Tag: শাহাদাত হোসেন

  • করোনার সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না: ডা.শাহাদাত

    করোনার সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না: ডা.শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মাহানগর বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, এই সরকার একটি ফ্যাসিবাদী সরকার। সারাদেশে এখনো করোনাকাল চলছে। সেই প্রেক্ষিতে আমরা মহানগর বিএনপির ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মাস্ক ও ঔষুধসহ করোনা সামগ্রী বিতরণের জন্য প্রশাসনের কে চিঠি দিয়েছিলাম। সেই প্রেক্ষিতে আজ আনিকা কমিউনিটি সেন্টারে চকবাজার ওয়ার্ড এর উদ্যোগে মাস্ক ও ঔষধ বিতরণের অনুষ্ঠান সকাল দশটায় শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনুষ্ঠানের এক ঘণ্টা আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠান না করার জন্য বারণ করে এবং পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে মাস্ক ও ওষুধ বিতরণ কর্মসূচি বন্ধ করে দেয়। এইভাবে একটি দেশ স্বৈরাচারী কায়দায় চলতে পারে না। দেশের প্রতিটি মানুষ এই সরকারের হাতে জিম্মি। এই সরকার জনকল্যাণমূলক কোন কাজে ধারে কাছেও নেই। উন্নয়নের নামে দুর্নীতি ও লুটপাট নিয়ে ব্যস্ত। বিএনপি জনকল্যাণমূলক কর্মসূচী নিলেই তাদের চুলকানি শুরু হয়।

    তিনি আজ শনিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে চকবাজার ওয়ার্ড এর উদ্যোগে মাস্ক ও ঔষধসহ করোনা সামগ্রী বিতরণে বাধার প্রতিবাদে দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে তৎক্ষণাৎ এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

    প্রতিবাদ সমাবেশে ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, এই সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই, প্রশাসনের উপর ভর করেই দেশ চালাচ্ছে। প্রশাসন নির্ভর এই ফ্যাসিস্ট সরকার দীর্ঘ এক যুগ এর অধিক দেশের জনগণের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। দুর্নীতি-দুঃশাসন চালিয়ে যাচ্ছে।তার জবাব আপনাদেরকে একদিন দিতে হবে। জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। বিএনপি জনগণের দল। জনগণকে নিয়েই বিএনপির রাজনীতি করে। বিএনপি বিরুদ্ধে যতই ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন জনগণের কল্যাণে দেশের মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রাজপথেই থাকবে।

    প্রধান বক্তার বক্ত‌ব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির সাধারণ সম্পাদক আবুল হা‌শেম বক্কর ব‌লে‌ছেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, বিধায় জনগণের প্রতি সরকারের কোন দায়বদ্ধতা নেই। করোনা মোকাবেলায় সরকারের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি বিশ্বের বুকে দেশের মান চরমভাবে ক্ষুণ্ণ করেছে। করোনা মোকাবেলায় সরকার চরমভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তাই সরকারের হাতের দিকে চেয়ে লাভ নেই, স্ব স্ব অবস্থান থেকে মানুষের পাশে দাড়াতে হবে।

    তি‌নি ব‌লেন, বর্তমা‌নে সারা‌বি‌শ্বে ক‌রোনা ভাইরা‌সের পূণরায় সংক্রাম বৃ‌দ্ধি পা‌চ্ছে। সাম‌নে শীতকালে বাংলা‌দে‌শেও ক‌রোনা ভাইরা‌সের সংক্রামন বৃ‌দ্ধির আসংঙ্কা র‌য়ে‌ছে। আমরা সাম‌জিক অবস্থান থে‌কে চকবাজার ওয়া‌র্ডে ক‌রোনা সংক্রান রো‌ধে করনীয় ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করতে চেয়েছিলাম। সরকা‌রের এ‌জেন্ডা বাস্তাবয়‌নের ল‌ক্ষে প্রশাসন আমা‌দের সে কর্মসূ‌চি পালন কর‌তে দেয়‌নি। বিএন‌পির কর্মসূ‌চি‌তে বাধা দি‌য়ে সরকা‌রের দুর্নী‌তি ও লুটপাট‌কে আড়াল করা যা‌বেনা। দে‌শের মানুষ থে‌কে সরকার বি‌চ্চিন্ন ও জনধি‌ক্কিত হ‌য়ে‌ছে।

    প্রতিবাদ সমাবেশ ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মনজুর আলমের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম বাবলুর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী, যুগ্ন সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, ড্যাব চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন ঢালী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. সারোয়ার আলম, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট পারভীন চৌধুরী, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন কায়সার লাবু, সহ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বেগম লুৎফুন্নেসা, চকবাজার থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন , মোহাম্মদ মহসিন, একরামুল হক, খাইরুজ্জামান জনু।

    ১৬ নং চকবাজার ওয়ার্ড বিএনপি নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব আবু আহমেদ, জামাল আহমেদ, রঞ্জু মিয়া, মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, ওসমান গনি, মোহাম্মদ জসিম বাদশা, মোঃ সেলিম উদ্দিন, মোঃ পারভেজ, হাসান ওসমান গনি লিটন, মোহাম্মদ ওসমান, মোঃ জসিম, আলমগীর, বাপ্পি, প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো টেলিমেডিসিন সেবা দিয়ে সাড়া ফেলেছেন ডা: শাহাদাত

    চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো টেলিমেডিসিন সেবা দিয়ে সাড়া ফেলেছেন ডা: শাহাদাত

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ :::: সারা বিশ্বে মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কঠিন মুহুর্তে দেশের অনেক ডাক্তার যখন চিকিৎসা সেবা প্রদানে অনিহা দেখাচ্ছেন আবার অনেক ডাক্তার সেবা দিতে গিয়ে মারাত্বক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছেন। এই অচলাবস্থায় যাতে কোনো রোগী চিকিৎসা বঞ্চিত না হয় সেজন্য এমন সময়ে মোবাইলে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি ও চসিক নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা: শাহাদাত হোসেন।

    দিনভর প্রিয় শহরের প্রাণপ্রিয় নগরবাসির সেবায় নেতা হিসেবে অসহায় দুঃস্থ দিনমজুরের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত দু ঘন্টা ফিরছে চিকিৎসকের পেশায়।

    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের পেইজে প্রতিদিন দুই ঘণ্টা লাইভে থেকে জরুরি চিকিৎসা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন ডা: শাহাদাত হোসেন।

    স্বাস্থ্যগত যেকোন সমস্যা নিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ তার ফেসবুক লাইভে যুক্ত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা ও জরুরি পরামর্শ গ্রহণ করছে। চট্টগ্রামের গন্ডি পেরিয়ে দেশ এবং দেশের বাইরে অবস্থান করা প্রবাসীরাও এই টেলি মেডিসিনের সেবা নিচ্ছেন। দেশের বাইরে দুবাই, সৌদি আরব, ওমান,কাতার,সিঙ্গাপুর,যুক্তরাজ্য,যুক্তরাষ্ট্র,স্পেন,মালয়েশিয়া, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া এবং কানাড থেকে প্রবাসীরা ফোনে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।

    প্রতিদিন ডা: শাহাদাতের ফেসবুক লাইভের ভিউ ছাড়িয়ে যায় লাখ থেকে কয়েক লাখ।

    জানা গেছে গত ৪ এপ্রিল ফেসবুক ভেরিফাইড পেইজে তিনি চিকিৎসা সেবার ঘোষণা দিয়ে তিনি নগরবাসীর উদ্দ্যেশে একটি পোস্ট করেন।

    নিচে তার পোস্টটি হুবুহু তুলে ধরা হলো:

