ আলম, এএসএম জাহিদ হোসেন, শেখ মামুনুর রশীদ, আবুল হাসান সৈকত, সোলেমান সুমন, সমীর মহাজন লিটন, জমির উদ্দিন মাসুদ, সিরাজদৌল্লা নিপু, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, স্বরূপ দত্ত রাজু, এম ইমরান আহমেদ ইমু, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, বিকাশ দাশ, রনি সরকার, সৈয়দ তৌহিদুল ইসলাম প্রমূখ।

  • বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব

    বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব

    বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জন শান্তি, সমৃদ্ধি ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশ গড়ার প্রত্যয়ে শেষ হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব।

    মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন মণ্ডপ থেকে বাদ্যি-বাজনা, মন্ত্রোচ্চারণ ও পূজা-অর্চনার মধ্য দিয়ে বিকেলে হবে বিজয়ার শোভাযাত্রা।

    পরে সদরঘাট, বুড়িগঙ্গা নদী ও মিরপুরের বেড়িবাঁধে বিসর্জন শেষে ‘শান্তিজল’ গ্রহণ করবেন ভক্তরা।

    আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের দশমী তিথিতে শ্বশুরবাড়ি কৈলাসে পাড়ি দেন দেবী দুর্গা। বিষাদের সুরেই দিনটিকে বিজয়া হিসেবে পালন করে মর্ত্যবাসী।

    পুরাণে কথিত আছে, মহিষাসুরের সঙ্গে ৯ দিন ৯ রাত যুদ্ধের পর দশম দিনে জয় লাভ করেন দেবী দুর্গা। সেই জয় উদযাপনই বিজয়া দশমী।

    একে অপরকে মিষ্টিমুখ করিয়ে সেই উদযাপন করা হয়। চলে কোলাকুলি। নারী শক্তির জাগরণে মা দুর্গার পায়ে সিঁদুর ছুইয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন বাঙালি নারীরা।

    দশমীতে শান্তি, সমৃদ্ধি ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সুন্দর দেশ গড়ার প্রত্যয় ভক্তদের। বিজয়ায় মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে সত্যের পথে চলা ও অসত্যের বিনাশই জীবনের লক্ষ্য হওয়া উচিৎ বলে মনে করেন পুরোহিত।

    এবার সব সম্প্রদায়ের মানুষের সহযোগিতায় নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপন হওয়ায় সন্তোষ জানান আয়োজকরা।

    ঢাকেশ্বরী মন্দিরের প্রধান পুরোহিত রঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, মায়ের ঘোড়ায় চেপে আসা অমঙ্গলের লক্ষণ। কিন্তু আমরা প্রার্থনা করেছি, করুণাময়ী মা যেন সব অকল্যাণ থেকে আমাদের গোটা পৃথিবীকে রক্ষা করেন।

    মহানগর পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিশোর রঞ্জন মণ্ডল বলেন, এবারও দুপুরের মধ্যে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিমা নিয়ে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে আসছেন পূণ্যার্থীরা।

    বনানী পূজামণ্ডপ থেকে গুলশান ২ নম্বর, ১ নম্বর, মহাখালী, বিমানবন্দর ও উত্তরা হয়ে তুরাগে যাবে বলে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত জানান।

    এবার সারাদেশে ৩১ হাজার ১০০ মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীতে পূজা হয়েছে ২৩৭টি মণ্ডপে।

  • বাংলার ঐতিহ্যকে লালন করছে শারদীয় দূর্গোৎসব : সুজন

    বাংলার ঐতিহ্যকে লালন করছে শারদীয় দূর্গোৎসব : সুজন

    শারদীয় দূর্গোৎসব বাংলার ঐতিহ্যকে লালন করছে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি গতকাল ৬ই অক্টোবর রবিবার শারদীয়া দূর্গাপূজার মহাঅষ্টমীর দিন সকালে এবং সন্ধ্যায় নগরীর কোতোয়ালী ও বন্দর থানার বিভিন্ন পূজা মন্ডপে বস্ত্র বিতরণ এবং সনাতন ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সাথে শারদীয়া শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