    প্রিয় নগরবাসী সালাম/আদাব নিবেন।

    লকডাউনের এই সময়ে অনেকে অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যাই ভুগছেন কিন্তু সব কিছু বন্ধ থাকায় ডাক্তারের কাছেও যেতে পারছেন না বা পরার্মশ নিতে পারছেন না, আমারও অনেক রোগী আছে যারা আমাকে নিয়মিত ফোন দিচ্ছে।

    “সেবাই পরম ধর্ম”
    অন্যসব সময়ের মতো এই দুঃসময়েও আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই, আপনাদের সেবাই নিজেকে নিয়োজিত করতে চাই।

    আমি প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭.৩০-৯.৩০ পর্যন্ত লাইভে থাকবো, আপনারা আপনাদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কথা আমার সাথে শেয়ার করতে পারেন, আমি সর্বাত্নক চেষ্টা করবো আপনাদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে।

    সবাই সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, ধন্যবাদ।

    তাছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে গৃহবন্দি সাধারণ নগরবাসীকে ঘরে ঘরে চিকিৎসা সেবা ও জরুরি পরামর্শ দিতে ডা. শাহাদাতের উদ্যোগে বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠন করা হয় একটি মেডিকেল টিম।

    যেখানে সিনিয়র জুনিয়র মিলে ৭ জন চিকিৎসক অনলাইনে বিনামূল্যে জরুরি চিকিৎসা ও পরামর্শ দিচ্ছেন।

    ফেসবুক পেইজে মেসেজ পাঠালে ডাক্তাররা তার উত্তর দিচ্ছেন। সব ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যায় আলোচনা করা যাবে এই প্লাটফর্মে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সাথে। গুরুতর কোন কিছু হলে ফোন করে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে ডা. শাহাদাত ছাড়াও তার মেডিকেল টিমের সকল সকল চিকিৎসকের ফোন নাম্বার দেওয়া হয়েছে।

    করোনা হেল্প সেন্টারের ডাক্তারদের তালিকা:

    ডা: শাকির উর রহমান ০১৬১৬-৪৯১৬১৩

    ডা: হাসানুল বান্না ০১৭৪০-৫০৮১৪৪

    ডা: আরফান খান নিবীর ০১৬৭৬-৩১৯২২০

    ডা: সাগর আজাদ ০১৭৬৩-৭৫৮৭৫৮

    ডা: মীর কাশেম মজুমদার ০১৬৮৩-৪১৬৪২৬

    ডা: তৌকিরুল ইসলাম ০১৬৭৩-৭০৪৩৭২

    ডা: তানভীর হাবিব তন্মা ০১৭৬০-৮৮৮৭৭৭

    এ বিষয়ে চিকিৎসক ও বিএনপির নগর সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, জানান, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দুঃস্ত দিনমজুর ও অসহায় ছাড়াও মধ্যবিত্ত জনগণের মাঝে আমার সাধ্যমত সহায়তা প্রদানের চেষ্টা করছি।

    তাছাড়া যেহেতু পেশায় আমি চিকিৎসক তাই নগরবাসীর দুঃসময়ে ঘরবন্দি মানুষের স্বাস্থ্য সেবাটাও নিশ্চিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।অনলাইনে ফেসবুক লাইভে স্বাস্থ্য সেবা প্রার্থীদের সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।

    তিনি বলেন, প্রতিদিন ৫০০ এর অধিক মানুষকে অনলাইনে ফ্রি সেবা প্রদান করছে তার টিমের চিকিৎসকরা।

    বাংলা নববর্ষ ১৪২৭ কে স্বাগত জানিয়ে চট্টগ্রামবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ডা: শাহাদাত। তিনি বলেন, এই দুর্যোগকালীন সময়ে আপনারা নিজ ঘরে অবস্থান করে পরিবার পরিজন নিয়ে নববর্ষ পালন করুন। বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হতে তিনি নগরবাসীর প্রতি বিশেষ অনুরোধ করেছেন।

    পরিশেষে চসিক নির্বাচনে বিএনপির এই মেয়র প্রার্থী বলেন,প্রিয় নগরবাসী আপনার ঘরে থাকুন,ঘরে থাকুন এবং ঘরে থাকুন।

    ইতিমধ্যে ডা: শাহাদাতের একটি নির্বাচনী বার্তা চট্টগ্রামবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি সেটি হলো-নগর পিতা নই,নগর সেবক হতে চাই।

    যে কেউ যেকোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যার জরুরি সমাধান পেতে হটলাইনে যোগাযোগ করতে পারেন এই নাম্বারে ০১৭১৫-১৯৮৬১২  অথবা ফেসবুক পেইজ https://www.facebook.com/DrShahadat7/

    ইতোমধ্যে ডা: শাহাদাতের এই স্বাস্থ্য সেবা সকলের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। লাইভে শুধু স্বাস্থ্য সেবাতে তিনি থেমে থাকেননি। এর পাশাপাশি তিনি এই দূর্যোগকালীন সময়ে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষদের পাশে ত্রাণ নিয়েও দাঁড়িয়েছেন। প্রতিদিন তার পক্ষ থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় নিম্মবিত্ত,মধ্যবিত্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে খাদ্য সামগ্রী।

    এছাড়াও জনসাধারণের মাঝে প্রতিনিয়ত মাস্ক,গ্লোভস,হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও করোনা সচেতনামূলক লিফলেট প্রদান অব্যাহত রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা /মোরশেদ রনী

     

  • ডাঃ শাহাদাতের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করলেন আবু সুফিয়ান

    ডাঃ শাহাদাতের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করলেন আবু সুফিয়ান

    দেশে প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) ব্যাপক বিস্তার ঠেকাতে সরকার সারাদেশে সাধারন ছুটি ঘোষণা করে সব মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে। সরকারি এই নির্দেশনা মানতে গিয়ে জীবিকার সংকটে পড়েছে সাধারণ খেটে খাওয়া গরিব মানুষ গুলো। সেই ধরনের পরিবারকে চসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেনের পক্ষ থেকে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন বিভিন্ন ওয়ার্ডের জন্য খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।

    আজ মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) বিকালে নগরীর প্রবর্তক মোড়স্থ ট্রিটমেন্ট হাসপাতালের সামনে অসহায় ছিন্নমূল মানুষ ও পাঁচলাইশ ৩ নং ওয়ার্ডের জন্য চাউল, ডাল, তেল, আলু, পিয়াজ, লবণ ও সাবানসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

    ডাঃ শাহাদাত হোসেনের পক্ষে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিঃ সহ সভাপতি ও দক্ষিণ জেলার আহবায়ক আবু সুফিয়ান।

    এসময় তিনি বলেন, দেশের এই দুর্যোগ মূহূর্তে দুর্বল জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দান, দুর্বলের পাশে থাকা প্রতিটি ক্ষমতাবান মানুষের কর্তব্য। হতদরিদ্র মানুষগুলো আজ বড় অসহায়। তাদের কাজকর্ম নেই, বেকার হয়ে বসে আছে। তাই মানবিক কারণে তাদেরকে সহায়তায় সমাজের সামর্থ্যবান মানুষদেরকে এগিয়ে আসা উচিত। তিনি সকল সক্ষম মানুষকে নিজের অবস্থান থেকে অপেক্ষাকৃত কম শক্তি সম্পন্ন মানুষের প্রতি সদয় হওয়ার আহ্বান জানান।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম নাগরিক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক ও মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উপদেষ্টা জাহিদুল করিম কচি, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম, সহ দপ্তর সম্পাদক মোঃ ইদ্রিস আলী, বায়েজিদ থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের জসিম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, ডাঃ শাহাদাত হোসেনের একান্ত সচিব মারুফুল হক চৌধুরী প্রমূখ।

  • যারা নির্বাচন করতে চেয়েছে তারা জনগণের সেবক হতে পারে না:শাহাদাত

    যারা নির্বাচন করতে চেয়েছে তারা জনগণের সেবক হতে পারে না:শাহাদাত

    চসিক নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, জনগণকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রেখে যারা নির্বাচন করতে চেয়েছে তারা জনগণের সেবক হতে পারে না।