    এ সময় সুজন বলেন, বাংলাদেশে শরৎকাল হচ্ছে উৎসবের শ্রেষ্ট সময়কাল। গ্রীষ্মের দাবদাহ ও বর্ষার অঝোর বর্ষণের শেষে আসে শরৎকাল। প্রকৃতিতে পুষ্পরাজির সমারোহ, প্রেম-প্রীতি সৃষ্টি করে এক অনবদ্য আকর্ষণীয় পরিবেশ। আর এ সময় শারদীয় দূর্গাপূজার মাধ্যমে অসত্যকে পরাভূত করে সত্য ও ন্যায়ের বাতাবরণ প্রতিষ্ঠার শুভ সময়। তাই শারদীয় দূর্গোৎসব যুগে যুগে বাংলার ঐতিহ্যকে লালন করছে। আর সনাতনী সম্প্রদায় সর্বস্তরের মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস এবং সমন্বিতভাবে দূর্গোৎসবের আয়োজন করছে।

    সরকারের উদ্যোগ এবং প্রশাসনের নানাবিধ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার আয়োজনকে সাবলীল ও উৎসবমুখর করে তুলেছে সনাতনী সমাজ। জনাব সুজন সনাতনী সম্প্রদায়ের সকলকে নিশ্চিন্তে তাদের সকল ধর্মীয় কার্যাদি সম্পাদন করার আহবান জানান।

    এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মসিউর রহমান চৌধুরী, কাউন্সিলর হাজী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হাজী মোঃ ইলিয়াছ, নিধু পালিত, মোঃ নিজাম উদ্দিন, শওকত হোসাইন, মোরশেদ আলম, নূরুল কবির, এএসএম জাহিদ হোসেন, সোলেমান সুমন, সমীর মহাজন লিটন, স্বরূপ দত্ত রাজু, এম ইমরান আহমেদ ইমু, কাঞ্চন চৌধুরী, বিকাশ দাশ, পংকজ কান্তি দে শিপ্লব দাশগুপ্ত, নয়ন দে প্রমূখ।

  • রাউজানের বিভিন্নস্থানে পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন সাংসদ ফজলে করিম

    রাউজানের বিভিন্নস্থানে পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন সাংসদ ফজলে করিম

    চট্টগ্রামের রাউজানে বিভিন্ন ইউনিয়নে শারদীয় দুর্গপূজার মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি।

    এ সময় বক্তব্য প্রদানকালে তিনি বলেন, রাউজানের সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। বিভিন্ন উৎসব পার্বণে রাউজানের মানুষ একে অপরের সাথে আনন্দ উদযাপনে শরীক হয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনার একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

    তিনি আরো বলেন, সমাজ থেকে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটাতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।  ৬ অক্টোবর রোববার সন্ধ্যা থেকে রাত্র ১০টা পর্যন্ত তিনি উত্তর রাউজানের ৯টি পূজাম-প পরিদর্শনকালে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

    পূজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডি, আই, জি খন্দকার গোলাম ফারুক, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নুরেআলম মিনা, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেনায়েদ কবির সোহাগ, রাউজান উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী আবদুল ওহাব, সি.সহ-সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, কাজী ইকবাল,স্বপন দাশ গুপ্ত, শ্যামল পালিত, শাহ্ আলম চৌধুরী, কামরুল হাসান বাহাদুর, ইরফান আহম্মদ চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক বশির উদ্দিন খাঁন, রাউজান থানার ওসি কেফায়েত উল্ল্যাহ, রাউজান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ।

    রাউজান উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি চেয়ারম্যান প্রিয়তোষ চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক সুমন দে, সাবেক সভাপতি এড: সমীর দাশ গুপ্ত, এড: দিলীপ কুমার চৌধুরী, উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী রানা, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম চৌধুরী শাহাজাহান, চেয়ারম্যান বি এম জসিম উদ্দিন হিরু, স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক শওকত হোসেন, যুবলীগ নেতা সারজু মোহাম্মদ নাছের, আহসান হাবিব চৌধুরী, তপন দে, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জিল্লুর রহমান মাসুদ, সাধারন সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন পিবলু, পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী, সাধারন সম্পাদক মো: আসিফ প্রমুখ ।

  • দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব নয়, এটি সর্বজনীন উৎসব :  আনিস

    দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব নয়, এটি সর্বজনীন উৎসব : আনিস

    দূর্গাপুজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসবই নই,এটি আজ সর্বজনীন উৎসবে পরিনত হয়েছে। “হিংসা-বিদ্বেষ, রক্তারক্তি পরিহার করে সমাজে শান্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় ব্রতী হওয়া মানুষ হিসেবে আমাদের কর্তব্য। দুর্গাপূজার অন্তর্নিহিত বাণীই হচ্ছে হিংসা, লোভ ও ক্রোধরূপী ওসুরকে বিনাশ করে সমাজে স্বর্গীয় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে ন্যায় ও সুবিচার নিশ্চিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন ব্যারিস্টারি আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি।