    তিনি শনিবার (২১ মার্চ) দুপুরে নগরীর লালখান বাজার মোড়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সাধারন মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরনের সময় এ কথা বলেন।

    তিনি বলেন, চসিক নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী ছাড়া অন্য সব মেয়র প্রার্থীরা জনগণকে করোনা থেকে মুক্ত রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছে। আওয়ামীলীগ প্রার্থী বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে জনসমাবেশ করে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছে। তিনি গণসংযোগের মাধ্যমে জনগণকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে নিয়ে যাচ্ছে। যারা সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা না করে যে কোন প্রকারে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখে তারা জনগণের সেবক হতে পারে না।

    তিনি বলেন, সাধারন মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থে নির্বাচন স্থগিত করার জন্য আমরা আগে থেকে দাবি জানিয়ে আসছিলাম। কিন্তু ইসি তাতে কর্ণপাত করে নাই। ঢাকা উপনির্বাচনে ভোটারের অনুপস্থিতির কারণে নির্বাচন কমিশন হতবাক হয়ে যায়। যার প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের নির্বাচন স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রাম এখন করোণা ভাইরাসের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে। অথচ চট্টগ্রামের ৭০-৮০ লক্ষ মানুষকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রেখে তারা নির্বাচনের নামে তামাশা করতে চেয়েছিল। আমরা চট্টগ্রামবাসীর দুঃখ-দুর্দশা, তাদের নিরাপত্তা ও নিরাপদ একটি শহরের জন্য আমরা জনগণের দল হিসেবে জনগণের পাশে আছি এবং থাকবো। জনগণের স্বাস্থকে ঝুঁকিমুক্ত রাখায় আমাদের কাছে মূখ্য।

    তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার বিনা কারণে জেলে বন্দি করে রেখেছে। আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী ও জেলে বন্দি হয়ে আছে। জেলখানায় ধারন ক্ষমতার চেয়ে বেশি বন্দি রয়েছে। যারা জেলে বন্দি আছে তারা করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি খুবই বেশি। তাই বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল বন্দিদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।

    এসময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বিএনপি হচ্ছে জনগণের দল। আমরা জনগণের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে নির্বাচন স্থগিত করার কথা বলেছি। কিন্তু আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী বিএনপি হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচন স্থগিত করতে চান বলে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে।

    তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ জনগণকে ভয় পায়। তারা ভোটারশুণ্য নির্বাচনে জনগণকে বাদ দিয়ে ভোট ডাকাতি করে তাড়াতাড়ি মেয়রের চেয়ারে বসতে চেয়েছিল। আমরা চাই জনগণ ভোটকেন্দ্রে আসুক। জনগণের ভোট নিয়ে আমরা মেয়র হতে চাই।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, সহ সাংগাঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ ভিপি, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, লালখান বাজার ওর্য়াড কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল হালিম শাহ আলম, গাজী সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম, আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক ইউসুফ জামাল, মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী মনোয়ারা বেগম মনি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম স্বপন, সহ স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক আরিফ মেহেদি, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কারামুক্ত সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, সদস্য ইউসুফ আলী, লালখান বাজার ওর্য়াড বিএনপির সভাপতি এ্যাডঃ আবুল কাশেম মজুমদার, সাধারন সম্পাদক নাসিম আহমেদ, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জিয়াউর রহমান জিয়া, জমির উদ্দিন নাহিদ, হেলাল হোসেন, আব্বাস উদ্দিন, নুরুল ইসলাম, এ্যাডঃ মো. লিটন, নুর হোসেন উজ্জ্বল, মোস্তফা কামাল, বেলাল হোসেন, নাসির উদ্দিন প্রমুখ

     

  • এই মূহুর্তে চসিক নির্বাচন বন্ধ করুন : আমির খসরু

    এই মূহুর্তে চসিক নির্বাচন বন্ধ করুন : আমির খসরু

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচন এই মুর্হূতে বন্ধ করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

    শুক্রবার (২০ মার্চ) নগরীর মেহেদীবাগস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

    তিনি বলেন, সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি থেকে বাঁচার জন্য মানুষকে এখন একজনের সাথে একজনের চার ফুট দুরত্বে থাকতে হচ্ছে।লোকজনকে ঘর থেকে বের হতে বারন করা হচ্ছে। সরকার সারাদেশে সভা-সমাবেশ, বিয়ে, সবকিছু বন্ধ করে দিয়েছে। রাস্তাঘাটে মানুষ এখন বের হচ্ছে না আর সেখানে বাংলাদেশে এখন নির্বাচন হচ্ছে।

    তিনি বলেন, দেশের এই রকম একটা সংকটে জাতিকে এভাবে ঝুঁকির দিকে ঠেলে দেওয়া একটা গর্হিত সিদ্ধান্ত। দেশের ১৭ কোটি গণবসতিপূর্ণ মানুষ বাস করে। একটা যদি দুর্যোগ হয় তাহলে এর দায়দায়িত্ব কে নিবে? তাই এই মুহুর্তে নির্বাচন বন্ধ করা দরকার।

    তিনি বলেন, নির্বাচন হচ্ছে নাগরিকের অধিকার। ভোটকেন্দ্রে যাওয়া এবং ভোট দেওয়া সাংবিধানিক বাধ্যবাদগতার বিষয়। নাগরিকের যেখানে বাধ্যবাদকতা সেটা আপনারা খোলা রেখেছেন। আর যেখানে মানুষ যেতে না চাইলে না যেতে পারবে সেটা বন্ধ করে দিয়েছেন। আগে নির্বাচন বন্ধ করে তারপর বাকি সব বন্ধ করা উচিত ছিল। কারণ প্রচারণায় গেলে তো লোকজন সীমিত করতে পারবেন না। মানুষ এখন লিফলেট নিতে দরজা খুলছে না। এখন পরিস্থিতি এমন অবস্থায় চলে গেছে। এমন অবস্থায় কেন নির্বাচন করতে হবে? কার স্বার্থে এই নির্বাচন?

    “ঢাকার সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচন সাংবিধানিক বাধ্যবাদগতার কারণে করছে” ইসির এমন মন্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাদগতা বাড়ে, নাকি মানুষের জীবন বাড়ে। ইসি সংবিধানের দোহাই দিয়ে মানুষকে এভাবে একটা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ঠেলে দিচ্ছে। ভোটের দিন ইভিএম মেশিনে একটার পর একটা ফ্রিঙ্গারফ্রিন্ট দেওয়ার সময় কেউ যদি করোনা আক্রান্ত থাকে তাহলেতো সবাই সংক্রমিত হবে। এটার দায়দায়িত্ব কে নিবে?