    রবিবার সন্ধ্যায় হাটহাজারী উপজেলার এনায়েতপুর জ্বালাকুমারী সংঘ পুজা মন্ডপে হাটহাজারী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের উদ্যেগে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

    পরিষদের সভাপতি লিটন মহাজনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বাবলু দাশ’ এর সঞ্চালচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি।

    বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আলহাজ্ব ইউনুচ গনি চৌধুরী। পরিষদের প্রধান উপদেস্টা ড.শিপক নাথ,ধলই ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর জামান সি আই পি,পরিষদের উপদেষ্টা কারুকাঞ্চন আচার্য।

    শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সুভাষ নাথ ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিষদের যুগ্ন- সম্পাদক ছোটন দাশ।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা ছাত্রলীগ সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম আলী আব্বাস,ছাত্রনেতা আজম উদ্দীন, হাটহাজারী জন্মাষ্টমী পরিষদের সিঃ সহ-সভাপতি অসিম দাশ গুপ্ত,আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. কৃষ্ণপ্রসাদ নাথ,তান্ত্রিক দূর্গাপদ আচার্য্য, সাহস শীল,জয়দেব শীল,সুমন বৈষ্ণব,শিপন নাথ,পিয়তোষ শীল প্রমূখ।

  • শারদীয় উৎসব বাঙালীর উৎসবে পরিণত হয়েছে : সুজন

    শারদীয় উৎসব বাঙালীর উৎসবে পরিণত হয়েছে : সুজন

    শারদীয় উৎসব বাঙালীর উৎসবে পরিণত হয়েছে বলে মত প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি গতকাল ৫ই অক্টোবর শনিবার শারদীয় দূর্গাপূজার সপ্তমীর দিন সন্ধ্যায় নগরীর আকবরশাহ, কাট্টলী এবং পতেঙ্গার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন, বস্ত্র বিতরণ এবং সনাতন ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সাথে শারদীয়া শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

    এ সময় সুজন সনাতনী সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা এবং প্রশাসনের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দূর্গোৎসব শুরু হয়েছে।

    মন্ডপে মন্ডপে সাজসজ্জ্বা, আলোকসজ্জ্বা এবং পূজার্থীদের উপস্থিতি দেখে স্বাভাবিকভাবেই এ কথা বলা যায় যে, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নিশ্চিন্তে তাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করতে পারছে।

    অথচ এক সময় আমরা দেখেছি শারদীয়া দূর্গাপূজা সন্নিকটে আসলেই সনাতনী সম্প্রদায়ের মনে এক প্রকার অজানা আশংকা দেখা দিতো। কখন যেন পূজার আয়োজনের মূর্তি ভেঙ্গে দেওয়া হয়। কখন যেন মঠ মন্দিরে ভাংচুর অগ্নিসংযোগ করা হয়।

    মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শাসনামলে সনাতন ধর্মাবলম্বী থেকে শুরু করে দেশের সকল ধর্মের মানুষ নিশ্চিন্তে তাদের ধর্মীয় কার্যাদি সম্পাদন করছে। এ যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অন্যরকম বাংলাদেশ। তাই যে কোন মূল্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এ অর্জন আমাদেরকে ধরে রাখতে হবে।

    তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের নিজ নিজ এলাকায় সনাতনী সম্প্রদায়ের পাশে থেকে শারদীয়া দূর্গোৎসবে সর্বাতœক সহযোগীতা করার আহবান জানান।

    এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল হালিম, এম.এন ইসলাম, নুরুল আবছার, শাহাদাত হাসান, হাজী মোঃ হোসেন, ফরিদুল আলম, মোঃ সুলতান, নুরুল কবির, মোরশেদ আলম, শেখ মামুনুর রশীদ, সমীর মহাজন লিটন, উত্তম শীল, জাহাঙ্গীর আলম, স্বরূপ দত্ত রাজু, এম ইমরান আহমেদ ইমু, সাজু মহাজন, মোঃ ওয়াসিম, মিজানুর রহমান জনি, মোঃ তানভীর প্রমূখ।

  • রাষ্ট্রীয় অশুর বিতাড়নের মাধ্যমে অসম্প্রদায়িক দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে : শাহাদাত

    রাষ্ট্রীয় অশুর বিতাড়নের মাধ্যমে অসম্প্রদায়িক দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে : শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, রাষ্ট্রীয় অশুর বিতাড়নের মাধ্যমে অসম্প্রদায়িক দুর্নীতিমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান অসম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশ গড়েছিলেন। হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম ও খৃষ্টান, রাখাইন মারমাইন আমাদের সকলের একটাই পরিচয় আমারা বাংলাদেশী।

    তিনি বলেন,এই বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। শহীদ জিয়া বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের কারণে এই দেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয় রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করে রাজনীতিতে একটি দর্শন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। শহীদ জিয়ার বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কারণে সকল রাজনৈতিক দলগুলো রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছিলন।

    তিনি আজ ৪ অক্টোবর শুক্রবার বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে জাতীয়তাবাদী হিন্দু ছাত্রফোরাম’র উদ্যোগে শারদীয় দূর্গা উৎসব উপলক্ষ্যে সনাতনী ভাইবোনদের মাঝে বস্ত্রবিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    এতে ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, আজ দেশে দুর্নীতির উৎসব চলছে। পত্রিকার পাতা খুললেই দুর্নীতি আর দুনীতি। সম্প্রতি চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতির দামে অস্বাভাবিক প্রস্তাব দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

    এতে দেখা যায় সার্জিক্যাল ক্যাপ ও মার্কস’র দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ৮৪ হাজার টাকা কিন্তু যার সম্ভাব্য বাজার মূল্য ১০০ থেকে ২০০ টাকা। র‌্যাক্সিনের দাম প্রস্তাব করেছে ৮৪ হাজার টাকা। যার বাজার মূল্য ৩০০-৫০০ টাকা। ট্যাস্ট টিউব গ্লাস মেডের মূল্য ৫৬ হাজার টাকা যার বাজার মূল্য ১৫-৫০ টাকা। এছাড়া বালিশের কভারের মূল্য ২৮ হাজার টাকা যার বাজার মূল্য ৫০০-১৫০০ টাকা।

    এভাবে ১২ ধরনের সরঞ্জামের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এই অবৈধ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এভাবে প্রকল্পের নমে জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আওয়ামী নেতাদের পকেটে ঢুকছে। যা এখন একের পর এক আওয়ামী নেতাদের দুর্নীতির চিত্র উন্মেচিত হচ্ছে।

    ডা. শাহাদাত আরো বলেন, সরকারের একদলীয় মনোভাবের কারণে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হতে পাচ্ছে না। বেগম খালেদা জিয়া মুক্তির মাধ্যমে এদেশে গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।

    কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ তথ্য ও গবেষণা বিষযক সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী বলেন, বিএনপি ক্ষমতা থাকাকালীন সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাধ্যমে এগিয়ে গিয়েছিলো। রোজা-পূজা একসাথে হয়েছিলো। কোন সনাতনী ভাইবোন নির্যাতি হয়নি। এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিশ্বজিৎসহ অসংখ্য হত্যাকান্ড ঘটেছে এবং অনেক সনাতনী ভাইবোন নির্যাতিত হয়েছে। এখনো বিশ্বজিৎ হত্যাকারীদের বিচার হয়নি। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হলে এদেশের মানুষ গণতন্ত্র ফিরে পাবে।

    জাতীয়তাবাদী হিন্দু ছাত্র ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি রাজীব ধর তমালের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব চৌধুরী বিল্লুর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, যুগ্ম সম্পাদক আবদুল মান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, পরিবেশ বিষযক সম্পাদক আমিন মাহমুদ, সালাহ উদ্দিন কায়সার লাভু, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, চকাবাজর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন, নগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, মৎস্যজীবিদলের সভাপতি হাজী নুরুল হক, নগর বিএনপির সদস্য মো. জাকির হোসেন, ইউসুফ সিকদার, নগর স্বোচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুস সালাম নিশাদ, সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম বাবলু, যুবদল নেতা আবদুল জলিল, মো. আনোয়ার, আসাদুর রহমান টিপু, হিন্দু ফোরাম নেতা সঞ্জয় চক্রবর্তী মানিক, পন্ডিত মিঠুন আচার্য্য, বাপ্পি দে, সঞ্জয় ধর, মিথুন দাশ, প্রান্থ ব্যানার্জী, সুমন তালুকদার, রণি দাশ, লিটন নাথ, আশু কান্তি নাথ প্রমুখ।

    অনুষ্ঠানে প্রায় ১ হাজার সনাতনী ভাইবোনদের মাঝে শাড়ী লুঙ্গি বিতরণ করা হয়।