    এইরকম ভয়াবহ পরিস্থিতির পরে ও ইসি নির্বাচনের বিষয়ে অটল কেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইসি কি মানুষের স্বাস্থ্য ও জীবন নিয়ে খেলা করতে চায়? আমরা মনে করি, মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে রেখে নির্বাচনী কর্মকান্ড করার কোন সুযোগ নেই। নির্বাচনী কর্মকান্ডে সাংবাদিক সহ সবাই জড়িত। কেউতো রেহাই পাচ্ছে না। ইসি ভোট বন্ধ না করলে শনিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    এসময় বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমাদের কাছে মানুষের জীবনটাই মূখ্য। জনগণতো আমাদের সাথে আছে। জনগণকে বাদ দিয়ে আমরা রাজনীতি করতে পারবো না। সেজন্য জনগণের নিরাপত্তা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। মাঠের জরীপে আমরা এগিয়ে থাকলেও নির্বাচনের বিজয়ী হওয়াটা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। সিভিল সার্জন ইতিমধ্যে বলেছে, দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শহর হচ্ছে চট্টগ্রাম। এখানে সভা-সমাবেশ সমাগম সবকিছু বন্ধ করে দিতে হবে। এ অবস্থায় আমরা মনে করি, ইসি মানুষের বিরুদ্ধে কাজ করছে। মানুষের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনে যদি নির্বাচন থেকে সরে যেতে হয় তাহলেও আমি রাজী আছি।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. সুকোমল বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবের রহমান শামিম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, সহ-সভাপতি শফিকুর রহমান স্বপন, নিয়াজ মো. খান, উপদেষ্টা জাহিদুল করিম কচি, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, সহ দপ্তর-সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী প্রমুখ।

     

  • রেজাউল-সুজনকে মাস্ক পরিয়ে দিলেন ডা. শাহাদাত

    রেজাউল-সুজনকে মাস্ক পরিয়ে দিলেন ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজনকে মাস্ক পরিয়ে দিলেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা: শাহাদাত হোসেন।

    বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) সকালে নগরীর জামাল খান সড়ক ও প্রেসক্লাব এলাকায় করোনা ভাইরাস সতর্কতায় বিশেষ পদক্ষেপ হিসেবে সাংবাদিক ও সাধারন মানুষেরে মধ্যে মাস্ক বিতরণ করেন ডা: শাহাদাত হোসেন।

    প্রেসক্লাবে একটি বেসরকারি টেলিভিশন কর্তৃক সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন ডা: শাহাদাত হোসেন ও রেজাউল করিম চৌধুরী। সাধারন মানুষের মধ্যে মাস্ক বিতরন সম্পন্ন করে ওই অনুষ্ঠানে প্রবেশ করেন ডা: শাহাদাত হোসেন। সেখানে রোজউল করিমের সাথে মুখোমুখি হলে ডা: শাহাদাত হোসেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে একটি মাস্ক পরিয়ে দেন। পর রেজাউল করিম চৌধুরীও একটি মাস্ক নিয়ে পরিয়ে দেন ডা: শাহাদাতের মুখে।

    তার আগে সড়কে মাস্ক বিতরণকালে আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন প্রেসক্লাব ভবন থেকে নীচে নামছিলেন। ওই ভবনে তার ব্যবসায়িক আফিস।

    মাস্ক পরানোর সময় খোরশেদ আলম সুজন বর্তমান পরিস্থিতিতে বেশি জনসমাগম না করার জন্য বিএনপির নেতা- কর্মীদের পরামর্শ দেন।

    মেয়র প্রার্থী ডা: শাহাদাত হোসেন বলেন, জনগনের নিরাপত্তা সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাওয়া প্রয়োজন।করোনা ভাইরাস মহামারীর প্রেক্ষিতে জনগনের স্বার্থ বিবেচনায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানান তিনি।

    এসময় ডা: শাহাদাত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, জনগনের নিরাপত্তার জন্য, জনগনের স্বাস্থ্য রক্ষায় নির্বাচন কমিশনকে জরুরী পদক্ষেপ নিতে হবে। করোনা ভাইরাসের কারনে গনসচেতনতা বৃদ্ধি করার কোন বিকল্প নেই।

    আমাদের মাস্ক পড়তে হবে, হাত ধুতে হবে, ভিটামিন সি সম্মৃদ্ধ খাবার খেতে হবে বলেন তিনি।

    ডা: শাহাদাত হোসেন বলেন, সরকার, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন সব মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে সামগ্রিক ভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির মহিলা বিষয়ক সহ- সম্পাদক ও চিকিৎসক ডা: লুসি খান, পেশাজীবি নেতা এডভোকেট মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।

  • পরিবেশ বান্ধব আধুনিক স্মার্ট বাকলিয়া গড়তে বাকলিয়াবাসির সমর্থন চাই-ডা. শাহাদাত

    পরিবেশ বান্ধব আধুনিক স্মার্ট বাকলিয়া গড়তে বাকলিয়াবাসির সমর্থন চাই-ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনিত প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছন, আমি বাকলিয়ার সন্তান। বাকলিয়া আমার নিজের এলাকা। বাকলিয়ার মানুষের সাথে আমার রক্তের সর্ম্পক। এখানে আমার জন্ম ও বেড়ে উঠা। এক সময়ের অনুন্নত এই বাকলিয়াকে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান ও সাবেক মেয়র মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীনের একান্ত প্রচেষ্টায় শহরে রুপদান করা হয়েছে। অবহেলিত বাকলিয়াকে উন্নত এলাকায় রুপান্তর করা হয়েছে। আমি মেয়র নিবার্চিত হলে এই বাকলিয়াকে একটি আধুনিক,সুন্দর,মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত,আর্বজনামুক্ত পরিবেশ বান্ধব এলাকায় পরিণত করবো।

    তিনি আজ রবিবার (১৫ মার্চ) পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিন বাকলিয়া এলাকায় ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগকালে এসব কথা বলেন।

    তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদল্লাহ আল নোমান ও মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন কে সাথে নিয়ে রাহাত্তার পুল মোড় থেকে গণসংযোগ শুরু করে কেবি আমান আলী রোড, ধুনীর পুল,ডিসি রোড, মিয়ার বাপের মসজিদ,দেওয়ান বাজার,বৌ বাজার,মাষ্টার পুল, বাদামতল,মুজাহেরুল উলুম মাদ্রাসা সড়ক,চর চাকতাই স্কুল, ময়দার মিল,ইসহাকের পুল, তুলাতলী,কালামিয়া বাজার এলাকায় এসে শেষ করেন ।

    এ সময় ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বৃহত্তর বাকলিয়ার উন্নয়নে আবদুল্লাহ আল নোমান ও মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের অবদান সবচেয়ে বেশি। বাকলিয়ায় এক সময় কোন স্কুল কলেজ ছিল না। শিক্ষার মান উন্নত করার জন্য বিএনপির সময়ে বাকলিয়ায় উচ্চ ও মাধ্যমিক স্কুল এবং একমাত্র শহীদ এনএমজে ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। তাছাড়া বাকলিয়া স্টেডিয়াম ও কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। বিএনপি বাকলিয়ার আইলকে রাস্তায় পরিণত করেছে। বাকলিয়ায় বিভিন্ন মসজিদ ও মন্দির নির্মাণে অনুদান দেয়া হয়েছিল। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে বৃহত্তর বাকলিয়া বাসীর জন্য চাইল্ড কেয়ার ও মাতৃসদন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করবো।অবহেলিত এই বাকলিয়ার উন্নয়নে নিজিকে উৎর্সগ করবো।

    গনসংযোগকালে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদল্লাহ আল নোমান বলেন, বাকলিয়া নগরীর একটি প্রসদ্ধি ও ঐতহ্যিবাহি এলাকা। এখানকার রাস্তাঘাট, অলিগলি সবই আমার চেনাজানা। র্দীঘদিন ধরে অবহলেতি থাকা এ বাকলিয়ায় আমি অনেক উন্নয়ন মূলক কাজ করেছি। বাকলিয়া বাসীর প্রতি আমার অনেক দাবী আছে। সেই দাবী নিয়ে আমি ডা. শাহাদাত হোসেনের জন্য ধানের শীষে ভোট চাইতে এসেছি। ডা: শাহাদাত হোসনে একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবীদ ।তাকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে কারাবন্দী বেগম খালেদার জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে বেগবান করবেন।

    গনসংযোগকালে বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, ভোটের দিন সকালে সকালে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোট কেন্দ্র পাহারা দিয়ে পাশাপাশি ভোটে বাধাদানকারী দুষ্কৃতিকারীদের প্রতিহিত করে ভোটের অধিকার আদায় করে নিতে হবে।

    তিনি বলেন,পিছিয়ে থাকা বাকলিয়াবাসীর নাগরিকমান উন্নয়নের জন্য ডা. শাহাদাতের বিকল্প হতে পারে না।সকলকে ২৯ তারিখ ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ধানের শীষে ভোট দেয়ার আহবান জানান।

    গনসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সি. সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম, ইদ্রিছ মিয়া চেয়ারম্যান,সহ-সভাপতি অধ্যাপক নূরুল আলম রাজু, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দীন,ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী সিরাজ উল্লাহ, ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ইয়াসিন চৌধুরী আসু, ইসহাক চৌধুরী আলিম,ধর্ম সম্পাদক নুরুল আক্তার,প্রশিক্ষণ সম্পাদক এম আই চৌধুরী মামুন, গণ শিক্ষা সম্পাদক ইব্রাহিম বাচ্চু,পরিবেশ সম্পাদক আমিন মাহমুদ,সহ সম্পাদক একে খান, মো শাহজাহান,অধ্যক্ষ খুরশেদ আলম,মহিলা দলের সাধারন সম্পাদক জেলী চৌধুরী, বাকলিয়া থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আফতাবুর রহমান শাহিন, মো. মহসিন, সাহেদা বেগম পারভীন, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো: সেকান্দার, সাধারন সম্পাদক মো. হাজী এমরান, ইয়াকুব চৌধুরী নাজিম ,নগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, কাউন্সিলর প্রার্থী আরিফুল ইসলাম ডিউক,মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী শাহেনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, মাহমুদা সুলতানা ঝর্ণা,নাছরিন আক্তার প্রমুখ।

     

  • শাহাদাত নগরবাসীর ভোটের মর্যাদা নিশ্চিতভাবে রক্ষা করবেন:মীর নাছির

    শাহাদাত নগরবাসীর ভোটের মর্যাদা নিশ্চিতভাবে রক্ষা করবেন:মীর নাছির

    বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী ও মেয়র মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বিশিষ্ট চিকিৎসক ও সমাজ সেবক ডাঃ শাহাদাত হোসেনকে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করার জন্য সর্বস্তরের নগরবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।

    মীর নাছির আজ শনিবার (১৪ মার্চ) বিকেলে তাঁর নগরীর চট্টেশ্বরী রোডের বাস ভবন ডালিয়া কুঞ্জের সম্মুখস্থ মাঠে চসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন এর ধানের শীষ প্রতীকের সমর্থনে আয়োজিত এক উঠান-বৈঠক সমাবেশে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখছিলেন।

    তিনি বলেন, আপনারা ডাঃ শাহাদাত হোসেনকে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিন। তিনি আপনাদের ভোটের যথাযথ মর্যাদা নিশ্চিতভাবে রক্ষা করবেন।

    বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেনকে একজন অতিশয় ভদ্রলোক, ন্যায় পরায়ন, ধর্মভীরু ও কর্মবীর আখ্যা দিয়ে সাবেক মেয়র মীর নাছির বলেন, স্মার্ট, আধুনিক ও হেলদি সিটি গড়ে তুলতে তাঁর মতো একজন উন্নত মন-মানসিকতা সম্পন্ন, রুচিশীল ব্যক্তিত্বকে মেয়রের আসনে বিজয়ী করা নগরবাসীর নৈতিক দায়িত্ব। সে লক্ষ্যে আগামী ২৯ মার্চ সকল বাঁধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে প্রতিটি ভোটারকে তাদের মূল্যবান রায় ধানের শীষ প্রতীকে প্রদানের জন্য তিনি আহবান জানায়।

    চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার বিএনপি’র আহবায়ক ও মহানগর বিএনপি সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন- বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী ও নগর বিএনপি সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক চাকসু এজিএস মাহাবুবুর রহমান শামীম, সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক- আবুল হাশেম বক্কর, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম, দক্ষিণ জেলার বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক আলী আব্বাস, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমদ খান।

    মীর নাছির বলেন, ডাঃ শাহাদাত চিকিৎসার সেবার পাশাপাশি সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের সেবায় নিরলসভাবে কাজ করে নিজেকে ইতোমধ্যে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। ক্ষমতা অধিষ্ঠিত না হয়েও স্বউদ্যোগে, স্বেচ্ছাশ্রমে নিজের অর্থায়নে নগরবাসীর সেবায় তিনি নিজেকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে নিয়োজিত রেখেছেন। সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে তাঁর মতো একজন প্রখর মেধাসম্পন্ন কর্মবীর মানবমুখী মানুষের প্রয়োজন। তাই আসন্ন নির্বাচনে ডাঃ শাহাদাত হোসেনকে ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী করতে পাড়ায়-মহল্লায় কেন্দ্র কমিটি গঠন করে সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার নির্বিঘ্নে প্রয়োগের ব্যবস্থার করার জন্য মীর নাছির দলীয় নেতা কর্মীদের প্রতি দৃঢ়ঐক্য গড়ে তোলার আহবান জানান।

    প্রধান বক্তা মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, চেয়ারের মোহে নয়, বরং আত্মার টান থেকে এই নগরবাসীর সেবা করতে আমি দৃঢ় অঙ্গিকারাবদ্ধ। আপনারা আমাকে ভোট দিন, আমি নিজেকে আপনাদের খাদেম হিসেবে গড়ে তুলবো। আমার কাজের হিসাব কড়ায় গন্ডায় নগরবাসীকে বুঝিয়ে দেবো। সকল দূর্নীতি-স্বজনপ্রীতি, লোভ-লালসার উর্দ্ধে ওঠে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করবো।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাহাবুবুর রহমান শামীম বলেন, বিএনপি সাধারণ জনগণের সংগঠন। ডাঃ শাহাদাত গণমানুষের জন্য দীর্ঘদিন কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁকে ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী করলে নগরবাসী উপকৃত হবে।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, চট্টগ্রামসহ সারাদেশের মানুষ ২৯ মার্চের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছেন। নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত না করে জালজালিয়াতে আশ্রয় নিলে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

    সভাপতির বক্তব্যে আবু সুফিয়ান বলেন, ডাঃ শাহাদাত হোসেন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। তাঁর গায়ে কোন প্রকার কালীমার চিহ্ন নেই। একজন পরিশ্রমী কর্মবীর হিসেবে তাঁকে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করলে তিনি চট্টগ্রামকে একটি নিরাপদ স্মার্ট ও আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন।

    নগর বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন ও মাহাবুব রানার পরিচালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- দক্ষিণ জেলার বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, আলহাজ্ব ইদ্রিস মিয়া চেয়ারম্যান, উত্তর জেলার বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সহ-সভাপতি হারুন জামান, ইকবাল চৌধুরী, বিএনপি নেতা আব্দুল গফ্ফার চৌধুরী, বদরুল খায়ের চৌধুরী, জিএম আইয়ুব খান, জহির আহমদ, ইছাক চৌধুরী আলীম, ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী এয়াকুব চৌধুরী, ১৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সালাহ উদ্দিন কায়সার লাভু, আবু মুছা, জসিম উদ্দিন মিন্টু, আব্দুল কাদের জসিম, ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ ইলিয়াছ, ১৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সাইফুদ্দীন মোঃ রাশেদ. ৩০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হাবিবুর রহমান, বিএনপি নেতা আকতার খান, মোঃ শফিকুল ইসলাম, তৌহিদুস সালাম নিশাত, জামাল আহমদ, শাহ আলম, শামছুল আলম, গাজী মোঃ ইউছুফ, চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান, মোহাম্মদ আবু, আবদুর রহিম, মঞ্জুর আলম, আবু আহমদ, আলহাজ্ব মোহাম্মদ ফয়েজ, মোহাম্মদ ইলিয়াছ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

  • নির্বা‌চিত হ‌লে হোল্ডিং ট্যাক্স কমানোর সম‌ন্বিত উ‌দ্যোগ নিবো : ডা.শাহাদাত

    নির্বা‌চিত হ‌লে হোল্ডিং ট্যাক্স কমানোর সম‌ন্বিত উ‌দ্যোগ নিবো : ডা.শাহাদাত

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচ‌নে বিএন‌পির মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হো‌সেন বলেছেন, নির্বাচিত হলে নগরবাসীর সা‌থে আ‌লোচনা ক‌রে সম‌ন্বিত উ‌দ্যোগের মাধ্য‌মে হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ করবো। নগরবাসীর জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর উদ্যোগ গ্রহণ করবো।

    আজ শনিবার (১৪ মার্চ) নগরীর ৩৬ নং গোসাইলডাঙ্গা ২৭ নং দক্ষিন আগ্রাবাদ ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে পথসভায় তি‌নি এই সব কথা ব‌লেন।

    তিনি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে বারিক বিল্ডিং কালিবাড়ি জে আর কে স্কুলের সামনে থেকে গণসংযোগ শুরু করে আব্দুর রহমান শাহ মাজার লেইন, কে বি দোভাষ লেইন, টান্ডা মিয়া লেইন, ফকিরহাট রোড, পশ্চিম গোসাইলডাঙ্গা, ফকিরহাট বাজার, সিডিএ ৯ নং রোড, ৩ নং জেডি গেইট, নীমতলা, আবদুল লতিফ সড়ক, খালপাড়, গফুর সওদাগর বাড়ি লেইন, পশ্চিম নিমতলা, আবু সৈয়দ সওদাগর বাড়ি লেইন,বিশ্ব রোড মোড় ও বড়পুল শাপলা কমিউনিটি সেন্টার, ব্রীক ফীল্ড রোড, ছোট পুল, বেপারী পাড়া, বলির পাড়া, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, আবিদার পাড়া, শিশু পার্ক এলাকায় এসে শেষ করেন।

    গণসংযোগ করছেন ডা. শাহাদাত হোসেন

    এ সময় ডা.শাহাদাত হোসেন বলেন, বর্ষা মৌসুম আস‌লে সামান্য বৃ‌ষ্টি হ‌লে ত‌লি‌য়ে যায় বে‌শির ভাগ এলাকা। নগরবাসীর ভো‌টে নির্বা‌চিত হ‌লে বি‌শেষজ্ঞ‌দের পরামর্শ নিয়ে সল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ‌মেয়াদী প‌রিকল্পনা গ্রহন ক‌রে জলবদ্ধাতা নিরস‌নে স্থায়ী সমাধান কর‌বো।

    তিনি বলেন, যেখানেই গণসং‌যো‌গে যাচ্ছি জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। সাধারন মানুষের এই অগ্রযাত্রা কেউ দ‌মি‌য়ে রাখ‌তে পার‌বেনা। এখন আমাদেরকে জেগে ওঠতে হবে। সকল জঞ্জালকে ধুয়ে মুছে একটি আই‌টি প্রযুক্তি সমৃদ্ধ স্মার্ট, প‌রিচ্ছন্ন প‌রি‌বেশবান্ধব ও নান্দ‌নিক চট্টগ্রাম শহর গড়ে তুলতে হবে। নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ ও রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। প‌রিবা‌রের সদস্য, বন্ধু, বান্ধব সক‌লে উৎসবমূখর প‌রি‌বে‌শে ভোট‌কে‌ন্দ্রে যা‌বেন। আপনা‌দের নাগ‌রিক অ‌ধিকার প‌বিত্র আমানত ভোটা‌ধিকার প্র‌য়োগ কর‌বেন। আপনার মূল্যবান ভোট‌টি গণতন্ত্র, আই‌নের শাসন, ভোটা‌ধিকার প্র‌তিষ্ঠার আ‌ন্দোল‌নে নেতৃত্ব দানকারী দল বিএন‌পির প্রার্থীর ধা‌নের শী‌ষেই দি‌বেন। যে কোন অপশ‌ক্তি বাধা‌ দি‌লে প্র‌তি‌রোধ গ‌ড়ে তুল‌বেন। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন অশুভ শক্তি আমাদেরকে হারাতে পারবেনা।

    তিনি বলেন, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ এখনো নিশ্চিত হয়নি। সরকার দলীয় সাংসদ ও মন্ত্রীরা নির্বাচনী কা‌জে অংশ নিলেও নির্বাচন কমিশন নির্বিকার। ইভিএমের বিভিন্ন কারিগরি ত্রু‌টি থাকলেও ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোট চুরি করার জন্যই নির্বাচন কমিশন ইভিএমের কথা বলছে।

    এ সময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির সাধারণ সম্পাদক আবুল হা‌শেম বক্কর বলেন,ভোটের দিন ভোটাররা যেন ভয় ভীতি ছাড়া কেন্দ্রে আসতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে ইসিকে আমাদের দলীয় নেতা কমৃীদের কে সাহসীকতার সাথে পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হবে। ডাঃ শাহাদাত হোসেনকে বিজয়ী করতে সবাইকে ভ্যানগাডের ভ’মিকায় অবতীর্ন হতে হবে ।

    আওয়ামী সন্ত্রাসীরা যেন ভোটারদের হুমকি-ধমকি দিয়ে কেন্দ্রে আসতে বাধা দিতে না পারে সেজন্য নেতাকর্মীদেরকে সতর্ক পাহারা দিতে হবে

    গণসং‌যোগ কা‌লে উপ‌স্থিত ছি‌লেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতিঃ নাজিমুর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সীলর প্রার্থী মো: সেকান্দর, সহ মুক্তিযোদ্ধা সম্পাদক ফয়েজুল ইসলাম, নগর ম‌হিলা দ‌লের সাধারণ সম্পাদক জে‌লি চৌধুরী, বন্দর থানা বিএন‌পির সাধারণ সম্পাদক জা‌হিদ হাসান, নগর জাসা‌সের সভাপ‌তি আবদুল মান্নান রানা, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতিঃ হাজী মোঃ হোসেন, নগর বিএন‌পির সদস্য জমির আহমেদ, মোঃ না‌ছির, আবু মুছা, এম এ সবুর,৩৬ নং গোইলডাঙ্গা ওয়ার্ড কাউ‌ন্সিলর প্রার্থী মোঃ হারুন, সংর‌ক্ষিত ম‌হিলা কাউ‌ন্সিলর প্রার্থী কামরুন নাহার লিজা, ওয়ার্ড বিএন‌পির সভাপতি হুমায়ুন ক‌বির সো‌হেল, সাধারণ সম্পাদক আবু সাহেদ হারুন, মঞ্জুর মিয়া, বন্দর থানা বিএন‌পির সহ সভাপ‌তি মোঃ ইউসুফ, আবু জহুর, থানা বিএন‌পির যুগ্ম সম্পাদক হাজী মোঃ হো‌সেন, সাংগঠ‌নিক সম্পাদক না‌জিম উ‌দ্দিন, হাসান রুবেল, ওয়ার্ড বিএন‌পির সিঃ সহ সভাপ‌তি শওকত মান্নান, কামাল উদ্দিন সর্দার, সাংগঠ‌নিক সম্পাদক আক্তার সৈয়দ, মোঃ সাইফুল প্রমূখ।

  • চট্টগ্রামকে সুন্দর স্মার্ট নগরীতে পরিণত করতে ভোট যুদ্ধে নেমেছি : ডা.শাহাদাত

    চট্টগ্রামকে সুন্দর স্মার্ট নগরীতে পরিণত করতে ভোট যুদ্ধে নেমেছি : ডা.শাহাদাত

    চসিক নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা: শাহাদাত হোসেন সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

    বুধবার (১১ মার্চ) সকালে নগরীর বহদ্দার হাট হক মার্কেট চত্বরে পথ সভায় দেয়া বক্তব্যে তিনি এই আহবান জানান।

    এই দিন ডা: শাহাদাত হোসেন নগরীর ৪ নং চান্দগাঁও ওয়ার্ডের বহদ্দারহাট হক মার্কেটের সামনে থেকে গণ সংযোগ শুরু করে খাজারোড,চৌধুরী স্কুল,ইলিয়াছ মেন্বারের বাড়ী,গোলাম আলী নাজির বাড়ী,সানোয়ারা আবাসিক,বরিশাল বাজার,সিএনবি মোড়,মৌলভী পুকুর পাড়,শরাপত উল্লাহ প্রেট্টল পাম্প ও পশ্চিম ষোলশহর ৭ নং ওয়ার্ডের মুরাদপুর মোড়,মির্জারপুল,মোহম্মদপুর,খতিবের হাট,নাজিরপাড়া,হামজারবাগ,আতুরার ডিপু,আমিন কলোনি,মোহাম্মন নগর,আনন্দবাজার,বার্মা কলোনি,আলি নগর ও হিল ভিউ এলাকায় নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে গণসংযোগ করেন।

    এসময় ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, গণতন্ত্র এখন ধ্বংসের পথে। গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে দেশমাতার মুক্তির বার্তা নিয়ে আমি হাজির হয়েছি আপনাদের দুয়ারে ধানের শীষের ভোট চাইতে।

    আমি চট্টগ্রামকে সুন্দর স্মার্ট নগরীতে পরিণত করতে ভোট যুদ্ধে নেমেছি। আমরা জয়ের জন্যই মাঠে নেমেছি । ভোট যুদ্ধে জয়ী হয়ে দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব ইনশাল্লাহ।

    গণসংযোগে ডা.শাহাদাত

    তিনি বলেন,নগরীর বিভিন্ন জায়গায় খবর পাচ্ছি প্রশাসনের লোকজন আমাদের নেতাকর্মীদের উপর বিমাতাসুলভ আচরণ করছে। ভোটের মাঠে সবাইকে সমান সুযোগ করে দিতে ইসির প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের নেতা কর্মীদের কে ভোটের মাঠে হয়রানি করলে আমরা বসে থাকব না কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকবো।

    তিনি বলেন,জনগণের সাংবিধানিক অধিকার শেষ হয়ে গেছে।ভোট ও রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। সরকার দিনের ভোট রাতে নেওয়ার কারণে মানুষ কেন্দ্রমুখী হচ্ছে না।আসুন চট্টগ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশের মাধ্যমে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করি।

    তিনি বলেন,আওয়ামী লীগ,রাষ্ট্রযন্ত্র ও ইসিতে মিলে এখন একাকার হয়ে গেছে। নির্বাচনে ইসিকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। অন্যথায় চট্টগ্রামবাসী সমুচিত জবাব দেবে।

    তিনি বলেন,ভোট কেন্দ্রে সেনাবাহিনীর অফিসার ত্রুটি দেখার জন্য দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দিতে হবে যেন আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বুথে গিয়ে ভোট দিতে না পারে।তিনি বলেন,ভোটের দিন ভোটাররা যেন ভয় ভীতি ছাড়া কেন্দ্রে আসতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে ইসিকে। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা যেন ভোটারদের হুমকি-ধমকি দিতে না পারে সেজন্য কেন্দ্রের বাইরে প্রশাসনকে ভূমিকা রাখতে হবে।

    ভোটের দিন পাঁচটার মধ্যে ভোটের ফলাফল দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্যথায় যে কোনো পরিস্থিতির জন্য সরকার এবং প্রশাসনকে দায়ী থাকতে হবে। চট্টগ্রামের মানুষ শান্তিপ্রিয়।কিন্তু প্রয়োজনে চট্টগ্রামবাসী যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে প্রস্তত। স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন চট্টগ্রাম থেকে সূচনা হয়েছে। সিটি নির্বাচনে কারচুপি হলে চট্টগ্রাম থেকে আন্দোলনের সূচনা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

    এসময় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন,দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। ভোট যুদ্ধে অংশগ্রহনের মাধ্যমে আমরা নেত্রীকে মুক্তির জন্য পথে নেমেছি।২৯ মার্চ বিজয়ী হয়ে এই আন্দোলনের সফলতা নিয়ে ঘরে ফিরবো ইনশাআল্লাহ।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে ধানের শীষের বিজয় সুনিশ্চিত। সন্ত্রাসী –মাস্তান নিয়ে ইভিএম মেশিন নিয়ন্ত্রণের অপচেষ্টা হলে দাতা ভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।তিনি নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ব হয়ে কেন্দ্র পাহারা দিতে প্রস্তুত হওয়ার আহবান জানান।

    নগর বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন,চট্টগ্রামের-৮আসনের উপ নির্বাচনে আমাকে যে ভাবে হারানো হয়েছে,আগামী ২৯ মার্চ সিটি নির্বাচনে আমরা তা আর হতে দেবনা।যারা ভোট চুরি করতে আসবে তাদের কে সাধারণ ভোটারদের নিয়ে প্রতিহত করা হবে।মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে রাজ পথে আছি থাকবো।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রতিষ্টাতা সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম,উওর জেলা বিএনপি নেতা এম এ হালিম,চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি হাজী মো: আলী,৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার প্রর্থী মাহাবুবুল আলম,যুগ্ম সম্পাদক ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার প্রর্থী ইসকান্দর মির্জা ,আর ইউ চৌধুরী শাহিন,ইয়াছিন চৌধুরী লিটন,মন্জুর আলম মন্জু,আনোয়ার হোসেন লিপু,গাজী সিরাজ উল্লাহ,আইন সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী,সহ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ,ইদ্রিসআলি, খোরশেদ আলম কুতুবী,আবু মুছা,আবদুল হাই,থানা সম্পাদক মনির আহম্মদ চৌধুরী,শরিফ উদ্দীন খান,মহিলা কাউন্সিলার প্রর্থী শাহেনেওয়াজ চৌধুরী মিনু,জিন্নাতুন নেছা জিনিয়া,বিএনপি নেতা জসিম উদ্দীন,আবুল মনছুর রোমেল, ইলিয়াছ চৌধুরী,মো:আসলাম,এড. এফ এ সেলিম,মাসুদুল কবির রানা, সিরাজুল ইসলাম মুন্সি,কাসরুল ইসলাম,অঙ্গ সংগঠনের নেতা মোশারফ হোসেন,মোহাম্মদ আলী সাকি,জিয়াউর রহমান জিয়া,গুলজার হোসেন,এরশাদ হোসেন,সেলিম উদ্দীন রাসেল,শহিদুল ইসলাম শহিদ, আসাদুজ্জাম রুবেল,মাহাবুবুর রহমান,ফকরুল ইসলাম শাহিন ,মোহাম্মদ হাসান প্রমুখ।

  • সুষ্ঠু নির্বাচন হলে শাহাদাত বিপুল ভোটে জয়ী হবে:নোমান

    সুষ্ঠু নির্বাচন হলে শাহাদাত বিপুল ভোটে জয়ী হবে:নোমান

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের প্রচারণার দ্বিতীয় দিন সকালে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের কবর জেয়ারত করেছেন বিএনপি প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন।

    আজ মঙ্গলবার (১০ মার্চ) লালিয়ার হাটে মরহুমের কবর জেয়ারতে যান তারা। পরে ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলি ওয়ার্ডের লালিয়ার হাট, আমান বাজার, খোসাল শাহ সড়ক, বড়দিঘীর পাড়, ভাটিয়ারি রোড, ৩ নং বাজার, ফতেয়াবাদ, চৌধুরীহাট, চড়ারকূল, স্টেশন রোড, সন্দ্বীপ কলোনী, ২ নং জালালাবদ ওয়ার্ডের বালুছড়া বাজার, ইব্রাহীম কটন মিল, নতুন পাড়া, তুফানী রোড, খন্দকিয়া হাট, জমাদার পাড়া, কূলগাঁও, ৩ নং পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের অক্সিজেন মোড়, রউফাবাদ, মুরাদ নগর, কামরাবাদ, ছামাদপুর, হাজীপাড়া, খন্দকার পাড়া, চালিতাতলি সড়কে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন আবদুল্লাহ আল নোমান।

    এ সময় নেতৃবৃন্দ সাধারণ মানুষের সাথে সালাম ও কুশল বিনিময় করেন। নেতা কর্মীরা ধানের শীষের পক্ষে প্রচারপত্র বিলি করে জনগণের কাছে মেয়র পদে ডাঃ শাহদাত হোসেনকে বিজয়ী করার জন্য ভোট চান।

    এ সময় আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, চসিক নির্বাচনে জয় লাভের জন্য আমরা অংশ নিয়েছি। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ডাঃ শাহাদাত হোসেন বিপুল ভোটে জয়ী হবে। বুলেটের চেয়ে ব্যালট শক্তিশালী। ২৯ মার্চ চট্টগ্রামবাসী ব্যালটের মাধ্যমে জবাব দিবে ইনশাআল্লাহ।

    তিনি বলেন, ৯০ এর গণ আন্দোলনের পর লালদিঘীর মাঠে বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ২০০১ সালে এসে আমরা বাণিজ্যিক রাজধানী করার জন্য মন্ত্রী পরিষদে বিল পাস করি। শুধু নগরী নয় বৃহত্তর চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে সাজাতে আমাদের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে তা বাস্তবায়ন করেনি। আজ পত্রিকায় দেখলাম আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধূরী চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে সাজাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। আমার প্রশ্ন হলো, এটাতো অনেক আগেই বিএনপি বাস্তবায়িত করে রেখেছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার এটা করেনি কেন?

    তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা চট্টগ্রামের প্রধান সমস্যা। সরকার আসছে সরকার যাচ্ছে কিন্তু জলাবদ্ধতার ব্যাপারে কিছুই হচ্ছেনা। আমাদের সুযোগ্য মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন নির্বাচিত হলে জলাবদ্ধতা ছাড়াও কর্পোরেশনের মাধ্যমে যে সব উন্নয়ন কাজ করা দরকার আমরা করবো। আমি চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে বাজেটে আলাদা অর্থ বরাদ্ধ করার দাবী জানাচ্ছি।

    এসময় বিএনপি মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, যে এলাকায় গণসংযোগ করছি এই এলাকাগুলো অবহেলিত। সিটি কর্পোরেশন একটি সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান। আমি সবার সাথে মতবিনিময় করে সব কিছু চিহ্নিত করে পরিকিল্পতভাবে উন্নয়নের জন্য এগিয়ে যাব।

    তিনি বলেন, আপনাদের ভোটাধিকার রক্ষার জন্য ভোট কেন্দ্রে যাবেন। ধানের শিষে ভোট দিবেন। জনগণের দল বিএনপি। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন দেশে উন্নতি হয়েছে। সেজন্য জনগণ আমাদেরকে চায়। কিন্তু দিনের ভোট রাতে নিয়ে ফেলার কারণে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না। এবার আপনারা ভয়কে জয় করে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে আমাকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে দেশ নেত্রীকে মুক্ত করতে সহায়তা করবেন।

    তিনি বলেন, চসিক নির্বাচনকে একটি গ্রহণযোগ্য ও সুন্দর করার জন্য আমরা জনগণকে উদ্বুদ্ধ করছি। আমি জনগণের কাছে যেখানেই যাচ্ছি তারা আমাকে বিপুল সাড়া দিচ্ছে। এই চট্টগ্রাম শহরে আমার বেড়ে উঠা। ৩৪ বছর ধরে এই চট্টগ্রামের রাজনীতি ও সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। বাকলিয়া থেকে শুরু করে চট্টগ্রামের সব জায়গায় আমার পদচারণা। এই চট্টগ্রামকে সাজাতে কি দরকার কিভাবে সুন্দরভাবে সাজাতে হয় তা আমার জানা আছে। চট্টগ্রামকে সুন্দর ও নান্দনিক শহর করার একটা প্রয়াস আমার সব সময় ছিল। আমি এটা নিয়ে কাজ করছি।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সফিয়ান, বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোঃ হেলাল উদ্দীন, সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, চাকসুর ভিপি নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব মোস্তাক আহাম্মদ খান, বিএনপি নেতা ইকবাল চৌধূরী, এস. এম. আবুল ফয়েজ, কাজী বেলাল, নুর মোহাম্মদ, শামসুল আলম, জিএম আইয়ুব খান, কামরুল ইসলাম, ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ইয়াকুব চৌধুরী, ফাতেমা বাদশা, আব্দুল্লাহ আল হারুন, রফিকুল ইসলাম, জাকারিয়া সেলিম, মোঃ ইদ্রিস আলী, ডাঃ মোঃ ফরিদ, জেলী চৌধুরী, আব্দুল কাদের জসিম, মোঃ বেলাল, ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম রাশেদ, ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মো. ইলিয়াছ, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী রোকসানা বেগম মাধু, বিএনপি নেতা সেলিম চেয়ারম্যান, মো: জাকের হোসেন, সোলাইমান মন্জু, এস. এম. আবুল কালাম আবু, মামুন আলম, গাজী ইউসুফ, মোহাম্মদ ইউসুফ, আবছার উদ্দীন, মোঃ ফোরকান, আজগর হোসেন আজু, মোঃ শাহজাহান, এম. ইলিয়াছ আলী, খোরশেদ আলম, শাহজাহান মঞ্জু, সরোয়ার জাহান পুতুল, আব্দুল করিম, সৈয়দ মহসিন, সৈয়দ ইকবাল, নাজিম উদ্দিন, এস. এম. আলী, নুরুল ইসলাম, ওয়াহিদুল আলম, শাহেদুল আজম, আবুল মনছুর, মোঃ জাবেদ, নাছির উদ্দীন, শাহজাহান খান প্রমুখ।

  • চসিক নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত

    চসিক নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত

    আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক পেলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন।

    সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    বিএনপির হয়ে নির্বাচনে লড়তে ডা. শাহাদাত হোসেন ছাড়াও নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সহ-সভাপতি নেয়াজ মোহাম্মদ খান, সৈয়দ আজম উদ্দিন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এরশাদ উল্লাহ ও নগর বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ডা. লুসি খান দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। সৈয়দ আজম উদ্দিন ছাড়া বাকীরা সবাই কেন্দ্রীয় দপ্তরে তা জমা দিয়েছিলেন।

    সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে দলের চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির সাথে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের স্বাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়।

    সাক্ষাৎকার শেষে মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন তারেক রহমান। সবাইকে একযোগে দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার নির্দেশনাও দেন তিনি।

    জানা গেছে, ডা. শাহাদাতকে দলীয় মনোনয়ন পাইয়ে দিতে নগর বিএনপির সবাই একযোগে প্রচেষ্টা চালায়। দলের মনোনয়ন পেয়ে শাহাদাত বলেন, ‘দল আমার উপর আস্থা রেখেছে। আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে দলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে বিজয়ের জন্য কাজ করবো।’

    গত ২৮ এপ্রিল ২০১৫ অনুষ্ঠিত চসিক নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন মঞ্জুর আলম। নির্বাচনের দিন সকাল ১১টায় কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। এবার মঞ্জুর আলম ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন।

    এর আগে রোববার রাতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নিতে ৪১টি ওয়ার্ড ও ১৪টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে নিজেদের দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করে বিএনপি।

    ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ গত ১৫ ফেব্রুয়ারি চসিকের মেয়র পদে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী নৌকার প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে।